RI F AT

12/10/2025

মুরগির বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যেহেতু এটি একটি রোগ সংক্রান্ত বিষয়, তাই অবশ্যই পশু চিকিৎসক বা অভিজ্ঞ খামারীর পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ।
​সাধারণত যে বিষয়গুলো মেনে চলা হয়:
​১. উষ্ণতা নিশ্চিত করা:
* বাচ্চার থাকার জায়গায় যেন যথেষ্ট উষ্ণতা থাকে তা নিশ্চিত করুন। ঠান্ডা লাগলে বাচ্চারা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
* প্রয়োজনে ব্রুডার (কৃত্রিম উষ্ণতা প্রদানকারী ব্যবস্থা) বা বাল্ব লাইট ব্যবহার করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন।
​২. ঔষধ বা চিকিৎসা:
* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক বা ঠান্ডা-কাশির জন্য নির্দিষ্ট ভেটেরিনারি ঔষধ প্রয়োগ করতে হতে পারে।
* অনেক সময় চিকিৎসকরা শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ঔষধ দেন।
* কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন সি বা অন্যান্য সাপ্লিমেন্টও দেওয়া যেতে পারে।
​৩. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:
* বাচ্চার থাকার স্থান পরিষ্কার ও শুকনো রাখা খুব জরুরি, যাতে রোগ আরও না ছড়ায়।
​৪. রোগী বাচ্চাকে আলাদা রাখা:
* যে বাচ্চাটির ঠান্ডা লেগেছে, সেটিকে সুস্থ বাচ্চাগুলোর থেকে আলাদা করে দিন। এতে রোগ ছড়ানো আটকানো যায়।
​৫. খাবার ও জল:
* বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার এবং পরিষ্কার জল সরবরাহ করুন। ঠান্ডা লাগলে অনেক সময় বাচ্চা খাওয়া কমিয়ে দেয়, তাই তাদের স্বাভাবিকভাবে খেতে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।
​গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়। ভুল ঔষধ বা ভুল মাত্রায় ব্যবহার করলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

10/10/2025

আপনি কী খামার দিতে চান

09/10/2025

09/10/2025

ইনশাআল্লাহ ❤️‍🩹

08/10/2025

লোকেশন যশোর জেলা মানুষ বলতে পারবে ।

07/10/2025

আপনিও বাসায় পালন করে হতে পারেন লাভবান।

05/10/2025

কত নিচ দিয়ে পেলেন যাচ্ছে।

03/10/2025

🩵❤️‍🩹

03/10/2025

❤️‍🩹

02/10/2025

মুরগির বাচ্চা সুস্থ রাখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলতে হয়। এগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে রোগ-বালাই কম হয় এবং বাচ্চার দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
​মুরগির বাচ্চা সুস্থ রাখার করণীয়
​১. সঠিক ব্রুডিং (তাপের ব্যবস্থাপনা)
​মুরগির বাচ্চার জন্য তাপমাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রথম কয়েক সপ্তাহ। একে ব্রুডিং বলে।
​বাচ্চার বয়স অনুযায়ী সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা প্রায় 90^{\circ} \text{F} (32^{\circ} \text{C}) রাখা ভালো। এরপর প্রতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট করে কমানো যেতে পারে।
​তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য হিট ল্যাম্প বা অন্যান্য তাপের উৎস ব্যবহার করতে পারেন।
​বাচ্চারা যেন পর্যাপ্ত জায়গা পায় এবং প্রয়োজনমতো তাপের উৎস থেকে দূরে গিয়ে ঠান্ডা জায়গায় বসতে পারে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
​২. বাসস্থান ও পরিবেশ
​পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: বাসস্থান বা ব্রুডার (Brooder) প্রতিদিন পরিষ্কার রাখুন। ভেজা বা নোংরা লিটার (বিছানা) থাকলে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। লিটার হিসেবে কাঠের গুঁড়ো বা ধানের তুষ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ছোট গুঁড়ো বা করাতকলের গুঁড়ো ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ বাচ্চা তা খেয়ে ফেলতে পারে।
​আলো: প্রথম সপ্তাহে বাচ্চা যেন দিনে প্রায় ১৮-২২ ঘণ্টা আলো পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
​পর্যাপ্ত জায়গা: বাচ্চা যেন ভিড় না করে থাকে, তার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নিশ্চিত করুন। ভিড় বেশি হলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
​বায়ু চলাচল (Cross-Ventilation): বাচ্চার ঘরে অবশ্যই ভালো বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে দূষিত বাতাস বের হয়ে যেতে পারে এবং তাজা বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
​৩. খাবার ও জলের ব্যবস্থা
​সুষম খাদ্য: বাচ্চার বয়স অনুযায়ী চিক স্টার্টার (Chick Starter) ফিড ব্যবহার করুন, যাতে কমপক্ষে ১৮% প্রোটিন থাকে। এটা বাচ্চার দ্রুত বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
​খাবার দেওয়ার পদ্ধতি: প্রথম দিনগুলোতে খাবারের পাত্র কম উচ্চতায় বা ডিমের ট্রে-তে খাবার দিয়ে বাচ্চাকে খাবার খেতে শেখানো যেতে পারে। অল্প পরিমাণে খাবার বারে বারে দিন।
​পরিষ্কার জল: বাচ্চাকে সর্বদা পরিষ্কার এবং তাজা পানীয় জল দিন। জলের পাত্র দিনে কমপক্ষে দুইবার পরিষ্কার করে জল পরিবর্তন করুন। পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট বা হলুদের গুঁড়ো ব্যবহার করে জল পরিষ্কার রাখতে পারেন।
​প্রথম দিন: বাচ্চা আসার পর দ্রুত তাদের জলের পাত্রে নিয়ে গিয়ে ঠোঁট ডুবিয়ে জল খেতে শেখান। এরপর খাবার দিন।
​৪. রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য
​টিকা (Vaccination): সময়মতো এবং সঠিকভাবে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। টিকা দেওয়ার সময় বাচ্চার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি (প্রায় 10^{\circ} \text{C} বেশি) রাখা ভালো।
​রোগীর চিকিৎসা: কোনো বাচ্চা অসুস্থ হলে বা ঝিমিয়ে থাকলে, তাকে সুস্থ বাচ্চা থেকে আলাদা করে (Quarantine) চিকিৎসা দিন।
​কৃমিনাশক: প্রাকৃতিক উপায়ে কৃমি প্রতিরোধের জন্য পেঁপে বা ডালিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
​এই মৌলিক বিষয়গুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আপনার মুরগির বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং ভালোভাবে বেড়ে উঠবে। আপনার যদি নির্দিষ্ট বয়সের বাচ্চার জন্য কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।