Bhramon Priyo Suman

Bhramon Priyo Suman ভ্রমন প্রিয় সুমনে আপনাকে স্বাগতম!

জটেশ্বর শিব মন্দির পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়া মহকুমার অন্তর্গত মহানদ গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক শিব ম...
30/07/2025

জটেশ্বর শিব মন্দির পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়া মহকুমার অন্তর্গত মহানদ গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক শিব মন্দির। এই মন্দিরটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী শৈব উপাসনার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।

এই মন্দিরের ইতিহাস বহু পুরনো। কথিত আছে, মন্দিরটি ১৮শ থেকে ১৯শ শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত হয়। মন্দিরের স্থাপত্য, চূড়ার গঠন এবং বিগ্রহের অবস্থান প্রাচীন বাংলার স্থাপত্যশৈলীর একটি অসাধারণ প্রতিফলন। জটেশ্বর নামটি “জটাধারী ঈশ্বর” তথা শিবের এক উপাধি হিসেবে প্রচলিত। প্রাচীন বটবৃক্ষ সহ মন্দিরটি ভক্তদের আন্তরিক প্রার্থনা পূরণ করে বলে বিশ্বাস করা হয়,ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত এই মন্দিরটি পরিবর্তিত সময়ের মধ্যে বিশ্বাস এবং ধারাবাহিকতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতি বছর মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে এখানে বহু ভক্ত ও তীর্থযাত্রী সমাগম করেন। শিবরাত্রি ছাড়াও সারা বছর এই মন্দির এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও হরিনাম সংকীর্তন ইত্যাদি হয়ে থাকে।

কিভাবে যাবেন : হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ধমান মেইন লাইন ট্রেনে করে সরাসরি যান পান্ডুয়া রেলওয়ে স্টেশন,পান্ডুয়ায় নেমে পান্ডুয়া চৌমাথা থেকে অটো বা টোটো নিন যা আপনাকে এই ঐতিহাসিক জটেশ্বর শিব মন্দির নিয়ে যাবে।

জটেশ্বর শিব মন্দির -এর সম্পূর্ন্ন ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন II
https://youtu.be/0Cw9Jlr4ffU

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

জামগ্রাম নন্দীবাড়ি, যা জামগ্রাম রাজবাড়ি বা জামগ্রাম জমিদার বাড়ি নামেও পরিচিত, একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি যা ভারতের পশ...
25/07/2025

জামগ্রাম নন্দীবাড়ি, যা জামগ্রাম রাজবাড়ি বা জামগ্রাম জমিদার বাড়ি নামেও পরিচিত, একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পান্ডুয়ার কাছে জামগ্রাম গ্রামে অবস্থিত Iএটি একটি প্রাচীন জমিদার বাড়ি, প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো, যার সমৃদ্ধ ইতিহাস, অসংখ্য গল্প ও পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। এই রাজকীয় সম্পত্তি নন্দী পরিবারের ছিল, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে এই অঞ্চলের অন্যতম বিশিষ্ট জমিদার পরিবার ছিল। জামগ্রাম নন্দীবাড়ির স্থাপত্য বাংলার জমিদারি যুগের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। বিশাল উঠোন, জটিলভাবে খোদাই করা স্তম্ভ, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী আটচালা শৈলীর ছাদ এবং প্রশস্ত বারান্দা সহ, রাজবাড়িটি বাংলার জমিদার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের অভিজাত জীবনধারা এবং সামাজিক মর্যাদার এক ঝলক দেখায়।

নন্দী পরিবার এই অঞ্চলের সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিল। এই নন্দীবাড়ি উৎসবের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করত, বিশেষ করে দুর্গাপূজার সময়, যা জাঁকজমক ও ভক্তির সাথে উদযাপিত হত এবং আশেপাশের গ্রাম থেকে মানুষ এখানে আসতেন। যা এখনও চলছে ,এখনও প্রতি বছর এই নন্দী পরিবার সমস্ত পুরানো রীতিনীতি বজায় রেখে দুর্গাপূজার আয়োজন করে।এই পরিবারের দ্বারা উদযাপিত দুর্গাপূজা বিশেষভাবে বিখ্যাত এবং দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এটি পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় "বোনেদি বাড়ির" ঐতিহ্যবাহী অভিজাত পরিবারের পূজাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।

যদিও সময়ের সাথে সাথে কাঠামোর কিছু অংশ জীর্ণ হয়ে গেছে, তবুও জামগ্রাম নন্দীবাড়ি এখনও বাংলার জমিদারি অতীতের নীরব সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এবং স্থানীয় গর্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছে। গ্রামীণ বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে আগ্রহীদের জন্য, এই রাজবাড়ি ঐতিহ্য, স্থাপত্য এবং উত্তরাধিকারের একটি অর্থপূর্ণ অনুসন্ধান প্রদান করে। জামগ্রাম নন্দীবাড়ি বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের, বিশেষ করে জমিদারদের জীবনধারা এবং ঐতিহ্যের এক ঝলক উপস্থাপন করে।

জামগ্রামে কীভাবে পৌঁছাবেন : হাওড়া থেকে বর্ধমান মেইন লাইন লোকাল ধরে পান্ডুয়া স্টেশনে নামুন, স্টেশনের বাইরে থেকে অটো ধরে জামগ্রামে যান এবং রাজবাড়ির সামনে নেমে যান।

#জামগ্রামজমিদারবাড়ি

জামগ্রাম নন্দী জমিদার বাড়ির সুম্পূর্ন্ন ভ্রমণ-এর ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন I
https://youtu.be/Npxhc4hm5Tk

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

১৯০ বছরের প্রাচীন পোলবার মহানাদ কালীবাড়ি,এই মন্দির দেখেই রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বরে মন্দির তৈরী করার কথা ভাবেন বলে শোনা য...
24/07/2025

১৯০ বছরের প্রাচীন পোলবার মহানাদ কালীবাড়ি,এই মন্দির দেখেই রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বরে মন্দির তৈরী করার কথা ভাবেন বলে শোনা যায়।

মহানদ কালী মন্দির, যা ব্রহ্মময়ী কালী মন্দির নামেও পরিচিত, এটি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পোলবা ব্লকের ,মহানদ গ্রামে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক পূজ্যস্থান। এই মন্দিরটি মহাদেবী কালী মায়ের উদ্দেশ্যে নিবেদিত, যিনি শক্তির প্রতীক এবং ভক্তদের জন্য আশ্রয়দাত্রী রূপে পূজিত হন। কথিত আছে, রানি রাসমণি এই মন্দির দর্শন করতে এসে এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন যে, এই মন্দির দেখার পর তিনি পরে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ফলে, মহানদ কালী মন্দির শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং এটি বাংলার কালী উপাসনার ইতিহাসে এক অনন্য প্রেরণার উৎস। হুগলি জেলার পোলবা ব্লকের মহানাদ গ্রামে কুন্তী নদীর তীরে এই মন্দির অবস্থিত। ইতিহাস বলে জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র নিয়োগী ১৮৩০ সালে মহানাদ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরটি নবরত্ন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত, যা বাংলার মন্দির স্থাপত্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানে নিয়মিত পূজা অর্চনা হয়ে থাকে।

১৮৩০ সালে মাঘ মাসে রটন্তী কালী পূজার সময়ে মন্দিরে দক্ষিণা কালীর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। যেহেতু মাঘ মাসে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তাই মাঘ মাসে হয় বিশেষ উৎসব। পুজো-পাঠ চলে সারাদিন,দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এবং হাজার-হাজার লোক ভোগ গ্রহণ করেন। কালী পুজোর সময় সকাল থেকে দুপুর আবার রাত ১০টা থেকে সারা রাত পুজো চলে। এই সময়েও প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়,দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এবং মাকে দর্শন করে পুজো দেন I

কিভাবে যাবেন : হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ধমান মেইন লাইন ট্রেনে করে যান পান্ডুয়া রেলওয়ে স্টেশন,পান্ডুয়ায় নেমে পান্ডুয়া চৌমাথা থেকে অটো বা টোটো নিন যা আপনাকে এই ঐতিহাসিক কালী মন্দির নিয়ে যাবে।

মহানদ কালীবাড়ির সম্পূর্ন্ন ভ্রমণ-এর ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন II

https://youtu.be/0Cw9Jlr4ffU

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

🎉 ফেসবুক এই সপ্তাহে আমাকে একজন ধারাবাহিক রিল নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে!
22/07/2025

🎉 ফেসবুক এই সপ্তাহে আমাকে একজন ধারাবাহিক রিল নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে!

যমুনার পূর্বে অবস্থিত বাঘনাপাড়া একটি শান্ত ও ঐতিহাসিক গ্রাম,যা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত। বাঘনাপাড়ায় ...
20/07/2025

যমুনার পূর্বে অবস্থিত বাঘনাপাড়া একটি শান্ত ও ঐতিহাসিক গ্রাম,যা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত। বাঘনাপাড়ায় গোপেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত একটি অতি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। এই গোপেশ্বর মন্দির বাগনাপাড়া ঠাকুরবাড়ি নামেও পরিচিত। এই মন্দিরটি শাক্ত, শৈব এবং বৈষ্ণব এই তিন ভিন্ন সম্প্রদায়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি সমাবেশ। এই মন্দিরটি এই গ্রামের সকল ধর্মীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু।

এটি বাঘনাপাড়া অঞ্চলে অবস্থিত এবং স্থানীয় মানুষদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও শ্রদ্ধার স্থান হিসেবে পরিচিত। বাঘনাপাড়া গোপেশ্বর মন্দির ভগবান মহাদেব প্রতি উৎসর্গীকৃত I গোপেশ্বর শিব গ্রামের একটি প্রাচীন মূর্তি, যা বাংলায় পাল রাজবংশের সময় তৈরি হতে পারে। এর পাশাপাশি এই ঠাকুরবাড়িতে আরো কয়েকটি মন্দির আছে, যেমন কানাই বলাই ও মন্দির (কৃষ্ণ এবং বলরাম)জাহ্নবা ও বসুধা মন্দির,জগন্নাথ, বলরাম মন্দির ও সুভদ্রা মন্দির ইত্যাদি বর্ধমান ও কৃষ্ণনগরের মহারাজারা তৎকালীন ভারতের মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে আদেশ পেয়ে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি এই মন্দিরগুলি তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়। জানা যায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দূর সম্পর্কের আত্মীয় এবং অনুসারী ঠাকুর রামাই অর্থাৎ রামচন্দ্র গোস্বামী কানাই এবং বলাই মূর্তি নিয়ে শ্রীবৃন্দাবন থেকে নবদ্বীপ ধামে ফিরে আসার সময় নদীর ধারে বিশ্রাম নেন। সেই সময় এই জায়গাটি ছিল ঘন জঙ্গলে, যেখানে বাঘ এবং অন্যান্য বন্য প্রাণী ছিল। বিশ্বাস করা হয় যে ঠাকুর রামাই স্বপ্নে মূর্তিগুলি থেকে এই স্থানে বসতি স্থাপনের বার্তা পেয়েছিলেন। বাঘনাপাড়া নামটি সম্ভবত "ব্যাঘ্র নাদ পাট্টা" থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো বাঘের গর্জনের এলাকা। এই জায়গায় সারা বছর ধরে এক বা অন্য উৎসব চলে। প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুরবাড়ি কমিটি একটি বড় উৎসব আয়োজন করে। এটিকে মহোৎসব বলা হয়, এটি সাত দিন ধরে চলে। এই দিনগুলিতে হাজার হাজার মানুষ প্রসাদ পান। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের দিন গ্রামবাসীদের ঘরে তৈরি তুবড়ি দিয়ে সারা রাত ধরে এক অনন্য তুবড়ি পোরানো প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

বাঘনাপাড়ায় কীভাবে যাবেন:

কলকাতা বা হাওড়া থেকে শহরতলির ট্রেন পরিষেবায় বাঘনাপাড়া যাওয়া যায়। হাওড়া, কাটোয়া এবং ব্যান্ডেল থেকে লোকাল ট্রেনগুলি বাঘনাপাড়া রেলস্টেশনে থামে। শিয়ালদহ থেকে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় একটি ট্রেন পরিষেবা পাওয়া যায়, যা বাঘনাপাড়ায় থামে।

বাঘনাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে, এই মন্দির কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর জন্য একটি টোটো রিকশা বা অটো নিন, এই স্থানে পৌঁছাতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগবে।

আরও বিস্তারিত জানার জন্য চিরঞ্জীব দা (এই মন্দিরের পুরোহিত) কে কল করুন: 9733067277

বাঘনাপাড়া ঠাকুরবাড়ির সম্পূর্ন্ন ভ্রমণ-এর ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন II

https://youtu.be/z9ccUMm456o

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

মৌসুনি দ্বীপ হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার অন্তর্গত একটি শান্ত, নির্জন ও মনোরম দ্বীপ। এটি নামখানা ব্ল...
16/07/2025

মৌসুনি দ্বীপ হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার অন্তর্গত একটি শান্ত, নির্জন ও মনোরম দ্বীপ। এটি নামখানা ব্লকের অন্তর্গত এবং বাগনা নদীর ধারে অবস্থিত। এটি নামখানার কাছে অবস্থিত এবং পশ্চিমে সাগর দ্বীপ থেকে মুরি গঙ্গা নদী এবং পূর্বে বাকখালি উপকূল থেকে চিনাই নদী দ্বারা পৃথক করা হয়েছে। কলকাতা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপটি সমুদ্রপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এই দ্বীপে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য, নিরবতা,ঝাউবন,বালুকাবেলা,মাছ ধরার নৌকা, কাঁকড়ার চলাফেরা ও গ্রামের জীবনযাত্রার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা যায়, সব মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয় পর্যটকদের। দ্বীপটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর অপরূপ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত, যা পর্যটকদের মনে এক স্থায়ী ছাপ ফেলে। মৌসুনি দ্বীপ একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল উপকূলবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীব, পাখি ও জলজ উদ্ভিদের দেখা মেলে। এখানে কাঁকড়া চাষ খুব জনপ্রিয় এবং দ্বীপের বহু মানুষ এই কাঁকড়া চাষ ও মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। শীতকালে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখিও এখানে আসে।

এখানে রাত্রিবাসের জন্য অনেক ধরণের ক্যাম্প আছে, এই সব থেকে আমি "আনন্দধারা" নামে একটি ক্যাম্পের ঠিকানা,ফোন নাম্বার ইত্যাদি দিলাম,যেখানে আমি ছিলাম।

" আনন্দধারা ক্যাম্প "
ঠিকানা : মৌসুনি দ্বীপ, বালিয়ারা, পশ্চিমবঙ্গ, 743357
ইমেইল : [email protected]
ফোন নম্বর : 7602370201 / 7872218417

মৌসুনি দ্বীপে কিভাবে যাবেন : মৌসুনি দ্বীপে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে প্রথমে শিয়ালদহ থেকে নামখানা ট্রেন ধরে নামখানা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। এরপর অটো, টোটো নিয়ে পাতিবুনিয়া ঘাটে পৌঁছান,পাতিবুনিয়া ঘাট থেকে নৌকা ধরে চিনাই নদী পার হয়ে তার পরে আবার
টোটো নিয়ে মৌসুনি দ্বীপ আনন্দধারা প্রজেক্ট ক্যাম্পে পৌঁছাতে হবে।

মৌসুনি দ্বীপের সুম্পূর্ন্ন ভ্রমণ-এর ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন II
https://youtu.be/EwNnEVjjONg

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

দেবীপুর পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকে অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম। দেবীপুর জেলা সদর দপ্তর বর্ধমান থেকে ৩৯ কিলোমিটা...
13/07/2025

দেবীপুর পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকে অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম। দেবীপুর জেলা সদর দপ্তর বর্ধমান থেকে ৩৯ কিলোমিটার,মেমারি ১ নম্বর ব্লক থেকে ৫ কিলোমিটার এবং কলকাতা থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই দেবীপুরে সিংহ জমিদার বাড়ির কিছু নিদর্শন রয়েছে,যেমন লক্ষ্মী জনার্দন মন্দির , জোড়া টেরাকোটা শিব মন্দির এবং দোল মঞ্চও প্রভৃতিI এই সব মন্দিরে পূজিত দেবতারা হন মহাদেব, রাধা-কৃষ্ণ এবং বামাকালী। দেবীপুরে এক সময় নরোত্তম সিংহ নামের এক জমিদার ছিলেন I সোনা যায় ১৮৪০ সালে এই নরোত্তম সিংহ লক্ষ্মী জনার্দন মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য বর্ধমান অঞ্চলের দেওয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে কিনেছিলেন। বর্তমানে এই লক্ষ্মী জনার্ধন মন্দিরটি পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সেরা টেরাকোটা মন্দিরগুলির মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়। মন্দিরটি তার ষাট ফুট উঁচু 'শিখর'-এর জন্যও জনপ্রিয়, যা ঐতিহ্যবাহী 'রেখ-দেউল' শৈলীতে সজ্জিত। লক্ষ্মী জনার্দন মন্দির কমপ্লেক্স থেকে কয়েক মিটার দূরে একটি একক আটচালা জোড়া শিব মন্দির রয়েছে,এই আটচালা জোড়া শিব মন্দিরটি মধ্যে উঁচু খোলা দোল মঞ্চ রয়েছে, যেটি একটি প্ল্যাটফর্মের উপর ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল I যার সম্মুখভাগে সুন্দর সারিবদ্ধ পোড়ামাটির অলঙ্করণ রয়েছে,যেটি প্রত্যেকেই আকর্ষণ করে I এর পাশাপাশি এখানে আছে বেশ কয়েকটি বিশাল পুরনো সিংহ জমিদার বাড়ি,যা এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেI

এছাড়াও এই দেবীপুরে একসময় "অর্পন" নামের একটি বাংলা ছবি শুটিং হয়েছিল ১৯৮৭ সালে।এই চলচ্চিত্রে দেবশ্রী রায়, তাপস পাল এবং আরও অনেক পরিচিত অভিনেতা এবং অভিনেত্রী সেই সময় এই দেবীপুরে শুটিং করেছিলেন I তাই যদি হাতে সময় থাকে, তাহলে কয়েক ঘন্টার জন্য দেবীপুর ঘুরে আসতে পারেন এবং ইতিহাস এর সাক্ষী থাকতে পারেন I এটি একদিনের ভ্রমণের গন্তব্য, এই দেবীপুরে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলি দেখতে সাধারণত দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে, তাই এখানে রাত্রিযাপনের কোনও প্রয়োজন নেই।

দেবীপুরে কীভাবে পৌঁছাবেন: হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ধমান মেইন লাইনে দেবীপুরের জন্য লোকাল ট্রেন ধরুন। তারপর দেবীপুর স্টেশন থেকে শিবতলা পৌঁছাতে হবে, যা দেবীপুর স্টেশন প্রায় ৫ কিমি দূরে।এই শিবতলাতে পৌঁছানোর জন্য দেবীপুর স্টেশন থেকে স্থানীয় যানবাহন (বাস, টোটো এবং অটো) পাওয়া যায়, যে কোনো একটা করে পৌঁছে যান এই জায়গায় এবং হাঁটা পথে ঘুরে দেখতে পারেন এই সব জায়গাগুলো I দেবীপুর জাতীয় সড়ক ১৯ এবং জিটি রোড সড়কপথ দ্বারাও সংযুক্ত।

দেবীপুরের সুম্পূর্ন্ন ভ্রমণ-এর ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনI
https://youtu.be/-LqQiSIW3K0

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন গ্রাম হলো বৈদ্যপুর,যার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এই গ্রামটি বিশেষ...
11/07/2025

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন গ্রাম হলো বৈদ্যপুর,যার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এই গ্রামটি বিশেষ করে নন্দী পরিবার এবং মনসা মঙ্গল কাব্যের সাথে এর সংযোগের জন্য পরিচিত। এই গ্রামটি তার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির জন্যও পরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে জোড়া দেউল এবং নন্দী পরিবারের দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন মন্দির এবং প্রাসাদ।এই গ্রামের নাম মনসামঙ্গল কাব্যে দেওয়া আছে। চাঁদ সৌদাগরের পুত্রবধূ বেহুলা যখন তার মৃত স্বামী লখিন্দরকে নৌকায় করে এই জায়গার উপর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এই গ্রামের চিকিৎসকরা লখিন্দরকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা ব্যর্থ হন। স্থানীয় ভাষায় ডাক্তারদের 'বৈদ্য' বলা হত, তাই তখন থেকেই এই গ্রামের নামকরণ করা হয় বৈদ্যপুর। বৈদ্যপুর নন্দীর জমিদারবাড়ির জন্যও পরিচিত, আপনি এখানে নন্দীদের পুরানো জমিদারবাড়ি, কাচারিবাড়ি, পূজাবাড়ি, বৈঠাখানা, রাস মঞ্চ, দোল মঞ্চ এবং শুভানন্দ পালের 1550 সালে নির্মিত একটি সুন্দর জোড়া দেউল দেখতে পাবেন। বৈদ্যপুরের মন্দিরগুলির গায়ে থাকা টেরাকোটা ফলকগুলিতে রামায়ণ, মহাভারতের কাহিনী, কৃষ্ণলীলা, শিকার দৃশ্য এবং লোক জীবনের বিভিন্ন চিত্র অঙ্কিত রয়েছে। এগুলি প্রমাণ করে যে এই অঞ্চল কেবল ধর্মীয়ভাবে নয়, সাংস্কৃতিক ভাবেও সমৃদ্ধ ছিলো I সকল পর্যটনের জন্য আগ্রহীদের বলব, একদিন সময় করে এই বৈদ্যপুর ঘুরে আসুন টেরাকোটা শিল্পের নিপুণতা ও বাংলার ঐতিহ্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

বৈদ্যপুরে কীভাবে যাবেন :বৈদ্যপুরের সবচেয়ে কাছের স্টেশন হল বৈঞ্চি,যা হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনে পড়ে। হাওড়া থেকে ৯০ মিনিটের ট্রেনে বৈঞ্চিতে পৌঁছাতে পারেন। সেখান থেকে বৈদ্যপুরে পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় যানবাহন পাওয়া যায় (বাস, টোটো এবং অটো)। অম্বিকা কালনা থেকেও বৈদ্যপুরে পৌঁছানো যায়, হাওড়া-কাটোয়া লাইন থেকে লোকাল ট্রেনে অম্বিকা কালনা যান। অম্বিকা কালনা স্টেশনে পৌঁছাতে ২ থেকে ২.৩০ ঘন্টা সময় লাগবে,যেখান থেকেও বৈদ্যপুরে পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় যানবাহন পাওয়া যায় (বাস, টোটো এবং অটো)। এই দুটি পথেই আপনারা বৈদ্যপুরে পৌঁছাতে পারেন II

এটি একদিনের ভ্রমণের গন্তব্য। বৈদ্যপুরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলি ঘুরে দেখতে সাধারণত দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে। তাই এখানে রাত্রিযাপনের কোনও প্রয়োজন নেই।

বৈদ্যপুরে সুম্পূর্ন্ন ভ্রমণ-এর ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন I
https://youtu.be/CkiU-0pDlrU

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

নদীয়ার শান্তিপুর একটি সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক গঙ্গা  তীরবর্তী জনপদ। প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন এই জনপদ বাংলার শিক্ষা, সংস্...
09/07/2025

নদীয়ার শান্তিপুর একটি সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক গঙ্গা তীরবর্তী জনপদ। প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন এই জনপদ বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতির পীঠস্থান ও তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।এই শান্তিপুরের কাছে বাবলা নামক স্থানে আম বাগানের মধ্যে "শ্রী শ্রী অদ্বৈত পাট" অবস্থিত।শান্তিপুর শহরের বাবলা অঞ্চলে অবস্থিত " শ্রী শ্রী অদ্বৈত পাঠ " একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এটি বৈষ্ণব ধর্মমতের একজন মহান প্রচারক ও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষাগুরু শ্রীঅদ্বৈত আচার্যের স্মৃতিবিজড়িত সাধনপীঠ। বৈষ্ণবদের কাছে তিনি মহাবিষ্ণু বা শিবের অবতার রূপে পূজিত হন। তার প্রকৃত পৈতৃক বাসভূমি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জেলাতে। অদ্বৈতাচার্যের বাল্যকালের নাম কমলাক্ষ। বার বছর বয়সে তিনি শান্তিপুরে আসেন স্মৃতি শাস্ত্র ও ন্যায় শাস্ত্র পড়ার জন্য।বিদ্যাশিক্ষা শেষ করে তিনি স্থায়ীভাবে শান্তিপুরে থেকে গিয়েছিলেন।এই পবিত্র ক্ষেত্রে শ্রীঅদ্বৈতাচার্য জীবের দুঃখ-কষ্ট মোচনের জন্য কঠোর তপস্যায় ভগবানের আরাধনা করেছিলেন। এই আরাধনা ক্ষেত্রেই শচীমাতা তাঁদের পরম পূজ্যপাদ গুরুদেব শ্রীঅদ্বৈত প্রভুর আশীর্বাদপূত তুলসীমঞ্জরী সেবনেই শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গসুন্দরকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন।ঠিক এই জায়গায় চৈতন্যদেব, নিত্যানন্দ মহাপ্রভু ও অদ্বৈতাচার্যের মিলন ঘটেছিল এই শান্তিপুরে। এছাড়াও শ্রীহরিদাসের অদ্বৈতপ্রভুর কাছে দীক্ষালাভ এই আশ্রম ভূমিতেই।

কিভাবে পৌঁছাবেন : শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনটি শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন (মূল অংশ) থেকে পরিচালিত ইএমইউ রেল পরিষেবা দ্বারা রেলপথে সুসংযুক্ত। এই শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শান্তিপুরে যাবার প্রচুর লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। সেখান থেকে ট্রেন পথে শান্তিপুর পৌঁছে স্টেশনের বাইরে থেকে এই জায়গায় পৌঁছানোর জন্য অটো বা টোটো বুক করে নিন,এবং পৌঁছে যান এই পবিত্র স্থানে।শান্তিপুর গঙ্গা নদীর (হুগলি) মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা এবং হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ার সাথেও সংযুক্ত। প্রয়োজন হলে আপনারা Google Maps এর সাহায্য নিতে পারেন II

টোটোর জন্য যোগাযোগ করুন নিরঞ্জন কর (ফোন - 6294208665)

এই ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে আরও জানতে,নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন I
https://youtu.be/KsbUdMcYtBI

"ভ্রমন প্রিয় সুমন"

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhramon Priyo Suman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bhramon Priyo Suman:

Share