Pritisha

Pritisha My name is Eti. Follow me my page video creator��. wish me 3rd October.

"কুকুরের আয়ু কেন মানুষের আয়ুর চেয়ে কম?"প্রশ্নটি বিস্ময়কর একটি ব্যখ্যা দিয়েছিল মাত্র ৬ বছর বয়সী এক শিশু!কিছুদিন আগে, একটি...
01/07/2025

"কুকুরের আয়ু কেন মানুষের আয়ুর চেয়ে কম?"
প্রশ্নটি বিস্ময়কর একটি ব্যখ্যা দিয়েছিল মাত্র
৬ বছর বয়সী এক শিশু!

কিছুদিন আগে, একটি আইরিশ উল্ফহাউন্ড প্রজাতির কুকুরের চিকিৎসা করছিলাম। কুকুরটির নাম বেল্কার, বয়স ১০ বছর। বেল্কার, তার মালিক রন, রনের স্ত্রী লিসা, ও তাঁদের শিশুপুত্র শেন, প্রত্যেকেরই খুব আদরের পোষা। এবং, অলৌকিকভাবে হলেও তাঁদের প্রিয় বেল্কারের আরোগ্য কামনা করছিলেন তাঁরা। বেল্কারের ব্যাধিটি চিকিৎসার আওতার বাইরে চলে গিয়েছিল। ক্যান্সারে ভুগছিল সে।

আমি দেখছিলাম, অসহনীয় শারীরিক যন্ত্রণা সইতে না-পেরে দুমড়েমুচড়ে কাতরাচ্ছে প্রাণীটা। রন ও লিসাকে প্রস্তাব দিলাম, অসহায় প্রাণীটির জন্য আমাদের যেহেতু আর কিছুই করার নেই,
ওর যন্ত্রণা লাঘবে এখন ইউথানাশিয়া (ব্যথাহীন ঐচ্ছিক মৃত্যু কার্যকর)-ই উত্তম পদ্ধতি। তাঁরা রাজি হলেন।

যখন ইউথানাশিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, রন ও লিসা অনুরোধ করলেন তাঁদের পুত্র শেনকে যেন পুরো ব্যাপারটির সময় সাথে রাখা হয়, সব দেখতে দেওয়া হয়! তাঁদের ধারণা, প্রিয় প্রাণীটির ব্যথাবিহীন মৃত্যু কার্যকর দেখার অভিজ্ঞতাটি তাকে ওর বিষয়ে ভবিষ্যতে মনোবেদনা থেকে মুক্তি দেবে, জীবনের জন্মমৃত্যুর স্বাভাবিক নিয়ম মেনে নিতে সাহায্য করবে।

পরদিন, ইউথানাশিয়ার পূর্ব মুহূর্তে, রনের পরিবার যখন বেল্কারকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখে শেষ বিদায় জানাচ্ছিল গায়ে হাত বুলিয়ে, শেষ চুমুর আদরে, আমার চোখ ভরে উঠেছিল অশ্রুতে।
ওই সময়, শেন ছিল খুবই শান্ত, এবং নিরন্তর হাত বুলিয়ে যাচ্ছিল তার আদরের বেল্কারের গায়ে। আমি ধরতে পারছিলাম না, সে বুঝতে পারছে কিনা কী হতে চলেছে! কয়েক মিনিটের মধ্যেই, চিরতরে ঘুমিয়ে গেল বেল্কার, পরম প্রশান্তিতে।

মনে হলো, মাত্র ৬ বছরের শিশুটি, ওই মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবেই নিল। তার চোখেমুখে কোনো বেদনা বা হাহাকার লক্ষ্য করলাম না আমি। একজন পেশাদার চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও,
ওই মুহূর্তে আমার বুকের ভেতরটা বিষণ্ণ হয়ে উঠেছিল, ছোট্ট শেনের জন্য। তাকে নিয়ে বাইরে বেরুলাম, একটি নির্জন স্থানে বসলাম দু'জনে, পাশাপাশি; এক বুড়ো আর এক শিশু। আলাপ আরম্ভ করলাম, মানুষের আয়ুর চেয়ে কেন কুকুরের আয়ু কম, এই নিয়ে। শেন, চুপচাপ শুনে যাচ্ছিল। এবং হঠাৎই, সে বলে উঠল, "আমি জানি, কেন কম!"

চমকে উঠেছিলাম! অতঃপর, সে যা বলল, শুনে, আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম! মাত্র দু'টি বাক্যের সেই অপূর্ব ব্যাখ্যাটির চেয়ে সুখময় কিছু আর কোনোদিন শুনবো বলে মনে হয় না এই জীবনে! শিশুটির সেই কথা দু'টি, চিরকালের জন্য, জীবন, আয়ু ও বেঁচে থাকা সম্পর্কে আমার ধারণা, সম্পূর্ণরূপে পাল্টে দিল।

শেন বলেছিল, "জন্মের পরে, মানুষ অনেক... অনেক... অনেক দিন ধরে বাঁচে কারণ তারা শিখতে থাকে- সবসময় অন্যকে কিভাবে ভালোবাসবে, সবসময় অন্যের সাথে সুন্দর ব্যবহার কীভাবে করবে, অন্যকে কখনো কষ্ট না-দিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকবে সবসময়, কীভাবে সবসময়েই অন্যের সাথেসাথে-পাশেপাশে থাকবে- এইসব; তাই না?" তারপর , সে বলল, "কুকুরেরা তো ছোট্ট থেকে ওইসব কিভাবে করতে হয় জানেই,কিভাবে ভালবাসতে হয় সেটা তো ছোটো থেকেই শিখে আসে ,সেজন্যই তাদেরকে আমাদের মতো এতো বেশি দিনের জীবন লাগে না।"

আমি, কেঁদেছিলাম সেইদিন, সারারাত। আমি জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছিলাম সেইদিন, একটি শিশুর মুখের দু'টি মাত্র বাক্যের ভিতরে। যে-জীবনের আরাধনা করতে শিখিনি আমরা কখনো।

একটি জীবন, ক্ষুদ্র একটি সাধারণ জীবন, আমাদের। কেন আমরা একে, অন্যের প্রতি উদার, অন্যের জন্য আন্তরিক, বিনয়ী, সাধাসিধাভাবে, যাপন করতে শিখলাম না!

#সংগৃহীত

🌸 *মায়ার খেলা* 🌸  _রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর_এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম,  প্রেম মেলে না,  শুধু সুখ চলে যায়।  এমনি মায়ার ছলনা।  ...
01/07/2025

🌸 *মায়ার খেলা* 🌸
_রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর_

এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম,
প্রেম মেলে না,
শুধু সুখ চলে যায়।
এমনি মায়ার ছলনা।
এরা ভুলে যায়, কারে ছেড়ে কারে চায়।

💫 জীবনের গভীর অর্থ বোঝার জন্য কখনো কখনো হারাতে হয়,
প্রেমের প্রকৃত মানে বুঝতে পারা শুধু সুখে নয়,
বেদনার মাঝেও খুঁজে পাওয়া যায়।

#সংগৃহীত

মাকে সবসময় মাছের মধ্যে খেতে দেখতাম লেজের পিসটা। সে বলত ঐটা তার প্রিয়। ভাবতাম লেজে এত কাঁটা, তা কেমন করে কারো প্রিয় হতে ...
01/07/2025

মাকে সবসময় মাছের মধ্যে খেতে দেখতাম লেজের পিসটা। সে বলত ঐটা তার প্রিয়। ভাবতাম লেজে এত কাঁটা, তা কেমন করে কারো প্রিয় হতে পারে?

কিন্তু সময়ের চাকা ঘুরে যখন নিজের বউ হয়ে যাওয়ার পর সংসারের নানা নিয়ম, বণ্টন, ও রীতির মুখোমুখি হতে হয়—তখন বুঝি, মা যেটাকে পছন্দ বলতেন, সেটা আদতে ছিল না তার ইচ্ছা, ছিল ত্যাগের আরেক নাম।

এক নববধূ যখন যৌথ পরিবারে ঢোকে, তখন তার জন্য সবকিছুই নতুন। নতুন পরিবেশ, নতুন মুখ, আর নতুন নিয়ম। একদিন যখন শ্বশুরবাড়িতে মাছ রান্না হলো, তখন শুরু হলো ‘কে কোন পিস খাবে’ সেই পূর্ব নির্ধারিত নাটক। শ্বশুর খাবে মাথা, ননদরা পেটি, স্বামী ও দেবরেরা ঘাড় বা পেটের ভালো অংশ। আর বাকী থাকে সেই লেজ আর কাঁটা ভর্তি অংশ—যা শেষমেশ নববধূ আর শাশুড়ীর ভাগ্যে জোটে।

নতুন বউ ভদ্রতা করে বলে, "না, আমি লেজ খেতে পারি।" আর সেখানেই শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝির চিরকালীন এক পর্ব। পরদিন থেকে শুরু হয় প্রচার—"বউ তো লেজ পছন্দ করে!" কেউ জানতে চায় না, সেটা সত্যি কি না। কেউ বুঝতেও চায় না, সেটা আদতে ভদ্রতা না বাধ্যতা। ঠিক যেমনটা হয় হাজারো মায়ের ক্ষেত্রেও।

আমাদের মায়েরা কখনো জিজ্ঞাসা করেনি, ‘আমার পছন্দ কী?’ তারা শুধু বণ্টনের শেষে যা পড়ে থাকে, তাই মেনে নিয়েছে। সেটাকেই ভালোবেসে নিয়েছে। অথবা ভালোবাসার ছদ্মবেশে সেই কষ্টটাকে গিলে নিয়েছে। আমাদের হয়তো বোঝার বয়স হয়নি তখন, কিন্তু মা-ই তো সেই মানুষ, যে নিজের চাহিদাকে চুপচাপ কোণায় সরিয়ে রেখে আমাদের খুশিতে হাসতেন। মাছের লেজ, মুরগির গলা-পা, পোড়াভাত, পোড়াটা ডাল—সবই ছিল মায়েদের ‘পছন্দ’।

এই সমাজে নারীরা অনেক সময় এমন এক মনস্তাত্ত্বিক ত্যাগের মধ্যে দিয়ে যায়, যা বাইরে থেকে দেখলে 'পছন্দ' মনে হয়, কিন্তু ভেতরে থাকে আত্মত্যাগ, নিঃশব্দ অভিমান, আর তুচ্ছ হয়ে থাকার অসহায়তা। মেয়েরা এভাবেই স্যাক্রিফাইস করে। গোপনে, নীরবে, আত্মসম্মানের আড়ালে।

আমরা অনেকেই বুঝি না, আমাদের স্বার্থের আড়ালে কেমন করে কোনো এক মা বা স্ত্রী নিজের চাহিদা বিসর্জন দিয়ে দেয়। আর সেটা যখন নিজের জীবনেও ফিরে আসে, তখনই এক মুহূর্তে চোখের সামনে ভেসে ওঠে—মায়ের মুখ। আর মনে হয়, তখন কেন একবারও জিজ্ঞাসা করিনি, “মা, সত্যিই কি লেজ পছন্দ করো?”

আজও অনেক মায়ের পাতে পড়ে থাকে সেই লেজের টুকরো, শুধু ভালোবাসা দিয়ে সাজানো এক চিরন্তন ত্যাগের প্রতীক হয়ে। প্রশ্ন একটাই—আমরা কি কখনো জানতে চাইবো, কী পছন্দ ছিল তাদের? নাকি সব সময় ধরে নেব, মেয়েরা এমনই হয়—ত্যাগ করতে জানে, আর মুখ বুজে সব মেনে নেয়?

An Animesh

#সংগৃহীত

🕉️  ওঁ যথাগ্নের্দাহিকা শক্তিঃ রামকৃষ্ণে স্থিতা হি যা ।         সর্ববিদ্যাস্বরূপাং তাং সারদাং প্রণমাম্যহম্ ।।🍂  মহামায়ার ...
01/07/2025

🕉️ ওঁ যথাগ্নের্দাহিকা শক্তিঃ রামকৃষ্ণে স্থিতা হি যা ।
সর্ববিদ্যাস্বরূপাং তাং সারদাং প্রণমাম্যহম্ ।।

🍂 মহামায়ার মায়া।
( 'আশাপূর্ণা দেবী' )

যারা মন দিয়ে দেখতে জানে, তারাই জানে হাতি থামও নয়, দড়িও নয়, জানে— সম্পূর্ণ হাতি কি জিনিস। যারা দেখেছে তারাও তো যে সে নয় !

তারাও যে অবতরণ করেছে অবতারের সঙ্গে । কেউ আগে কেউ পিছে । মা বলেন, *"তোমাদের ভাবনা কিসের ? 'ঠাকুর' তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছেন ।"*

তারা বলে— "মা, কেবল ঠাকুরের দোহাই দিয়ে নিজেকে আড়াল করতে চাও ? তোমাকেও চিনে ফেলেছি
আমরা ।"

সেইসব সার্থক সাধক সন্তানদের দেখাদেখি, আরো সবাই যায় ফুল নিয়ে বিল্বপত্র নিয়ে । ভাবটা যেন, 'আমরাও চিনে ফেলেছি, আর ভাবনা কি ?'

সেই তারা রাধুকে দেখে থতমত খেয়ে যায় ! মলিন হয়ে যায় ভাঙা চুপড়িটির ওপর পর্যন্ত আঁট দেখে । বুঝতে পারে না, বলে— 'কি অন্ধ মায়া !'

আবার ভক্তের ঈর্ষাও আছে ! সেও তো কম নয় । ভাবটি এই— 'এ কি ? আমার মা, সম্পূর্ণ আমার নয় কেন ?' আমি জানি না এ ভাব আর কারো মনে জাগে কিনা, আমার কিন্তু বার বার মনে হয়—

এই দূর পরিপ্রেক্ষিতে— যদি সেই অপূর্ব লীলাকালীন সমস্ত পার্শ্বচরিত্রগুলিকে নাটকের পাত্র-পাত্রীর মতো সাজিয়ে রেখে কল্পনা করতে বসি ? কেমন দেখতে লাগে ?

নিকট ভক্ত, দূরাগত ভক্ত, কৌতুহলী দর্শক, কত চরিত্র ! তাহলে এই অপূর্ব নাটকের অভিনয়ে আমরা কি দেখতে পাই না শ্রীশ্রীমায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত সন্তানদের মনের মধ্যে কেমন অভিমানের মেঘ ?

🍂 "মা সারদার বোধন বা পূজা করবার সামর্থ আমাদের অনেকেরই নেই বটে তবে তাঁকে স্মরন করবার ক্ষমতা আমাদের অল্পবিস্তর আছে ।

আমাদের দেবী সারদা ছিলেন অন্নদা, বলদা, শুভদা, সুখদা, জ্ঞানদা, মুক্তিদা ও বরদা । কল্পলতিকা শ্রী শ্রীমার কাছে কি বর চাওয়া যায় ? আমরা অজ্ঞানী তাই মায়ের কাছে জগতের আজেবাজে বস্তুই প্রার্থনা করি ।

ঠাকুর স্বামীজীর ভিতর দিয়ে আমাদের শিখিয়ে গেলেন মায়ের কাছে কি প্রার্থনা করতে হয় ।

অনশনক্লিষ্ট মা, ভাইবোনদের অভাবমোচনের উদ্দেশ্য নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে মা কালীর কাছে স্বামীজী প্রার্থনা করলেন ঃ " মা, বিবেক দাও, বৈরাগ্য দাও, জ্ঞান দাও, ভক্তি দাও, অবাধ দর্শন দাও ।" কি অপূর্ব প্রার্থনা ! এই পঞ্চ প্রার্থনায় আমাদের সকলের অধিকার ।

মায়ের মন্দিরে তার ফটোর সামনে যখন দাঁড়াই, তখন মনে হয়ঃ মা, আমাদের চোখ অজ্ঞানের দ্বারা আবৃত । তোমাকে দেখবার মতো চোখ আমাদের নেই । হে জননী, তুমি আমাদের করুণাভরে দেখ, কৃপা দৃষ্টি কর ।

আমরা তোমার শরন নিয়েছি, আমাদের উপেক্ষা করা তোমার সাজে না । হে মা সর্বমঙ্গলা, তুমি আমাদের মঙ্গল কর । এই বর দাও মা যাতে চোখ বুঁঝলে তোমাকে মানসপটে দেখি আর খোলা চোখে তোমাকে যেন সর্বত্র সর্বভূতে দেখি ।"
( যা দেবী মা সারদা , স্বামী চেতনানন্দ )

🍂 চিত্তশুদ্ধি
১৯১৮ সালের পূজার পূর্বে একজন শ্রীশ্রীমা-কে জিঞ্জাসা করেছিল — "মা, মনের মধ্যে অসৎ চিন্তা ওঠে কেন ?"
মা বললেন — "সাধারণ মনের স্বভাবই হলো নিচের দিকে যাওয়া । মানুষ কত মনের জোর সম্বল করে বাঁধ দিয়ে রাখে, আবার বাঁধ ভেঙে কখন-কখন জল বেরিয়ে পড়ে । তবুও বরাবর চেষ্টা রাখতে হয় । কিন্তু জানবে সাধুসঙ্গ সৎচর্চায় মন খুব উর্ধ্বমুখী হয়, সাধুদের কৃপায় অতি নীচ লোকেরও মনের গতি ফিরে যায় ৷ দেখ বৃন্দাবনের সেই সোনা-খোঁজা সাধুর মহাপুরুষের কৃপায় দিব্যজ্ঞান হয়ে গেল, পরশ-পাথর পেয়েও ফেলে দিলে ।
সাধুর বেশ ধরে এক ব্যাধ পাখি ধরতে গিয়ে পাখিদের সরল নির্ভয় ভাব দেখল, তাতে নিজেরই বৈরাগ্য উদয় হলো ; সে ব্যাধবৃত্তি ছেড়ে দিলে ।

সেইজন্য সৎসঙ্গ সময় পেলেই করবে, সাধুসঙ্গ না পেলে সৎ গ্রন্হ পড়বে ; মহাপুরুষদের জীবন আলোচনা করলে চিত্ত শুদ্ধ হয় । দেখ, জলের গতি স্বভাবত নিচের দিকে, কিন্তু সূর্যের আলো পেয়ে সেই জল আবার আকাশে ওঠে, পাহাড়ের মাথায় বরফ হয়ে যায়, আবার বৃষ্টি, ঝরনা, নদী হয়ে জীবের কত কল্যাণ করে ।"
( সংগৃহীত )

🌼 জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদ্গুরুম্ ।
পাদপদ্মে তয়ো শ্রিত্বা প্রণমামি মুহুর্মুহুঃ ।।"

🌼 ওঁ প্রণাম মা। কৃপা করো। শরণাগত করো। সকলের মঙ্গল করো। বিপদমুক্ত করো। সংকট মোচন করো।
#সংগৃহীত

Good night❤️
01/07/2025

Good night❤️

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Sujata Chowdhuri, Samir Ghosh, Soma Ghosh Bhomick, Sutapa...
01/07/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Sujata Chowdhuri, Samir Ghosh, Soma Ghosh Bhomick, Sutapa Mondal, Sraoj Jana, Laltu Kumar

বিভূতিভূষণের করুণ মৃত্যুঅরণ্য আর প্রকৃতি ভালোবাসতেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভালোবাসতেন বলেই  ‘পথের পাঁচালী’ ‘আরণ্য...
01/07/2025

বিভূতিভূষণের করুণ মৃত্যু

অরণ্য আর প্রকৃতি ভালোবাসতেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভালোবাসতেন বলেই ‘পথের পাঁচালী’ ‘আরণ্যক’ ‘চাঁদের পাহাড়’-এর মতো প্রকৃতিঘেঁষা কালজয়ী উপন্যাসগুলো বেরিয়েছিল।

অরণ্য-প্রকৃতিকে ভালোবাসতেন বলেই প্রায়ই বন-পাহাড়ের টানে বেরিয়ে পড়তেন। একবার ঘটল অঘটন, তাঁর জীবনের সবচেয়ে অঘটন।

পাহাড়ে পূর্ণিমার চাঁদ উঁকি দিয়েছে। সেই রুপালি আগুন ঝরা রাতে তিন পথিক এগিয়ে চলেছে গাঢ় অন্ধকার ঠেলে। পুর্ণিমার উছলে পড়া আলো ওঁদের হাতছানি দেয়, ঘরছাড়া করে। চারপাশে সুনশান নীরবতা।

তক্ষক কিংবা ঝিঝিরা রাতের জয়গান করে। জোনাকির দল জ্বল-নেভে সেই শাল-মহুয়ার বনে। রাতজাগা পাখিরা ডানা ঝাপটায়। কখনো কলজে কাঁপানো তীক্ষ্ণ চিৎকারে কেঁপে ওঠে বন।

কখন যে বিভূভূষণে পেছনে ফেলে অন্য দুজন এগিয়ে গেছেন, তারা খেয়ালই করেননি। হঠাৎ এক আর্তচিৎকারে থেমে যান তাঁরা। বুঝতে পারেন, বিপদে পড়েছেন বিভূতিভূষণ। পিছন দিকে ঘোরেন সঙ্গীকে খুঁজতে। বেশি দূর যেতে হয় না।

পাহাড়ী ঢালে বসে পড়েছেন বিভূতি। জোসনার ম্লান আলোতেও স্পষ্ট দেখতে পেলেন তাঁর আতঙ্কিত চেহারা। সঙ্গীদের উপস্থিতিও লোকটা ভয় দূর করতে পারে না। ভয়ার্ত কণ্ঠে বার বার বলছেন, ‘এ আমি কী দেখলাম, এ আমি কী দেখলাম!’ সঙ্গী দূজন তাঁকে ধাতস্ত হওয়ার সুযোগ দিলনে। এক সময় অনেকটাই সুস্থ বোধ করলেন ভদ্রলোক। বললেন তাঁর ভয় পাওয়ার কারণ। অবিশ্বাস্য সে গল্প। সঙ্গীরা বোঝা আর না বোঝার দোলচালে।

বনপথের সৌন্দর্যে আনমনা পিছিয়ে পড়েন খানিকটা লোকটা বিভূতি। ভাবেন, জোর পায়ে হেঁটে ধরবেন সঙ্গীদের। তখনই দেখতে পান একটা শবযাত্রা। একদল লোক খাটিয়া কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেছে শশ্মানের দিকে। ক্ষণিকের জন্য থেমে যায় দল। কাঁধ থেকে নামায় খাটিয়া। বিভূতিভূষণ ততক্ষণে পৌঁছে গেছেন শবযাত্রীদের খুব কাছে। তাঁর ইচ্ছে হলো, মৃত লোকটার মুখ দেখবার। মৃতের মুখের কাপড় সরিয়ে দেখলেন। সর্বনাশ, এ কাকে দেখছেন! নিজের লাশ খাটিয়ায়! চোখ কচলে দেখলেন কোনো ভুল হচ্ছে কিনা। কিন্তু হুবহু নিজের চেহারা। আত্মসম্বরণ করতে পারলেন না বিভূতি। ভয় জমে গেলন স্রেফ। শিরদাঁড়া বেয়ে চলেছে ভয়ের শীতল স্রোত। গগণবিদারী একটা চিৎকার দিলেন। ভদ্রলোকের সঙ্গী দুজন যতক্ষণ চলে এসেছেন কাছে, ততক্ষণে শবযাত্রীরা সরে পড়েছে ওখান থেকে।

এ ঘটনার পর কখোনা সুস্থ্য হতে পারেননি ভদ্রলোক। মৃত্যুভয় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। ধরেই নেন ওপারের ডাক এসে গেছে। এজন্যই দেখেছেন নিজের লাশ। মাসখানেকের মধ্যেই মারা যান বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্য অকালে হারায় কালজয়ী এক কথাসাহিত্যিককে।

অথচ বিভূতিভূষণ ছিলেন আপদমস্তক শিক্ষিত, বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ছিলেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা যেমন করেছেন, ভূগোল, মহাকাশচর্চা কিংবা বিজ্ঞানআন্দোলনেও তিন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অজপাড়াগাঁয়ে নিজের স্কুলে তাঁরই উদ্যোগে আয়োজিত হত বিজ্ঞান উৎসবের। তা না হলে, আচার্য প্রফুল্ল রায়ের মতো বিজ্ঞানীর সাহচর্য তিনি পেতেন না। সেই মানুষটাই কখোনো কখোন অদ্ভুত সব কাজকর্ম করতেন, যা একজন লেখকের চরিত্রের সঙ্গে বেমানান।

পথের পাঁচালী লিখে রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই সিক্যুয়াল ছিল অপারজিত। পথের পাঁচালির নায়ক অপু অপরাজিত উপন্যাসে সম্পূর্ণ এক অন্য মানুষ। পরিণত, কুসংস্কারমুক্ত, যুক্তিবাদী। কিন্তু এর বিভুতিভূষণ পুরোপুরি যুক্তিবাদী কিংবা কুংসংস্কারমুক্ত ছিলেন না। তিনি তন্ত্রমন্ত্র মানতেন, প্রেতচর্চা করতেন, প্ল্যানচেট করে আত্মা নামানোর দাবি করেছেন। এজন্য চাকরিও চলে গিয়েছিল তাঁর।

বিভূতিভূষণের মধ্যে তন্ত্রচর্চার বিষয়টা প্রথম ধরা পড়ে, তাঁর প্রথম স্ত্রী গৌরীর মৃত্যুর পর। মাত্র কয়েক মাসের সংসার ছিল। তারপর হঠাৎ করেই টাইফয়েডে মারা যান গৌরী। বিষণ্ণ হয়ে পড়েন বিভুতিভূষণ। এর আগে-পরে বাবা, দুইবোন ও মায়ের মৃত্যু—একের পর এক স্বজন হারানোর বেদনা সইতে হয় তাঁকে। কাপালিক-তান্ত্রিকদের খপ্পরে পড়ে, তাদের দর্শনে আকৃষ্ট হন। নিজেও জড়িয়ে পড়েন প্রেত চর্চায়।

সূত্র: পথের কবি/কিশলয় ঠাকুর
#সংগৃহীত

অন্যায়ের সাথে আপোষ নয় I তিলোত্তমা ম্যাডামকে ডাক্তার দিবসের শুভেচ্ছা🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
01/07/2025

অন্যায়ের সাথে আপোষ নয় I
তিলোত্তমা ম্যাডামকে ডাক্তার দিবসের শুভেচ্ছা
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

On Doctors' Day:বিরাটি স্টেশন | প্রতি শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কাঁধে ওষুধভর্তি তিন চারটে ব্যাগ নিয়ে আপ শিয়ালদহ হাসনা...
01/07/2025

On Doctors' Day:
বিরাটি স্টেশন | প্রতি শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কাঁধে ওষুধভর্তি তিন চারটে ব্যাগ নিয়ে আপ শিয়ালদহ হাসনাবাদ লোকালের অপেক্ষা করেন ৭০ বছর বয়সী এক ডাক্তারবাবু | গন্তব্য সুন্দরবনের চাঁড়ালখালিতে গ্রামের বাড়িতে | ট্রেনে প্রায় দুই ঘটনার পথ হাসনাবাদ | হাসনাবাদে নেমে ভ্যান রিক্সায় মিনিট কুড়ি | তারপর নৌকায় ডাঁশা নদী পেরিয়ে ট্রেকারে চেপে পৌঁছতেন রায়মঙ্গল নদীর পাড়ে | নদী পেরিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পায়ে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে ডাক্তারবাবু পৌঁছান চাঁড়ালখালি | সেখানে দিনে তিনি ২০০ জন রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন | রোগীদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেন ওষুধ | প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার এটাই ছিল ডাক্তারবাবুর রুটিন | রবিবার বিকেলে রওনা হন বিরাটি ফেরার জন্য |
কে এই ডাক্তারবাবু ?
তিনি ডাক্তার অরুণোদয় মন্ডল | জন্ম ইছামতির তীরে সুন্দরবনের চাঁড়ালখালিতে | দাদু ছিলেন এলাকার একমাত্র হোমিওপ্যাথি ডাক্তার | তাকে দেখেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা জন্মায় অরুণোদয় মন্ডলের | কিন্তু একদিন গ্রামেরই একটি ছেলেকে সাপে কাটল এবং বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয় | সেই দিন থেকেই অরুণোদয় মন্ডল শপথ নিলেন ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াবেন |

অরুণোদয় মন্ডল সুন্দরবন থেকে এসে ভর্তি হলেন টাকি গভর্নমেন্ট কলেজে | প্রথম বর্ষের পরীক্ষার আগেই মারা গেলেন বাবা | অরুণোদয়ের কাঁধে চাপল বাকি তিন ভাই ও চার বোনের দায়িত্ব | এরই মাঝে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পেলেন | পড়াশোনার পাশাপাশি সামলাতেন সংসার | ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় তিনবেলা টিউশন পড়াতেন তিনি |
বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন ছিল না অরুণোদয় মন্ডলের | তাঁর একটাই স্বপ্ন - মানুষের পাশে দাঁড়ানো | ইতিমধ্যে বিয়েও করেছেন | ১৯৮১ সাল | বিরাটিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে খুলেছিলেন চেম্বার। ডাক্তার অরুণোদয় মণ্ডলের ফি ছিল ২ টাকা। সেই সময় থেকেই কাছেপিঠে, কখনও বা দূরে কোনও স্বাস্থ্যশিবির হলে বিনামূল্যেই চিকিৎসা করতেন তিনি | কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছিলেন, স্বাস্থ্যশিবিরে গিয়ে যাঁদের দেখে আসছেন সেই রোগীরা পরামর্শ মেনে চলছে কি না, প্রেসক্রিপশন ওঁদের কাজে লাগছে কি না, তা নিয়ে কোনও ফলো-আপ তো করা হচ্ছে না | আর এই ফলো-আপ করার জন্যই নিজের গ্রামের কথা মনে পড়ল তাঁর |

২০০০ সাল | প্রতি সপ্তাহে বিরাটি থেকে চাঁড়ালখালি আসতে লাগলেন অরুণোদয় মন্ডল | সেখানে গ্রামের বাড়িতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেখতেন সব ধরনের রোগী | তাঁর বসার জন্যে গ্রামে স্থায়ী কোনও জায়গাও ছিল না | সেই সময় ওই গ্রামে বিদ্যুত পৌঁছায়নি | রাতে লন্ঠন, কুপি জ্বালিয়ে রোগী দেখতেন ডাক্তারবাবু | কিন্তু বুঝলেন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কারণ, তাঁর লেখা প্রেসক্রিপশন মেনে চলতে পারছেন না রোগীরা। দামি ওষুধ কিনতে পারছেন না | এমনকি রোগ নির্ণয়ের জন্যে মেডিক্যাল টেস্ট করাও রোগীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না |
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সরকারী সাহায্য চাইলেন, পেলেন না | হাল ছাড়লেন না অরুণোদয় বাবু | পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী | বিরাটির বন্ধু,আত্মীয়,প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্য চাইলেন | অনেকেই আর্থিক সাহায্য করলেন | সেই টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে নিয়ে তিনি সপ্তাহের প্রতি শনিবার পৌঁছে যেতেন চাঁড়ালখালিতে। কাঁধে ওষুধবোঝাই তিন-তিনটি ব্যাগ নিয়ে | কিন্তু বুঝলেন এতেও পুরো কাজ হচ্ছে না | তাই অন্য পথ ধরলেন | সারা সপ্তাহ কলকাতার ডাক্তারদের চেম্বারে চেম্বারে ঘুরে যে ‘ডক্টরস্‌ স্যাম্পেল্স’ জোগাড় করতে লাগলেন অরুণোদয় বাবু | তাতেও সমস্যা থেকে গেল। যে রোগীর সপ্তাহে পাঁচ দিনের ওষুধ লাগে, তাঁকে বড়জোর দু’দিনের ওষুধ দিতে পারতেন |
অরুণোদয় বাবু বুঝলেন স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান না করলে রোগীদের সমস্যা মিটবে না | শেষমেশ নিজের সঞ্চয় এবং বেশ কিছু মানুষের সাহায্যে সুন্দরবনের ওই গ্রামেই ১১ কাঠা জমি কিনলেন তিনি |গড়ে তুললেন দোতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র | নাম সুজন | ২০০৬ সাল থেকে সেখানেই রোগী দেখতে লাগলেন তিনি | নিজের পয়সায় রোগীদের কলকাতায় এনে কম খরচে মেডিক্যাল টেস্টও করিয়ে দেন অরুণোদয় বাবু | রোগীদের হাতে তুলে দেন দামী ওষুধ | রোগীদের রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষাগুলি নমুনা কলকাতায় নিয়ে এসে কম খরচে করিয়ে দেন অরুণোদয় বাবু | ‘সুজন’-এ প্রতি শনি ও রবিবার তাঁকে দেখাতে আসেন গড়ে আড়াইশো রোগী | সকলেই পান বিনামূল্যে চিকিৎসা |
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছেন ডক্টর অরুণোদয় মণ্ডলকে | কিন্তু অরুণোদয় বাবুর কাছে রোগীদের মুখের হাসিই জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার | রোগীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বহু বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন ডাক্তারবাবু | কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি | কবিগুরুর "একলা চল রে"-ই অনুপ্রেরণা ডাক্তারবাবুর | আর তাই আজও প্রতি শনিবার ভোরবেলা কাঁধে তিন চারটে ওষুধভর্তি ব্যাগ নিয়ে বিরাটি স্টেশনে হাসনাবাদ লোকালের অপেক্ষায় থাকেন ডক্টর অরুণোদয় মণ্ডল.....
© অহর্নিশ পেজ থেকে
#সংগৃহীত
তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা
ছবি : Humans of Bombay page

ভারত  ভেঙে হয়েছে ১৫ টা দেশ   #ভারত, ইতিহাস জেনে নিন: - ভারতকে আগে অখন্ড ভারত বলা হত। কারণ গোটা বিশ্বে ভারত ছিল অনেক বড়।...
01/07/2025

ভারত ভেঙে হয়েছে ১৫ টা দেশ #ভারত, ইতিহাস জেনে নিন: - ভারতকে আগে অখন্ড ভারত বলা হত। কারণ গোটা বিশ্বে ভারত ছিল অনেক বড়। ১৫ টি দেশ ভারত থেকেই জন্মগ্রহণ করেছিল। এটা কিভাবে হল? এই 15 টি দেশ কি? এটা জেনে রাখুন:----
#ইরান: ভারত থেকে আর্যরা যখন ইরানের বালুচিস্তানের এসেছিল। এই ইরান এর প্রাচীন নাম ছিল আরিয়ান (আর্য সমাজ) । এর পরে আরবের দূস্যরা এখানে আক্রমণ করেছিল। এরপরে এর নামকরণ করা হয় ইরান।
1378 সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে ।
#কম্বোডিয়া: প্রথম শতাব্দীতে কম্বোডি নামে এক ভারতীয় ব্রাহ্মণ এ দেশে হিন্দু রাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ কারণেই এর নামকরণ করা হয়েছিল কম্বোডিয়া। পরে এটি একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়।
এই কম্ভোডিয়া বিশ্বে সব থেকে বড় মন্দির অবস্থিত যা বিষ্ণু(অঙ্কুরভাট) মন্দির নামে পরিচিত ।
#ভিয়েতনাম: এই দেশটির নাম আগে ছিল চম্পা। এটি ভারতের একটি অংশ ছিল। 1825 সালে হিন্দুজা চম্পায় শেষ হয়েছিল। এটি একটি পৃথক দেশে পরিণত হয়েছিল।
#মালয়েশিয়া: ভারতীয়রা এখানে বোধধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই দেশটি ভারতীয় সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত ছিল। 1948 সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে ।
#ইন্দোনেশিয়া: এটি ছিল ভারতের সমৃদ্ধশালী দেশ। হিন্দুরা এখানে খুব কমই রয়ে গেল। তারপরে এটি পৃথক মুসলিম দেশে পরিণত হয়। তবে আজও রাম মন্দির রয়েছে। যেখানে মুসলমানরা ইবাদত করে।
#ফিলিপাইন: মুসলমানরা এখানে আক্রমণ করেছিল এবং তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তখন এটি একটি পৃথক দেশে পরিণত হয়েছিল, তবে আজও এখানে হিন্দু রীতিনীতি গৃহীত হয়।
#আফগানিস্তান: এটি ভারতের একটি অংশ ছিল। এখানে হিন্দু রাজা আম্বির শাসন ছিল। যিনি আলেকজান্ডারের সাথে চুক্তি করেছিলেন তিনি তাকে এই রাজত্ব দিয়েছিলেন। মহাভারতের শাকুনি এবং গান্ধারী এখানকার কান্ডারির অন্তর্গত। 1761 সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে আকবর ।
#নেপাল: এটি ভারতের একটি অংশ ছিল। এটি একটি গোর্খা দ্বারা সংহত হয়েছিল। মহাত্মা বুদ্ধ এই রাজবংশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। 1904 সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে ।
#ভুটান: এটি পূর্বে ভারতের ভদ্রদেশ থেকে জানা ছিল। আমাদের গ্রন্থে এই দেশটির উল্লেখ রয়েছে। 1906 সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে ।
#তিব্বত: আমাদের গ্রন্থে এটির নামকরণ করা হয়েছে ত্রিশীবাদীর নামে। । 1914 সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে ।
#শ্রীলঙ্কা: এর নাম ছিল তাম্রপাণি। প্রথমে পর্তুগিজ, তারপরে ব্রিটিশরা এখানে দখল নিয়েছিল। ১৯৩৫ সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে ।
#মায়ানমার: এর প্রথম নাম ছিল বার্মা। এই স্থানের প্রথম রাজা ছিলেন বারাণসীর রাজপুত্র। ব্রিটিশরা ১৮৫২ সালে এই অধিকার নিয়েছিল। 1937 সালে ভারত থেকে আলাদা করে দিয়েছে ।
#পাকিস্তান: স্বাধীনতার পরে এখানে অনেক হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছিল। লাখ লাখ হিন্দুদের গনহারে হত্যা করা হয়েছে । 1947 সালে নিজেরাই ধর্মীয় দেশ বানিয়ে নেয় ।
#বাংলাদেশ: ১৫ ই আগস্টের আগে এই দেশটিও ভারতের একটি অংশ ছিল। এরপরে এটি পূর্ব পাকিস্তানের অংশে পরিণত হয়। একাত্তরে ভারতীয় সেনাবাহিনী এটিকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করে দেয়। পাকিস্তানের ও বাংলাদেশের মুসলমান মিলে বাংলাদেশের হিন্দুদের গনহারে হত্যা ও ধর্ষণ করে। 1971 সালে মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
#থাইল্যান্ড: এর প্রাচীন ভারতীয় নাম ছিল শ্যাম দেশ। আগে এখানে হিন্দু রাজস্ব ছিল।।
(সংগৃহীত)🇮🇳🕉️🧡
#সংগৃহীত

বিধানচন্দ্র রায় মিথ্যে কথা বলতে রাজি হলেন না ফল হল ভয়ঙ্কর। ডাক্তারির অধ্যাপক বিধান রায়কে মৌখিক পরীক্ষায় দিলেন শূন্য।...
01/07/2025

বিধানচন্দ্র রায় মিথ্যে কথা বলতে রাজি হলেন না ফল হল ভয়ঙ্কর। ডাক্তারির অধ্যাপক বিধান রায়কে মৌখিক পরীক্ষায় দিলেন শূন্য। কর্নেল পেক বিধান রায়কে শূন্য দিয়ে তাঁর ডাক্তার হওয়া রুখতে পারেননি।পরে বিদেশ থেকে একই সঙ্গে ডাঃ রায়,মেডিসিন ও সার্জারির দুটি বিষয় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বুঝিয়ে দিলেন একজন চিকিৎসক হিসেবে তিনি কতটা উচ্চমার্গের। তিনি ডাক্তার, তিনি রাজনীতিবিদ, তিনি নব বাংলার রূপকার। লার্জার দ্যান লাইফ।

এম.বি.শেষ (ফাইনাল) পরীক্ষার দিন পনেরো আগে মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক কর্নেল পেক তাঁর ঘোড়ার গাড়িতে করে কলেজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন৷ কলেজের সদর দরজার সামনে কলেজ স্ট্রিটের উপর একটি চলন্ত ট্রামের সঙ্গে ঘোড়ার গাড়ির ধাক্কা লাগায় ঘোড়ার গাড়ির পেছনের দিকের চাকা ভেঙে যায়,তবে আরোহী পেক,অথবা কোচম্যানের কোনও আঘাত লাগে নি৷

তখন অশ্ববাহিত ট্রামগাড়ির পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত ট্রাম কলেজ স্ট্রিট দিয়ে যাতয়াত আরম্ভ করেছে৷ সেই দুর্ঘটনা বিধানচন্দ্র রায়ের চোখের সামনে হয়। একটু পরে অধ্যাপক পেক তাঁকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন তুমি দুর্ঘটনা দেখেছো? বিধানচন্দ্র হ্যাঁ বললে কর্নেল পেক আবার প্রশ্ন করলেন ট্রামগাড়ি ঘন্টায় ত্রিশ মাইল বেগে চলছিল কিনা? জবাব এল না৷
সঙ্গে বিধানচন্দ্র আরও বললেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ঘোড়ার গাড়ির কোচম্যানের জন্য৷ এরপর অতিক্রান্ত হয় ছয় দিন আবার অধ্যাপক কর্নেল পেক বিধান রায়কে ডেকে জানতে চান তিনি ট্রাম কোম্পানির বিপক্ষে যে ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন সেখানে সে তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দেবেন কি? দৃঢ়চেতা বিধানচন্দ্রের জবাব ছিল তিনি সাক্ষ্য দেবেন,কিন্তু সত্যি কথা বলবেন৷ এক সপ্তাহ কেটে গেল,কর্নেল পেকের প্রতিহিংসাপরায়ণ রূপ এবার সামনে এল৷ তিনি পরীক্ষার্থী বিধানচন্দ্র কে দেখে প্রথমে বেশ খানিকটা চেঁচিয়ে গায়ের ঝাল মিটিয়ে নিলেন,বের করে দিলেন তাঁর ঘর থেকে৷ তাঁর নামের পাশে শূন্য বসালেন৷ জীবনে অকৃতকার্যতার দুর্ভাগ্যের মুখে বিধানচন্দ্র একটু দমে গেলেও সব জানিয়েছিলেন কর্নেল লিউকিস কে,তিনি পিতার মত যত্নশীল ছিলেন ডাক্তার রায়ের জীবনে,নিজে হাতেই সস্নেহে গড়ে তুলেছিলেন প্রিয় ছাত্রকে৷

বিধানচন্দ্র রায় কে অসম্ভব স্নেহ করতেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ কর্নেল লিউকিস ৷ কলেজ-হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তিনি সঙ্গে নিতেন তাকে, নিজে পনেরো-বিশ হাত দূরে দাঁড়িয়ে কোনও রোগীকে দেখে বিধানচন্দ্র কে সেই জায়গা থেকে রোগীর রোগ নির্ণয়ের নির্দেশ দিতেন, বিধানচন্দ্রের রোগ নির্ণয় ক্ষমতায় মোহিত হয়ে যেতেন অধ্যক্ষ স্বয়ং,বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁর ডায়াগনোসিস নির্ভুল হত৷ কি কি দেখে রোগীর রোগ নির্ণয় করলেন বিধানচন্দ্র, সেই সব বিষয় প্রশ্ন করে অধ্যক্ষ লিউকিস মেপে নিতেন তাঁর প্রিয় বিধানচন্দ্রের মেধা৷ এরপর রোগীর শয্যার কাছে গিয়ে উভয়ে রোগীর বেড টিকিট দেখতেন৷ দূরদর্শী শিক্ষাগুরু যেন চোখের সামনে দেখতে পেতেন ছাত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যত৷ পরবর্তী কালে বিধানচন্দ্র এল.এম.এস উত্তীর্ণ হয়েছেন,এম.ডি.ডিগ্রি অর্জন করেছেন৷

উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বিলেতে গিয়েছেন,আগেই ঠিক করে নিয়েছিলেন পড়বেন 'সেন্ট বার্থোলোমিউ' শিক্ষায়তনে কারণ কর্নেল লিউকিস সহ কলকাতা মেডিকেল কলেজের বেশিরভাগ অধ্যাপক এই শিক্ষায়তনের ছাত্র৷ সেন্ট বার্থোলোমিউয়ের ডীন বিধানচন্দ্রের মুখে শুনেছিলেন দুই বছর তিন মাসে তিনি এম,আর.সি,পি(লণ্ডন)ও এম.আর.সি.এস (ইংল্যাণ্ড) পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক৷ ওই সময়ের মধ্যে মেডিসিন ও সার্জারির দুটি পৃথক ডিগ্রি পড়ার ছাত্র বেশি নেই বলে ডীন তাকে বেশি উচ্চভিলাসী বলে অভিহিত করেছেন,প্রায় দেড় মাসে ত্রিশ দিন ডীনের কাছে আবেদন করেও বিধানচন্দ্র 'সেন্ট বার্থোলোমিউ' শিক্ষায়তনে ভর্তি হতে পারেন নি৷

পরে সুযোগ এল,মেডিসিন ও সার্জারির দুটি বিষয় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়া তখন তাঁর একমাত্র সংকল্প৷ বলা বাহুল্য যে ডীন ডাঃ শোর বিধানচন্দ্র কে দুটি ডিগ্রির জন্য দুই বছর তিন মাস অত্যন্ত কম সময় বলেছিলেন সেই প্রতিভাবান উচ্চভিলাষী বিদ্যার্থী যুবক দুটি পরীক্ষা কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন৷ এম.আর.সি.পি ও এফ.আর.সি.এস.পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক হল ৷ বিদায় নেবার কালে ডীন ডাঃ শোর বিধানচন্দ্র কে বলেছিলেন তুমি যে সময়ের মধ্যে দুটি ডিগ্রি পেয়েছো কোনও ইউরোপীয় ছাত্রের পক্ষে সম্ভব ছিল না৷ তোমার প্রতি আমার অতীত ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত৷

গল্প এখনও শেষ হয় নি,পাটনা কলেজ থেকে বিজ্ঞানে বি.এ.পাশ করার পর ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বিধানচন্দ্র কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আবেদন করেছিলেন৷ একই দিনে সুযোগ এসেছিল দুই শিক্ষায়তন থেকে, সকালে মেডিকেল,বিকেলে ইঞ্জিনিয়ারিং,ভাগ্যিস তিনি বেছে নিয়েছিলেন চিকিৎসাশাস্ত্র,দেশ পেয়েছিল ধন্বন্তরী চিকিৎসক ডাঃ বিধাচন্দ্র রায় কে৷ আরও আছে পাটনা কলেজ থেকে পাশ করার পর চাইলে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তখনই হতে পারতেন, ছোটলাট লর্ড উডবার্ন ব্রাহ্মসমাজের তিন শিক্ষিত তরুণ কে ওই পদে নিয়োগ করতে চাইলেও বিধানচন্দ্রের পিতা যেমন রাজি ছিলেন না,তেমন রাজি হন নি ছেলে৷ ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় আধুনিক পশ্চিমবঙ্গের রূপকার বললে সত্যি কম বলা হয়,সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই বাঙালির কাছে বিধানচন্দ্র এক আলোকবর্তিকা৷আজ তাঁর জন্ম ও প্রয়াণ দিবস ।
© ধ্রুবতারাদের খোঁজে পেজ থেকে

#সংগৃহীত

গ্রন্থঋণ,কৃতজ্ঞতা স্বীকার,ডাক্তার বিধান রায়ের জীবন-চরিত,নগেন্দ্রকুমার গুহরায়,পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত ঋষি দাস

মা'কে নিয়ে চেকাপে গিয়েছিলাম দেশপ্রিয় পার্কে। ভেবেছিলাম তাড়াতাড়ি হয়তো ডাক্তার দেখানো হয়ে যাবে, সেই মতো একটু আগেই পৌঁছে গি...
01/07/2025

মা'কে নিয়ে চেকাপে গিয়েছিলাম দেশপ্রিয় পার্কে। ভেবেছিলাম তাড়াতাড়ি হয়তো ডাক্তার দেখানো হয়ে যাবে, সেই মতো একটু আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ভাবনার ওপরে তো সব কিছু চলে না। ডাক্তার দেখিয়ে ওখান থেকে বের হতে ভালোই টাইম লেগে গেল। ঘড়িতে তখন পৌনে চারটে। গাড়িতে ওঠার আগে ড্রাইভার দাদাকে বললাম, দাদা অনেকক্ষণ তো বসতে হলো। কিছু খাবেন তো? চলুন খেয়ে নিই কিছু।

উনি বললেন, এখন কিছু খাব না। তবে এক কাপ চা খাব। এখন আপনারা গাড়িতে বসুন। আমি ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে যাব। তখন চা খেয়ে নেব।

যাইহোক, ওনার কথাতেই সায় দিয়ে বললাম, ঠিক আছে চায়ের দোকান দেখে দাঁড়াবেন। আমরা সকলেই তাহলে চা খাব।

সকলে বলতে মা, আমি আর বোন। বোন ও সঙ্গে গিয়েছিল।

সাঁতরাগাছি পেরিয়ে যখন কোনা এক্সপ্রেস ওয়েতে গাড়ি চলে এলো, ড্রাইভার দাদাকে বললাম, দাদা চা খাবেন না? দেখুন না আশে পাশে কোথাও দোকান আছে কিনা!

ড্রাইভার দাদা বললেন, একটু ওয়েট করুন। ধূলাগোড় টোল প্লাজা পেরিয়ে একটা ভালো চায়ের দোকান আছে, ওখানেই খাব‌।

ওনার কথা মতো উনি ধূলাগোড়ে ওই চায়ের দোকানে সামনে এসে গাড়িটা পার্কিং করে বললেন, চলুন চা খেয়ে নিই।

চায়ের দোকানে দেখলাম অসম্ভব ভীড়। বিকেলের টাইমে মানুষের এই চা খাওয়ার একটা বিরাট নেশা যেন। মোটামুটি বার দশেক বলার পর আমাদের চার কাপ চা মিলল। মা আর বোন গাড়িতেই বসেছিল, ওদের দু কাপ চা দিয়ে এসে আমি আর ড্রাইভার দাদা চা খাচ্ছি একটু সাইডে দাঁড়িয়ে। আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে দুটো ছেলে, ওরাও চা খাচ্ছিল। ওদেরকে চেনার কারণ হচ্ছে, আমি যখন চা নিচ্ছিলাম, দেখলায় ওরাও চা নিল। চায়ের ভাঁড় হাতে নেওয়ার পর একজন বলল, টাকা পরে দিচ্ছি।

আমি চা খেতে খেতে লক্ষ্য করলাম, ছেলে দুটি চা খেয়ে ভাঁড়টা ডাস্টবিনে ফেলল। একজন আর একজনকে জিজ্ঞেস করল, টাকা দিয়েছিস? অন্যজন বলল, 'ফোট! টাকা দিতে হবে না, পালিয়ে চল। ওর একদিনে চা বিক্রি করে যা ইনকাম, তোর দশ দিনের ইনকামের সমান। দু কাপ চায়ের দাম না দিলে ওর কি বিরাট লস হয়ে যাবে? তুই গাড়িতে বস। কত লোক টাকা দেয় না...'

তারপর বাইকে স্টার্ট দিয়ে হুস করে বেরিয়ে গেল টাকা না দিয়েই। আমার থেকে একটু সাইডে দাঁড়িয়েই তো কথা গুলো বলছিল, আমি শুনে তাজ্জব বনে গেলাম। চা খেয়ে টাকা না দিয়েই চলে গেল? একটুও খারাপ লাগা কাজ করল না? কেন জানি না আমার খারাপ লাগছিল! মনে মনে ভাবছিলাম, অপরাধবোধ কি সকলের মধ্যে কাজ করে? উঁহু ! করে না। করলে তো এ পৃথিবী স্বর্গ হত। মানুষ মানুষকে ঠকিয়ে কী পায়? আদৌ ভালো হয় কি?

সে যাইহোক, আমার চা খাওয়া হয়ে যেতেই ভীড়ের মাঝে গিয়ে আবার দাঁড়ালাম, টাকাটা দেব বলে। পঞ্চাশ টাকার নোটটা হাতে দিতে ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, কত টাকা কাটব? বললাম, চারটে চা নিয়েছি।
বলল, চল্লিশ টাকা। দশ টাকা ফেরত দিতেই আমি ওই চা বিক্রেতা ছেলেটিকে বললাম, আরো একটা লোক রাখো ভাই। তা না'হলে এত লোকের হিসেব রাখবে কী করে? কে টাকা দিল, কে দিল না সেটাও তো বুঝতে হবে। এই তো দেখলাম, দু জন চা খেয়ে টাকা না দিয়ে বেরিয়ে গেল।

কর্মব্যস্ত ছেলেটি আমার কথা শুনে তখন হাসছে। অন্য একজনকে চা দিতে দিতেই বলল, হিসাব রাখার লোক তো একজন আছেই। বলেই ওপর দিকে তাকাল। তারপর বলল, সামান্য চা খেয়ে টাকা না দিয়ে আর কত দূর যেতে পারে? এ হচ্ছে হিসেবের কড়ি। আমি জানি, এরকমটা কেউ কেউ করে। তবে আপনাদের মতো বিশ্বস্ত মানুষ সব চেয়ে বেশি। আপনি তো টাকা না দিয়েও চলে যেতে পারতেন। কিন্তু আপনি যাবেন না। কারণ আপনার মধ্যে ঠকানোর মানসিকতা নেই। আমার মতো সামান্য চা ওয়ালাকে যে ঠকাবে, তার কর্ম দেখার জন্য ওপরওয়ালা আছেই। ও নিয়ে আমি ভাবি না। তবে দাদা, আমি কাস্টোমারকে বিশ্বাস করি। বিশ্বাসেই তো জগৎ চলছে। দু কাপ চায়ের দাম মাত্র কুড়ি টাকা। কুড়ি টাকার জন্য যদি কেউ ঠকায়, সেটা ভাবলেই আমার হাসি পায়। সততা নিয়ে চলি। আপনাদের আশীর্বাদ আর ভগবানের আশীর্বাদে আমাকে কেউই ঠকাতে পারবে না।

সত্যিই তো, বিশ্বাসেই জগৎ চলছে। বিশ্বাসেই জীবন চলছে। বিশ্বাস নিয়েই তো মানুষ বেঁচে আছে। মানুষকে ঠকিয়ে আর কত দূর যাওয়া যায়? হিসেবের কড়ি বেহিসেব হবে না। কারোর সত্যিকারের পরিশ্রম, মেহনতকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। ওপরে একজন আছেন, তিনি সব হিসেব একদিন ঠিক বুঝিয়ে দেবেন। চা বিক্রেতা ছেলেটি তো ঠিক কথাই বলেছে। একজন ঠক কাস্টোমারের পিছনে দৌড়তে গেলে একশোটা বিশ্বস্ত কাস্টোমার হাত ছাড়া হয়ে যায়। তাই যারা বিশ্বস্ত তাদেরকেই সময় দিতে হয়‌। কিন্তু আমরা এর উল্টোটা করি। যে ঠকালো তার পিছনে দৌড়াই। তার জন্য আমরা আক্ষেপ করি, কান্নাকাটি করি, অনুশোচনা করি। তাতে সময় নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু যে বিশ্বাসের ঢাল হয়ে থাকে, ভালোবেসে যে ভরসার কাঁধ হয়ে থাকে, তাকেই সময় দিতে ভুলে যাই। ভুল মানুষের পিছনে দৌড়তে গিয়েই আমরা হয়তো অনেকেই সঠিক মানুষকেই এ জীবনে হাতছাড়া করে ফেলেছি। তখন হাজার চেষ্টা করেও হিসেবের কড়িকে আর মেলানো যায় না।

কলমে: সরজিৎ ঘোষ। Sarajit Ghosh
#সংগৃহীত

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pritisha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Pritisha:

Share

Category