Golper Saji

Golper Saji Welcome to Golper Saji.

23/09/2025

কবি বা লেখক শুনলেই এখনও অধিকাংশ মানুষ অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। লেখকদের অন্য জগতের প্রাণী বলে একঘরে করে রাখেন। যখন একজন মানুষ লেখক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করে, পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুরা আর আগের মতো তেমন একটা কথা বলে না। রাস্তায় বেরোলে কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আশেপাশের মানুষজন । সমাজের মূল স্রোতের মানুষের থেকে যেনো আলাদা করে দেয়, অলিখিত ভাবেই । কেউ জিজ্ঞাসা করে কোনো মানসিক সমস্যা হচ্ছে কি না । কেউ বলে প্রেমে প্রতারিত হয়েছে নির্ঘাত।

অথচ কম বেশি বই সবাই কেই পড়তে হয়। বই ছাড়া কেউ বাঁচতে পারবে না। বই পড়তে বা কিনতে সমস্যা নেই, তাহলে যে লেখে তাকে নিয়ে তবে কিসের সমস্যা ?

আবার এই ছোটো, বড়ো লেখকদের লেখা গুলোই যখন বড়ো ইউটিউব ভিডিও তে বেনামে চালিয়ে দেওয়া হয়, কখনো মিম পেজ গুলো নিজেদের দরকার মতো নিজেদের নামে চালায়, যার যখন ইচ্ছা নিজের সুবিধা মতো চালিয়ে দেয় তখন সেগুলো হয় ট্রেন্ড। আর যারা এগুলো সৃষ্টি করলো , তারা হয়ে গেলি আধপাগল। এটাই আধুনিক উন্নত সভ্য সমাজ!

গল্প ,উপন্যাস নিয়ে সিনেমা তৈরি হলে বিশাল মাতামাতি হয়। অথচ যে লিখেছে তাকে কেউ চেনার প্রয়োজন মনে করে না।

কেনো ? শুধু প্রেমে প্রতারিত হয়ে একজন মানুষ লেখক বা কবি হবেন কেনো? স্বতস্ফুর্তভাবে কি লেখক হতে পারেন না ? মানুষ নাচ , গান শেখে ছবি আঁকা শেখে সেটা যেমন স্বাভাবিক এটাও তেমন। একবার ও কেউ এটা ভেবে দেখেন না, যে গানটা আপনি শুনছেন সেটা কেউ লিখেছে , সেও স্বাভাবিক মানুষ , প্রেমে প্রতারিত বা মানসিক রোগী না , মানসিক রোগী তো তারা যারা এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা এখনো সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেন না।

এসব কারণে অনেকে নাম পাল্টিয়ে লেখেন । অনেক এ বেশি বয়সে লেখা শুরু করেন আর কিছু হারানোর নেই বা বুড়ো বয়সে কি আর বদনাম হবেন ,ভেবে নিশ্চিন্ত হয়ে। বলা ভালো অনেক মানুষ সমাজের এই কটূক্তির ভয়ে, নিজের নাম , পরিচয় , ছবি গোপন করে সামাজিক মাধ্যমে নিজের রচনা পোস্ট করেন , তার নিজের জন্য এটা খুব অপমানের ও লজ্জার।

এসব ভেবে অনেকে লিখবো লিখবো ভাবেন কিন্তু কোনোদিন লিখে উঠতে পারেন না । বা লিখলেও নিজের ডাইরিটা বিছানার নীচে লুকিয়ে রাখে।

না আমি সমাজের উচ্চস্তরের মানুষদের কথা বলছি না। উচ্চশ্রেণীর মানুষ এর হাতের নাগালে সব রকম স্বাধীনতাই সহজলভ্য চিরকালই । এই সমস্যা গুলো হয় সাধারণ মানুষদের।

ছেলেরা লেখা শুরু করলে তার কেরিয়ার নষ্ট হয়ে গেলো বলে রব উঠিয়ে দেয় আশেপাশের লোকজন। মেয়েরা লিখলে আর বিয়ে না বলে ছিচিৎকার শুরু করে দেয়। যে যা লেখে সেটা তার নিজের জীবনে ঘটেছে বলে প্রতিবেশীরা , বন্ধুরা নিজেরাই সেটা নিয়ে নতুন উপন্যাস তৈরি করে ফেলেন ।এদের মধ্যে অনেকেরই প্রথাগত শিক্ষা যথেষ্ট আছে।

প্রতিটা লেখককে যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে তুমি কি করো ? তখন সে মাথা নিচু করে বলে , আমি লেখক। তারপর সামনের মানুষটি বলবে ওসব লেখালেখি বাদ দাও তুমি বাস্তবে কি করো ? এটা বন্ধ হওয়া খুব দরকার। এরকম আর কয়েক বছর চললে লেখকরা চিরতরে বিলুপ্ত হবে। একজন শিল্পী যেমন লেখা পাঠ করে বা গান করে সম্মান পান তেমনই সেই গান , কবিতা টা যিনি হৃদয় উজাড় করে রচনা করেছেন সম্মানটা তার ও প্রাপ্য। লেখক বা কবির ও সাধারণ পরিচয় হতে পারে তার রচনার মাধ্যমে।

আমাদের সমাজে বেশির ভাগ লেখক, কবি বা লেখক হয়ে ওঠার আগেই লেখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পরিস্থিতির চাপে। আর লিখে উপার্জন করার কথা , সেটা এখনও আমাদের দেশে স্বপ্নেরও বাইরে । যুগ যুগ ধরে এমন টাই চলে আসছে। তাও কবি লেখক রা কখনো লেখা বন্ধ করেনি। যারা সাহিত্য রচনা করেন ভালোবেসে করেন । কোনো কালেই তারা উপযুক্ত সম্মান পান না জেনেও। বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশক পাওয়া তো ভগবানকে পাওয়ায় থেকে কিছু কম না।

অনেকে আবার বলেন কি হবে লেখা লেখি করে? জগতে কি বইয়ের অভাব? এটা ভেবে যদি সেই সময়ের মানুষরা কিছু বই না লিখতেন আমরা অতীত সম্পর্কে জানতাম কি করে ?

আজ যেটা তৎকালীন সাহিত্য কাল সেটাই ইতিহাস হয়ে যাবে। সেখান থেকেই আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে আমাদের জীবন যাত্রা সম্পর্কে।

অনেকে আবার বলেন বিজ্ঞানের যুগে ইতিহাস পড়ার কি দরকার? সাহিত্য পড়ার কি দরকার ! সাহিত্য চর্চা ব্যাকডেটেড। আচ্ছা এটা ভেবে যদি বিজ্ঞানীরা তাদের থিওরী না লিখতেন তাহলে বিজ্ঞান টা পেতেন কোথায় ? এর পরও কিছু মানুষ বলবে লেখা লিখি অপ্রয়োজনীয়। লেখকরা মাথা মোটা , পিছিয়ে পড়া লোকজন।

এই কথা গুলো যে শুধু ভুল তা নয়। প্রবল সামাজিক অবক্ষয়ের দৃষ্টান্ত।

২০২৫ সালে টেকনোলজির প্রবল উন্নতির শিখরে অবস্থান করার যুগে এই সামাজিক অবক্ষয় মনুষ্যত্বের নিম্নগামিতার সাক্ষ্য বহন করে।

এই ভুল ধারণা গুলো ওই মানুষগুলোর মনে একদিনে তৈরি হয় নি। সঠিক ভাবে তারা ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা করার কারণ আর গুরুত্ব সম্পর্কে জানে না। তাই এই ভুল ধারণা পোষণ করে। এর জন্য তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গাফিলতি দায়ী।

আধুনিক যুগে অধিকাংশ মানুষই ভুলে গেছে সাহিত্য রচনা শুধু সাহিত্য রচনার জন্য না, সাহিত্যে ফুটে ওঠে মানুষের জীবনধারার সবচেয়ে নিখুঁত বর্ণনা নির্ভুল তথ্য যা একজন পেশাদার ঐতিহাসিক এর পক্ষে ফুটিয়ে সম্ভব নয়।কারণ পেশাদার ঐতিহাসিক দের কাজে অনেক রকম প্রতিবন্ধকতা থাকে। ইচ্ছা থাকলেও তারা অনেক তথ্য প্রদান করতে পারেন না।

ইতিহাসের রচনার উপাদান গুলো একজন ঐতিহাসিক সবচেয়ে বেশি তৎকালীন সাহিত্য থেকে পেয়ে থাকেন বেশির ভাগই। তৎকালীন সাহিত্য ছাড়া ইতিহাস রচনার কাজ করা সম্ভব না। আমরা যদি তৎকালীন সাহিত্য চর্চা বন্ধ করে দেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাস রচনার উপাদান কোথায় পাবে ? অতীত ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে আমাদের সবারই কম বেশি এই অভিজ্ঞতা হয়েছে।

সাহিত্য স্বাধীন , সেখানে কোনো দেশ- কাল- সীমানার গণ্ডি নেই। তৎকালীন ইতিহাস এর অনেক গুরত্বপূর্ণ তথ্য ইতিপূর্বে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা তৎকালীন সাহিত্য থেকে জানতে পেরেছি যা আমাদের ইতিহাস প্রদান করতে পারে নি বিভিন্ন সংগত কারনে। তাই আমাদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি কিছু দায়িত্ব থেকেই যায় , সাহিত্য কে বাঁচিয়ে রাখার।যাতে তৎকালীন সাহিত্য স্বাধীন ভাবে ইতিহাস রচনার উপাদান রেখে যেতে সক্ষম হয়।

আজকাল আবার শুরু হয়েছে বড়লোকদের নিজেকে কবি সাহিত্যিক হিসাবে আখ্যায়িত করার এক ধারাবাহিক নাটক। যে নাটকে অভিনয় করতে গেলে টাকা খরচ করে সম্মাননা পত্র কিনতে হয়। সেই সম্মাননা পত্র কে প্রদান করে? একদল বড়লোক মানুষ ( টাকাওয়ালা )।সেই সম্মাননা পত্র কিনে লাভ কি ? ড্রয়িং রুম সাজাতে কাজে লাগে। নিজেকে কবি সাহিত্যিক হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়। তাঁরা কি লেখেন ? কেউ কেউ যা খুশি তাই লে কেউ লেখা চুরি করেন।

৯০ এর দশকে শুনেছিলাম বড়োলোকের গরীবের কাছ থেকে খুব কম দামে লেখা কিনতেন এখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের কল্যাণে সেই ঝক্কি পোহাতে হয় না। খুঁজে খুঁজে পছন্দ মত বেনামী কোনো লেখকের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়।

আজকাল আবার লিখতে গিয়ে আরেক নতুন সমস্যা। কিছু লিখলেই পাবলিক ধেয়ে আসবে এটা দাবি করতে যে ব্যক্তির লেখা সেই ঘটনা তার নিজের সাথেই ঘটেছে। মানুষ আমার আমার করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে আমার বাদ দিয়েও যে কিছু ভাবা যায় , লেখা যায় , করা যায় সেটা ওটা ভাবনাতেই আনতে পারছে না। স্বার্থপরতার সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে বর্তমান সমাজ।

সচেতন নাগরিক হিসাবে সবারই উচিৎ লেখক, কবিদের প্রতি এই বস্তাপচা , নিচু দৃষ্টিভঙ্গি গুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করা।গরীব ঘরের মানুষ ,যারা লেখেন তাদের সুস্থ স্বাভাবিক আচরণ করা। শুধু বড়োলোকের ঘরে লেখক জন্মে এই ধারণা বদল হওয়া উচিৎ। এমনি স্বাধীন লেখক বিলুপ্ত প্রায়।সত্যি যেদিন লেখকরা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হবে সেদিন সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যাবে।

স্রোতস্বিনী রায়

21/09/2025

আমার নিদ্রাহীন
তন্দ্রাছন্ন রাতের পরে আসে
রোদ ঝলমলে সকাল
তোমার সুখনিদ্রা ভঙ্গের পরও আসে
রোদ ঝলমলে সকাল।

রাত্রিযাপন যেমনই হোক
বদলাবে না কখনো সূর্যোদয়ের কাল
দিন বদলের আন্দোলনে
সকলে সামিল প্রকৃতি অবিচল।

স্রোতস্বিনী রায়

সমগ্র চরাচর যখন রাতের কালো চাদর মুড়ি দিয়ে নিস্তব্ধে ঘুমায় , জেগে থাকে একাকিনী চাঁদ। অনন্ত আকাশে নেই তার কোনো দোসর , আ...
20/09/2025

সমগ্র চরাচর যখন রাতের কালো চাদর মুড়ি দিয়ে নিস্তব্ধে ঘুমায় , জেগে থাকে একাকিনী চাঁদ।
অনন্ত আকাশে নেই তার কোনো দোসর , আকাশময় ঘুরে বেড়ানোই যেনো তার স্বাদ আহ্লাদ।

_স্রোতস্বিনী রায়

17/09/2025

#দেবতার_জাত_কূল_মান

বেশ কয়েক বছর ধরেই একটা গভীর থেকে গভীরতর আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেব দেবীর জাত কূল মান নির্ণয়ের ব্যাপারটি। যুগ যুগ ধরে মানুষ নিজেদের মধ্যে জাত কূল মান নির্ণয়ের লড়াই করেও ক্লান্ত হয় নি। এখন দেবতাদের জাত কূল মান নির্ধারণের চুলচেরা বিশ্লেষণের মহাকার্য শুরু করেছে।

মানলাম হিন্দু ধর্মের দেব দেবীর সংখ্যা অনেক। ৩৩ কোটি দেবতা আমাদের। সবাই সমান সম্মান পেতো। পূজা পেতো। তবে এখন অনেক দেব দেবীর পূজার প্রচলন কমে গেছে। তবে সেই কারণে তো আর দেব দেবীর পরিচয় বদলে যেতে পারে না। এমনকি অন্য ধর্মের দেব দেবীদেরও হিন্দুরা অনেকেই পূজা করে কোনো রকম বিভাজন না করে। তাহলে নতুন করে তাদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করতে হবে কেনো ?

যেখানে দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ। অধিকাংশ জনগন ও এখন অন্ধকার কাটিয়ে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে। সব উৎসবে সবাই অংশগ্রহণ করে, আনন্দ করে।

প্রাচীন কাল থেকে অনেক বহিরাগত ভারতবর্ষে এসেছে , বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জাতি ভেদ দূরে সরে গিয়ে সব ধর্মের শিল্প সংস্কৃতি মিলে একাকার হয়ে গেছে।

অথচ আজ আধুনিক প্রযুক্তির শীর্ষ উন্নতির যুগে এই হিন্দু ধর্মের দেব দেবীর জাত কূল মান নির্ধারণের চুলচেরা বিশ্লেষন গুলো দেখলে মনে হচ্ছে আবার মধ্যযুগ ফিরে এসেছে।

তবে মধ্যযুগে প্রাচীন কালে হিন্দু ধর্মে মানুষের মধ্যে বর্নাশ্রমের বিভাজন থাকলেও দেব দেবীর ক্ষেত্রে বিভাজন কিঞ্চিৎ কদাচিৎ শোনা যেত। তবে এখন তো দেখছি বিভাজনের তালিকা নির্ধারণে কোনো বিষয় আর বাকি নেই।

দেব দেবীর বিভিন্ন তালিকা বিভাজন তালিকা চোখে পড়ছে আজকাল যেমন:

মা দুর্গা - একদম বাঙালি

কালরাত্রি - অবাঙালি
ব্রহ্মচারিণী - অবাঙালি
চন্দ্রঘন্টা - অবাঙালি

কুষ্মান্ডা - অবাঙালি
স্কন্ধমাতা - অবাঙালি
কাত্যায়নী - বাঙালি।

কালরাত্রি - অবাঙালি
মহাগৌরী - অবাঙালি
সিদ্ধিদাত্রী - অবাঙালি

বাবা অবাঙালি, বর অবাঙালি, কিন্তু মাঝখান দিয়ে নিজে সুবিধেমত বাঙালি হয়ে গেল।

শিব-

পাগলা ভোলা, ভোলেনাথ এসব হলে বাঙালি৷

মহাদেব সিক্স প্যাক বডি হলে অবাঙালি৷

কৈলাশে থেকে বাংলা কিভাবে শিখল কে জানে? ওরা তো জানতাম সংস্কৃতে কথা বলে।

লক্ষ্মী

কোজাগরী হয়ে দুহাত নিয়ে পেঁচার কাধে বসে থাকলে বাঙালি

পদ্মের ওপরে চারহাতে বসে থাকলে অবাঙালি।

সরস্বতী-

হাস নিয়ে দুহাতে বীনা বাজালে বাঙালি

পদ্মে বসে চারহাতে বীনা বাজালে অবাঙালি৷
গণেশ

বিশুদ্ধ মানের অবাঙালি। শুধু পহেলা বৈশাখে দুহাতে প্যাঁচা নিয়ে বসে থাকা লক্ষ্মীর সাথে থাকলে তবেই বাঙালি।

কার্তিক

কার্তিক পূজোয় বাঙালি৷

কার্তিকেয় পূজায় অবাঙালি।

বিষ্ণু

নারায়ণ, হরি হলে বাঙালি

শুধু বিষ্ণু হলে অবাঙালি।

শনি দেব

বড় ঠাকুর, গ্রহরাজ হলে বাঙালি।

শনি দেব হলে অবাঙালি।

মা মনসা

লাল শাড়ি, সর্পীলা মস্তক হলে বাঙালি

কালো শাড়ি পরিহিতা হলে অবাঙালি।

বিপত্তারিনী - চূড়ান্ত বাঙালি

মা একাদশী - একাদশী বাঙালিরাই বেশি করে, কিন্তু মা একাদশী পুরো অবাঙালি।

মা চন্ডী - সাদা হলে বাঙালি, কালো বা লাল হলে অবাঙালি

মা কামাখ্যা - পুরো অসমীয়া।

কৃষ্ণ ও রাধা - এরা মথুরায় জন্মানো বাংলা না জানা বাঙালি।

সূর্য - ছটপূজোয় অবাঙালি, সূর্যপূজোয় বাঙালি।

মা গঙ্গা - জৈষ্ঠ্য বা আষাঢ় মাস ছাড়া সারাবছর অবাঙালি।

কাম দেব - শুদ্ধ অবাঙালি।

ইন্দ্র - এ হতভাগা বিশুদ্ধ অবাঙালি।

বৃহস্পতি - বিশুদ্ধ অবাঙালি।

চামুন্ডা কালী - অবাঙালি।

মা ধূমাবতী - অবাঙালি।

মা মহালক্ষ্মী - অবাঙালি।

মা মহাসরস্বতী - অবাঙালি।

মা ভবতারিনী - বাঙালি।

মা ভবানী - অবাঙালি।

দক্ষিণা কালি - বাঙালি।

রক্ষা কালী - বাঙালি।

রাম - সীতা -লক্ষ্মণ অবাঙালি। কিন্তু শারদীয়া পূজোর উদ্যোক্তা রাম নিজেই।

বজরঙ্গীবলি - অবাঙালি৷

পবন দেব - অবাঙালি।

বিশ্বকর্মার গোঁফ কালো থাকলে বাঙালি, পেকে গেলে অবাঙালি।

ব্রহ্মা - এ পুরোটাই অবাঙালি।

ত্রিনাথ - বাঙালি ছিলো, কিন্তু পূজো না হতে হতে অবাঙালি হয়ে গেছে।

মা ষষ্ঠী - গ্রাম বাংলায় বাঙালি, শহরে অবাঙালি।

মা সপ্তমী - ইনিও বাঙালি ছিলেন, কালস্রোতে ভেসে রাজস্থানে চলে গেছেন। এখন অবাঙালি।

মা অষ্টমী - সত্তরের দশক অব্দি বাঙালি ছিলেন। তারপর ইনি ভেসে তামিলনাড়ু চলে গেছে। এখন অবাঙালি।

মা মহানবমী - এর তো আর কোনো অস্তিত্বই নেই বাংলায়। ইনি এখন গুজরাটে চলে গেছেন। তাই অবাঙালি।

মা দশমী - ইনি এখন বাংলা ছাড়া সব জায়গায় আছেন। কিন্তু খাকড়া ফাপড়া বেশি খাচ্ছেন। আগে বাঙালি ছিলেন।

গায়ত্রী - অবাঙালি।

মা অন্নপূর্ণা - বাঙালি।

যামী, যমুনা - অবাঙালি।

স্বহা - অবাঙালি।

দক্ষিণা - অবাঙালি।

যজ্ঞ - অবাঙালি।

নিচের গুলো শিবের মধ্যে যাবে

অর্ধনারীশ্বর - অবাঙালি।

পশুপাতি - অবাঙালি

জলন্ধর - অবাঙালি।

নটরজ - অবাঙালি।

বিরুপক্ষ - অবাঙালি।

ভেঙ্কটেশ্বর ইনি নারায়ণের রূপ। কিন্তু অবাঙালি।

মোহিনী - ইনিও অবাঙালি৷

আয়াপ্পন - এ তো আস্ত অবাঙালি, তার ওপর আবার সাউথ ইন্ডিয়ান।
শেষ নাগ - অবাঙালি।
দক্ষ, পুষান, আর্যমান, ভগ, অংশ, বরুণ, মিত্র, ধৎ, ত্বসর, বিবস্বত, অগ্নি, পৃথিবী, সোমা, সমুদ্র - সব অবাঙালি।

নসাত্যা, দশরা - অশ্বিনী কুমার ভ্রাতৃদ্বয়, হোলসেল অবাঙালি।

আবার কেউ বলছে মধ্যবিত্তরা অক্ষয় তৃতীয়াতে গণেশ পূজা করে। বড়োলোকেরা গণেশ চতুর্থী করে। গরীব মানুষরা ১ লা বৈশাখ করে।

আবার কেউ বলছেন বাঙালিরা উচ্চবিত্ত হলে অবাঙালিদের মতো পূজা পাঠ করে। মধ্যবিত্ত আর গরীব হলে বাঙালিদের মতো পূজা পাঠ করে।

এরকম আরো অনেক দেব দেবীর মধ্যে বিভিন্ন রকমের বিভাজন এর তালিকা দেখতে পেলাম বিভিন্ন জায়গায়।

এছাড়াও একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি হলো পূজার প্রসাদ। আমরা অনেক সময়ই আমাদের আশেপাশে প্রায়ই দেখি কোন বাড়িতে পূজোর প্রসাদ কি হবে সেটাই নির্ধারণ করে বাড়ির গৃহকর্তার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পরিচয়। গৃহিণীর কর্ম নিপুণতা এবং রন্ধন নিপুণতার মাত্রা নির্ধারণ করে।

এই অলিখিত নিয়ম মানতে গিয়ে অনেকেই নিজেদের সাধ্যের বাইরে গিয়ে পূজা পাঠ করে থাকেন। উপবাস করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

অনেকে আবার নিজেদের সুবিধা মতো পূজার সময় সূচি পরিবর্তন করেন বা কোন দেবতার পূজা হবে কখন হবে তা নির্ধারণ করেন।

এই সমস্ত কিছু তো ছিলোই এর পর আবার যদি দেবতাদের জাত কূল মান নির্ধারণের খেলা শুরু হয় আরও যে কতো নতুন বিপর্যয় শুরু হবে তার কোনো হিসাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এই প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন মাথায় এলো, এই বিভাজন করে কারা ?
মহাদেব নিশ্চয় ফোন বা ভিডিও কল করে আদেশ করেন নি ওনার ভুঁড়ি ওয়ালা বা সিক্স প্যাক বডি চাই। বা কোনো দেবতাই এই তালিকা নির্ধারণ করেননি। কোনো ধর্মগ্রন্থ এই বিভাজন তালিকা নেই। তাই দেবতাদের জাত কূল মান নির্ধারণের বিভাজন তালিকা তৈরি অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।

✍️ স্রোতস্বিনী রায়

14/09/2025

তোমাকে না বলা কথাগুলোর মতোই আমিও আজ এলোমেলো অগোছালো স্বস্তির খোঁজে বিচলিত!

_স্রোতস্বিনী রায়

13/09/2025

যখন মানুষ আমাদের তার ইচ্ছেমতো চালনা করতে পারে তখন আমরা হই মিশুকে আর না পারলে অহংকারী।

যখন মানুষ আমাদের প্রয়োজনমতো কাজে লাগাতে পারে তখন আমরা হই তার অনুগত না পারলে অকর্মণ্য।

অনুরূপভাবে যে টাকা ধার দেয় না সে কিপটে , যে ধারের টাকা ফেরত চায় সে অমানুষ। যে নিজের সম্পত্তি আগলে রাখে সে পিশাচ। যে নিজের মর্জিমত চলে সে হিংসুটে। যে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে দায়িত্বজ্ঞানহীন।

এইভাবেই সমাজ প্রতিটা মানুষের পিছনে নিজের ইচ্ছেমত বিশেষণ যোগ করে দেয়। তাই কাউকে চিনতে বা জানতে হলে নিজে কথা বলুন তার সম্পর্কে কি রটনা আছে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন না।

কারণ মানুষ তাকেই ভালো বলে ঘোষণা করে যার কাছে থেকে সে নিজে সুবিধা পায় , ব্যক্তি হিসেবে সে ভালো নাও হতে পারে। আবার সমাজের কাছে খারাপ তকমা লাগানো ব্যক্তিও ভালো হলেও হতে পারেন।

স্রোতস্বিনী রায়

12/09/2025

কৃষ্ণচূড়ার পাতা খসখস
রাধাচূড়ার দুলুনি
বলবো আজ সেই কথা
যাকোনো দিন বলা হয় নি।

সরছে আলো
হচ্ছে কালো
দিগন্ত নিঃশ্চুপ
থাক না ঠোঁট আজ চুপ
পরস্পরের মনে দিয়ে ডুব।

হোক পথ চলা অল্প
হোক অবিরাম গল্প।

পায়ের তলায় লাল ফুলেরা
দিচ্ছে গড়াগড়ি
আকাশের লাল
হচ্ছে কালো
পাখিদের হুড়োহুড়ি।

কলমে
স্রোতস্বিনী রায়

11/09/2025

তুমি পাশে থাকলে
স্নিগ্ধ হতো সকাল
রঙিন হতো শান্ত বিকেল
তুমি পাশে থাকলে
ক্লান্ত দুপুর হতো আবেশময়
নির্ঘুম রাত কাটতোনা
ভোরের অপেক্ষায়।

কলমে
স্রোতস্বিনী রায়

11/09/2025

আমার নিদ্রাহীন তন্দ্রাছন্ন
রাতের পরে আসে
রোদ ঝলমলে সকাল
তোমার সুখনিদ্রা ভঙ্গের পরও আসে
রোদ ঝলমলে সকাল।

রাত্রিযাপন যেমনই হোক
বদলাবে না কখনো
সূর্যোদয়ের কাল
দিন বদলের আন্দোলনে
সকলে সামিল
কেবল প্রকৃতি অবিচল।

_স্রোতস্বিনী রায়

10/09/2025

#উপহার

তোমার জন্য কিছু উপহার আছে
জানি তুমি ফিরিয়ে দেবে
তবুও দিলাম।

এমন কিছু দিলাম
যা একবার কেউ দিলে
আর তাকে ফেরৎ
দেওয়া যায় না।

তুমি হয়তো বলবে
কে চায়
তোমার উপহার?

আমি বলবো
আমি চাই
দিতে তোমায়
উজাড় করে
দুহাত ভরে
উপুড় করে
সর্বস্ব আমার
দিলাম তোমায় উপহার।

তুমি ফিরিয়ে দিলেও
আমি ফেরত নেব না।

তাই তো বলি
দিয়ো না ফিরিয়ে
এমন উপহার
দ্বিতীয়বার পাবে না।

এত প্রেম
তবু প্রেমহীনতা
তোমায় ছেড়ে যাবে না।

তুমি আমাকে ছেড়ে গেলেও
আমার ভালোবাসা
তোমাকে ছেড়ে যাবে না।

তুমি আমাকে
ছেড়ে গেলেও
আমার প্রতি মুহূর্তের
অপেক্ষার প্রহর
গোনার আক্ষেপ
তোমাকে ছেড়ে যাবে না।

তুমি আমাকে
ভুলে গেলেও
বিরহ কাতর
হৃদয়ের ব্যাকুল
আহ্বানের নিস্ফল ব্যার্থতা
তোমাকে কখনো ভুলবে না।

তুমি চলে গেলেও
সকল রাগ অনুরাগের হিসাব
মনের ঘরে পড়ে থাকা
প্রেমের আসবাব
তোমাকে ছাড়বে না।

তুমি আমাকে ত্যাগ করলেও
আমার প্রতিটা দীর্ঘ নিশ্বাসের আফসোস
তোমাকে ত্যাগ করবে না।

রাগ অনুরাগ
সে সব অতীত
আজ স্বপ্ন দেখা যাবে না।

তুমি আমাকে ছেড়ে গেলেও
আমার অলীক স্বপ্ন
তোমায় ছেড়ে যাবে না।

মান অভিমান
অনেক জমা
নতুন করে আর
জমতে দেওয়া যাবে না।

এই সকল উপহার
তুমি চাইলেও
ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

_স্রোতস্বিনী রায়

Address

Kalyani

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Golper Saji posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share