Asmita Choudhury

Asmita Choudhury কলমের কাছে শব্দের ঋণ কত বাকি, তাই একটু দেখে নিতে ফিরে আসা, ব্যাস এইটুকুই ❤️

সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে (৩)জানলার কাঁচের ওপর দিয়ে বিকেলের রোদটা দেখলে, কেমন মনে হয় মেঘের আড়ালে একটা আলগা আলো। কিন্ত...
04/07/2023

সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে (৩)

জানলার কাঁচের ওপর দিয়ে বিকেলের রোদটা দেখলে, কেমন মনে হয় মেঘের আড়ালে একটা আলগা আলো। কিন্তু এই আলগা রোদটা, আমাদের গায়ে এসে পড়ে না, আমাদের ভিজিয়ে দেয় না এক নিমেষে। জানলা খুললেই যে রোদটা এসে গায়ে লাগে, সে রোদে ভিজলে আবার রাতে ভীষণ জ্বর আসে। সে জ্বরের খবর কে রাখে! ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে, সে জ্বরের ওপর রোজনামচার গল্প লেখা হয়। জ্বরের দাগগুলো ফিকে হয়ে যায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু শহরের কোনো চেনা গলিতে, তোমার সঙ্গে দেখা হলেই অসুখগুলো কেমন জানি ভীড় করে আসে। তারপর আবার ওরা মিলিয়ে যায় তোমার সাথেই।

এ শহরে যখন বৃষ্টি পড়ে, ভীষণ উদভ্রান্তের মতো উড়তে থাকে এই শক্ত সমর্থ রাস্তাগুলো। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই এদের দাপট ছিল ভয়ঙ্কর। জলের মধ্যে টলতে থাকে ইমারত, তবু তোমার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তাতে কারণ তোমার চোখটা খুঁজে পাওয়া যায় দূর থেকে। বৃষ্টির জল তোমার চশমার কাঁচ ভেদ করে ঢুকে তোমার চোখকে ঝাপসা করতে পারে না। তাই তোমার চোখ এড়িয়ে বাঁচা যায় না। বারবার ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলাটা একটা অভ্যেস হত যদি তবে, আমার চশমা গুলো আরও বেশি টিকতো।

কিছু ফুল রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতেও কেমন থেকে যায়। যে রাস্তাগুলোতে মাঝরাতে কোনো আলো জ্বলে না, সেখানে সেই ফুলগুলো দিনের ইতিহাস লেখে। আমি সেই রাস্তাগুলোকে দেখি জানলা দিয়ে। সে রাস্তায় এক চিলতে রোদ এসে পড়লেই একটা ম্যাজিক হয়ে যায়। সে ম্যাজিক আমাকে আবার তোমার চোখের সামনে এনে ফেলে। তারপর সেই তোমার হেঁটে যাওয়া রাস্তাগুলোতে আমরা একসাথে হাঁটি, ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে। এই রাস্তা জুড়ে জুড়ে একটা দেশ রচনা করা যায়। যে দেশের মানচিত্র আঁকে অপেক্ষারা। সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে।

-অস্মিতা

সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে (২)হসপিটালের জানলাটা বেশ বড়, এ শহরের ক্ষুদ্রতা মাপার জন্য অনেকটা উঁচু ও বটে। সে মেয়ের চোখে ঘ...
28/06/2023

সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে (২)

হসপিটালের জানলাটা বেশ বড়, এ শহরের ক্ষুদ্রতা মাপার জন্য অনেকটা উঁচু ও বটে। সে মেয়ের চোখে ঘুম নেই সাত দিন। সে শুধু জরিপ করে চলেছে ক্ষতর চিহ্ন। রক্তপ্লাবন কেউ কী কখনও চায়! আসলে সে মেয়ে হিসেব কষে রোজ, কার কাছে কত ঋণ পড়ে আছে, কার কাছে কত গল্প ধার দিয়ে এসেছে এ যাবৎ। কত অঙ্ক অমিমাংসিত রয়ে গেল, কত মানুষকে ফেলে এসেছে শহরের কোনো কানা গলিতে। তাদের সাথে আবার দেখা হবে কী! এ শহর রোজ মৃত্যুর প্রমাদ গুনছে, স্বপ্নের দরজাগুলো বন্ধ হচ্ছে এক এক করে। একটা মুখ ঝাপসা হচ্ছে শুধু, সে মুখে আর পিছুটান লেখা থাকে না। একটা বন্দীদশার ইতিহাস সে মুখে। এই রক্তক্ষরণ সেই ইতিহাসের মাটি থেকে নামিয়ে এনেছে সেই মেয়েকে।

এ পৃথিবীর রক্তক্ষয়ী ইতিহাসে দুটো বিশ্বযুদ্ধের পর আবারও যুদ্ধছক রচনা করে রাষ্ট্র। কিন্তু কত মানুষ রোজ অপমান আর অবহেলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সে মেয়েও যুদ্ধ করে রোজ, শব্দ হারায় বুকের ভেতর। হসপিটালের জানলা থেকেই সে দেখে এ শহরের খোলনলচে। ভিক্টোরিয়ার পরীর গায়ে কতটা ধুলো জমল, এক্সাইডের ব্যস্ততম ট্রাফিকের মাঝে কীভাবে ভীড় করল অপ্রত্যাশিত শব্দেরা, কেমন করে সন্ধ্যে নামে শহরের অনাদৃত রাস্তায়। তবু সে মেয়ের জীবনের রাত শেষ হয় না। অন্ধকারের আঙুল ছোঁয়া অভ্যেস হয়ে গেছে তার। সেও ভালোবেসেছিল রোজ, ফুল কুড়িয়েছিল রাস্তায়। সে ভালোবাসার ওপর স্তর পড়েছে ক্ষোভের, ফুলগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রয়ে গেছে একটা কাঙ্খিত পটভূমি। সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে।

-অস্মিতা
চিত্রাঙ্কন- রোহন ভট্টাচার্য

সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটেবিষাদের রুক্ষতা পেরিয়ে যাদের জন্ম, তাদের জীবনের প্রত্যেক কোণায় একটা করে উপন্যাস লুকোনো থাকে। ...
25/06/2023

সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে

বিষাদের রুক্ষতা পেরিয়ে যাদের জন্ম, তাদের জীবনের প্রত্যেক কোণায় একটা করে উপন্যাস লুকোনো থাকে। একটা সরলরেখায় চলতে থাকা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে যায়। এ উপন্যাসের শেষে কেউ জেতে না সময় ছাড়া। তবু কেমন করে জানি সময়ের কাছে তাদের চাওয়ার নেই কিছুই। তাদের মানুষ বলে গন্য করে না কেউ। একটা ছাঁচে আটকে রাখতে চায়। সেই ছাঁচের ভগ্নাংশ থেকে এই মেয়েদের জন্ম। তাদের বুকে শত জন্মের ঢেউ, সমুদ্র তাদের ফিরিয়ে দেয় নি কোনদিন। ওদের নাম যত্নে লিখেছে মেঘের নিশান। এভাবেই পুতুল খেলার গন্ডি পেরিয়ে ওদের যাওয়া আসা। এ পৃথিবীর ক্ষয়িষ্ণু ইতিহাস জানে ওদের জীবন কেমন করে ভেসে যায় রক্তে, কেমন করে হারিয়ে যায় ওদের নাম যুগপুরুষদের কীর্তির সামনে।

ওদের জন্য রাত জেগে বসে থাকে না কেউ। অন্ধকার চিরে রোজ ওরা বেরিয়ে আসে ভোরের আলোয়। ওরা আকাশের বুকে স্বপ্ন আঁকে রোজ। মাটির ওপর লিখতে থাকে ওদের ফেলে আসা হিসাব নিকাশ। ওদের স্বপ্ন বেয়ে চলে যাওয়া যায় নতুন একটা দেশে। সেখানেই ওদের মুক্তির আশ্রয়। সে দেশের মানচিত্রে স্বপ্ন বোনে একটা দিগন্ত বিস্তৃত ভোরের। সে দেশে আজও রক্তকরবী ফোটে।

- অস্মিতা

এ শহরতলি বিষাদ চোখে তাকায়,রোদের চাদরে আলগা হাওয়ার শোকজল জমেছে মেঘ-পিয়নের পাড়ায়,এ শহর জুড়ে আবার বৃষ্টি হোক।তোর জন্য...
23/06/2023

এ শহরতলি বিষাদ চোখে তাকায়,
রোদের চাদরে আলগা হাওয়ার শোক
জল জমেছে মেঘ-পিয়নের পাড়ায়,
এ শহর জুড়ে আবার বৃষ্টি হোক।

তোর জন্য প্রহর সাজাই রোজ,
মূহুর্ত জমে তোর জানলার কাঁচে
বুকের ভেতর অবাধ্যতার খোঁজ,
বৃষ্টি নামায় মেঘেদের সংঘাতে।

এ শহর জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হোক,
জুড়ে দিয়ে যাক কবিতার ঘরবাড়ি
সেই কবিতায় তোকেই ছোঁয়ার ঝোঁক
অক্ষর বোনে রূপকথাদের শাড়ি।

-অস্মিতা

ইচ্ছেমতোএ শহরের নিয়ন আলোর মতো কতকিছু পারিনি। শ্রাবণের ময়ূরাক্ষী হয়ে তোমার দুঃখের সঙ্গে কথা বলতে পারি নি। কত সাধ ছিল প...
18/06/2023

ইচ্ছেমতো

এ শহরের নিয়ন আলোর মতো কতকিছু পারিনি। শ্রাবণের ময়ূরাক্ষী হয়ে তোমার দুঃখের সঙ্গে কথা বলতে পারি নি। কত সাধ ছিল পাহাড়ের মতো হওয়ার, তাও বারবার সমুদ্রের মতো ভেসে গেছি। তোমার জন্য একটা আকাশ বানাতে পারি নি। তোমার চোখের ওপর এঁকে দিতে পারি নি রোদ। তবু আলগা হয় নি তোমার আমার জামার সুতো। তবু আলোর বিন্দু জুড়ে, তোমার জানলার ফাঁক দিয়ে জানতে চেয়েছি কুশল খবর। তুমি সে আলোয় রঙ মিশিয়ে রামধনু এঁকেছো আমার চোখের পাতায়।

আমি তোমার গায়ে শীতলপাটি বিছিয়ে দিতে চেয়েছি। চেয়েছি তোমার গায়ে ফাগুন ছিটিয়ে দিতে। এভাবেই এই ইচ্ছেনদী হয়তো একদিন শ্রাবণের ময়ূরাক্ষী হয়ে তোমার সব দুঃখের গায়ে রোদের আলপনা এঁকে দেবে, তোমার জন্য বুনবে এক আকাশ গল্প। এভাবেই এ শহরের অন্ধকারের বুকের ওপর জমবে আলোর বিন্দু। আমরা এই শহরের সমস্ত অলি গলিতে আমাদের গল্প বলে বেড়াব। মেঘেদের নাম দেব ইচ্ছেমতো। ওরা আমাদের দূরত্বের সরলরেখার মাঝে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে।

-অস্মিতা

এ শরীর জুড়ে বিষাদ জমছে যেইমেঘেদের বুকে পশম জমিয়ে রাখি।পারদ হারায় তাপমাত্রার খেই,আমাদের শুধু হারিয়ে যাওয়া বাকি।-অস্ম...
15/06/2023

এ শরীর জুড়ে বিষাদ জমছে যেই
মেঘেদের বুকে পশম জমিয়ে রাখি।
পারদ হারায় তাপমাত্রার খেই,
আমাদের শুধু হারিয়ে যাওয়া বাকি।
-অস্মিতা

📷: Sanchari Chakraborty

এ শহরের রাস্তাগুলো বড্ড একা। রোজ এত লোকের মুখ পড়তে পড়তে, ওদের গল্প সাজাতে গিয়ে আরো একা হয়ে যাচ্ছে আমার শ্যামবাজারের ...
13/06/2023

এ শহরের রাস্তাগুলো বড্ড একা। রোজ এত লোকের মুখ পড়তে পড়তে, ওদের গল্প সাজাতে গিয়ে আরো একা হয়ে যাচ্ছে আমার শ্যামবাজারের মোড়, আমার এক্সাইডের ট্রাফিক। আমরা হারিয়ে যাচ্ছি নির্জনতায়, তবু খুঁজছি না হারিয়ে যাওয়া মেঘগুলোকে। পুরোনো অঙ্কগুলো আর কষছি না। তারপর হঠাৎ করেই কাঠফাটা রোদে তোর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। আমি ভুলে যাই, নতুন সমীকরণের জন্য কত বন্ধু মেঘেদের সাথে হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে বানান ভুলের অভ্যেস। তখনই মনে পড়ে, এই বিজ্ঞাপনের শহরে আর কোনো বন্ধু নেই। মনে পড়ে কত কথার আর কোনো ঠিকানা নেই, কত শব্দের চাবি হারিয়ে ফেলেছি। তারপর শহরের অলি গলিতে ফেলে দিয়ে আসি তোর আর আমার উপন্যাসের পাতা।

এ শহরের ব্যস্ততার গায়ে আমাদের ফিকে হয়ে আসা ইচ্ছেগুলো রঙ লাগিয়ে দেয়। এই ফিকে একলা শহরে, কিছু বোকা বোকা ইচ্ছের গায়ে প্রজাপতি বন্ধু হয়ে বসে। তোর মেঘের মতো হারিয়ে যাওয়ার তাড়া নেই, রোদের মতো বন্ধু হবার ইচ্ছে আছে। তোর চোখে আমি রামধনু এঁকে দিই। তোর হাত ধরে এভাবেই সেই চাবি গুলো খুঁজে পাই, খুঁজে পাই শীত জড়ানো শব্দগুলো। তুই ওদের গায়ে জল ছুঁইয়ে দিস। এ শহরের নির্জনতার তরঙ্গদৈর্ঘ্য পাল্টায়। তোর জন্য অপেক্ষা করে বিকেলের সূর্য। আমি পশ্চিমে মুখ করে বসে থাকি, রোদের আলোয় সূর্যকে ভিজতে দেখব বলে।

-অস্মিতা।

দেবদারু আর মেঘেদের কাছে।কতবার ওই দেবদারু গাছের নীচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু আরও অনেক শাল, সেগুনের মায়া বুনেছি চারপাশে।...
12/06/2023

দেবদারু আর মেঘেদের কাছে।

কতবার ওই দেবদারু গাছের নীচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু আরও অনেক শাল, সেগুনের মায়া বুনেছি চারপাশে। কতবার শুধু চোখের ওপর মেঘ এসে জমেছে, ভিজে গেছে আমার গোটা মুখটা। কত ট্রেন কথা দিয়েও আর সেই চেনা গন্তব্যে পাড়ি দেয় নি আমার মতো। আমরা রাস্তা পাল্টেছি শুধু, দেখেছি কোথাও কোনও মোড়ে কেউ হাত দেখিয়ে বলছে কি না, এই তো এই দিক দিয়ে গেলেই বিস্মৃতির শহর। এইভাবে আমরা পালিয়ে যাই শাল, সেগুনের ভিড়ে।

তারপর আচমকা দেখতে পাই, আবার সব মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে পড়ে যাচ্ছে বানান ভুলের হিসাব। তখন এ শহরটাকে কেমন অসহ্য লাগে। জরিপ করে দেখি, কয়েক দিনের পালিয়ে যাওয়ায়, এই রাস্তাগুলোর কিছুই পাল্টায় নি। তারপর হঠাৎ মনে পড়ে এই ব্যস্ততম এক্সাইডের মোড়েই হঠাৎ একদিন গায়ে প্রজাপতি এসে বসে বলেছিল, এই বিকৃত মানচিত্রে একদিন রডোডেনড্রন এসে সব ওলট পালট করে দেবে। সেদিন থেকে ওই প্রজাপতিকে খুঁজছি। তারপর হঠাৎ মনে পড়ে গেল, তোকে একটুকরো গান লিখে দেব বলেছিলাম। সব কেমন গুলিয়ে গেল। তোর বোনা ঘুমের চাদরে হারিয়ে গেল আমার মনখারাপের বিকেল।

আমি পাহাড়ের গায়ে এ শহরের ছেঁড়া মানচিত্রের ছবি এঁকে দিয়ে এসেছি। দেবদারু গাছের গায়ে রেখে এসেছি তোর সব মেঘেদের গল্প। ওই বিস্মৃতির শহরে আমরা একদিন স্মৃতির খরকুটো দিয়ে, ঘর বুনবো, মাঝে মাঝে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপর ফিরে এসে এই চেনা ট্রামলাইনের গায়ে, রডোডেনড্রন স্বপ্ন আঁকতে আঁকতে ওই প্রজাপতিটাকে খুঁজবো, একসাথে। আমার মনে পড়বে ওই দেবদারু গাছটাকে। তুই দুচোখে বরফ ছুঁইয়ে দিবি। এই সবটুকু লেখা থাকবে স্মরণ, বিস্মরণের উপকথায়।

-অস্মিতা
📷: Anwesha Saha

হারিয়ে যাব বলেএ শহরের গায়ে ঘুম জড়ানো সকাল থাকচায়ের কাপে সময় জমাই আলগোছে।সবাই খুঁজছি পালিয়ে যাবার নতুন ফাঁক,তোমরা ত...
11/06/2023

হারিয়ে যাব বলে

এ শহরের গায়ে ঘুম জড়ানো সকাল থাক
চায়ের কাপে সময় জমাই আলগোছে।
সবাই খুঁজছি পালিয়ে যাবার নতুন ফাঁক,
তোমরা তবুও মিথ্যে সাজাও দিনশেষে।

আমরা জমাই নিয়ম কানুন সাল তারিখ,
তোমার আমার কোথায় কত ধার বাকি।
সবাইকে সব চুকিয়ে দেবো দিন মাফিক
আমরা শুধু নিজেদের কাছে ঋণ রাখি।

সে ঋণের দায়ে সময় জমবে দিনশেষে
আমরা তখন এড়িয়ে যাবো সান্ত্বনা।
তোমার সাথে হারিয়ে যাবো ভিনদেশে,
কিন্তু এই শহরে আর ফিরবো না।

এ শহর জানে কোথায় কত গোপন দাগ
আমরা তবু প্রচারবিমুখ সংজ্ঞাহীন।
এ শহর শুধু বিজ্ঞাপনেই মুখ লোকাক
আমরা বরং সময় জমাই অন্তহীন।

-অস্মিতা

11/06/2023

কলমের কাছে শব্দের ঋণ কত বাকি, তাই একটু দেখে নিতে ফিরে আসা, ব্যাস এইটুকুই ❤️।

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Asmita Choudhury posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Asmita Choudhury:

Share