https://www.facebook.com/106116921168284/

Pragnya Mandal, KOLKATA (2025)

25/07/2025

ভালোবাসার প্রতীক—তাজমহল 🕌

সত্যিই যেন স্বপ্নের মতো একটি দিন কাটালাম আগ্রার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য তাজমহল-এর সামনে।
মুঘল স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন, সাদা মার্বেলের দুনিয়া, চারপাশে গোলাপি আলো আর যমুনা নদীর পাড়—সব মিলিয়ে এক রূপকথার রাজ্যের অনুভূতি।

🕰️ আমরা ভোরবেলায় গিয়েছিলাম, সূর্য ওঠার সময় তাজমহলের রং ধীরে ধীরে বদলাতে দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।

📸 প্রচুর ছবি তুলেছি, কিন্তু বিশ্বাস করুন—ক্যামেরা কখনো এই সৌন্দর্যকে পুরোপুরি ধরতে পারে না।

❤️ শাহজাহান ও মমতাজের প্রেমগাঁথা মনে পড়ল... এক জীবনে এমন ভালোবাসা কেউ পায় কি?

📌 যারা এখনো যাননি, অন্তত একবার জীবনে ঘুরে আসতেই হবে।

🔖 টিপস: অনলাইনে টিকিট কাটলে সময় বাঁচে। ভোরে গেলে ভিড় কম থাকে আর ছবি তোলার জন্য আদর্শ সময়।

তাজমহল শুধু একটি স্মৃতিসৌধ নয়, এটা অনুভব করার জায়গা। ইতিহাস, প্রেম আর সৌন্দর্যের এক অনবদ্য মিলন!

#ভ্রমণ ゚

22/07/2025

দিল্লি ভ্রমণ: ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আধুনিকতার এক অপূর্ব মিশ্রণ 🪷

ভারতের রাজধানী দিল্লি শুধুমাত্র একটি শহর নয়, এটি এক ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সংমিশ্রণ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই শহর বিভিন্ন সাম্রাজ্যের সাক্ষী থেকেছে এবং তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই এর মসজিদ, মন্দির, দুর্গ, বাজার এবং রাস্তার প্রতিটি কোণায়।

✈️ কীভাবে যাবেন দিল্লি

বিমানপথে: কলকাতা বা ভারতের যেকোনো বড় শহর থেকে দিল্লি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সহজেই পৌঁছানো যায়।

রেলপথে: হাওড়া, শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশন থেকে নিয়মিত ট্রেন যায়।

সড়কপথেও যাওয়া যায়, তবে দূরত্ব বেশি হওয়ায় সময় বেশি লাগে।

🏨 কোথায় থাকবেন

দিল্লিতে আপনি সব ধরনের বাজেটের হোটেল পাবেন। পহাড়গঞ্জ, করোল বাগ, চাঁদনি চক এলাকায় সস্তা হোটেল এবং কানট প্লেস, দক্ষিণ দিল্লিতে বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে।

🏛️ দর্শনীয় স্থান

1. লাল কেল্লা: মুঘলদের তৈরি এই দুর্গ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গ।

2. কুতুব মিনার: ৭৩ মিটার উঁচু এই মিনার ভারতের প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন।

3. ইন্ডিয়া গেট: ভারতের শহীদদের স্মরণে তৈরি এই স্মারক রাতে দেখতে অপূর্ব।

4. হুমায়ুনের সমাধি: মুঘল স্থাপত্যের এক অসাধারণ উদাহরণ।

5. অক্ষরধাম মন্দির: আধুনিক হিন্দু স্থাপত্য ও ধর্মীয় পরিবেশের এক চমৎকার মিশেল।

6. লোটাস মন্দির: শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।

7. রাজঘাট: মহাত্মা গান্ধীর সমাধি ও একটি ঐতিহাসিক স্থান।

🛍️ শপিং কোথায় করবেন

চাঁদনি চক: সস্তা ও ঐতিহ্যবাহী পণ্য কেনার জন্য আদর্শ।

সরোজিনী নগর মার্কেট: ট্রেন্ডি পোশাক, জুতো ও অ্যাকসেসরিজের জন্য জনপ্রিয়।

দিল্লি হাট: ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হস্তশিল্পের সমাহার।

🍴 খাবার-দাবার

দিল্লির স্ট্রিট ফুড খুব বিখ্যাত:

চোলেভাটুরে, অলু টিক্কি, গলগাপ্পা

পুরোনো দিল্লির করিমস-এ মুগলাই খাবার

পার্সি, পাঞ্জাবি, দক্ষিণ ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক রান্নাও পাওয়া যায়

🕰️ কবে যাবেন

অক্টোবর থেকে মার্চ – এই সময় আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকে, ঘোরার জন্য আদর্শ। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা খুব বেশি হয়।

📸 ভ্রমণ টিপস

সময় নিয়ে ঘোরার পরিকল্পনা করুন, কারণ দিল্লিতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে।

মেট্রো ব্যবহার করলে ভ্রমণ অনেক সহজ হয়।

গাইড নিলে ঐতিহাসিক স্থানগুলি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

দিল্লি এমন এক শহর যেখানে ইতিহাস আর আধুনিকতা পাশাপাশি চলে। একবার গেলেই মন ভরে না—প্রতিবারই নতুন কিছু পাওয়ার মতো কিছু না কিছু থাকে।

22/07/2025

দিল্লি শহরের কোলাহলের মাঝে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় স্থাপত্য – অগ্রসেন কি বাওলি। এটি এক ধরণের ‘স্টেপ ওয়েল’ বা সিঁড়িওয়ালা কূপ, যা এক সময়ে জলের অন্যতম উৎস ছিল। এখন এটি শুধু একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন নয়, বরং ফটোগ্রাফার, ইতিহাসপ্রেমী, ও ভ্রমণকারীদের কাছে এক জনপ্রিয় গন্তব্য।

🕰 ইতিহাসের ছায়ায়

বিশ্বাস করা হয়, এই বাওলি তৈরি করেছিলেন মহারাজা অগ্রসেন, যিনি মহাভারতের সময়ে বসবাস করতেন। পরে লোধি বা তুঘলক আমলে এটি সংস্কার হয়। যদিও এটির আসল নির্মাণকাল সঠিকভাবে জানা যায় না, তবে স্থাপত্য দেখে বোঝা যায় এটি মধ্যযুগীয় দিল্লির অন্যতম নিদর্শন।

🧱 স্থাপত্যের বৈচিত্র্য

এই বাওলির গভীরতা প্রায় ৬০ মিটার এবং এতে ১০৬টি সিঁড়ি রয়েছে। তিন ধাপে ভাগ করা এই স্থাপত্যে নামলেই আপনি অনুভব করবেন সময় যেন পিছিয়ে যাচ্ছে। দেওয়ালজুড়ে ছোট ছোট কক্ষ, আর পাথরের ভাস্কর্য এক আলাদা ঐতিহ্যের গল্প বলে।

📸 ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতা

"বাওলির মধ্যে নেমে যাওয়ার সাথে সাথে চারপাশে যেন নীরবতার চাদর মুড়ে যায়।"

"সন্ধ্যায় এখানে বসে ইতিহাসের নিঃশব্দ আওয়াজ শোনা যায়, এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।"

ফটোগ্রাফাররা বিশেষ করে ভালোবাসেন এর ছায়া-আলো খেলা আর পাথরের টেক্সচার ক্যাপচার করতে।

📝 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

🕙 খোলার সময়: সকাল ৯টা – সন্ধ্যা ৫:৩০টা

🎟️ প্রবেশ মূল্য: একদম বিনামূল্যে

📷 ফটোগ্রাফি: অনুমোদিত

🚇 নিকটতম মেট্রো স্টেশন: Barakhamba Road বা Rajiv Chowk (Yellow/Blue Line)

✨ টিপস

গরমকালে সকালে বা বিকেলে যান, রোদে নামা একটু কষ্টকর হতে পারে।

ইতিহাস বা হান্টেড প্লেসে আগ্রহ থাকলে এটা একদম পারফেক্ট!

আশেপাশে কনট প্লেসে খাওয়া-দাওয়া, কেনাকাটা বা আরাম করে হাঁটারও সুযোগ রয়েছে।

অগ্রসেন কি বাওলি কেবল একটি ঐতিহাসিক স্থান নয়, এটি এক রকম অনুভব। ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে আপনি অনুভব করবেন ইতিহাসের ছোঁয়া, এবং অনুভব করবেন কিভাবে একটি কূপ শুধু জল নয়, সময়ও ধরে রাখতে পারে।

22/07/2025

রাতের ইন্ডিয়া গেট – আলোয় মোড়া ইতিহাসের স্পর্শ 🇮🇳

আজ সকালেই দুরন্ত এক্সপ্রেসে দিল্লিতে পৌঁছে, হোটেলে চেকিং করে একটু রেস্ট নিয়ে বিকেলেই বেরিয়ে পড়েছিলাম দিল্লির আশেপাশটা ঘুরে দেখার জন্য আর ঘুরতে ঘুরতে ঠিক সন্ধার সময় আমরা এসে পৌঁছে ছিলাম ইন্ডিয়া গেটের কাছে। আর প্রথম ঝলকেই ইন্ডিয়া গেট দেখে আমি পুরোপুরি অবাক হয়ে গেছিলাম।

রাতের দিল্লি যেন এক অন্য জগৎ, আর তার মাঝেই ইন্ডিয়া গেট নিজেকে আলোর রাজ্যে রূপান্তরিত করে। দিনের কোলাহল থেমে গেলে, এই স্মৃতিসৌধ যেন আরও গম্ভীর, আরও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে।

ইন্ডিয়া গেটের চারপাশটা রাতে সাজে অসংখ্য ল্যাম্পপোস্ট ও ফ্লাডলাইটে, যার আলো পড়ে পাথরের গায়ে—তাতে প্রতিটি খোদাই যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। মুক্ত হাওয়া, কিছুটা ঠান্ডা অনুভূতি আর পাশে জমে থাকা স্থানীয় খাবারের স্টল—সব মিলিয়ে এক স্বপ্নময় পরিবেশ।

আমি হাঁটছিলাম ধীরে ধীরে, ক্যামেরায় ধরছিলাম প্রতিটি কোণ। অনেকেই এসেছেন ছবি তুলতে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে কিংবা নিছকই শান্তি খুঁজে। গাড়ির হালকা হর্ণ আর দূরের ট্র্যাফিকের শব্দের মধ্যেও একটা আত্মার প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায় এখানে।

📝 টিপস:

সন্ধ্যা ৭টার পর ইন্ডিয়া গেট ঘুরতে গেলে আলোটা পুরোপুরি উপভোগ করা যায়।

রাস্তার পাশে চাট, গোলগাপ্পা বা আইসক্রিম মিস করবেন না।

কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকুন, ইতিহাসের অনুভূতিটা নিজেই ধরা দেবে।

🚫 তবে এখানে এসে ফটোগ্রাফার দিয়ে ফটো তুলতে চাইলে একটু সাবধানে তুলবেন। আপনি কটা ফটো তুলতে চান সেটা ওদেরকে আগেই জানিয়ে দেবেন। না হলে পরে ওরা আপনাকে বেশি টাকা দিয়ে বেশি ফটো নিতে আপনাকে বাধ্য করতে পারে।

📍 ঠিকানা: রাজপথ, নিউ দিল্লি
🕗 সেরা সময়: সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা

---

আপনিও কি কখনো ইন্ডিয়া গেটের রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন? নিচে কমেন্টে জানান!

27/06/2025

প্রতি বছর রথযাত্রা এলেই মনটা কেমন যেন নরম হয়ে যায়। আজও চোখ বুজলে ভেসে ওঠে ছোটবেলার সেই দিনগুলো—মেঠো রাস্তায় টানাটানি করে রথ টানা, হাতে ছোট্ট কাঠের রথ, আর পকেটে দুটো বাতাসা।

আমাদের পাড়ায় তখন বড় করে রথ হতো না, তবে পাড়া-পড়শিদের মিলে যে উৎসবটা হতো, তার আনন্দ ছিল অসীম। সকাল হতেই মা শাঁখ বাজিয়ে ঘুম ভাঙাতেন—"ওঠ, আজ রথযাত্রা!" আমি তড়িঘড়ি উঠে নতুন জামা পরে নিতাম, কারণ ওই একটা দিনেই নতুন জামা পরে রথ টানা হতো।

সঙ্গে থাকত এক দল বন্ধু, হেঁটে হেঁটে আমরা যেতাম বড় মাঠে—যেখানে কাঠের তৈরি রথে ঠাকুর বসানো হতো। কেউ দড়ি টানত, কেউ প্রসাদ বিলাত। আর আমাদের ছোট ছোট হাতেও ধরানো হতো পাতলা দড়ি—ভেবেই আনন্দে গদগদ হয়ে যেতাম, “আমরাও রথ টানছি!”

সন্ধ্যে নামলে চারদিকে ঘুড়ি, খেলনা, বাতাসা আর বাতির আলো। ছোট এক টাকার খেলনা থেকে শুরু করে হাতে বানানো মাটির বাঁশি—সব ছিল সেই স্মৃতির অমূল্য অংশ।

আজ, প্রযুক্তির যুগে অনেক কিছু পাল্টে গেছে—কিন্তু রথযাত্রার সেই গন্ধ, সেই সোঁদা মাটির স্মৃতি আর মায়ের ডাকা "ওঠ, আজ রথ!" – এসব কিছুই মনে পড়ে যায় এই দিনে।

তোমার ছোটবেলার রথ কেমন ছিল? মনে পড়ে?

#রথযাত্রা #ছোটবেলারস্মৃতি #বাংলারউৎসব

17/06/2025

আজ আমার জন্মদিন। ক্যালেন্ডারে আরেকটা দিন চিহ্নিত, কিন্তু মনে হয় যেন জীবনের আরেকটা অধ্যায় পার করে এলাম।
ছোটবেলায় জন্মদিন মানে ছিল নতুন জামা, কেক কাটার উত্তেজনা আর বন্ধুদের হাসিমুখ। এখন জন্মদিন মানে সময়ের গতি অনুভব করা, পুরোনো স্মৃতিগুলোকে আলতো করে ছুঁয়ে দেখা।

এই একটা দিনে নিজের ভেতরের শিশুটাকে একটু বেশি ভালোবাসি, যেটা বছরের বাকি দিনে ব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে যায়।
আজ কিছু মুখ মনে পড়ে, যারা আর নেই পাশে, কিছু মুহূর্ত মনে পড়ে, যেগুলো আবার ফিরে আসবে না। তবুও জীবন এগিয়ে চলে… আর সেই চলার মাঝেই ভালোবাসার মানুষদের উপস্থিতি অনেক বড় আশীর্বাদ।

এই যাত্রায় যারা পাশে থেকেছেন, দূর থেকেও ভালোবাসা পাঠিয়েছেন—তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আজকের দিনটা শুধুই আমার নয়, সেই সব সম্পর্কেরও যা আমাকে আজকের "আমি" করে তুলেছে।

জন্মদিন মানে একটা নতুন সূর্যোদয়…
আর নিজেকে আরও একবার ভালোবাসার অঙ্গীকার।

Pragnya Mandal

25/07/2025

22/07/2025

22/07/2025

22/07/2025

27/06/2025

17/06/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category