AITC Kharagapur Social Media

  • Home
  • AITC Kharagapur Social Media

AITC Kharagapur Social Media মা মাটি মানুষ জিন্দাবাদ
তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ

বিজেপি ও তথাকথিত হিন্দুদের যাদের বাবা মা (২০১৪ সালের আগে তো দেশ পরাধীন ছিল) পরাধীন ছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য...... আজ কেন্দ্...
23/04/2025

বিজেপি ও তথাকথিত হিন্দুদের যাদের বাবা মা (২০১৪ সালের আগে তো দেশ পরাধীন ছিল) পরাধীন ছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য...... আজ কেন্দ্রে এগারো বছরের বিজেপি সরকার.... তাহলে আর কতো দিন লাগবে হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য???
গ্যাস, পেট্রল, ডিজেল, কর, খাদ্যদ্রব্য , বেকারত্বের জালা সব কিছুই তো মুসলিম রাই (হিন্দু দের মনে হয় ছাড় দেওয়া হয়, যদিও আমি বা আমার পরিচিত কেউ কোনও ছাড় পাই না) সহ্য করছে। এখন নতুন নাটক... ঘৃণ্য জঙ্গি আক্রমনে এত গুলি নিরীহ মানুষের প্রাণ গেল, সেখানে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা না দেখিয়ে... হিন্দু মুসলিম করছেন !?

আপনারা নোট বন্দি করতে পারেন, ২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি র তদন্ত করতে ভুলে যেতে পারেন, বিপিন রাওযাত এর দুর্ঘটনা ভুলে যেতে পারেন, অরুণাচল প্রদেশ বা মণিপুর কে ভুলে যেতে পারেন, GST লাগু করতে পারেন, Pm Care এর টাকা গায়েব করতে পারেন, ব্যাংক জালিয়াতি দের পালাতে সাহায্য করতে পারেন , গরিব মানুষের টাকা মেরে বড় বড় শিল্পপতি দের কর মুকুব করতে পারেন, জাল ওষুধ কোম্পানির থেকে কোটি কোটি টাকা ভোটের জন্য চাঁদা নিতে পারেন, দেশের সম্পত্তি বেসরকারীকরন করতে পারেন, Made by China কে Make in India বলে চালাতে পারেন, দেশের আদিবাসী দের মেরে তাড়িয়ে জঙ্গল দখল করতে পারেন... তাহলে ভারতের ৪০-৪৫ কোটি (বিজেপি নেতাদের দেশের ৩০% জনসংখ্যা হিসেবে) মুসলিম দের মারতে পারেন না??
আচ্ছা দেশের না হয় মুসলিম দের নাই মারলেন, পাকিস্তান এর ২২-২৫ কোটি মুসলিম দের তো মেরে দিতেই পারেন?? তাহলে তো কাশ্মীরের সমস্যাই থাকবে না। সেটাও যদি না পারেন (তাহলে তো আপনাদের কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকবে না) আপনার অবৈধ বাপ কে বলুন চুপ থেকে কি ভাবে ৭০ বছর বয়সেও প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকা যায় নাগপুরে গিয়ে তেল মেরে সেটা ঠিক করতে। আর আপনারা রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দু মুসলিম করুন।

এবার সময় এসেছে আমাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের.... আমরা বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ.... ভারতীয় সেনা দের তাদের কাজ করতে দিন 🇮🇳🙏

01/04/2025

সমস্ত জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়িয়ে আবার ভারতবাসী কে বোকা বানাল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদী জী 😡😡

*বোকা দিবস* এর শুভেচ্ছা জানাই সকলকে... সবাই ভালো থাকুক সুস্থ্য থাকুক এই প্রার্থনা করি।
সেই মানুষেরাও ভালো থাকুক যারা আমায় বোকা ভাবে 😜

বাঙ্গালীরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে লন্ডন যায় 🇮🇳🇬🇧আর এই দিকে গুজরাটিরা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে লন্ডন পাল...
25/03/2025

বাঙ্গালীরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে লন্ডন যায় 🇮🇳🇬🇧
আর এই দিকে গুজরাটিরা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে লন্ডন পালায় 😁😜

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্মানীয় সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন, অনুসন্ধান দপ্তরের মন্ত্রী *ডঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া* মহাশয়ের চক্ষু অপারে...
22/03/2025

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্মানীয় সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন, অনুসন্ধান দপ্তরের মন্ত্রী *ডঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া* মহাশয়ের চক্ষু অপারেশন হয়েছে।
ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি ও ওনার পরিবারের সকলে ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই প্রার্থনা করি।

জয় হিন্দ, জয় বাংলা

21/03/2025

যখনই ভোট আসে... এই বিজেপি র জারজ সন্তানরা... ঝামেলা করতে এলাকায় পৌঁছে যায়। কখনো কোনও বিপর্যয়, দুর্ঘটনা, মেডিকেল ইমার্জেন্সি তে এনাদের পাবেন না.... মহিলাদের সাথে এই রকম ব্যবহার করার জন্য দিলীপ ঘোষ কে ধিক্কার জানাই... 😡😡
ছিঃ ছিঃ ছিঃ বিজেপি ছিঃ ছিঃ ছিঃ

🌱🌲🌳গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান 🌳🌲🌱🌴🌱🌵International Day of Forest 🌵🌱🌴আজ আন্তর্জাতিক বনপালন দিবস বা...
21/03/2025

🌱🌲🌳গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান 🌳🌲🌱

🌴🌱🌵International Day of Forest 🌵🌱🌴

আজ আন্তর্জাতিক বনপালন দিবস বা বিশ্ব বন দিবস। ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ মার্চকে আন্তর্জাতিক বন দিবস ঘোষণা করেন। সবাই গাছ লাগানোর বিষয়ে একটু ভাববেন, যাতে এই পৃথিবী ভালো থাকে আর আমরাও ভালো থাকতে পারি।

আসছে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সহ বিভিন্ন ফলের মৌসুম। তাই অনুরোধ ফল খাওয়ার পর তার বীজ বা দানা গুলোকে যেখানে সেখানে ফেলে না দিয়ে সেগুলো কে ভালো করে জলে ধুয়ে শুকিয়ে একটা কাগজে মুড়ে রেখে দিন। তারপর বর্ষার মরসুমে ঘুরতে বা কাজে যাওয়ার পথে সেই বীজ গুলো একটু সচেতনতার সাথে রাস্তার ধারের ফাঁকা জমিতে একে একে ছড়িয়ে দিন। বর্ষার মৌসুমে সেই বীজ থেকে নতুন চারাগাছ জন্ম নেবে। যদি এদের মধ্যে একটা গাছও বেঁচে থাকে তবে সেটাই হবে এই পৃথিবীকে আপনার দেওয়া সবথেকে বড় উপহার।

সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন, পৃথিবীর একটু খেয়াল রাখুন

জয় হিন্দ, জয় বাংলা
💚💙 🇮🇳🇮🇳 💙💚

আমরা যা দেখি - উনি হিজাব পড়ে ইফতার করেন, সাজদা করেন অতএব মোল্লা তোষণ করেন।আমরা যা দেখিনা - উনি শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথা ঢ...
20/03/2025

আমরা যা দেখি - উনি হিজাব পড়ে ইফতার করেন, সাজদা করেন অতএব মোল্লা তোষণ করেন।

আমরা যা দেখিনা - উনি শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে গুরুদ্বারায় শিখ ভাইদের কাছে পৌঁছে যান।
আমরা যা দেখিনা - উনি দুর্গাপুজোয় মায়ের চোখ এঁকে পুজোর উদ্বোধন করেন।
আমরা যে দেখিনা - উনি বড়দিনে চার্চে ফাদার এর কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন।
আমরা যে দেখিনা - উনি নিজের বাড়ির কালীপূজোতে নির্জলা উপোস রাখেন।
আমরা যা দেখিনা - উনি ধামসা মাদলের তালে আদিবাসীদের সাথে নাচে পা মেলান।
আমরা যা দেখিনা - উনি মতুয়াদের গামছা কাঁধে নিয়ে কাঁসর ঘণ্টায় মেতে ওঠেন।
আমরা যা দেখিনা - উনি গ্রামের দালানে বসে পড়ে আজও মুড়ির থালা হাতে নিতে পারেন, কিংবা গ্রামের পথে হঠাৎ থমকে টালির চালের চা এর দোকানটায় ঢুকে নিজের হাতেই চা বানাতে পারেন, আবার পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে মহিলাদের সাথে হাঁটু গেঁড়ে বসে মোমো তৈরী করতেও পারেন।

অর্থাৎ আমরা যে দেখি তা আমাদের দেখানো হয়, কিছুটা জোর করে, কিছুটা বাধ্য করে আর বাকিটা বুদ্ধি করে।

আর আমরা যে দেখিনা, সেটা আমাদের আড়াল করা হয়, বারবার বারবার একই খবর একই অপবাদ অভিযোগ তোষণ, মোল্লা তোষণ, দাড়িওয়ালা তোষণ, ব্রাহ্মণ বাড়ির মেয়ে হলে কেন উনি হিজাব পড়বেন এসব নানা রকম পর্দা দিয়ে সত্যি গুলোকে বারবার আড়াল করার, লুকিয়ে ফেলার এবং মিথ্যে প্রমাণ করার চেষ্টা হয়। কিছু লোক আবার এগুলো জেনেও না জানার ভান করেন।

কিন্তু দিনের শেষে আমরা সকলেই জানি উনি যতটা ভরসা একজন হিন্দু ব্রাহ্মণের, ততটাই ভরসা নমশূদ্র ভাইটার, ততটাই ভরসা রাজবংশীর, ততটাই ভরসা আদিবাসী বোনটার।উনি গুরু গোবিন্দ সিং এর জন্মদিনে ঠিক ততটাই সম্মান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যতটা পঁচিশে ডিসেম্বর সেন্ট ক্যাথিড্রাল এ ফাদার সাথে জেসাস এর সামনে মোমবাতি জ্বালাবার সময় করেন। তাই ইফতার পার্টিতে উনি হিজাব পড়বেন, সাজদাও করবেন - বেশ করবেন, একশোবার করবেন, বারবার করবেন।

তাই তোষণ এর আঙুল তোলার আগে, নিজের বিবেক , নিজের ঠুলি পড়া একপেশে মানসিকতার দিকে আঙুল তুলুন, মিডিয়া আইটি সেল ফেক খবর সব মিলে যে বিষ আপনাকে রোজ গুলিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে তাদের দিকে আঙুল তুলুন।

এই বছর সত্তরের বেঁটে খাটো মহিলাটির নামে সমালোচনা , নিন্দা, খিস্তি খেউড় , খিল্লি করার আগে একবার প্রশ্ন করে দেখুন নিজেকে, নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন - এই মেয়েটি এই মহিলাটার মত কি সত্যিই লড়তে, করে দেখাতে, জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসতে পারা টা সহজ ছিল? আমার আপনার তো এই বয়সে রিটায়ারমেন্ট এর পর দুটো হাঁটুর অপারেশন, একটা বাইপাস, একগাদা ওষুধের প্যাকেট পকেটে নিয়ে বাকিটা জীবন ফ্ল্যাট বাড়ির একছিলতে বারান্দায় বসে কাটিয়ে ফেলার কথা আর এই মেয়েটা এই মহিলাটা??? তাকে তো আজও লড়তে হচ্ছে, আজও একই আগুন একই জেদ নিয়ে গোটা দেশ কে বুঝিয়ে চলেছেন ওই বাংলায় এখনও একজন দিদি আছে যে মাথা নত করেনি, হার ও মানেনি ।

মমতা ব্যানার্জি কে জিন্দাবাদ বলুন না বলুন, মনে মনে প্রতিটা বাঙালি কেই ওনার এই অদম্য লড়াইকে জিন্দাবাদ বলতেই হবে, হয় আজ না হয় কাল, মানতে হবেই।

তোমার লড়াই দীর্ঘজীবী হোক দিদি।

জয় হিন্দ, জয় বাংলা
💚💙💚💙💚💙
তৃণমূল কংগ্রেস, খড়গপুর

"ভাই" বলে ডেকে পিঠে ছুড়ি মারার নাম বিজেপি। বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদির কাছে "ভাই" কখনোই হিন্দুরা নয়। নরেন্দ্র মোদির ভাই হ...
18/03/2025

"ভাই" বলে ডেকে পিঠে ছুড়ি মারার নাম বিজেপি। বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদির কাছে "ভাই" কখনোই হিন্দুরা নয়। নরেন্দ্র মোদির ভাই হলেন নিরব মোদী, মেহুল চোক্সি কিংবা ললিতরা। তাদের ভাই বলে ডেকে দেশের টাকা লুটে বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়। আর বিজ্ঞাপনে বিজেপি যাদের ভাই বলে, তাদের কপালে জোটে দামি গ্যাস, আধার-গ্যাস লিঙ্ক করার নাম করে হাজার টাকার ফাইন কিংবা বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধি!

যে বাঙালি হিন্দুদের জন্য বিজ্ঞাপন, বহু রাজ্যের থেকে অনেক বেশি সাংসদ দেওয়ার পরেও তাদের কপালে জোটে না একটিও পূর্ণ মন্ত্রিত্ব!

বাঙালি জানে, বিজেপি কি জিনিস!

বাম আমলের খুন সন্ত্রাস বাংলার মানুষ ভুলতে পারবে কী? একটা প্রশ্ন তাদের আজও তাড়া করে...তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ ??
17/03/2025

বাম আমলের খুন সন্ত্রাস বাংলার মানুষ ভুলতে পারবে কী? একটা প্রশ্ন তাদের আজও তাড়া করে...তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ ??

রং তাদের সাথেই খেলুন... যারা রং লাগাতে জানে, রং বাদলা তে নয়... ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।      *গেরুয়া* রঙের ন্যায় ত্যাগ ...
14/03/2025

রং তাদের সাথেই খেলুন... যারা রং লাগাতে জানে, রং বাদলা তে নয়... ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

*গেরুয়া* রঙের ন্যায় ত্যাগ ও ধৈর্য্য থাকুক জীবনে, *সবুজ* রঙের ন্যায় নির্ভীকতা, কর্ম শক্তি, জীবন বোধে উজ্জ্বল হোক আপনার জীবন, *সাদা* রঙ আনুক জীবনে শান্তি ও পবিত্রতা, *নীল* রঙের মতো উন্নতি ও প্রগতিশীল হোক আপনার জীবন, *লাল* রঙের ছোঁয়ায় শক্তি বাড়ুক মনে, *গোলাপি* রঙের আভায় ফুটে উঠুক আপনার হাসি। নানা রঙের মতো আপনার জীবনও হয়ে উঠুক রঙিন।
সকলকে *দোল পূর্ণিমা* ও *শুভ হোলি* র জানাই আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

দোলযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে নানা মত, নানা বিশ্বাস, এমনকী নানা পৌরাণিক আখ্যান। আর এর জন্যই পাল্টে যায় দোলের নাম। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমায় বৃন্দাবনে আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই ঘটনার পর থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। দোলযাত্রার দিন সকালে রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নান করিয়ে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান করতে করতে শোভাযাত্রা বের করেন বৈষ্ণবরা। দোল উৎসবের অনুষঙ্গ থাকায় ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে তাই ‘দোলপূর্ণিমা’ বলা হয়। এই পূর্ণিমাতেই জন্ম হয় গৌরাঙ্গ চৈতন্য মহাপ্রভুর। তাই একে ‘গৌরপূর্ণিমা' নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। দোলযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমনই নানা গাথা।

বৈষ্ণবধর্ম ছাড়া শৈবধর্ম ও শাক্তধর্মেও হোলি উৎসবের তাৎপর্য রয়েছে। হোলি নিয়ে আরেকটি গল্প আছে যা ভালোবাসার জন্য আগুনে পুড়ে আত্মত্যাগ এর সাথে সম্পর্কিত। এই গল্পটি শিব ও কামদেবের। শিবের সাথে পার্বতীর বিবাহ হবার পূর্বে, পার্বতী শিবকে যোগ ও ধ্যান থেকে বাস্তব জগতে ফিরিয়ে আনবার জন্য বসন্ত পঞ্চমীর দিনে প্রেমের দেবতা কামদেবের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কামদেব (প্রেমের দেবতা) এবং তার স্ত্রী রতি (প্রেমের দেবী) পার্বতীকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে পার্বতী শিবকে তার স্বামী রূপে অর্জন করতে সক্ষম হন। শিব যোগাসনে গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। কামদেব ও রতি শিবের ধ্যান ভঙ্গ করে পার্বতির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করানোর জন্য তার দিকে তীর (মদন বাণ) ছোড়ে। কিন্তু ধ্যানে এই বিঘ্ন ঘটবার কারণে শিব তার তৃতীয় চক্ষু খোলেন এবং সেই চোক্ষুর তেজদীপ্ত চাহনিতে কামদেব দগ্ধ হয়ে ছাইয়ে পরিণত হয়। এই ঘটনায় কামদেবের স্ত্রী রতি বিমর্ষ হয়ে পড়ে। তাদের তীর কাজ করেনি, বরং শিবকে বিদ্ধ করার আগেই এগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তিতে শিব ও পার্বতির বিবাহ হয়। এই বিবাহের সময় রতি শিবের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে কামদেবকে তার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। শিব সম্মত হন, এবং কামদেবকে সত্যিকারের আবেগ এর একটি অবাস্তব সত্তা হিসেবে তাকে ফিরিয়ে দেন। প্রেমের দেবতার এই ফিরে আসা বসন্ত পঞ্চমি উৎসবের চল্লিশ দিন পর হোলি হিসেবে পালিত হয়।

দোলযাত্রার হোলি হয়ে ওঠার কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ। পুরাণ মতে, পৃথিবীতে একসময় একাধিপত্য স্থাপন করেছিলেন রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপু। তাঁর দাবি ছিল, পৃথিবীর সকলকে একমাত্র হিরণ্যকশিপুর উপাসনা করতে হবে। কিন্তু তিনি নিজের ছেলে প্রহ্লাদকে বশ করতে পারেননি। কারণ প্রহ্লাদ ছিল বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত। অনেকবার চেষ্টা করেও প্রহ্লাদকে হত্যা করতে ব্যর্থ হন হিরণ্যকশিপু। শেষ পর্যন্ত তাঁর বোন হোলিকাকে হিরণ্যকশিপু অনুরোধ করেন শিশু প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করতে। এর কারণও রয়েছে। হোলিকা ছিলেন বরপ্রাপ্ত। সেই বর ছিল, আগুন তাঁর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। অগত্যা দাদার নির্দেশ পালন করেন হোলিকা। তবে হোলিকা জানতেন না, একা আগুনে প্রবেশের ক্ষেত্রেই এই বর প্রযোজ্য। নয়তো তাঁর মৃত্যু হবে। ক্রমাগত বিষ্ণু নাম জপ করতে করতে রক্ষা পায় শিশু প্রহ্লাদ। আর আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় হোলিকার। সেই থেকেই উত্তর ভারতে দোল পূর্ণিমার আগের দিন পালিত হয় হোলিকা দহন উৎসব যা আমরা পালন করি ন্যাড়াপোড়া / চাচঁড় / চাচুঁড়ি নামে। হোলি নামেরও উৎপত্তি ‘হোলিকা' শব্দ থেকেই। এটির উদ্ভব ভারতীয় উপমহাদেশে এবং সেখানে বেশি উদযাপিত হয়, তবে দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীদের মাধ্যমে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল এবং পশ্চিমা বিশ্বের কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব।

শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। অতীতে শান্তিনিকেতনের বিদ্যালয়ে বসন্তের আগমন উপলক্ষে একটি ছোটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নাচগান, আবৃত্তি ও নাট্যাভিনয় করা হত। পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠানটি পরিব্যপ্ত হয়ে শান্তিনিকেতনের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব বসন্তোৎসবের আকার নেয়। পূর্বরাত্রে বৈতালিক হয়। দোলের দিন সকালে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল গানটির মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের কোনো নাটক অভিনীত হয়।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন হিন্দু ঐতিহ্যেই হোলি উৎসবের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। এটি একটি উৎসবমুখর দিন যখন একজন তার অতীতের ভুলগুলো ভুলে যায়। এই দিনে মানুষেরা একে অপরের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ মিটমাট করে ফেলে, একে অপরকে ক্ষমা করে দেয়। হোলি উৎসব একই সাথে বসন্তের আগমন বার্তাও নিয়ে আসে। অনেকের কাছে এটা নতুন বছর শুরুকে নির্দেশ করে। এটি ঋতু পরিবর্তনকে উপভোগ করা ও নতুন বন্ধু বানানোর উৎসব। ঐতিহ্যগতভাবে এই উৎসবটি শিখ, জৈন এবং নেপালের নেওয়ার বৌদ্ধদের মধ্যেও দেখা যায়।

দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও লিঙ্গ বৈষম্যহীন দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন ভাষাভাষী নারীপুরুষ আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মেতে ওঠেন.... যা আমাদের দেশে বিবিধের মাঝে মিলন মহান এর বার্তা যুগ যুগ ধরে প্রদান করে আসছে।

সংকলন :- *চন্ডী সিং*
তথ্য সাহায্য :- *গুগল*

Address

Kharagpur

Telephone

+919002919474

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AITC Kharagapur Social Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share