17/07/2025
গতকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের একটা পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেখতে পাচ্ছি। পথকুকুরদের পথে খেতে দেওয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি।
একজনের ব্যক্তিগত মামলায় আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে মাত্র। ওই মামলাকারী রাস্তায় বাচ্চাদের খেতে দিতেন বলে ওনার এলাকায় কোনও সমস্যা হয়। সেই সমস্যার সমাধানে এলাহাবাদ হাইকোর্ট একটা balanced order pass করেছিল। সেটার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে নিজের পছন্দ মত রায় দাবি করেন। তখন মাননীয় বিচারপতি পর্যবেক্ষণে জানান যে আপনি আপনার বাড়িতে খাওয়ান।
এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। সর্বোচ্চ আদালত পথপশুদের খাবার দেওয়ার বিরুদ্ধে কোনও রায় দেয়নি।পথপশুদের পক্ষে সংবিধান আছে। পথপশুদের পক্ষে আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী যে যেমন খেতে দিচ্ছে, দিয়ে যাক। এই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটাই জারি থাকবে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির মামলায় সমাধান খুঁজে দিয়েছিল যাতে পথপশুদের খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকে আবার কিছু মানুষের সাথে ওনার সংঘাতও শেষ হয়।
রায় না পড়ে একটা মৌখিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে কিছু পোর্টাল যেভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত এর আগেও বহুবার পথপশুদের পক্ষে নির্দেশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একই আদালত কেন রায় দিতে যাবে?
শ্রীমতী ম্যানেকা গান্ধী তাঁর ভিডিও বার্তায় সবটা পরিষ্কার করে বুঝিয়েছেন।
সম্প্রতি তাঁর পরামর্শ মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পথকুকুরদের জন্য মিডডে মিল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাঙ্গালোরের পুরসভা কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পথকুকুরদের খাবার দেওয়ার জন্য। এগুলো দেশের সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনেই করা হয়েছে। পথকুকুরদের খেতে দিলে ওদের aggression কমে। সাথে সাথে তাদের sterilization করানোটাও আবশ্যক। তাদের যাতে সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটা সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব। আপনি কুকুর পছন্দ না করলে যারা ওদের খেতে দেয়, তাদের বিরোধিতা না করে তাদের সাহায্য করুন যাতে ওদের sterilization করানো সম্ভব হয়। যিনি খেতে দিচ্ছেন, তিনি ওদের খিদের জ্বালা মিটিয়ে ওদের শান্ত রাখছেন। যার জন্য গোটা গলি বা পাড়া সুরক্ষিত থাকছে। ওরা খাবারের জন্য সবার বাড়ির মধ্যে ঢুকে বিরক্ত করছে না, কারণ ওরা নির্দিষ্ট সময়ে খেতে পায়। এর ফলে যিনি কুকুর পছন্দ করেন না, তিনিও সুরক্ষিত থাকছেন কারণ তাঁর বাড়ির উঠোনে ওরা খাবারের সন্ধানে যাচ্ছে না। ওদের না মে* রে sterilization করানোর মাধ্যমে ওদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
Collected from Sudip sarkar