
07/07/2025
ঘটনার নাম: "বাক্সটা খোলো না!"
রাত্রি তখন দুটো। বাইরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আকাশ চিরে আলোকছটা ফেলছে। অরণ্য তখন মাত্র গ্রামের পুরনো দাদাবাড়িতে এসে পৌঁছেছে। শখের antiquity researcher সে—পুরনো জিনিস খুঁজে বেড়ানো তার নেশা।
এই বাড়িটা নাকি একসময় রাজবাড়ির খাজাঞ্চির ছিল। ঘরদোরে ধুলোর আস্তরণ, মাকড়সার জাল। সবার নিষেধ সত্ত্বেও সে একাই চলে এসেছে এখানে।
ঘরের এক কোণে কাঠের তৈরি একটা ছোট্ট বাক্স দেখতে পেল অরণ্য। বাক্সটা বেশ পুরনো, কালচে হয়ে গেছে। ওপরে ধাতব খোদাই—তাতে লেখা ছিল,
"যে খুলবে, সে ফিরতে পারবে তো?"
অরণ্য হেসে উঠল। “ভূতের গল্প দিয়ে ভয় দেখাবে?”
সে বাক্সটা খুলে ফেলল।
মুহূর্তেই ঘরে ঠান্ডা নেমে এলো। বাতাস থেমে গেল। বাইরের ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ একদম নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
বাক্সের ভেতর একটা ছোট কাচের আয়না। আয়নায় নিজেকে দেখতে গিয়ে অরণ্য হঠাৎ আঁতকে উঠল।
আয়নায় ওর পেছনে একজন দাঁড়িয়ে—একটা ছেঁড়া শাড়ি পরা, ফ্যাকাশে মুখ, কালো গর্তের মতো চোখ।
পেছনে তাকিয়ে দেখল, কেউ নেই।
আবার আয়নায় তাকালো—ভয়াবহ সেই মুখটা আরেকটু কাছে এসে গেছে।
তড়িঘড়ি করে বাক্সটা বন্ধ করতে গেল, কিন্তু ওর হাত জমে গেছে। শরীরটা যেন পাথর।
শেষবার আয়নায় চোখ পড়তেই সে দেখল, সেই ছায়ামূর্তিটা ওর জায়গায় দাঁড়িয়ে, আর ও নিজে আয়নার ভেতরে বন্দী!
সেই রাতের পর থেকে অরণ্যকে কেউ দেখেনি।
শুধু মাঝে মাঝে, যখন কেউ ভুল করে সেই বাক্সটা খোলে, তখন আয়নার মধ্যে এক জোড়া চোখ ঘুরে তাকায়…👁️👁️