বর্ণাক্ষর উৎসব - Barnakhar Utsav

বর্ণাক্ষর উৎসব - Barnakhar Utsav শিল্পী এবং শিল্পের খোঁজে।

ভগবান দাস (১২ জানুয়ারি ১৮৬৯ – ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮) স্বাধীনতা সংগ্রামী, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ, মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপ...
11/01/2024

ভগবান দাস (১২ জানুয়ারি ১৮৬৯ – ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮) স্বাধীনতা সংগ্রামী, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ, মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠের সহঃপ্ৰতিষ্ঠাপক। তিনি মদনমোহন মালব্য-এর সাথে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্ৰতিষ্ঠার জন্যেও কাজ করেছিলেন। তিনি কিছুদিন ব্ৰিটিশ ভারতের কেন্দ্রীয় বিধানসভার সদস্য ছিলেন; তারপর তিনি হিন্দুস্তানী সাংস্কৃতিক সমাজের সাথে জড়িত হয়েছিলেন এবং হিংসাত্মক ঘটনাকে প্ৰতিহত করতে প্ৰতিবাদ করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারত রত্ন প্ৰদান করেছিল।

খুজিস্তা আখতার বানু জাহিদ সোহ্‌রাওয়ার্দীয়া (খুজস্থা আখতার বানু নামেও উচ্চারিত হয়) যিনি সোহ্‌রাওয়ার্দীয়া বেগম নামে প...
11/01/2024

খুজিস্তা আখতার বানু জাহিদ সোহ্‌রাওয়ার্দীয়া (খুজস্থা আখতার বানু নামেও উচ্চারিত হয়) যিনি সোহ্‌রাওয়ার্দীয়া বেগম নামে পরিচিত, ছিলেন ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকের একজন লেখক, বাঙালি সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। খুজিস্তা ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ১৮৮৭ সালে সিনিয়র ক্যামব্রিজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এছাড়াও তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি মর্যাদাপূর্ণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একজন পরীক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি বাংলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর মা ছিলেন।

নেলী সেনগুপ্তা (১২ জানুয়ারি ১৮৮৬ — ২৩ অক্টোবর ১৯৭৩) ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী এবং সমাজকর্মী। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে রক্...
11/01/2024

নেলী সেনগুপ্তা (১২ জানুয়ারি ১৮৮৬ — ২৩ অক্টোবর ১৯৭৩) ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী এবং সমাজকর্মী। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে রক্ষা করার জন্য নিরলস সংগ্রাম করে গিয়েছেন।

নেলী সেনগুপ্তা



নেলী সেনগুপ্তা

জন্ম১২ জানুয়ারি ১৮৮৬

ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ (বর্তমান  ইংল্যান্ড)

মৃত্যু২৩ অক্টোবর ১৯৭৩নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 ভারতপেশারাজনৈতিক কর্মী, সমাজকর্মীপরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যারাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসআন্দোলনঅসহযোগ আন্দোলন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনদাম্পত্য সঙ্গীযতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তপিতা-মাতা

ফ্রেডারিক গ্রে (পিতা)

এডিথ হেনরিয়েটা গ্রে (মাতা)

পুরস্কারপদ্মবিভূষণ

জন্ম ও পরিবারসম্পাদনা

ভারতের মুদ্রায় নেলীর ছবি

নেলী সেনগুপ্তা ১৮৮৬ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফ্রেডারিক গ্রে ও মাতার নাম এডিথ হেনরিয়েটা গ্রে। দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর সাথে বিবাহ হয়। স্বামীর আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন[১]।

রাজনৈতিক জীবনসম্পাদনা

নেলী সেনগুপ্তা ১৯১০ সালে কলকাতায় কংগ্রেস রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯২১ সালে মহাত্মা মহাত্মা গাঁধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে চট্টগ্রামে খদ্দর বিক্রয় করার সময় প্রথম গ্রেফতার হন নেলী সেনগুপ্তা। ১৯৩০ সালে দ্বিতীয় অসহযোগ আন্দোলনের কাজ করার জন্য যতীন্দ্রমোহনের সঙ্গে দিল্লি, অমৃতসর প্রভৃতি জায়গায় যান। দিল্লিতে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময় নেলী গ্রেফতার হন। ১৯৩৩ সালের ২৩ জুলাই, তার স্বামী কংগ্রেসের নেতা ও বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান। এরপরেও নেলী স্বাধীনতা সংগ্রামে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করে যেতে থাকেন। দেশ ভাগের পরে তিনি স্বামীর পৈতৃক ভূমিতে ছিলেন। ১৯৪৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সম্মাননাসম্পাদনা

১৯৭৩ সালে ভারত সরকার নেলী সেনগুপ্তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান 'পদ্মবিভূষণ’ উপাধি প্রদান করে। কলকাতা শহরের লিন্ডসে স্ট্রীট রাস্তাটি 'নেলী সেনগুপ্তা সরণী' হিসেবে নামাঙ্কিত হয়েছে। কেষ্টপুরে তার স্মৃতিতে একটি বালিকা বিদ্যালয় আছে।

মৃত্যুসম্পাদনা

নেলী সেনগুপ্তা ১৯৭০ সালে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। ১৯৭৩ সালের ২৩ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

সূর্য সেন (২২ মার্চ ১৮৯৪ - ১২ জানুয়ারি ১৯৩৪) বা সূর্য কুমার সেন যিনি মাস্টারদা নামে সমধিক পরিচিত, তার ডাকনাম ছিল কালু, ...
11/01/2024

সূর্য সেন (২২ মার্চ ১৮৯৪ - ১২ জানুয়ারি ১৯৩৪) বা সূর্য কুমার সেন যিনি মাস্টারদা নামে সমধিক পরিচিত, তার ডাকনাম ছিল কালু, কারণ তিনি প্রচন্ড কালো ছিলেন। পরজের মতে৷ ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং নিজ জীবন বলিদান করেন। সূর্যসেনের বাহিনী কয়েকদিনের জন্যে ব্রিটিশ শাসনকে চট্টগ্রাম এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। সূর্য সেনের অন্যতম সাথী বিপ্লবী অনন্ত সিংহের ভাষায় "কে জানতো যে আত্মজিজ্ঞাসায় মগ্ন সেই নিরীহ শিক্ষকের স্থির প্রশান্ত চোখ দুটি একদিন জ্বলে উঠে মাতৃভূমির দ্বিশতাব্দীব্যাপি অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হবে? ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ দমনের জন্য বর্বর অমানুষিক অত্যাচারের প্রতিশোধ, জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ! কে জানতো সেই শীর্ন বাহু ও ততোধিক শীর্ন পদযুগলের অধিকারী একদিন সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ রাজশক্তির বৃহত্তম আয়োজনকে ব্যর্থ করে - তার সমস্ত ক্ষমতাকে উপহাস করে বৎসরের পর বৎসর চট্টগ্রামের গ্রামে গ্রামে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলবে?"তার সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়। এছাড়া কলকাতা মেট্রো, সূর্য সেনের স্মরণে বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনটির নামকরণ করেছে মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশন।রাউজানে তার নামানুসারে রাঙামাটি-লেলেঙ্গারা সড়কে একটি গেইট নির্মাণ করা হয় মাস্টারদা সূর্য সেন গেইট নামে।যার পাশেই রাউজান সরকারি কলেজ সংলগ্ন রোডে মাস্টার দ্যা সূর্য সেন এর একটি প্রতিকৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।

প্রতি বছর ১২ জানুয়ারি তারিখ ভারতে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। এই দিনটিতে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে ভার...
11/01/2024

প্রতি বছর ১২ জানুয়ারি তারিখ ভারতে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। এই দিনটিতে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে জাতীয় যুব দিবস পালন করা হবে।
এ বিষয়ে ভারত সরকারের মুখপত্রে বলা হয়েছে:
'এটি অনুভূত হয় যে, স্বামীজির দর্শন এবং জীবন ও কর্মপদ্ধতি যা তিনি অনুসরণ করতেন তা ভারতীয় যুবদের জন্য অনুকরণীয়।'

স্বামী বিবেকানন্দ (১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ – ৪ জুলাই ১৯০২; জন্মনাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত) ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লে...
11/01/2024

স্বামী বিবেকানন্দ (১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ – ৪ জুলাই ১৯০২; জন্মনাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত) ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ" ...," ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন।
স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তার রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? / জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।" – বিবেকানন্দের সর্বাধিক উদ্ধৃত একটি উক্তি।
ভারতে বিবেকানন্দকে ‘বীর সন্ন্যাসী’ নামে অভিহিত করা হয় এবং তার জন্মদিনটি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়।

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী(উচ্চারিত [laːl bəˈɦaːd̪ʊr ˈʃaːst̪ri]; , ২রা অক্টোবর ১৯০৪  – ১১ ই জানুয়ারি ১৯৬৬) ছিলেন ভারতের ২য় প...
10/01/2024

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী(উচ্চারিত [laːl bəˈɦaːd̪ʊr ˈʃaːst̪ri]; , ২রা অক্টোবর ১৯০৪ – ১১ ই জানুয়ারি ১৯৬৬) ছিলেন ভারতের ২য় প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন দলনেতা ছিলেন।
১৯২০ সালে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন। গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে তিনি প্রথমে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও পরে জওহরলাল নেহ্‌রুর একজন বিশ্বস্ত অনুগামী হয়ে ওঠেন। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে হয়ে ওঠেন জওহরলাল নেহ্‌রুর অন্যতম প্রধান সঙ্গী, প্রথমে রেলমন্ত্রী(১৯৫১-১৯৫৬) হিসেবে ও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। শাস্ত্রীকে নেহেরুর উত্তরসূরী হিসেবে বাছাই করা হয় যখন নেহেরু পুত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতে নাকচ করে দেন।
শাস্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেহেরুর অপক্ষপাত ও সমাজতন্তের নীতিকেই মেনে চলেছিলেন। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাক যুদ্ধে নায়ক ছিলেন ইনিই। তার বিখ্যাত স্লোগান "জয় জওয়ান, জয় কিষান" এই যুদ্ধের সময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। এমনকি এখনও এই স্লোগান মানুষে মনে রেখেছে। ১৯৬৬ সালের ১০ ই জানুয়ারি তাশখন্দে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এবং পরের দিন ওখানে শাস্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সে সময় মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভারত শাস্ত্রী হৃদরোগে মারা গেছে বলে প্রচার করলেও তার পরিবার তা অস্বীকার করে তদন্তের দাবি তোলে। ভারত মনে করে শাস্ত্রীর মৃত্যু তদন্ত যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই হৃদরোগেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) অনেকগুলো ইভিডেন্স ও আলামত দেখিয়ে প্রমাণ করে যে, শাস্ত্রীকে যুদ্ধ বিরতি চুক্তির পর পাকিস্তানি গোয়েন্দারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

লক্ষ্মীনারায়ণ রায়চৌধুরী (জন্ম: জানুয়ারি ১১, ১৮৬৬ - মৃত্যু: নভেম্বর ৮, ১৯৩৩) ভারত উপমহাদেশের প্রথম পেশাদার আলোকচিত্রী-...
10/01/2024

লক্ষ্মীনারায়ণ রায়চৌধুরী (জন্ম: জানুয়ারি ১১, ১৮৬৬ - মৃত্যু: নভেম্বর ৮, ১৯৩৩) ভারত উপমহাদেশের প্রথম পেশাদার আলোকচিত্রী-চিত্রকরদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ১৮৬৬ সালে লাহোর শহরে রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি - ফোটোগ্রাফার্স অ্যাণ্ড আর্টিস্টস নামে একটি সংস্হা স্হাপন করেন যা বর্তমানে তার তৃতীয় পুত্র রঞ্জিত রায়চৌধুরীর পৌত্র হৃদয়েশ রায়চৌধুরী কর্তৃক ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরে অবস্হিত।

দিলীপ বাগচী (১৯৩৫ - ১১ জানুয়ারি, ২০০৭) একজন বাঙালি কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ ও গণসঙ্গীত শিল্পী।দিলীপ বাগচীভাষানজরে রাখুনসম্প...
10/01/2024

দিলীপ বাগচী (১৯৩৫ - ১১ জানুয়ারি, ২০০৭) একজন বাঙালি কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ ও গণসঙ্গীত শিল্পী।
দিলীপ বাগচী

ভাষা

নজরে রাখুন

সম্পাদনা

দিলীপ বাগচী (১৯৩৫ - ১১ জানুয়ারি, ২০০৭) একজন বাঙালি কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ ও গণসঙ্গীত শিল্পী।

দিলীপ বাগচী

জন্ম১৯৩৫

পাবনা জেলা, ব্রিটিশ ভারত

মৃত্যু১১ জানুয়ারি, ২০০৭আন্দোলননকশাল আন্দোলন

প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা

দিলীপ বাগচীর জন্ম বাংলাদেশের পাবনা জেলায়। পিতা যুগান্তর বিপ্লবী দলে যুক্ত ছিলেন এবং স্বদেশী আন্দোলনের সময় একবার কারাবাস করতে হয়। দাদা ব্রিটিশবিরোধী নৌ - বিদ্রোহে যোগদান করে গ্রেপ্তার হন। দেশভাগের পর প্রথমে বাঁকুড়া ও পরে হাওড়া আসেন। হাওড়া জেলা স্কুলে পড়ার সময়ে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান শুনে গণসঙ্গীতে আগ্রহ জন্মে। এই স্কুলে তার সহপাঠী ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার অভিনীত স্কুলের সমস্ত নাটকে মূল গায়ক ছিলেন দিলীপ বাগচী।[১]

ছাত্র ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনসম্পাদনা

১৯৫১ সালে ছাত্রাবস্থাতেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। কমিউনিস্ট রাজনীতির সংগে যোগাযোগ রাখার অপরাধে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। রাজনৈতিক প্রচারকার্য করার সময় স্বরচিত গান গাইতেন, এভাবেই রচিত হয়েছে বহু গণসঙ্গীত যা তৎকালীন পার্টিকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিল। হাওড়া নরসিংহ দত্ত কলেজে পড়ার সময় ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য হন এবং ট্রামভাড়া বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলনে যোগদান করে পুলিশের গুলিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছিলেন। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ এ ভর্তি হয়ে গননাট্য নদীয়া জেলা শাখার সাথে যুক্ত হন। ছাত্র ও সাংস্কৃতিক ফ্রন্টে একইসাথে কাজ করতেন। ১৯৫৬ সালের প্রবল বন্যায় হারমোনিয়াম নিয়ে গানের দলের সাথে গ্রামে গঞ্জে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে গান গেয়েছেন দিনের পর দিন। পরের বছর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ। পরিবার থেকে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যে বোম্বেতে পড়াশোনার জন্যে পাঠালে সেখানে সলিল চৌধুরী, রুমা গুহঠাকুরতা, বাসু ভট্টাচার্য ও বোম্বের সংগীতজগতের ব্যতিক্রমী মানুষের সাথে যোগাযোগ হয়। পরবর্তীতে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সাথেও আলাপ গড়ে ওঠে গানের সূত্রে। দিল্লীতে সারা ভারত গণনাট্য সংঘের সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করেন। থিতু হয়ে কোথাও থাকেননি ফলত প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বারবার ব্যাহত হয়েছে। যেখানে গেছেন যেখানকার আঞ্চলিক ভাষা, সুর, প্রকৃতি নিয়ে গান বাঁধার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তার। ১৯৫৭ সালে পার্টি কংগ্রেসে গ্রামে গিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৯৫৯ সালে নদীয়া মুর্শিদাবাদ জেলায় পার্টির সর্বক্ষনের কর্মী হিসেবে কাজ করতে করতে আবার শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছেন। এসময় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে স্কুলে এক পংক্তিতে ছাত্রদের খাইয়ে সমাজপতিদের বিরাগভাজন হন। মুর্শিদাবাদের টুঙ্গী গ্রামের ইউনিয়ন বোর্ডের ভোটে সাহসিকতার সাথে স্বচ্ছ নির্বাচনের দায়িত্ব নেন। কৃষক সভার সদস্যদের সাথে প্রতিরোধ করেন তদানীন্তন শাসকদলের গুন্ডা ও ভাড়াটে লেঠেলবাহিনীর। এর ফলে তাকে প্রানে মারার চক্রান্তও হয়। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষের সময় ভারতরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে বহরমপুর জেলে প্রেরিত হন। এসময় কারাকক্ষের ভেতরেও গান রচনা করেছেন এই চারণ কবি। জেল থেকে বি.এ পরীক্ষা দিতে চাইলে তা কারাকর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করেনি। ১৯৬৪ সালে পার্টি কংগ্রেসের আগেই গোপন বলশেভিক কোর গঠন করেন স্বদেশ মিত্র, ডালিম চক্রবর্তী, বিমল করগুপ্তদের সাথে, যাতে করে সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী পার্টি গঠন ও সশস্ত্র সংগ্রামের প্রথম আহবান জানানো হয়। এই বেনামী দলিলটি বিপ্লবী সূর্য সেনের নামে ছাপা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ'র ছাত্র হিসেবে ভর্তি হন ও জনপ্রিয় গায়ক হওয়ার সুবাদে ছাত্র রাজনীতিতে পরিচিত হয়ে ওঠেন দিলীপ বাগচী।[২] তিনি সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এসময় তাদের 'সূর্য সেন দলিল' নিয়ে শিলিগুড়ির কমিউনিস্ট নেতৃত্বের সাথে কথাবার্তা হয় ও পরে চারু মজুমদারের বাড়িতে তার সাথে সাক্ষাত হলে তিনি এই দলিলকে নাকচ করেন।[১][৩]

নকশাল আন্দোলনসম্পাদনা

১৯৬৭ সালে নকশালবাড়ী হত্যাকান্ডের দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ও নকশাল, নকশাল, নকশালবাড়ীর মা' গানটি রচনা করেন। এটি আঞ্চলিক রাজবংশী ভাষায় মৈষাল সুরে গাওয়া। নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লেখা এটিই প্রথম গান যা বিপ্লবী কর্মীদের ভেতর অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল।[৪][৫][৬] ২২ আগস্ট শিলিগুড়িতে তার ও অন্যান্য ছাত্রনেতাদের প্রচেষ্টায় এক বিরাট জনসভা হয় যেখানে নকশালবাড়ী কৃষক সংগ্রামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও নাট্যকার উৎপল দত্ত। এই ঘটনার পরপরই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) থেকে চারু মজুমদার, সৌরেন বসু, মহাদেব মুখার্জীর সাথে একই দিনে বহিষ্কৃত হন দিলীপ বাগচী। আত্মগোপন করা অবস্থায় মুর্শিদাবাদ থেকে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে ১৯৬৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। তার বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা বর্জন করে। শিলিগুড়ি স্পেশাল জেলে তাকে রাখা হয় বিপ্লবী নেতা জঙ্গল সাঁওতাল, পবিত্রপানি সাহা প্রমুখদের সাথে। দার্জিলিং জেলে রাজনৈতিক বন্দীর মর্যাদার দাবীতে অনশন করেন। স্লোগান দেওয়ার কারণে পুলিশের অত্যাচারে সংজ্ঞা হারান। তাকে দমদম সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে তাকে স্কুলের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়, আদালতের রায়ে পূনর্বহাল হন। বহু স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করেছেন, পরীক্ষা ব্যবস্থা সংশোধন ও বিনা ট্যুইশন ফি'তে পড়ানোর দাবীতে আন্দোলন করেছেন। জরুরী অবস্থার পরে কৃষক- মজদুর সমিতি গঠন, বন্দী মুক্তি আন্দোলন, মানবাধিকার আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন আমৃত্যু।[১][৭]

লেখাসম্পাদনা

তার লেখা অজস্র গান আছে যা সংগ্রহ করা যায়নি। 'তরাই এর গান' নামক একটি ক্যাসেট সংকলন সোদপুরের 'নিশান্তিকা গোষ্ঠী' বের করে। অসংখ্য প্যারোডি, ছড়া, শিক্ষা ও গণসংগীত বিষয়ক প্রবন্ধ এবং কিছু ছোটগল্প লিখেছেন বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে। সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার 'বুকের পাথর' উপন্যাসে একাধিকবার দিলীপ বাগচীর সশ্রদ্ধ নামোল্লেখ করেছেন।[৮]

মৃত্যুসম্পাদনা

তার শেষ জীবন অর্থকষ্ট ও যন্ত্রনার মধ্যে কেটেছে। পরিবারকেও তার সম্মুখীন হতে হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে চাকরি জীবনে বহুবার। প্রাপ্য টাকা পয়সা থেকে বঞ্চিত হয়ে নিতান্ত অবহেলায় মারা যান ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি।[১][৪]

শিশির কুমার ঘোষ (১৮৪০ - ১০ জানুয়ারী, ১৯১১) বাংলার নবজাগরণের ব্যক্তিত্ব, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িত...
09/01/2024

শিশির কুমার ঘোষ (১৮৪০ - ১০ জানুয়ারী, ১৯১১) বাংলার নবজাগরণের ব্যক্তিত্ব, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা।

শিশির কুমার ঘোষ

প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা

শিশির কুমার ঘোষ সালে ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার অমৃত বাজার(মাগুরা) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যশোর জিলা স্কুলে কিছুদিন পড়াশুনার পর কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে ১৮৫৭ সালে এন্ট্রান্স পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। যশোর ফিরে জনকল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন।[১]

সামাজিক অবদানসম্পাদনা

শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটি ইনস্পেকটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও সমাজসেবা ও সাহিত্য সাধনার প্রতি তীব্র অনুরাগ ছিল তার। তিনি ঝিকরগাছায় বাজার স্থাপনা করেন ও নাম দেন অমৃত বাজার। নিজে মুদ্রণযন্ত্র কিনে এনে পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন। তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৮৬৮ সালে অমৃত বাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠা। সত্যনিষ্ঠ লেখনী ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে নীলকরদের অত্যাচার নির্ভয়ে তুলে ধরতেন শিশির কুমার। তার নির্ভীক ও সত্যনিষ্ঠ কলম সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে ও কৃষক শ্রেণীর পক্ষে সর্বদা সচল ছিল। ১৮৭৪ সালে তার পত্রিকায় নীল বিদ্রোহকে বাংলার প্রথম বিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়। তার জনপ্রিয়তা ও সাহসী ভূমিকায় সরকার চিন্তিত হয়। ফলত ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন শিশির কুমার এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়। তার পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন ব্যারিস্টার মনমোহন ঘোষ। পত্রিকাটি ক্রমশ দ্বিভাষিক হয় ও ১৮৯১ সাল থেকে দৈনিক আকারে প্রকাশ হতে থাকে। তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সংবাদপত্র নিবারণ আইন, দমন মূলক আইন, ইত্যাদির বিরোধীতা করেন। তারই উদ্যোগে ১৮৭৫ সালে গঠিত হয় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন। সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে শিশির কুমার ঘোষের অবদান উল্লেখযোগ্য। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে বিধবা বিবাহ চালু করার পক্ষে যে অল্প কয়েকজন মনীষা ছিলেন তিনি তাদের অন্যতম। এর স্বপক্ষে তিনি অমৃরতবাজার পত্রিকায় জোরালো প্রবন্ধ লেখেন। তার অনন্য সামাজিক অবদানের জন্যে তাকে মহাত্মা বলে ডাকা হত।[২]

সাহিত্যসম্পাদনা

শিশির কুমার বঙ্গীয় নাট্যশালা স্থাপনে অবদান রাখেন। তার রচিত প্রহসন নাটক বাজারের লড়াই ও নয়শো রূপেয়া নাটক দুটি তারই পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয়। তিনি ছয় খণ্ডে শ্রী অমিয় নিমাই চরিত্ ও ইংরেজিতে Lord Gouranga Ges এবং Salvation for All গ্রন্থ রচনা করেহিলেন। তার অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল শ্রী কালাচাঁদগীতি, শ্রী নিমাই সন্যাস, সর্পাঘাতের চিকিৎসা, সংগীত শান্ত্র।[৩]

জব চার্নক (১৬৩০ -১০ জানুয়ারি, ১৬৯৩) ১৭শ শতকের একজন ইংরেজ ব্যবসায়ী। কোম্পানির কাসিমবাজার কারখানায় জব চার্নক ১৬৫৮ খ্রিস...
09/01/2024

জব চার্নক (১৬৩০ -১০ জানুয়ারি, ১৬৯৩) ১৭শ শতকের একজন ইংরেজ ব্যবসায়ী। কোম্পানির কাসিমবাজার কারখানায় জব চার্নক ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে একজন নিম্নপদস্থ ব্যবসায়ী হিসেবে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তে যোগদান করেন। যখন ১৬৮৬-৯০ খ্রিস্টাব্দের ইঙ্গ-মুগল যুদ্ধ শুরু হয় তখন তিনি কোম্পানির হুগলি বসতির প্রধান ছিলেন। বাংলা রণাঙ্গনে পরাজিত হলে শীঘ্র ইংরেজদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং তারা ব্যবসায়ে পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হয়ে মাদ্রাজে সরে যায়। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হলে শায়েস্তা খান এর উত্তরাধিকারী সুবাহদার ইব্রাহিম খান বাংলায় ব্যবসায়-বাণিজ্য পুনরায় শুরু করতে তাদের ডেকে পাঠান। দুটি প্রধান বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে জব চার্নক সুবাহদারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। একটি ছিল ইংরেজদের বসতি হুগলি থেকে সুতানুটিতে স্থানান্তরের প্রস্তাবে সরকারকে অবশ্যই রাজি হতে হবে। দ্বিতীয়ত, বার্ষিক পূর্বনির্দিষ্ট ৩০০০ টাকা কর পরিশোধের বিনিময়ে কোম্পানিকে বাংলায় শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের অনুমতি প্রদানকারী একটি ফরমানের দ্বারা সুবাহদার তাদেরকে আনুকূল্য করবেন। সুবাহদার ইব্রাহিম খান তাদের উত্থাপিত উভয় পরিকল্পনা মেনে নিতে সম্মত হন। এভাবে উপসাগরীয় পরিষদের প্রধান হিসেবে জব চার্নক ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ আগস্ট তারিখে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত জলাভূমি বেষ্টিত সুতানুটির নির্বাচিত জমিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠি স্হাপন করেন । ভারতের পূর্ব সীমান্তে একটি ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানির শাখা স্থাপনের প্রতি চার্নকের উচ্চাকাঙ্ক্ষা-চালিত দৃঢ়তা যা তিনি নিজের শর্তে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বর্তমান কলকাতা শহর তৈরিতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছিল।
চার্নক স্থানীয় একটি নিম্নবর্গীয় মেয়েকে বিয়ে করেন, যাকে তিনি পুনঃনামকরণ করেন মারিয়া। ইংরাজদের রচিত কাহিনী অনুযায়ী, চার্নক তাকে সতীদাহের চিতা থেকে উদ্ধার করে বিয়ে করেন। মারিয়ার গর্ভে তার চারটি কন্যার জন্ম হয়; বাংলায় বসবাসরত ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের বিয়ে হয়। চার্নক ১৬৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি কলকাতায় ইহলোক ত্যাগ করেন। তাকে সেন্ট জন দিসিসন্স চার্চে সমাধীত করা হয়।জব চার্নককে ঔপনিবেশিক ইতিহাসকারগণ কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা বলতেন। ২০০৩ সালে কলকাতা উচ্চন্যায়ালয় এক ঐতিহাসিক আদেশে এই তথ্য ভুল ঘোষণা করেন।

সুন্দরলাল বহুগুণা (৯ জানুয়ারি ১৯২৭ - ২১ মে ২০২১)   একজন ভারতীয় বিশিষ্ট গড়ওয়ালি পরিবেশবিদ এবং চিপকো আন্দোলনের নেতা। চ...
08/01/2024

সুন্দরলাল বহুগুণা (৯ জানুয়ারি ১৯২৭ - ২১ মে ২০২১) একজন ভারতীয় বিশিষ্ট গড়ওয়ালি পরিবেশবিদ এবং চিপকো আন্দোলনের নেতা। চিপকো আন্দোলনের ভাবনাটি তার স্ত্রীর ছিল এবং সুন্দরলাল এই আন্দোলনটি বাস্তবায়িত করেছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে প্রথমে চিপকো আন্দোলনের সদস্য হিসাবে এবং পরে ১৯৮০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তেহরি বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে, বছরের পর বছর ধরে তিনি হিমালয় অঞ্চলে বন সংরক্ষণের জন্য লড়াই করে গেছেন। তিনি ভারতের গোড়ার দিকের অন্যতম পরিবেশবিদ, এবং পরে তিনি এবং চিপকো আন্দোলনের সাথে যুক্ত লোকেরা পরিবেশগত সমস্যাগুলি যেমন বড় বড় বাঁধ তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে।

Address

36/9 Baruipur Fultala 3no Gate Vivekananda Pally, South 24 Parganas, W. B Kolkata-
Kolkata-
743387

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বর্ণাক্ষর উৎসব - Barnakhar Utsav posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বর্ণাক্ষর উৎসব - Barnakhar Utsav:

Share