Uro Paata

Uro Paata From Chaos to Creativity: an online Bengali magazine born from my love for writing during the uncertain times of pandemic. Here's to many more such stories ....

Grateful to my readers for their overwhelming response and being part of this journey!

Happiness brewed fresh served with a slice of peace...quiet mornings by the window    #উড়োপাতা
26/10/2025

Happiness brewed fresh served with a slice of peace...quiet mornings by the window

#উড়োপাতা

22/10/2025

কাল সন্ধেয় উদগ্র শব্দবাজিতে ভেসে যাচ্ছিল শহর কলকাতা। হয়তো সমগ্র পশ্চিমবঙ্গই। আর ঠিক তখনই দীপাবলি পালন হচ্ছিল লায়নস রেঞ্জের শতাব্দী প্রাচীন কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জে। এটাই তার শততম দীপাবলি। এবং শেষ দীপাবলি।

কারণ কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চিরতরে। স্বেচ্ছাঅবসর দেওয়া হয়েছে তার কর্মীদের। বিক্রী হয়ে যাচ্ছে তার সম্পত্তি।
দীপাবলি নয়। মৃত্যুঘণ্টা। আর সেটারই উদযাপন করছিল শব্দবাজির তাণ্ডব। আকাশে হলকা ছেটানো আগুন।

মুম্বাই আর কলম্বোর পর কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ এই উপমহাদেশের তৃতীয় প্রাচীন স্টক একচেঞ্জ। ১৯০৮ সালে যখন এই স্টক এক্সচেঞ্জ গঠিত হয় তখনও কলকাতা বৃটিশ রাজের রাজধানী। তখনও কলকাতা এশিয়ার সব থেকে বড় শহর। বিশ্বের প্রথম দশটা শহরের একটা।

চা, কয়লা, জুট, খনিজ, কলকাতা বন্দর – রমরম করে চলত কলকাতার বাণিজ্য। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেয়ার বাজারও। সে কথার সাক্ষী সেই সময়ের বাংলা সাহিত্য। পঞ্চাশ -ষাট দশকের সিনেমাও। শেয়ার বাজারের ওঠা নামার কথাও।

বাঙালি মনে রাখেনি। তবে এই উপমহাদেশের বাঙ্কিং সিস্টেমও শুরু হয়েছিল এই শহরেই। ইম্পেরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনেক আগে ব্যাঙ্কিং শুরু করেছিলেন এই শহরেরই এক বাঙালি ‘বামুন’ -চন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। যিনি অনেক বেশি পরিচিত ছকুবাবু নামে।

ছকুবাবু ছাড়াও ব্রিটিশদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম শুরু করেছিলেন সিনেমার শুটিং খ্যাত লাহাবাড়ির লাটুবাবু। যাঁর আসল নাম দুর্গাচরণ লাহা। রামনাথ ঠাকুর, দিগম্বর মিত্র, মতিলাল শীল – কত নাম।

যার সূত্র ধরে কিছুদিন আগে অবধিও কয়েকটা ব্যাঙ্কের সদর দপ্তর ছিল কলকাতাতেই। সেই ব্যাঙ্কগুলোর ব্যালেন্সশিটের কী অবস্থা আমরা জানি। তাদের মধ্যে কতগুলো অন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে গেছে তাও জানি আমরা।
ঠিক তেমনই হয়েছে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গেও। সত্তর দশকের পর থেকেই ভারতের নব্যশাসকরা কলকাতা শহর থেকে মুম্বাইতে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে ক্যাপিটাল। তাদের তৈরি করা লাইসেন্সরাজ গলা টিপে মারে এই শহরের ব্যবসাগুলোকে। খুন করা শুরু হয় এশিয়ার বৃহত্তম শহরকে। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ে তীব্র শ্রমিক অসন্তোষ। আত্মবিধ্বংসী রাজনীতি।

ট্রেডিং ভল্যুমে মুম্বাইয়ের অনেক পিছনে পড়ে যায় কলকাতার স্টক এক্সচেঞ্জ। নতুন ইলেকট্রনিক ট্রেডিং এর প্রকৌশলেও অনেক পিছিয়ে যায় কলকাতার স্টক এক্সচেঞ্জ।

দেশভাগে সব খুইয়ে আসা বিরাট এক জনগোষ্ঠী, সত্তরের দশকের অশান্ত বাম আন্দোলনে হারিয়ে যাওয়া শত শত উজ্জল মুখ, আর এই ভাগীরথীর মতোই শুকিয়ে যাওয়া এই রাজ্যের অর্থনীতি – ছকুবাবু, লাটুবাবু, লর্ড সিনহা, আলামোহন দাশদের উত্তরসূরী বাঙালিরা হয়ে ওঠেন ব্যবসাবিমুখ। ঝুঁকি নয়, এন্টারপ্রাইজ নয়, তার আকাঙ্খা হয়ে দাঁড়ায় কেরানিবৃত্তি, স্কুল্মাস্টারির নির্ঝঞ্ঝাট ক্ষুন্নিবৃত্তি। পঞ্চাশের দশকে প্রশান্তিচন্দ্র মহালনবিশের নেতৃত্বে এশিয়ার প্রথম কম্পিউটার ল্যাবরেটরির শহর, কলকাতারই রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আসল সময়ে, সেই কম্পিউটারেরই তীব্র বিরোধিতা করে বসে।

অবশ্য পরে অদৃষ্টের আশ্চর্য খেয়ালে, নতুন অর্থনীতির সময়ে, সেই কম্পিউটার-কেরানি হওয়াই হয়ে যায় বাঙালির জীবনের সারবত্তা।

ছকুবাবু, লাটুবাবু, মতিবাবু আলামোহন দাশ, রামনাথ-দ্বাররকানাথ ঠাকুর, বীরেন মুখার্জি, রাজেন মুখার্জিরা তো হারিয়েই গিয়েছিলেন। এই শহরের খৈতান, বিড়লা, বাঙ্গুর, জালান, ডালমিয়ারাও ব্যবসার জন্য অন্য শহরের দিকে দিকে মুখ বাড়িয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াস গুজরাতি, পার্সি, সিন্ধিরা তো সেই কবেই চলে যেতে শুরু করেছে কলকাতা থেকে।

শিক্ষিত বাঙালি চাকরি খুঁজতে চলে গেছে বিদেশে, নয় মুম্বাই-দিল্লি-ব্যাঙ্গালুরুতে। আর গরিব বাঙালিকে রাজমিস্ত্রী, গৃহসহায়ক, মুটেগিরির কাজ খুঁজতেও যেতে হয়েছে অন্য শহরে।

এই তো সেদিন, ভাইরাল ভিডিওতে দেখলাম এক মারোয়াড়ি এক বাঙালিকে কলকাতা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে হিন্দিতে কথা বলার জ্ঞান দিল। ঠিকই করেছে, এই সব ‘চাকর-বাকর’দের ভাষা সে শুনবেই বা কেন?

মজার কথা হল কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ ধ্বংস হতই, তবে তার কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতেছিল এক গুজরাতি। কেতন পারেখ। তার স্ক্যামের পরই মাজা ভেঙে গিয়েছিল এই স্টক এক্সচেঞ্জের।

বাঙালি অবশ্য সে সবও পারে না। তার স্ক্যামের দৌড়ও পঞ্জি চিটফান্ড অবধি।

আমরা কী পারি? অবশ্যই শব্দবাজি ফাটাতে। আকাশের দিকে পটকা ছুড়ে দিতে। পাখি-পশুদের ধ্বংস করে দিতে। কেনই বা পারব না? ভাই শব্দবাজির ট্রেডিং তো চম্পাহাটিতে হয়। বেআইনি বাজি কারখানা তো কয়েকটা হলেও এই রাজ্যেই আছে। বিড়ি আর বাজিই তো আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং। মেড ইন বেঙ্গল।

তাই আসুন ভাই, আমরা শব্দবাজি ফাটাই। হেরো জাত ওর বেশি আর কীই বা পারে?

( সহলেখক শমিক ঘোষের দেওয়াল থেকে নেওয়া )

#উড়োপাতা

07/10/2025

I gained 1,038 followers, created 63 posts and received 7,515 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

আজ থেকে প্রায়  বছর ৮ আগে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমাকে জন্মদিনে একটা লিপস্টিক পাঠায়, তার পোষ্টিং তখন কলকাতা থেকে অনেক দূর। ...
07/10/2025

আজ থেকে প্রায় বছর ৮ আগে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমাকে জন্মদিনে একটা লিপস্টিক পাঠায়, তার পোষ্টিং তখন কলকাতা থেকে অনেক দূর। লিপস্টিক প্রেমীরা জানবেন Mac এর Ruby Woo একটা আলাদা ট্রেন্ড, এই লিপস্টিক এমন অদ্ভুত সুন্দর যেকোনো complexion হয়ে ওঠে ব্রাইট। আমার এই শেড টার উপর লোভ ছিল বহুদিনের, কিন্তু 3000 টাকা দিয়ে লিপস্টিক কেনাকে বাহুল্য মনে হতো। কিন্তু আমার সেই বান্ধবী নিজের বিশাল মনের পরিচয় দিয়ে নিজের জন্য না নিয়ে আমাকে কিনে দিয়েছিল এই প্রসাধনী টি। পেয়ে এত আনন্দিত হয়েছিলাম যে বলার মত নয় ।
এত কিছু লেখার একটাই কারণ আজ সেই লিপস্টিকটি expire করে গেছে। অনেকটা আমার আর তর বন্ধুত্বের মতোই....

After the PujaIt is that time of the year again when the city exhales.The dhaak has quietened, pandals have dimmed, and ...
03/10/2025

After the Puja

It is that time of the year again when the city exhales.
The dhaak has quietened, pandals have dimmed, and the goddess has bid farewell—her eyes still lingering in memory as she drifts away with the river. What remains is a hush, heavy yet tender, wrapping itself around Kolkata’s streets.

Loneliness tiptoes in, for the laughter and the crowd have dispersed. Yet beneath the silence lies a curious warmth—like the soft glow of twilight that refuses to vanish completely. It is the city’s way of holding on, of whispering a promise.

For even in this moment of stillness, hope stirs quietly.
Asche bochor abar hobe. Next year, she will return. And so will the music, the lights, the joy.

Until then, Kolkata waits—lonely, yes, but never without faith.
#পুজো2025 #উড়োপাতা #বিজয়া

🎬এ যেন ওয়ার অফ টাইটান্স। সহজ কথায় বললে শেয়ানে শেয়ানে যুদ্ধ। একদিকে উৎপল দত্তর মতো দাপুটে অভিনয়, অন্যদিকে মহানায়ক ম্যাজি...
03/10/2025

🎬এ যেন ওয়ার অফ টাইটান্স। সহজ কথায় বললে শেয়ানে শেয়ানে যুদ্ধ। একদিকে উৎপল দত্তর মতো দাপুটে অভিনয়, অন্যদিকে মহানায়ক ম্যাজিক। দুই কিংবদন্তি অভিনেতা যে সামনা সামনি এলে অল্প বিস্তর খুটখাট লাগবে, তা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন সপ্তপদী ছবির পরিচালক অজয় কর। তবুও ছবির প্রয়োজনে এটুকু ঝুঁকি তো নিতেই হয়েছিল। ভাগ্যিস নিয়েছিলেন, এই ঝুঁকির জেরেই তৈরি হয় টলিউডের এক ইতিহাস।

সালটা ১৯৬১ সাল। মুক্তি পায় উত্তম-সুচিত্রার কালজয়ী ছবি সপ্তপদী। এই ছবি বাংলা ছবির সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। এই ছবিতে সুচিত্রার রিনা ব্রাউন এবং উত্তমের কৃষেন্দু চরিত্র আজও দর্শকদের নাড়া দেয়। সপ্তপদীর এই পথ যদি না শেষ হয় গানটি তো আজও সেরা প্রেমের গান। তবে এই ছবির এক দৃশ্য হইচই ফেলে দিয়েছিল সিনে দুনিয়ায়। যেখানে মঞ্চে ওথেলো উত্তম এবং ডেস্টিমোনা সুচিত্রা। এই দৃ্শ্য পরিচালক অজয় বুঝেছিলেন, ওথলো চরিত্রে উত্তমের কণ্ঠ ঠিক মিলমিশ খাবে না। তাই অজয় গেলেন উৎপল দত্তর কাছে। উৎপল সংলাপটি বলবেন, আর লিপ দেবেন উত্তম। অজয় করের প্ল্যান ছিল তেমনই। কিন্তু ওথলো করবে উত্তম! পরিচালক অজয় করের মুখে এমন কথা শুনে হেসে উঠেছিলেন উৎপল। সেই সময়কার এক বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উৎপল দত্ত জানিয়ে ছিলেন, উত্তমরের, ওথেলো করার কথা তাঁর কাছে বেশ হাস্যকর মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে উত্তম যেটা করেছিলেন, তা দেখে রীতিমতো বোমকে গিয়েছিলেন।

ঠিক কী ঘটেছিল?

উৎপল দত্তর মনে হয়েছিল, শেক্সপিয়রের নাটকে অভিনয় করাটা অতটাও সহজ নয়। কেননা, সেই নাটকের সংলাপ বলার ক্ষেত্রে তার নির্দিষ্ট তাল, ছন্দ ও সুর রয়েছে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঠিক অভিব্যক্তিও প্রয়োজন। উৎপল প্রথমে ভেবেছিলেন উত্তমের দ্বারা একাজ হবে না। আর সেই ধারনাটা অজয় করকে স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন উৎপল দত্ত।

উৎপল দত্তর এই ধারনার কথা জানতে পারেন মহানায়ক। তিনি সুযোগ করে উৎপল দত্তর সঙ্গে দেখা করতে যান। উৎপলকে জানান, পুরো সংলাপটি তিনি যেন রেকর্ড করে উত্তমকে দেন। সেটা প্র্যাকটিস করে, উৎপলের সামনেই গোটা দৃশ্য অভিনয় করবেন। বিষয়টি অবাক লাগলেও, উত্তমের এই কথায় রাজি হন তিনি। মহানায়ক মাত্র দুটো দিন সময় নিয়েছিলেন। এরপর পুরো দৃশ্যটি অভিনয় করেও দেখিয়ে ছিলেন। উৎপল সেদিন অপলক দেখেছিলেন উত্তমের অভিনয়। কুর্ণিশ জানিয়ে ছিলেন মহানায়কের অভিনয় প্রতিভাকে। এরপরের ঘটনা তো ইতিহাস। আজও সপ্তপদীর সেই দৃশ্য মুগ্ধ করে সিনেপ্রেমীদের। যে দৃশ্যে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন উত্তম এবং কণ্ঠ ছিল উৎপল দত্তর।

তথ্যসূত্র - Tv9 বাংলা
✍️ আকাশ মিশ্র ✍️
#মহানায়ক

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Uro Paata posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Uro Paata:

Share