23/05/2025
শুধু একটি চিপসের প্যাকেট নয় — এটা একেকটি নিষ্পাপ জীবনের আত্মঘাতী আর্তনাদ!
"মা, আমি চুরি করিনি…"
একটা ছোট্ট ছেলের এই শেষ চিঠি আমাদের সভ্যতার গালে এক চপেটাঘাত। কৃষ্ণেন্দু দাস — সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, এখনও যার শরীরে দুধের গন্ধ ছিল, যার চোখে ছিল রংবেরঙের স্বপ্ন, তাকে ‘চোর’ বলে কান ধরে বাজারে ওঠবস করানো হলো।
অপমান, অবিচার আর মিথ্যা অপবাদ—এই তিনটে শব্দ মিলে কেড়ে নিলো একটা শিশুর জীবন।
একটা চিপসের প্যাকেট কুড়ানোর দোষে তাকে সবার সামনে ছোট করা হলো।
হ্যাঁ, আমরা তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছি—আমরা, এই সমাজ।
যে সমাজ শিশুকে বিচার করে প্রাপ্তবয়স্কদের মত করে, কিন্তু বোঝে না যে ছোটদের আত্মমর্যাদা অনেক বেশি স্পর্শকাতর।
আমরা কী শিখাচ্ছি শিশুদের?
ভুল করলেই কি চোরের অপবাদ?
ছোট্ট একটা খাবার নিয়ে যদি শিশুর জীবন ঝুঁকিতে পড়ে, তাহলে কাদের দায়িত্ব এটা?
একরত্তি বিষে যদি একটা প্রাণ থেমে যায়, তাহলে আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিবেক—সব কোথায় গেল?
আজ কৃষ্ণেন্দু নেই, কাল হয়তো আপনার সন্তানের নামটা হবে এইখানে।
আমরা দাবি করছি:
এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হোক।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হোক।
প্রতিটি স্কুলে "Emotional First Aid" ক্লাস বাধ্যতামূলক করা হোক।
শিশুর প্রতি সম্মান ও সহানুভূতির মনোভাব গড়ে তোলার জন্য অভিভাবক ও ব্যবসায়ীদের ওয়ার্কশপ চালু করা হোক।
এটা শুধুই কৃষ্ণেন্দুর মৃত্যু নয় — এটা মানবতাবোধের মৃত্যুঘণ্টা।
আমরা যদি আজ না জাগি, তাহলে কাল হয়তো ‘চুরি’ বলেই চুরি হয়ে যাবে আরও অনেক নিষ্পাপ প্রাণ।
লিখেছেন:
রথীন ঘোষ
ক্লিনিকাল সাইকোথেরাপিস্ট ও সমাজসচেতন লেখক
Feel Good Now – Ask Me How
Copied:-