Joy Bangla Sambad

Joy Bangla Sambad জয় বাংলা মানে এই বাংলার গভীর আবেগ।জয় বাংলা মানে জগৎ সভায় বাংলার শ্রেষ্ঠত্বের অঙ্গীকার।জয় হোক বাংলার।
(3)

বলিউডে শোকের ছায়া: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিতJoy Bangla Sambad মুম্বই, ৭ নভেম্বর — বলিউডে নেমে এস...
06/11/2025

বলিউডে শোকের ছায়া: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত

Joy Bangla Sambad
মুম্বই, ৭ নভেম্বর — বলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, তিনি কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ভাই সংগীত পরিচালক ললিত পণ্ডিত জানিয়েছেন, “আজ রাত ৮টার দিকে দিদি cardiac arrest-এ মারা গেছেন। আগামীকাল দুপুরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।”

সত্তর ও আশির দশকে বলিউডে সুলক্ষণা পণ্ডিত ছিলেন এক উজ্জ্বল মুখ। অভিনয় ও গানের জগতে তাঁর অবদান আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তিনি কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক জুটি জতিন–ললিতের দিদি এবং অভিনেত্রী বিজয়তা পণ্ডিতের বোন।

১৯৭৫ সালে সঞ্জীব কুমারের বিপরীতে ‘উলঝন’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন সুলক্ষণা। এরপর একে একে ‘সংকোচ’, ‘হেরা ফেরি’, ‘আপনাপন’, ‘খানদান’, ‘চেহরে পে চেহরা’, ‘ধর্মকান্তা’ ও ‘বক্ত কি দেওয়ার’— এই সব ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছিল। তিনি অভিনয় করেছেন সেই সময়ের শীর্ষ নায়কদের সঙ্গে— যেমন জিতেন্দ্র, রাজেশ খান্না, বিনোদ খান্না, শশী কাপুর এবং শত্রুঘ্ন সিনহা।

১৯৭৮ সালে বাংলা চলচ্চিত্র ‘বান্দি’–তে মহানায়ক উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করে তিনি নজর কাড়েন বাংলার দর্শকদেরও।

অভিনয়ের পাশাপাশি সংগীত জগতেও তাঁর পদচিহ্ন সমানভাবে উজ্জ্বল। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে ১৯৬৭ সালের ‘তকদির’ ছবির “সাত সমুন্দর পার সে” গানে প্রথম কণ্ঠ দেন। পরে কিশোর কুমার, হেমন্ত কুমার, মহম্মদ রফি, শৈলেন্দ্র সিং, যেসুদাস, উদিত নারায়ণ প্রমুখ গায়কদের সঙ্গে একাধিক জনপ্রিয় গান উপহার দেন তিনি।

১৯৮০ সালে প্রকাশিত তাঁর একক অ্যালবাম ‘জজবাত’ সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। তিনি ছিলেন এক দক্ষ গজল শিল্পীও। ১৯৮৬ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে অনুষ্ঠিত ‘Festival of Indian Music’–এ ভারতীয় সংগীতশিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সুলক্ষণা।

সঙ্গীত পরিচালনায় কাজ করেছেন শংকর–জয়কিশন, লক্ষ্মীকান্ত–প্যায়ারেলাল, কল্যাণজি–আনন্দজি, বাপ্পি লাহিড়ি, খৈয়াম, রাজেশ রোশন সহ আরও বহু কিংবদন্তির সঙ্গে। তাঁর শেষ রেকর্ড করা সংগীত ছিল ১৯৯৬ সালের ‘খামোশি দ্য মিউজিক্যাল’ ছবির “সাগর কিনারে ভি দো দিল”–এর আলাপ, যা সুর করেছিলেন তাঁর ভাইরা, জতিন–ললিত।

বলিউডের বহু শিল্পী, সংগীত পরিচালক ও সহকর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তাঁরা স্মরণ করছেন এক অনন্য শিল্পীকে, যিনি ছিলেন অভিনয় ও সংগীত—দুই জগতেরই এক নীরব আলোকিত নক্ষত্র।

জয় বাংলা সংবাদ এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

বাংলার হকির নতুন দিগন্ত! আন্তর্জাতিক মানের হকি স্টেডিয়ামের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী জয় বাংলা সংবাদ  সুদী...
06/11/2025

বাংলার হকির নতুন দিগন্ত! আন্তর্জাতিক মানের হকি স্টেডিয়ামের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

জয় বাংলা সংবাদ

সুদীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পের বাস্তবায়িত রুপ বর্তমানে বিবেকানন্দ যুবভারতী হকি স্টেডিয়াম।

আজ ছিল ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুভ উদ্বোধন। উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট স্টেডিয়ামেরনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন সারলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

অন্ততপক্ষে কুড়ি কোটি টাকা ব্যয় করে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে রয়েছে খুবই উচ্চমানের গ্যালারি। ২২ হাজার দর্শকের বসার সুব্যবস্থা রয়েছে।

পাশাপাশি আরো অনেক কিছু, যেমন দুটি সুসজ্জিত ড্রেসিংরুম, একটি ভিভিআইপি বক্স, প্রেস কর্নার সহ আরো অনেক কিছু রয়েছে।

এই স্টেডিয়াম বাংলার হকির নতুন দিগন্ত খুলে দিল। জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট সবকিছু আয়োজনে প্রস্তুত রয়েছে বাংলা।

বাংলার নবনির্মিত হকি স্টেডিয়ামকে ক্যাটাগরির দুই সার্টিফিকেট দিয়েছে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন।
Joy Bangla Sambad

নবদ্বীপের রাস বিখ্যাত!  প্রাচীন মায়াপুরে একসাথে ১০৮ টি  রাধা কৃষ্ণের মূর্তি পুজিত হয়। জয় বাংলা সংবাদ আজ রাস পূর্ণিমা!...
05/11/2025

নবদ্বীপের রাস বিখ্যাত! প্রাচীন মায়াপুরে একসাথে ১০৮ টি রাধা কৃষ্ণের মূর্তি পুজিত হয়।

জয় বাংলা সংবাদ

আজ রাস পূর্ণিমা! নবদ্বীপের রাস উৎসব বিখ্যাত। প্রচুর মানুষ দূর দূরান্ত থেকে নবদ্বীপের রাস উৎসব দেখতে ভিড় জমিয়ে থাকেন।
নবদ্বীপের রাস উৎসবের মূল আকর্ষণ হল সু- উচ্চ প্রতিমা, আর ঐতিহ্য বাহী পুজো।

একমাত্র নবদ্বীপের রাস উৎসবেই বিভিন্ন দেবদেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। নবদ্বীপের রাস উৎসবে বিভিন্ন দেবদেবী পূজিত হন।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো একসাথে একশত আটটি রাধা- কৃষ্ণের মূর্তি পুজিত হন।

নবদ্বীপ শহরের অন্তর্গত প্রাচীন মায়াপুরে প্রতিবছরের মত এ বছরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সর্বজনীন শ্রী শ্রী মহাচক্র রাস উৎসব।

চলতি বছর এই পুজো ৬৯ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের ভিড় প্রত্যেক বছর লক্ষ্য করা যায়। উদ্যোক্তারা আশাবাদী এ বছরও প্রচুর মানুষ তাদের পুজো দেখতে ভিড় জমাবেন।


দর্শনার্থীরা এমন বিরল দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যান।
প্রতিমায় ১০৮টি রাধাকৃষ্ণ মূর্তি অবস্থান করে। যে মূর্তিগুলি চক্রাকারে ক্রমাগত ঘূর্ণায়মান অবস্থায় অবস্থানে থাকে।

ভক্তদের কাছে এই পুজো আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য বহন করে। প্রতিবছরই হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমিয়ে থাকেন প্রাচীন মায়াপুর এলাকায় এই পুজো দেখতে।
Joy Bangla Sambad

05/11/2025

শ্রীগুরু নানকজী ৫৫৬তম জন্মবার্ষিকী পালন শিলিগুড়ি থেকে সরকারি

আজ রাস পূর্ণিমা! ভগবানের সাথে ভক্তদের প্রেম ও মিলনের উৎসব জয় বাংলা সংবাদ আজ রাস পূর্ণিমা, প্রত্যেক বছর কার্তিক মাস উল্ল...
05/11/2025

আজ রাস পূর্ণিমা! ভগবানের সাথে ভক্তদের প্রেম ও মিলনের উৎসব

জয় বাংলা সংবাদ

আজ রাস পূর্ণিমা, প্রত্যেক বছর কার্তিক মাস উল্লেখিত দামোদর মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই মহা উৎসব পালন করা হয়।

রাস পূর্ণিমাহিন্দু ধর্মের এক পবিত্র ও ভক্তিময় উৎসব। প্রসঙ্গত এমনটাই বলা হয়ে থাকে এই বিশেষ দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে গোপীদের সাথে ঐশ্বরিক রাসলীলা করেছিলেন।

এই ঐশ্বরিক রাসলীলা আসলে ভগবান ও ভক্তদের মধ্যে প্রেম ও মিলনের প্রতীক বলা হয়। রাস পূর্ণিমার দিন হিন্দুদের কাছে খুবই পবিত্র দিন।

ভগবত পুরাণ অনুসারে এক পূর্ণিমা রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মন্ত্রমুগ্ধ বাঁশির সুরে গোপীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সেই মন্ত্রমুগ্ধ বাঁশির সুর শুনে গোপীগণ তাদের সমস্ত সাংসারিক কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে মোহিত শ্রীকৃষ্ণের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে শ্রীকৃষ্ণ গোপীর সাথে একসঙ্গে নৃত্য করছিলেন। এই ঘটনাকেই মহারাস লীলা বলা হয়ে থাকে।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গোপিদের সঙ্গে নৃত্য করাকে নৃত্য ঈশ্বর ও আত্মার মিলনের প্রতীক বলে মনে করা হয়।

রাস পূর্ণিমার শুভ দিনে ভক্তি ভরে রাধা-কৃষ্ণের উপাসনা কীর্তন, ভজন ও উপবাস পালন করে থাকেন ভক্তরা।

শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের বিশ্বাস আজকের পবিত্র রাতে ভগবান কৃষ্ণের দর্শন লাভ সম্ভব হয়। পাশাপাশি শ্রীকৃষ্ণের নাম উচ্চারণে পাপমোচন ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন সম্ভবপর হয়ে থাকে।

রাস পূর্ণিমার পবিত্র দিনে ভক্তগণ সকালে স্নান সেরে রাধাকৃষ্ণ লক্ষী নারায়ণের পুজো করে থাকেন। ভক্তি ভরে একবেলা ফলাহার বা উপবাস করেন ভক্তরা।
রাতে মহা কীর্তন ও ভজন করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে চন্দ্রদেব কে দর্শন করবার পর অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। পরিশেষে শ্রীমদ্ভ ভগবত গীতা পাঠ করা হয়।

মায়াপুর ইসকন মন্দিরে প্রত্যেক বছর মহাসামরহে রাসপূর্ণিমার শুভ দিন উদযাপন করা হয়ে থাকে। সারা বছরই মায়াপুর ইসকনে ভক্তদের ঢল নামে, তবে রাস পূর্ণিমার দিনে ভক্তদের সমাগম আরো বেড়ে যায়। দূর দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্তরা রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে এসে থাকেন। পাশাপাশি মথুরা বৃন্দাবনে ও ঘটা করে পালন করা হয়ে থাকে রাসপূর্ণিমার মহা উৎসব। মহাধাম পুরী ও অন্যান্য তীর্থ ক্ষেত্রেও রাস পূর্ণিমার ভজন কীর্তন পুজো পাঠের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে।
Joy Bangla Sambad Santanu Ray জয় বাংলা সংবাদ Kolkata Municipal Corporation Asansol " CITY OF BROTHERHOOD "

উত্তরবঙ্গের অন্যতম বোল্লা রক্ষা কালীপুজো আগামী ৭ই নভেম্বর, প্রস্তুতি তুঙ্গে জয় বাংলা সংবাদউত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় ...
04/11/2025

উত্তরবঙ্গের অন্যতম বোল্লা রক্ষা কালীপুজো আগামী ৭ই নভেম্বর, প্রস্তুতি তুঙ্গে

জয় বাংলা সংবাদ

উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় বোল্লা কালীপুজো। উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের সন্নিকটে বোল্লা গ্রামে মায়ের আরাধনা করা হয়ে থাকে। এই কালীপুজো প্রত্যেক বছর রাস পূর্ণিমার পরবর্তী শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হয়, এবং সোমবার পর্যন্ত চলে।

এই কালীপুজো বোল্লা রক্ষা কালী পুজো নামে পরিচিত। চলতি বছর পূজো অনুষ্ঠিত হবে আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৭ই নভেম্বর। পুজো উপলক্ষে প্রস্তুতি জোরদার চলছে। হাতে খুব একটা সময় নেই সেই কারণেই, পুজো ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।

মায়ের পূজো উপলক্ষে চার দিনের মেলা বসে। সুবিশাল মেলায় প্রচুর মানুষ এসে থাকেন। এই মেলার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। শুধু এই রাজ্য নয় প্রতিবেশী বিভিন্ন রাজ্য, বিদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ মায়ের পুজোর দর্শন করতে ও মেলা দেখতে এসে থাকেন। পুজো উপলক্ষে বিখ্যাত এই মেলায় লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হয়ে থাকে। জানা যায় বোল্লা গ্রাম থেকেই মায়ের পুজোর নামকরণ হয়েছে।

ভক্তদের কাছে মা খুব জাগ্রত! ভক্তদের ডাকে সাড়া দিয়ে মনোবাঞ্ছা পূরণ করে থাকেন মা। বোল্লা কালীপুজো বোল্লা রক্ষা কালী পুজো নামেও পরিচিত।
Joy Bangla Sambad Santanu Ray

আসানসোলে ‘কল্পমূক উৎসব’: মূকাভিনয়ের মঞ্চে সৃজনের সোনালি ছোঁয়াজয় বাংলা সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদন | আসানসোল:গত ১ ও ২ নভেম্ব...
04/11/2025

আসানসোলে ‘কল্পমূক উৎসব’: মূকাভিনয়ের মঞ্চে সৃজনের সোনালি ছোঁয়া

জয় বাংলা সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদন | আসানসোল:

গত ১ ও ২ নভেম্বর আসানসোল রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কল্পমূক উৎসব’। আয়োজন করেছিল অমিয় মেমোরিয়াল ক্রিয়েটিভ আর্ট, সংস্থার কর্ণধার বিশিষ্ট মূকাভিনয় শিল্পী কল্পতরু গুহ। দু’বার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পীর পরিচালনায় সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হলো দুই দিনের এই ব্যতিক্রমী উৎসব।

দু’দিনে মোট আটটি অনুষ্ঠান ছিল উৎসবের আকর্ষণ। প্রথম দিনের সূচনায় ছিল মণিপুরের কাংলেই মাইম থিয়েটার রেপার্টরী-র অনবদ্য উপস্থাপনা, যা দর্শকদের মন জয় করে নেয়। অসমের ‘থার্ড থিয়েটার’-এর মনোগ্রাহী পরিবেশনার পাশাপাশি ছিল কলকাতার প্রখ্যাত ‘ইন্ডিয়ান মাইম থিয়েটার’-এর অনুষ্ঠান। এছাড়া আসানসোল কথাভাষ্যের প্রযোজনা ‘মিরাকেল’ নাটকও দর্শকদের বিশেষভাবে মুগ্ধ করে।

দ্বিতীয় দিনে ছিল চারটি অনুষ্ঠান। সূচনায় ‘যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমি’ দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে তোলে। কিংবদন্তি যোগেশ দত্তের পরিচালনায় তাঁদের উপস্থাপনায় দেখা যায় যোগেশ দত্ত ঘরানার স্পষ্ট প্রতিফলন। এরপর ছিল আয়োজক সংস্থা ‘অমিয় মেমোরিয়াল ক্রিয়েটিভ আর্ট’-এর নিজস্ব প্রযোজনা, পরিচালনায় শিল্পী কল্পতরু গুহ। তৃতীয় অনুষ্ঠানে ‘রঙতাল থিয়েটার’ (পরিচালনা: রতন চক্রবর্তী) পরিবেশন করে তাঁদের নাটক। সমাপনীতে ‘দিশারী বার্ণপুর’ মঞ্চস্থ করে নাটক ‘সেক্যুলার’।

উৎসবকে ঘিরে আয়োজিত হয় মূকাভিনয়ের উপর কর্মশালা, একটি আলোচনা সভা, এবং ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতা। কর্মশালায় অংশ নেয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নবীন শিল্পীরা—যা ভবিষ্যতের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আশার আলো জ্বালায়।

প্রসঙ্গত, এই উৎসবের মিডিয়া পার্টনার ছিল ‘জয় বাংলা সংবাদ’। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে আয়োজিত ‘জয় বাংলা সংবাদ "আসানসোল এক্সিলেন্সি এওয়ার্ড সেরা সম্মান" অনুষ্ঠানে সম্মানিত হয়েছিলেন প্রথিতযশা মূকাভিনয় শিল্পী কল্পতরু গুহ। তাঁর উদ্যোগে আয়োজিত ‘কল্পমূক উৎসব’-এও জয় বাংলা সংবাদ ছিল অফিসিয়াল মিডিয়া সহযোগী হিসেবে যুক্ত।

আসানসোলের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এমন আয়োজন নিঃসন্দেহে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। মূকাভিনয়ের মতো তুলনামূলক অবহেলিত শিল্পরূপকে কেন্দ্র করে এমন উৎসব প্রমাণ করে, শিল্পনগরী আসানসোলের সাংস্কৃতিক হৃদস্পন্দন আজও প্রাণবন্ত ও সতেজ।
Joy Bangla Sambad Santanu Ray Bengal News TODAY #বাচিক_শিল্প Joydip Mitra Asansol " CITY OF BROTHERHOOD " Titash Chatterjee

বহু ঐতিহ্য বহন করে চলেছে কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজো Joy Bangla Sambad বহু ঐতিহ্য বহন করে চলেছে কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজো। র...
29/10/2025

বহু ঐতিহ্য বহন করে চলেছে কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজো

Joy Bangla Sambad
বহু ঐতিহ্য বহন করে চলেছে কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজো। রাজ্যজুড়ে বিখ্যাত বুড়িমার পুজো। ভক্তদের দৃঢ় বিশ্বাস বুড়িমার কাছে প্রার্থনা করলে সেই প্রার্থনা বিফলে যায় না।

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো বিখ্যাত , তবে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়েছিল কৃষ্ণনগরে।

কথিত রয়েছে নদীয়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজত্বকালে তখন বাংলার নবাব ছিলেননবাব আলিবর্দি খাঁ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে থেকে অন্ততপক্ষে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সেই অর্থ দিতে পারেননি। সে কারণে নবাব তাকে বন্দী করেছিলেন। মুর্শিদাবাদে বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাকে।

পরবর্তীতে বন্দিদশা কাটানোর পর কৃষ্ণনগরে ফিরে আসেন, সেই সময় তিনি শুনতে পান দুর্গাপূজার আবহাওয়া শেষ। দুর্গাপূজার সময় উপস্থিত না থাকার কারণে অত্যন্ত দুঃখিত হয়েছিলেন। সেই রাতেই মা জগদ্ধাত্রী রাজাকে স্বপ্নে দর্শন দেন এবং পুজো করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে দেবী দুর্গার বিকল্প হিসেবে মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হয় কৃষ্ণনগর তথা বাংলায়।

রাজাবাড়ীর পুজোতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন লাঠিয়ালরা। তারা চাষা পাড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেন।

বর্তমানকালে এই পুজো বর্তমানে বুড়িমার পুজো নামে পরিচিত।

কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজোতে প্রথমে ঘট বসিয়ে পূজা শুরু হয়েছিল । পরবর্তীতে কিছু সময় পর মূর্তি তৈরি করে পুজো করার প্রচলন হয়। প্রথমদিকে বুড়িমা ,চাষামা নামে পরিচিত ছিল।

চাষাপাড়ার বুড়িমার ভুবনমোহিনী রূপের দর্শন করবার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণিত ভক্ত এসে থাকেন।

ভক্তদের অটল বিশ্বাস বুড়িমার কাছে প্রার্থনা করলে সেই প্রার্থনা পূরণ হবেই।

সেই কারণে ভক্তরাই মনস্কামনা পূরণ হবার পর বুড়িমাকে প্রণামী স্বরূপ নগদ, শাড়ি স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে থাকেন।জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন ভক্তদের প্রনামিতে দেওয়া স্বর্ণালঙ্কারেই ঐতিহ্যবাহী সাজে সজ্জিতা হন বুড়িমা।

চন্দননগরের চার পাঁচ দিন ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো চললেও কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কিন্তু একদিন । উল্লেখ্য
শুক্ল নবমীর দিন তিনবার পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হয়ে থাকে।

দশমীর দিন প্রথমে ঘট ভাসান হয়ে । পরবর্তীতে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সামনে প্রতিমার প্রদক্ষিণ হয়ে যাবার পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় জলঙ্গী নদীর তীরে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে।

সেই স্থানে মা জগদ্ধাত্রীকে প্রদক্ষিণ করানোর পর বিসর্জন দেওয়া হয় নদীতে।

সমগ্র প্রতিমা বিসর্জনের পর সবশেষে বুড়িমা কে বিসর্জন দেওয়া হয়।
Santanu Ray Santanu Ray Official

দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়লো চন্দননগরের সুবিশাল পুজো মন্ডপ! ঘটনায় আহত অন্ততপক্ষে ৬ জয় বাংলা সংবাদ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আনন্দ ...
28/10/2025

দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়লো চন্দননগরের সুবিশাল পুজো মন্ডপ! ঘটনায় আহত অন্ততপক্ষে ৬

জয় বাংলা সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ আনন্দ মাটি করে দিল। চন্দননগরে জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর যথেষ্ট পরিমাণে খ্যাতি রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ,
দমকা হাওয়ায় ভাঙলো পুজো মন্ডপ, আহত অন্ততপক্ষে ছয় জন। চন্দননগরের মানকুন্ডু কানাইলাল পল্লীতে দমকা হওয়ার কারণে ভেঙে পড়ে বৃহত্তম জগদ্ধাত্রী পূজার মন্ডপ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হঠাৎই ভেঙে পড়ে সুবিশাল পুজো মন্ডপটি।

সূত্র মারফত খবর মিলেছে অন্ততপক্ষে ছয় জন দর্শনার্থী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করবার পর চিকিৎসার জন্য চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এরকম ঘটনার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত আহতদের ঘটনার চারদিকে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জোরদার করা হয়। গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছে পুলিশ প্রশাসন।
Joy Bangla Sambad Santanu Ray

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জমজমাট! জয় বাংলা সংবাদ জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা চন্দননগর। দুর্গাপূজোর জন্য যেরকম সু...
28/10/2025

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জমজমাট!

জয় বাংলা সংবাদ

জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা চন্দননগর। দুর্গাপূজোর জন্য যেরকম সুখ্যাতি রয়েছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গার। সেরকম এই চন্দননগরের খ্যাতি জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য।

প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও জমজমাট ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো।

এখানকার পুজোর জগৎজোড়া খ্যাতি রয়েছে। মায়ের প্রতিমা দর্শন করতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সুবিশাল জগদ্ধাত্রী মায়ের প্রতিমা, উল্লেখ্য দুর্দান্ত আলোকসজ্জা সব মিলিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো প্রত্যেকবারের মতো এবারও জমজমাট। পুজোর চার পাঁচ দিন বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা প্রতিমার দর্শন করেন।

তবে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন কিন্তু শুরু হয়েছিল নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কারাগারে বন্দি ছিলেন, সেখান থেকে তিনি যখন মুক্তি পান তখন দুর্গাপুজোর আবহাওয়া শেষ। মন খারাপ হয় রাজার, কথিত রয়েছে দেবী তখন স্বপ্নাদেশ দেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে। এরপরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেবীর আদেশ অনুসারে শুরু করেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে দেবীর পুজো।

প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা হলেও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কিন্তু বিখ্যাত। পুজোর আলোয় গোটা চন্দননগরের আদল বদলে যায়।
Joy Bangla Sambad Santanu Ray

কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ, সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান—ছট পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে উৎসবের আমেজজয় বাংলা সংবাদ, সজল দাশগুপ্তছট...
27/10/2025

কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ, সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান—ছট পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে উৎসবের আমেজ

জয় বাংলা সংবাদ, সজল দাশগুপ্ত

ছট পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের অনবদ্য আবহ। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দিভাষী মানুষদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে সাজো সাজো রব।

প্রতি বছরই ধুমধাম করে পালিত হয় ছট পুজো। নদীর ঘাট, পুকুরপাড়, জলাশয়—সব জায়গাতেই ছট ব্রতীদের ঢল নামে সূর্যদেবের আরাধনায়। দুপুর গড়িয়ে সন্ধে নামতেই দেখা যায় ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়।

এবারও পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন বাজারে নেমে এসেছে বর্ণিলতা। ফল, সবজি ও পূজোর সামগ্রী কিনতে বছরের অন্য যে কোনও সময়ের তুলনায় মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শকর্মা ভাণ্ডারগুলিতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।

রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় প্রত্যেক বছর ছট পুজো উদযাপনের আলাদা মহিমা। এবছরও গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট—আহিরীটোলা, বাবুঘাট, সহরাগাট—ভরে উঠেছে পুজোর আনন্দে।

উত্তরবঙ্গেও উৎসবমুখর পরিবেশ
শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার—উত্তরবঙ্গের শহরগুলি এবছরও ছট পুজোকে ঘিরে রঙে-আলোয় সেজে উঠেছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ির মহানন্দা ঘাটে জমেছে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। তৈরি হয়েছে বহু নতুন ছটঘাট। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে চা, শরবত ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

আসানসোলে মহাধুমধামের সঙ্গে ছট পুজো
ছট পুজো উদযাপনে এ বছর সবচেয়ে নজর কেড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল। দামোদর নদীর ঘাট হোক বা ছিন্নমস্তা মায়ের ঘাট—সকালের প্রথম সূর্যকিরণে ভক্তিমুখর ভিড়ের অন্যরকম দৃশ্য ধরা পড়েছে। এখানে বহুদিন ধরেই হিন্দি ভাষী মানুষের বসতি, ফলে ছট পুজোর মহিমা আসানসোলের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অন্যতম পরিচয়। সকল বয়সের মানুষ—পুরুষ, মহিলা ও শিশুরা—ডালা হাতে ছট মাইয়ার আরাধনায় মেতে উঠেছেন।

হিন্দি ভাষাভাষীদের এই প্রধান পুজো হলেও আজ বহু বাঙালিও আগ্রহ নিয়ে যোগ দেন এই উৎসবে।
এই ছট পুজো মোট তিনদিন ধরে চলবে—

প্রথম দিন : নহাই খাই বা খারনা

দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় : অস্তগামী সূর্যদেবতার আরাধনা

তৃতীয় দিন ভোরে : উদীয়মান সূর্যদেবতার আরাধনা ও অর্ঘ্য প্রদান

আজ দুপুর থেকে রাজ্যের সর্বত্রই ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়েছে ঘাটে। সকলের মুখে একটাই স্লোগান—
"ছট মাইয়া কি জয়!"

৮ থেকে ৮০—সকলেই আনন্দে যোগ দিচ্ছেন।

গোটা রাজ্য যেন আজ রঙ, আলো, ভক্তি ও ঐতিহ্যের মিলনস্থল—ছট পুজোর শুভক্ষণে।
Joy Bangla Sambad Santanu Ray

27/10/2025

ঋদ্ধি আয়োজিত ‘এক কবি ও একটি সন্ধ্যা’তে কবি অবশেষ দাসকে ঘিরে কাব্যময় উৎসব

কলকাতা, শনিবারঃ
শব্দের সুরে, ছন্দের তরঙ্গে এবং কবিতার মাধুর্যে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা গত শনিবার সন্ধ্যায় ভরে উঠেছিল এক অনন্য আবহে। আবৃত্তি শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘ঋদ্ধি’-র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল তাদের বার্ষিক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ‘এক কবি ও একটি সন্ধ্যা’।

ঋদ্ধি’র জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এই কাব্যসন্ধ্যা বরাবরের মতোই একজন বিশিষ্ট কবিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। এবার সেই কেন্দ্রে ছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভূমিপুত্র, কবি অবশেষ দাস।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক পার্থসারথি গায়েন, আশুতোষ চক্রবর্তী, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, অমিত পান্ডে প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের আবহ পায় নতুন মাত্রা।

কবি অবশেষ দাসের জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ — ‘মাটির ঘরের গল্প’, ‘কিশোর বেলা সোনার খাঁচায়’, ‘পাইন রঙের শাড়ি’, ‘হাওয়ার নূপুর’, ও ‘নর্তকী সন্ধ্যা গজলের ভোর’ — থেকে একক ও দ্বৈত কবিতা আবৃত্তি করেন সোহম গিরি, অসীম মুরশেদ, স্নিগ্ধা দাস, তিতির জায়েদেকা-সহ বহু বাচিকশিল্পী। নবীন কণ্ঠ অকসরা মিত্র, অর্চিসা কয়াল ও কেয়ান আহমেদও কবির কবিতা পরিবেশন করে শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়।

কবিকে সংবর্ধনা জানানো হয় উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক, স্মারক, ফল ও মিষ্টি দিয়ে। ঋদ্ধি’র কর্ণধার অসীম চক্রবর্তী সংকলিত করেন বিশেষ কবিতা কোলাজ ‘মানুষের পাশেই দাঁড়াতে চাই’, যেখানে সত্যনারায়ণ বাগচি, ইন্দিরা পাল, অরিন্দম পাল প্রমুখ পরিবেশন করেন কবির লেখা প্রেম, মানবতা ও সমাজমনস্কতার অনন্য কবিতা।

বিশেষ আকর্ষণ ছিল কবি অবশেষ দাসের নাট্যরূপে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পের শ্রুতিনাটক, যা অসাধারণ মুন্সিয়ানায় পরিবেশন করেন রতন ও তোর্সা জায়েদেকা।

উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে কবি রফিক উল ইসলাম ও ড. বনানী চক্রবর্তী ঋদ্ধি’র এ আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং কবি অবশেষ দাসকে জানিয়েছেন আন্তরিক শুভেচ্ছা।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন বাচিকশিল্পী সুস্মিতা ঘোষ। আর বাচিকশিল্পী অসীম চক্রবর্তীর দীপ্ত কণ্ঠে কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই কাব্যময় সন্ধ্যা, যা শ্রোতাদের মনে রেখে যায় কবিতার প্রতি নতুন ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা।

#ঋদ্ধি ি_ও_একটি_সন্ধ্যা #অবশেষ_দাস #কবিতা #আবৃত্তি #বাংলা_সাহিত্য #কাব্যসন্ধ্যা #কলকাতা #বাচিক_শিল্প #সহযোগে

Address

Regent Estate
Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Joy Bangla Sambad posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Joy Bangla Sambad:

Share