12/09/2025
পরিষেবা দিতে ব্যর্থ বাউড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল,কারণ জানালেন হাসপাতালের সুপার।
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাউড়িয়া: হাওড়া :-
মানুষের সাস্থ্যই সম্পদ,স্বাস্থ্য মানে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা। স্বাস্থ্য মানে রোগমুক্ত জীবনযাপন এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখা।
রোগ হলে ডাক্তার দেখানো এবং রোগের চিকিৎসা করানো জরুরি। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না করলে রোগ মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
কিন্তু কয়েক বৎসর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে বাউড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারবাবু সহ আউটডোরের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত স্টাফরা সঠিক সময়ে অফিস আসেন না। তারই ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগী ও রোগীর বাড়ীর সদস্যরা। এই অভিযোগ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের একাংশের। হাসপাতালে মূলত চিকিৎসা করাতে যায় শারীরিক ভাবে দুর্বল ও রোগে আক্রান্ত রোগীরা।
বিশেষ করে যে সকল হাওড়া জেলার, বাউড়িয়া, নলপুর ও সাঁকরাইল এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন চিকিৎসা করাতে। দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আউটডোরে ডাক্তার দেখাবার জন্য এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের।
বাউড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সচিন্দ্র নাথ রজত কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে স্টাফ কম থাকার কারণে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। আমার কাছে বর্তমানে ৪ ( চার ) জন স্টাফ আছে।তাই আমার পক্ষে হাসপাতালের আউট ডোর বিভাগ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ডাক্তার বাবুরা কেউ এখানে আসতে চান না। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। বিশেষ করে মহিলা কোনো স্টাফ এখানে আসতে চান না। কারণ এখানে সেই স্বচ্ছতা পরিবেশ নেই। হাসপাতালের চারিদিকে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম হচ্ছে। ডাক্তার বাবুদের জন্য বরাদ্দ কোয়াটার গুলি এখন ভগ্ন। ঐ কোয়াটার গুলির মধ্যে অসামাজিক কাজকর্ম হচ্ছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিও কোনো সুরাহা হয়নি। নিরাপত্তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যায়। এমনই অভিযোগ উঠে এলো সুপারের কাছ থেকে।
যেখানে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই সচেতন। স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য।
তাহলে বাউড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এই দূরবস্থা কেনো? রোগীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে কেনো? স্বাস্থ্য বিভাগ কি এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে? আদেও কি এই সমস্যা সমাধান করতে উদ্যোগ নেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?
নাকি এই দুর্দাশা চলতেই থাকবে। সমাধান কোন পথে?