17/05/2025
🍂 শ্রী নবদ্বীপ ধামে থাকাকালীন শ্রী শ্রী প্রভু নিত্য গঙ্গাস্নান করিতেন। নামটা অনেক সময় বড়ালঘাটে করেন। স্নানের পূর্বে শুষ্ক বস্ত্র লইয়া ভুবন দাঁড়াইয়া থাকে। স্নানান্তে সিক্ত বসন লইয়া ভুবন সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে। ভুবনকে সঙ্গে লইয়া প্রাণারাম প্রভু অনেক বেড়ান, অনেক দেখান। অপরাহ্ণে শ্রীবাস অঙ্গনের ঘাটে গঙ্গা দর্শন করেন। দক্ষিণে বেড়ান। বনচারী বাগান মনিপুর পর্যন্ত যান। ওদিকে তখন বসতি নাই। জঙ্গলপূর্ণ। নির্জন, তাই নিঃসংকোচে বেড়ানো হয়। কোন সময় সন্ধ্যায় গঙ্গাস্নান করিয়া চড়ায় বেড়ান। এখন সেই চড়াকে রানীর চড়া বলে। বসতি হইয়া গিয়াছে। তখন ছিল না। ওদিকে বেড়াইতে গিয়ে প্রাচীন মায়াপুরের দিকে অগ্রসর হন। " এখানে মহাপ্রভুর আবির্ভাব পীঠ ছিল। এখানে শ্রীবাসের অঙ্গন ছিল। এখন সবই গঙ্গা গর্ভে অন্তর্দ্ধান করিয়াছেন" --- এইসব বলেন, দেখান, দণ্ডবৎ করেন। ভুবন আত্মহারা হইয়া দেখে, ধুলায় গড়ায়, কান্দে।
🪷 শ্রী শ্রী প্রভু শ্রীধাম বর্ণনায় পদ লিখিয়াছেন ----
🌻" সলিল নদিয়া পুরি, সরস রস-মাধুরী,
মরি মরি তদুপরি, বিরাজেন গৌরহরি,
বাম ভাগে প্রিয় গদাধর।।"
🍃 শ্রীধামের ওই স্বরূপটি ভুবনের হৃদয়ে অংকন করিয়া দিয়া একদিন তাহা নাম রাখিলেন শ্রী নবদ্বীপ দাস। বালককে সাধক করিয়া চির অঙ্গীকার করিলেন। আদর করিয়া ডাকিতেন নবদ্বীপ, কখনো নব, নবী, নবাও বলিতেন। কোনও সময় পূর্ব্ব নাম বলিতেন ও লিখিতেন ---- ভুবন, ভুবনা, ভোমনা । কখনো বৈরাগী, বরেগীও বলিতেন। কত রকম করিয়াই যে বলা লেখা চলিত , আজও বহু চিঠিপত্র তাহার সাক্ষ্য বহন করিয়া রসময়ের রসস্বরূপতার পরিচয় দেয়।
💌 যখন যাহা বলেন, যখন যাহা লিখেন, যেথায় যেমন করিয়া চলেন, যে কাজ যেমন করিয়া করেন সবই মধুময়। যেসব ভাগ্যবান কৃপা সিদ্ধজন সে মধুব্রহ্মের মধুসঙ্গ পাইয়াছেন , তাহারাও কিছু বলিতে পারেন না। শুধুই বলেন---- মধুসিক্ত ভক্তের মধুপম ভাষায়----
🍀 " বচনং মধুরং চরিতং মধুরং
বসনং মধুরং বলিতং মধুরম।
চলিতং মধুরং ভ্রমিতং মধুরং
মধুরাধিপতেরখিলং মধুরম।।" 🍀
---- শ্রী শ্রী বন্ধুলীলা তরঙ্গিনী হইতে 🍃🙏
🎍জয় জগদ্বন্ধু হরি 🙏
🎍 জয় শিশুরাজ 🙏 সংগৃহীত।