Aro Kichu Kotha

Aro Kichu Kotha Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Aro Kichu Kotha, Digital creator, DHANSIRI, Katwa.

মানুষের জীবন হল সাফল্য ও ব্যর্থতা দিয়ে বোনা এক বিনি সুতোর মালা। সাফল্য হচ্ছে সেই মুহুর্তের নাম যা চিরস্থায়ী হয়ে থাকার ক্ষমতা রাখে। তবে সফলতা সহজ ভাবে আসে না ; বহু প্রচেষ্টার পর মানুষ সেই সাফল্যের আনন্দময় মুহূর্তের সম্মুখীন হয়।

"চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ" এই বয়সটা খুব বাজে জানেন তো! এই বয়সে আমাদের মধ্যে বাবা-মাকে হারিয়ে ফেলার একটা আতঙ্ক কাজ করতে থাকে। চ...
01/06/2025

"চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ" এই বয়সটা খুব বাজে
জানেন তো!
এই বয়সে আমাদের মধ্যে বাবা-মাকে হারিয়ে ফেলার একটা আতঙ্ক কাজ করতে থাকে। চোখের সামনে আমরা আমাদের বাবা-মাকে বৃদ্ধ হতে দেখি। সে এক তীব্র যন্ত্রণা।
একটা সময় বাবা-মা যতটা গর্ব করে বলে, আমার সন্তানটা অনেক বড় হয়ে গেছে, ঠিক ততটাই ভয় নিয়ে সন্তানরাও বলে, বাবা-মার বয়স হয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে কষ্টের বোধহয় আর কিছু হয় না।
বাবা-মা ঘুমিয়ে থাকলে অদ্ভুত ভাবে তাদের ঘরে গিয়ে বারবার দেখতে হয় মানুষ গুলো ঠিক আছেন তো? ঘুমের মধ্যে সুন্দর করে নিশ্বাস নিচ্ছে দেখলে তখন যেন বুকের উপর থেকে পাথর নেমে যায়।
ছোট বেলায় যারা শিখিয়েছিল সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সবুজ প্রকৃতির দিকে চোখ বুলালে আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়ে। সেই মানুষ গুলোকেই যখন পাওয়ার ওয়ালা চমশা পরতে দেখতে হয়, তখন বুকের মধ্যে অজান্তেই একটা মোচর দিয়ে ওঠে।
"চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ" এই বয়সটা সত্যিই খুব বাজে। বাবা-মায়ের হাই প্রেসার, একটু একটু করে তাদের ঔষধের কৌটো ভারী হতে দেখা, রোজ খবরের কাগজ কিংবা বই পড়ার জন্য চশমা খুঁজে বের করে দেয়া এইগুলো আমাদের সন্তানদের ভীষণ পোড়ায়।
আমরা বড় হই সাথে সাথে আমাদের বাবা-মায়েরা বৃদ্ধ হতে থাকেন। এই যে চোখের সামনে নিজের বাবা-মাকে একটু একটু করে বৃদ্ধ হতে দেখার যেই যন্ত্রণা এটা বোধহয় এই বয়সের সন্তান গুলো ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না।

১০ বছরের বাচ্চাটি বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ বিক্রি করে। একদিন একটা বাড়ির সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালো।মালকিন বাইরে এসে বললেন......
31/05/2025

১০ বছরের বাচ্চাটি বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ বিক্রি করে। একদিন একটা বাড়ির সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালো।

মালকিন বাইরে এসে বললেন...কি ব্যাপার?

ছেলেটি: বলছিলাম আন্টি, আপনার বাগানটি কি পরিস্কার করে দেবো?

মালকিন: না না কোন দরকার নেই, আর আজ সকালে তুই খবরের কাগজ দিয়ে যাসনি কেন?

বালক: (হাত জোড় করে করুণ স্বরে) প্লিজ আন্টি করিয়ে নিন না, খুব ভালো করে বাগানটা সাফ করে দেবো, আর আজকে কাগজ ছাপা হয়নি, কাল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি ছিল।

মালকিন: (একটু নরম সুরে)...আচ্ছা ঠিক আছে, কতো টাকা নিবি?

বালক: টাকা লাগবে না আন্টি, শুধু খাবার দিলেই হবে।

মালকিন: ওহ, ঠিক আছে যা, খুব ভালো করে পরিস্কার করবি কিন্তু। (মনে হচ্ছে বেচারা আজ কিছু খায়নি, আগে ওকে কিছু খাওয়ানো দরকার...মালকিন চিন্তা করল)

মালকিন: এই ছেলে..এদিকে আয়, আগে তুই খেয়ে নে, তারপর কাজ করিস।

বালক: না আন্টি আগে কাজ করে নিই, তারপর খাবো।

মালকিন: আচ্ছা বেশ...এই বলে নিজের রুমে ঢুকলেন।

২ ঘন্টা পর...

বালক: "আন্টি, ও আন্টি, দেখুন না ঠিকঠাক সাফাই হয়েছে কিনা?

মালকিন: আরে বাহ্! তুই তো বাগানের আশপাশগুলোও ভালো করে সাফ করে দিয়েছিস। এখানে এসে বস, আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসছি।

মালকিন খাবার দিতেই বালকটি পকেট থেকে একটা পলিথিন বের করে তার মধ্যে খাবারগুলো ঢোকাতে শুরু করল।

মালকিন: পেটে প্রচুর খিদে নিয়ে কাজ করলি, খাবারটা তো এখানেই খা, লাগলে আরও দেবো।

বালক: না আন্টি, বাড়িতে মা আছে, খুব অসুস্থ। সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রিতে ওষুধ পাওয়া গেছে কিন্তু ডাক্তারবাবু খালি পেটে ওষুধ খেতে বারন করেছেন।

একথা শুনে মালকিনের চোখ ভিজে গেল। নিজের হাতে নিষ্পাপ বাচ্চাটিকে মায়ের মতো করে খাইয়ে দিলেন। তারপর বাচ্চাটির হাতে মায়ের জন্য খাবার তুলে দিয়ে নিজেও সঙ্গে গেলেন এবং বাচ্চাটির মায়ের সাথে দেখা করলেন।

মালকিন: বোন তুমি সবার চেয়ে ধনী আর ভাগ্যবান.... যে সংস্কার, যে শিক্ষা, যে সংস্কার তুমি তোমার সন্তানকে দিয়েছো, সেই সংস্কার, আমি আমার সন্তানদের দিতে পারিনি।

অসুস্থ মা ছেলের পানে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল...
ছেলে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরল...

✍️An Animesh

'ননদিনী রায়বাঘিনী' কথাটা সবাই শুনেছেন। কিন্তু এই রায়বাঘিনী কথার পিছনে যে ইতিহাস তা অধিকাংশের অজ্ঞাত। কারণ বাঙালি সবচেয...
31/05/2025

'ননদিনী রায়বাঘিনী' কথাটা সবাই শুনেছেন। কিন্তু এই রায়বাঘিনী কথার পিছনে যে ইতিহাস তা অধিকাংশের অজ্ঞাত। কারণ বাঙালি সবচেয়ে অজ্ঞ বাঙালির ইতিহাস নিয়ে, সে বাবর আকবর নিয়েই ছাত্র জীবন কাটিয়েছে।
ভবশঙ্করী ( ১৬ শতক ) ছিলেন এক গ্রাম্য জমিদারের কন্যা। ছোটবেলা থেকে অসিখেলা, ঘোড়ায় চড়া, তীরন্দাজিতে পারদর্শিনী ছিলেন। ভুরশুটের রাজা রুদ্রনারায়ণ তাঁর বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিবাহ করেন। ভুরশুট ছিল হাওড়া ও হুগলি জেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রাজ্য।

রাজা রুদ্রনারায়নের মৃত্যুর পর রাজ্যের শাসনভার আসে তাঁর ওপর। তিনি দক্ষতার সাথে রাজ্যশাসন পরিচালনা করেন। এইসময় ভুরশুটের অধিবাসী পাঠান সর্দার ওসমান খাঁ মোগল সম্রাটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়। ওসমান যুদ্ধের জন্যে রানীর সাহায্য চায় কিন্তু ভবশঙ্করী রাজী না হলে সে ভুরশুট রাজ্য আক্রমণ করার পরিকল্পনা করে।
ওসমান খানের সেনারা হিন্দু সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে ভুরশুট রাজ্যে প্রবেশ করেন। এছাড়াও বহু পাঠান সৈন্য ব্যবসায়ী, পর্যটক, ফকির ইত্যাদি ছদ্মবেশে প্রবেশ করেন। কিন্তু বর্তমান হাওড়া জেলার আমতার দুর্গে থাকা সেনা ইউনিটের গোয়েন্দারা পাঠান সেনাদের চিনতে পারে। তারাই রানী ভবশঙ্করীকে পাঠান সেনার আগমনের খবর পৌঁছে দেয়।
রানী ভবশঙ্করী এই সংবাদ পাওয়া মাত্রই পাঠান সেনাদের প্রতিহত করার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো তিনি আশেপাশের দুর্গগুলি থেকে দক্ষ সেনাদের ডেকে নেন এবং তাদেরকে আশেপাশের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে বলেন। তিনি নিজের সঙ্গে বিস্বস্ত নারী সেনাদের রাখেন। রাতে রানী ভবশঙ্করী যুদ্ধের পোশাক পরে, অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূজায় বসেন। পূজায় বসার সময় তিনি নিজের শরীরে একটি সাদা কাপড় জড়িয়ে নেন। গভীর রাতে ওসমান খানের সেনাবাহিনী রানী ভবশঙ্করীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মন্দিরে আক্রমণ করেন। কিন্তু সেনারা প্রস্তুত থাকায় তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। রানী ভবশঙ্করীর নেতৃত্বে থাকা সেনারা পাঠান সেনাদের খণ্ডবিখণ্ড করেন। ওসমান খান পরাজিত ও নিহত হন। পিছনে থাকা পাঠান সেনাদের একটি দল কিছু দূরের গ্রামে থাকা একটি শৈব সাধুদের আখড়ায় আক্রমণ করেন। কিন্তু শৈব সাধুরা পাঠানদের তরোয়ালের জবাব তরোয়ালের দ্বারাই দেন। সেখানে শৈব সন্ন্যাসীরা বহু পাঠান সৈন্যকে হত্যা করেন।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা প্রশিক্ষণের শিবির স্থাপন করেন, যেগুলি রানী ভবশঙ্করী নিজে তদারকি করতেন। এরপরেই পাঠান সেনাদের বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা, বাঘের মতো ক্ষিপ্রতায় তাঁর যুদ্ধ করার কাহিনী ভুরীশ্রেষ্ঠ রাজ্যের লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁকে 'রায়বাঘিনী' উপাধি দেওয়া হয়।

স্ত্রী মারা গেলেন কবির ৪১ বছর বয়সে। কবির ছিলো তিন মেয়ে, দুই ছেলে। রথীন্দ্রনাথ, শমীন্দ্রনাথ আর বেলা, রাণী ও অতশী।স্ত্রী'র...
31/05/2025

স্ত্রী মারা গেলেন কবির ৪১ বছর বয়সে। কবির ছিলো তিন মেয়ে, দুই ছেলে। রথীন্দ্রনাথ, শমীন্দ্রনাথ আর বেলা, রাণী ও অতশী।
স্ত্রী'র পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন রাণী। এরপর কলেরায় মারা গেলো ছোট ছেলে শমী। পুত্রশোকে কবি লেখলেন-

"আজ জোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে।"

কবি'র মনে হলো এই জোৎস্নায় কবি বনে গেলে হবে না। বরং তাঁকে জেগে থাকতে হবে, যদি বাবার কথা মনে পড়ে শমী'র! যদি এসে কবিকে না পায়? তিনি লেখলেন-

"আমারে যে জাগতে হবে, কী জানি সে আসবে কবে

যদি আমায় পড়ে তাহার মনে।'

রাণীর জামাইকে পাঠিয়েছিলেন কবি বিলেতে ডাক্তারী পড়তে, না পড়েই ফেরত আসলো। বড় মেয়ের জামাইকে পাঠিয়েছিলেন বিলেতে, ব্যারিস্টারী পড়তে, না পড়েই ফেরেত আসলো। ছোট মেয়ে অতশীর জামাইকেও আমেরিকায় কৃষিবিদ্যার উপর পড়াশোনা করতে। লোভী এই লোক কবিকে বার বার টাকা চেয়ে চিঠি দিতো। কবি লেখলেন-

"জমিদারী থেকে যে টাকা পাই, সবটাই তোমাকে পাঠাই।"

দেশে ফেরার কিছুদিন পর ছোট মেয়েটাও মারা গেলো।

সবচাইতে কষ্টের মৃত্যু হয় বড় মেয়ের। বড় জামাই বিলেত থেকে ফেরার পর ছোট জামাইর সাথে ঝগড়া লেগে কবির বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। মেয়ে বেলা হয়ে পড়েন অসুস্থ। অসুস্থ এই মেয়েকে দেখতে কবিগুরু প্রতিদিন গাড়ী করে মেয়ের বাড়ী যেতেন। কবিকে যত রকম অপমান করার এই জামাই করতেন। কবির সামনে টেবিলে পা তুলে সিগারেট খেতেন। তবু কবি প্রতিদিনই যেতেন মেয়েকে দেখতে। একদিন কবি যাচ্ছেন, মাঝপথেই শুনলেন বেলা মারা গেছে। কবি শেষ দেখা দেখতে আর গেলেন না। মাঝপথ থেকেই ফেরত চলে আসলেন। হৈমন্তীর গল্প যেন কবির মেয়েরই গল্প!

শোক কতটা গভীর হলে কবির কলম দিয়ে বের হলো -

"আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।

তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে॥"

কবির মৃত্যু হলো অতিমাত্রায় কষ্ট সহ্য করে, প্রশ্রাবের প্রদাহে। কী কারনে যেন কবির বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে শেষ বিদায়টাও পাননি। দূর সম্পর্কের এক নাতনি ছিলো কবির শেষ বিদায়ের ক্ষণে।

কবি জমিদার ছিলেন এইসব গল্প সবাই জানে। কবি'র দুঃখের এই জীবনের কথা ক'জন জানেন?

প্রথম যৌবনে যে গান লেখলেন, এইটাই যেন কবির শেষ জীবনে সত্যি হয়ে গেলো-
"আমিই শুধু রইনু বাকি।
যা ছিল তা গেল চলে, রইল যা তা কেবল ফাঁকি॥"

Islam Razu

***রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য অর্থ নিতেন!!!!আসুন ; এর পিছনের কাহিনীটা জেনে নেওয়া যাক------নোবেল পুরস্ক...
31/05/2025

***রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য অর্থ নিতেন!!!!

আসুন ; এর পিছনের কাহিনীটা জেনে নেওয়া যাক------
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ভক্তদের কাছে কবির জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল যা সেই সময়ের জন্য সেটা ছিল অভূতপূর্ব ঘটনা।
প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত কবির নিজের হাতের অটোগ্রাফ নিতে আসতে শুরু করল। প্রতিদিন অসংখ্য অটোগ্রাফের খাতা আসত কবির কাছে। শুধু নাম সই করলে চলবে না, সঙ্গে দু'এক লাইন কবিতাও চাই। প্রতিদিন কবিকে প্রচুর অটোগ্রাফের খাতায় সই করতে হত।
এছাড়া আরো অনেক আবদার মাখানো চিঠি আসত প্রতিদিন। যেমন ----
*** আমার ছেলে বা মেয়ের একটা নাম দিন দয়া করে।
*** সামনে মেয়ের বিয়ে, একটু আশীর্বাণী লিখে দিন।
*** ছেলের অন্নপ্রাশন, দু'এক লাইন লিখে দিন আশীর্বাণী।
কার্ডে ছাপা হবে।
*** অদ্ভুত সব চিঠি আসত। কেউ একটা কবিতার বই ছাপিয়েছে। সেই কবি আবদার করে লিখছে,
আপনি নোবেল কমিটির কাছে সুপারিশ করে একটা চিঠি লিখে দিন যাতে এ বছরের নোবেল প্রাইজটা আমি পেতে পারি।
কবি এইসব পড়ে কাঁদবেন না হাসবেন, ভেবে পেতেন না।
একটা সময় ব্যাপারগুলো কবির কাছে অসহ্য হয়ে গেল।
কবি ঠিক করলেন এবার থেকে তিনি এক টাকা করে নেবেন অটোগ্রাফের জন্যে। এতে ভিড় কিছুটা কমবে আর এই টাকা শান্তিনিকেতনের দরিদ্র ভান্ডারের জন্য জমা হবে।
দরিদ্র ভান্ডারের উপকারও হবে।
রবীন্দ্রনাথ এ কাজের দায়িত্ব দিলেন আশ্রমের একজন নিরলস কর্মীকে। এতে ভিড় তো কমলোই না উল্টে ঐ কর্মীর জন্যে কবির বিড়ম্বনা আরো বেড়ে যায়। ঐ কর্মী শেষে আশ্রমের ছেলেমেয়েরা অটোগ্রাফের জন্যে এলেও তাদের কাছ থেকেও টাকা নিত। এমনকি কবির পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে অটোগ্রাফের জন্য টাকা নিত।
কবির কাছে অভিযোগ গেল। কবি ঐ কর্মীর কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তার উত্তর--
"আপনিই তো নিয়ম করেছেন, আমি কি করবো?
শেষে কবি বললেন--
"থাক অনেক হয়েছে বাবা, আর তোমাকে টাকা তুলতে হবে না। এবার থেকে অটোগ্রাফের জন্যে কাউকে টাকা দিতে হবে না"।
কবি হয়'ত মনে মনে ভেবেছিলেন কেন যে মরতে নোবেল প্রাইজটা পেলাম!
এজন্যই হয়তো কবি মনের দুঃখে গান লিখেছিলেন?
"এ মণিহার আমায় নাহি সাজে"।

সংগৃহীত
তথ্যসূত্র-কবির স্নেহধন্যা রাণী চন্দের বই, "গুরুদেব" থেকে নেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই লেখা।🙏

এক ভদ্রমহিলা পাসপোর্ট অফিসে এসেছেন পাসপোর্ট করাতে। অফিসার জানতে চাইলেন, "আপনার পেশা কি?"মহিলা জবাব দিলেন, "আমি একজন মা।"...
31/05/2025

এক ভদ্রমহিলা পাসপোর্ট অফিসে এসেছেন পাসপোর্ট করাতে। অফিসার জানতে চাইলেন, "আপনার পেশা কি?"
মহিলা জবাব দিলেন, "আমি একজন মা।"

অফিসার হেসে বললেন, "আসলে শুধু মা তো কোনো পেশা হতে পারেনা, তাহলে আমি লিখে দিচ্ছি আপনি একজন গৃহিনী।"

মহিলা কিছু বললেন না। পাসপোর্টের কাজ কোনো ঝামেলা ছাড়াই শেষ হলো।

অনেকদিন পর, এবারে পাসপোর্টটা রিনিউ করাতে, ভদ্রমহিলা আবার পাসপোর্ট অফিসে আসলেন। দেখলেন আগের সেই অফিসার নেই। খুব ভারিক্কি, রুক্ষ মেজাজের এক লোক বসে আছেন।

যথারীতি ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে অফিসার জানতে চাইলেন, "আপনার পেশা কি?"

মহিলা চট করে কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন।

কয়েক মুহূর্ত ভেবে বললেন, "আমি একজন গবেষক। নানারকম চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করি। আমি শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ সাধন করি, শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করি। বয়স্কদের নিবিড় পরিচর্যা করি ও খেয়াল রাখি। সুস্থ পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণে নিরলস শ্রম দিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামোগত ভিত মজবুত করি।"

মহিলা বলে যাচ্ছেন, "প্রতিটি মূহুর্তেই আমাকে নানারকমের চ্যালেঞ্জের ভিতর দিয়ে যেতে হয় এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তা মোকাবিলা করতে হয়। কারণ, আমার সামান্য ভুলের জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।"

মহিলার কথা শুনে অফিসার একটু নড়ে চড়ে বসলেন। মহিলার দিকে এবার যেন একটু শ্রদ্ধা আর বিশেষ নজরে তাকালেন। অনেক কৌতূহল নিয়ে অফিসারটি জিজ্ঞেস করলেন, "ম্যাডাম, আসলে আপনার মূল পেশাটি যদি আরেকটু বিশদভাবে বলতেন?"

"আমাদের রিসার্চ প্রজেক্ট তো আসলে সারাজীবন ধরেই চলে। সর্বক্ষণ আমাকে ল্যাবরেটরি এবং ল্যাবরেটরির বাইরেও কাজ করতে হয়। এই কাজের চাপে আমার নাওয়া খাওয়া ঘুমের সময়ের ঠিক থাকে না। সব সময় আমাকে কাজের প্রতি সজাগ থাকতে হয়। এই তো আজকাল আমি সমাজবিজ্ঞান, পারিবারিক স্বাস্থ্য আর নৈতিকতা বিকাশ এই তিনটি ক্ষেত্রেই একসাথে কাজ করছি, যা পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল প্রকল্পগুলোর অন্যতম।"

অফিসার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মহিলার কথা শুনছেন। এমন গুণী, বিস্ময়কর মহিলা, প্রথমে কিন্তু মনে হয়েছিল খুবই সাধারণ।

"প্রতিদিন আমাকে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা, আবার কোনো কোনো দিন আমাকে ২৪ ঘন্টাই ল্যাবে কাজ করতে হয়। পৃথিবীর সব পেশাতেই কাজের পর ছুটি বলে যে কথাটি আছে আমার পেশাতে সেটা একেবারেই নেই। ২৪ ঘন্টাই আমার অন কল ডিউটি।"

এও কিভাবে সম্ভব, অফিসারটি ভাবতেই পারছেন না!

"আপনার হয়তো বা জানতে ইচ্ছে করছে, বিনিময়ে কি পাই? এই চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প পরিচালনায় আমার সেই অর্থে কোনো পারিশ্রমিক নেই। পরিবারের সবার মুখে হাসি আর তাদের প্রশান্তিই আমার পারিশ্রমিক। আর আমার কাজের পুরষ্কার হিসেবে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়েছি তিনটা স্বর্ণপদক!"

অফিসার হতভম্ব, এ কেমন নিঃস্বার্থ কাজ পাগল মানুষ!

"এবার আমি বলি, আমার পেশা কি?"

অফিসার এতক্ষণ যেন এই উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন!

"আমি একজন মা। এই পৃথিবীর অতি সাধারণ এক মা।"

মহিলার কথা শুনে গম্ভীর অফিসারটি এবারে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন, চেষ্টা করেও আর নিজের চোখে অশ্রু আটকাতে পারছেন না। তার নিজের মায়ের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তিনি খুব সুন্দর করে ফর্মের সব কাজ শেষ করে, মহিলাকে একদম সিঁড়ির দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন।

তারপর নিজের অফিস রুমে এসে বসলেন, ড্রয়ার হাতড়ে একটি ধূসর হয়ে যাওয়া ছবি বের করলেন। ক্ষণিকের নীরবতা! অপলক নয়নে সামনের দিকে তাকিয়ে — যেন কিছুই দেখছেন না — বিড়বিড় করে আপন মনে ডাকছেন, "মা, মা গো!"

 #পড়ে_দেখুন ‘বুলবুল’কে হারিয়েই কি নজরুলের সৃষ্টি ‘বাগিচায় বুলবুলি’? জানুন, সেই নিদারুণ সত্যিটা।‘বাগিচায় বুলবুলি গানের...
31/05/2025

#পড়ে_দেখুন
‘বুলবুল’কে হারিয়েই কি নজরুলের সৃষ্টি ‘বাগিচায় বুলবুলি’? জানুন, সেই নিদারুণ সত্যিটা।

‘বাগিচায় বুলবুলি গানের ইতিহাস কী?

1️⃣হ্যাঁ, এই গজলের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে বিদ্রোহী কবির ছেলের স্মৃতি। তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ছেলে অরিন্দম খালেদ বুলবুলের অসুস্থতার সময়ে টাকা ছিল না নজরুলের কাছে। চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে রেলগাড়িতে কলকাতায় আসছিলেন তিনি। কলকাতায় একটি পত্রিকার কার্যালয়ে আসার সময়ে গাড়িতে পাওয়া একটি বিজ্ঞাপনের উলটো পিঠে গজলটি লিখেছিলেন কবি। টাকা জোগাড় করার পর নৃপেনকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়কে গজলটি দিয়েছিলেন নজরুল।

2️⃣ছেলে বুলবুলকে নিয়েই আরো একটি গান রয়েছে নজরুলের। তবে সেই গানের ইতিহাস বড়ই করুণ। মাত্র চার বছর বয়সে মারা যায় নজরুল পুত্র অরিন্দম খালেদ, যাকে ভালোবেসে বুলবুল বলে ডাকতেন কবি। ভাগ্যের এমনি পরিহাস, ছেলেকে কবর দেওয়ার মতো টাকাও ছিল না নজরুলের কাছে। জানা যায়, টাকার আশায় এক প্রকাশকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে বলা হয়, কবিতা লিখে দিলে তবেই মিলবে টাকা। তখন সন্তানহারা বাবার কলম থেকে জন্ম নিয়েছিল এই গান, ‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার প্রাণের বুলবুলি’।

যারা বর্তমান জেনারেশন আছেন, অনুরোধ থাকবে ধৈর্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়া শেষ করবেন।আজকাল বেশিরভাগ বর্তমান জেনারেশনের একটা...
30/05/2025

যারা বর্তমান জেনারেশন আছেন, অনুরোধ থাকবে ধৈর্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়া শেষ করবেন।

আজকাল বেশিরভাগ বর্তমান জেনারেশনের একটা সমস্যা আছে। আর সেটা হলো, এরা সবাই রিলেশনশিপের জন্য পাগল। এরা বলে তাদের নাকি সত্যিকারের প্রেম হয়ে গেছে!

তাহলে আমি আপনাকে বলতে চাই, এই পৃথিবীতে প্রেম ভালোবাসা বলে কিছু হয় না। আর যদি সেটা হয়ও, তবে তার সংখ্যাটা খুবই কম। তাই আজকাল যা কিছু হচ্ছে, এটা কেবলমাত্র "এট্রাকশন"।

"এট্রাকশন" ন্যাচারাল একটা জিনিস। আপনি ছেলে হলে মেয়ের প্রতি হবে আর মেয়ে হলে ছেলের প্রতি হবে। আর এই এট্রাকশনকে আমরা না বুঝে ভালোবাসা নাম দিয়ে দিই।

সত্যি বলতে কি, কেউ যদি আপনাকে বলে সে আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে, সে ডাহা মিথ্যা কথা বলে! আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি নিজেই সেটা পরীক্ষা করে দেখুন।

যেমন, আপনি তাকে বলুন আপনার শরীর অসুস্থ এবং আপনি আর বেশি দিন বাঁচবেন না। দেখবেন কিছুদিন পরে সে আপনাকে কোনো না কোনো অজুহাতে ছেড়ে চলে যাবে । কিন্তু একই কথা আপনি আপনার বাবা মাকে বলে দেখুন, যদি প্রয়োজন হয়, তারা আপনার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিবে। আর এটাই হচ্ছে "রিয়েল লাভ"।

আজকাল লোক "এট্রাকশনকে" লাভ মনে করছে। আর এর জন্য নিজের জীবনকেও নষ্ট করে ফেলছে। আপনার ক্যারিয়ার ছেড়ে যদি আপনি অ্যাফেয়ারের পেছনে ছোটেন, তাহলে আপনার জীবনটাই নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি যে সম্পর্ক তৈরি করেন স্কুল, কলেজ কিংবা কোচিংয়ে, এসব কখনোই পারমানেন্ট কিছু না!

আপনি যদি আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করেন, তাহলে সেটা আপনার জন্য সর্বোচ্চ "বেস্ট অপশন" হবে। কিন্তু আপনার বাবা মা যাকে পছন্দ করবে, সেটা আপনার জন্য হবে "ইউনিক"। যদি আপনি বেস্ট পছন্দ করেন, তবে আপনি ক্লাসের ফার্স্ট বয় বা গার্ল হবেন আর যদি ইউনিক পছন্দ করেন, তাহলে আপনি লাখে একজন হবেন। আরেকটা কথা, অধিকাংশ প্রেমের বিয়ের পরিণতি ভালো কিছু হয় না। দুদিন পরে যদি আপনার লাইফ পার্টনার আপনাকে ছেড়ে চলে যায়, আপনি কাউকে কিছু বলতেও পারবেন না, কারণ পছন্দ তো আপনি করেছিলেন।

তাই যদি ভালোবাসতেই হয়, তবে আপনার বইকে ভালোবাসুন, আপনার কাজকে ভালোবাসুন। কারণ, এরা আপনাকে কখনোই ধোঁকা দেবে না, কিছু না কিছু অবশ্যই দিয়ে যাবে যা দিয়ে আপনি জীবন গড়তে পারবেন।

দিন সবার জন্যই ২৪ ঘন্টার হয়। এমন না যে কেউ আলাদা করে সময় পায়। কিন্তু এই ২৪ ঘন্টায় কেউ ভালোবেসে "পতি" হতে চায়, আবার কেউ পরিশ্রম করে "কোটিপতি" হতে চায়। এখন আপনিই ভেবে দেখুন, আপনি কি হতে চান?

কিছু বছর পর যখন আপনি লোকজনের মুখোমুখি হবেন, তখন তারা এটা জিজ্ঞেস করবে না যে, আপনার কয়টা গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড ছিল। তারা এটাই জিজ্জাসা করবে আপনি কত টাকা রোজগার করেন? আপনার যোগ্যতা কতটা?

এটাই পৃথিবীর নিয়ম! লোক কখনই আপনার অবস্থা জিজ্ঞেস করবে না, তারা আপনার আর্থিক অবস্থা জিজ্ঞেস করবে।

আজকাল ছেলেমেয়েরা প্রমিস করে — "আমি তোমার সাথে সারা জীবন থাকবো!" কিন্তু সত্যিটা হলো, কেউ কারো সাথে সারাজীবন থাকে না। লোক যখন শেষ যাত্রায় যায়, তখনও কাঁধ অদল বদল করে নিয়ে যায়!

আর তাই এখন যদি আপনি মাথা নিচু করে পড়ার টেবিলে পড়ে থাকেন, কিছুদিন পর আপনার মাথা সবার উপরে থাকবে। আর এখন যদি আপনি আরামের কথা ভাবেন, তাহলে সারাজীবন কষ্ট সহ্য করতে হবে। আজ যদি আপনি আপনার বইকে এবং কাজকে ভালোবাসেন, তাহলে কাল মানুষ আপনাকে সম্মান করবে। তাই কোনো ড্রিম গার্ল বা ড্রিম বয়ের জন্য কখনো নিজের বাবা মায়ের স্বপ্নকে নষ্ট করবেন না!

আজ আপনি দুই চারটা প্রেম করে যেটাকে সুখী হওয়া মনে করছেন, সেটা আসলে কোনো সুখ নয়। সত্যি বলতে কি, আপনি এখনও আসল সুখ দেখেনইনি!

সুখী আপনি কবে হবেন জানেন? যেদিন আপনি প্রথম স্যালারি পাবেন কিংবা আপনার বিজনেস শুরু করবেন। (সেটাও কিন্তু আসল প্রকৃত সুখ নয়) কিন্তু যখন আপনি আপনার প্রথম ইনকাম নিয়ে গিয়ে বাবা মায়ের হাতে তুলে দেবেন, তখন আপনার চোখে অশ্রু আসবে। তখন আপনি ফিল করবেন — যেই বাবা মায়ের আঙুল ধরে আমি হাঁটতে শিখেছি, সেই বাবা মায়ের হাতেই আমি আমার প্রথম ইনকাম তুলে দিয়েছি! আর ঠিক তখনই আপনি সত্যিকারের সুখটা ফিল করবেন!

আর যখন আপনি ইনকাম করা শুরু করবেন, তখন আপনি এটাও বুঝতে পারবেন — লক্ষ টাকারও কোনো মূল্য নেই সেই দশ টাকার কাছে, যা আপনার বাবা মা স্কুলে যাবার সময় আপনার হাতে দিত।

একটু ভালোভাবে বাবা মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন — ওটাই হলো সেই আয়না, যেখানে সন্তান কখনো বৃদ্ধ হয় না।

একটি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস ফাইভে পড়ত একটি মেয়ে—রুমি। বয়সে ছোট, কিন্তু মনের দিক দিয়ে অনেক বড়। মুখে সবসময় একটা ...
30/05/2025

একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস ফাইভে পড়ত একটি মেয়ে—রুমি। বয়সে ছোট, কিন্তু মনের দিক দিয়ে অনেক বড়। মুখে সবসময় একটা চাপা হাসি লেগেই থাকত, কিন্তু চোখে ছিল না বলা গল্প।

রফিক স্যার ছিলেন সেই ক্লাসের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। মানুষটি খুব সাধারণ জীবনযাপন করলেও, তার চিন্তাধারা ছিল অসাধারণ। প্রতিদিন ক্লাসে নতুন কিছু শেখানোর চেয়ে তিনি বেশি গুরুত্ব দিতেন মানুষ হয়ে ওঠার পাঠে।

একদিন দুপুরবেলায় ক্লাসের সবার মাঝে দাঁড়িয়ে স্যার বললেন,
"আজ আমরা খেলব একখানা খেলা। তোমাদের সবার লাঞ্চবক্স আমি এক এক করে দেখব। যার খাবার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর, পরিচ্ছন্ন আর ভালোভাবে গোছানো থাকবে, তাকে আমি দেব একটি সুন্দর স্কুলব্যাগ উপহার হিসেবে!"

শুনেই গোটা ক্লাসে হুলস্থুল পড়ে গেল। সবাই উচ্ছ্বসিত। যে যার ব্যাগ থেকে লাঞ্চবক্স বের করে টেবিলে রাখছে, কেউ আবার নিজের লাঞ্চে একটু অতিরিক্ত সাজিয়ে রাখছে—হয়তো শসা কেটে ফুলের মতো করেছে, কেউ ফল সাজিয়েছে রংধনুর মতো করে।

সবার মাঝে ছিল শুধু একজন—রুমি। সে চুপ করে বসে ছিল। চোখে মুখে একটা চাপা সংকোচ। রফিক স্যার একে একে সবার টিফিন পরীক্ষা করলেন। কেউ এনেছে খিচুড়ি, কেউ পরোটা-ডিম, কেউ ফল আর হোমমেড কেক।

শেষে এসে দাঁড়ালেন রুমির সামনে।

"তোমার লাঞ্চবক্স কোথায়, মা?"
রুমি একরকম লজ্জা আর কষ্টে মাথা নিচু করে ব্যাগ খুলে একটা পুরনো ঢাকনা ভাঙা লাঞ্চবক্স বের করল।

স্যার সেটা খুলে দেখলেন—ভিতরে কিছুই নেই। একটুকরো বিস্কুটও নয়।

রুমির চোখে পানি এসে গেল। সে মাথা নিচু করে বলল,
"স্যার, মা সকালে উঠে বলল চাল নাই ঘরে। বাবা কাজ খুঁজছে কিন্তু পাচ্ছে না। কাল রাতেও কিছু খায়নি। আজ সকালে মা এক গ্লাস পানি খেয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছে। বলেছে, লজ্জা পেও না, স্যাররা ভালো মানুষ… বুঝবেন।"

পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ। কারো মুখে কোনো শব্দ নেই। যাদের লাঞ্চবক্সে ছিল বাহারী খাবার, তাদের চোখেও একটা অপরাধবোধের ছায়া।

রফিক স্যার ধীরে ধীরে বললেন,
"আজকের খেলার নিয়ম বদলালাম। এখন আমি যে ব্যাগটি উপহার দেব, সেটা পাবেন সেই, যার লাঞ্চবক্সে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা, সহানুভূতি আর সাহস আছে।"

তারপর তিনি ব্যাগটা নিয়ে এগিয়ে গেলেন রুমির দিকে।

"এই ব্যাগটা আজ রুমির। কারণ, ও আমাদের শেখাল কিভাবে খালি পেট নিয়েও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয়।"

রুমি কাঁদতে কাঁদতে ব্যাগটা গ্রহণ করল। ক্লাসের সবাই হাততালি দিল, কিন্তু সেই তালির শব্দে মিলেমিশে ছিল অনুশোচনা, শ্রদ্ধা আর সহানুভূতির স্পর্শ।

পরদিন সকালবেলা যখন রফিক স্যার ক্লাসে ঢুকলেন, অবাক হয়ে দেখলেন—প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রী একটি করে ছোট ব্যাগ নিয়ে এসেছে। কেউ এনেছে চাল, কেউ ডাল, কেউ আলু-পেঁয়াজ, কেউ বিস্কুট, কেউ ছোট ছোট সাবান কিংবা কাপড়।

রুমির বেঞ্চের পাশে গিয়ে নাজমা নামের এক ছাত্রী বলল,
“স্যার, আমরা মিলে একটা ‘বন্ধুত্বের উপহার’ বানিয়েছি। এসব জিনিস রুমির বাসায় নিয়ে যাবে,, যাতে ওদের কষ্ট একটু হলেও কমে।”

রফিক স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। তার চোখে জল চলে এলো। তিনি শুধু বললেন,
“আজ আমি শুধু শিক্ষক নই, একজন ছাত্রও বটে। তোমাদের কাছেই আমি আজ ভালোবাসা আর মানবিকতা শিখেছি।”

শিক্ষা:
পড়াশোনা জীবনে দরকার, কিন্তু তার চেয়েও জরুরি—সহানুভূতি, দয়া আর অন্যের কষ্ট বুঝতে শেখা। একটা খালি লাঞ্চবক্সও কাউকে মানুষ করে তুলতে পারে, যদি পাশে থাকে এমন কিছু হৃদয়বান বন্ধু।

সমাপ্ত।
গল্প! একটি খালি লাঞ্চবক্স
✍️Farhana Yasmin

একদিন এক শিক্ষক একটি অংক কষতে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, "তোমাদের মধ্যে যে অংকটি পারবে, তাকে আমি এই জুতা জোড়া ...
28/05/2025

একদিন এক শিক্ষক একটি অংক কষতে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, "তোমাদের মধ্যে যে অংকটি পারবে, তাকে আমি এই জুতা জোড়া উপহার দেব।

প্রত্যেকেই অংকটির সঠিক উত্তর দিল।

শিক্ষক কিছুটা হতাশ হয়ে বললেন, "আমি তো মাত্র একজনকে জুতা দিতে পারব। একটা কাজ কর, একটা বাক্স নিয়ে এসো, লটারি করা যাক! তোমরা তোমাদের নাম আর রোল নম্বর লিখে বাক্সের মধ্যে দাও। লটারিতে যার নাম উঠবে সে-ই জুতা জোড়া পাবে।"

শিক্ষকের কথামতো ছাত্রছাত্রীরা তাদের নাম আর রোল নম্বর লিখে বাক্সে ফেলল। শিক্ষক বাক্স একটু ঝাঁকিয়ে চোখ বন্ধ করে একটি কাগজ তুলে বললেন, "আমি কি নামটি পড়ব?"

ছাত্রছাত্রীরা সমস্বরে বলল, "পড়ুন স্যার!"

শিক্ষক পড়লেন, "রাজু। রোল নম্বর ১।"

ছাত্রছাত্রীরা হাত তালি দিয়ে রাজুকে অভিনন্দন জানাল। শিক্ষক নিজের হাতে জুতা জোড়া বিজয়ী ছাত্রের হাতে তুলে দিলেন।

কিছু সময় পর টিচার্স রুমে ওই শিক্ষককে কাঁদতে দেখে সহকারী শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন, "স্যার, আপনার চোখে অশ্রু কেন?"

শিক্ষক জুতার ঘটনা খুলে বলে বললেন, "রাজু ক্লাসের একমাত্র ছাত্র যে কিনা খালি পায় ক্লাসে আসে। আমি ওর কথা চিন্তা করেই অংকটি দিয়েছিলাম। সবাই অংকের সঠিক উত্তর দিল। সবচেয়ে অবাক লাগল, যখন লটারির বাক্স খুলে দেখলাম ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজের নাম না লিখে, সবাই রাজুর নাম লিখেছে, যাতে করে জুতা জোড়া রাজু পায়!"

🌻| সংসার সামলে চালান ট্রেন |🌻দশ বছরেরও বেশি সময় পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়েছেন, এ বার যাত্রিবাহী ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্র...
04/11/2024

🌻| সংসার সামলে চালান ট্রেন |🌻

দশ বছরেরও বেশি সময় পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়েছেন, এ বার যাত্রিবাহী ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রথম মহিলা লোকোপাইলট হিসেবে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর বিরল কৃতিত্ব স্থাপন করলেন দীপান্বিতা দাস। রেল সুত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ট্রেন নিয়ে রওনা দেন দীপান্বিতা হাওড়া পৌঁছে আবার সকাল সাড়ে ১০টায় একই রুটের অন্য একটি লোকাল ট্রেন চালিয়ে মেদিনীপুর ফেরেন।

দুই সন্তানের জননী দীপান্বিতার খড়্গপুর শহরের বাড়িতে রয়েছে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে। স্বামীও রেলেই চাকরি করেন। ট্রেন চালাতে হলেও বাড়ির কাজ নিজেই সামলে নেন। কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করে সবাইকে খাইয়ে স্নান সেরে নিজে মুখে দেন কিছু। পদোন্নতি পেয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকের আসনে বসে আত্মবিশ্বাস কণ্ঠে দুই সন্তানের মা দীপান্বিতা বলছেন,

— “ পণ্যবাহী ট্রেনে সাধারণত সময় একটু বেশি লাগে। যাত্রিবাহী ট্রেনে সেটা একটু কম। ট্রেন চালানোর আগে শারীরিক পরীক্ষার পরেই ট্রেন চালানোর অনুমতি মেলে। এখানে নারী, পুরুষ বলে কোনও আলাদা ব্যাপার নেই। সবাই সমান। তাই আমার প্রমাণ করার কিছুই নেই। এত দিন ধরে ট্রেন চালাচ্ছি, ভয়েরও কিছু নেই।”💛

সত্যিই তাই দীপান্বিতাদের মত দুই সন্তানের জননী লোকাল ট্রেনে চালকের আসনে বসে বার্তা দিচ্ছেন, ‘ আমরা নারী, আমরা সব পারি..’🌿

@ Aro Kichu Kotha

03/11/2024

Prof. (Dr.) Nilanjana Sanyal is currently a Retired Professor and Former Head of the Department of Psychology, University of Calcutta. She is also a practisi...

Address

DHANSIRI
Katwa
713130

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aro Kichu Kotha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Aro Kichu Kotha:

Share