Abhijit Das

Abhijit Das Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Abhijit Das, Digital creator, KOLKATA.

08/05/2025

Take back POK

07/05/2025

গান্ধী সম্পর্কে মিথ্যা ইতিহাস পড়ে পড়ে বড় হয়েছি। গান্ধীকে যে কারনে ভারত মাতার বীর সন্তান নাথুরাম হত্যা করে ছিল.......

ঠিক আজকের দিনে, ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি নাথুরাম গডসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল। হত্যা করার পর সে, সেখান থেকে পালানোর চেষ্টাও করেনি। কারণ সে চেয়েছিল তার এই জঘন্যতম হত্যা করার কারণ যাতে দেশবাসী জানতে পারে। আদালতে বিচার চলার সময় সে গান্ধীকে হত্যা করার পেছনে মোট ১৫০টা কারণ জানিয়েছিল। তবে সেই সময়কার কংগ্রেস সরকার সেই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতে দেয়নি। কিন্তু নাথুরামের দাদা গোপাল গডসের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তা প্রকাশ পায়।

‘আমি গান্ধীজিকে কেন হত্যা করেছি' -

নাথুরাম গোডসে।

সুপ্রীম কোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর প্রকাশিত হয় নাথুরাম গোডসের ভাষন --- আমি গান্ধীজিকে কেন হত্যা করেছি?

১)গান্ধীজি ৩১- ৩২ বছর ধরে মুসলিম তোষণ করে গেছেন।উদবাস্তু স্রোতে পাকিস্তান থেকে ভেসে এসে যখন হিন্দুরা দিল্লীতে আশ্রয় নেয়,তখন স্থানীয় মুসলিমদের সাথে উদবাস্তুদের সংঘর্ষ লাগে।উদবাস্তুদের যাতে সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হয় সেইজন্য গান্ধীজি প্রশাসনকে জানান।শুধু তাই নয় পাকিস্তানকে ৫৫ কোটি টাকা বকেয়া দেওয়ার জন্য অনশন শুরু করেন, গান্ধীজির এই চেহারা আমায় ব্যাথিত করেছিল,তখন থেকেই মনে হয়েছিল গান্ধীজিকে ক্ষতম করে দেওয়া উচিত।

২) খিলাফৎ আন্দোলন সফল না হওয়ায় মালাবার, পাঞ্জাব এবং বাংলায় হিন্দুদের উপর সীমাহীনভাবে অত্যাচার শুরু হয়।মালাবারে ইহা মোপলা বিদ্রোহ নামে পরিচিত।কংগ্রেস এটিকে কৃষক বিদ্রোহ বলে চালাতে চেষ্টা করলেও ইহা ছিল হিন্দুদের উপর একতরফা অত্যাচার। হিন্দুদের ধন সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হয়,তাদের হত্যা করা হয়,প্রায় ১৫০০ হিন্দু নিহত হয়,মা বোনেদের সম্মান নষ্ট করা হয়,বলপূর্বক হিন্দুদের ধর্মান্তরিত (প্রায় ২০০০)করা হয়।গান্ধী তখন মৌন ছিলেন।গান্ধীর বক্তব্য ছিল ধর্ষণে বাধা দিতে না পারলে দাঁতে দাঁত চিপে সহ্য কর।শুধু তাই নয় গান্ধী বললেন মুসলিমরা হিন্দু মা বোনকে ধর্ষণ করলে হিন্দুরা যেন ধর্ষণকারীদের পদ- চুম্বন করে। তাছাড়া ইহা আল্লার বাহাদুর বান্দার কাজ বলে গান্ধী বিদ্রোহীদের তারিফ করেন।

৩) খিলাফৎ আন্দোলন অসফল হলে গান্ধী আলিদের ভাই আফগানিস্তানের আমিরকে ভারতে হামলা করার জন্য নিমন্ত্রণ করে।গান্ধীজির বক্তব্য ছিল "আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিনা যে যখন খবর হল কি আলি ভাইকে জেলে ভরা হবে,আর আমি আজাদ থাকব বাইরে...........ও এমন কোনও কাজ করেনি যে আমি মনে করি........আমি ওকে চিঠি লিখে জানাবো ও ভারতে এসে নির্বিঘ্নে থাকতে পারবে যেখানে যেখানে আমার আদেশ মানবে, সেখানে ভারত সরকার ওকে বের করে দিতে পারবেনা, আর হিন্দুরা আমার কথাই মানতে বাধ্য হবে"।

৪) গান্ধীজি হিন্দির বদলে হিন্দি উর্দু মিশিয়ে হিন্দুস্তানি ভাষার প্রচলন করেন।এতে হিন্দির গুরুত্ব হ্রাস পায়।মুসলিমদের খুশি করার জন্য হিন্দুস্তানি ভাষার প্রচার করতে লাগলেন এইরকমভাবে - বাদশাহ রাম,সীতা বেগম ইত্যাদি।

৫) বন্দেমাতরম ধ্বনি বিপ্লবীরা উচ্চারণ করলেও মুসলিমদের তীব্র আপত্তি ছিল।যেখানে যেখানে মুসলিমদের আপত্তি ছিল, বন্দেমাতরম বা শিবাজি কি জয় ধ্বনি সেখানে সেখানে এই ধ্বনির ব্যবহার গান্ধীজি বন্ধ করিয়ে দেন।

৬) কাশ্মীরের দায়ভার গান্ধীজি আব্দুল্লার উপর দিয়েছিলেন।মহারাজ হরি সিংকে গান্ধীজি সবসময় বলতেন সন্ন্যাস নিয়ে কাশী চলে যাও,কিন্তু সেইসময় হায়দ্রাবাদে হিন্দু বেশি ছিল।গান্ধীজি হায়দ্রাবাদের নিজামকে একবারও বলেননি যে তুমি মক্কা চলে যাও।

৭) কংগ্রেস গান্ধীজিকে সম্মান দেবে বলে চরকা পতাকা রাষ্ট্রীয়ভাবে তৈরি করে।নোয়াখালী দাঙ্গার পরেও এই পতাকা গান্ধীজির ঘরে শোভা পেত।কিন্তু একদিন একজন মুসলিম আপত্তি তোলায় সেই পতাকা ঘর থেকে নামিয়ে দেন। এইভাবে কোটি কোটি ভারতবাসীর শ্রদ্ধাকে পদদলিত করেন গান্ধীজি।

৮) নেতাজী সুভাষ কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকার সময় গান্ধী নীতিতে আস্থা রাখেননি।কিন্তু বেশিরভাগ
ভারতীয়'র সমর্থন বসু পেয়েছিলেন।এতে গান্ধীজি রুষ্ট হন।গান্ধীজির কথায় সুভাষের জিত মানে আমার হার। গান্ধীজি সবসময় সুভাষকে হিংসা করতেন এবং যেন তেন প্রকারে সুভাষকে তাড়াতে চেয়েছিলেন।

৯) গান্ধী জিন্নাকে সবসময় তোষণ করতেন, তাকে কাইজার- এ- হিন্দ বলে ডাকতেন, অথচ জিন্না গান্ধীজিকে পাত্তা দিতনা। গান্ধীর মুসলিম তোষণে ভারত ভেঙে টুকরো হয়ে গেল।গান্ধী জীবিত থাকলে ভারত আরও টুকরো হত।

১০) জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে দেশবাসী যখন রাগে আগুনে ফুঁসছে এবং ডায়ারের বিরুদ্ধে শাস্তি গ্রহণের কথা বলে, গান্ধী তাতে পাত্তাই দেননি। এরপর উধম সিং ডায়ারকে ইংল্যান্ডে হত্যা করলে গান্ধী বলেন উধম সিং পাগল,উন্মাদ এর শাস্তি হওয়া উচিত।

১১) ভগত সিং ও তার সাথি শুখদেব, রাজগুরুর মৃত্যু দণ্ডের আদেশ এলে সারা দেশ যখন ক্ষুব্ধ ও গান্ধীজির দিকে তাকিয়েছিল এবং চাইছিল গান্ধীজি এতে হস্তক্ষেপ করুক এবং দেশভক্তদের রক্ষা করুক,কিন্তু গান্ধীজি জবাবে বললেন ভগত সিংরা জঙ্গি অতএব তাদের বাঁচানোর কোন প্রশ্নই নেই।

১২) ১৯২৬ -র মে মাসে আর্য সমাজের নেতা স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে আবদুল রসিদ নামে একজন হিংস্র মুসলিম হত্যা করেন,গান্ধীজি সেই হত্যাকারীকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন ঠিক করেছ এই বদমাশ মুনিটাকে হত্যা করে,এ হিন্দু মুসলিম একতা নষ্টকারী ছিল এবং দেশদ্রোহী ছিল।

১৩) গান্ধীজির বক্তব্য ছিল ছত্রপতি শিবাজি, মহারাণা প্রতাপ,গুরু গোবিন্দ সিং এরা প্রত্যেকে পথভ্রষ্ট দেশদ্রোহী ছিল।

১৪) কংগ্রেস পতাকা নির্ধারণের জন্য সমিতি তৈরি করেন। ১৯৩১ সালে সকলের সম্মতিতে ভাগবা পতাকা নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু গান্ধী জেদ ধরেন ভগবান নয়,পতাকা হবে তেরঙ্গা।

১৫)বল্লভভাই প্যাটেলের জায়গায় একমাত্র গান্ধীজির ইচ্ছায় নেহরুকে কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়।

১৬) যে গান্ধী একদিন বলেছিলেন দেশভাগ হলে আমার লাশের উপর দিয়ে হবে সেই গান্ধী নেহরু ও জিন্নার সমস্ত প্রস্তাব মেনে নেন, ভারত ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়।

১৭) ভারত ভাগ হওয়ার সময় জিন্না চেয়েছিলেন সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায় যাতে পাকিস্তানে চলে আসে, কিন্তু গান্ধী তাতে বাধা দেন।পরবর্তীকালে তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়।

১৮) প্যাটেল সোমনাথ মন্দির পুননির্মাণ শুরু করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গান্ধী তাতে বাধা দেন।

১৯) ১৯৪৮ সালের ১৩ ই জানুয়ারী গান্ধী দিল্লীতে আমরণ অনশন শুরু করে সরকারকে বাধ্য করে সরকারি খরচে মসজিদ নির্মাণে।সেই সময় পাকিস্তান থেকে উচ্ছেদ হয়ে আসা হিন্দুরা দিল্লীর মসজিদ চত্বরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিলে গান্ধীজি গিয়ে তাদের বের করে দেন, প্রবল শীতে অনেকেই মারা যান।

জিন্নাহ ও অন্ধ পাকিস্তান প্রীতি দেখে বলতে পারি উনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপিতা ছিলেন ---- ভারতের নয়। প্রতিটি মুহুর্তে পাকিস্তানের সমর্থনে কথা বলেছেন ---- সে পাকিস্তানের দাবী যতই অন্যায় হোক!

আদালতে দেওয়া নাথুরাম গোডসের কিছু বয়ানের বঙ্গানুবাদ।

আমি ওনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কোন দেশভক্তকে দেশ ভাগ ও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষপাতিত্ব করার অনুমতি দিতে পারি না। আমি গান্ধীকে মারি নি ---- বধ করেছি --- বধ। গান্ধীজিকে বধ করা ছাড়া আমার কাছে আর কোন উপায় ছিল না। উনি আমার শত্রু ছিলেন না ---- কিন্তু ওনার সিদ্ধান্ত দেশের বিপদ ডেকে আনছিল। যখন কোন ব্যক্তির কাছে আর কোন রাস্তা থাকে না তখন ঠিক কাজ করার ভুল রাস্তা নিতে হয়।

মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান নির্মাণে গান্ধীজির সমর্থনই আমাকে বিচলিত করেছে। পাকিস্তানকে 55 কোটি টাকা পাইয়ে দেবার জন্য গান্ধীজি অনশনে বসেন। পাকিস্তানে অত্যাচারের জন্য ভারতে চলে আসা হিন্দুদের দুর্দশা আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। গান্ধীজির মুসলিম লীগের কাছে মাথা নত করার জন্য অখন্ড হিন্দু রাষ্ট্র সম্ভব হয়নি। ছেলের মাকে টুকরো করে ভাগ করতে দেখা আমার অসহনীয় ছিল। নিজ দেশেই যেন বিদেশী হয়ে গেলাম।

মুসলিম লীগের সমস্ত অন্যায় আবদার উনি মেনে চলছিলেন। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ---- ভারত মাতাকে পুনরায় টুকরো হওয়ার হাথ থেকে ও দুর্দশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাকে গান্ধীজির বধ করতে হবে। আর সেইজন্যই আমি গান্ধীকে বধ করেছি।

আমি জানতাম এর জন্য আমার ফাঁসী হবে এবং আমি এর জন্য প্রস্তুত। আর এখানে যদি মাতৃভূমির রক্ষা করা অপরাধ হয় ----- তাহলে এরকম অপরাধ আমি বার বার করব ---- প্রত্যেক বার করব। আর যতক্ষণ না সিন্ধু নদী অখন্ড ভারতের মধ্যে না বাহিত হয় ---- আমার অস্থি ভাসিও না। আমার ফাঁসির সময় আমার এক হাতে কেশরীয় পতাকা ও অন্য হাতে অখন্ড ভারতের মানচিত্র যেন থাকে। আমি ফাঁসিতে চড়ার আগে অখন্ড ভারত মাতার জয় বলতে চাই। হে ভারত মাতা আমার খুব দুঃখ যে আমি কেবল এইটুকুই তোর সেবা করতে পেরেছি ।

04/05/2025

অর্থবিত্ত হওয়া সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দিইনি। সে তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলত, "বাবা দেখো, সুমন আজ ব্রাণ্ডেড ঘড়ি পরে এসেছে। বাবা দেখো, রাজুর স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেড। সুন্দর না বাবা!"

আমি চুপ করে থাকতাম। আমার ছেলের সাহস হয়নি কখনোই আমার কাছে ওই জিনিসগুলো চাওয়ার। একদিন ও খেলতে খেলতে পায়ে ব্যথা পেল। পরদিন স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে বলল, "বাবা, আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে করে স্কুলে নামিয়ে দেবে?"

আমি ওর অবস্থা দেখে বললাম, "ঠিক আছে।"

এরপর সপ্তাহখানেক ও আমার সাথেই গেল — আমার অফিসের গাড়িতে। আমি ওকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিতাম। এরপর থেকে ছেলের আর স্কুলে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে না! বাধ্য হয়ে আমি বলেই দিলাম, "অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ। স্কুল টাইমের খানিকক্ষণ আগে বের হবে, তাহলে সময়মতো পৌঁছে যাবে।"

ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইল। ছেলের মায়েরও মুখ গোমড়া। আমি এমন করি কেন? সবাই তো অফিসের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। তাহলে আমার সমস্যা কোথায়?

সেদিন সন্ধ্যায় ছেলে বাড়িতে এসে বলল, "জানো, আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও.....।"

এর বেশি কিছু বলার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে আমি বললাম, "বাবা, প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমাকে সেই স্কুলে দিলাম, কিন্তু তুমি ফেল করলে। তাহলে আমি কি বলব, তুমি ফেল নাকি তোমার স্কুল?"

ছেলে বলল, "বুঝেছি বাবা!"

আমি ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, "এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে টপকে যেতে পারেনি। বরাবর তুমিই ফার্স্ট হয়েছ। সুতরাং, তুমি যেখানে পড়বে, সেই স্কুলই শহরের সেরা স্কুল।"

এরপর সে আর কিছু বলেনি।

এক বিকেলে ছেলে বলল, "বাবা, আমার এক্সট্রা টিউটর দরকার। ম্যাথ আর ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে।"

জবাবে আমি বললাম, "রাতে যখন আমি বাড়িতে ফিরব, আমার কাছেই তুমি ম্যাথ আর ইংলিশ শিখবে।"

ছেলে বলল, "বাবা, তুমি অনেক পরিশ্রম করে বাড়িতে আসো, তাইনা?"

আমি হেসে বললাম, "বাবা, আমার এত সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি, কি বলো?"

ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, "ঠিক আছে বাবা।"

আমার স্ত্রী রাতে ঘুমাতে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, "তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো, তাহলে ছেলেকে ওই কথাগুলো বললে কেন?

আমি বললাম, "আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটা শিখুক।"

আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেল।

মাঝে মাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সম্পর্কে ধারণা দিই। সে জানুক, পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর, বাস্তবে খুব কঠিন! চাওয়া মাত্রই কিছু তাকে আমি কখনও দেই না। একদিন সে বলেছিল, "বাবা, তুমি এরকম কেন?" আমি জবাব দিয়েছিলাম, "সময় হলে বুঝবে!"

একবার সে বায়না ধরল ইলিশ মাছ খাবে। আমি বললাম, "টাকা তো কম! তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে।"

ছেলে আমার হাতে পঞ্চাশটা দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম, "তুমি খরচ করনি!" সে মুচকি হেসে বলল, "না বাবা! জমিয়েছি। আমার এক বন্ধু মাঝে মাঝে স্কুলে না খেয়ে আসে। আসলে ও খুব অসহায়। আমি ওকে ক্ষুধার্ত দেখলেই বুঝতে পারি। তখন ওকে সাথে নিয়ে খাই। অন্যান্য দিন সব টাকা খরচ করি না, জমিয়ে রাখি, কারণ বাড়ি থেকে তোমরা যা দাও তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু মানুষ তো সামান্যটুকুও পায় না!"

আমি ছেলের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। সেই জমানো টাকা দিয়ে সেদিন বাজার থেকে ইলিশ এনে ছেলেকে খাওয়ালাম। এভাবে ইচ্ছে করেই মাঝে মাঝে ছেলেকে অভাব অনুভব করাতাম, যাতে সে বোঝে জীবনটা কঠিন, অনেক কঠিন।

একবার মার্কেটে গিয়ে তাকে বললাম সাধ্যের মধ্যে কিনতে। সে একটা প্যান্ট নিল শুধু। আর কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলল, "তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নাও।"

আমি হাসলাম।

সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়। একদিন সন্ধ্যায় আমি চা খাচ্ছিলাম। ও বলল, "বাবা, সায়নটা আর মানুষ হলো না! অথচ আংকেল ওর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছে, তাই পেয়েছে।" আমি ছেলেকে বললাম, "আমি তো তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি!" ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বলল, "প্রতিটা চাহিদা পূরণ না করে তুমি শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়। তুমি জীবনে যে শিক্ষা দিয়েছ, তা সবকিছুর উর্ধ্বে। তুমি শিখিয়েছ, অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখন জানি, আমার বাবার আমি ছাড়া আর কিছু নেই। বাকিটা আমাকে গড়ে নিতে হবে। আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না। কারণ আমি জানি আমি কে! তোমার দেওয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখব বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিনের টাকা জমালে পাঁচশো টাকা হয়। তুমি ছিলে বলেই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কত কঠিন!"

আমার স্ত্রী এখন নিজে থেকেই অনেক খুশি। সে বুঝতে পেরেছে আমার উদ্দেশ্যটা। ছেলে নিজের রোজগারে প্রাইভেট কার কিনে আমাকে হাসতে হাসতে বলল, "দুই বছর ধরে টাকা জমিয়ে কিনেছি এটা!" তখন বুঝেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। আমার শিক্ষা বৃথা যায়নি।

সেদিন যাবতীয় সম্পত্তি ওকে বুঝিয়ে দিয়ে বললাম, "সামলে রেখো।" ছেলে দলিলগুলো আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলল, "তোমরা সাথে থেকো, আর কিছু লাগবে না।"

ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছেলের মাকে বললাম, "দেখেছ, আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি — যেমনটা আমার বাবা আমাকে দিয়েছিলেন। আমি ওকে অভাবে লজ্জিত হওয়া নয়, বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি। ওকে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছি, কারো উপর নির্ভর না করে চলতে শিখিয়েছি। ছেলে আমার মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কি হতে পারে!"

An Animesh

03/05/2025

. "The future belongs to those who believe in the beauty of their dreams."

Terrorist ask religion but why???when I am Indian.
23/04/2025

Terrorist ask religion but why???when I am Indian.

21/04/2025

I request Kolkata Police Please take action against this public servant who dont know how to behave with civilian.

20/04/2025
Who is this???
18/04/2025

Who is this???

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abhijit Das posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abhijit Das:

Share