04/10/2025
যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে - 'শ্রেষ্ঠ পুজো ২.০'
সংবাদ বাংলার মুখ প্রতিবেদন, কলকাতাঃ
দুর্গোৎসবে অভিজ্ঞতার সাক্ষী নগর কলকাতা ও সুইগি-র অভিনব উদ্যোগ। একদিকে, যখন প্রবল ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে মণ্ডপে যাওয়া অসম্ভব, তখন ঘরের মধ্যেই হাজির মন্ডপ। দ্বিতীয় বছরের উদ্যোগেও সামিল তারা। এ বছরেও দুর্গোৎসবে অভিনবত্বের ডালি নিয়ে হাজিরা এবং অভিজ্ঞতার সাক্ষী তিলোত্তমা মহানগরীর নাগরিকবৃন্দ। মহতী এর উদ্যোগ পাশে সুইগি।
‘শ্রেষ্ঠ পুজো ২.০’ - দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ ডিজিটাল প্রতিযোগিতায় নতুন করে কলকাতায় পুজোর শহরে। গতবারের সাফল্যের পর এবারও দ্বিতীয় বছরে এমন উদ্যোগের আয়োজন করে সুইগি। উল্লেখ্য, ২৭ সেপ্টেম্বর ১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিযোগিতা চলে। শহরের ৫০ এর বেশি নামী পুজো যোগদান করে। প্রতিটি মণ্ডপের শিল্পকলা, ঐতিহ্য ও রীতিনীতি তুলে ধরা হয়েছে সুইগি অ্যাপের বিশেষ বিভাগে। দর্শকরা নিজেদের পছন্দের মণ্ডপে ভোট দেন এবং ৫০ টাকা সুইগি ক্যাশ অফার পান, যা ব্যবহারযোগ্য ছিল তাঁদের পরবর্তী অর্ডারে।
ফলে, যাঁরা ভিড় এড়িয়ে ঘরে বসে উৎসব উপভোগ করতে চেয়েছেন, প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে শহরের বাইরে বাঙালিরাও কলকাতার দুর্গোৎসবের স্বাদ অভিনব উপায়ে তা পেয়েছেন। বিজয়ীদের সম্বন্ধে ২ অক্টোবর ঘোষণা করা হয়। বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ঘোষণা, প্রথম স্থান - অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাব, ৫ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় স্থান - অজেয় সংহতি ক্লাব, ২ লক্ষ টাকা। তৃতীয় স্থান - দমদম পার্ক ভারতচক্র ক্লাব, ১ লক্ষ টাকা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
সুইগি-র তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট (সিন্স ) সুপ্রিয়া শঙ্কর ও সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা সরাসরি পৌঁছে গিয়ে বিজয়ী মণ্ডপগুলির আয়োজকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সংবর্ধনার আবহে মিলেমিশে একাকার - বিজয়া দশমীর রঙে। ক্লাবের সদস্য, সুইগি-র প্রতিনিধি ও স্থানীয়রা একসঙ্গে অংশগ্রহণে সিঁদুর খেলায়। দেবীর বিদায়ের মুহূর্তে আবেগ আর আনন্দে ভরে ওঠে চারপাশ। প্রযুক্তি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সুইগি-র ওই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই বাঙালির মনে দাগ কাটতে শুরু করেছে। বরং ঘরের ড্রইং রুমে কলকাতার সেরা পুজো উপভোগের সুযোগ করে দিয়ে, দুর্গোৎসবকে আরও অন্তরঙ্গ, সর্বজনীন করে তুলেছে ‘শ্রেষ্ঠ পুজো - ২.০’। You ❤️ On time.