18/06/2024
প্রেম চিরন্তন, শরীর নশ্বর...
মন বড়ই অদ্ভুত এক জায়গা, সেখানে যন্ত্রের থেকেও জটিলতা বেশী, আবার সন্তের থেকেও সরলতা বেশী..
হ্যাঁ সত্যিই তো, সত্যিই এর ব্যাপকতা বা গভীরতা মাপা কঠিন কম্ম।
অনেক ধরনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় আমাদের মন। তবে প্রেমকে কি আমরা আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলবো? হ্যাঁ
প্রেম একধরনের বিশেষ আবেগ বৈকি!! শরীর দিয়ে তাকে বাঁধাও যায়না আর মাপাও যায়না....
কিন্তু মনের সাথে শরীরের তো যোগ থাকবেই, তাই প্রেমের সাথেও শারীরবৃত্তীয় যোগাযোগ থাকা টা অপরাধের নয়, কিন্তু গোল বাঁধে প্রকাশভঙ্গিমায়, তাইতো যত সহজে আমরা বলতে পারি, প্রস্রাব পেয়েছে, বা বিষ্ঠা ত্যাগের ইচ্ছে হয়েছে, ততো সহজে বলতে পারিনা, বীর্য ত্যাগের ইচ্ছা হয়েছে... সেখানেই শরীরবৃত্তীয় আর মনোপ্রবৃত্তিগত পারস্পরিক অদ্ভুত এক দ্বন্দ্ব। সামাজিক নিয়মের আর ব্যবহারিক প্রয়োগের দ্বন্দ্ব.!!!
তাই যতো সহজে মানুষ হাগা পেয়েছে বলতে পারে, ততো সহজে সেক্সে পেয়েছে বলতে পারেনা।
কিন্তু সবশেষে বলতেই হবে, শারীরবৃত্তীয় চাহিদার চাইতে, মানসিক আবেগের স্থায়িত্ব কার্যতই অনেক বেশী, আর তার গুরুত্বও অপরিসীম, আর সে একটু হলেও বেশী শক্তিশালী!
তাইতো জীবনের ঘটনার ঘনঘটায়, অতি আকাঙ্ক্ষিত লাস্যময়ী সেই তন্বীর হাতছানি কিংবা বহু আকাঙ্খিত সুঠাম দেহের যুবকের সান্নিধ্য প্রায় প্রাপ্ত হওয়ার মুহূর্তেও, পুরোনো কোনো স্মৃতির আবহে বুকের বাম দিক টা তে হঠাৎ ই কেমন একটা অজানা তীব্রতা অনুভূত হয়, সেই কোন আনমনা বিকালে কোনো এক সুমনার গভীর কাজল কালো চোখে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকার কথা ভেবে, অথবা ভিড় ট্রেনে নিজের জীবন বিপন্ন করে যে বছর পঁচিশের যুবকটি একেবারেই অচেনা সহযাত্রী যুবতীকে নিজের বাহুডোরে আগলে রেখেছিল যাতে সে পা পিছলে পড়ে না যায়!! ...
তার কথা ভেবে চোখের কোন দুটো কেমন চিক চিক করে ওঠে...এখানেই মন জিতে যায়, তুচ্ছ শরীরের কাছে।
আদপে মান আর হুঁশ থাকলেই বোধয় অযাচিত কাউকে মন ও দেওয়া যায় না আর শরীরবৃত্তীয় চাহিদা কেও জয় করে ফেলা যায়...
তবে সত্যিকারের প্রেম এক কঠিনতম কম্ম..
তবু
প্রেম বাঁচুক শাশ্বত হয়ে, থাকলো ই না হয় পাঁজরের অন্তরালেই...