20/11/2024
*★ শ্রীহট্ট : করিমগঞ্জ : শ্রীভুমি ও রবীন্দ্রনাথ★*
১৯১৯ সালের নভেম্বর মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন অসমের শ্রীহট্ট জেলায় অবতরণ করেন। সে সময় তিনি শ্রীহট্ট জেলাকে শ্রীভুমি আখ্যায়িত করে কয়েকটি লাইন লিখেছিলেন। তৎকালীন শ্রীহট্ট জেলা পাঁচটি মহকুমা যথাক্রমে সিলেট সদর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও করিমগঞ্জ নিয়ে গঠিত ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনো করিমগঞ্জ মহকুমাকে শ্রীভুমি বলে সম্বোধন করেন নি, করেছিলেন বিশাল শ্রীহট্ট-কে 'সুন্দরী শ্রীভুমি বলে'।
করিমগঞ্জ সর্বপ্রথম ১৭৭৮ সালে ৪০টি পরগনা নিয়ে অবিভক্ত সিলেট জেলার একটি মহকুমা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই এলাকাটির নাম মুহম্মদ করিম চৌধুরী, একজন বাঙালী মুসলিম মিরাশদার থেকে এসেছে, যিনি মূলত চার মাইলেরও কম দূরে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, নাটিখাল ও কুশিয়ারা নদীর সঙ্গমস্থলের দক্ষিণে । শরৎকালে নাটিখাল শুকিয়ে যেত এবং এই কারণে ১৮৭০-এর দশকে বাজারটিকে তার বর্তমান সদর দফতর করিমগঞ্জে স্থানান্তরিত করা হয়।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার সময় হওয়া দেশ বিভাজনে সিলেট জেলা পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) হস্তান্তরিত হয়। ১৯৪৭ সালে বিভাগের সময় বিতর্কিত গণভোটে করিমগ