23/06/2025
যে কাজে আপনার আগ্রহ নেই, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই কাজ ছেড়ে দিন! কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং আগ্রহ না থাকলে কখনোই সেই কাজে সফলতা আসবে না।
অস্পষ্টতায় ভরা দূরের কিছুর চেয়ে কাছের স্পষ্ট কিছু দেখাই ভালো। বর্তমান নিয়ে বাঁচুন। অতীতের ভুল নিয়ে হা হুতাশ করা বন্ধ করুন। এটা শুধুই সময়ের অপচয়। ভবিষ্যত নিয়েও দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। বর্তমানে আপনি যে কাজ করছেন, সেটাই আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। সুতরাং, বর্তমানকে সুন্দর করুন, ভবিষ্যৎ এমনিতেই সুন্দর হয়ে যাবে।
ইতিবাচক চিন্তা করুন। তাহলে সঠিক পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে পারবেন। নেতিবাচক চিন্তা আপনাকে শুধু উদ্বেগ দেবে, স্নায়ু দুর্বল করে ফেলবে।
জীবনটাকে বালিঘড়ি মনে করুন। আপনি জানেন বালিঘড়িতে হাজার হাজার বালুকণা থাকে, তারা ধীরে ধীরে যন্ত্রটার ভিতরের ছোট্ট ফুটো দিয়ে পড়তে থাকে। যন্ত্রটা না ভেঙে আমরা একসঙ্গে বেশি বালি ঢোকাতে পারি না। আপনি বা আমি সকলেই ওই বালিঘড়ির মতো। সকালে আমরা কাজ শুরু করার সময় শত শত কাজ থাকে, সেই কাজের পাহাড় দেখে দুশ্চিন্তা করলে কোনো কাজই আর করা হবে না। একে একে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে শুরু করুন। একসসময় অবাক হয়ে দেখবেন সব কাজ করে ফেলেছেন, ঠিক যেমন বালিঘড়ির সবগুলো বালুকণা একের পর এক নিচে পড়ে।
এজন্য একবারে সফল হওয়ার প্ল্যান করবেন না৷ প্ল্যানকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুন। তারপর ক্রমান্বয়ে সেই কাজ করতে শুরু করুন। সফলতা এভাবেই আসে, একবারে আসে না কখনোই।
অতীত নিয়ে হা হুতাশ আর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা আপনাকে বেশি কাবু করে ফেলে, আপনার জীবনকে হতাশাগ্রস্থ করেছে। এজন্য সর্বপ্রথমে অতীত আর ভবিষ্যতের চিন্তা মন থেকে মুছে ফেলুন। লজিক দিয়ে কাজ করুন, ইতিবাচক পরিকল্পনা নিয়ে বর্তমানে বাঁচুন, দেখবেন আপনার কোনো ডিপ্রেশনই নাই।
বুদ্ধিমান মানুষের কাছে প্রতিটি দিনই নতুন জীবন। আমরা সকলেই জীবনযু*দ্ধ এড়িয়ে চলতে চাই। আমরা সবাই দিগন্তপারের কোনো মায়া গোলাপের স্বপ্নে আচ্ছন্ন, কিন্তু জানালার পাশে যে অসংখ্য গোলাপ ফুটে রয়েছে তা আমরা দেখি না।
লেখা- সংগৃহীত
