Pappu Roy cyclist

Pappu Roy cyclist Cyclist who travel throughout India, Nepal and Bangladesh with a single speed bicycle. Writer of many travel stories in Bengali language.
(69)

Content creator and Vlogger of Bengal.

সঠিক উত্তর দাতার জন্য আছে আকর্ষনীয় পুরুষ্কার।
15/01/2025

সঠিক উত্তর দাতার জন্য আছে আকর্ষনীয় পুরুষ্কার।

মাখামাখি কাকু, বাদাম কাকুর পথ ধরেই কাহিনী এখন সমাপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে...
15/01/2025

মাখামাখি কাকু, বাদাম কাকুর পথ ধরেই কাহিনী এখন সমাপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে...

শ্যামনগর জমিদারের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নকীপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি একটি ঐতিহাসিক জমিদারের বাড়ি। স্থানী...
15/01/2025

শ্যামনগর জমিদারের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নকীপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি একটি ঐতিহাসিক জমিদারের বাড়ি। স্থানীয়ভাবে জমিদার হরিচরণ রায়ের বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়িটি দ্বিতল। এখানে জোড়া শিব মন্দির, ক্লিনিক, নহবতখানা, পূজা মণ্ডপ, দীঘি এবং পুকুর রয়েছে। তবে,জমিদার বাড়ির সমস্ত অংশ এখন স্থানীয় মানুষদের আবাসস্থল হিসেবে দখল হয়ে গেছে। এই জমিদার বাড়িটি শ্যামনগর উপজেলা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশ প্রশাসনের উদাসীনতা এবং সংরক্ষণের অভাবে এই ঐতিহাসিক নিদর্শন টি ধ্বংসের অপেক্ষায় অপেক্ষামান।

গ্রাম বাংলার ভুবন ভুলানো রুপ, জয়নগর,  দক্ষিন ২৪ পরগনা।
15/01/2025

গ্রাম বাংলার ভুবন ভুলানো রুপ, জয়নগর, দক্ষিন ২৪ পরগনা।

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজেন্ডার তার সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।★১ আমার ...
15/01/2025

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজেন্ডার তার সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।

★১ আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছেঃ
শুধু মাত্র আমার চিকিৎসকরাই আমার
কফিন বহন করবেন।

★২ আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছেঃ
আমার কফিন যে পথ দিয়ে যাবে সেই পথে
আমার অর্জিত সকল সোনা ও রুপা ছড়িয়ে দিবে।

★৩ আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছেঃ
কফিন বহনের সময় আমার দুই হাত 🙌
কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে রাখবে।'

🥷 ⚔️ 🗡️ তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন করছেন প্রশ্ন করলেন ??

দীর্ঘ শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন,
আমি দুনিয়ার 🌍 সামনে তিনটি শিক্ষা
রেখে যেতে চাই।

★ ১ আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে এই কারনে বলেছি, যে যাতে লোকে বলতে পারে যে চিকিৎসক মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না। তারা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।

★ ২ যাবার পথে সোনা-দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি এই কারণে ,, সোনা-দানার একটা কণাও আমার সঙ্গে যাবে না। এগুলো পাওয়ার জন্য সারাটা জীবন ব্যয় করেছি ।কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে
পারছি না। মানুষ বুঝুক এসবের
পেছনে ছোটা মানে সময়ের অপচয়।'

★ ৩ কফিনের বাইরে আমার দুই হাত বাহিরে
রাখতে বলেছি ,,, মানুষকে বুঝানোর জন্য যে,, পৃথিবীতে খালি হাতে এসেছি আজ পৃথিবী
থেকে খালি হাতেই চলে যাচ্ছি।

দির্ঘ দিনের প্রতিক্ষার অবসান হতে চলেছে। ক্যানিং রেল স্টেশনে চলছে শেডের কাজ।
15/01/2025

দির্ঘ দিনের প্রতিক্ষার অবসান হতে চলেছে। ক্যানিং রেল স্টেশনে চলছে শেডের কাজ।

ভূতের সিনেমা তো সবাই দেখেন। এর গন্ডগোল গুলো খেয়াল করেছেন কি? আমি আপনাদের এক এক করে বুঝিয়ে বলছি😑😑1.জানে বাড়িতে ভূত আছে ত...
15/01/2025

ভূতের সিনেমা তো সবাই দেখেন। এর গন্ডগোল গুলো খেয়াল করেছেন কি? আমি আপনাদের এক এক করে বুঝিয়ে বলছি😑😑

1.জানে বাড়িতে ভূত আছে তাও বাচ্চা একা শোবে।

2.মাঝরাতে মরার মতো ঘুমোলেও পিন পড়ার আওয়াজে জেগে উঠবে।

3.যত জলতেষ্টা , হিসির চেষ্টা সব মাঝরাতে পাবে।

4.এমন বাড়ি বেছে বেছে পছন্দ করবে যাতে একটা স্টোররুম থাকবে যেটা বিগত কয়েকশো কোটি বছরে খোলা হয়নি।

5.ভূতের সিনেমার ন্যাশনাল গেম - লুকোচুরি।

6.নতুন দরজা খুললেও এমন আওয়াজ হবে যেন শেষবার বাবর দরজা বন্ধ করে পায়খানা গেছিল , সেই থেকে আর দরজা খোলেনি।

7.তিন ঘন্টার সিনেমায় ভুত আসবে তিন সেকেন্ড আর তার ছায়া আসবে তিন মিনিট।

8.শহরের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ছেড়ে কোনো এক দম্পতি প্রত্যন্ত গ্রামে যাবে এক নীরব বাড়িতে যেখানে দুশো বছর কেউ আসেনি কিন্তু সেই বাড়ির দারোয়ান দুশো বছর ধরে পাহারা দিচ্ছে।।
আর ওই দারোয়ান কে সরকার Paytm দ্বারা বেতন দিয়ে আসছে গত ২০০ বছর ধরে শুধু এটা বলার জন্য--" বাবুজি সালো সে ইস ঘর মে কই নেহি আয়া"।

9.পেছন থেকে কাঁধে হাত রাখলে চমকে উঠবে পরে বুঝতে পারবে ওটা তারই সঙ্গী।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন রকমের কূটনৈতিক আওয়াজ আছে , যেগুলো শুনলে মাঝরাতে একা হিসি যাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

?😑

*তাই আমি সকল সমব্যথী মানুষের হয়ে ভূতের সিনেমা ব্যান করার আর্জি জানাই।😑

আশা করি আপনাদের সকলের সমর্থন পাবো। আমি শিগগিরই একটা পিটিশন তৈরি করছি।

ইতি
অমুক
কপি করলাম ফেইসবুক থেকে 😏

ঢাকার রাজপথে লস এঞ্জেলস দাবানল থেকে বেঁচে ফিরে আসা একটি পাবলিক বাস। 😃😃
15/01/2025

ঢাকার রাজপথে লস এঞ্জেলস দাবানল থেকে বেঁচে ফিরে আসা একটি পাবলিক বাস। 😃😃

একবার এক সাংবাদিক বিল গেটসকে প্রশ্ন করল যে, "আপনি এত ধনী হলেন কিভাবে?" বিল গেটস কোন উত্তর দেবার পরিবর্তে তাঁর পকেট থেকে ...
15/01/2025

একবার এক সাংবাদিক বিল গেটসকে প্রশ্ন করল যে, "আপনি এত ধনী হলেন কিভাবে?" বিল গেটস কোন উত্তর দেবার পরিবর্তে তাঁর পকেট থেকে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক বের করে সাংবাদিকের হাতে দিয়ে বললেন, "এতে তোমার ইচ্ছে খুশি অ্যামাউন্ট বসিয়ে নাও।” সাংবাদিকটি ভাবল যে বিল বোধহয় তার সাথে মজা করছেন, এবং সে বলল, "না স্যার, আমি আপনার রহস্য জানতে চেয়ে ছিলাম।” এই বার বিল গেটস উত্তরে বললেন, "তুমী এখনই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সাংবাদিক হতে পারতে, কিন্তু সুযোগটি হারালে। আমি কখনো সুযোগ হাত ছাড়া করি না, এটাই আমার সাফল্যের কারণ।”

আমার তো খুব পছন্দের গায়ক ছিলো হিমেশ রেশামিয়া! কে কে পছন্দ করতেন???
14/01/2025

আমার তো খুব পছন্দের গায়ক ছিলো হিমেশ রেশামিয়া! কে কে পছন্দ করতেন???

বেশি নয় হয়তো চার-পাঁচ দশক আগের কথা। তখনও এ গ্রামে পৌঁছলে, হেঁসেল থেকে ভেসে আসত নানারকম মাছ রান্নার সুগন্ধ। চেনা বাঙালি ঝ...
14/01/2025

বেশি নয় হয়তো চার-পাঁচ দশক আগের কথা। তখনও এ গ্রামে পৌঁছলে, হেঁসেল থেকে ভেসে আসত নানারকম মাছ রান্নার সুগন্ধ। চেনা বাঙালি ঝোল-ঝাল-কালিয়া নয়, দারচিনি-গোলমরিচ-অলিভ অয়েলে সাঁতলানো সামুদ্রিক মাছের গন্ধ। পুরুষদের লম্বা-চওড়া চেহারার তামাটে চামড়ায় জ্বলজ্বল করত নীলচে চোখের মণি। মহিলারা অনেকেই স্কার্ট বা ব়্যাপার জাতীয় পোশাক পরতে শুরু করেছিলেন। বিকেল বেলা তুলসী থানের বদলে যেতেন চার্চের প্রার্থনায়।

এক অজানা আভিজাত্য যেন ফুটে বেরোত সকলের মধ্যে। বাংলার চেনা সবুজ স্নিগ্ধ গ্রামে কে যেন খানিক বিদেশি সংস্কৃতি ছুঁইয়ে দিয়ে গেছিল। এখন অবশ্য সে রামও নেই, সে অযোধ্যাও নেই। কিন্তু তবু থেকে গেছে এমন কিছু, যা এখনও এই গ্রামকে স্বতন্ত্র করে রেখেছে ইতিহাসের পাতায় মুড়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের মীরপুর গ্রাম। ১৫০ পরিবারের বাস এখানে। সকলেই কোনও না কোনও সূত্রে বহন করছেন পর্তুগিজ রক্ত।

ইতিহাস বলছে, ১৭৪২ সালে মহিষাদলের রানি জানকী দেবী বর্গি হানা ও জলদস্যুদের হাত থেকে রাজত্ব বাঁচানোর জন্য গোয়া থেকে ১২ জন অসম সাহসি ও শক্তিশালী পর্তুগিজ সৈন্যের গোলন্দাজ বাহিনী মহিষাদলে নিয়ে আসেন। মহিষাদলের গেঁওখালিতে মীরপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন ওই সৈন্যরা। সেই থেকেই মীরপুরে পর্তুগিজ কলোনি তৈরি হয়। ওই সৈন্যদের জলপথে লড়াইয়ের বিশেষ অভিজ্ঞতা থাকায় বর্গি-হানার হাত থেকে রেহাই পায় মহিষাদল।

এর পুরস্কারও মেলে হাতেনাতে। রানি জানকী হুগলি- হলদি-রূপনারায়ণ নদীর মিলনস্থলের কাছে গেঁওখালির ওই মীরপুরে, অনেকটা নিষ্কর জমি উপহার দেন পর্তুগিজদের। সেই থেকেই মীরপুর হয়ে ওঠে পাকাপাকি ভাবে পর্তুগিজদের গ্রাম। তার পরে সময় গড়িয়েছে। অনেক জল বয়ে গেছে রূপনারায়ণ দিয়ে। ১২ জন সৈন্যের দল বংশবৃদ্ধি করেছেন ক্রমে। সঙ্গী হিসেবে অবশ্য স্থানীয় মেয়েদেরই বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। কারণ কোনও সৈন্যই পরিবার নিয়ে আসেননি যুদ্ধ করতে। রানি জানকী দেবীর জমিজমা ছেড়ে ফিরেও যাননি তাঁরা। শোনা যায়, ১২ জন সৈন্য ১২টি পৃথক পদবীর মানুষ ছিলেন। রোজারিও, নুনিশ, গোমেজ, পেড্রা, টেসরা, লোবো, রথা, ডি'ক্রুজ প্রমুখ। তাঁদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হন বাঙালি মেয়েরা। নামও বদলে যায় তাঁদের।

বংশ পরম্পরায় সেই রক্তই বহন করে আসছেন মীরপুরের মানুষ। তবে সে রক্তে ক্রমেই মিশেছে বাঙালিয়ানা। ভাষা বদলেছে ধীরে ধীরে। চোখের মণির রং নীল থেকে কালোর দিকে পৌঁছেছে।

রান্নাঘরের সুস্বাদু সব পর্তুগিজ পদ বদলে গেছে বাঙালি মাছ- ভাতে। পেটানো চেহারাতে জুড়ে গিয়েছে বাঙালি ভুঁড়ির ছোঁয়া। তুলসীতলা আর মাতা মেরির থান পাশাপাশি গড়ে উঠেছে গেরস্থের উঠোনে। বহু বছর একসঙ্গে থাকার পরে হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষকেই বিয়ে করেছেন এঁরা। গৃহবধূরা কপালে সিঁদুর, পরনে শাড়ি, হাতে শাঁখা-পলা পরে চার্চে গিয়ে প্রার্থনা করেন। কিন্তু পর্তুগিজদের এই গ্রাম এখনও লোকমুখে পরিচিত 'ফিরিঙ্গি পাড়া' বলে।

এ সবের মাঝে আসে বড়দিন, আসে ইস্টার। সব ভুলে সারা গ্রাম মেতে ওঠে উৎসবে। সাজানো হয় চার্চগুলি। প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয় সবাই মিলে। কেক-মাংসের আয়োজন কবেই বদলে গেছে বাঙালি পোলাও-কালিয়ায়। তাই পেট ভরে খান সকলে। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি চলে মেলা। বাংলা গানের আসর বসে সেখানে। খোল-কর্তাল বাজিয়ে গাওয়া হয় খ্রিস্ট- কীর্তন।

গ্রামের এক মধ্যবয়সি বাসিন্দা স্বপন তেসরা বলছিলেন, "আমার বাবার চোখের মণি নীল ছিল। আমারটা আর হল না। ভাষাটাও জানি না। ওটা জানলে অন্তত নিজেকে দাবি করতে পারতাম পর্তুগিজ বংশের সন্তান বলে। এখন শুধু জানি, আমার গায়ে রয়েছে ওই রক্ত। প্রমাণ বলতে কিছুই নেই। আমরা এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়ই। কিন্তু শেকড়ের কথা মনে হলেই হুহু করে ওঠে মনটা!"

প্রতিবেদন টি ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দেবেন 🥀🥀 বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং লোক সংস্কৃতির বিষয়ে এরকম আরও অজানা কাহিনি জানতে Pappu Roy cyclist পেজটি ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন 🙏🙏 ধন্যবাদ 🥀🥀

মানিক পীর ছিল সুফীদের স্বীকৃত পীর। তিনি নাকি ইরানের লোক ছিলেন। মানিক পীর সাধারণভাবে গো-সম্পদ বা পশু সম্পদ রক্ষক হিসাবে ক...
14/01/2025

মানিক পীর ছিল সুফীদের স্বীকৃত পীর। তিনি নাকি ইরানের লোক ছিলেন। মানিক পীর সাধারণভাবে গো-সম্পদ বা পশু সম্পদ রক্ষক হিসাবে কল্পিত। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য "নদনদী ও জলের পীর হলেন খোয়াজ খিজির, বদরপীর, ররখানগাজী।

জীবাণু ও রোগ ব্যাধির পীর হলেন মানিক পীর, মাদার পীর ও মছলন্দীর পীর। বারাসাত থানাধীন কদম্বগাছীর গোমা পুকুরের পাড়ে মানিক পীরের দরগাহে প্রতি বৎসর ৩রা মাঘ উরস ও উৎসব পালিত হয়। মেলাটি প্রায় দুই বৎসরের প্রাচীন।

ভাঙর থানার শাঁকসহর গ্রামে, মগরাহাট থানার বামনগাছিতে, হুগলি জেলার উত্তরপাড়ায়, হাবড়া থানার বিড়ায় বাথানিয়াতে, উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের নিকটবর্তী সলুয়া মানিক পীরের দরগাহ ও পীরোত্তর জমি আছে। মানিক নামে দরগাহতে গাভীর প্রথম দুধ প্রদত্ত হয়, অনেকে আবার পীরের নামে গরু উৎসর্গ করে মাঠে ছেড়ে দেন। অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এইরূপ গো- সম্পদ উৎসর্গ করার ঘটনা বিরল। গো-সম্পদ মঙ্গলের জন্য মানিক পীরের এরূপ বিবরণ আছে-

" মানিকের দোয়া হলে তবে পার পাই।
মাঝে মাঝে গরুর ঘটে ছোট ছোট রোগ,
মানিকের দোয়া মাঙ্গি শোনেন মুষ্টিযোগ।
জিহ্বাতে হইলে কাটা, গলায় হইলে কোলা,
হাতেতে লবণ লইয়া দিবেন তাতে ডলা।
বর্ষাতে কাদায় গরুর পায়েতে হয় এঁশে,
শুনকো ঠাঁয়ে রাখবেন তারে, ফেনাইল দিবেন ঘষে।
পেট ফাঁপে ছ্যার গরু, সিমলে ব্যামো কয়,
বাঁশের পাতা শুকনো তুষ খাইতে দিতে হয়।"

আবার মানিক পীরের গানে বর্ণনা পাওয়া গেছে- যেমন -
তেমন দুই ভাই আর দুই গাই যদি থাকে,
সংসারেতে চিন্তা নাহি কহি যে সবাইকে।
গরুর সেবায় তুষ্ট হয়েন আপনি ভগবান,
যার কৃপায় ছোট কালে বাঁচে বাচ্চার প্রাণ"।

বেশ কয়েকজন লোক কবি মানিক পীরের গান লিখেছেন। ফকির মহম্মদ লিখেছেন- মানিক পীরের গীত। মুন্সী মহম্মদ পিজিরদ্দিন লিখেছেন- মানিক পীরের কেচ্ছা। জয়রদ্দিন লিখেছেন- মানিক পীরের জহুরনামা। নসর শহীদ লিখেছেন মানিক পীরের গান, তাছাড়া বয়নদ্দিন, খোদা নেওয়াজ প্রমুখ মানিক পীরের গান রচনা করেছেন।

প্রতিবেদন টি ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দেবেন 🙏
বাংলার অজানা ইতিহাস, ঐতিহ্যে এবং লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে এরকম আরও অজানা তথ্য পেতে Pappu Roy cyclist পেজটি ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন 🥀 ধন্যবাদ 🙏🙏

রবীন্দ্রনাথ ১৯৩১-এ দমদম থেকে গেলেন ইরানে। ‘পারস্যর চিঠি’-তে সেই বিমান চড়ার যে অভিজ্ঞতার ছবি ফুটে ওঠে তার এর থেকে ভালো বি...
14/01/2025

রবীন্দ্রনাথ ১৯৩১-এ দমদম থেকে গেলেন ইরানে। ‘পারস্যর চিঠি’-তে সেই বিমান চড়ার যে অভিজ্ঞতার ছবি ফুটে ওঠে তার এর থেকে ভালো বিবরণ আর কথাও দেখি নি। ‘পারস্যর চিঠি’-র কিছুটা তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক হবে। অসাধারণ ভাষা ছাড়াও খেয়াল করার জিনিস হল, রবীন্দ্রনাথ বেশ বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন কীভাবে হত তখনকার বিমানযাত্রা।

“রেলের পথ এবং পারস্য উপসাগর সেই গরমের সময় আমার উপযোগী হবে না বলে ওলন্দাজদের বায়ুপথের ডাকযোগে যাওয়াই স্থির হল।...

পূর্বে আর-একবার এই পথের পরিচয় পেয়েছিলুম লণ্ডন থেকে প্যারিসে। কিন্তু সেখানে যে ধরাতল ছেড়ে উর্ধ্বে উঠেছিলুম তার সঙ্গে আমার বন্ধন ছিল আলগা। তার জল-স্থল আমাকে পিছুডাক দেয় না, তাই নোঙর তুলতে টানাটানি করতে হয় নি। এবারে বাংলাদেশের মাটির টান কাটিয়ে নিজেকে শূন্যে ভাসান দিলুম, হৃদয় সেটা অনুভব করলে।

কলকাতার বাহিরের পল্লীগ্রাম থেকে যখন বেরলুম তখন ভোরবেলা। তারাখচিত নিস্তব্ধ অন্ধকারের নীচে দিয়ে গঙ্গার স্রোত ছলছল করছে। বাগানের প্রাচীরের গায়ে সুপুরিগাছের ডাল দুলছে বাতাসে, লতাপাতা-ঝোপঝাপের বিমিশ্র নিশ্বাসে একটা শ্যামলতার গন্ধ আকাশে ঘনীভূত।...

গলির মোড়ে নিষুপ্ত বারান্দায় খাটিয়া-পাতা পুলিস-থানার পাশ দিয়ে মোটর পৌঁছল বড়ো রাস্তায়। অমনি নতুন কালের কড়া গন্ধ মেলে ধুলো জেগে উঠল, গাড়ির পেট্রোল-বাষ্পের সঙ্গে তার সগোত্র আত্মীয়তা।

দমদমে উড়ো জাহাজের আড্ডা ঐ দেখা যায়। প্রকাণ্ড তার কোটর থেকে বিজলি বাতির আলো বিচ্ছুরিত। তখনো রয়েছে বৃহৎ মাঠজোড়া অন্ধকার। সেই প্রদোষের অষ্পষ্টতায় ছায়াশরীরীর মতো বন্ধুবান্ধব ও সংবাদপত্রের দূত জমে উঠতে লাগল। সময় হয়ে এল। ডানা ঘুরিয়ে, ধুলো উড়িয়ে, হাওয়া আলোড়িত করে ঘর্ঘর গর্জনে যন্ত্রপক্ষীরাজ তার গহ্বর থেকে বেরিয়ে পড়ল খোলা মাঠে। আমি, বউমা, অমিয় উপরে চড়ে বসলুম। ঢাকা রথ, দুই সারে তিনটে করে চামড়ার দোলা-ওয়ালা ছয়টি প্রশস্ত কেদারা, আর পায়ের কাছে আমাদের পথে-ব্যবহার্য সামগ্রীর হালকা বাক্স। পাশে কাঁচের জানলা।

ব্যোমতরী বাংলাদেশের উপর দিয়ে যতক্ষণ চলল ততক্ষণ ছিল মাটির কতকটা কাছাকাছি। পানাপুকুরের চারি ধারে সংসক্ত গ্রামগুলি ধূসর বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝে মাঝে ছোটো ছোটো দ্বীপের মতো খণ্ড খণ্ড চোখে পড়ে। উপর থেকে তাদের ছায়াঘনিষ্ঠ শ্যামল মূর্তি দেখা যায় ছাড়া-ছাড়া, কিন্তু বেশ বুঝতে পারি আসন্ন গ্রীষ্মে সমস্ত তৃষাসন্তপ্ত দেশের রসনা আজ শুষ্ক। নির্মল নিরাময় জলগণ্ডুষের জন্য ইন্দ্রদেবের খেয়ালের উপর ছাড়া আর-কারো 'পরে এই বহু কোটি লোকের যথোচিত ভরসা নেই।

মানুষ পশু পাখি কিছু যে পৃথিবীতে আছে সে আর লক্ষ্য হয় না। শব্দ নেই, গতি নেই, প্রাণ নেই; যেন জীববিধাতার পরিত্যক্ত পৃথিবী তালি-দেওয়া চাদরে ঢাকা। যত উপরে উঠছে ততই পৃথিবীর রূপবৈচিত্র্য কতকগুলি আঁচড়ে এসে ঠেকল। বিস্মৃতনামা প্রাচীন সভ্যতার স্মৃতিলিপি যেন অজ্ঞাত অক্ষরে কোনো মৃতদেশের প্রান্তর জুড়ে খোদিত হয়ে পড়ে আছে; তার রেখা দেখা যায়, অর্থ বোঝা যায় না।

প্রায় দশটা। এলাহাবাদের কাছাকাছি এসে বায়ুযান নামবার মুখে ঝুঁকল। ডাইনের জানলা দিয়ে দেখি নীচে কিছুই নেই, শুধু অতল নীলিমা, বাঁ দিকে আড় হয়ে উপরে উঠে আসছে ভূমিতলটা। খেচর-রথ মাটিতে ঠেকল এসে; এখানে সে চলে লাফাতে লাফাতে, ধাক্কা খেতে খেতে; অপ্রসন্ন পৃথিবীর সম্মতি সে পায় না যেন।

শহর থেকে জায়গাটা দূরে। চার দিকে ধূ ধূ করছে। রৌদ্রতপ্ত বিরস পৃথিবী। নামবার ইচ্ছা হল না। কোম্পানির একজন ভারতীয় ও একজন ইংরেজ কর্মচারী আমার ফোটো তুলে নিলে।...

এইখানে যন্ত্রটা পেট ভরে তৈল পান করে নিলে। আধঘন্টা থেমে আবার আকাশযাত্রা শুরু। এতক্ষণ পর্যন্ত রথের নাড়া তেমন অনুভব করি নি, ছিল কেবল তার পাখার দুঃসহ গর্জন। দুই কানে তুলো লাগিয়ে জানলা দিয়ে চেয়ে দেখছিলুম। সামনের কেদারায় ছিলেন একজন দিনেমার, ইনি ম্যানিলা দ্বীপে আখের খেতের তদারক করেন, এখন চলেছেন স্বদেশে।... যাত্রীদের মধ্যে আলাপের সম্বন্ধ রইল না। যন্ত্রহুংকারের তুফানে কথাবার্তা যায় তলিয়ে। এক কোণে বেতারবার্তিক কানে ঠুলি লাগিয়ে কখনো কাজে কখনো ঘুমে কখনো পাঠে মগ্ন। বাকি তিনজন পালাক্রমে তরী-চালনায় নিযুক্ত, মাঝে মাঝে যাত্রার দফ্‌তর লেখা, কিছু-বা আহার, কিছু-বা তন্দ্রা। ক্ষুদ্র এক টুকরো সজলতা নীচের পৃথিবী থেকে ছিটকে পড়ে উড়ে চলেছে অসীম জনশূন্যতায়।

জাহাজ ক্রমে উর্ধ্বতর আকাশে চড়ছে, হাওয়া চঞ্চল, তরী টলোমলো। ক্রমে বেশ একটু শীত করে এল। নীচে পাথুরে পৃথিবী, রাজপুতানার কঠিন বন্ধুরতা শুষ্ক স্রোতঃপথের শীর্ণ রেখাজালে অঙ্কিত, যেন গেরুয়া-পরা বিধবাভূমির নির্জলা একাদশীর চেহারা।

অবশেষে অপরাহ্নে দূর থেকে দেখা গেল রুক্ষ মরুভূমির পাংশুল বক্ষে যোধপুর শহর। আর তারই প্রান্তরে যন্ত্রপাখির হাঁ-করা প্রকাণ্ড নীড়। নেমে দেখি এখানকার সচিব কুন্‌বার মহারাজ সিং সস্ত্রীক আমাদের অভ্যর্থনার জন্য উপস্থিত, তখনই নিয়ে যাবেন তাঁদের ওখানে চা-জলযোগের আমন্ত্রণে। শরীরের তখন প্রাণধারণের উপযুক্ত শক্তি কিছু ছিল, কিন্তু সামাজিকতার উপযোগী উদ্‌বৃত্ত ছিল না বললেই হয়। কষ্টে কর্তব্য সেরে হোটেলে এলুম।

হোটেলটি বায়ুতরীযাত্রীর জন্যে মহারাজের প্রতিষ্ঠিত। সন্ধ্যাবেলায় তিনি দেখা করতে এলেন। তাঁর সহজ সৌজন্য রাজোচিত। মহারাজ স্বয়ং উড়োজাহাজ-চালনায় সুদক্ষ। তার যতরকম দুঃসাহসী কৌশল আছে প্রায় সমস্তই তাঁর অভ্যস্ত!

পরের দিন ১২ই এপ্রিল ভোর রাত্রে জাহাজে উঠতে হল। হাওয়ার গতিক পূর্বদিনের চেয়ে ভালোই। অপেক্ষাকৃত সুস্থ শরীরে মধ্যাহ্নে করাচিতে পুরবাসীদের আদর-অভ্যর্থনার মধ্যে গিয়ে পৌঁছনো গেল। সেখানে বাঙালি গৃহলক্ষ্মীর সযত্নপক্ক অন্ন ভোগ করে আধ ঘন্টার মধ্যে জাহাজে উঠে পড়লুম।

সমুদ্রের ধার দিয়ে উড়ছে জাহাজ। ..... এইবার মরুদ্বার দিয়ে পারস্যে প্রবেশ। বুশেয়ার থেকে সেখানকার গবর্নর বেতারে দূরলিপিযোগে অভ্যর্থনা পাঠিয়েছেন। করাচি থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যোমতরী জাস্কে পৌঁছল। সমুদ্রতীরে মরুভূমিতে এই সামান্য গ্রামটি। কাদায় তৈরি গোটাকতক চৌকো চ্যাপটা-ছাদের ছোটো ছোটো বাড়ি ইতস্ততবিক্ষিপ্ত, যেন মাটির সিন্দুক।”

রবীন্দ্রনাথের প্রথম বিমান চড়ার (১৬ এপ্রিল ১৯২১ লন্ডন থেকে প্যারিস) অভিজ্ঞতা জানা যায় কবিগুরুর ১৭ই এপ্রিল ১৯২১ এর এক চিঠি থেকে -

“Dear friend, my short career in the sky was unobscured by cloud and luminous with the April sunshine.The only thing to which I could take objection was the deafening noise which followed me from shore to shore and made me glad to be back t the earth again where one has the choice of diluting all noise with silence as much as it is available.”

১৯২১-এর সেই বিমানযাত্রার সাথে দমদমের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও করিগুরুর প্রথম বিমানযাত্রার সম্পর্কে আর একটা কথা জানানো যাক - সেদিনের সেই যাত্রার সাথী ছিলেন গগনেন্দ্রনাথ। তিনি রবীন্দ্রনাথকে বিমানে দেখে যে কার্টুন এঁকেছিলেন সেটি রইল সঙ্গে। রবীন্দ্রনাথ আকাশের তারার ভিতর, চেয়ারে চেপে উড়ে চলেছেন, হাওয়ায় উড়ছে দাড়ি...

"রবীন্দ্রনাথের বিমান চড়ার অভিজ্ঞতা"

(সংগৃহীত)

ফিস্টি আর পিকনিকের মধ্যে পার্থক্য* :(প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কেন? সেটা পড়ার সময় বুঝতে পারবেন) দেখে নিই ফিস্টি আর প...
14/01/2025

ফিস্টি আর পিকনিকের মধ্যে পার্থক্য* :
(প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কেন? সেটা পড়ার সময় বুঝতে পারবেন)
দেখে নিই ফিস্টি আর পিকনিকের মধ্যে আসলে পার্থক্যটা ঠিক কোথায়৷

👉🏿 *ফিস্টি*— প্রথমেই বলি, বিনা প্ল্যানে যেটা হয় সেটা ফিস্টি৷ সকালবেলা দুই বন্ধুর দেখা হল বাজারে, হুট করে বাইকে বসে বসেই ঠিক হল 'চ মাড়া'৷ তারপর ফোনে ফোনে আর পাঁচ সাত দশ বিশজন মিলে শুরু হয়ে যাওয়ার নাম ফিস্টি৷
👉 *পিকনিক*— সবসময় প্ল্যান করে হয়৷ তিন চার মাস আগে থেকে ডেট এডজাস্ট করতে হয়৷ কার অফিস ছুটি থাকবে, কার স্কুল বন্ধ থাকবে, কার মামাশ্বশুর আসবে, কার ডাক্তার দেখানোর ডেট, কার ক্লায়েন্ট মিটিং৷ এই সবকিছু এডজাস্ট করে তবে পিকনিকের ডেট ঠিক হয়৷

👉🏿 *ফিস্টি*—তে সবসময় নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে লোক বেশি হয়৷ মাঝরাস্তায় "কি বে, আমাকে বল্লিনি মাড়া' বলে কেউ বাইকের পিছনে উঠে বসলে তাকে নামানোর নিয়ম নেই৷
👉 *পিকনিক*—তে অবশ্যই লোকসংখ্যা কমবে৷ সেই নির্দিষ্ট দিনে নিশ্চই কারও মামার শালীর বিয়ে পড়বে, অথবা অফিসের চাপ, বা বৌয়ের শরীরখারাপ, গাড়ি সার্ভিসিং, ছেলের স্কুলের এনুয়াল প্রোগ্রামের প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশন সেরিমনি৷

👉🏿 *ফিস্টি*—র কোন নির্ধারিত জায়গা থাকে না৷ হতে পারে ঘরের পাশের জঙ্গল, কারও কনস্ট্রাকশন সাইট, বাসস্ট্যান্ডের পিছনের ফাঁকা জায়গা, পাথর খাদানের সাইড, ক্লাবের ছাদ, দূর্গামন্ডপ এমনকি বৌ বাপের বাড়ি গেলে সেই ঘরেও ফিস্টি করা যায়৷
👉 *পিকনিক*—এর জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট জায়গা থাকে৷ কোন পপুলার পার্ক, ট্রাভেল সাইট, দর্শনীয় স্থান, দামি রেস্তোঁরা, নিদেন পক্ষে হোটেল বুক করে পিকনিক করতে হয়৷

👉🏿 *ফিস্টি*—র নির্দিষ্ট টাইম থাকে না৷ দুপুর বারোটায় শুরু হয়ে তিনটের মধ্যেও শেষ হতে পারে, আবার রাত্রি আটটায় শুরু হয়ে পরের দিন দুপুর পর্যন্তও চলতে পারে৷ মোটামুটি ঘরে ঢোকার আগে যেন মুখে গন্ধ না থাকে৷
👉 *পিকনিক*— নির্দিষ্ট টাইম মেনে হয়৷ পিকনিকের টাইম ঠিক হয় ট্রেনের টাইম ধরে, বাসের টাইম ধরে, ড্রাইভারের টাইম ধরে৷ পিকনিকে যাওয়ার টাইম নির্দিষ্ট, ফেরার টাইমও নির্দিষ্ট৷

👉🏿 *ফিস্টি*—তে কোন ডেকোরাম মেইনটেন হয় না৷ ডি'লেভেলের কর্মচারিও এ' লেভেলকে নিঃসংকোচে #সুদীরভাই বলতে পারে৷
👉 *পিকনিক*—ডেকোরাম মেনে হয়৷ সবাই ভদ্রকথা বলে, স্ট্যাটাস অনুযায়ী দুরত্ব বজায় রাখে একে অপরের সাথে৷

👉🏿 *ফিস্টি*—র কোন ড্রেসকোড থাকে না৷ দলে সাতজনের বারমুন্ডা, তিনজনের থ্রিকোয়ার্টার, প্রায় সবারই টিশার্ট যেগুলো অকুস্থলে গিয়ে আর গায়ে থাকেনা৷ পাঁচজনের জিনস্, চারজনের গামছা, বগলকাটা গেঞ্জি৷ গায়ে ঘাম আর আদা রসুন তেজপাতার গন্ধ৷
👉 *পিকনিক*—এ গায়ে জ্যাকেট থাকে, পায়ে দামি শ্যু থাকে, গায়ে দামি পারফিউমের সুবাস, পিঠখোলা বগলকাটা ব্লাউজ, দামি হাফপ্যান্ট, খোলা চুল অথবা ডিজাইন করে বাঁধা, চোখে জানলার কাঁচের সাইজের চশমা৷ হাতে প্রজাপতির মত ঝলমলে বাচ্চা, মুখে কথা কম...ট্যুইঙ্কেল ট্যুইঙ্কেল বেশি৷

👉 *পিকনিক*—এর মাঝে সবাই সাইটসিনে যায়৷
👉🏿 *ফিস্টি*—র মাঝে নুন ফুরিয়ে গেলে পাশের কারো ঘরে ঠোঙা নিয়ে হাজির হয়, তেল ফুরিয়ে গেলে পনের টাকা নিয়ে দোকানে৷

👉 *পিকনিক*—এ কালচারাল প্রোগ্রাম হয়৷ বাচ্চারা নাচ, গান, রাইমস্ করে৷ আঙ্কেল আন্টিরা হাততালি দেয়৷ আবার আন্টিরা রবিঠাকুর করে, আঙ্কেল আর বাচ্চারা হাততালি দেয়৷ এটাই নিয়ম৷
👉🏿 *ফিস্টি*—তে একটাই প্রোগ্রাম৷ শু বা...বাঁ..আমার পাতে মুরগির পু #টা কে দিলি বে? আমার পাতে খাসির বি # এল কোত্থেকে?

👉 *পিকনিক*—এ রান্নার ঝামেলা থাকে না৷ ক্যাটারার টিম থাকে, অথবা রান্নার লোক যায়৷ আমসত্ত্ব খেজুর নারকেল পেঁপে কিসমিস বেদানা আপেল কাজু কিসমিস দিয়ে ফ্রুট চাটনি হয়৷
👉🏿 *ফিস্টি*—তে সবাই রাঁধুনি, সবাই৷ চাটনিতে বাঁধাকপির পাতা, ফুলকপির গোড়া, আড়াইশো কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, গরম মশলা এমনকি হেডফোনের স্পিকারও থাকতে পারে৷

👉 *পিকনিক*—এ সকালে টিফিন থাকে, স্ন্যাক্স থাকে, কফি মেশিন থাকে৷ চিকেন মটনের আলাদা বাটি থাকে, ডেজার্ট থাকে, মকটেল থাকে, ককটেল থাকে৷
👉🏿 *ফিস্টি*—তে মটনের গায়ে খাসির কালো লোম থাকে, চিকেনের গায়ে মুরগির সাদা পালক থাকে, ডালের বালতিতে বিঁড়ির টুকরো থাকে৷

👉 *পিকনিক*—এ জি'পে থাকে, পেটিএম থাকে, ফোন'পে থাকে, নেট ব্যাঙ্কিং থাকে৷
👉🏿 *ফিস্টি*—তে পিছনের পকেট থাকে, সামনের পকেট থাকে, জিনসের চোরা পকেট থাকে৷ বাপের পকেট থাকেই থাকে৷

👉 *পিকনিক*—এ দুটো সান্টাক্লজ ক্লাউন থাকে৷ দাড়ি মুখোশ আর লালটুকটুকে টুপি, ঢোলা পোশাক৷
👉🏿 *ফিস্টি*—র মাঝপথে অন্তত তিনজনের ওপর ডাইরেক্ট সান্টা ভর করে৷ কোমরে গামছা, লালটুকটুকে জাঙ্গিয়া মাথার ওপর৷

👉 *পিকনিক*—এ ডিএসএলআর থাকে, আইফোন থাকে৷ সেলফি থাকে, গ্রুপফি থাকে৷ নাচের ভিডিও, গানের ছবি, নেভা ওভেনে খালি কড়ায় খুন্তি হাতে পোজ থাকে৷ মিঃ সামন্তের ফিশ ফ্রাইয়ের ডিশ হাতে ছবি থাকে, মিসেস চ্যাটার্জির স্টিলের বালতি হাতে দই পরিবেশনের ছবি থাকে৷
👉🏿 *ফিস্টি*—তে 'এই মাড়া ফোন টোন সব ত্রিপলে তলায় রাখ, ফিস্টি করতে করতে যে ফোন বের করবি, আর এই সব ছবি ফবি যে তুলবি শুনে রাখ, একটা ছবিও যদি বাইরে যায়...

👉 *পিকনিক*—এ অরিজিৎ এর গলায় 'দে দোল দোল দোল, তোল পাল তোল' চলে৷
👉🏿 *ফিস্টি*—তে 'মেঘা ও রে মেঘা টুকু বর্ষে দে,
আমার প্রেমিকা কে, পহিলা ছিঁটায় ভিজাইন দে', বারো মিনিটে চারবার৷

👉 *পিকনিক*— শেষে উদ্বৃত্ত খাবার অকুস্থলে ঘুরে বেড়ানো আদুল গায়ের বাচ্চারা পায়, 'এই শোন, থালাবাসনগুলো ধুয়ে দে, তারপর খাবারগুলো নিয়ে যা', অথবা নষ্ট হয় ডাস্টবিনে৷
👉🏿 *ফিস্টি*—তে খাবার বাড়তি হয় না, বরং কম পড়ে৷ তিনবার ঝগড়ার পর ফয়সলা হয়, 'পরেরবার থেকে কেলা মাংস কম আনবি, চাল বেশি করে লিবি৷'

👉 *পিকনিক*—থেকে ফেরার পথে৷ 'মিঃ ঘোষের বউয়ের দিকে অমন হাঁ করে তাকিয়েছিলে কেন? মনে হচ্ছিল যেন গিলে খাবে! কেন, আমায় আর পোষাচ্ছে না?/ মিসেস পাল কে দেখছিলে, ঐ শাড়িটা আমরা সেবার আমাদের কাজের মেয়ের বিয়েতে দিয়েছিলাম৷/ মিঃ চৌধুরী মেয়ে কে নিয়ে যে এত বড়াই করছে, গুণধর কণ্যা কটা ছেলের সাথে দীঘা গেছে সেটা জানে? আজ যদি হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিতাম!/ মিসেস মন্ডল যেন বাড়িতে ডিপ ফ্রিজে থাকে, এই ডিসেম্বরের রোদেও গায়ে ফোস্কা পড়ছে৷/সরলা বৌদিকে দেখেছিলে, বয়স কি কমছে না কি বলতো? অমন ভাবে কাপড় পরার চেয়ে না পরেই আসতে পারতি, এতই যদি দেখানোর সখ পুরোটা খুলে দেখা না৷/ এই অমলের ছেলেটা কোন মাষ্টারের কাছে পড়ে দেখো তো, দরকার হলে দুশো টাকা বেশি দেবে তাকে নিয়ে এসো তো!/ বাব্বা, রঞ্জনার ছেলেটা কি খায় গো!! ঐ টুকু ছেলে যা খায়, আমাদের ড্রাইভারটা এত খেতে পারে না৷/ পিন্টুর জ্যাকেটটা দেখেছিলে, ওটা ওর কোম্পানীর, স্টিকারটা কেটে ফেলে দিয়েছে৷/ এবার বুঝলে তো তাপস বছরে দুবার প্রমোশন পায় কেন! আরে, ওর বৌকে দেখছিলে না, বসের সাথে কিভাবে ঢলে ঢলে কথা বলছিল?

👉🏿 *ফিস্টি*— থেকে ফেরার পথে৷ 'ধ্যের বাঁ #... বিকাল হতে হতে সব কেটে গেল৷ বার বার বলেছিনুম বাঁ # অত দামি আনুনু৷ এই....রাত্রে বেলা আবার ফিস্টি লাগা ব্বাঁ... আমি একটা সাড়ে সাতশ দিচ্চি, বাকিটা তরা ম্যানেজ কর৷ সে'বেলার বাঁধাকপিটা দিয়েই মেরে দুব৷

*Collected*

Written by : Dipen Bhunia

রবীন্দ্র কাছারিবাড়ী_সাজাদপুর_সিরাজগঞ্জ। সাজাদপুর গ্রাম নীলকরদের নীলকুঠি ছিল যেটা রবীন্দ্রনাথের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ...
14/01/2025

রবীন্দ্র কাছারিবাড়ী_সাজাদপুর_সিরাজগঞ্জ। সাজাদপুর গ্রাম নীলকরদের নীলকুঠি ছিল যেটা রবীন্দ্রনাথের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর নিলামে কিনে নেন। ১৮৯০ সালে জমিদারির কাজেই ২৯ বছর বয়সে তিনি তৎকালীন সাজাদপুর তথা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের শাহজাদপুরে আসেন এবং চারপাশে করতোয়া, বড়াল, গোহালা, হুড়োসাগর অদূরেই বিশাল চলনবিল দেখে প্রেমে পড়ে যান।

√√ ১৮৯৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শাহজাদপুর থেকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি স্পষ্টই বলেছেন,
‘‘ এখানে (সাজাদপুরে) যেমন আমার মনে লেখার ভাব ও ইচ্ছা আসে এমন কোথাও না।’’ (ছিন্নপত্র_পত্র সংখ্যা_১১৯)

√√ কবিগুরু আরো লিখেছেন,
"এখানকার দুপুর বেলাকার মধ্যে বড়ো একটি নিবিড় মোহ আছে। রৌদ্রের উত্তাপ, নিস্তব্ধতা, নির্জনতা, পাখিদের বিশেষত কাকের ডাক, এবং সুদীর্ঘ সুন্দর অবসর—সবসুদ্ধ জড়িয়ে আমাকে ভারি উদাস ও আকুল করে।" (ছিন্নপত্র)।

√√ ‘অতিথি’ গল্পের প্রেক্ষাপট বলতে গিয়ে তিনি সাজাদপুরকে তুলে ধরেছেন এভাবে,
"একটু একটু করে লিখছি এবং বাইরের প্রকৃতির সমস্ত ছায়া আলোক বর্ণ ধ্বনি আমার লেখার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। আমি যে সকল দৃশ্যলোক ও ঘটনা কল্পনা করছি তারই চারিদিকে এই রৌদ্রবৃষ্টি নদীস্রোত এবং নদীতীরের শরবন, এই বর্ষার আকাশ, এই ছায়াবেষ্টিত গ্রাম, এই জলধারা প্রফুল্ল শস্যের ক্ষেত ঘিরে দাঁড়িয়ে তাদের সত্যে ও সৌন্দর্যে সজীব করে তুলেছে।" (ছিন্নপত্র_পত্র সংখ্যা_১৪৪)

√√ গরু চরানোর মাঠের অভাবের কথা চাষিদের কাছে শুনে প্রায় ১২০০ একর জমি গোচারণের জন্য দান করেন। সেই জমিতে তৈরী হয়েছিল বাথানভূমি যার একটা অংশে ২০০ একর জমিতে গড়ে উঠবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। কবিগুরু এখানে উন্নত ভালো জাতের ষাঁড় এনে গাভি প্রজননের মাধ্যমে উন্নত গোসম্পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই গাভির জাত এখনো রয়েছে, যে গাভির দুধ দিয়ে চলছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘মিল্ক ভিটা’।

√√ এখানে বসে লিখেছেন, কালজয়ী কাব্যনাটক বিসর্জন। গানের মধ্যে আছে ‘কেন যামিনী না যেতে জাগালে না’, ‘ভালোবেসে সখি নিভৃত যতনে’ উল্লেখযোগ্য । কবিতার মধ্যে সোনার তরী কাব্যের বিখ্যাত ‘আকাশের চাঁদ’, ‘ভরা ভাদরে’, ‘পুরস্কার’, ‘দুই পাখি’। ছোটগল্প রচনা করেছেন ‘পোস্টমাস্টার’, ‘ছুটি’, ‘অতিথি’, ‘সমাপ্তি’ প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

√√ ঠাকুর পরিবারে জমিদারি ভাগাভাগির ফলে শাহজাদপুরের জমিদারি চলে যায় রবীন্দ্রনাথের অন্য শরীকদের হাতে। তাই ১৮৯৬ সালে তিনি শেষ বারের মতো শাহজাদপুর থেকে চলে যান।

সংগ্রহ_সুস্মিতা

কার্টেসী
১. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন_সিরাজগঞ্জ জেলা
২. প্রথম আলো

শান্তিনিকেতনে কোপাই নদীর ধারে, এক চিলতে জায়গায় একটি কুঁড়েঘরে তাঁর বাস! সামনে একটি ছোট্ট খেজুর গাছ, তার সামনে মাটির উনুন...
14/01/2025

শান্তিনিকেতনে কোপাই নদীর ধারে, এক চিলতে জায়গায় একটি কুঁড়েঘরে তাঁর বাস! সামনে একটি ছোট্ট খেজুর গাছ, তার সামনে মাটির উনুনে চলছে খেজুর এর রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। দেখেই বোঝা যায়, শুধুমাত্র এই গাছ থেকে যা রস পাওয়া যাবে, তা দিয়ে এই কাজ সম্ভব নয়! মানে তাঁকে আশেপাশের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হয়।

বাড়ির পাশেই চড়া খাড়াই বেয়ে প্রায় দুই তিন মানুষ সমান উঠে এলে রাস্তার ধার। সেখানে একটি ছোট্ট টেবিল রেখে তার ওপর গুড় রেখে বিক্রি করেন ভদ্রলোক! পাবেন শুধু পাটালি আর ঝোলা গুড়! গুড় এর রং একটু সাদাটে। কিন্তু পাগল করা তার স্বাদ আর গন্ধ! আমরা দু কেজি পাটালি নিলাম, দুশো টাকা করে কেজি! মোটের উপর কুড়ি টাকা ছাড় দিয়ে তিনশো আশি টাকা নিয়েছে।

Collected

খেজুর রসের সন্ধানে...
14/01/2025

খেজুর রসের সন্ধানে...

জলসাঘর..... বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ি পুরান ঢাকায় প্রচুর মানুষ এবং গাড়ি ঘোড়ার ভিড়ে ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলির ছবি তুলতে খুব...
14/01/2025

জলসাঘর..... বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ি
পুরান ঢাকায় প্রচুর মানুষ এবং গাড়ি ঘোড়ার ভিড়ে ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলির ছবি তুলতে খুব বেগ পেতে হয়,কখনোই পরিপূর্ণভাবে ফাঁকা পাওয়া যায় না। সেদিন সকালে অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারে নাস্তা করার পরে শাঁখারীবাজার - পাটুয়াটুলি - ইসলামপুর
৩ রাস্তার মোড়ে বাবু বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়াতেই একদম পরিষ্কার সব দেখতে পাচ্ছিলাম,পর পর কয়েকটা ছবি তুলে দায়িত্বগত পুলিশ সদস্যের অনুমতি অনুমতি চাইলাম ভেতরটা দেখার জন্য। জিজ্ঞেস করলেন কেন...? বললাম ভাই এই জায়গাটা ছিল ব্রিটিশ আমলে নবাবদের জলসা ঘর । এখানে তখনকার অভিজাত শ্রেণীর মানুষদের মনোরঞ্জনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অনেক নামকরা গাইয়ে এবং নৃত্যশিল্পীরা আসতেন। অনুমতি পেলাম সন্তুষ্ট চিত্তে বেরিয়ে এলাম।
১০/০১/২০২৫

Credit : Guide Bangladesh

#জলসাঘর
#বাবুবাজার_পুলিশ_ফাঁড়ি

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pappu Roy cyclist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Pappu Roy cyclist:

Videos

Share