https://www.facebook.com/136025806254687/

Sharmin Tori, KOLKATA (2025)

26/05/2025

গাইজ, হোন্ডাকে এমন মডিফাই করলে কেমন হবে🤪
সান্ডা❎ হোন্ডা✅

24/05/2025

পুরো একটা জেনারেশন দেখলো শাশুড়ির কারনে..🥲

゚

22/05/2025

১৩ বছরের ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়েটিকে ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন, “বড় হয়ে কী হতে চাও মা?”
মেয়েটি হেসে বলল, “শুধু বড় হওয়া পর্যন্ত বাঁচতে চাই…”

যার হাত নেই, সে ভাবে—“যদি আমার দুটো হাত থাকতো!”
যার পা নেই, তার একটাই স্বপ্ন—“একদিন স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে চাই।”
অন্ধের ইচ্ছা—“একটাবার পৃথিবীটাকে দেখতে চাই।”
বোবার আকাঙ্ক্ষা—“একটাবার কথা বলতে পারলেই হতো!”

আর আমরা… সব কিছু পেয়েও বলি, “ভালো লাগছে না, ডিপ্রেশন যাচ্ছে না!”

তুমি যে চোখে এই লেখাটা পড়ছো, অনেকে সে চোখের আলোই পায়নি।
তুমি খেতে পাচ্ছো, চলতে পারছো, কথা বলতে পারছো—এই সবই কারো স্বপ্ন!

শিক্ষা: জীবনে যা নেই, শুধু সেটাই দেখলে কখনো সুখী হতে পারবে না।
একবার ভাবো—তোমার যেটা আছে, অনেকের সেটা কল্পনারও বাইরে।
কৃতজ্ঞ হও, কারণ তুমি এখনো বেঁচে আছো।

17/05/2025

পৃথিবীতে যত বিবাহিতা মেয়ে আছে, তাদের মধ্যে আমি যেন সবচেয়ে বেশি কষ্টে ডুবে আছি। বাবা-মা বেঁচে আছেন, অথচ গত পাঁচ বছর ধরে আমি তাদের "মা" বা "আব্বা" বলে ডাকতেও পারিনি।

আমার স্বামী আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে, বাবা-মায়ের অমতে। এক বছর পর আমাদের বিয়ে মেনে নেয় তারা। আমার স্বামী একজন পরিশ্রমী, বুদ্ধিমান মানুষ। তার চেষ্টা আর মেধায় আমাদের সংসারে অর্থের অভাব নেই। আমি এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হয়েও এমন কোনো চাহিদা ছিল না, যেটা সে পূরণ করতে পারেনি। আল্লাহ সহায় থাকলে আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

তবুও, আজ আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। কারণ পাঁচ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা আমাদের দুই পরিবারের মাঝে এক অসীম দেয়াল তুলে দিয়েছে।

তখন আমার একমাত্র দেবরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। চার দিন কাটিয়ে ফেরার সময় মা বললেন, “সাজনা গাছের কিছু ডাঁটা নিয়ে যা।” আমি তখন রান্নায় ব্যস্ত। হঠাৎ করে কান্নাকাটি আর চিৎকারে কেঁপে উঠলো বাড়িটা। ছুটে গিয়ে দেখি, আমার ছোট দেবর সাজনা গাছে উঠে কাঁচা ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গেছে। গাছসহ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে ঝুলে আছে—নিষ্প্রাণ। আর আমার মা নিচে কাঁদছে, সবাইকে ডাকছে।

মা বললো, “তোর দেবর নিজেই গাছে উঠেছিল, আমি উঠতে বলিনি। কিন্তু উঠার পর বলেছি ডাঁটা পাড়তে।”

সব শেষ। একদম শেষ হয়ে গেল সবকিছু।

খবর পেয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ছুটে এলো। লাশ নামিয়ে থানায় মামলা করলো, আমার বাবার বাড়ির সবার নামে। পুলিশ আনলো। আমার বাবার বাড়িতে এক ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর করলো। সবাই পলাতক। আমাকে লাশ আর চোখের জল নিয়ে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে গেল।

তখনই আমার স্বামী জানিয়ে দিল, “জীবনে যদি আর কোনোদিন বাপের বাড়ির কারো সঙ্গে যোগাযোগ করো—তোমাকে জবাই করে ফেলবো।”

আমার মা আগে থেকেই একটু রাগী আর ঝগড়াটে স্বভাবের। সবাই জানে। কিন্তু আমি জানি, মা আমার দেবরকে গাছে উঠতে বলেননি। আমার স্বামী আর শাশুড়ি ভুল বুঝেছে তাকে। কিন্তু তারা কিছুতেই সেটা মানে না। এখনো সেই রাগ, সেই ক্ষোভ বহমান। পঞ্চম বর্ষেও দুই পরিবারের মাঝের বরফ গললো না।

এই পাঁচ বছরে আমি মায়ের সাথে একবারও কথা বলতে পারিনি—ভয়ে, শঙ্কায়। তবে দুই দিন আগে সাহস করে অন্য কারো ফোনে মায়ের সাথে একটু কথা বলেছিলাম। আর এতটুকুতেই আমার স্বামী আমাকে গলা চেপে ধরে রাস্তায় ফেলে দেয়।

সে আমাকে ভালোবাসে—যতক্ষণ না আমি আমার বাবা-মায়ের নাম নেই। আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সবাই আমাকে ভালো রাখে, যতক্ষণ আমি "ওই বাড়ি"র কথা ভুলে থাকি।

আমার স্বামী বারবার বলে, “তোমার বাবা-মায়ের বাড়িতে তোমাকে ছাড়া আর কেউ ভালো নয়।” কিন্তু আমি জানি, মা খারাপ নন। তার সেই একটা ভুল সিদ্ধান্তই সবকিছু শেষ করে দিল।

অর্থনৈতিকভাবে যতই নিরাপদ থাকি না কেন, আমি এক চরম মানসিক অশান্তিতে ভুগছি—বাবার বাড়িকে হারিয়ে, মাকে না ডাকতে পারার যন্ত্রণায়। পাঁচ বছরে আমি দুই পরিবারকে এক করতে পারিনি।

আমি কী করলে পারি? কী করলে আমার মা আর আমার স্বামী আমাকে একসাথে মেনে নেবে? কী করলে আমি আবার "মা" বলে ডেকে বুক ভরে কাঁদতে পারব, আবার "আব্বা" বলে জড়িয়ে ধরতে পারব—ভয় ছাড়া, নিষেধ ছাড়া?

17/05/2025

মায়ের আবদারকে সম্মান জানাতে, হবু পাত্রের সাথে প্রথমবার একা দেখা করতে রাজি হয়েছিলাম। জায়গা নির্ধারণ হয় উত্তরার এক অপেন-এয়ার রেস্টুরেন্টে, সন্ধ্যার পর। চারপাশে নরম আলো, হালকা সুর আর নীরবতা মিশে ছিল এক অদ্ভুত অচেনা শ্বাসে।

আমরা মুখোমুখি বসলাম। আলাপ জমছিল ধীরে ধীরে। কথার প্রবাহে একসময় ছেলেটি জিজ্ঞেস করলো,

— “আপনি কি পরিমাণ মোহর আশা করেন?”

আমি একটু হেসে বললাম,
— “আমার এক বান্ধবীর বিয়ে হয়েছে ১৫ লাখ টাকার মোহরে। আমার এর কমে হলে... ভালো দেখায় না, তাই না?”

সে কিছুই বললো না। শুধু মাথা নেড়ে মুচকি হাসল। নীরব সম্মতি হয়তো। এরপর আমরা নিজেদের অনেক কিছুই শেয়ার করলাম— পছন্দ, অপছন্দ, স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বিদায়ের সময় কেমন যেন একটা বিশ্বাস জমেছিল দু’জনের মাঝখানে।

কিন্তু সকালবেলা, মায়ের মুখে খবর পেলাম— পাত্রপক্ষ বিয়েতে অপারগতা জানিয়েছে।

একটু থমকে গিয়েছিলাম। খুব সামান্য না, বেশ ভালো রকম অপমানিতও বোধ করলাম। আমি চেয়েছিলাম, যদি 'না' বলার কেউ থাকে, তবে সেটা যেন আমি হই।

কল দিলাম ছেলেটিকে। জানতে চাইলাম কারণ।

ও খুব স্বাভাবিক গলায়, শান্ত ভঙ্গিতে বলল,
— “আমার এক বন্ধুর বিয়ে হয়েছে তার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের সাথে। এখন আমি যদি এমন ‘সুন্দরী’ কাউকে না পাই, তাহলে আমার তো সমাজে মুখ থাকবেনা!”

এক মুহূর্তের জন্য যেন কানে কিছুই আসছিল না। কথাগুলো আমার ভেতরের আত্মসম্মানটাকে ছিন্নভিন্ন করে দিলো।

আমি কি তবে সুন্দরী নই?

নিজের মুখের আয়নায় তাকিয়ে, চোখের কোণে জমে থাকা কান্না গোপন করে ভাবছিলাম— এই ছেলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়? 😆

17/05/2025

আমার বিয়েটা হয়েছে প্রায় এক বছর হতে চললো।
ভালোবাসার মেয়েটাকে বিয়ে করেছিলাম মাত্র ২-৩ মাসের পরিচয়ের পরেই।
হঠাৎ করেই—হ্যাঁ, হঠাৎ করেই, প্রেমে পড়ে যাওয়া, আর জীবনটা একসাথে বেঁধে ফেলা।

ওর পরিবার জানে না, আমার পরিবারও না।
শহরের একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে দুজনে মিলে সংসার গুছিয়ে নিয়েছি।
আমি মাস্টার্স করছি ভার্সিটিতে, পাশাপাশি টিউশনি আর কোচিং করিয়ে সংসার চালাই।
ও পড়াশোনা করছে শহরের এক কলেজে।

সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল... মনে হচ্ছিল এই বুঝি জীবনের শান্তি খুঁজে পেয়েছি।
কিন্তু একদিন—একটা প্রশ্ন করেছিলাম ওকে:
"তোমার আগের সম্পর্কটা কেমন ছিল? শারীরিক কিছু হয়েছিল?"
প্রথমে মুখে না, তারপর একটু জোর করতেই স্বীকার করলো—
এক রাত, হ্যাঁ, এক রাত ওর প্রাক্তনের সাথে হোটেলে ছিল।

আমার বুকটা ফেটে গিয়েছিল সেদিন।
তবুও ভালোবেসে ছিলাম, মাফ করে দিয়েছিলাম।
ভাবলাম, অতীত তো সবারই থাকে। আমরা ভবিষ্যৎ গড়বো।
কিছুদিন পর কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
আমার দু-একজন বন্ধু ছিল সাক্ষী হিসেবে।

বিয়ের পর বুঝলাম, অতীতটা অত সহজে হারিয়ে যায় না।
ওর আগের পরিচিত ছেলেরা ফোন করত, কখনো লুকিয়ে কথা বলতো।
ধরে ফেললে কান্নাকাটি করতো, বলতো "আর হবে না"।
মাফ করতাম, কিন্তু মনের ভেতর সন্দেহ জমে যাচ্ছিল চুপচাপ।

শেষমেশ ও নিজেই একদিন স্বীকার করলো—
"হ্যাঁ, অনেক ছেলের সাথে কথা বলতাম। বাইকে ঘুরতাম, হাতে হাত রেখে পার্কে বসতাম।"
আর একদিন নিজের হাতে ওর ফোনে একটা ছবি পেলাম—
হাতে হাত ধরে, চোখে চোখ রেখে হাসছে ও আর এক ছেলে।

সব জেনেও থেকে গেলাম, ভালোবেসে।
তবু রাগ থামাতে পারিনি।
একদিন মারার মতো অবস্থা হয়েছিল রাগের মাথায়।
ভাবলাম ও চলে যাবে, কিন্তু যায়নি।
উল্টে বললো—
"মারলেও থেকে যাবো তোমারই কাছে।"

তারপর আমি প্রতিশোধ নিতে চাইলাম।
ওর প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের নামে ফেক চ্যাট বানালাম, দেখালাম ওকে—
জিজ্ঞেস করেছি, ওর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল।
ও তখন মুখ নিচু করে বললো—
"হ্যাঁ, শুধু এক রাত নয়। চার-পাঁচ দিন হোটেলে থেকেছি ওর সঙ্গে।
প্রতিবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। পার্কেও চুমু খেয়েছি।"

বুকটা ছিঁড়ে গিয়েছিল সেদিন।
ঘৃণা হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল—এই মেয়েটার পাশে আর থাকা যায় না।
বলেছিলাম—"তোমার সঙ্গে আর এক মুহূর্তও নয়। ডিভোর্স দেবো।"
ও কেঁদে ফেললো, আমি চুপ করে বসে রইলাম একপাশে।

কেন জানি না, তবুও ছাড়তে পারলাম না ওকে।
হয়তো ও-ই আমার প্রথম, সবকিছুই তো ওর সঙ্গে শুরু...

কিন্তু ভুলতে পারছি না।
মাফ করেও বুকের ভেতর যে রক্তক্ষরণ থামছে না।
আর আজকাল?
ও সংসারের কোনো কাজ করতে চায় না, সারাদিন ফোনে ভিডিও দেখে।
একটু কিছু বললেই রেগে যায়।
আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।
সবসময় মনে হয়—এই সম্পর্ক কি সত্যিই আমার?

সামনে জবের পরীক্ষা।
কিন্তু মন বসাতে পারি না।
পড়া নিলে মাথায় ঢোকে না কিছুই।
মনের মধ্যে কেবল একটা কণ্ঠস্বর—
"না পারছি ভালোবাসতে, না পারছি ছাড়তে..."
আমার এখন করনীয় কি কেউ বলতে পারেন?

17/05/2025

কখনো ভাবিনি জীবনে এমন অদ্ভুত একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হব। গত শুক্রবারের কথা। বাবার পুরোনো বন্ধু আজিজ চাচার মেয়ের বিয়েতে আমাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হলো। মেয়েটির নাম তানিয়া আর আমি রাকিব। তাকে আমি এক-দুবার দেখেছি, বাবার কাছে শুনেছি সে নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, বুদ্ধিমতী। দেখতে শ্যামলা, হাসিখুশি, তবে সে যে রূপের রানি তা বলা যায় না। তবে কথাবার্তায় বেশ স্মার্ট। আমি বিয়েবাড়ির ভিড়ে কোনোমতে এক প্লেট বিরিয়ানি আর দুটো চিকেন রোস্ট গিলে পেছনের দিকে এসে বসলাম। বিয়েবাড়ির আসল মজা তো খাওয়া, তাই না?

হঠাৎ বাবা এসে আমার পাশে দাঁড়ালেন। মুখটা গম্ভীর। বললেন,
“রাকিব, একটু এদিকে আয়। সমস্যা হইছে।”

“কী সমস্যা, বাবা?” আমি ভ্রূ কুঁচকে তাকালাম।

“ছেলেটা... মানে বর, সে নাকি দুবাইয়ে আরেকটা বিয়ে করছে। সেখানে তার বউ-বাচ্চা আছে!”

“কী!” আমি প্রায় লাফিয়ে উঠলাম। “এটা আগে জানত না?”

“না, জানত না। ছেলেপক্ষ লুকাইছে। এখন আজিজের মান-সম্মানের প্রশ্ন। এত লোকজন, আত্মীয়-স্বজন। এখন বিয়ে ভাঙলে কী দশা হবে ভাব!”

“তো... এখন কী করবে?” আমার মাথা ঘুরছে।

বাবা একটু ইতস্তত করে বললেন, “আমি ভাবছি, তুই বিয়েটা কর।”

“কী বললেন?” আমি হতভম্ব। “এটা কীভাবে সম্ভব, বাবা? আমি তো এখনো ঠিকঠাক চাকরি করি না। মাসে যা পাই, তা দিয়ে নিজের খরচই চলে না। একটা মেয়ের দায়িত্ব নেব কীভাবে?”

বাবা হেসে বললেন, “আরে, তানিয়া কি কচু-আলু খেয়ে বড় হইছে নাকি? ওরা তো বেশ ভালো অবস্থার। তুই চিন্তা করিস না, আমি সব ম্যানেজ করব।”

আমি টেবিলের ওপর রাখা পানির বোতলটা হাতে নিয়ে গলা ভিজিয়ে নিলাম। তানিয়া নামটা মাথায় ঘুরছে। মেয়েটা কি এই ঝামেলার কিছু জানে?

“আম্মার সাথে কথা বলা উচিত না?” আমি শেষ চেষ্টা করলাম।

“তোর আম্মাকে আমি বুঝাব। তুই আয়।”

বাবার পেছন পেছন যেতে যেতে স্টেজের দিকে তাকালাম। তানিয়া শান্ত মুখে বসে আছে, পাশে তার মা আর কয়েকজন আত্মীয়। মনে হচ্ছে, সে এখনো কিছু টের পায়নি।

আমাদের বাসা মিরপুরে, একটা তিনতলা বাড়ি। বাবা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, পেনশন আর ভাড়ার টাকায় সংসার চলে। আমি তিন ভাইবোনের মাঝের জন। বড় ভাই চাকরি করে, ছোট বোন কলেজে পড়ে। আমার নিজের আয়? মাসে বিশ হাজার টাকা, তাও ফ্রিল্যান্সিং করে। এর মধ্যে বাইরে খাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, আর মোবাইল রিচার্জে সব শেষ।

ইতোমধ্যে ছেলেপক্ষ আজিজ চাচাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। “আরে, দুবাইয়ে একটা বিয়ে থাকলে কী হয়েছে? দেশে তো কেউ নেই। মেয়ের কোনো সমস্যা হবে না।”

বাবা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। “বাটপার! একটা বিয়ে করে আবার বিয়ে করতে আসছে? ভাগো এখান থেকে!”

আজিজ চাচা হতাশ মুখে বাবার দিকে তাকালেন। বাবা ঘোষণা দিলেন, “আজিজ, মেয়েকে ডাকো। তানিয়ার বিয়ে হবে রাকিবের সাথে!”

সবাই হতভম্ব। আমি তো আরো বেশি। তানিয়াকে ডেকে বলা হলো, “তোমার বিয়ে ওই ছেলের সাথে হচ্ছে না। রাকিবের সাথে হবে।”

আমি একটা নীল শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে আছি। চারপাশে সবাই পাঞ্জাবি আর শেরওয়ানিতে ঝলমল করছে। আমি যেন একটা অচেনা গ্রহের প্রাণী।

তানিয়া আমার দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলল, “আঙ্কেল, উনি কি বিয়েতে রাজি? মুখটা কেমন ফ্যাকাশে লাগছে। জোর করে তো বিয়ে দিচ্ছেন না?”

বাবা হেসে বললেন, “আরে, ওর মুখ সবসময় এমন থাকে। খায়-দায় না বলে!”

আমি মনে মনে ভাবলাম, মাত্রই তো তিন প্লেট বিরিয়ানি আর দুটো রোস্ট গিলেছি। এখনো পেট ভার। তবু মুখ শুকনো করে চুপচাপ সই করলাম। তানিয়াও স্বাভাবিকভাবে সই করল।

বিয়ে হয়ে গেল। আধ ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ। আগের বরপক্ষ চলে যাওয়ার সময় আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে গেল। মনে মনে ভাবলাম, এরা কি আমাকে পাগল ভাবছে?

বিয়ের পর খাওয়ার ব্যাপারে একটু বিব্রতকর পরিস্থিতি হলো। ছেলেপক্ষের অনেকে খাওয়া বাকি ছিল, কিন্তু তারা আর থাকল না। ফলে প্রায় ষাট-সত্তর প্লেট খাবার বেঁচে গেল। বাবা বললেন, “আজিজ, এই খাবার পার্সেল করে আমার বাসায় পাঠাও। বউ নিয়ে গেলে মেহমান আসবে, তাদের কি চানাচুর খাওয়াব?”

সন্ধ্যার দিকে আমরা বাসায় ফিরলাম। আমি, তানিয়া, আর তিন হাঁড়ি বিরিয়ানি, দুই হাঁড়ি রোস্ট নিয়ে। তানিয়া পুরোটা সময় চুপচাপ। আমার মাথায় শুধু একটা চিন্তা—এই মেয়ের দায়িত্ব আমি নেব কীভাবে? আমার তো পকেটে মাত্র তিনশ টাকা আছে!

বাসায় ঢুকে তানিয়া প্রথম কথা বলল, “রাকিব ভাই, আপনি কি সত্যি এই বিয়েতে রাজি ছিলেন? নাকি চাপে পড়ে করলেন?”

আমি হাসার চেষ্টা করে বললাম, “আরে, বাবার কথা ফেলতে পারি না। তবে তুমি টেনশন করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।”

মনে মনে ভাবলাম, ঠিক হবে কীভাবে? আমার তো জীবনটাই এখন বিরিয়ানির হাঁড়ির মতো উলটপালট!

16/05/2025

এরপর বাড়ি ফিরে সুমি তন্ময়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফোন থেকে পুরনো সিমকার্ডটি বদলে নিরবে অনেকক্ষন কান্না করে।কিছুক্ষনপর চোখ মুছে একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে নিজেকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করা সিদ্ধান্ত নিলো।
এরপর সুমি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করে। ভেঙে পড়ে না, কারণ তার ভাঙার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।
সে লেখাপড়ায় মন দেয়, নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলে।

একদিন এক সাহিত্য অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়—“এক অসমাপ্ত প্রেমকাহিনীর লেখিকা” নামে।
অনুষ্ঠানের শেষে এক পুরনো পরিচিত মুখ আসে তার সামনে—তন্ময়।

তন্ময় আজও একা। চোখে অনুশোচনা, হাতে তার প্রথম প্রকাশিত বই—যার উৎসর্গপত্রে লেখা—

"তোমার জন্য, যে আমার শূন্য পকেটের সাহস ছিলে।"

সুমি বইটি হাতে নিয়ে মৃদু হেসে বলেছিল,
“তুই কেবল সাহস চেয়েছিলি তন্ময়, আমি তো চেয়েছিলাম একটা জীবন।”

চলার পথ আলাদা হয়ে গেলেও, স্মৃতিগুলো একসাথেই থেকে যায়…
ঠিক যেমন প্রেম—সবসময় মিলন চায় না, কখনো কখনো আত্মসম্মানই শেষ ভালোবাসা হয়ে রয়ে যায়।

16/05/2025

সুমির প্রশ্নটা এখনো বাতাসে ঝুলে আছে—
“মেয়েটাকে রিজেক্ট করেছো?”

তন্ময় চুপ। তার চোখ নামানো। সেই চেনা আত্মবিশ্বাসী তন্ময় যেন কোথায় হারিয়ে গেছে।

সুমি উঠে দাঁড়ায়। চোখ মুছে নেয় আঙুল দিয়ে। তারপর ঠান্ডা গলায় বলে—
“তোর উত্তর আমি বুঝে গেছি। তুই আজও আমাকে ভালবাসিস, কিন্তু তোর মেরুদণ্ড নেই।”

তন্ময় হতচকিত হয়ে বলে,
“সুমি, প্লিজ এভাবে বলো না। আমি—”

“না তন্ময়,” সুমি থামিয়ে দেয়, “তুই আমাকে হারাতে ভয় পাইছিস, কিন্তু তোর মা-বাবার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে তোর সাহস হয়নি।”

তন্ময় চুপ থাকে।

সুমি এগিয়ে গিয়ে তার হাত ধরে। যেন শেষবারের মতো ভালোবাসার ছোঁয়া নিতে চায়। তারপর বলে—
“তুই জানিস? আমি তোকে শুধু ভালোবাসিনি, তোকে বিশ্বাস করেছিলাম। তুই বলেছিলি, একদিন আমিই হব তোর সংসারের রানী। আমি অপেক্ষা করেছিলাম, বছরের পর বছর। এখন আমি জানি, রানীর মতো জায়গা না হোক, আমাকে তোর পাশে দাঁড়ানোর মতো জায়গাটুকুও তুই দিতে পারবি না।”

সুমি চোখ সরিয়ে নেয়। তারপর ধীরে পা বাড়ায় পার্কের গেটের দিকে।

তন্ময় তৎপর হয়ে ওঠে,
“সুমি! প্লিজ, আমাকে একবার সময় দে। আমি সবকিছু ঠিক করে ফেলবো। আমি— আমি তোর জন্য লড়বো।”

সুমি দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরে তাকায়,
“যে মানুষ এখনো লড়াই শুরুই করতে পারেনি, সে কীভাবে জিতবে তন্ময়?”

কথাগুলো বলে সুমি ধীরে হাঁটা দেয়। মাথা উঁচু করে, চোখে জল নিয়ে।

তন্ময় বসে থাকে একা। তার ভিতরের সেই তীব্র অপরাধবোধ আর ব্যর্থতার ভারে একটুও নড়তে পারে না।
চলবে...

16/05/2025

কলেজ জীবন থেকে আমি একজনকে পাগলের মতো ভালোবাসি। মেয়েটির নাম সুমি। ওকে দেখলে যে কারো পছন্দ হবে। কিন্তু তখন আমি সবেমাত্র এইচএসসি দিয়েছি। ওর বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিত। মেয়েটা আমাকে পাওয়ার জন্য অনেক যুদ্ধ করেছে তার পরিবারের সাথে।

তখন আমি বেকার, বিয়ে করে স্ত্রী চালানোর মতো সামর্থ্য আমার ছিল না।

আজ আমি ভালো একটা জব করি। এখন আমি সুমিকে বিয়ে করে আমার জীবনসঙ্গীর রূপ দিতে চাই। কিন্তু আমাদের মাঝে কাল হয়ে দাঁড়ালো আমার মা। তিনি কিছুতেই সুমিকে মেনে নিচ্ছেন না তার ছেলের বউ হিসেবে। কারণ, সুমি আমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে এখন ২৮ ছুঁই ছুঁই। আগের মতো কচিকাঁচা স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের মতো আর দেখতে লাগেনা।

কিন্তু তাতে কি? আমি সুমিকেই বিয়ে করতে চাই। কারণ, আমার শূন্য পকেটে সুমিই আমার হাত ধরে ছিল। আজ এই পূর্ণজীবনে সেই একমাত্র আমার বউ হওয়ার যোগ্য।

একদিন আমি সুমির সাথে কথা বলছি, এমন সময় আমার মা রুমে এসে বলল,
“২৮ বছরের বুড়িকে আমি কখনোই আমার বাড়ির বউ বানাবো না, তন্ময়।”

মায়ের কথাটি তন্ময়ের কানে যেতে সে ইশারা করে মাকে বললো,
“মা, চুপ করো। ফোনের ওপাশে সুমি আছে।”

মা বলল,
“ঐ মেয়ে ফোনের ওপাশে আছে তাতে আমার কী? ঐ মেয়ে জানে না ও যে বুড়ি হয়ে গেছে? তোকে দেখে মনে হবে ও তোর মা। সেই মেয়ে কোন সাহসে তোর বউ হতে চায়? আবার বলছে আমাদের বোঝাতে! কী বুঝবো?”

তন্ময়ের মা উচ্চস্বরে কথাগুলো বলে ওঠে। তন্ময় হতভম্ব হয়ে যায়।

তন্ময়ের মা পুনরায় কঠিন গলায় বলে,
“ঐ মেয়ে ঠিক সময়ে বিয়ে করলে এতদিনে তিন চারটা বাচ্চা থাকতো। হয়তো ওর মেয়ের সাথে তোর বিয়ের বয়স হতো। সেই মেয়ে চায় তোর বউ হতে! যাকে আমি আমার বাড়ির কাজের লোক হিসেবেও রাখবো না!”

তন্ময় মায়ের কথায় হতভম্ব হয়ে গিয়ে ফোনের ওপাশে থাকা সুমিকে বলে,
“পরে কথা বলছি।”

তন্ময় ফোন কেটে দিলে সুমি হাউমাউ করে কান্না করে দেয়। তাদের নয় বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক। আজ যখন তন্ময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন তার মা-বাবা সুমিকে বউ হিসেবে মানতে রাজি নয়। কারণ—তার বয়স বেশি।

অথচ সেই বিশ বছর বয়স থেকেই তার জন্য একের পর এক ভালো পাত্র আসে ঘটক নিয়ে। মা-বাবা তার বিয়ের জন্য পাগল। কিন্তু সুমি সব পাত্রকে না বলে দেয়। কারণ, সে তন্ময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল।

যার জন্য সে এত কিছু করলো, আজ তার পরিবারের চোখে সে ‘বুড়ি’। তাদের সরকারি চাকরিজীবী ছেলের জন্য তারা চায় ‘যুবতী’ বউ।

সুমি এসব ভেবে ভেঙে পড়ে কান্নায়।

তন্ময়ের মায়ের কথায় যতটা না কষ্ট পেয়েছে, তার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছে তন্ময়ের চুপ করে থাকার কারণে।

বাসায় যখন সুমির বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়, তখন সুমি তন্ময়কে ফোন দিয়ে বলেছিল,
“তন্ময়, কিছু করো। আমার বাবা-মা আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না।”

তন্ময় তখন বলেছিল,
“আমিও তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না সুমি। তুমি প্লিজ পাঁচটা বছর অপেক্ষা করো। আমি পড়াশোনা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হই, তারপর আমরা বিয়ে করবো।”

তন্ময় সেদিন সুমির কাছে সময় চেয়েছিল। তার ভালোবাসার প্রমাণ হিসেবে তাকে অপেক্ষা করতে বলেছিল।

আজ সেই মানুষটির পরিবার তাকে বলে—সে বুড়ি।

সুমি পার্কের একটি বেঞ্চে বসে তন্ময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই তন্ময় এসে উপস্থিত হয়।

তন্ময় আসতেই সুমি উঠে দাঁড়ায়। হঠাৎ করে তন্ময়ের কলার চেপে ধরে বলে,
“তুই গতকাল মেয়ে দেখতে গিয়েছিলি? কেন গিয়েছিলি? তুই না আমায় ভালোবাসিস? তাহলে অন্য মেয়ে কেন দেখলি?”

তন্ময় আস্তে করে বলে,
“লোকজন দেখছে…”

সুমি উত্তেজিত হয়ে বলে,
“দেখুক। সবাই জানুক। দিনের পর দিন অপেক্ষা করিয়ে তুই কিভাবে আমাকে ঠকিয়েছিস, জানুক সবাই।”

“সুমি প্লিজ, শান্ত হও…”
তন্ময় নরম কণ্ঠে কথাটি বলে।

সুমি ধপ করে বেঞ্চে বসে পড়ে। তন্ময়ও পাশে বসে।

সুমি আস্তে করে বলে,
“মেয়ে পছন্দ হয়েছে?”

তন্ময় জবাব দেয় না।

সুমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। পুনরায় জিজ্ঞেস করে,
“মেয়েটাকে রিজেক্ট করেছো?”

চলবে....

Sharmin Tori

26/05/2025

24/05/2025

22/05/2025

17/05/2025

17/05/2025

17/05/2025

17/05/2025

16/05/2025

16/05/2025

16/05/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category