14/03/2024
দিনটা ছিল 1901 সালের 22 জানুয়ারি। সে দিনেই মারা গেলেন ইংল্যান্ডের রানি ও তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতীয় সাম্রাজ্ঞী "রানি ভিক্টোরিয়া"। রানির মৃত্যুর পর তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন কলকাতায় এক বৈঠক ডেকে রানিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করার প্রস্তাব পেশ ও পাশ করেন। ভাইসরয়ের ইচ্ছে ছিল তাজমহলের আদলে রানির এমন এক স্মৃতি সৌধ তৈরি করা যেখানে সারা পৃথিবীর মানুষ পর্যটক হিসেবে ভিড় জমাবে। এই স্মৃতি সৌধ তৈরির বেশিরভাগ অর্থই এ দেশের জনগণ বহন করেছেন। লর্ড কার্জনের আবেদনে বা বলা ভালো আদেশে যে আদেশ সে সময় অগ্রাহ্য করার দুঃসাহস কারোর ছিল না। সেই আদেশেই ভারতীয় রাজা,জমিদার, ধনী,অভিজাত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রানির স্মৃতি সৌধ নির্মাণের বেশিরভাগ অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। ভিক্টোরিয়া স্মৃতি সৌধের নকশা তৈরির দায়িত্ব পেয়েছিলেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল মার্টিন এ্যান্ড কোম্পানিকে।যে কোম্পানির যুগ্ম মালিক ছিলেন স্যার রাজেন মুখার্জি ও স্যার থমাস এ্যাকুইনাস। সৌধটি নির্মাণের পরই স্যার রাজেন মুখার্জি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে নাইট উপাধি পেয়েছিলেন।
যে জমিতে বর্তমানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অবস্থান করছে অতীতে সেটি প্রেসিডেন্সি জেলের জমি ছিল। প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদের সেখানে রাখা হত।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাবের পর প্রেসিডেন্সি জেলকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়।