26/04/2024
বিগত কিছু বছর ধরে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি, এই চাকরির আড়ালে আবডালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন ভাবে শাস্তি পাচ্ছে, কিন্তু এখন এই ব্যাপার আর ছোট খাটো ব্যাপার এ সীমাবদ্ধ নেই দেশ বিদেশ জুড়ে ছড়িয়েছে এই অপ্রীতিকর ঘটনার কথা।
যা খুব নিন্দনীয় বিষয়, কিন্তু খুব নিন্দনীয় বিষয় হলেও, সমাজের স্বার্থে এই ব্যাপারটি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে বাধ্য, কারণ ভারতীয় স্বাধীনতার 76 বছর পরেও আমরা যে, এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটা কোনদিনও, আমরা কেউ ভাবতে পারিনি, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের পক্ষ থেকে এখন এই কথা গুলি হৃদয়স্পর্শ করতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার, যারা সমাজের রক্ষক, আজকে তাদের দ্বারাই একটি বিশাল অংকের টাকার জালিয়াতি, সর্বসম্মুখে উঠে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের আবালবৃদ্ধবনিতা সবার মুখে মুখে একটাই কথা, দুর্নীতি দুর্নীতি আর দুর্নীতি এই দুর্নীতির জন্য পশ্চিমবঙ্গের অরাজনৈতিক মানুষ গুলি এই বাক্যটি শুনতে শুনতে আজ ক্লান্ত।
তো আজ আমরা যেটা নিয়ে আলোচনা করবো তা হলো শিক্ষা দপ্তরে স্ক্যাম।
আর এই ঘটনা গুলি সামনে থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন পশ্চিম বঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন যাকে বলা হয় SSC
একটা সময় SSC বলে একটা সংস্থা ছিল রাজ্যে, যারা নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত উঠতি পরিশ্রমী ছেলেমেয়েদের কাছে ছিল পরিত্রাণের বৈকুণ্ঠ। অনার্সটা সেরে, খেটেখুটে মাস্টার্স করেছে, মেসে থেকে, টিউশন পড়িয়ে, রাত জেগে নিজে পড়ে SSC টা পাবার চেষ্টা করেছে। বন্ধুদের গ্রুপ করে পড়েছে। একবারে নাহলে পরের বারে আরো তীব্র চেষ্টায় ঠিক চাকরিটা পেয়ে গেছে।
মাঠেঘাটে, গ্রামগঞ্জ, মফঃস্বল, ছোট শহরে SSC ছিল তখন এক বাৎসরিক উৎসব। সমাজের সমস্ত স্তরের শিক্ষিত, লেখাপড়া জানা ছেলেমেয়েরা শিক্ষকতার মাধ্যমে একটা নিশ্চিত সংস্থানের আধার পেয়েছে। তখন নিয়মিত শোনা যেত, ওই গ্রামের ওই ছেলেটা চাকরি পেয়েছে, ওই পাড়ার ওই মেয়েটা চাকরি পেয়েছে।
এখনও রাজ্যে এসএসসি বলে একটা সংস্থা আছে, যে শেষ আট বছর ধরে বড্ড তৎপর। তবে পরীক্ষা নিতে নয়, ফলাফল প্রকাশ করতে নয়, কাউন্সেলিং করতেও নয়, সে ব্যস্ত আছে আদালতে শুধু প্রমাণ করতে যে দুর্নীতি হয়নি,
নিয়োগ সংস্থা হিসেবে এসএসসির এই দৈন্যদশা মাঝেমাঝে মনকে উদাস করে বৈকি! সেই ছেলেমেয়েগুলোর উদ্যম আজ সেই সাদাকালো নস্টালজিয়া থেকে উঁকি মারে। সদ্য স্নাতক ছেলেটা আর শিক্ষকতা নিয়ে ততটা আবেগ প্রবণ নয় যতটা এক দশক আগের প্রজন্ম ছিল।
এখন ওরা শুধু সংস্থানের সন্ধান ঘুরছে। শিক্ষক হতে হবে অথবা শিক্ষিকা, সেটা আর ওদের টানে না সেভাবে।
হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা খুব নিন্দনীয় বিষয়, কিন্তু খুব নিন্দনীয় বিষয় হলেও, .....