06/09/2025
#ভারতবর্ষে_চলছে_চমকের_যুগ
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধীরা
যখন এককাট্টা, রাহুল-তেজস্বীদের #ভোটার_অধিকার_যাত্রা ঘিরে বিহার উত্তাল, ঠিক তখন লোকসভায় সরকারের পেশ করা ১৩০তম সংবিধান সংশোধন বিল ্য_বিস্ময়।
বলা নেই কওয়া নেই, কাউকে কিছু বুঝতে না-দিয়ে হুট করে অমিত শাহ যে-বিল পেশ করলেন, তাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী বা চুনো মন্ত্রীদের পর্যন্ত বরখাস্ত করা যাবে যদি তারা কোনও অভিযোগে টানা ৩০ দিন জেলে থাকেন।
১১ বছর ধরে চমকের যে-রাজনীতি
জনতা জনার্দন দেখে আসছে, এই বিল তার সর্বশেষ নবীনতম সংযোজন। #মোদি_জমানায়_চমক_অবশ্য_অন্তহীন।
একটার রেশ কাটতে-না-কাটতেই পরের
চমকে মানুষ চমৎকৃত হয়েছে। বারবার।
➡️নোটবন্দি ছিল ‘কালো টাকা’ ভ্যানিস হয়ে সাদা করার চমক। পাচার হওয়া কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আম আদমির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখি ঝনঝনানির চমক মানুষকে মোহাবিষ্ট করেছিল।
#কালো_টাকা_সাদা_হওয়ায় সন্ত্রাসীদের অর্থের জোগান বন্ধ হওয়ার গল্প শুনে মানুষ নিশ্চিন্ত বোধ করেছে। বুঝেছে, এটাও চমক।
➡️ফি-বছর নিয়ম করে দু’-কোটি বেকারের চাকরি হওয়ার চমকে বেকারেরা মজেছে। ➡️কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হওয়ার চমকে গ্রামকে গ্রাম ‘বল্লে বল্লে’।
➡️‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা’-র চমকে আমজনতা অভিভূত! দেশ এখন দুর্নীতি মুক্ত! ডাব্ল ইঞ্জিন সরকারের রাজত্বে উন্নয়নের জোয়ার চিরন্তন। #ভাটা_নেই।
➡️বিশ্বগুরুর নেতৃত্বে পৃথিবী উঠছে-বসছে। চমৎকৃত বিশ্ব।
➡️এবার থেকে দেশের কোনও মন্ত্রী, তা তিনি প্রধান হোন, মুখ্য হোন কিংবা অমুখ্য, জেলের গরাদের মধ্যে বসে সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না। নরেন্দ্র মোদি বুক বাজিয়ে তা বলে বেড়াচ্ছেন। #লেটেস্ট_চমক_এটাই।
তিনি বলছেন বটে, কিন্তু নিজেও জানেন, স্রেফ মুখের কথা হয়ে থাকবে এটাও। বিলটি দিনের আলোর মুখ দেখবে না। এতটা জোর দিয়ে কথাটা বলা যাচ্ছে– যেহেতু লোকসভা বা রাজ্যসভা কোথাও মোদি সরকার সংবিধান সংশোধন বিল পাসের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন পাবে না।
সংগত প্রশ্ন,.................................... #তাহলে_কেন_বিলটা_আনা_হল?
উত্তরটা রয়েছে ওই চমকের রাজনীতিতে। নিজের উপর নরেন্দ্র মোদির বিশ্বাস এখনও এতটাই দৃঢ় যে, #তিনি_মনে_করেন, যা কিছু তিনি বলেন দেশবাসী তা বেদবাক্য মনে করে।
হঠাৎই দেশের সাংবিধানিক পদের কর্তাদের অসম্মানিত হওয়ার হিড়িক পড়েছে যেন!
উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পর নির্বাচন কমিশন। এরপর আরও কী-কী হতে পারে #ভগবান_ঈশ্বর এবং #মোদি_শাহ_জুটিই_জানেন। বিরোধীদের উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি #বি_সুদর্শন_রেড্ডিকে তো অমিত শাহ ইতিমধ্যেই নকশালপন্থীদের ‘সমর্থক’ দাগিয়ে দিয়েছেন।
বিনাশকালে অথবা জ্ঞানগম্যি হারালে হয়তো এমনই দশা হয়।
‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’-এর হিসাব দেখাচ্ছে, ২০১৪ সালে ১৮৬ জন সাংসদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, ধর্ষণের মতো গুরুতর ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছিল। এঁদের মধ্যে বিজেপির সদস্য ছিলেন ৯৮ জন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ২৩৩, পাঁচ বছর পর ২০২৪ সালে ২৫১।
১১ বছরে যিনি রাজনীতিকে অপরাধী-মুক্ত করতে #কুটোটি_পর্যন্ত_নাড়েননি, এখন হঠাৎ কেন এত নড়েচড়ে বসা❓
উত্তরটা রয়েছে ওই চিরাচরিত #চমক ও #ব্ল্যাকমেলের_রাজনীতিতে।
নরেন্দ্র মোদির চমকের রাজনীতির একটুকরো নমুনা পেশ করেছেন একদা ভোটকুশলী এখন রাজনীতিক প্রশান্ত কিশোর। তিনি দল গড়েছেন– ‘জন সুরজ পার্টি’। বিহার বিধানসভার ভোটে লড়বেন। সেদিন ‘এএনআই’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদির গিমিকের গল্প শোনালেন পিকে। গল্পটা ২০১৪ সালের। পিকের দাবি, সেবার মোদির প্রচারের ভাষণ ছিল তাঁরই লেখা। সেই ভাষণে বিহারের মোতিহারিতে একটি চিনি মিল খোলার প্রতিশ্রুতি ছিল। মোদি বলেছিলেন, চিনি মিলে তৈরি চিনি দিয়ে চা না-খাওয়া পর্যন্ত তিনি বিহারে ঢুকবেন না। #ভোট_চাইবেন_না। পিকে-র কথায়,
"চিনি মিলের জমি বিক্রিবাটা হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ প্লট কিনেছেন বিজেপি নেতারাই। মোদিও প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলেছেন। যদিও মোতিহারিতে তিনি
আরও ৪ বার গিয়েছেন!"
বিহারে এবার অন্য চ্যালেঞ্জ। মহারাষ্ট্রের মতো বিহারেও কমিশন মুশকিল আসান না-হলে, ‘এসআইআর’-এ ধরা খেলে, ৭৫ পেরনো মোদির সংকট বাড়বে। বাঁচতে হলে দরকার নতুন কাহিনি।
#নতুন_গিমিক। নতুন স্বপ্নের ফেরি। জেলবন্দি মন্ত্রীদের চাকরি খাওয়া নতুন চমক।
মানবতার গর্ব মমতা