
20/07/2025
এঁকে যত দেখি তনুশ্রীশঙ্কর আর শ্রীনন্দাশংকরের প্রতি সম্মান বেড়ে যায়। আমি শ্রীনন্দাশংকরের রিলগুলো রেগুলার দেখি। পারলে আপনারাও দেখবেন খুঁজে।
এদিকে ইনি একেবারে টিপিক্যাল অসভ্য,নীচ,রিগ্রেসিভ মহিলা। একবার নয়, একশ বার,হাজারবার বলব।
এম এ পড়ার সময় এনুয়াল ফাংশন ইউনিভার্সিটিতে। উদ্বোধনী নৃত্য আনন্দধারা বহিছে ভুবনে। লাল ব্লাউজ সবাই বাড়ি থেকেই এনেছিল। আমার একগাদা লাল ব্লাউজের মধ্যে তাড়াতাড়িতে দু সাইজ ছোট ব্লাউজ নিয়ে চলে গেছি। পরতে গিয়ে দেখি সে গায়ে ঢুকবে না কোনমতেই। স্টেজে ওঠার পাঁচ মিনিট আগে দু নম্বর মার্কেট থেকে নতুন ব্লাউজ কিনে এনে দিয়েছিল এক সহপাঠীই, পুরুষ সহপাঠী।
সেই ছোটবেলা থেকে নাচের ড্রেস মেক আপ সরবরাহ করেন জয়দেব কাকু। ছদ্মাবরণ ড্রেসেস,চাকদার। দুটো নাচের মাঝে হয়ত দশ মিনিটের গ্যাপও নেই। অস্বাভাবিক দ্রুততায় ড্রেস চেঞ্জ করায় কাকু ও তার সহকারীরা। একজনের নয়, একাধিক মেয়ের।
আমার মাজদিয়ার বাড়ির সহায়িকা উন্নতি আমারই বয়সী। মা রান্না করতে না পারলে বাড়ি থেকে খাবার অবধি সে এনে দিয়ে যায়, আমার সন্তান হওয়ার খবরে তার খুশি বলার নয়। সে নিছক "কাজের লোক" নয়।
আমি স্লিভলেসে স্বচ্ছন্দ নই, পরি না। কারণ আমার মনে হয় আমি ক্যারি করতে পারি না। কিন্তু রাস্তায় সেই মেয়েগুলোকে দেখি হাঁ করে, যারা কী সুন্দর স্লিভলেস জামাকাপড় ক্যারি করে!
স্যানিটারি ন্যাপকিন বাবা ই আনত। আমার কন্যাসন্তান হলেও তার বাবাই আনত নিশ্চিত। আমরা ও আমাদের মত আপামর মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবার ও তাদের মহিলারা বোধহয় খুবই সাবস্ট্যান্ডার্ড। তাই এসব নোংরা কাজকর্ম পুরুষ সদস্যদের দিয়ে করায়। ভবিষ্যতেও করাবে। নিজের পুত্রসন্তানকেও সেভাবেই বড় করব,যাতে সে তার মা-বোন,বান্ধবী,পথচলতি অপরিচিতাকে মানুষ হিসেবে দেখতে শেখে। এটা ছেলেদের করতে নেই,ওটা মেয়েদের কাজ- এসব হীনপ্রবৃত্তি নিয়ে যেন সে কোনদিন না বেড়ে ওঠে।
নীচতা ইজ অলওয়েজ নীচতা। শিল্পসত্ত্বা,পদ্মশ্রী, পদবীর ওজন কোনকিছু দিয়েই তা ঢাকা যায় না।
সবচেয়ে হাস্যকর ওঁর পোস্টের নীচে যাঁরা "একদম ঠিক বলেছেন" লিখছেন, ওঁর সমর্থনে পোস্ট দিচ্ছেন তাঁরাও তাঁদের প্রয়োজনে স্ত্রী-কন্যার স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে আনেন বা স্বামী-বাবাকে বলেন কিনে এনে দিতে। এত হিপোক্রিসি নিয়ে রাতে ঘুম হয় দাদা দিদিরা?
প্রণম্য হিপোক্রিটের দল।
🙏🏼🙏🏼🙏🏼🙏🏼🙏🏼🙏🏼🙏🏼🙏🏼
সংগৃহীত(Facebook )