27/05/2025
চাকরিহারা ভাইবোনদের পাশে রাজ্য সরকার সর্বদা রয়েছে। আমরা চাই সবাই চাকরি ফিরে পান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আমাদের কাজ করতে হবে। আইন লঙ্ঘন করে কাজ করলে জটিলতার সৃষ্টি হবে। আমরা কোর্টে রিভিউ পিটিশন করেছি। আজ নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে কোর্টের আইন মেনেই দুটি বিকল্প পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত জানালাম। আগামী ৩০ মে, ২০২৫ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরইসঙ্গে জানালাম যে, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির তারিখ কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে মোট ৪৪ হাজার ২০৩টি শূন্যপদ। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে, আগের নির্দেশ কার্যকর না করলে সবটাই বাতিল হয়ে যাবে। তাই আইন মেনে কোর্ট যে আদেশ দিয়েছে তার নোটিফিকেশন প্রকাশ করব। এছাড়াও রাজ্য সরকার যে রিভিও পিটিশন করেছে সেই রিভিউ পিটিশনের রেজাল্ট যদি ভালো হয়, তবে তা অনুসরণ করা হবে।
আজ সকলের কাছে আবেদন রেখেছি যে, কেউ নেতিবাচক প্রচার করবেন না। আমরা চাই সসম্মানে কাজ করুন, যাতে সমাজ উপকৃত হতে পারে। শিক্ষকতায় এত দিন পর্যন্ত যাঁরা চাকরি করতেন, তাঁদের জন্য বয়সের ছাড়ও দেওয়া হবে। বাতিল প্যানেলের সঙ্গে অতিরিক্ত শূন্যপদ যুক্ত করা হবে। গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির ক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তর ছাড়াও অতিরিক্ত দপ্তরে তাঁদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার। নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া।
রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করতে যারা অপপ্রচার করছেন তাঁদের মনে রাখতে হবে এটি স্পর্শকাতর বিষয়। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে চাকরিহারা ভাইবোনদের নিয়ে রাজনীতি করবেন না। তাঁরা অর্থাৎ শিক্ষকরা সমাজের মেরুদণ্ড। পিতা মাতার পরেই তাঁরা আমাদের সমাজের শিক্ষাগুরু। ত্রিপুরা রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষক ছাঁটাই হওয়ার পরে তাঁদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার করেছিল তৎকালীন সরকার। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যেও ৬৯ হাজার, তাঁরা কেউ সুবিচার পাননি। কারও চাকরি চলে যাক আমরা বলিনি। বাংলায় আমরা সবসময় শিক্ষকদের পাশে রয়েছি। সুবিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বারবার আবেদন করছি। রাজ্য সরকারের উপর ভরসা রাখুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
copied.