15/08/2024
চোখ খুলে অনেক শব্দ শুনে লোকের চিৎকার ,কিছু জনের গুনগুন শব্দ চারিদিক থেকে ভেসে আসছিল। ধীরে ধীরে আমার ভারী শরীর তুলে বসলাম। দেখি হাতে পায়ে অনেক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে , ও বলাই তো হলো না নাম আমার মৌমিতা দেবনাথ। আমি একজন ডাক্তার, কিন্তু ঠিক করে মনে পড়ছে না যে কি হয়েছিল? সামনে দেখলাম বাবা মা দাঁড়িয়ে আছে। মা বুক চাপড়ে চাপড়ে কাঁদছে, মাকে দেখে আমি তো অবাক! মা কোথা থেকে আসবে এখানে, যাই হোক আমি দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলাম ,ও মা এ কি! ধরতে গিয়ে দেখি ছুঁতে পারছি না, সবাই সামনের দিকে কি যেন একটা দেখে চিৎকার করছে, পিছন ঘুরে দেখলাম... যা দেখলাম সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতন নয়, আমি মৌমিতা দেবনাথ শুয়ে আছি,
ধীরে ধীরে মনে পড়ে গেল আগের দিনের সব কথা, সেমিনার রুমে খাবার পরে এসে কি ঘটনা ঘটেছিল,
মায়ের সাথে কথা বলে আমি জানালাম যে আমার খাওয়া হয়ে গেছে "তোমরা খেয়ে নাও"
আমি খেলা দেখতে খুব ভালোবাসি সেদিন রাতে অলিম্পিকের ম্যাচটাও দেখেছিলাম তারপর হঠাৎ জানিনা কখন ঢলে পড়েছিলাম গভীর ঘুমে , হঠাৎ বুঝতে পারলাম হাত ও পায়ে প্রবল চাপ দিয়ে কেউ আমাকে ধরে রেখেছে কিছু মহিলা আর পুরুষ (সম্ভবত),
তারপর চলল একের পর এক অত্যাচার, অত্যাচারের মাত্রায় যখন অতিষ্ঠ আমার শরীর তখন ঘাড়টাও ভেঙে দিল আমার ,নিঃশ্বাস নিতে না পেরে প্রবল শ্বাসকষ্টে প্রাণ হারালাম।
এ ঘটনা শুধুমাত্র মৌমিতা দেবনাথের নয়।।। এ কলঙ্ক সমস্ত নারী জাতির, কারণ প্রত্যেকটি নারীর শরীর একই ভাবে তৈরি, পরে আরো জানতে পারলাম আমার জন্য শোকের মিছিল করতে গিয়ে প্রাণ হারালো আরেকটি ছাত্রী, বুঝতে পারলাম অনেক বড় ভুল করেছিলাম আমরা শুধুমাত্র এই বঙ্গে নয় ভুল ছিল কন্যা হয়ে জন্মানো,
যেখানে হয়তো কিছু শয়েক মানুষেরা মৌমিতাকে কিছু মাসের মধ্যে নতুন কোনেরূপে দেখতো আশীর্বাদ করতো, নতুন শাড়ি গয়নায় ভরিয়ে দিত আজ তার গলার হার ভাঙ্গা বিবস্ত্র শরীর নিয়ে চলে যেতে হল পরপারে,
ঘটনার উত্তর চাই,
দোষীদের শাস্তি চাই
আর কতদিন?
#ফেসবুক