10/08/2024
From ...
জানি না কে দায়ী। কিন্তু নাটক অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। বাইরের একজন সামান্য সিভিক পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে সেমিনার হলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে এইরকম একটা কাণ্ড ঘটিয়ে, এবং যাতে পুলিশ তাকে টুক করে ধরে ফেলতে পারে, তাই তার হেডফোনটাও ওই সেমিনার হলে ফেলে, পালিয়ে গেল। কী বোকা বোকা স্ক্রিপ্ট বানাচ্ছে পুলিশ!!! এবং এইধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে সবসময়েই সেখানকার সিসিটিভি খারাপ থাকে বলে জানা যায়। তো, এত তড়িঘড়িই বা কিসের? তদন্তের জন্যও তো কিছুটা সময় লাগে! এত তড়িঘড়ি এত বোকা বোকা স্ক্রিপ্ট বানানোর দরকার হয় তখনই, যখন আসলে কোনো খাস লোককে আড়াল করার দরকার হয়। সে কে -- এটাই প্রকাশ্যে আসা দরকার। এভাবে দু-একটা চুনোপুঁটিকে বলির পাঁঠা করে এগিয়ে দিয়ে, রাঘব বোয়ালদের আড়াল করার এই খেলাটা এখন সবাই বোঝে।
এর মধ্যে আবার R.G. Kar Medical College and Hospital এর প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ স্টেটমেন্ট দিয়েছেন যে মৃত ছাত্রীটির নাকি রাতে একা সেমিনার হলে ঘুমানো বা থাকা উচিত হয়নি। চমৎকার! তো, মেয়েটিকে গিয়ে সেমিনার হলে ঘুমোতে হলো কেন? তাদের প্রপার বিশ্রামের জায়গার ব্যবস্থা আপনি কেন করে দেননি? আর এখন এসব নীতিকথা শোনাতে এসছেন যে সন্দীপ ঘোষ, তার নিজের ইতিহাস কী? তার নামে রয়েছে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ (চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা, চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করা, হাসপাতালের পরিকাঠামো বিষয়ে, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টিফিনের বরাত— সর্বত্র। এবং এসব ক্ষেত্রে কাটমানি প্রথায় ব্যক্তিগতভাবে তিনি লাভবান হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন আরজি করের প্রাক্তন নন-মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এমনকি টাকা নিয়ে বদলিরও অভিযোগ আছে।) যার ভিত্তিতে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ তাকে আরজিকরের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নোটিস জারি করা হয়। স্বাস্থ্যভবন থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর পদে পাঠানো হয় তাকে। তবে কোনো ম্যাজিকে সে নির্দেশ পাল্টে যায় ৯ই অক্টোবরই। ফের তিনি ফিরে আসেন আরজি করে। এমনকি এর আগেও একবার বদলির নির্দেশিকা জারি হয়েছিল তাঁর নামে। এবং সেবারও কোনো ম্যাজিকে ৪৮ ঘণ্টার ঘণ্টার মধ্যে তা বদলে যায়। এইরকম এক বিরল শ্রেণীর রত্ন, তার মুখেই তো এমন নীতিবাক্য মানায়! সত্যিই তো, মেয়েটারই তো দোষ! প্রিন্সিপাল ঠিক কাকে বা কাদের আড়াল করতে চাইছেন?