09/10/2025
পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া, অমনোযোগী এক ছেলে—ক্লাসে কেউ তার সঙ্গী ছিল না। পেছনের বেঞ্চই ছিল তার জায়গা। একমাত্র সঙ্গী ছিলেন তাঁর মা, আর সুরের মায়া জড়ানো বেহালা।
সেই বেহালা ছিল সারাজীবনের বন্ধু।
আইনস্টাইনের শৈশব কেটেছিল মিউনিখে। ইহুদি পরিবারে জন্ম হলেও স্কুলে তাঁকে মানতে হতো ক্যাথলিক নিয়ম। মন ভরে উঠেছিল দর্শনের বইয়ে—কান্ট, স্পিনোজা, ইউক্লিড—সবই পড়ে ফেলেছিলেন পনেরো বছর বয়সে। অবসর পেলে বাজাতেন বিঠোফেন ও মোৎসার্টের সুর।
পরিবারের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে সবাই চলে গেল মিলানে, কিন্তু আইনস্টাইন রয়ে গেলেন পড়াশোনার টানে। পরবর্তীতে সুইজারল্যান্ডের পলিটেকনিক স্কুলে ভর্তি হন এবং পদার্থবিদ্যা ও গণিতে দক্ষতা অর্জন করেন।
তাঁর উদ্ভাবিত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং ভর-শক্তি সমতুল্য সূত্র (E=mc²) তাঁকে অমর করেছে।
১৯২১ সালে পেয়েছিলেন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার, আলো-তড়িৎ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য।
কিন্তু আইনস্টাইন শুধু বিজ্ঞানী ছিলেন না — তিনি ছিলেন একজন মানবতাবাদী মনীষী। দরিদ্র ও নির্যাতিত মানুষের প্রতি তাঁর সহানুভূতি ছিল অসীম। জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন মানবকল্যাণ ও বিশ্বশান্তির জন্য।
তাঁর জীবন আমাদের শেখায় — প্রতিভা কখনও জন্মগত নয়, একাগ্রতা ও ভালোবাসাই তাকে গড়ে তোলে।
প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন, বন্ধুদেরও জানতে দিন এই মহান বিজ্ঞানীর গল্প।