22/06/2025
😡😡😡😡😡🚨🚨⛽🚨🚨বাংলায় সংবাদ: আমেরিকা ইরানের নিউক্লিয়ার স্থাপনায় হামলা🚨🚨🚨⛽⛽⛽🚨🚧 (২২ জুন, ২০২৫)সংক্ষিপ্ত খবরআমেরিকা ইরানের তিনটি নিউক্লিয়ার স্থাপনা—ফোর্ডো, নাটানজ, এবং ইসফাহানে—বিমান হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন। এই হামলা ইসরায়েলের চলমান বিমান অভিযানের সাথে যুক্ত, যা ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচিকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ইরান প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।বিস্তারিতহামলার বিবরণ: ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, মার্কিন বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান এবং ৩০,০০০ পাউন্ডের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করে ফোর্ডো, নাটানজ, এবং ইসফাহানে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ফোর্ডো "ধ্বংস" হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস নিশ্চিত করা কঠিন। সমস্ত মার্কিন বিমান ইরানের আকাশসীমা থেকে নিরাপদে ফিরেছে।ইসরায়েলের ভূমিকা: ইসরায়েল গত ১৩ জুন থেকে ইরানের নিউক্লিয়ার ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে, যার মধ্যে আরাক, ইসফাহান, এবং নাটানজের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফোর্ডোর গভীর ভূগর্ভস্থ অবস্থানের কারণে ইসরায়েল একা এটি ধ্বংস করতে অক্ষম ছিল, তাই মার্কিন সহায়তা চাওয়া হয়।ইরানের প্রতিক্রিয়া: ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ফোর্ডোতে হামলার কথা স্বীকার করেছে এবং প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই বলেছেন, মার্কিন হস্তক্ষেপ "একটি সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধের" কারণ হতে পারে।আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:আইএইএ: জাতিসংঘের নিউক্লিয়ার ওয়াচডগ, আইএইএ, জানিয়েছে, হামলায় তেজস্ক্রিয় উপাদানের কোনো ফাঁস হয়নি, তবে নিউক্লিয়ার স্থাপনায় হামলার প্রবণতা নিয়ে "গুরুতর উদ্বেগ" প্রকাশ করেছে।ইউরোপ: ব্রিটেন, ফ্রান্স, এবং জার্মানি ইরানকে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, তবে ইরান বলেছে, হামলা চলাকালীন কোনো আলোচনা হবে না।ঝুঁকি ও প্রভাব:বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের নিউক্লিয়ার স্থাপনায় হামলা তেজস্ক্রিয় দূষণের ঝুঁকি কম, তবে বুশেহর পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলা হলে "পারমাণবিক বিপর্যয়" হতে পারে।মার্কিন হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে, এবং ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলায় মার্কিন সেনারা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: ট্রাম্প বারবার বলেছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া হবে না। তিনি কূটনৈতিক সমাধানের আশা করলেও সামরিক পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকেছেন। মার্কিন কংগ্রেসে এই হামলার বৈধতা নিয়ে বিতর্ক চলছে, কিছু সাংসদ ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।বর্তমান পরিস্থিতিইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি। ফোর্ডোর মতো গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনা ধ্বংসের দাবি যাচাই করা কঠিন।ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ও ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলো উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।এই হামলা মার্কিন-ইরান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, এবং আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি বেড়েছে।