Uro Paata

Uro Paata From Chaos to Creativity: an online Bengali magazine born from my love for writing during the uncertain times of pandemic. Here's to many more such stories ....

Grateful to my readers for their overwhelming response and being part of this journey!

বর্ষাকাল আমার ভীষণ পছন্দের.... হঠাৎ আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা, টুপ্ টাপ তাল তুলে বাড়ির ছাদে বৃষ্টির সুর কিংবা প্রকান্ড গর...
20/07/2025

বর্ষাকাল আমার ভীষণ পছন্দের.... হঠাৎ আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা, টুপ্ টাপ তাল তুলে বাড়ির ছাদে বৃষ্টির সুর কিংবা প্রকান্ড গর্জনসহ মুষলধারে বরিষণ...আমাকে ভাবুক করে তোলে...মনে মনে নানান জলছবি আঁকি যেগুলো বৃষ্টি থেমে রোদ উঠলে আবার রাস্তাঘাটের মতোই শুকিয়ে যায়...
একবার এরকম বৃষ্টি দিনে জানালায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখছি...আমাদের ফ্ল্যাটে তখন বারান্দা ছিল না..উপরের ফ্ল্যাটে দুটো বারান্দা..আমি প্রায়ই ওদের ফ্ল্যাটে খেলতে যেতাম আর বারান্দায় গিয়ে রাস্তা দেখতাম..যাক সে কথা..দেখি নিচ দিয়ে একটা লোক ভীষণ বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দৌড়াচ্ছে...বাবাকে বললাম "ওই দেখো একটা কালো মতো লোক কি দৌড়াচ্ছে বৃষ্টিতে"...বাবা কাগজ থেকে মুখ না তুলেই বললো "ওটা গোপাল, আমাদের বাড়িতেই আসছে.."
বাবার জনৈক বন্ধু গোপালকে আমি চিনতাম..ভীষণ স্বল্পভাষী অথচ খুব ভালো মানুষ...কাকভিজে হয়ে বাড়িতে এলো..এক কাপ চা পর্যন্ত খাওয়ানো গেলো না আবার কি একটা কাগজ নিয়ে ভিজতে ভিজতে চলে গেলো...যাওয়ার আগে বলে গেলো "জঘন্য বৃষ্টিটার জন্য সব কিছু ভেস্তে গেলো, আবার ছাদ ফেটে জল পড়বে.."
বুঝলাম বৃষ্টি সবার জন্য সুখকর নাও হতে পারে..আমার মন "হংস বলাকার পাখা" হলেও বাকিদের কষ্টটা যে চোখের পড়বে না এতটাও আহাম্মক ছিলাম না...কিন্তু তাও বৃষ্টি পড়লেই মনটা নেচে উঠতো...মনে হতো ছবি আঁকি, গান শুনি, গল্পের বই পড়ি আর কিছু না হোক জানালা ধরেই দাঁড়িয়ে থাকি..কে জানে আগের জন্মে বোধহয় ময়ূর ছিলাম এখনো নিজের প্রাণের সখীকে খুঁজে বেড়াচ্ছি...
চাকরির সুবাদে আমি হাড়োয়া থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে ম্যানেজারি করেছি...বৃষ্টি পড়লেই আমাদের সব মেশিন বন্ধ হয়ে যেত..লিংকের প্রব্লেম, সার্ভার এরর লেগেই থাকতো...আজ থেকে ১২ বছর আগের কথা তখন ইন্টারনেটের রমরমা এতো ছিল না..আমরা কেউই সংযুক্ত অথচ বিক্ষিপ্ত ছিলাম না..তাই ব্যাংকে সেই সময় খদ্দের উপস্থিত থাকতেন প্লাস আমরা কর্মীরা গোল হয়ে বসে ভূতের গল্প শুনতাম...কোনোদিন আধ ঘন্টা, কোনোদিন ২ ঘন্টা বা কোনোদিন বিকেল অব্দি..কারেন্ট না আসা অব্দি বিরতি...অনেক দূর দূর গ্রাম থেকে লোক আসতেন জল কাদা পেরিয়ে..আমাদের ক্যাশিয়ার নিমাইদা অত্যন্ত পরোপকারী সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন...কারুর যদি প্রচন্ড প্রয়োজন থাকতো স্লিপ নিয়ে এমনি টাকা দিয়ে দিতেন..আমি বলতাম " নিমাইদা পরে এন্ট্রি সময় যদি লোকটার একাউন্ট এ টাকা না থাকে আপনি কি করবেন?"
উনি মুচকি হেসে জবাব দিতেন "আমি ৫০০ টাকা নিজের থেকে দিয়ে দেব...আর এসব লোক ঠকানি ব্যাপার তোমাদের শহরে হয়...গ্রামে এদেরকে সবাই ঠকায়...গরিব মানুষ ছেলের জ্বর..ওকে কিভাবে বলি যে বৃষ্টির জন্য লিংক নেই, নিচে ছেলেটাকে বসিয়ে উপরে এসেছে টাকা তুলতে, না দেওয়াটা পাপ.."
মনুষ্যত্ব যে লাভ ক্ষতির অনেক উপরে ব্যাংকে থেকে সেটা বোঝা যায়...একদিকে রিস্ক কমাতেই হবে অন্যদিকে অসহায় মানুষ গুলোরও যে সাহায্যের প্রয়োজন...এ এক অদ্ভুত টানাপোড়েন, ইংরেজিতে যাকে বলে ডেলিকেট ব্যালেন্স... অথচ এই নিমাইদাকেই দেখেছি ৬কিমি হেটে আসতে...কেউ যদি বলতো "এসো বাইকে, তোমায় ছেড়ে দিই"
তক্ষুনি না করে দিতেন, বলতেন "না, লাগবে না, হাঁটলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে"
আমি একদিন থাকতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম "আপনি বাইকে করে চলে আসলেই তো পারেন, অসুস্থ শরীরে বৃষ্টির মধ্যে এতো পরিশ্রম রোজ কেন করেন?" উনি বলতেন "আজকে বাইকে ওঠার পরে কাল যদি বলে ম্যানেজার দিদিকে দিয়ে লোনটা করিয়ে দিন..আমি কি উত্তর দেব? না আমি কারুর কাছে ঋণী থাকতে চাই না"
বৃষ্টির এরকম আরো অনেক গল্প জমানো আছে ঝুড়িতে...এখন আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টি নামব নামব করছে, ছাদ থেকে কাপড় গুলো তুলে আনি..বাকি গল্প পরের অধ্যায়ে...

20/07/2025

গদগদ স্বরে স্ত্রীকে ডেকে বাসুদেব বাবু বললেন," স্বর্ণকে মনে আছে মিতা-- আমার কাছে পড়তো? ও এখন এডিএম হয়ে গেছে। ভাবতে পারো এই বয়সেই অতিরিক্ত জেলাশাসক! হোয়াটসঅ্যাপে লিখেছে,স্যার আপনার পায়ের কাছে বসে একদিন লেখাপড়া করেছি। সেই জন্যেই আজ এতদূর আসতে পেরেছি।"
মিতা অর্থাৎ মিতালি ব্যানার্জি কোন উত্তর করলেন না।
বাসুদেব বাবু বললেন, "কিছু বললে না তো?"
একটু খিটখিটে ভাবেই উত্তর দিলেন মিতা," তোমার ছাত্ররা তো দেশে বিদেশে বড় বড় জায়গায় আছে। তাতে তোমার কী হলো? তোমার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন কিছু এলো কি? কোথায় কোন ছাত্র কী হয়েছে তুমি একেবারে আহ্লাদে আটখানা। তুমি কী পেলে বলতো?"
সমস্ত আবেগগুলো হঠাৎ উধাও হয়ে গেল বাসুদেব বাবুর মন থেকে। মনে হল অনেক কথা। প্রায় ছত্রিশ বছর আগে বিএসসি পাস করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন ভবতারিণী উচ্চ বিদ্যালয়ে।চাকরি করতে করতেই বিএড করেছিলেন। কিন্তু এমএসসি করা আর হয়ে ওঠেনি, যদিও অংকের শিক্ষক হিসেবে তার বিপুল প্রসার, বিস্তর নাম ডাক। ক্লাস ফাইভ থেকে একেবারে টুয়েলভ পর্যন্তই ক্লাস নিতে হয় তাকে, যদিও সরকারি নিয়ম অনুসারে ইলেভেন টুয়েলভে ক্লাস নিতে হলে মাস্টার্স ডিগ্রী প্রয়োজন। যাক গে সে কথা। হাতে ধরে অংক শিখিয়েছেন বহু ছাত্রকে। তারা নানান জায়গায় সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তিনি আজও ওই গ্রাজুয়েট স্কেলেই রয়ে গেলেন। সত্যিই তো কী পেলেন তিনি? তাকে নিয়ে কোন হুটার বাজানো গাড়ি রাজপথে চলে না। তিনি এসে দাঁড়ালে কোন আধিকারিক সসম্ভ্রমে দাঁড়িয়ে ওঠেন না। মনটা বেশ দমেই গেল বাসুদেব বাবুর।
রাত্রে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে হয়। আজ ওষুধ খেয়েও ঠিকমতো ঘুম এলো না। হয়তো ভোরের দিকে চোখ লেগে গিয়েছিল। সকাল সকালই উঠতে হলো। এখন তীব্র দাবদাহের কারণে কয়েক দিন ধরে মর্নিং স্কুল চলছে। সকাল পোনে সাতটায় হাজিরা। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ বেরোতে হবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে সাইকেল নিয়ে এগিয়ে গেলেন স্কুলের দিকে। স্কুলে ঢুকতেই সব ভুলে গেলেন বাসুদেব বাবু। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা কিছুই মনে এলো না। প্রায় হাজার খানেক ছাত্র কলকল করছে চারদিকে। মনে হচ্ছে যেন অসংখ্য ফুল ফুটে আছে বিদ্যালয় জুড়ে। একটু পরে শুরু হবে ক্লাস। এদের শিখাতে হবে। এদের মধ্যে আদর্শবোধ জাগাতে হবে। একটু পরেই শুরু হবে রোজকার লড়াই--- রোজগারের লড়াই নয়।
প্রথম পিরিয়ডে ছিল সেভেন সির ক্লাস। 'শিখবি না শিখিয়ে ছাড়বো'এমন ভঙ্গিতে অংক করাচ্ছিলেন বাসুদেব বাবু। হঠাৎ চোখে পড়ল শেষ বেঞ্চে শুভাশিস ঘুমিয়ে রয়েছে। ক্লাস শেষ হওয়ার ঘন্টা পড়তে খুব বেশি দেরি নেই। ডেকে তুললেন শুভাশিসকে। ধড়মড় করে উঠে দাঁড়ালো সে। বাসুদেব বাবু বললেন," ঘুমাচ্ছিস কেন? রাত্রে ঘুমাসনি?"
খুব ভয় ভয় করে ছেলেটি বলল," না স্যার।"
" কেন?"
" বাবার খুব জ্বর এসেছিল। সারারাত মা বাবার মাথায় জলপট্টি দিচ্ছিল আর আমি পাশে চুপ করে বসে ছিলাম। মা বারবার বলল, যা গিয়ে শুয়ে পড়। কিন্তু বাবাকে ছেড়ে শুতে যেতে ইচ্ছে করছিল না। ভোরের দিকে বাবার জ্বরটা নামলো। একটু পরেই আমি স্কুলে চলে গেলাম। সারারাত ঘুমাই নি তো তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।"
বাসুদেব বাবু সহানুভূতির সঙ্গে বললেন," আজ তাহলে না এলেই পারতি। একদিন স্কুলে না এলে এমন কিছু মহাভারত অশুদ্ধ হতো না।"
শুভাশিস অকপটভাবে বলল, "আপনার ক্লাসটা করার জন্যই আসা। কিন্তু সেটাই তো করতে পারলাম না।" চোখের কোণটা যেন চিক চিক করে উঠলো ছেলেটার।
বাসুদেব বাবু জিজ্ঞাসা করলেন," তোর বাড়ি কোথায়?"
ছেলেটি বলল,"ঘোষপাড়া চার নম্বর কলোনিতে।"
"তোর বাবা কী করেন?"
"বাবা কলের মিস্ত্রি। কয়েক দিন ধরে জ্বর চলছে তো, তাই কাজে যেতেও পারছে না।" একটু চিন্তিত মুখে বাসুদেব বাবু বললেন," আচ্ছা। ঠিক আছে। তুই বস।"
সন্ধ্যে নামার একটু পরে বাসুদেব বাবু খুঁজে বার করলেন শুভাশিসদের বাড়ি। দরজায় কড়া নাড়তেই অল্পবয়সী এক মহিলা দরজা খুলে দিলেন।
" আপনি নিশ্চয়ই শুভাশিসের মা?"
বাসুদেব বাবুকে মহিলা বিলক্ষণ চিনতেন। একেবারে অবাক হয়ে সসম্মানে বললেন,"স্যার, আপনি ভিতরে আসুন। শুভ দেখে যা কে এসেছেন।"
বাসুদেব বাবু ঘরে গিয়ে বসলেন। ঘরজুড়ে অভাবের চিহ্ন,তবে তার মধ্যেও রুচির ছাপ রয়েছে স্পষ্ট। শুভাশিস কাছে এসে দাঁড়াতেই বাসুদেব বাবু বললেন," তোর বাবা কেমন আছেন?"
শুভাশিস বলল," আজকে আর জ্বর আসেনি। তবে শরীর খুব দুর্বল।"
" ঠিক আছে। আমি যাবার সময় বাবাকে দেখে যাব। তুই এখন এক কাজ কর। আজকে তো আমার ক্লাসটা করতে পারিস নি। খাতা পেন নিয়ে আয়। অংক বইটাও আনিস। আজ ক্লাসে যা করিয়েছি তোকে শিখিয়ে দিচ্ছি।"
চল্লিশ মিনিটের ক্লাসে যা শিখিয়েছেন তা শেখাতে শেখাতে দেড় ঘন্টা পেরিয়ে গেল। ছেলেটার আগ্রহ দেখে বাসুদেব বাবু একেবারেই অবাক। বললেন," আমি এখন রোজই আসবো তোকে অঙ্ক শেখাতে।"
ছেলেটাকে অংক শেখাতে শেখাতে তার মধ্যে অগ্রগমনের বীজ বুনতে শুরু করে দিয়েছিলেন বাসুদেব বাবু। ছেলেটা অনেক দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে আরম্ভ করেছিল। একদিন বাসুদেব বাবু বললেন," তোর সবচেয়ে প্রিয় বিষয় কোনটারে?"
শুভাশিস বলল," অংক আর অঙ্কন।"
"ভালো বলেছিস তো! দুটোই চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একসাথে। অংকের সঙ্গে অঙ্কনের কোন বিরোধ নেই।"
বেশ চলছিল লেখা পড়া। বেশ চলছিল অংক শিখানো। হঠাৎ আগস্ট মাসের মাঝামাঝি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ল শুভাশিস।ডাক্তাররা ঠিকমতো ধরতে পারলেন না রোগটা। ভেলোর যেতে হলো শেষ পর্যন্ত। বাবা মার সঙ্গে ভেলোর যাওয়ার সময় স্যারকে প্রণাম করে শুভাশিস বলল," স্যার ফিরে এসে আবার শুরু হবে আমাদের অংক শেখা।"
শুভাশিস ফিরল না। শূন্য হাতে ফিরে এলেন ওর নিঃস্ব বাবা মা। খবর পেয়ে ওদের বাড়ি দেখা করতে যেতেই বাসুদেব বাবুর পায়ে পড়ে হাহাকার করে কেঁদে উঠলেন ওরা। আকাশকে যেন বিদীর্ণ করে তুলল সব হারানো দম্পতির কান্না। বাসুদেব বাবু চোয়াল শক্ত করে বসে রইলেন।
যখন উঠে আসবেন তখন শুভাশিসের মা একটা ড্রয়িং শীটে আঁকা ছবি বাসুদেব বাবুর হাতে দিয়ে বললেন," এই ছবিটা আঁকছিল শুভ শিক্ষক দিবসে নিজে আপনার হাতে দেবে বলে।"
ছবিটা হাতে নিয়ে বাসুদেব বাবু দেখলেন শুভাশিস খুব যত্ন করে তার মাস্টারমশাইয়ের ছবি এঁকেছে। জীবনের শেষ ছবি এঁকেছে শুভাশিস।একটু অসম্পূর্ণ রয়েছে ছবিটা। নিচে লেখা আছে 'আমার আদর্শ'।
বাড়ি ফিরলেন বাসুদেব বাবু। থমধমে মুখ। গিন্নি এসে বললেন," কী হলো? এরকম মুখ চোখ করে আছো কেন?"
ছবিটা এবার ঘরের টেবিলে নামিয়ে রেখে চিৎকার করে কেঁদে উঠলেন উনষাট বছর বয়সের বাসুদেব বাবু। কান্না থামলে বললেন,"মিতা, আমরা মাস্টারমশাইরা হয়তো অনেক কিছুই পাই না। কিন্তু আমরা যা পাই আর কেউ তা পায় না।"

প্রাপ্তি
----সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী।

08/07/2025

03/07/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

Uro Paata theke Jora Paata...sorbotroi hok alokmoy
24/06/2025

Uro Paata theke Jora Paata...sorbotroi hok alokmoy

Note to self
12/06/2025

Note to self

✈️ Uro Paata – Travel Special Edition is Boarding Soon! 🌍Have you wandered through misty hills, strolled unknown alleys ...
09/06/2025

✈️ Uro Paata – Travel Special Edition is Boarding Soon! 🌍

Have you wandered through misty hills, strolled unknown alleys in foreign lands, or found magic in your own backyard? This July, Uro Paata invites you to pack your memories and join us on a journey like no other!

We’re curating a Travel Special Edition that celebrates the joy of movement, the stories that paths whisper, and the poetry that maps can’t contain.

📬 We’re looking for:
✨ Travelogues that took your breath away
📷 Stunning travel photos that tell a story on their own
📝 Poems and short stories born on the road or in the heart of exploration

Whether it’s a solo trip to the mountains, a weekend escape, or a dream you’re still chasing — send it in! Let your journey inspire others.

📩 Submit your entries to: [[email protected]]
🗓️ Deadline: [22.06.2025, 11:59 pm]

Let’s go places — together, through words and images. 🌏💫
Uro Paata — Beyond Pages. Into Worlds.

---

🔌 Digital Detox: Because Your Mind Needs Recharging Too 🔋Ever noticed how we charge our phones before they hit 5%… but k...
05/06/2025

🔌 Digital Detox: Because Your Mind Needs Recharging Too 🔋

Ever noticed how we charge our phones before they hit 5%… but keep running ourselves on empty?

A digital detox isn't about abandoning your devices—it's about reclaiming your time, your peace, and your presence. One hour without scrolling can mean a quiet cup of tea, a real conversation, a page of a forgotten book… even the sound of your own thoughts.

Try it. The world won’t end if you miss a notification—but you might just rediscover a little joy hiding in the silence. 🌿✨

বাল্য বন্ধু"কিরে কেমন আছে রুমি?" অফিস থেকে ফোন লাগালাম মেয়েকে...কাল রাতে যা ঘটলো তারপর অফিসে পৌঁছে চোরের মতো ফোন করা ছাড়...
05/06/2025

বাল্য বন্ধু

"কিরে কেমন আছে রুমি?" অফিস থেকে ফোন লাগালাম মেয়েকে...কাল রাতে যা ঘটলো তারপর অফিসে পৌঁছে চোরের মতো ফোন করা ছাড়া উপায় ছিল না.. মেয়ে অহনা খানিক বিরক্তির সুরেই বললো "তোমার বন্ধু তো সকাল থেকে খালি ঘুমিয়েই যাচ্ছে, দুপুরের দিকে একবার উঠেছিল, খিচুড়ি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লো.."
ঠিকাছে বলে ফোন রেখে দিলাম..ঘড়িতে দেখলাম বিকেল ৫টা বাজে...আজ একটু তাড়াতাড়ি বেরোলাম..
বাসে উঠে কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেলো, ভীষণ ঝড় বৃষ্টি সাথে বাজ পড়া, চারদিকের প্রকৃতি এরম ঘোরতর হয়ে উঠেছিল যে রীতিমতো চিন্তিত ছিলাম সুপ্রভ বাড়ি কিভাবে ফিরবে এই নিয়ে...রাত পৌনে দশটা বাজে..ঘরবার করছি, মাও গালে হাত দিয়ে বসে আছে খাবার টেবিলের সামনে...এমন সময় দরজায় জোর কড়া নাড়ার আওয়াজ..
শাশুড়ি মাতার মুখে হাসি, ওই বুঝি ছেলে ফিরলো..দরজা খুলে হতভম্ব হয়ে গেলাম "রু..রু...রুদ্রানী"..
আমাদের বেথুনের জুয়েল ছাত্রী ছিল রুদ্রানী, যেমন পরমা সুন্দরী তেমনি তার মেধা, আমরা ওকে বলতাম বেথুনের রানী...প্রত্যেক ক্লাসে ফার্স্ট হতো, স্বভাব ছিল নম্র ভদ্র আর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্না, সব দিদিদের ফেভারিট রুদ্রানীকে কে না চেনে?
একি অবস্থা হয়েছে তার !!! ঘন কালো কোঁকড়ানো চুলের আদ্ধেক উঠে গেছে, গাল ভেঙে ঝুলে পড়েছে, চোখ কোটরে না দেখলে বিশ্বাসী করা যাবে না এই সেই রুমি...
ওকে হাত ধরে ভিতরে এনে বসলাম, বললাম "ভাই কি অবস্থা তোর?"
পাক্কা ১৮ বছর পর দেখা..আমার ঠিকানা ওর অজানা নয়...কত অলস দুপুর কাটিয়েছি কড়ি কাঠ গুনে এই বাড়িতে, তখন ঠাকুরদা বেঁচে ছিলেন, ওকে বরাবরই ভীষণ স্নেহ করতেন ঠাকুরদা...তখনকার দিনে উনি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন হুগলী জেলার..এই হাতি বাগানের বাড়িতে আমরা আছি প্রায় ৭ পুরুষ...তাই বিয়ের পর যখন সুপ্রভদেরকে ওর কাকারা বাড়ি থেকে এক প্রকার বের করে দিলো তখন এই বাড়িতেই আবার আশ্রয় নিলাম আমরা সবাই...সত্যি বলতে কি ইহজীবনে এই বাড়ি ছেড়ে যাবার ইচ্ছা আমার কোনো কালেই ছিল না...এই ১৮ বছরে
ঠাকুরদা, মা গত হয়েছেন, বাবাও রিটায়ার করেছেন, আমার ছেলে অনিকেত ক্লাস টু তে আর মেয়ে অহনা ফোরে পড়ে...সব মিলিয়ে বেশ জমজমাট সংসার..এই বাড়িটা এখনো দু হাত বাড়িয়ে আমাদেরকে আগলে রেখেছে... পৃথিবীর আর কোনো জায়গায় এই শান্তি নেই...রুমিকে হাজার প্রশ্ন করেও কাল কিছু জানতে পারিনি.. তাড়াতাড়ি বাড়ির দিকে পা বাড়ালাম ..অফিস থেকে বাড়ি পৌঁছতে আমার লাগে কুড়ি মিনিট..আজ পুরো ঘটনাটা জানতেই হবে...

ক্রমশঃ

Address

Calcutta Bara Bazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Uro Paata posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Uro Paata:

Share