Pappu Roy cyclist

Pappu Roy cyclist ফেসবুকে ভালো কিছু শেয়ার করি। বই পড়ি, পড়াই। মাঝেমধ্যে লেখালেখি করি।Cyclist who travel throughout India, Nepal and Bangladesh with a single speed bicycle.
(67)

Writer of many travel stories in Bengali language. Content creator and Vlogger of Bengal.

শুভ সকাল 🌹 মোঘলমারি, পশ্চিম মেদিনীপুর 🌹
16/08/2025

শুভ সকাল 🌹 মোঘলমারি, পশ্চিম মেদিনীপুর 🌹

গৌড়েশ্বর শশাঙ্ক: বাংলার হারানো গৌরবের গল্প!১৪০০ বছর আগে… গঙ্গার তীরে দাঁড়িয়েছিল এক অদম্য রাজ্য—গৌড়।আর তার সিংহাসনে ব...
15/08/2025

গৌড়েশ্বর শশাঙ্ক: বাংলার হারানো গৌরবের গল্প!
১৪০০ বছর আগে… গঙ্গার তীরে দাঁড়িয়েছিল এক অদম্য রাজ্য—গৌড়।
আর তার সিংহাসনে বসেছিলেন এমন এক রাজা, যার নাম শুনলেই শত্রুরা কেঁপে উঠত—শশাঙ্ক।

বাংলা তখন ছোট ছোট প্রভুর হাতে টুকরো টুকরো। ঠিক তখনই শশাঙ্ক স্বপ্ন দেখলেন ঐক্যের—
মগধ, উড়িষ্যা, কামরূপ—সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ল তাঁর দাপট।

বাণভট্টের হর্ষচরিত, চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর বর্ণনা, প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মুদ্রা—সবই বলে যায় তাঁর শাসনের কাহিনি। রাজধানী কর্ণসুবর্ণে প্রতিদিন রাজদণ্ডে প্রতিধ্বনিত হত শক্তির শপথ।

শশাঙ্ক ছিলেন এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধা—
হর্ষবর্ধনের সঙ্গে দীর্ঘ দ্বন্দ্ব, মগধ দখল, কামরূপের শক্তিশালী ভাস্কারবর্মণের সঙ্গে জোট ও সংঘাত—সব মিলিয়ে তিনি গৌড়কে উত্তর ভারতের ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন।

তবে বিতর্কও আছে। কেউ বলেন তিনি বৌদ্ধবিরোধী—বুদ্ধগয়ার পবিত্র গাছ কেটে ফেলেছিলেন। আধুনিক ইতিহাসবিদেরা বলেন—এটি হয়তো রাজনৈতিক প্রচারণা, প্রমাণ সবসময় তা মানে না।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর গৌড় যেন অকাল সন্ধ্যায় ডুবে যায়। পুত্র মানব অল্প সময়ের জন্য সিংহাসনে বসে—তারপরই রাজ্য ভেঙে পড়ে।

তবুও, ইতিহাসে তিনি রয়ে গেছেন বাংলার প্রথম মহানায়ক। প্রমাণ করেছেন—ঐক্য ও দৃঢ়তা থাকলে, এক ছোট রাজ্যও সমগ্র উত্তর ভারতের রাজনীতিকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।

আজও কর্ণসুবর্ণের ধূলোমাটি ফিসফিস করে—
"আমি গৌড়রাজ শশাঙ্ক… বাংলার প্রথম সিংহাসনের অধিপতি।"

পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দেবেন 🙏 Pappu Roy cyclist

#রাজা_শশাঙ্ক #বাংলার_প্রথম_সম্রাট #গৌড়েশ্বর #কর্ণসুবর্ণ #বাংলার_ইতিহাস #হারানো_গৌরব #প্রাচীন_বাংলা #বাংলার_গৌরব #গৌড়ের_গল্প #ইতিহাস_চর্চা

স্বাধীনতা তুমি কার?
15/08/2025

স্বাধীনতা তুমি কার?

ভারত কোনো এক ধর্ম বা সম্প্রদায়ের নয়—এটি আমাদের সবার মিলিত ঘর। হাজার বছরের ইতিহাসে এই দেশ গড়ে উঠেছে নানা সংস্কৃতি, বিশ্বা...
15/08/2025

ভারত কোনো এক ধর্ম বা সম্প্রদায়ের নয়—এটি আমাদের সবার মিলিত ঘর। হাজার বছরের ইতিহাসে এই দেশ গড়ে উঠেছে নানা সংস্কৃতি, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের মিলনে। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক—সবাই মিলে গড়ে তুলেছে ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

ধর্মীয় বৈচিত্র্য আমাদের সহনশীলতা ও সহমর্মিতা শিখিয়েছে।
সংস্কৃতির মেলবন্ধন সংগীত, সাহিত্য, শিল্পকলা থেকে রান্নায়—সবখানেই ছাপ রেখেছে।
জাতীয় ঐক্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল শক্তি ছিল।

আমরা ভিন্ন হলেও আমরা এক। আমাদের বৈচিত্র্যই আমাদের আসল পরিচয়, আর ঐক্যই আমাদের আসল শক্তি। বহু জাতি, ভাষা, ধর্মের মিলনস্থল আমার দেশ। আমার ভারতবর্ষ। আমার ভারত মহান 🇮🇳

#আমরাইভারত #ভারতেরগর্ব

ফিনল্যান্ডের রুওকোলাহতিতে ঘন বনভূমির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে প্রকৃতির এক বিস্ময় — কুম্মাকিভি।৭ মিটার লম্বা (২৩ ফুট) এবং প্রায় ৫...
15/08/2025

ফিনল্যান্ডের রুওকোলাহতিতে ঘন বনভূমির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে প্রকৃতির এক বিস্ময় — কুম্মাকিভি।
৭ মিটার লম্বা (২৩ ফুট) এবং প্রায় ৫০০ টন ওজনের এই বিশাল শিলা আশ্চর্যজনকভাবে একটি উত্তল শিলা পৃষ্ঠের উপর ভারসাম্য রেখে দাঁড়িয়ে আছে। এর পায়ের ছাপ এত ছোট যে দেখলে মনে হয়—যেন এখনই পড়ে যাবে! কিন্তু বাস্তবে মানুষের শক্তি দিয়ে একে দোলানোও সম্ভব নয়।

বিজ্ঞানীদের মতে, শেষ বরফ যুগের শেষ দিকে, প্রায় ১১,০০০–১২,০০০ বছর আগে একটি হিমবাহ এই পাথরটিকে তার বর্তমান অবস্থানে ঠেলে এনেছিল।
এটি দক্ষিণ কারেলিয়ার অন্যতম বিস্ময়, যার উচ্চতা প্রায় ৫ মিটার।

১৯ শতক থেকেই এটি পর্যটকদের কৌতূহল জাগিয়েছে। ১৯৬২ সালে এটি আইনগতভাবে সুরক্ষিত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এর উপরে ওঠা নিষিদ্ধ।

পুমালার সীমান্তের কাছে, রুওকোলাহতি পৌরসভার পশ্চিম অংশের এক বনভূমিতে এর অবস্থান।
যদিও খুব বেশি প্রচার করা হয়নি, তবুও প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা নিজেরাই খুঁজে বের করে এই রহস্যময় পাথরের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মুসলিম বিপ্লবীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের সাহস, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম আজও প্রেরণা জোগ...
15/08/2025

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মুসলিম বিপ্লবীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের সাহস, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম আজও প্রেরণা জোগায়—

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ: কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ও প্রভাবশালী স্বাধীনতা সংগ্রামী, যিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জেল খেটেছেন।

সৈয়দ আহমদ শহীদ: ধর্মীয় সংস্কারক ও বিপ্লবী, যিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন।

তিতুমীর: কৃষক নেতা ও বারাসাত বিদ্রোহের নেতৃত্বদাতা। বাঁশের কেল্লা বানিয়েছিলো।

হাজী শরিয়তুল্লাহ: ফরায়েজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ।

বেগম হযরত মহল: আওয়াদের বেগম ও ১৮৫৭ সিপাহী বিদ্রোহের নেত্রী।

মাওলানা হসরত মোহানি: “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগানের স্রষ্টা।

ইউসুফ মেহের আলি: “কুইট ইন্ডিয়া” ও “সাইমন গো ব্যাক” স্লোগানের জনক।

বখত খান: ১৮৫৭ সিপাহী বিদ্রোহের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

আল্লাহ বখশ সুমরো: সিন্ধি রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী।

এই মহান ব্যক্তিরা ধর্ম, জাতি বা স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একটাই স্বপ্ন দেখেছিলেন—একটি স্বাধীন ভারত।
তাদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

#ভারতেরস্বাধীনতা #মুসলিমস্বাধীনতাসংগ্রামী

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় মেদিনীপুর জেলার কংগ্রেস নেতারা স্থির করেছিলেন—সব থানা ও সরকারি দপ্তর দখল করে ব্রিটিশ শাসন হটিয...
15/08/2025

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় মেদিনীপুর জেলার কংগ্রেস নেতারা স্থির করেছিলেন—সব থানা ও সরকারি দপ্তর দখল করে ব্রিটিশ শাসন হটিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তুলবেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, প্রায় ছয় হাজার সমর্থক—যাদের মধ্যে ছিলেন বহু মহিলা স্বেচ্ছাসেবক—তমলুক থানা দখলের উদ্দেশ্যে বিশাল মিছিলে রওনা হন। নেতৃত্বে ছিলেন ৭৩ বছরের অদম্য সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরা।

শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছতেই ব্রিটিশ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু মাতঙ্গিনী সেই আদেশ অমান্য করে সাহসিকতার সঙ্গে অগ্রসর হন। পুলিশের গুলি সত্ত্বেও তিনি থামেননি; বরং অনুনয় করেছিলেন—“জনতার ওপর গুলি চালাবেন না।”

বিপ্লবী পত্রিকার বিবরণ অনুযায়ী, ফৌজদারি আদালতের উত্তর দিক দিয়ে মাতঙ্গিনী এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তিন দফা গুলি লাগে তাঁর কপাল ও দুই হাতে, কিন্তু পতাকা আঁকড়ে ধরে বন্দেমাতরম ধ্বনি তুলতে তুলতে তিনি আরও এগিয়ে যান। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের পতাকাটি মুঠোয় শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন।

গুলির বৃষ্টির মধ্যেই পতাকা উঁচিয়ে, দেশমাতৃকার জয়ধ্বনি দিতে দিতে শহীদ হন মাতঙ্গিনী হাজরা। তাঁর আত্মত্যাগ চিরকাল বাংলার ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অনন্ত প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

#মাতঙ্গিনীহাজরা #ভারতছাড়োআন্দোলন #স্বাধীনতাসংগ্রাম #বাংলারগর্ব

১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর — কলকাতার মহাকরণ, যা তখন রাইটার্স বিল্ডিং নামে পরিচিত। দুপুর বেলা নিজের কামরায় বসে কাজ করছিলেন কর্...
15/08/2025

১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর — কলকাতার মহাকরণ, যা তখন রাইটার্স বিল্ডিং নামে পরিচিত। দুপুর বেলা নিজের কামরায় বসে কাজ করছিলেন কর্নেল সিম্পসন, পাশে ব্যক্তিগত সহকারী জ্ঞানগুহ। হঠাৎ খবর এলো—তিনজন বিলাতি পোশাক পরিহিত বাঙালি যুবক সাক্ষাৎ চাইছেন। দরজার সামনে থাকা জ্ঞানগুহকে ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়লেন বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত।

সিম্পসন অবাক চোখে তাকাতেই বিনয়ের গলায় ধ্বনিত হলো— “Pray to God, Colonel. Your last hour has come!” বুঝে ওঠার আগেই তিনটি রিভলভার থেকে বেরিয়ে এলো ছয়টি গুলি, সোজা সিম্পসনের দেহ ভেদ করে গেল। মুহূর্তে নিথর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। অলিন্দ যুদ্ধের প্রথম লক্ষ্য সফল হলো।

কিন্তু এরপর শুরু হলো আসল লড়াই। রিভলভারের শব্দে ছুটে এলো পুলিশ বাহিনী। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের অলিন্দে শুরু হলো এক অসম যুদ্ধ—মাত্র তিন বিপ্লবী বনাম সশস্ত্র ব্রিটিশ পুলিশ ও গুর্খা বাহিনী, নেতৃত্বে পুলিশ কমিশনার টেগার্ট। গুলি বিনিময়, ধাওয়া, আহত নেলসন—অলিন্দ ভরে উঠল ধোঁয়া ও বারুদের গন্ধে।

পিঠে গুলিবিদ্ধ দীনেশ, তবুও নিরন্তর গুলি চালাচ্ছেন। কিন্তু গুলির মজুত তো সীমিত। শেষপর্যন্ত এক শূন্য কামরায় আশ্রয় নিলেন তিনজন। ব্রিটিশের হাতে ধরা দেওয়ার চেয়ে মৃত্যু বরণই তাদের পছন্দ। বাদল গলাধঃকরণ করলেন পটাশিয়াম সায়ানাইড, বিনয় ও দীনেশ চালালেন শেষ গুলি নিজেদের মাথায়। গুরুতর আহত হলেও মৃত্যুর কোলে যেতে পারলেন না বিনয় ও দীনেশ—পুলিশ তাদের মেডিকেল কলেজে পাঠাল।

চিকিৎসা শুরু হলো, কিন্তু বিনয় জানতেন—এভাবে সুস্থ হওয়া মানে ফাঁসির মঞ্চে হাঁটা। মেডিকেল ছাত্র হওয়ায় নিজের ক্ষতকে সেপটিক করে মৃত্যু ডেকে আনলেন তিনি, ১৩ ডিসেম্বর ১৯৩০-এ। দীনেশ সুস্থ হয়ে কনডেমনড সেলে ফেরেন, বিচার শেষে ৭ জুলাই ১৯৩১-এ ফাঁসিতে শহীদ হন।

তাদের ত্যাগ, সাহস ও আত্মমর্যাদার গল্প আজও রক্ত গরম করে দেয়। তবুও দুঃখের বিষয়, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানে না এই তিন বীরের নাম। পশ্চিমবঙ্গে এখন রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের ইতিহাস বড় পর্দায় তুলে ধরার উদ্যোগ চলছে, যাতে নতুন প্রজন্ম আবার জানে—স্বাধীনতার ইতিহাসে বিনয়, বাদল, দীনেশের অবদান কোনোভাবেই ভোলার নয়।

🇮🇳 বিনয়-বাদল-দীনেশ—তোমরা অমর, তোমাদের ত্যাগ আমাদের অনন্ত প্রেরণা। ✊

#রাইটার্সবিল্ডিং #অলিন্দযুদ্ধ #বিনয়বাদলদীনেশ #কলকাতার_ইতিহাস #আমারবাংলা

🇮🇳 ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট — ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবসের পূর্ণ ইতিহাস 🇮🇳 ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট—ভারতের ইতিহাসে এমন একটি দিন, ...
15/08/2025

🇮🇳 ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট — ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবসের পূর্ণ ইতিহাস 🇮🇳

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট—ভারতের ইতিহাসে এমন একটি দিন, যা শুধু একটি দেশের জন্য নয়, বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এক অনন্য অধ্যায়। এই দিনেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দীর্ঘ ২০০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে, এবং ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

১৮৫৭ সালের প্রথম সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন, অসহযোগ, অসহকার, ভারত ছাড়ো আন্দোলন—অসংখ্য সংগ্রাম, আন্দোলন ও ত্যাগের ফল ছিল এই স্বাধীনতা। লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য।

তবে স্বাধীনতার এই আনন্দের মাঝেই ছিল গভীর বেদনা—ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজন। ব্রিটিশ নীতির ফসল হিসেবে এই বিভাজন কোটি মানুষের জীবনকে ওলটপালট করে দেয়। লাখো মানুষকে গৃহহারা হতে হয়, এবং communal সহিংসতায় অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট মধ্যরাত পেরিয়ে যখন নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষা, তখনই ভারতের গণপরিষদ ভবনে (বর্তমান সংসদ ভবন) জওহরলাল নেহেরু তাঁর বিখ্যাত “Tryst with Destiny” ভাষণ দেন। তিনি বলেন—

> "At the stroke of the midnight hour, when the world sleeps, India will awake to life and freedom..."

এই ভাষণ শুধু স্বাধীন ভারতের ঘোষণা নয়, বরং ছিল নতুন যুগের প্রত্যাশা ও দায়িত্বের অঙ্গীকার।

১৫ আগস্ট সকালে দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু। সেই মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন হাজারো মানুষ—সকলের চোখে ছিল গর্ব, আনন্দ আর অশ্রুভেজা আবেগ। পতাকা উত্তোলনের পর বাজতে থাকে জাতীয় সঙ্গীত, আর আকাশে উড়তে থাকে অসংখ্য ত্রিবর্ণ পতাকা।

সেদিন গোটা দেশে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা, মুম্বাই, মাদ্রাজ, লাহোর, করাচি—সব বড় শহরে রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। স্কুল, কলেজ, সরকারি দপ্তর ও স্থানীয় সংগঠনগুলোতে পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা, কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। গ্রামাঞ্চলেও মেলা, গান, নাটক, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে স্বাধীনতার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

যদিও দিনটি ছিল আনন্দের, কিন্তু পাকিস্তান-ভারত বিভাজনের ফলে শুরু হওয়া শরণার্থী স্রোত ও সহিংসতা সেই আনন্দকে ছাপিয়ে যায় অনেক জায়গায়। ট্রেনভর্তি লাশ, পুড়ে যাওয়া গ্রাম, পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি—এই দৃশ্যগুলো মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতার মূল্য কতটা কঠিন ও রক্তক্ষয়ী ছিল।

১৫ আগস্ট ১৯৪৭-এ ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। লর্ড মাউন্টব্যাটেন হন ভারতের শেষ ভাইসরয় ও প্রথম গভর্নর জেনারেল, আর জওহরলাল নেহেরু হন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে ওঠে, এবং একটি নতুন সংবিধান রচনার কাজ শুরু হয়।

এই দিন শুধু একটি রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রতীক নয়, বরং এক দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল, যেখানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান—সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে লড়েছে। এটি প্রমাণ করে, ঐক্য ও দৃঢ় সংকল্প থাকলে কোনো শাসনই চিরস্থায়ী হতে পারে না।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে—
একদিকে আনন্দ, স্বাধীনতার গর্ব, অন্যদিকে বিভাজনের বেদনা।
কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে ছিল একটি সত্য—ভারত অবশেষে নিজের ভাগ্য নিজের হাতে তুলে নিয়েছে।

#১৫আগস্ট১৯৪৭ #স্বাধীনতা #ভারতেরপ্রথমস্বাধীনতাদিবস

ট্রেন টা কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটা বিচ্ছিন্ন সবুজ প্রান্তরের নির্জন এই স্টেশনে থেমেছিলো। মাতলা, রেল স্টেশন। ক্যানিং।
15/08/2025

ট্রেন টা কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটা বিচ্ছিন্ন সবুজ প্রান্তরের নির্জন এই স্টেশনে থেমেছিলো।
মাতলা, রেল স্টেশন। ক্যানিং।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোর। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আকাশে তখনও রাতের অন্ধকারের চাদর ঢাকা। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই...
15/08/2025

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোর। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আকাশে তখনও রাতের অন্ধকারের চাদর ঢাকা। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ভোর পরিণত হবে বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কালো দিনে।

প্রত্যুষে একদল সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ঘিরে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় গুলির ঝড়। সেদিন নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে—যিনি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন।

কিন্তু হত্যাকারীদের নির্মমতা এখানেই থেমে থাকেনি। পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের প্রায় সবাইকে হত্যা করা হয় সেই ভয়াল ভোরে—

বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব
জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ও তাঁর নববধূ সুলতানা কামাল খুকী। দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল ও তাঁর স্ত্রী পারভীন জামাল রোজী। কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের। ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও তাঁর স্ত্রী বেগম আরজু মনি। ভগ্নিপতি ও মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর কন্যা বেবী সেরনিয়াবাত, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতনি সুকান্ত বাবু। বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় বেন্টু খান।

এছাড়াও নিহত হন বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জামিল উদ্দিন আহমেদ, এসবি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক।

সৌভাগ্যক্রমে সেই সময় বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। কিন্তু তাদের বাংলাদেশে ফেরার ওপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।

বঙ্গবন্ধুর মরদেহে পাওয়া যায় ১৮টি গুলির দাগ। একটি বুলেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাঁর ডান হাতের তর্জনী। হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ অদল বদলের মতো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়, কারণ অন্ধকার ও চেহারার মিলের কারণে ভুল করে তাঁর ভাই শেখ নাসেরের মরদেহকে বঙ্গবন্ধুর বলে মনে করা হয়েছিল।

১৫ আগস্টের পরদিন, ১৬ আগস্ট, বঙ্গবন্ধুর মরদেহ সামরিক হেলিকপ্টারে করে তাঁর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সামরিক তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় দাফন। জানাজা পড়ান মাওলানা শেখ আবদুল হালিম। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডে সমগ্র দেশ শোকে মুহ্যমান হয়। বরগুনাসহ বহু স্থানে স্থানীয় উদ্যোগে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এমনকি বিদেশেও শোক পালিত হয়—মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারডেকা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল খেলার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করে এবং পতাকা অর্ধনমিত করে শ্রদ্ধা জানায়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরপরই শোকবার্তা পাঠায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ভারত, ইরাক, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও গণমাধ্যম। ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকা শহরে আয়োজিত হয় মৌন মিছিল ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিশেষ মোনাজাত, যেখানে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

১৫ আগস্ট কেবল একটি হত্যাকাণ্ড নয়; এটি একটি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেদনাবাহী অধ্যায়। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্বকে হারানোর শোক কতটা গভীর হতে পারে। একই সঙ্গে এটি আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে—স্বাধীনতার চেতনাকে চিরকাল ধরে রাখার।

পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দেবেন 🙏 ধন্যবাদ।
Pappu Roy cyclist
#১৫আগস্ট #বঙ্গবন্ধু #জাতিরপিতা #বাংলাদেশেরইতিহাস #শোকেরদিন

দেশমাতৃকা কে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য যারা প্রান দিয়েছেন সেই সব মহান শহিদ বিপ্লবীদের জানাই প্রনাম এবং স্যালুট 🙏
15/08/2025

দেশমাতৃকা কে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য যারা প্রান দিয়েছেন সেই সব মহান শহিদ বিপ্লবীদের জানাই প্রনাম এবং স্যালুট 🙏

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pappu Roy cyclist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Pappu Roy cyclist:

Share