https://www.facebook.com/106116921168284/

Pragnya Mandal, KOLKATA (2025)

27/06/2025

প্রতি বছর রথযাত্রা এলেই মনটা কেমন যেন নরম হয়ে যায়। আজও চোখ বুজলে ভেসে ওঠে ছোটবেলার সেই দিনগুলো—মেঠো রাস্তায় টানাটানি করে রথ টানা, হাতে ছোট্ট কাঠের রথ, আর পকেটে দুটো বাতাসা।

আমাদের পাড়ায় তখন বড় করে রথ হতো না, তবে পাড়া-পড়শিদের মিলে যে উৎসবটা হতো, তার আনন্দ ছিল অসীম। সকাল হতেই মা শাঁখ বাজিয়ে ঘুম ভাঙাতেন—"ওঠ, আজ রথযাত্রা!" আমি তড়িঘড়ি উঠে নতুন জামা পরে নিতাম, কারণ ওই একটা দিনেই নতুন জামা পরে রথ টানা হতো।

সঙ্গে থাকত এক দল বন্ধু, হেঁটে হেঁটে আমরা যেতাম বড় মাঠে—যেখানে কাঠের তৈরি রথে ঠাকুর বসানো হতো। কেউ দড়ি টানত, কেউ প্রসাদ বিলাত। আর আমাদের ছোট ছোট হাতেও ধরানো হতো পাতলা দড়ি—ভেবেই আনন্দে গদগদ হয়ে যেতাম, “আমরাও রথ টানছি!”

সন্ধ্যে নামলে চারদিকে ঘুড়ি, খেলনা, বাতাসা আর বাতির আলো। ছোট এক টাকার খেলনা থেকে শুরু করে হাতে বানানো মাটির বাঁশি—সব ছিল সেই স্মৃতির অমূল্য অংশ।

আজ, প্রযুক্তির যুগে অনেক কিছু পাল্টে গেছে—কিন্তু রথযাত্রার সেই গন্ধ, সেই সোঁদা মাটির স্মৃতি আর মায়ের ডাকা "ওঠ, আজ রথ!" – এসব কিছুই মনে পড়ে যায় এই দিনে।

তোমার ছোটবেলার রথ কেমন ছিল? মনে পড়ে?

#রথযাত্রা #ছোটবেলারস্মৃতি #বাংলারউৎসব

17/06/2025

আজ আমার জন্মদিন। ক্যালেন্ডারে আরেকটা দিন চিহ্নিত, কিন্তু মনে হয় যেন জীবনের আরেকটা অধ্যায় পার করে এলাম।
ছোটবেলায় জন্মদিন মানে ছিল নতুন জামা, কেক কাটার উত্তেজনা আর বন্ধুদের হাসিমুখ। এখন জন্মদিন মানে সময়ের গতি অনুভব করা, পুরোনো স্মৃতিগুলোকে আলতো করে ছুঁয়ে দেখা।

এই একটা দিনে নিজের ভেতরের শিশুটাকে একটু বেশি ভালোবাসি, যেটা বছরের বাকি দিনে ব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে যায়।
আজ কিছু মুখ মনে পড়ে, যারা আর নেই পাশে, কিছু মুহূর্ত মনে পড়ে, যেগুলো আবার ফিরে আসবে না। তবুও জীবন এগিয়ে চলে… আর সেই চলার মাঝেই ভালোবাসার মানুষদের উপস্থিতি অনেক বড় আশীর্বাদ।

এই যাত্রায় যারা পাশে থেকেছেন, দূর থেকেও ভালোবাসা পাঠিয়েছেন—তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আজকের দিনটা শুধুই আমার নয়, সেই সব সম্পর্কেরও যা আমাকে আজকের "আমি" করে তুলেছে।

জন্মদিন মানে একটা নতুন সূর্যোদয়…
আর নিজেকে আরও একবার ভালোবাসার অঙ্গীকার।

12/06/2025

১২ জুন, ২০২৫।
আকাশটা ছিল নীল, কিন্তু হাওয়ায় যেন একটা অজানা উদ্বেগ ভেসে বেড়াচ্ছিল। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI 171 উড়ে গেল ঠিক ১টা ৩৮ মিনিটে। গন্তব্য লন্ডন, বোয়িং ৭৮৭‑৮ ড্রিমলাইনারে ছিল ২৪২ জন যাত্রী ও কর্মী। অনেকের চোখে ছিল স্বপ্ন, অনেকের কানে বাজছিল বিদায়বেলার কথা।

কেউ হয়তো বাবার কাছে ফিরছিল, কেউ মায়ের হাত ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছিল। কেউ সদ্য বিয়ে করে একসঙ্গে প্রথমবারের মতো উড়ছিল, কেউ সন্তানের স্কুলের কনভোকেশনে যাচ্ছিল। তাদের কেউই জানত না—এই আকাশই তাদের শেষ ঠিকানা।

মাত্র ছয় মিনিট…
হ্যাঁ, মাত্র ছয় মিনিট পর, ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল রেডিওতে ভেসে উঠলেন:
"Mayday… Engine failure…"

এ যেন কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়—একেবারে বাস্তব, হৃদয়বিদারক।
এক মুহূর্তেই বিমানটা হারিয়ে গেল রাডার থেকে। আরেক মুহূর্তে, মেঘানিনগরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বিশাল আগুন আর ধোঁয়ার পাহাড় নিয়ে।

ঘরের ভেতর বই পড়ছিল যে ছেলেটি, হোস্টেলে ডাক্তারি পড়ছিল যে মেয়েটি, সকালের ভাত রান্না করছিল যে মা—তাদের ওপর ভেঙে পড়ল আকাশ থেকে নেমে আসা আগুনের অশরীরী বস্তু।

🔥 আগুন আর কান্নার শহর

ঘটনাস্থলে যখন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ আর NDRF পৌঁছায়, তখন খুব দেরি হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দেহ, পোড়া চিঠি, ছিন্নভিন্ন পাসপোর্ট—এই ছিল আজকের প্রমাণ। আর ছিল কান্না, নিঃশব্দ আর্তনাদ, আর মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকা কিছু মানুষ—যাদের কেউ আজ বলেছিল, “শিগগিরই দেখা হবে।”

🕊️ একটা অসমাপ্ত গল্প

আজ যারা মারা গেল, তারা শুধু একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিল না, তারা ছিল কেউ মায়ের ছেলে, কারও প্রেমিকা, কারও স্বামী, কারও প্রিয় বন্ধু। তারা হয়তো পৃথিবীর শেষ মেসেজটি পাঠিয়েছিল:
“Love you. Just boarded.”

🕯️ সেই আলো নিভে গেছে...

আজ বোয়িং-এর ইঞ্জিন নিয়ে তদন্ত চলছে, ব্ল্যাক বক্স খোলা হয়েছে, তদন্তকারীরা কারণ খুঁজছে। কিন্তু যাদের হৃদয় খালি হয়ে গেছে, যাদের রাতের ঘুম চিরদিনের মতো হারিয়ে গেছে—তাদের কাছে কোনো তদন্তই যথেষ্ট নয়।

এই দুর্ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়:
জীবন ভীষণ অনিশ্চিত, প্রতিটি বিদায় হতে পারে শেষ।

তাই কেউ চলে যাওয়ার আগে একটু বেশি ভালোবাসুন, একটু জোরে বলুন, “ফিরে এসো।” কারণ কখনও কখনও… ফেরাটা হয় না।

এটা কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং শত শত পরিবারের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একদিন। সরকার ও এয়ার ইন্ডিয়া নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, তবে যা হারিয়েছে—তা কোনো অর্থে ফিরে আসবে না।

একটি স্বপ্নের যাত্রা…শুরু হয়েছিল রোদেলা আকাশে, আর শেষ হল ধোঁয়ার কুয়াশায়।

04/06/2025

দীর্ঘ ১৮ বছর। এক ক্লাব। অসংখ্য চেষ্টা। বারবার ভেঙে পড়েও আবার উঠে দাঁড়ানো—এটাই বিরাট কোহলি। বছরের পর বছর ধরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) হয়ে খেলেছেন, হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছেন, আর প্রতিবার ট্রফির স্বপ্নকে জীবন্ত রেখেছেন।

অবশেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্ত এসে গেল। TATA IPL-এ কোহলির দল পেল চ্যাম্পিয়নের মুকুট। যদিও এবার তাঁর কাঁধে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছিল না, কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁর নেতৃত্ব, অভিজ্ঞতা এবং জেদ দলের শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি ইনিংসে তিনি প্রমাণ করেছেন, সত্যিকারের যোদ্ধা কখনো হারে না—সে অপেক্ষা করে, লড়ে যায়, এবং একদিন জয় ছিনিয়ে আনে।

এই জয় শুধুই একটি ট্রফির গল্প নয়। এটা সেই মানুষের গল্প, যে কখনো দল বদলায়নি, কখনো নিজের বিশ্বাস হারায়নি। এটা লাখো ভক্তের চোখের জলে মিশে থাকা আনন্দের গল্প। বিরাট কোহলি আমাদের শেখালেন—সফলতা মাঝে মাঝে দেরিতে আসে, কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, পরিশ্রম করো, তাহলে একদিন স্বপ্ন সত্যি হবেই।

বিরাট কোহলি শুধু একজন ক্রিকেটার নন, তিনি কোটি মানুষের প্রেরণা। তাঁর এই জয় প্রমাণ করে—"স্বপ্ন পূরণ হয়, যদি তুমি কখনো হাল না ছাড়ো।"

23/05/2025

গোপালপুর, ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত একটি শান্ত সমুদ্রতীরবর্তী শহর, যা তার স্নিগ্ধ সৈকত, ঐতিহাসিক ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এই শহরটি একসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল এবং বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।

🛤️ কিভাবে যাবেন

রেলপথে: নিকটতম রেলস্টেশন হলো বেরহামপুর, যা হাওড়া-চেন্নাই লাইনে অবস্থিত।

সড়কপথে: ভুবনেশ্বর থেকে গোপালপুরের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিমি, যা সড়কপথে সহজেই অতিক্রম করা যায়।

বিমানপথে: নিকটতম বিমানবন্দর হলো ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর।

দর্শনীয় স্থান ✨

🏖️ গোপালপুর সমুদ্র সৈকত

গোপালপুরের প্রধান আকর্ষণ হলো এর প্রশস্ত ও শান্ত সমুদ্রসৈকত। সোনালি বালির এই সৈকতটি পর্যটকদের জন্য একটি আদর্শ স্থান, যেখানে আপনি সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারেন এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দে মন শান্ত করতে পারেন। এছাড়াও, সৈকতে জেট স্কি, স্পিড বোট রাইড, উট ও ঘোড়ার সওয়ারির মতো বিভিন্ন জলক্রীড়া উপভোগ করা যায়।

🗼 গোপালপুর লাইটহাউস

গোপালপুরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্থান হলো এর লাইটহাউস, যা ১৮৭১ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এই লাইটহাউসের উপরে উঠে আপনি সমুদ্র ও শহরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এটি ফটোগ্রাফারদের জন্য একটি আদর্শ স্থান।

🛕 মা তারা তারিণী মন্দির

গোপালপুরের কাছাকাছি অবস্থিত মা তারা তারিণী মন্দির একটি জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান। এই মন্দিরটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এবং এখান থেকে আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

🏨 হোটেল

গোপালপুরে বিভিন্ন ধরনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা ছিলাম মোটেল মারমেইডে, যেটি ছিল একটি বাজেট হোটেল। তবে যদি আপনি বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা চান, তাহলে Mayfair Palm Beach Resort একটি চমৎকার পছন্দ, যেখানে রুমের দাম ₹৬,০০০ থেকে ₹৩৫,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

📅 ভ্রমণের সেরা সময়

গোপালপুর ভ্রমণের সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস, যখন আবহাওয়া শীতল ও মনোরম থাকে। এই সময়ে গোপালপুর বিচ ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়, যা পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।

🌿 আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

গোপালপুরের আশেপাশে আরও কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:

▶️ চিলিকা হ্রদ: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম লবণাক্ত জলাশয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থল।

▶️ জিরাং: একটি শান্ত পাহাড়ি এলাকা, যেখানে একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ মঠ রয়েছে।

▶️ দারিংবাড়ি: এটি একটি অপূর্ব পাহাড়ি শহর, যা "ওড়িশার কাশ্মীর" নামে পরিচিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই স্থানটি তার সবুজ পাহাড়, কফি ও মশলার বাগান, ঝরনা এবং শান্ত পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।

গোপালপুর তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং শান্ত পরিবেশের জন্য একটি আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য। আপনি যদি শহরের কোলাহল থেকে দূরে একটি শান্তিপূর্ণ ছুটি কাটাতে চান, তাহলে গোপালপুর আপনার জন্য উপযুক্ত স্থান।
#গোপালপুর #গোপালপুরভ্রমণ

#সমুদ্রসৈকত #ভ্রমণপিপাসু

18/05/2025

পাহাড়ের কোলে স্বপ্নের সফর — পেলিং, রাভাংলা ও নামচি ⛰️

সিকিমের দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত তিনটি নয়নাভিরাম স্থান — পেলিং, রাভাংলা এবং নামচি। এই তিন জায়গা মিলিয়ে এক অনন্য হিমালয়ান অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির অপূর্ব মিশ্রণ এই ভ্রমণকে করে তোলে স্মরণীয়।

1️⃣ পেলিং (Pelling) ⛰️

পেলিং, পশ্চিম সিকিমে অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি শহর। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রাজকীয় দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে সোনালি রঙে রাঙানো কাঞ্চনজঙ্ঘা সত্যিই মন কেড়ে নেয়।

দর্শনীয় স্থান:

পেমায়াংসে মনাস্ট্রি – সিকিমের অন্যতম প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ।

কানচেনজঙ্ঘা ফলস – এক চমৎকার জলপ্রপাত, যেখানে প্রকৃতি যেন কথা বলে।

স্কাই ওয়াক ও চেনরেজিগ মূর্তি – একটি কাঁচের রাস্তা এবং বিশাল গৌতম বুদ্ধের মূর্তি।

2️⃣ রাভাংলা (Ravangla)⛰️

রাভাংলা, দক্ষিণ সিকিমের এক অপূর্ব স্থান। এখানেও হিমালয়ের দুর্দান্ত দৃশ্য দেখা যায় এবং এখানকার আবহাওয়া শান্ত ও নির্মল।

দর্শনীয় স্থান:

বুদ্ধ পার্ক (Buddha Park) – একটি বিশাল বুদ্ধমূর্তি ঘেরা সুসজ্জিত বাগান।

রালাং মনাস্ট্রি – আধুনিক স্থাপত্য ও শান্ত পরিবেশের মেলবন্ধন।

টেমি টি গার্ডেন – সিকিমের একমাত্র চা-বাগান যা পাহাড় বেয়ে ছড়িয়ে আছে।

3️⃣ নামচি (Namchi)⛰️

নামচি মানে “আকাশের শীর্ষ”। এখান থেকে হিমালয়ের বিস্তীর্ণ দৃশ্য এবং তীর্থস্থানগুলির সৌন্দর্য দর্শনীয়।

দর্শনীয় স্থান:

চার ধাম (Char Dham) – ভারতের চার ধর্মীয় স্থানের প্রতিরূপ এখানে তৈরি হয়েছে।

সমদ্রূপে হিল ও গুরু পদ্মসম্ভব মূর্তি – বিশাল মূর্তি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

হেলিপ্যাড ভিউ পয়েন্ট – এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ তিস্তাভ্যালির দৃশ্য দেখা যায়।

ভ্রমণ টিপস ⛔

▶️ এপ্রিল থেকে জুন ও অক্টোবর থেকে নভেম্বর সেরা সময়।

▶️ গ্যাংটক থেকে গাড়িতে সহজেই যাওয়া যায়।

▶️ উষ্ণ পোশাক সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।

এই সফর শুধু চোখের আরাম নয়, মন ও আত্মারও বিশ্রাম। পেলিং, রাভাংলা ও নামচি ভ্রমণ আপনার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে উঠতে পারে।

#️⃣ #️⃣ #️⃣📝 আর ফেরার পথে আমাদের হাতে কিছু সময় ছিল তাই আমরা দেখে নিয়েছিলাম শিলিগুড়ির ইসকনের মন্দির ও বেঙ্গল সাফারি।

12/05/2025

পূরী দর্শন: সমুদ্র আর মন্দিরের শহরে এক স্বর্গীয় যাত্রা 🪷

পূরী, ওড়িশার উপকূলবর্তী শহর, শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়—এটি ইতিহাস, প্রকৃতি আর সংস্কৃতির এক অনন্য মিশ্রণ।

পৌঁছানোর উপায় ✈️

পুরী পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হলো কলকাতা থেকে ট্রেন বা বাস। কলকাতা থেকে পুরীর দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। এছাড়া, আপনি বিমানযোগেও পৌঁছাতে পারেন, কারণ পুরী শহরের নিকটে, বিএপিএল এয়ারপোর্ট রয়েছে, যা ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সেরা সময় ⏰

পুরী ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ। এই সময়ের মধ্যে আবহাওয়া থাকে আরামদায়ক এবং উপভোগ করার মতো।

▶️ প্রথম দিন: কলকাতা থেকে পূরী যাত্রা 🚂

সকাল বেলা হাওড়া স্টেশন থেকে 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস' ধরে রওনা দিলাম পূরীর উদ্দেশ্যে। চারপাশে ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম ওড়িশার এই সমুদ্র শহরে। স্টেশন থেকে হোটেল মাত্র ১০ মিনিটের রাস্তা। হোটেল ছিল সমুদ্রের ঠিক সামনেই – জানালা খুলতেই সমুদ্রের গর্জন শুনতে পেলাম। বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম ‘সমুদ্র সৈকত’-এর দিকে। বালির উপর পায়ে হেঁটে সূর্যাস্ত দেখা – এক কথায় অনবদ্য!

▶️ দ্বিতীয় দিন: জগন্নাথ মন্দির ও স্থানীয় দর্শন🛕

সকালে ঘুম থেকে উঠে রওনা দিলাম জগন্নাথ দেবের দর্শনে। প্রাচীন এই মন্দিরে প্রবেশ করতেই যেন এক আলাদা অনুভূতি! ভক্তদের ভিড়, ঘণ্টার শব্দ, প্রসাদের গন্ধ – মন্দির চত্বর যেন এক আধ্যাত্মিক জগৎ। এরপর গেলাম ‘গুণ্ডিচা মন্দির’, যেখানে রথযাত্রার সময় জগন্নাথ দেব বিশ্রাম নেন। দুপুরে খেয়ে নিলাম পূরীর বিখ্যাত ‘মহাপ্রসাদ’। এরপর ‘লোকনাথ মন্দির’ ও ‘সুদর্শন ক্রাফট মিউজিয়াম’ ঘুরে সন্ধ্যায় আবার সৈকতে।

▶️ তৃতীয় দিন: চিলিকা হ্রদ ভ্রমণ (সাতপাড়া) 🐬

এই দিনটা ছিল একদম ভিন্ন অভিজ্ঞতা। ভোরে রওনা দিলাম চিলিকা হ্রদের সাতপাড়া অঞ্চলের দিকে, যা পূরী থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে। তবে নৌকা ভ্রমণে দেখা মিলল না ‘ইরাবতী ডলফিন’-এর। মাঝেমাঝে মাছ ধরার নৌকা, লাল কাঁকড়া, আর জলজ পাখিদের মন ভোলানো দৃশ্য। ফিরে এসে হোটেলে সামুদ্রিক মাছের থালি – তাজা চিংড়ি আর ফিশ কারি।

▶️ চতুর্থ দিন: কোনারকের সূর্য মন্দির ভ্রমণ ☀️

আজকের জন্য আমরা বুক করেছিলাম ওটিডিসির বাস। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা চলে গিয়েছিলাম OTDC-এর লজে, যেখান থেকে আমায় যাত্রা শুরু হয়েছিল। বাসে একজন গাইড থাকেন যিনি আমাদের সবটা ভালোভাবে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন।

প্রথম গন্তব্য: কোনার্ক সূর্য মন্দির (Konark Sun Temple)

সময়: সকাল ৮:৩০ – ১০:০০
বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (UNESCO Heritage Site)
ভাস্কর্য যেন পাথরের ক্যানভাসে ইতিহাস। বিশাল সূর্যরথ, ২৪টি চাকা, সূক্ষ্ম নকশা—এই মন্দিরের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। গাইড ইতিহাস বলেন আর আপনি হারিয়ে যান শিল্পের ভিতর।

দ্বিতীয় গন্তব্য: ভুবনেশ্বর – নন্দনকানন জু (Nandankanan Zoological Park)

সময়: দুপুর ১২:৩০ – ২:৩০
এশিয়ার অন্যতম বড় জু পার্ক। এখানে আছে হোয়াইট টাইগার, সিংহ, নানা ধরনের হরিণ, কুমির, পাখি, ও অ্যাকোরিয়াম। চাইলে বোট রাইড বা সাফারি করা যায় (সময় অনুযায়ী নির্ভর করে)।

তৃতীয় গন্তব্য: উদয়গিরি ও খন্ডগিরি গুহা (Udayagiri & Khandagiri Caves)

সময়: বিকেল ৩:০০ – ৪:৩০
খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে তৈরি এই জৈন গুহাগুলো পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা। "হাথিগুম্ফা" গুহার শিলালিপি, গুহার গায়ে খোদাই, আর উপরে উঠলে ভুবনেশ্বর শহরের চমৎকার দৃশ্য—সব মিলিয়ে এক ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা।

পুরো দিন ঘোরাঘুরির পর বাস আবার ফিরিয়ে আনে পূরীতে। শরীর ক্লান্ত হলেও মন ভরে যায়।

এক দিনের এই ভ্রমণ আপনাকে দেবে ইতিহাস, প্রকৃতি আর ধর্মীয় সংস্কৃতির মিশ্রণে ভরপুর অভিজ্ঞতা। ওড়িশা ট্যুরিজমের সরকারি বাস পরিষেবা ভ্রমণকে করে তোলে সহজ ও নির্ভরযোগ্য।

▶️ পঞ্চম দিন: বিদায় পূরী 🙏

শেষ দিন সকালে আবার একবার সৈকতের কাছে একটু সময় কাটিয়ে, কিছু ওড়িশার হস্তশিল্প কেনাকাটা করে ট্রেন ধরে ফিরে এলাম কলকাতায়।

📌 যা যা মিস করবেন না:

🛕জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ

🐬চিলিকা হ্রদের ডলফিন ভ্রমণ

🐚সন্ধ্যার সমুদ্র সৈকতে বালুর উপরে হাঁটা

🎁ওড়িশার হস্তশিল্প ও শাড়ি

🦞স্থানীয় স্ট্রিট ফুড: খাজা, চনা মসলা, চাট

পূরী শুধু একটি ভ্রমণস্থান নয়, এটি অনুভবের জায়গা। সমুদ্র, ধর্ম, প্রকৃতি আর স্থানীয় সংস্কৃতি মিলিয়ে এটি এক অনন্য অভিজ্ঞতা। একবার ঘুরে দেখলে মন বারবার ফিরে যেতে চাইবে।

11/05/2025

CHASE - A Movie Made By AI 🎬

Pragnya Mandal

27/06/2025

17/06/2025

12/06/2025

04/06/2025

23/05/2025

18/05/2025

12/05/2025

11/05/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category