নারদ সংবাদ

নারদ সংবাদ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from নারদ সংবাদ, Media/News Company, Mahatma Gandhi Street, KOLKATA.

বাংলা ভাষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদগুলি জানতে আমাদের এই পেজটিকে ফলো করুন। এখানে পাবেন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, বৈশ্বিক, এবং অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় সংবাদগুলি।

অবশ্যই, বিশেষ করে এই রাজ্যের 'চাড্ডি' দের আরও চতুর হতে হবে।
14/09/2025

অবশ্যই, বিশেষ করে এই রাজ্যের 'চাড্ডি' দের আরও চতুর হতে হবে।

প্রিয় বিবেক,তোমার পরিচালিত ছবি "দ্য বেঙ্গল ফাইলস" দেখতে এসেছিলাম। ছবিটা দেখে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। এত হিংসা! বি...
13/09/2025

প্রিয় বিবেক,

তোমার পরিচালিত ছবি "দ্য বেঙ্গল ফাইলস" দেখতে এসেছিলাম। ছবিটা দেখে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। এত হিংসা! বিশেষ করে বাচ্চারা তো ভয়ে কেঁদে উঠেছে! তোমার কি একটুও খারাপ লাগে না? আমার মনে হচ্ছে এই ছবিটা বাচ্চাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

তুমি তো জানো, আমি সবসময় সত্যের পক্ষে। আমার ভিডিওগুলো দেখলে বুঝতে পারবে, আমি কীভাবে সমাজের ভুলগুলো ধরিয়ে দিই। কিন্তু তোমার এই ছবিটা তো সত্য নয়। এটা তো ইতিহাস! আর ইতিহাস তো বাচ্চারা দেখতে পারে না। তাদের মনে ভয় ঢুকে যাবে।

আমার মনে পড়ছে, কিছুদিন আগে অ্যানিমাল নামে একটা ছবি মুক্তি পেয়েছিল। সেটাও খুব হিংসাত্মক ছিল। কিন্তু আমি তখন চুপ করে ছিলাম। কারণ ওই ছবিতে তো সত্য ছিল না, ছিল শুধুই গল্প। আর গল্প তো বাচ্চারা দেখতে পারে। এমনকি হলিউডের অ্যাকশন ছবিগুলোও আমি দেখি। সেখানেও তো প্রচুর হিংসা থাকে। কিন্তু সেগুলো তো আর আমাদের মতো বাস্তব নয়।

কাল্পনিক হিংসা বাচ্চাদের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এর হিংসা তো আসল, ঐতিহাসিক! এই সত্য বাচ্চারা যদি দেখতে পায়, তাহলে তাদের কোমল মনে আঘাত লাগবে। তারা বড় হয়ে প্রশ্ন করতে শিখবে, আর প্রশ্ন করা খুব বিপজ্জনক। বিশেষ করে যখন প্রশ্নগুলো অস্বস্তিকর হয়।

তুমি কি জানো, আমার বন্ধুরা আমাকে সবসময় বলে, "ধ্রুব, তুমি সবসময়ই সত্যের পক্ষে থাকো। তুমিই একমাত্র ব্যক্তি যে সমাজের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারে।"

আমি তোমার মতো ছবি তৈরি করে টাকা কামাতে পারি না। কারণ আমি টাকার জন্য কাজ করি না। আমি সত্যের জন্য কাজ করি।

ইতি,

ধ্রুব টাট্টি

© নারদ সংবাদ



অশোকবাবুর বসার ঘরের দেওয়ালে টাঙানো ছবিটার দিকে তাকালে এখনও ধমনীতে রক্ত ছলকে ওঠে। তাঁর একমাত্র ছেলে, সুমন রায়। পহলগামের স...
13/09/2025

অশোকবাবুর বসার ঘরের দেওয়ালে টাঙানো ছবিটার দিকে তাকালে এখনও ধমনীতে রক্ত ছলকে ওঠে। তাঁর একমাত্র ছেলে, সুমন রায়। পহলগামের সবুজ উপত্যকায় ২৬ জন পর্যটকের সাথে যাঁর শরীরটা জঙ্গিদের বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল। আজ থেকে ঠিক চার মাস বাইশ দিন আগেকার ঘটনা। গোটা দেশ সেদিন কেঁদেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগের বন্যা বয়ে গিয়েছিল— ।

টিভিতে তখন চ্যানেলে চ্যানেলে আগুন ঝরছিল। অ্যাঙ্করদের গলায় প্রতিশোধের গর্জন, প্যানেলিস্টদের চোখে রক্তের নেশা। তারপর হল ‘অপারেশন সিন্দুর’। সোশাল মিডিয়ায় হেডলাইন হলো— ‘বদলা নিল ভারত’, ‘ গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো জঙ্গি ঘাঁটি’। সিন্ধু নদীর জল আটকে দেওয়া হল। সরকার ঘোষণা করলেন, পাকিস্তানের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন। অশোকবাবু সেদিন প্রথমবার ছেলের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদেছিলেন। মনে হয়েছিল, সুমনের মৃত্যুটা বৃথা যায়নি। নতুন ভারত তাঁর নাগরিকদের জীবনের সম্মান রাখতে জানে।

আর আজ?

আজও টিভিতে সেই একই উন্মাদনা। তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আগামীকাল এশিয়া কাপ। বাইশ গজের যুদ্ধ। ভারত বনাম পাকিস্তান।

পাশের ফ্ল্যাটের মিত্তিরদের বাড়ি থেকে ভেসে আসছে, “শুভমান গিল কভার ড্রাইভ মারবে আর শাহীন আফ্রিদির মুখটা দেখার মতো হবে!” পাড়ার ক্লাবের ছেলের দল জাতীয় পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে গেটের সামনে। বাতাসে উড়ছে সেই একই স্লোগান— “ভারত মাতা কি জয়!”। ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ দেখাতে শুরু করেছে

অশোকবাবুর হাসি পেল। একটা বিদ্রূপের, হাসি। চার মাস আগে যখন অপারেশন সিন্দুর চলছিল, তখন এই স্লোগানটা শুনেই তাঁর বুকটা গর্বে ফুলে উঠত, আর আজ মনে হচ্ছে কেউ যেন তাঁর কানের কাছে এসে বিশ্রীভাবে ব্যঙ্গ করছে।

তিনি টিভিটা খুললেন। এক বিখ্যাত ক্রীড়া চ্যানেলে আলোচনা চলছে। সঞ্চালক উত্তেজিত হয়ে বলছেন, “This is more than just a game! এটা হলো জাতীয় সম্মানের লড়াই!”

প্রাক্তন ক্রীড়া মন্ত্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুর সাংবাদিকদের বলছেন, “দেখুন, সরকার আর বিসিসিআই একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছি না, কারণ আমরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করি না। কিন্তু এটা একটা বহুজাতিক টুর্নামেন্ট। এখানে না খেললে পয়েন্ট নষ্ট হবে, বিপক্ষ দল পয়েন্ট পেয়ে যাবে।”

অশোকবাবুর মনে পড়ল, গত বছর বাংলাদেশে যখন মৌলবাদীরা হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছিল, একের পর এক খুন হচ্ছিল, হিন্দু মেয়েদের ধ*ণ করা হচ্ছিল, তখনও এই বিসিসিআই ‘ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর পয়েন্টের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশকে ভারতে ডেকে এনে দিব্যি সিরিজ খেলেছিল। পয়েন্টের কাছে সেদিন স্বজাতিপ্রেম হেরে গিয়েছিল। আজও পয়েন্টের কাছে হেরে যাচ্ছে ২৬ জন মৃত ভারতীয় নাগরিকের স্মৃতি।

হঠাৎই অশোকবাবুর মাথায় একটা ওয়েব সিরিজের ডায়লগটা ঝিলিক দিয়ে উঠল— "সরকার পাবলিক কো চু তি য়া বানানে কে লিয়ে দেশভক্তি কি চুরণ বেচতি হ্যায়।"

কী নিখুঁত সত্যি! দেশভক্তির চুরণ! যখন পহেলগমে ভারতীয়দের রক্ত ঝরেছিল, তখন এই চুরণের ডোজ বাড়িয়ে দেওয়া হয় হলো - প্রতিশোধ, বদলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হলো। আর যখন সেই রক্তের দাগ শুকিয়ে এলো, তখন সেই দেশভক্তিকেই প্যাকেজ করে বিক্রি করা হচ্ছে বাইশ গজের মাঠে। স্পনসর, বিজ্ঞাপন, টিআরপির বিশাল বাজারে ২৬টা লাশের চেয়ে গিল, হার্দিকদের রানের দাম অনেক বেশি।

কে জানে ? যে স্পনসরদের টাকায় এই ম্যাচ হচ্ছে, হয়তো তাদেরই অন্য কোনও শাখা পাকিস্তানেও ব্যবসা করে। কী বিচিত্র!

টিভির পর্দায় ভেসে উঠছে এক বিজ্ঞাপন। একটা কোমল পানীয়র বোতল হাতে নিয়ে ভারতের ক্যাপ্টেন বলছেন, “সব ভুলে যাও, শুধু খেলাটাকে উপভোগ করো। Let's bring the cup home!”

অশোকবাবুর মনে হলো, তাঁর ছেলের বুলেটবিদ্ধ বুকটা যেন তাঁকে প্রশ্ন করছে, “বাবা, তাহলে আমার মৃত্যুর দাম কী? একটা কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপনের চেয়েও সস্তা?”

তিনি খবর দেখছিলেন, ২৬ জন শহীদের পরিবারের অনেকেই এই ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাঁদের কান্না, তাঁদের আর্তি কি সরকারের কানে পৌঁছায় না?

মিত্তিরদের বাড়ি থেকে ততক্ষণে গানের আওয়াজ আসছে, “চাক দে ইন্ডিয়া!”

অশোকবাবু আর সহ্য করতে পারলেন না। রিমোটটা তুলে নিয়ে টিভিটা বন্ধ করে দিলেন। ঘরটা নিস্তব্ধ হয়ে গেল। তিনি ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন দেওয়ালের দিকে। সযত্নে সুমনের ছবিটা নামিয়ে আনলেন। ধুলো ঝেড়ে ছবিটাকে বুকের কাছে চেপে ধরলেন।

পাশের ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী বেরিয়ে এলেন। স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়েই সবটা বুঝে নিলেন। ভাঙা গলায় বললেন, “ওদের উল্লাস দেখে কষ্ট হচ্ছে?”

অশোকবাবু ম্লান হেসে বললেন, “না। ওদের ওপর রাগ হচ্ছে না। রাগ হচ্ছে নিজের ওপর। আমরা কী বোকা! আমাদের দেশপ্রেমটা আসলে কী, বলো তো? ওটা কি শুধু একটা ক্রিকেট ম্যাচের স্কোরবোর্ডে আটকে থাকা সংখ্যা?”

আগামীকাল যখন কোটি কোটি ভারতবাসী টিভির সামনে বসে নখ খাবে, চিৎকার করবে, প্রার্থনা করবে, তখন অশোকবাবু তাঁর ছেলের ছবিটা বুকে নিয়ে বারান্দায় চুপ করে বসে থাকবেন। তাঁর কাছে এই ক্রিকেট যুদ্ধটা আসলে ২৬টা লাশের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এক বিরাট তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। যে তামাশার টিকিট বিক্রি হয় দেশপ্রেমের নামে, আর মুনাফা লোটে সেইসব মানুষেরা, যাদের কাছে শহীদের রক্তের চেয়েও বাইশ গজের সবুজ ঘাস অনেক বেশি পবিত্র।

©নারদ সংবাদ

কোনো সন্দেহ নেই।
13/09/2025

কোনো সন্দেহ নেই।

গৌরচন্দ্র চাটুজ্জ্যে, নামটা শুনলেই আপামর বাঙালির ধমনীতে যেন ইলিশের তেল আর কাসুন্দির ঝাঁঝ একসঙ্গে খেলে যায়। তিনি 'বঙ্গভূম...
12/09/2025

গৌরচন্দ্র চাটুজ্জ্যে, নামটা শুনলেই আপামর বাঙালির ধমনীতে যেন ইলিশের তেল আর কাসুন্দির ঝাঁঝ একসঙ্গে খেলে যায়। তিনি 'বঙ্গভূমির সন্তান' নামক এক জাতীয়তাবাদী সংগঠনের মধ্যমণি। তাঁর জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুনলে মনে হয়, যেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর মশাই তাঁর কণ্ঠে ভর করে দিল্লীর উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছাড়ছেন। টিভি চ্যানেলের সান্ধ্যকালীন বিতর্কে তিনি বিপক্ষকে বাংলা শব্দের গোলায় এমনভাবে ধরাশায়ী করেন যে, তাদের মুখের ভাষা হারিয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। গৌরবাবুর জীবনের মূল মন্ত্র একটাই – বাঙালিয়ানা। তাঁর মতে, বাঙালির সংস্কৃতি, ভাষা, এবং জীবনযাত্রাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ।

গৌরবাবুর বিশেষ রোষ ছিল দিল্লির প্রতি। তাঁর মতে, দিল্লি হলো বাঙালির সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার এক গভীর ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু। আর এই ষড়যন্ত্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্র? CBSE বোর্ড। গৌরবাবু প্রায়ই সভা-সমিতিতে বুক চাপড়ে বলতেন, "ওই CBSE বোর্ডে ছেলেমেয়েকে পড়ানো মানে নিজের হাতে বাঙালির ভবিষ্যতের টুঁটি টিপে হত্যা করা। ওটা বাঙালিয়ানা মুছে দিয়ে এক সর্বভারতীয় 'হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান' মার্কা খিচুড়ি বানানোর কারখানা।"

একবার এক টিভি বিতর্কে তিনি উত্তেজনার বশে এর থেকেও এক কদম এগিয়ে মন্তব্য করে বসেন, "CBSE বোর্ডে বাঙালীর মেয়েকে পড়ানো মানে, তাকে পরবর্তীকালে দিল্লী-গুরগাঁও-এর ছেলেদের বিছানা গরম করার জন্য প্রস্তুত করা।" এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হলেও, তাঁর অনুগামীরা 'দাদা ঠিকই বলেছেন' বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দেয়। চারিদিকে তাঁর জয়জয়কার। তিনি হয়ে ওঠেন আপামর বাঙালির 'সাংস্কৃতিক অভিভাবক'।

কিন্তু কথায় আছে, প্রদীপের নিচেই অন্ধকার। গোল বাধল সেদিন, যেদিন 'বঙ্গভূমির সন্তান'-এর একনিষ্ঠ কর্মী, হরিপদ হালদার, তার মেয়ের ভর্তির জন্য কলকাতার এক নামজাদা স্কুলে গিয়েছিল। স্কুলটি ছিল CBSE বোর্ডের অধীনস্থ। হরিপদ মনে মনে গৌরদার বাণী স্মরণ করে একটু ইতস্তত করছিল, কিন্তু স্ত্রীর চাপে পড়ে তাকে আসতেই হয়েছিল। অ্যাডমিশন কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে সে যখন ভাবছিল, "কী করি, গৌরদার কথা অমান্য করে মেয়েকে কি তবে গোল্লায় পাঠাব?", ঠিক তখনই তার চোখ পড়ল করিডোর ধরে হেঁটে আসা এক পরিচিত মুখের দিকে। আরে! এ যে তাদের গৌরদারই স্ত্রী! আর তাঁর হাত ধরে থাকা ছোট্ট মেয়েটির মুখ তো অবিকল 'গৌরদা'-র আদলে গড়া।

হরিপদর বুঝতে এক মুহূর্তও দেরি হলো না যে, যে CBSE বোর্ডের বিরুদ্ধে তার 'মহান নেতা' দিনরাত বিষোদগার করেন, নিজের একমাত্র কন্যাকে তিনি সযত্নে সেই 'দিল্লির দালাল' বোর্ডেই ভর্তি করিয়েছেন। হরিপদর মনে হলো, যেন তার পায়ের তলার মাটি নয়, গোটা বাঙালিয়ানাটাই ধসে গেছে।

খবর চাপা থাকে না, বিশেষ করে এই ডিজিটাল যুগে। বাতাসের আগে খবর ছড়িয়ে পড়ল। শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে কানাঘুষো, মিম এবং ট্রোল শুরু হলো। গৌরবাবুর এক অন্ধ ভক্ত, পঞ্চানন পাঁজা, প্রথমে তো বিশ্বাসই করেনি। সে ফেসবুক লাইভে এসে হুঙ্কার দিয়ে বলল, "এসব দিল্লির আইটি সেলের চক্রান্ত। দাদাকে কালিমালিপ্ত করার ঘৃণ্য চেষ্টা। দাদা এমন কাজ করতেই পারেন না।"

কিন্তু সত্যের জোর যে বড় জোর। কিছুদিনের মধ্যেই গৌরবাবুর মেয়ের স্কুলের আইডি কার্ডের ছবি, যেখানে স্কুলের নামের নীচে বড় বড় করে লেখা "Affiliated to C.B.S.E., New Delhi", ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গেল।

এবার গৌরবাবু পড়লেন মহা ফ্যাসাদে। সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরতেই তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন, "আপনারা জানেন? এটা আমার এক গভীর চাল। শত্রুর ডেরায় ঢুকে শত্রুকে খতম করার পরিকল্পনা। আমার মেয়ে ওখানে পড়ছে, যাতে বড় হয়ে ওই CBSE বোর্ডের অন্দরমহলের সব গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে। ও আমার 'এজেন্ট'!"
উপস্থিত সাংবাদিকরা এই অদ্ভুত যুক্তি শুনে একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগলেন। একজন timid সাংবাদিক ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "কিন্তু স্যার, আপনার সেই 'দিল্লী-গুরগাঁও-এর বিছানা...' ওয়ালা মন্তব্য?"
গৌরবাবু এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলেন। তারপর চোখেমুখে এক দার্শনিক ভাব ফুটিয়ে তুলে বললেন, "ওটা ছিল সাধারণ মেয়েদের জন্য বলা। আমার মেয়ে সাধারণ নয়, ও এক বিপ্লবের অগ্নিশিখা। ওকে আমি বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ওসব ওর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।"

সেই দিন থেকে 'বঙ্গভূমির সন্তান' সংগঠনের অনেকেই গৌরচন্দ্র চাটুজ্জ্যেকে আড়ালে 'দু মুখো চাটুজ্জ্যে' বলে ডাকতে শুরু করেছে। শোনা যায়, তিনি নাকি আজকাল রাতের বেলা বাড়ি ফিরে মেয়ের সাথে হিন্দিতে কথা বলার অভ্যাস করছেন, যাতে মেয়ে বড় হয়ে 'এজেন্ট' হিসেবে দিল্লিতে সহজে মানিয়ে নিতে পারে। আর তিনি শ্রী গৌরচন্দ্র চাটুজ্জ্যে, বাঙালীর ‘পরিত্রাতা’ দিনের বেলায় পথে ঘাটে গরীব, খেটে খাওয়া ‘দিল্লীর দালাল’ ‘গুটকাখোর’ দোকানদারদের চমকান ও ‘হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ’ গুঁড়িয়ে দেওয়ার ধুয়ো তুলে নিজের দর বাড়ান।

এভাবেই গৌরচন্দ্র চাটুজ্জ্যে একদিকে বাঙালিয়ানার ঝান্ডা উড়িয়ে, অন্যদিকে নিঃশব্দে নিজের মেয়ের জন্য 'দিল্লির পথ' প্রশস্ত করে চলেছেন। তাঁর এই দ্বিচারিতা দেখে স্বয়ং বঙ্গমাতাও হয়তো মুচকি হাসেন আর ভাবেন, "বাঙালির চরিত্র বোঝা বড়ই কঠিন!"

© নারদ সংবাদ

ভারত তার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র Agni-5-এর সফল পরীক্ষা করেছে। এই ক্ষে...
22/08/2025

ভারত তার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র Agni-5-এর সফল পরীক্ষা করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ৫,০০০ কিলোমিটারের বেশি, যা চিনের উত্তরতম প্রান্তেও আঘাত হানতে সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, বুধবার ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে এই উৎক্ষেপণটি করা হয় এবং এটি সমস্ত প্রযুক্তিগত ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত পরামিতি সফলভাবে যাচাই করেছে।

এই উৎক্ষেপণটি এমন এক সময়ে করা হলো, যখন এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে Agni-5 ক্ষেপণাস্ত্রের একাধিক-ওয়ারহেড ক্ষমতা বা MIRV প্রযুক্তির পরীক্ষা করা হয়েছিল। MIRV প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি মাত্র ক্ষেপণাস্ত্র থেকে একাধিক ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা সম্ভব। বর্তমানে ভারতের কৌশলগত বাহিনীতে এই ধরনের একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পরীক্ষাটি ছিল একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণমূলক পরীক্ষা, যা স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (SFC) কর্তৃক নিয়মিতভাবে পরিচালিত হয়। Agni-5 একটি ক্যানিস্টার-লঞ্চ ক্ষেপণাস্ত্র, যা দ্রুত পরিবহণ এবং যেকোনো স্থান থেকে নিক্ষেপের সুবিধা দেয়।

ভারত তার ‘নিউক্লিয়ার ট্রায়াড’ (স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে পারমাণবিক হামলা চালানোর ক্ষমতা) আরও শক্তিশালী করার দিকেও কাজ করছে। এ বছর নৌবাহিনীর তৃতীয় পরমাণু-চালিত সাবমেরিন INS Aridhaman চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে INS Arihant এবং INS Arighaat সাবমেরিনগুলিও নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, ভারত Agni-Prime-এর মতো নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে, যা Agni-1 এবং Agni-2-এর জায়গা নেবে।

🚨ভারতের এই ধরনের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি কি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে? আপনার মতামত কমেন্টে জানান।

#ক্ষেপণাস্ত্র #ভারত #প্রতিরক্ষা #চীন #সামরিকশক্তি #নিউক্লিয়ারট্রায়াড #নারদসংবাদ

কেন্দ্রীয় সরকার জীবন এবং স্বাস্থ্য বীমা পলিসিকে জিএসটি-এর আওতা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। স্বাস্থ্য ও বীমা সংক্রান...
21/08/2025

কেন্দ্রীয় সরকার জীবন এবং স্বাস্থ্য বীমা পলিসিকে জিএসটি-এর আওতা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। স্বাস্থ্য ও বীমা সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির আহ্বায়ক এবং বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন। এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হল নাগরিকগণের বীমা পলিসিকে জিএসটি-মুক্ত করা, যা গ্রাহকদের জন্য খরচ কমাতে সাহায্য করবে।

​যদিও এই প্রস্তাবে বার্ষিক প্রায় ৯,৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অনুমান করা হয়েছে, তবুও কমিটির সদস্যরা এতে সম্মতি দিয়েছেন। তারা চান, এই জিএসটি ছাড়ের সুবিধা যেন বীমা সংস্থাগুলির বদলে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছায়। এই বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া তৈরি করার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।

​বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত জিএসটি-কে শুধুমাত্র রাজস্ব সংগ্রহের মাধ্যম থেকে জাতীয় লক্ষ্য পূরণের একটি হাতিয়ারে পরিণত করবে। বর্তমানে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা পলিসির উপর ১৮% জিএসটি প্রযোজ্য। এই পরিবর্তনটি বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বীমাকে আরও সাশ্রয়ী করবে। জিএসটি কাউন্সিল পরবর্তী বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

​বীমায় জিএসটি ছাড় পেলে আপনি কি স্বাস্থ্য বা জীবন বীমা করার কথা ভাববেন? আপনার মতামত কমেন্টে জানান।

​ #জিএসটি #বীমা #স্বাস্থ্য #জীবনবীমা #অর্থনীতি #সরকার #বীমাব্যবস্থা #নারদসংবাদ

কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার রাজ্যসভায় জানিয়েছে যে, চলতি বছর জুলাই মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৭২৩ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীক...
21/08/2025

কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার রাজ্যসভায় জানিয়েছে যে, চলতি বছর জুলাই মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৭২৩ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। এর আগের দুই বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে ১,৬৯৪ জন এবং ২০২৩ সালে ১,৫৪৭ জন অনুপ্রবেশকারী আটক হয়েছিল। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এ বছর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, এই একই সময়ের মধ্যে মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্তের পরিমাণ বেড়েছে, যেখানে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের তুলনায় চলতি বছর ৫,৭২৯ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, গরু এবং স্বর্ণের মতো অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান কমেছে। এই বছর জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২১ কেজি সোনা এবং প্রায় ৭.৪ লক্ষ টাকার জাল ভারতীয় নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম।

এই পরিসংখ্যান কি সীমান্ত সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপের কার্যকারিতা প্রমাণ করে? আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানান।

#পশ্চিমবঙ্গ #অনুপ্রবেশ #সীমান্ত #ভারত #বাংলাদেশ #কেন্দ্রীয়সরকার #নিরাপত্তা #নারদসংবাদ

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলা জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় ১ কোটিরও বেশি মানুষের বন্ধ্যাকরণ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রী...
21/08/2025

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলা জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় ১ কোটিরও বেশি মানুষের বন্ধ্যাকরণ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লোকসভায় বিচারপতি জে.সি. শাহ কমিশনের একটি প্রতিবেদন পেশ করে এই তথ্য জানিয়েছে। এই কমিশন জরুরি অবস্থার সময়কার বাড়াবাড়ি, দুর্নীতি ও অন্যান্য অপকর্মের তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছিল।

শাহ কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে, ১৯৭৫-৭৬ সালে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বন্ধ্যাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪.৮ লক্ষ, কিন্তু বাস্তবে ২৬.২ লক্ষ মানুষের বন্ধ্যাকরণ করা হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫.৬% বেশি। তবে, ১৯৭৬-৭৭ সালে এই সংখ্যাটি ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ওই বছর ৪২.৫ লক্ষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮১.৩ লক্ষ মানুষের বন্ধ্যাকরণ সম্পন্ন হয়, যা ৯১% বেশি। শাহ প্যানেল আরও জানায় যে, এই সময়ে অবিবাহিত ৫৪৮ জন মানুষের বন্ধ্যাকরণের অভিযোগ আসে এবং ১,৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়।

মূলত পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি একটি স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ হলেও জরুরি অবস্থার সময় এটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করণ সিং এক নোটে ইন্দিরা গান্ধীকে ‘বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে’ বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচিতে কিছু ‘বাধ্যতামূলক উপাদান’ যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও জন্মহার দ্রুত কমাতে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। শাহ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কর্মসূচিতে শুধুমাত্র বন্ধ্যাকরণের ওপরই বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল।
সবচেয়ে বেশি বন্ধ্যাকরণ হয়েছিল মহারাষ্ট্রে (১৪.৪ লক্ষ), এরপরে ছিল মধ্যপ্রদেশ (১১.১ লক্ষ), পশ্চিমবঙ্গ (১০.৮ লক্ষ) এবং উত্তরপ্রদেশ (৯.৬৫ লক্ষ)।

ইতিহাসের এই বিতর্কিত অধ্যায় সম্পর্কে আপনার মতামত কী? কমেন্টে আমাদের জানান।

#জরুরিঅবস্থা #ইন্দিরাগান্ধী #ভারত #বন্ধ্যাকরণ #পরিবারপরিকল্পনা #শাহকমিশন #নারদসংবাদ

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে পাঁচজন অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ...
21/08/2025

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে পাঁচজন অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে দুইজন ডব্লিউবিসিএস (WBCS) অফিসারসহ মোট চারজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও, একজন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে বলে রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

​নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, কমিশনের আদেশ অনুযায়ী সকলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়নি। সম্প্রতি, রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পান্থ দিল্লিতে কমিশনের সম্পূর্ণ বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং সেই বৈঠকে তিনি অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
​এই পদক্ষেপটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থানের একটি দৃষ্টান্ত। এটি স্পষ্ট করে যে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনও ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারের এই দ্রুত পদক্ষেপ ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

​নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ কি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জরুরি? আপনার মতামত কমেন্টে জানান।

​ #পশ্চিমবঙ্গ #নির্বাচনকমিশন #ভোটারতালিকা #আইন #সরকারিআধিকারিক #সাসপেন্ড #প্রশাসন #নারদসংবাদ

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সম্প্রতি পাটনার একটি মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে টুপি পরতে অস্বীকার করেছেন। একটি ভিডিওতে দেখা য...
21/08/2025

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সম্প্রতি পাটনার একটি মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে টুপি পরতে অস্বীকার করেছেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে টুপি পরানোর চেষ্টা করা হলে তিনি তা না পরে পাশে দাঁড়ানো তার ক্যাবিনেট সহকর্মী জামা খানের মাথায় পরিয়ে দেন। এটি নীতিশের আরেকটি 'ইউ-টার্ন' হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ তিনি এর আগে বলেছিলেন যে একজন ভারতীয় নেতাকে 'টুপি' এবং 'তিলক' উভয়ই পরা উচিত।

​কংগ্রেস এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতিশের বিরুদ্ধে 'সাঙ্ঘি সমন্বয়'-এর অভিযোগ এনেছে। বিহার যুব কংগ্রেস তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছে, "মঞ্চে টুপি প্রত্যাখ্যান, কিন্তু পর্দার আড়ালে সাঙ্ঘি সমন্বয়। চাচার ধূর্ত রাজনীতির আসল চেহারা এবার প্রকাশ পেল।" উল্লেখ্য, এর আগে মার্চ মাসেও তিনি তার বাসভবনে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে ঐতিহ্যবাহী টুপি না পরে শুধুমাত্র একটি স্কার্ফ পরেছিলেন।

​এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন জেডি(ইউ) ঐতিহ্যগতভাবে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের উপর নির্ভর করে নীতীশকে একজন ধর্মনিরপেক্ষ নেতা হিসেবে তুলে ধরে। বিহারের মোট ভোটারের ১৮ শতাংশ মুসলিম, যা আসন্ন নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। অনুষ্ঠানে নীতীশ যখন শিক্ষকদের বেতন বকেয়া সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি গ্রহণ করেন, তখন এই বিতর্ক সামনে আসে।

​ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনা কি রাজনৈতিক কৌশল? আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানান।

​ #নীতীশকুমার #বিহার #রাজনীতি #নির্বাচন #টুপি #ধর্মীয়রাজনীতি #কংগ্রেস #জেডিইউ #নারদসংবাদ

চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র দু'দিনের ভারত সফরের পর চিনের রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির...
21/08/2025

চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র দু'দিনের ভারত সফরের পর চিনের রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর ৫০% পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছে এবং আরও শুল্কের হুমকি দিয়েছে। চিন এর দৃঢ় বিরোধিতা করে। নীরবতা শুধুমাত্র আগ্রাসী মনোভাবকে আরও উৎসাহিত করে। চিন ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে।" এই মন্তব্যের মাধ্যমে বেজিং একতরফা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দিল্লির পাশে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

রাষ্ট্রদূত আরও জোর দিয়ে বলেন যে, ভারত ও চিনের সম্পর্ক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দুই দেশকে এশিয়ার অর্থনৈতিক বৃদ্ধির "ডাবল ইঞ্জিন" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, ভারত ও চিনের ঐক্য সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকারী। তাঁর মতে, দুই দেশের উচিত কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়ানো এবং পারস্পরিক সন্দেহ পরিহার করা। তিনি আরও যোগ করেন, দুই দেশ অংশীদার, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত মতভেদ সমাধান করা উচিত।

ওয়াং ই-র সফরের পর সীমান্ত সমস্যা নিয়েও বেশ অগ্রগতি হয়েছে। রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং বলেন, সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য দুই পক্ষ ১০ দফা সমঝোতায় পৌঁছেছে। এই সমঝোতার ভিত্তিতে দুটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি করা হবে। একটি গোষ্ঠী সীমান্তের সীমানা নির্ধারণের কাজ করবে এবং অন্যটি সীমান্ত অঞ্চলের যথাযথ ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেবে। এছাড়াও, তিনটি ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত বাণিজ্য বাজার পুনরায় খোলার বিষয়েও উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং আন্তঃসীমান্ত নদী সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। চিন জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছে, যা মানবিক বিবেচনার উপর ভিত্তি করে করা হবে।

আন্তর্জাতিক এই নতুন সমীকরণে ভারতের অবস্থান কতটা সঠিক বলে আপনি মনে করেন? আপনার মতামত কমেন্টে জানান!

#ভারত #চীন #আমেরিকা #শুল্ক #কূটনীতি #সীমান্ত #আন্তর্জাতিকসম্পর্ক #বাণিজ্যযুদ্ধ #নারদসংবাদ

Address

Mahatma Gandhi Street
Kolkata
700001

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নারদ সংবাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share