11/02/2025
বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে। ঝোড়ো হাওয়ায় জানালার পর্দা উড়ছে। কাচের ওপর দিয়ে ফোঁটাগুলো গড়িয়ে নামছে। ঘরের ভেতর মৃদু আলো, বাতাসে ভিজে মাটির গন্ধ। নীহারিকা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে, বুকের ভেতর অদ্ভুত শিহরণ।
হঠাৎ কলিং বেল বাজলো।
দরজা খুলতেই নীলয়কে দেখল—সারা শরীর ভিজে, চুল থেকে টপটপ করে জল পড়ছে, শার্ট গায়ে সেঁটে গেছে, ভেজা কাপড়ের নিচে শক্তপোক্ত বুকের রেখা স্পষ্ট। চোখে সেই চিরচেনা দুষ্টু হাসি, তার চোখের দৃষ্টি আজ অন্যরকম—গভীর, তীব্র, আর আবেগে ভরা।
নীহারিকার গলায় কথা আটকে গেল।নীহারিকা চুপচাপ তাকিয়ে রইল। নীলয় ধীরে ধীরে এক পা ভেতরে দিল।
— "তুমি এত বৃষ্টিতে এখানে কেন?"
— "ভেতরে আসব না?"
তার কণ্ঠস্বরে এমন কিছু ছিল যা নীহারিকার শরীর ঠান্ডা বৃষ্টির মধ্যেও গরম হয়ে উঠল।
— "এসো।"
নীলয় ধীর পায়ে এগিয়ে এল, দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল। নীহারিকা সরে দাঁড়াতেই নীলয় ধীরে ধীরে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করল। বাতাস ভারী হয়ে উঠল, যেন সময় থমকে গেছে।
নীহারিকার গলা শুকিয়ে এল। সে দরজা বন্ধ করল।
নীলয় ভেজা শার্টটা খুলে ফেলল, শক্ত মসৃণ বুকের ওপর দিয়ে জলের ফোঁটাগুলো গড়িয়ে পড়ছে। নীহারিকা চোখ সরিয়ে নিতে চাইল, কিন্তু পারল না। বাতাস আরও ভারী হয়ে উঠল।
— "তুমি জানো, বৃষ্টি মানেই আমার মনে পড়ে সেই প্রথম দিনের কথা, যখন তোমার হাত প্রথম ধরেছিলাম?"
নীহারিকার শরীরে এক অজানা শিহরণ খেলে গেল।
— "তুমি একটা পাগল!" বলল নীহারিকা, নিজেই বুঝতে পারল তার কণ্ঠ কাঁপছে। নীলয় ধীরে ধীরে এগিয়ে এল, হাত বাড়িয়ে তার ভেজা চুলের একটি গোছা ধরল। — "তুমি জানো, তোমার ভেজা চুলের গন্ধটা কেমন পাগল করে দেয় আমাকে?
নীহারিকার ঠোঁট কাঁপল, কিছু বলতে পারল না। আঙুলের নরম স্পর্শে নীহারিকার শ্বাস ধীরে ধীরে ভারী হয়ে উঠছে।
— "তুমি কাঁপছো?"
— "আমি… আমি কাঁপছি না।"
— "তুমি ভয় পাচ্ছো?"
— "আমি জানি না…"
কথা শেষ করার আগেই নীলয় তার কোমর জড়িয়ে নিল।
"নীলয়!"
— "তোমার চোখ বলছে, তুমি আমায় চাইছো।
"নীলয় ধীরে ধীরে তার মুখের কাছে এল, নীলয়ের ঠোঁট তার কপালে ছুঁলো, তারপর ধীরে ধীরে নামল চোখের পাতায়, গালে, চিবুকে…তাদের নিঃশ্বাস মিশে গেল একসঙ্গে। নীহারিকা চোখ বন্ধ করল, হৃদয়ের ধুকপুকানি যেন আরও বেড়ে গেল।
নীহারিকা নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইল, কিন্তু নীলয়ের শক্ত হাত তাকে আরও কাছে টেনে নিল।
নীলয়ের হাত ধীরে ধীরে তার চিবুক থেকে গাল বেয়ে নিচে নামছে, আঙুলগুলো তার ঘাড়ে ছুঁয়ে শিহরণ জাগিয়ে দিচ্ছে। নীহারিকা শ্বাস আটকে ফেলল
নীহারিকার ঠোঁট কাঁপল, কিছু বলতে পারল না।
নীলয় তাকে শক্ত করে কাছে টেনে নিল, তাদের শরীরের মাঝের সবটুকু দূরত্ব মুছে গেল।
— "নীলয়, এটা ঠিক হচ্ছে তো?"
নীলয় তার কানের কাছে ফিসফিস করল, গরম নিঃশ্বাস নীহারিকার শরীরের প্রতিটি কোষে বিদ্যুতের মতো ছড়িয়ে পড়ল।
— "ভালোবাসা কখনো ভুল হতে পারে না, নীহারিকা!"
তার কণ্ঠস্বর এতটাই গভীর ছিল যে নীহারিকার আর কিছু বলার শক্তি রইল না।
তার ঠোঁট এক ইঞ্চি দূরে, শ্বাসে শ্বাস মিশে যাচ্ছে, হাতের ছোঁয়া উষ্ণ হয়ে উঠছে।নীলয়ের হাত তার পিঠ বেয়ে নামছে, তার নিঃশ্বাস আরও দ্রুত হচ্ছে। নীহারিকা নিজের মধ্যে এক অজানা অনুভূতি টের পাচ্ছে।
হঠাৎই বাইরে বিদ্যুৎ চমকাল, আর সাথে সাথে পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে গেল। বজ্রপাত হল, আলো ঝলসে উঠল এক মুহূর্তের জন্য, আর সেই আলোতেই নীহারিকার চোখ বন্ধ হয়ে এল।
ঘরের বাতি নিভে গেল,বৃষ্টি তখনও পড়ছে, কিন্তু ঘরের ভেতর তাপমাত্রা একেবারে অন্যরকম।শুধু বাইরে থেকে আসা বৃষ্টির শব্দ আর তাদের গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল।
— "আজ আমি আর থামব না, নীহারিকা," কাঁপা গলায় বলল নীলয়।
নীহারিকা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল।
নীহারিকার হাত ধীরে ধীরে উঠে এলো নীলয়ের ঘাড়ে, সে আর কোনো বাধা দিল না…
বাইরে ঝড়, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, আর ঘরের ভেতর তাদের ভালোবাসার আগুন জ্বলছে, যা থামার নয়…
গল্পের নাম : বর্ষার উষ্ণতা।4r4বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে। ঝোড়ো হাওয়ায় জানালার পর্দা উড়ছে। কাচের ওপর দিয়ে ফোঁটাগুলো গড়িয়ে নামছে। ঘরের ভেতর মৃদু আলো, বাতাসে ভিজে মাটির গন্ধ। নীহারিকা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে, বুকের ভেতর অদ্ভুত শিহরণ।
হঠাৎ কলিং বেল বাজলো।
দরজা খুলতেই নীলয়কে দেখল—সারা শরীর ভিজে, চুল থেকে টপটপ করে জল পড়ছে, শার্ট গায়ে সেঁটে গেছে, ভেজা কাপড়ের নিচে শক্তপোক্ত বুকের রেখা স্পষ্ট। চোখে সেই চিরচেনা দুষ্টু হাসি, তার চোখের দৃষ্টি আজ অন্যরকম—গভীর, তীব্র, আর আবেগে ভরা।
নীহারিকার গলায় কথা আটকে গেল।নীহারিকা চুপচাপ তাকিয়ে রইল। নীলয় ধীরে ধীরে এক পা ভেতরে দিল।
— "তুমি এত বৃষ্টিতে এখানে কেন?"
— "ভেতরে আসব না?"
তার কণ্ঠস্বরে এমন কিছু ছিল যা নীহারিকার শরীর ঠান্ডা বৃষ্টির মধ্যেও গরম হয়ে উঠল।
— "এসো।"
নীলয় ধীর পায়ে এগিয়ে এল, দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল। নীহারিকা সরে দাঁড়াতেই নীলয় ধীরে ধীরে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করল। বাতাস ভারী হয়ে উঠল, যেন সময় থমকে গেছে।
নীহারিকার গলা শুকিয়ে এল। সে দরজা বন্ধ করল।
নীলয় ভেজা শার্টটা খুলে ফেলল, শক্ত মসৃণ বুকের ওপর দিয়ে জলের ফোঁটাগুলো গড়িয়ে পড়ছে। নীহারিকা চোখ সরিয়ে নিতে চাইল, কিন্তু পারল না। বাতাস আরও ভারী হয়ে উঠল।
— "তুমি জানো, বৃষ্টি মানেই আমার মনে পড়ে সেই প্রথম দিনের কথা, যখন তোমার হাত প্রথম ধরেছিলাম?"
নীহারিকার শরীরে এক অজানা শিহরণ খেলে গেল।
— "তুমি একটা পাগল!" বলল নীহারিকা, নিজেই বুঝতে পারল তার কণ্ঠ কাঁপছে। নীলয় ধীরে ধীরে এগিয়ে এল, হাত বাড়িয়ে তার ভেজা চুলের একটি গোছা ধরল। — "তুমি জানো, তোমার ভেজা চুলের গন্ধটা কেমন পাগল করে দেয় আমাকে? নীহারিকার ঠোঁট কাঁপল, কিছু বলতে পারল না। আঙুলের নরম স্পর্শে নীহারিকার শ্বাস ধীরে ধীরে ভারী হয়ে উঠছে।
— "তুমি কাঁপছো?"
— "আমি… আমি কাঁপছি না।"
— "তুমি ভয় পাচ্ছো?"
— "আমি জানি না…"
কথা শেষ করার আগেই নীলয় তার কোমর জড়িয়ে নিল।
"নীলয়!"
— "তোমার চোখ বলছে, তুমি আমায় চাইছো।
"নীলয় ধীরে ধীরে তার মুখের কাছে এল, নীলয়ের ঠোঁট তার কপালে ছুঁলো, তারপর ধীরে ধীরে নামল চোখের পাতায়, গালে, চিবুকে…তাদের নিঃশ্বাস মিশে গেল একসঙ্গে। নীহারিকা চোখ বন্ধ করল, হৃদয়ের ধুকপুকানি যেন আরও বেড়ে গেল।
নীহারিকা নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইল, কিন্তু নীলয়ের শক্ত হাত তাকে আরও কাছে টেনে নিল।
নীলয়ের হাত ধীরে ধীরে তার চিবুক থেকে গাল বেয়ে নিচে নামছে, আঙুলগুলো তার ঘাড়ে ছুঁয়ে শিহরণ জাগিয়ে দিচ্ছে। নীহারিকা শ্বাস আটকে ফেলল
নীহারিকার ঠোঁট কাঁপল, কিছু বলতে পারল না।
নীলয় তাকে শক্ত করে কাছে টেনে নিল, তাদের শরীরের মাঝের সবটুকু দূরত্ব মুছে গেল।
— "নীলয়, এটা ঠিক হচ্ছে তো?"
নীলয় তার কানের কাছে ফিসফিস করল, গরম নিঃশ্বাস নীহারিকার শরীরের প্রতিটি কোষে বিদ্যুতের মতো ছড়িয়ে পড়ল।
— "ভালোবাসা কখনো ভুল হতে পারে না, নীহারিকা!"
তার কণ্ঠস্বর এতটাই গভীর ছিল যে নীহারিকার আর কিছু বলার শক্তি রইল না।
তার ঠোঁট এক ইঞ্চি দূরে, শ্বাসে শ্বাস মিশে যাচ্ছে, হাতের ছোঁয়া উষ্ণ হয়ে উঠছে।নীলয়ের হাত তার পিঠ বেয়ে নামছে, তার নিঃশ্বাস আরও দ্রুত হচ্ছে। নীহারিকা নিজের মধ্যে এক অজানা অনুভূতি টের পাচ্ছে।
হঠাৎই বাইরে বিদ্যুৎ চমকাল, আর সাথে সাথে পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে গেল। বজ্রপাত হল, আলো ঝলসে উঠল এক মুহূর্তের জন্য, আর সেই আলোতেই নীহারিকার চোখ বন্ধ হয়ে এল।
ঘরের বাতি নিভে গেল,বৃষ্টি তখনও পড়ছে, কিন্তু ঘরের ভেতর তাপমাত্রা একেবারে অন্যরকম।শুধু বাইরে থেকে আসা বৃষ্টির শব্দ আর তাদের গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল।
— "আজ আমি আর থামব না, নীহারিকা," কাঁপা গলায় বলল নীলয়।
নীহারিকা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল।
নীহারিকার হাত ধীরে ধীরে উঠে এলো নীলয়ের ঘাড়ে, সে আর কোনো বাধা দিল না…
বাইরে ঝড়, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, আর ঘরের ভেতর তাদের ভালোবাসার আগুন জ্বলছে, যা থামার নয়…
(চলবে...)সাড়া পেলে দ্বিতীয় পার্ট দেবো।
গল্পের নাম : #বর্ষার_উষ্ণতা
লেখিকা : #সুস্মিতা_গুছাইত
(এই গল্পটি আমার নিজের লেখা। এটা কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ )