Jum News CHT

Jum News CHT Jum News CHT is an online news portal. The ruling group of Bangladesh, who lost their rights to the C

এই রক্তের বদলা একদিন নিবো নিশ্চয়ই।
22/09/2024

এই রক্তের বদলা একদিন নিবো নিশ্চয়ই।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে পুলিশের বাধা!বান্দরবান জেলার লামার সরই ইউনিয়নের রাবার কোম্পানির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া লাংকম...
24/09/2022

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে পুলিশের বাধা!

বান্দরবান জেলার লামার সরই ইউনিয়নের রাবার কোম্পানির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া লাংকম ম্রো পাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া এবং রেংয়েন ম্রো পাড়ার বঞ্চিত জুমিয়া শিশুদের জন্য নাগরিক সমাজের উদ্যোগে স্কুল নির্মাণ চলমান রয়েছে।
তবে আজ সেখানে লামার পুলিশ গিয়ে স্কুল নির্মাণে পুলিশের অনুমতির কথা বলে বাধা দেয়।

যেখানে পুলিশ কিংবা রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্বই ছিলো এই স্কুলটি নির্মাণ করে দেয়ার; সেখানে তারাই গিয়ে বাধা দিচ্ছে!

আবার তারা উন্নয়নের বয়ানও বলে বেড়ায়!
© Rumen

দখলদার এই বাংলাদেশ সরকার এবং তার রাষ্ট্রযন্ত্রকে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিকে দিলেও তারা ক্ষান্ত হবে না। এতদঞ্চলের ...
23/09/2022

দখলদার এই বাংলাদেশ সরকার এবং তার রাষ্ট্রযন্ত্রকে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিকে দিলেও তারা ক্ষান্ত হবে না। এতদঞ্চলের মাটি ও মানুষের রক্তে সবুজ পাহাড় রঞ্জিত হলেও তারা ক্ষান্ত হবে না।
সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ দেখে এটাই মনে হয় যে,পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিন্ন ভাষাভাষি মানুষগুলোর পরিচিতির শেষ চিহ্নটুকু অবশিষ্ট থাকা অবধি তারা ক্ষান্ত হবে না। পাহাড়ী বিহীন এক পাহাড় সৃষ্টি না করা পর্যন্ত এরা থামবে না,পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে পাহাড়ে আযানের ধ্বনি না ওঠা পর্যন্ত এরা থামবে না।
এর জন্য তারা যা করা প্রয়োজন সেটাই করছে,ব্যাক্তিগত ভূমি,সমষ্টিগত ভূমি,বিহার এলাকা কিংবা রাজপরিবারের ভূমি কোনটাই বাদ যাচ্ছে না।

ছবি: গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং,সেনাবাহিনীর একটি দল বান্দরবান সদর উপজেলার ওয়গ্যা পাড়া ও রাজপরিবারের ভূমি দখল করে সেনাক্যাম্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চালায়। এলাকাবাসীরা বাধা দিলে কথা কাটাকাটি হয়।

©M

শেখ হাসিনা একা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
21/09/2022

শেখ হাসিনা একা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরা জবাব দিতে পারবেন কি???“মগ পার্টির  কারনে সাধারন মানুষ আতংকিত ।” বলেছেন সেনাবাহিনী এবং আওয়ামী লীগের...
21/09/2022

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরা জবাব দিতে পারবেন কি???

“মগ পার্টির কারনে সাধারন মানুষ আতংকিত ।” বলেছেন সেনাবাহিনী এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিঃ ক্যশৈহ্লা মং মারমা। সূত্র মতে, জুম্ম প্রতিরক্ষা বাহিনী (Jumma Defense Force: JDF)-এর ভয়ে শসস্ত্র মগ বাহিনীর বা মগ নেশন্যাল পার্টি (MNP)’র সদস্যরা বান্দরবান সদরে আশ্রয় নিয়ে ব্যাপভাবে চাঁদাবাজী এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাছেন। উল্লেখ্য তা’রা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা ভাড়া করা এবং পালিত-পালিত।

সুতরাং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরা যে, মগ এবং কুকি-চিন সন্ত্রাসী লালন-পালন করতেছেন, তার রাজসাক্ষী সরকার স্বয়ং এখন। এবং মগ ও কুকি-চিন শসস্ত্র সদস্যরাও স্বয়ং সাক্ষী দিচ্ছেন। তাহলে, এখন বান্দরবান সদরস্থিত ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড-এর কমান্ডার ব্রিঃ জেনারেল মো. জিয়াউল হক এবং বান্দরবান সদরস্থিত ৫তম ইবিআর (East Bengal Regiment)-এর সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান কি উত্তর দেবেন???

বিঃ দ্রঃ কুকি-চিন সন্ত্রাসীসের প্রধান ঘাঁটি রনিন পাড়া (Ronin Para) যুদ্ধে আক্রান্ত হয়ে একই দিনে ৭টি বাংকার এবং ১৭ জন শসস্ত্র কর্মী নিহত হওয়ার পর বৈরাক্যে ছড়া (Boirakye Chara) নামক জায়গায় নতুন করে প্রধান ঘাঁটি স্থাপন করেছেন। সেখানে উঁচু পাহাড়ে Three Layer Security System এর দ্বারা কুকি-চিন ফ্রন্টের প্রধান নাথান বোম এবং আইদুম আর লালদন নামে রোহিঙ্গা বা ARSA প্রধান নেতারা থাকার তথ্য রয়েছে। আর ৫ই অগাস্ট ২০২২ সাল, যুদ্ধে কেএনএফ (KNF) সদস্য রনিন পাড়া কার্বারীর ছেলে নিহত হয়েছেন ।
©M

শিক্ষা দিবস - ২০২২ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ৯ দফা দাবীসমূহ
18/09/2022

শিক্ষা দিবস - ২০২২ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ৯ দফা দাবীসমূহ

লামার আজিজ নগরে সেনাবাহিনী উপস্থিতিতে এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বহিরাগত সেটেলারদের ভূঁইফোড় সংগঠন পার...
14/09/2022

লামার আজিজ নগরে সেনাবাহিনী উপস্থিতিতে এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বহিরাগত সেটেলারদের ভূঁইফোড় সংগঠন পার্বত্য বহিরাগত সেটলার সংপতন-র সমাবেশ চলছে।

উল্লেখ্য যে,লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের আদিবাসীদের ৪০০ একর ভূমি দখলের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ও প্রথাগতভাবে ভোগদখল করে আসা ভূমিকে ঘিরে রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে দেশের সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে ব্যারিষ্টার সুলতানা কামালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আগামী ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর লামায় সফর করার কথা রয়েছে।
তারই প্রতিবাদে সেটেলারদের পক্ষ থেকে আজকের এই সমাবেশ করা হচ্ছে,তাও একেবারে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় এবং সহযোগিতায়।

সমাবেশে সেটলার পিতা কাছি মুজিবুর রহমান প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছেন যে,"সকল সেটেলাররা যেন ঐদিন প্রস্তুত থাকে,কোনপ্রকারেই যেন সুলতানা কামাল রা লামায় প্রবেশ করতে না পারে। যেকোন প্রকারে সেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দলকে রুখতে হবে।"
©রণ কৌশল

আমার ভূমি, আমার পাহাড় যেন আজ ভূমিখেকোদের খাবার
11/09/2022

আমার ভূমি, আমার পাহাড়
যেন আজ ভূমিখেকোদের খাবার

পাহাড়ে এপিবিএন কার স্বার্থে?নিশ্চিতভাবেই বলা যায়,পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয়ভাবে পূনর্বাসিত বহিরাগতদের নিরাপত্তার স্বা...
11/09/2022

পাহাড়ে এপিবিএন কার স্বার্থে?
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়,পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয়ভাবে পূনর্বাসিত বহিরাগতদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং ঐতিহাসিকভাবে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তিকে লঙ্ঘন ও ভূলন্ঠিত করার স্বার্থে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের বিহার এলাকা ও এলাকার খেলার মাঠ সার্ভে করা হয়েছে এপিবিএনের ক্যাম্প স্থাপনের জন্য। দীর্ঘদিন ধরেই সেনাবাহিনী এই বিহার এলাকাটি দখলের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন সেখানে এপিবিএনের ক্যাম্প বসানোর কথা বলে জায়গাটি সার্ভে করা হলো।

উল্লেখ্য যে,গত ২৬মে ২০২২ইং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ধূম করে পাহাড়ে এসে তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স এর উদ্ধোধন করে গেলেন। গলা উঁচিয়ে বলা হলো,পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পের জায়গাতে এপিবিএন বসানো হবে। তারও আগে বলা হয়েছিল পুলিশ বসানো হবে,তারপরে বলা হলো আধুনিক পুলিশ বসানো হবে। সবশেষে এপিবিএন এর সদর দপ্তর উদ্ধোন করা হলো,যা পার্বত্য চুক্তির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক এবং চুক্তির লংঘনও বটে।

পার্বত্য চুক্তির ১৭(খ)-তে সেনাবাহিনীর পরিত্যাক্ত ক্যাম্পের জায়গাগুলো যথাযথ মালিকের নিকট অথবা জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু চুক্তির কোন ধারা-উপধারাতেই সেই পরিত্যাক্ত জায়গাতে এপিবিএন কিংবা কোনপ্রকার নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প বসানোর কথা উল্লেখ নেই। বস্তুতঃ রাষ্ট্র নিরাপত্তার অজুহাতে পাহাড়ে অধিকতর সামরিকায়নের নতুন পন্থা শুরু করেছ,যা পাহাড়ের পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে এবং আরো জটিল করে তুলবে। আমরা চাই রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের সরকার অতিদ্রুত পাহাড়ের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে এগিয়ে আসুক,কিন্তু রাষ্ট্রের পলিসি দেখে আমরা তার কোনপ্রকার স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতা দেখতে পাচ্ছি না।

ছবি: বগাচতর বিহার এলাকা সার্ভে করাকালীন এপিবিএন উত্তরার অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম মোশারফ হোসেন মিয়াজি।
©Bishal

পার্বত্য ভূমি কমিশন দ্রুত আবার বৈঠক ডাকা হোকতারিখঃ 10/09/2022 শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ও জনসংহ...
11/09/2022

পার্বত্য ভূমি কমিশন দ্রুত আবার বৈঠক ডাকা হোক
তারিখঃ 10/09/2022

শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে যে পার্বত্য চুক্তি সই হয়েছিল, তার অন্যতম শর্ত ছিল সেখানকার ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি। কেননা ভূমি বিরোধের কারণেই সেখানে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত, অগ্নিসংযোগ ও জবরদস্তি চলে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে ৭ সেপ্টেম্বর একটি সংগঠনের ডাকা হরতালের হুমকির মুখে আহূত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করার ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই বছর পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন বৈঠক আহ্বান করলে এর প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নামে একটি সংগঠন ওই দিন থেকে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডাকে। এরপরই গত মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ির ভূমি কমিশনের সচিবের সই করা চিঠিতে বৈঠক স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সংগঠনটিও তাদের হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।

পার্বত্য ভূমি কমিশন সরকার গঠিত একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিসংক্রান্ত যে বিরোধ আছে, আইন অনুযায়ী সেটি নিষ্পত্তি করার কথা তাদের। যদি নাগরিক পরিষদের নেতারা মনে করেন তাঁদের দাবি যৌক্তিক, তাঁরা কমিশনে গিয়ে সে কথা বললেন না কেন? হরতালের হুমকি দিয়ে সরকারের একটি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেন কেন?

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার মূলে যে ভূমি বিরোধ, সেটা স্বীকার করেই সরকার ভূমি কমিশন করেছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একাধিকবার কমিশন গঠিত হলেও তারা কাজ করতে পারেনি অথবা করতে চায়নি। প্রথমে কমিশন আইনেই গলদ ছিল। ২০১৬ সালে আইন পরিবর্তন করে কয়েকটি বৈঠক হলেও এখন পর্যন্ত একটি বিরোধেরও নিষ্পত্তি হয়নি।

দেশের ২৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা যৌক্তিক বলে মনে করি। তঁারা বলেছেন, পার্বত্য চুক্তির পর ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি কমিশন গঠিত হলেও গত ২১ বছরে এ কমিশন একটিও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেনি। তবে ২০১৬ সালে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনের পর ভূমি কমিশনের কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়; যা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে ২৬ হাজারের বেশি ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন জমা পড়েছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে নানা নামে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল সেখানে চুক্তিবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে। এখন তারা নাগরিক পরিষদের নামে মাঠে নেমেছে। সরকারের দায়িত্ব শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। তা না করে কোনো মহলের হুমকির মুখে ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার ঘোষণা পাহাড়ের মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা দেবে। তাহলে কি সরকারের ভেতরেও কেউ কেউ আছেন, যঁারা চুক্তি বাস্তবায়িত হোক তা চান না? এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা ভূমি বিরোধের স্থায়ী সমাধান না করে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের অন্যায় দাবির প্রতি নতি স্বীকার না করে সরকারের উচিত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো। ভূমি কমিশনের স্থগিত ঘোষিত বৈঠকটি দ্রুত আবার ডাকা হোক।

পাহাড়িদের অধিকারহীনতামঙ্গল কুমার চাকমাপ্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২২ । ০০:০০ । প্রিন্ট সংস্করণপার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈ...
10/09/2022

পাহাড়িদের অধিকারহীনতা
মঙ্গল কুমার চাকমা

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২২ । ০০:০০ । প্রিন্ট সংস্করণ

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের অব্যবহিত পর তৎকালীন সরকার চুক্তির কিছু বিষয় বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু পরে কোনো সরকারই চুক্তি বাস্তবায়নে আশানুরূপ এগিয়ে আসেনি। এমনকি চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে একনাগাড়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেনি। পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পরিবর্তে বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী স্বৈরশাসকদের পন্থায় পার্বত্য সমস্যা সমাধানের নীতি অনুসরণ করে চলেছে বলে মনে হয়। চুক্তি অনুযায়ী সব অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের পরিবর্তে বর্তমানে প্রত্যাহূত ক্যাম্পের জায়গাগুলোতে পুনরায় ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে।
পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে "'পুলিশ (স্থানীয়)' এবং জেলার আইনশৃঙ্খলার তত্ত্বাবধান ও উন্নয়ন" বিষয় দুটি ন্যস্ত না করে এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের আইন ও বিধি অনুযায়ী 'পার্বত্য পুলিশ বাহিনী' গঠন না করে সরকার সম্প্রতি প্রত্যাহূত সেনা ক্যাম্পের জায়গাগুলোতে এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমিতির স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংবাদ প্রকাশের ওপর এক প্রকার সেন্সরশিপ চলছে। ফলে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতনের খবর দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো সুকৌশলে এড়িয়ে চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম-সংক্রান্ত অনেক নিউজ পোর্টাল বন্ধও করে দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর সুপারিশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে, যার মধ্যে রয়েছে- বিদেশিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়া এবং দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তি কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্মদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিনিধি রাখার নির্দেশনা। এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে কার্যত পরিণত করা হয়েছে অবরুদ্ধ অঞ্চলে।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট হিন্দু সম্প্রদায়সহ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীগুলোকে সহিংসতা ও তাদের ভূমি বেদখল থেকে সুরক্ষা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ২৫ বছর আগে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। কিন্তু ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিশেল ব্যাচেলেট পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীন পক্ষগুলোর ওই এলাকা পরিদর্শন করার ক্ষেত্রে অবাধ অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে মন্ত্রী-আমলাদের বক্তব্য ও হাবভাব দেখে সরকার এ বিষয়ে শিগগিরই এগিয়ে আসবে, এমনটা আশা করা কঠিন। সরকার এখনও সেই নেতিবাচক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। মিশেল ব্যাচেলেটকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্বত্য চুক্তি বিষয়ে যেভাবে ব্রিফ করেছেন বলে সাংবাদিক বলেছেন, তাতে নিশ্চিত চুক্তির ৭২ ধারার মধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে মর্মে সরকার এখনও সেই শিবের গীত গেয়ে চলেছে। আর মানবাধিকার হাইকমিশনারকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিদর্শনে অনুমতি না দেওয়ার ফলে জাতিসংঘে নিঃসন্দেহে একটি নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি যদি অসত্য হতো তাহলে ব্যাচেলেটকে পার্বত্যাঞ্চল সফরে অনুমতি না দেওয়ার কোনো কারণ ছিল না।

আমরা যাঁরা পার্বত্য সমস্যার প্রকৃত রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই, তাঁরা সবাই কামনা করি এবং আশাবাদ জিইয়ে রাখতে চাই- সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান বাস্তবতা উপলব্ধি করে যদি সরকার জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের সুপারিশ আমলে নিয়ে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তা নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকার তথা দেশের জন্য হবে মঙ্গলজনক। অন্যথায় বর্তমান সরকারের আমলে দেশে অব্যাহত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং বিচারহীনতার বিষয়টি যেভাবে একটি বৈশ্বিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, সেভাবে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টিও আন্তর্জাতিক স্তরে আরও জোরালো হয়ে উঠবে, তাতে সন্দেহ নেই।

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার জবাবদিহির জন্য একটি স্বাধীন সংস্থা গঠনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার যে সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন এবং পার্বত্যাঞ্চলের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ক্ষেত্রেও জাতিসংঘের সহযোগিতার বিষয়টি এ ধরনের প্রক্রিয়ার বাইরে নয়। রাষ্ট্র ও আদিবাসীদের মধ্যকার চুক্তি, ইতিবাচক পদক্ষেপ ও সমঝোতা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও জাতিসংঘের একটা বিশেষ প্রক্রিয়া রয়েছে। যেমন- জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রস্তাব ৩৩/২৫ অনুসারে, আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কর্মব্যবস্থার (এক্সপার্ট মেকানিজম) অনুরোধক্রমে সদস্য রাষ্ট্র এবং/অথবা আদিবাসীদের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে কারিগরি সহায়তা দেয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এক্সপার্ট মেকানিজম ২০১৮ সালে ফিনল্যান্ড ও মেক্সিকো, ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ২০২০ সালে সুইডেন ও ব্রাজিলে এ ধরনের মিশন পরিচালনা করেছে। তাই সরকার আন্তরিক হলে মানবাধিকার পরিষদের অধীন এক্সপার্ট মেকানিজমের এই বিশেষ প্রক্রিয়াকে কাজে লাগাতে পারে।
জানা গেছে, জলবায়ু ও মানবাধিকারবিষয়ক নতুন স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়র শিগগিরই বাংলাদেশ পরিদর্শনে আসছেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও সে-সংক্রান্ত মানবাধিকারের সঙ্গে আদিবাসী ইস্যুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই ব্যাচেলেটের সুপারিশ অনুসারে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নসহ আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সহিংসতা ও তাদের ভূমি বেদখল থেকে সুরক্ষার বিষয়টিও আমলে নিয়ে সরকারের বিশেষ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে বিবেচনা করা যায়।

এটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, দেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা, পার্বত্যাঞ্চলের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠে এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অস্বীকার না করে বরং গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা অপরিহার্য। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সব অস্থায়ী ক্যাম্প অচিরেই বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে, যেটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির কয়েকটি সভায়ও আলোচিত হয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থেই তা বাস্তবায়ন করা অত্যাবশ্যক। তা না হলে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।

মঙ্গল কুমার চাকমা :পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক

সম্পাদকীয় ১০/০৯?২০২২প্রথম আলো
10/09/2022

সম্পাদকীয়
১০/০৯?২০২২

প্রথম আলো

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jum News CHT posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share