Golper Saji

Golper Saji Welcome to Golper Saji.

26/08/2025

#প্রেম

বলতে পারো ভালোবাসা কি ?
বলতে পারো প্রেমের মানে ?

কেনো মন হয় পাগলপারা প্রেমের টানে?
কেনো হৃদয় হয় ছন্নছাড়া ভালোবাসার গানে ?

কেনো মেঘ জমে মনের কোণে?
কেনো বৃষ্টি নামে চোখের কোণে?

অশ্রুভেজা চোখের পলকের।
অপেক্ষা তার এক ঝলকের।

কবে হবে অপেক্ষার অবসান ?
কবে মিটবে অভিমানের ব্যাবধান ?

ভালোবাসা, সব কিছু শেষ হয়ে যাবার পরও আশায় বুক বাঁধে।
বিচ্ছেদের পরও
প্রেম অবহেলায় কাঁদে।

প্রেম হলো একটুকরো ঘাসের ডগায় একটি ছোট্ট শিশির বিন্দু।
সেই শিশির বিন্দুটির ওপর একফালি সূর্যের আলো পড়লে ঝলমল করে ওঠে ভালোবাসা।

কলমে
স্রোতস্বিনী রায়

25/08/2025

একটা সময়ের পর নিঃসঙ্গতাই সবচেয়ে কাছের সঙ্গী হয়ে ওঠে , এই বিশ্বাস নিয়ে যে আর একা হয়ে যাবার ভয় নেই।

স্রোতস্বিনী রায়

24/08/2025

#যদি_তুমি_আমার_হতে

তুমুল ঝড়বৃষ্টির রাতে যখন মেঘের তীব্র গর্জনে হটাৎ ঘুম ভেঙে যায়, দুহাতে কান চাপা দিয়ে তখন আমি বালিশ আকড়ে শক্ত কাঠ হয়ে শুয়ে থাকি। অজানা ভয়ে আমার বুকটা কেঁপে ওঠে, জানালা ভেদ করে বিদ্যুতের ঝলকানি এসে ঘরের অন্ধকারে আলোর রেখা এঁকে দিয়ে উধাও হয়ে যায় চোখের পলকে। তখন মনে হয়, যদি তুমি থাকতে আমার পাশে , তোমার বুকে মুখ গুঁজে আশ্রয় খুঁজে নিতাম তোমার বাহুবন্ধনে।

স্রোতস্বিনী রায়

23/08/2025

#মেয়েছেলে

একটা অল্পবয়সী মেয়ে বা একজন গৃহবধূ বা একজন বয়স্ক মহিলা যখন বাড়ির মধ্যে থাকে তখন তাদের পরিচয় হয় তারা কারো মেয়ে, কারো মা, কাকিমা, কারো বোন, কারো স্ত্রী , কারো দিদা ঠাকুমা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখনই সে বাইরে বের হয় , তখন এই ডাক গুলো বা এই শব্দ গুলো কোথায় হারিয়ে যায়। তখন আমরা নিজের একটা অদ্ভুত নামে পরিচয় পাই, সেটা হলো মেয়েছেলে।

কিন্তু কেনো? নারী জাতি মহিলা বা অন্য কোনো সম্বোধন না কেনো ? মেয়েছেলে কেনো ?

কোনো পুরুষ কে কি কেউ ছেলেমেয়ে বলে ? কখনোই না। তাহলে আমরা কেনো মেয়েছেলে কথাটা শুনবো?

অভিধান এ মেয়েছেলে কথাটার কোনো নির্দিষ্ট মানে খুঁজে পেলাম না। নারীর সমার্থক শব্দ কোথাও মেয়েছেলে লেখা নেই।

বাসে, ট্রেনে ,দোকানে, বাজারে, অটোতে, টোটোতে , শহরে, গ্রামে , অফিসে, পাড়াতে যেখানেই যাবেন , মেয়েছেলে কথাটা শুনতেই হয়। একজন মহিলাকে মোটামুটি তার কৈশোর থেকে শুরু করে সারা জীবন এই মেয়েছেলে শব্দটি নিজের সম্পর্কে শুনতে হয়। তার চেয়ে বেশী দুঃখ জনক যে শুধু ছেলেরা না মেয়েরাও একে অপরকে মেয়েছেলে বলে ডাকে।

বিশেষ করে কারো বাড়িতে যখন কোনো মহিলা পোয়াতি হয় তখন মেয়েছেলে ডাক্তার কথাটা বার বার উচ্চারিত হয়। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে একজন মহিলার কাছে।

গর্ভের কন্যা ভ্রূণকে নষ্ট করার জন্য যখন কোনো মেয়ের পরিবারের লোক বলে একটা মেয়েছেলে ডাক্তার হলে ভালো হতো , সেটা তো মানবজাতির শ্রেষ্ঠ লজ্জা।

বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য কোনো মহিলা টিচার বাড়িতে এলে তাকে দেমাগী মেয়েছেলে ডাকা হয় আড়ালে। কিন্তু বাড়ির কাজের মাসীকে ঝগড়ুটে মেয়েছেলে বলা যায় সরাসরি।

নারীর সামাজিক অবস্থান যাইহোক না কেনো মেয়েছেলে কথাটা থেকে কারো রেহাই নেই।

বেশীর ভাগ পুরুষদের কাছে নিজের বাড়ির মহিলারা বাদে সবাই মেয়েছেলে। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে মেয়েছেলে কথাটা। যে কোনো মহিলাকে প্রকাশ্যে মেয়েছেলে বলা যেতে পারে।

সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থা যেমন ই হোক না কেনো , সব নারীর পরিচয় তারা নারী , মেয়ে, মহিলা, মেয়েছেলে না।

সমাজে একজন অচেনা পুরুষকে ভদ্রলোক বলা হয় বেশির ভাগ সময়, খুব সহজেই। অথচ একজন মহিলাকে অনায়াসে ই মেয়েছেলে বলা হয়। দু এক সময় খুব কষ্ট করে , অফিস ডেকোরামের কারণে, লোকলজ্জার ভয়ে বাঁধো বাঁধো গলায় ভদ্রমহিলা কথাটা উচ্চারণ করা হয়। তাও সবাই না, সমাজে যাদের একটু উচ্চ অবস্থান আছে তারা জনসমক্ষে মেয়েছেলে বলে না দু এক সময়। তবে মহিলা কথাটা আর খুব একটা শোনা যায় না। মেয়েছেলে কথাটাই যেনো বলার নিয়ম।

আর হবে নাই বা কেনো। কেউ আপত্তি করে না খুব একটা। পুরুষদের তো আপত্তি থাকার কথা না মেয়েরা যদি নিজেদের মেয়েছেলে নামে মেনে নেয়, কোনো আপত্তি না করে।

মেয়েছেলে ডাকলে শুনতে খারাপ লাগছে এটা যেদিন সমগ্র নারীজাতির উপলদ্ধি করবে , আপত্তি তো সেদিনই করবে, এর আগে তো না।

সামান্য মোটা বললে রাগ হয়ে যায় মেয়েরা , সাজগোজ করার পর সুন্দর লাগছে না বললে তেরে মারতে যায়, অথচ মেয়েছেলে বললে কোনো কিছু যায় আসেনা।

কোনো ছেলে যদি মেয়েদেরকে সন্মান দিয়ে মেয়েছেলে না বলে ম্যাডাম বলে ,অনেক সময় বাকিরা তাকে নিয়ে খিল্লি করে।

অন্যের বোনকে যদি কেউ বোন বলে ডাকে আসে পাশের বাকি লোকেরা বারবার যাচাই করতে আসে নিজের বোন তো না , তাহলে কেনো বোন বলে ডাকলো ?

কলমে
স্রোতস্বিনী রায়

22/08/2025

#শ্বশুরবাড়িতে_প্রথম_দিন

একটি মেয়ের প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা বেশি পরিমাণ গয়না, এক গাড়ি ভর্তি আসবাবপত্র নিয়ে দুরুদুরু বুকে একটি মেয়ে তার নতুন শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করে।

বাড়ির চৌকাঠ পেরোতে না পেরোতেই শুরু হয়ে যায় তথাকথিত রীতিনীতির নামে হেনস্থা।

এরপর নব বিবাহিত বউটি তটস্থ হয়ে থাকে, তত্ত্বগুলো যদি এনাদের পছন্দ না হয়, বাবার বাড়ির লোক তো তাকেই দোষারোপ করবে।

বাবার দেওয়া ফার্নিচার গুলোর নিন্দা শুনতে কোনো মেয়েরই ভালো লাগে না।

মায়ের অনেক শখ করে গড়িয়ে দেওয়া গয়নার ওজন নিয়ে অচেনা মানুষজনের হাসাহাসি শুনতে কোনো মেয়েরই ভালো লাগে না।

প্রথমদিন শ্বশুরবাড়িতে এসে সুন্দরী মেয়েটি হটাৎ জানতে পারে তার খুব দেমাক। রূপটা ছাড়া তার আর কিছুই নেই।

প্রথম দিন শ্বশুরবাড়িতে পা দিয়ে সাধারণ দেখতে মেয়েটি হটাৎ জানতে পারে সে অতি কুৎসিত।

আর যদি কোনো মেয়ের চেহারা সত্যিই একটু খারাপ হয় বা কালো হয়,তাহলে তো কথাই নেই, তাকে ডিপ্রেসন পাঠানোর সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তার বিয়ে করার কোনো অধিকার নেই, তবুও ওনারা দয়া করে বিয়েটা দিলেন।

সাধারণত এখনও এভাবেই শুরু হয় একটা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন।

কলমে : স্রোতস্বিনী রায়

21/08/2025

#পণপ্রথা_এখনও_অবলুপ্ত_না_হওয়ায়_জন্য_মেয়েরাই_অনেকাংশে_দায়ী

এখনও ভারতবর্ষে এমন অনেক পরিবার আছে যাদের পারিবারিক আয় বছরে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। অনেকই হাসবেন বা বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু এটাও অর্থনীতির একটা অন্ধকার দিক ছদ্ম বেকারত্ব । সেসব পরিবারের কাছে মেয়ের বিয়ে আর ঠিক মেয়ের বিয়ে না অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রথমত তারা গরীব বলে কোনো ভালো পরিবারের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরী করার সুযোগ পায় না।আবার পণ দিতে পারবেনা বলে কোনো মেয়ের জন্য কোনো সাধারণ পরিবারের ভালো পাত্র ও পায় না। যাও বা অনেক কষ্ট করে একটা যেমন তেমন পাত্র জোগাড় করে। সেখানেও কি ঝক্কি কম!

কারণ সোনার গয়না ছাড়া বিয়ে হয় না। খুব কম গয়না হলেও দিতে হয়।আর পণ না দিলেও প্রণামি তো দিতে হয়। তত্ত্ব তো দিতে হয়। দান সামগ্রীর বাসনপত্র তো দিতে হয়। এই গুলি নাকি বিয়ের নিয়ম। তারপর লোকজন খাওয়ানোর ব্যাপার তো কম বেশি থেকেই যায়। কিছু না হলেও খুব কম করে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা।

যেসব পরিবারের রোজগার বছরের পর বছর ধরে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সীমিত থাকে। তাদের পক্ষে এই টাকার পরিমাণটাই আকাশ ছোঁয়া।

উচ্চবিত্তরা এগুলো শুনে হাসবেন। মধ্যবিত্তরা সারা জীবন চেষ্টা করে ঠিক মেয়ের বিয়ের আগে জোগাড় করে ফেলেন এসব বলা ভালো এর আরও অনেকটাই বেশি পরিমাণ জিনিসপত্র ও টাকা।

তারপর ও অনেকে বলে থাকেন বিনা পয়সায় বিয়ে অনেক হচ্ছে। মাত্র ৪/৫ লাখ টাকার ব্যাপার। তেমন কিছু না। একবারে না পারলে প্রতি বছর একটু একটু করে দেবে।

এই ব্যাপারটা হয়ে ওঠে আরও দুর্বিষহ। মেয়ের বিয়ের ধারদেনা, লোন থেকে বেরোনোর জন্য রাস্তা নেই যেনো। তারপর তো সারা জীবন উৎসব অনুষ্ঠানে কম বেশি তত্ত্ব মেয়ের শশুর বাড়িতে পাঠাতে হয় , নাহলে তো আবার মেয়ের মান থাকে না। লৌকিকতা কি না! তাই সাধ্য অনুযায়ী দিলে হবে না। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বেশি কিছু দিতেই হবে।

বিয়ে মানে যেনো একটা বিশাল খরচ খরচা এটা যেনো বেদবাক্য হয়ে গেছে।বিয়ের সময় এই চার পাঁচ লাখ টাকা যে নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকেদের কাছে অনেক বড়ো বোঝা এই ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটি নিজেও বুঝতে পারে না।

বায়না করে বাবার সারা জীবনের রোজগার নিয়ে তো যায়। কিন্তু সেই পরিবারে বিয়ে করে কি সে সুখী হতে পারে? কখনোই না । কারণ ওদের চাহিদা দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। মেয়েটিও সাধ্যমত যোগান দিতে থাকে সারা জীবন ধরে। বাড়ির লোককেও বাধ্য করে শশুর বাড়ির বাড়তি চাহিদা মেটাতে।

অনেক মেয়েরাই নিজের পরিবারের সাধ্যের বাইরে গিয়ে গয়নাগাটি, পণের জিনিস পত্র কেনার জন্য বায়না করতে থাকে। মেয়ের বাড়ির লোকেরাও কম যায় না। সামর্থ্য নেই তবু পণ দিতে হবে। বেশি বেশি করে পণ দিলে ওনাদের যেনো ১৪ পুরুষ স্বর্গলাভ করবে।

উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা নিজের পারিবারিক রোজগার পর্যাপ্ত থাকার কারণে কোনো ভাবে সামাল দিয়ে দেয়। কিন্তু নিম্নবিত্ত বা গরীব পরিবারের মেয়েরা নির্যাতিত হতেই থাকে।

উচ্চবিত্ত,মধ্যবিত্ত , নিম্নবিত্ত কোনো পরিবারের মেয়েরাই বেশির ভাগ সময়ই ভেবে দেখে না বৈবাহিক সম্পর্ক টাকা দিয়ে হয় না। এটা ব্যাবসা না। দুটি মানুষের মনের মিল, দুটি পরিবারের মেলবন্ধন।
খুব কম মেয়েই বিবাহের এই সহজ ব্যাপার টাকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা গুলোকেই চিরন্তন নিয়ম বলে মেনে নেয়।

তাই কোনো ভাবেই পণ প্রথা বাতিল করা যাচ্ছে না। যেদিন মেয়েরা নিজে পণপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে সেদিন পণপ্রথা উচ্ছেদ হতে শুরু করবে। মেয়েরা নিজেরা বুঝবে এবং বাড়ির লোককে বোঝাবে পণপ্রথার কদর্যতা , তবেই তো পণ প্রথার বিরুদ্ধে প্রকৃত প্রতিবাদ শুরু হবে।

স্রোতস্বিনী রায়

21/08/2025

বুঝিনি তুমি ছিলে রঙিন ফানুস।
খুঁজেছি তোমাতে মনের মানুষ।

✍️ স্রোতস্বিনী রায়

19/08/2025

#নারীকে_অপমান_করতে_গিয়ে_নিজেরাই_পুরুষ_বিদ্বেষ_জমাচ্ছেন_নারীর_মনে

কিছুদিন আগে এক দম্পতির ছবি ভাইরাল হয়েছে, কারণটি হলো একটি সুস্থ স্বাভাবিক মেয়ে একজন বামন ছেলেকে বিয়ে করেছে। সুস্থ মেয়ে বামন ছেলেকে বিয়ে করেছে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে অতো বাড়াবাড়ি করার কোনো কারণ নেই।

কিন্তু তাও বার বার বলা হচ্ছে চেহারা কোনো বাধা হতে পারে না বিয়েতে, দুটো মানুষের ভালোবাসাই সব। ঠিক আছে খুব ভালো কথা।

অপরদিকে যখন কোনো মেয়ে নিজের থেকে একটু বেশি বয়সী কাউকে বিয়ে করে , আর সেই বরের যদি টাক আর ভুঁড়ি থাকে বা নাও থাকে , বা বর কালো, বউ ফর্সা সুন্দরী এমনটা যদি হয় , তাহলে তখন সেটা হয়ে যায় সরকারী চাকরির কামাল। টাকার লোভ। মেয়েরা সরকারি ওয়ালা কাকুর জন্য সব করতে পারে। এই সমস্ত কথা লিখে মেয়ের পুরো গুষ্টিকে গালাগালি করবে।

কেনো? বামন ছেলের প্রতি যদি মেয়েদের ভালোবাসা থাকতে পারে তাহলে সরকারি চাকরি করা কাকুর প্রতি ভালোবাসা কেনো থাকবে না ? যে চাকরি করে তাকে ভালোবাসা যায় না?

অসুন্দর ছেলের সাথে মেয়েদের ভালোবাসা হলে সেটা সত্যিকারের প্রেম , আর সুন্দর ছেলের সাথে ভালোবাসা হলে মেয়েটি ছেলেটিকে বশীকরণ করেছে ! কেনো সুন্দর ছেলেরা কি ভালোবাসতে জানে না ? মেয়েদের ছোটো করতে গিয়ে এটা প্রকার অন্তরে সুন্দর পুরুষদের চরিত্রহীন বলা হচ্ছে ? বা এটা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে যে পুরুষরা ভালোবাসতে পারে না ।

চাকরি করা মেয়ে কম রোজগার করা ছেলে বিয়ে করলে প্রকৃত ভালোবাসা । আর অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল ছেলেকে বিয়ে করলে মেয়েদের টাকার লোভ?

কেনো ? একজন পুরুষের অধিকার নেই স্ত্রীকে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা দেবার ? পুরুষ জাতি কি এত পিছিয়ে পড়েছে ? এখানেও নারীকে লোভী বলতে গিয়ে পুরুষদেরই ছোটো করা হলো ।

একটি মেয়ে শারীরিক , অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল ছেলেকে বিয়ে করলে সেটা ওর ভালোবাসা । আর প্রতিষ্ঠিত ছেলেকে বিয়ে করলে লোভী? সুন্দর ছেলেকে বিয়ে করলে তুকতাক জানে। বাহ্ সমাজ বাহ্।

এসব বেশি করে প্রচার করে ছেলেরা একটাই ধারণা মেয়েদের মনে তৈরি করছে সেটা হলো পুরুষ বিদ্বেষ।

এসব কথা ছেলেরা বারবার বললে মেয়েদের মনে ধারণা তৈরি হতেই পারে যে, পুরুষজাতির টাকা থাকলে সে সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করে । টাকা না থাকলে রোজগেরে মেয়েকে বিয়ে করে । অতএব পুরুষ মাত্রই স্বার্থপর। পুরুষ এর চরিত্রের ঠিক থাকে না তাই তাকে এক নারীকে ভালোবাসার জন্য বশীকরণ করতে হয়। নাহলে টাকা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে হয়।

এটা বলে ছেলেরা কি প্রমাণ করে ওদের কোনো অবস্থাতেই এক নারীতে পোষায় না । মেয়েদের অপমান করতে গিয়ে কোথায় নামাচ্ছে নিজেদের ?

এসব বলে মেয়েদের ছোটো করতে গিয়ে নিজেরাই পুরুষ জাতিকে অপমানটা বেশি করে ফেলছে। আর সেটা বুঝতেই পারছে না।

কলমে
স্রোতস্বিনী রায়

19/08/2025



বারবার ফোন করার পরও ফোনটা কেটে দিচ্ছিলো সৌনক। কয়েকবার ফোন কেটে দেওয়ার পরও যখন রীমা আবারও ফোন করছিল , একবার ফোনটা ধরে ধমক এর সুরে বললো সৌনক :
"তোমাকে কতবার বলেছি আমাদের সম্পর্কটা আর নেই , এরপরও তুমি সেই এক কথা বার বার বলে বিরক্ত করছো কেনো? "

রীমা বললো , " আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না সৌ , প্লীজ , সম্পর্কটা ভেঙ্গে দিও না।"

সৌনক : "উহ! তোমাকে আর কতো বার বলবো এটাকে ঠিক ভালোবাসার সম্পর্ক বলে না , যে তোমাকে বিয়ে করতেই হবে। জাস্ট একটা রিলেশনশিপ , বলতে হয় তাই বলতাম। আর রিলেশনশিপ না বললে তুমি রাজি হতে আমার সাথে ডেট করতে?"

রীমা : "তুমি তো বলেছিলে তুমি আমায় ভালোবাসো।"

সৌনক : "ভালোবাসি ! তোমাকে! হাহাহা। আরে ওসব একটু বলতে হয় , নাহলে কি মুড আসে বলো ? "

রীমা : "তার মানে ? "

সৌনক : "মানে না বোঝার মতো বাচ্চা তো তুমি নও।"

রীমা :" আচ্ছা , এখন কি তুমি আমায় নতুন করে ভালোবাসতে পারো না। "

সৌনক : "তোমাকে বললাম তো ওসব ভালোবাসা , প্রেম তোমার সাথে আমি করতে পারবো না। আমার একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। "

রীমা : "আর এতদিন যে এতকিছু করলে? "

সৌনক :" আমাদের মধ্যে যা হয়েছে কেউ জানে না। কিন্তু তোমাকে বিয়ে করলে তো সবাই দেখবে । আমার তো একটা প্রেস্টিজ আছে না কি ? আর তুমি এত কান্নাকাটি কেনো করছো ? তোমার পেটে তো আর আমার বাচ্চা নেই। ফালতু ঝামেলা কোরোনা।"

রীমা : "আমি কি এতোই খারাপ দেখতে ? আর মেয়েরা চাকরি না করলে লোকে তেমন একটা কিছু বলে না। আমাকে বিয়ে করতে তোমার কি অসুবিধা?"

সৌনক :" তোমাকে ফাইনালি বলছি সামনের সপ্তাহে আমার বিয়ের পাকাকথা। আর বিরক্ত কোরোনা।"

সৌনক ফোনটা কেটে দিলো। একটু পরে রীমা ফোন করে দেখলো ওর নাম্বারটা ব্লক করে দিয়েছে সৌনক। সমস্ত রকম যোগাযোগের উপায় তো আগেই বন্ধ করে দিয়েছিল।শেষ এই নাম্বারটা ছিলো সেটাও বন্ধ করে দিলো।

রীমা একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে ধপ করে বসে পড়লো মাটিতে। বুঝতেই পারছে না কি করবে এখন। ও তো সৌনক কে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। কি করে ভুলবে সৌনককে ?

ভাবতে ভাবতে দুচোখ আবছা হয়ে এলো জলে। বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুছড়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। হাত পা অসাড় হয়ে আসছে। মেঝে থেকে রীমা আর বিছানায় উঠে বসতে পারছে না। সমস্ত দুঃখ কষ্ট যেনো দলা পাকিয়ে গলার মধ্যে আটকে গেছে , বাইরে বেরোতে পারছে না। ওর সবটুকু জুড়ে শুধু সৌনকই ছিলো। আজ এই কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে রীমার পায়ের নীচে কোনো মাটি নেই , মাথার ওপরে আকাশটাও নেই। শুধু সৌনকের অপমানের চাদরে ঢেকে আছে ও।যেটা ভেদ করে কি করে বেরোবে তা সে নিজেও জানেনা। ভাবতেও ঘৃনা করছে ওর , সৌনক শুধুমাএ সময় কাটানোর জন্য ওকে ব্যাবহার করলো।কেনো ? ওর অপরাধ টা কি ? সৌনকের প্রতি ভালোবাসা ! বিশ্বাস! এগুলোকে সৌনক রীমার দূর্বলতা ভেবে শুধু সুযোগের সদ্ব্যবহার করলো ! এত নীচ , কদর্য একটা মানুষকে কিভাবে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসলো রীমা? নিজেকেই এখন ঘৃণা লাগছে ওর।

সৌনকের শাস্তি হওয়া উচিত।কিন্তু সেটা তো সম্ভব ও না।এমন অনেক সৌনক যুগ যুগ ধরে মেয়েদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করে পার পেয়ে যায়।কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েটির অনেক ক্ষতি হয়ে যায় তবুও ছেলেটির কোনো শাস্তি হয়না।সমাজ সৌনকদের বাহবা দেয়। রীমাদের কখনো বোকা বলা হয় কখনো চরিত্রহীন বলা হয়। রীমাদের মতো সহজ সরল মেয়েরা মানুষ থেকে যন্ত্রে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করে। নীরবে চোখের জল মোছে। বিধাতার কাছে সৌনকদের বিচার চায়।

কলমে
স্রোতস্বিনী রায়

17/08/2025

একটা সময়ে যাদের সাথে একদিন দেখা না হলে কথার পাহাড় জমে যেতো , ক্লাসে গল্প করার জন্য বকা শুনতে হতো।আজকাল আতঙ্কে থাকি। ভুল করেও যেনো তাদের সাথে দেখা না হয়। দেখা হয়ে গেলেও কথা বলতে বড্ড ভয় করে , কোন কথার কি মানে বের করে কূটকচালি করে কোথায় কিভাবে পরিবেশন করবে ভগবানই জানেন।

যাদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা এত আনন্দের ছিলো , কয়েক বছরের মধ্যেই কি করে এমন অস্বস্তির হয়ে গেলো ভেবে পাইনা।ছোটবেলায় চোখ থেকে দু ফোঁটা জল পরলেও বন্ধুরা কম করে ২০ বার জিজ্ঞেস করতো কি হয়েছে ? আজকাল কয়েক বছরের ব্যবধানে দেখা হলেও জিজ্ঞেস করেনা কেমন আছিস ? দেখা হলেই কেউ বলে তোকে এই ড্রেসটা পরে মাস কয়েক আগে একটা ছবি দিতে দেখলাম এখনও এটা পরেই ঘুরেছিস ! কেউ আবার বলে তোর সেই ঘড়িটা কি এখনও আছে ? কেউ আবার বলে নন ব্রান্ডেড জুতো , ব্যাগ কেনো ইউজ করিস ? কেউ হয়তো বলে বসলো কতো দামের আন্ডার গার্মেন্টস ইউজ করিস ? এছাড়াও , মেকাপ করে কেনো বেরোসনি ? হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিসনি কেনো ? কোন ব্র্যান্ডের কসমেটিক্স প্রোডাক্ট ইউজ করিস? বিয়ে কবে করবি ? ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম একের পর এক প্রশ্নের বানে বিধস্ত হতে হয়।

পথে ঘাটে যখন পুরোনো বান্ধবীদের কাছ থেকে এরকম কথা শুনি সত্যিই খুব অপ্রস্তুত লাগে নিজেকে। মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে অগোছালো , গরীব , অপদার্থ বোধ করি আমিই। শুধু পথে ঘাটে নয় , হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আভিজাত্যের বর্ণনা শুনতে শুনতে আর ছবি দেখতে দেখতে আমরা হাঁপিয়ে যাই , ওরা ছবি দিতে দেরি করেনা।

না বান্ধবীদের গ্রুপে কোনো সুখ দুঃখের গল্প হয়না শুধুই কে কোথায় ঘুরতে গেলো , কে কত দামী দামী শপিং করলো , কার বাচ্চা কতো নামী স্কুলে পড়ে তার প্রমাণ স্বরূপ ছবি শেয়ার করা। অথবা গ্রুপে অনুপস্থিত বান্ধবীর বরের তুলনামূলক কম রোজগার নিয়ে সমালোচনা। কখনো আবার তুলনামূলক বেশি বড়লোক বান্ধবীকে হিংসে করা। যে এই ধরনের ছবি দিতে পারছে না তাকে বার বার জিজ্ঞেস করে অপ্রস্তুত করা ,তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করার অছিলায় তাকে অপমান করা।

অথচ যাদের থেকে ধরনের আক্রমণ গুলো আসে তারা কেউই রোজগেরে বা প্রতিষ্ঠিত নয়। আবার আক্রমণ গুলো যাদের দিকে ধেয়ে আসছে , আমরা যারা সাধারণ জীবন যাপন করি তারাও কেউ অতোটাও পিছিয়ে নেই যতটা ওরা বলে।

মাঝে মাঝে এসব প্রশ্ন শুনে অবাক হতে হয়।মনে হয় আমি পিছিয়ে পরছি নাকি ওরা অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে ?

জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়া মানে কি শুধু ঘরের বাইরে বেরোলেই মেকাপ করে বেরোতে হবে ?

উন্নত লাইফস্টাইল মেইনটেন করা মানে কি ২৪ ঘণ্টা ব্র্যান্ডেড জিনিস পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে ?

মাঝে মাঝে দামি রেস্টুরেন্ট এ খেয়ে , কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ছবি দিয়ে নিজেকে সাবলম্বী প্রমাণ করতে হবে ! এ কেমন লৌকিকতা ?

আমার একেবারেই জানা নেই বাড়ির কাছের কোনো দোকানে বাজারে গেলেও মেকাপ , ব্র্যান্ডেড ব্যাগ , জুতো লাগে !বাড়ির কাছাকাছি কোনো মন্দিরে গেলেও নাকি মেকাপ করে যেতে হয়।

বান্ধবীরা যতই বলুক না কেন , বিয়েবাড়ির যাওয়ার মতো করে সেজে মন্দির যাওয়া অথবা দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মতো করে সেজে বাজার যাওয়া আমার কাছে তো পাগলামি মনে হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে বাড়ছে স্কিনের রোগের প্রকোপও। অনেকেই আছেন যারা কোনোদিন জিমে যাননি , হঠাৎ জিমে গিয়ে বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ছেন।

আমার তো মনে হয় শুধুমাত্র আমার কিছু পুরনো বান্ধবীরা না , নারী সমাজের একটা বিরাট অংশকে এই অদ্ভুত রোগে ধরেছে।যেটা মহামারীর থেকেই ভয়ঙ্কর।

চেনা অচেনা যে কোনো মানুষের সামনে নিজেকে সবার চেয়ে সেরা প্রমাণ করার যে চেষ্টা , এখন আর চেষ্টা বলবো না , এক শ্রেণীর মহিলাদের বড়ো দায় সবার সামনে নিজেকে সবচেয়ে বেশি সুখী , সবচেয়ে ধনী , সবচেয়ে সুন্দরী , বুদ্ধিমতী প্রমাণ করার। কারো কারো ক্ষেত্রে নেশার মতো হয়ে গেছে।শপিং আর ঘুরতে যাওয়া।

স্বাভাবিক জীবনযাপন আর কেউ যেনো মেনে নিতে পারছে না।সব কিছুতে সেলিব্রিটিদের নকল করার চেষ্টা। সকলেই সেলিব্রিটি হতে চাইছে। সাধারণ মানুষে হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতে যেনো ওদের লজ্জা করছে। শুধু মেয়েরা না ছেলেরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই এই "সেলিব্রিটি হব" প্রতিযোগিতায়।

উভয়ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত খরচ বহন করতে গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে পরিবারের সকলের। ভারত উন্নয়নশীল দেশ।মধ্যবিত্ত , নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যায় বেশি। এখনও প্রচুর মানুষ সঠিক পুষ্টি পায়না। প্রয়োজনীয় জমা কাপড় ,পর্যাপ্ত খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। এরকম সমাজব্যাবস্থায় এই বাহ্যিক চাকচিক্য , অতিরিক্ত আভিজাত্য , অবান্তর সাজগোজ করা দেখনদারীর রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। যা আগামীদিনে সমাজের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর হতে চলেছে।

কলমে
স্রোতস্বিনী রায়

16/08/2025

অনেকেই বলেন মেয়েরা সব সময় মেয়েদের নিয়েই লেখে। সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা যতই করুক , সেখানে ছেলেদের কথা কিছু লেখে না।

তাদের লেখা পড়লে মনে হয় যত দুঃখ-কষ্ট , লাঞ্ছনা-গঞ্জনা , অভাব-অভিযোগ, মান-অভিমান সব মেয়েদের জীবনের অঙ্গ। ছেলেদের সমস্যা নিয়ে কোনোদিন কিছু লেখে না। যেনো ছেলেরা আদি অনন্ত কাল ধরে চিরসুখী। ওদের কেনো দিন কোনো অসুবিধা হয়ই না। তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি।

প্রথমেই বলবো আমরা যখন কোনো আলোচনা করি বা লিখি সেখানে, আমরা কখনোই এই কথাটা বলতে পারিনা যে , আমি একটা মেয়েদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছি এখানে ছেলেদের কোনো স্থান নেই, বা ছেলেদের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে মেয়েদের কোনো স্থান নেই। কারণ আমরা সবাই একই সমাজে বাস করি।ছেলে, মেয়ে উভয়ের জীবন ছোটো-বড়ো সব ভালোমন্দেই একে অপরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে । তাই যে কোনো সামাজিক ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সেখান থেকে ছেলে মেয়ে কাউকেই আমরা বাদ দিয়ে কথা বলতে পারিই না। কারণ একি সমাজে বাস করে সামাজিক ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হবে অথচ ক্ষেত্র বিশেষে ছেলে মেয়ে একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন সেটা প্রায় অসম্ভব।

মেয়েদের যে কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে তাতে ছেলেদের ভূমিকার কথা উঠবে, বা সেই প্রসঙ্গে ছেলেদের দোষ খোঁজা হবে। আবার ছেলেদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সেখানেও মেয়েদের অবদানের কথা আসবে কখনো। কখনো মেয়েদের ছেলেদের প্রতি বিরূপ ভাবের নিন্দা করা হবে।এমনটা চলতেই থাকবে।

তাই কোনো ভাবেই একথা বলা যাচ্ছে না, ছেলে আর মেয়েদের সমস্যার সাথে দূর দুরান্তের কোনো যোগাযোগ নেই। বরং বলা ভালো সামাজিক সমস্যার কুপ্রভাব গুলি কম বেশি উভয়কেই ভোগ করতে হয়।

স্রোতস্বিনী রায়

 #কদমফুলকোনো এক শ্রাবণ মাসের বিকেলে , কাদায় ভেজা সবুজ মাঠের পাশের সরু গলি দিয়ে তুমি আর আমি হাত ধরে দুজন দুজনে মগ্ন হয়...
16/08/2025

#কদমফুল

কোনো এক শ্রাবণ মাসের বিকেলে , কাদায় ভেজা সবুজ মাঠের পাশের সরু গলি দিয়ে তুমি আর আমি হাত ধরে দুজন দুজনে মগ্ন হয়ে হেঁটে যাবো ❤️❤️

যেতে যেতে থেমে যাবো সেই পুরোনো কদম গাছটির নীচে। হালকা হওয়ায় কদম ফুলের পাঁপড়ি ঝড়ে ঝড়ে পড়বে আমাদের গায়ে , মাথায়। তুমি এক গুচ্ছ কদম ফুল কুড়িয়ে আমার হাতে দিয়ে বলবে , "ভালোবাসি তোমায়"❤️❤️

সযত্নে ফুল গুলো নিয়ে নিজের খোঁপায় গুঁজে আমি বলবো, ভালোবাসি, ভালোবাসি ❤️❤️

কদম ফুলের মিষ্টি গন্ধে , কদম গাছ থেকে অনবরত ফুল , ফুলের পাঁপড়ি ঝড়ে পড়ার ছন্দে, গোধূলির আলোছায়া মাখা নিস্তব্ধ কদমতলায় বসে তোমার চোখে চোখ হারিয়ে যাবো রেখে দুজন দুজনের মনের গহনে❤️❤️

কলমে স্রোতস্বিনী
ছবি সংগৃহীত

Address

Kalyani

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Golper Saji posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share