
This page is a complete guide for Baruipur Lovers' along with latest news about our beloved City.❤️
(517)
Address
Baruipur
Telephone
Website
Alerts
Be the first to know and let us send you an email when Baruipur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Contact The Business
Send a message to Baruipur:
Shortcuts
Category
বারুইপুরে স্বাগত!
বারুইপুর এক ঐতিহ্যশালী ও ঐতিহাসিক মহকুমা শহর, এই ভারত উপমহাদেশের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত। ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে বারুইপুর 22.35° অক্ষাংশ এবং 88.44° দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। নৃতত্ব, ভূতত্ব, পুরাতত্ব, প্রত্নতত্ব, লোকসংস্কৃতি প্রভৃতির উর্বর ক্ষেত্র রূপে বারুইপুর অত্যন্ত সমৃদ্ধ অঞ্চল।আদিগঙ্গা বিধৌত এই ভুখন্ড নানা কারণে গৌরবমন্ডিত। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের পাদস্পর্শে ধন্য এ শহর।
এছাড়াও দ্বারকানাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ঋষি অরবিন্দ, মতান্তরে স্বামী বিবেকানন্দ, বিপিনচন্দ্র পাল, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আচার্য বিনোবা ভাবে, পদ্মজা নাইডু, মাদার টেরিজা প্রমুখ মহাপুরুষ ও মহানারীর স্মৃতি বিজড়িত এই শহর বারুইপুর। এখানে দুর্গাদাস বন্দোপাধ্যায়, রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায়, ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়, সজল রায়চৌধুরী, অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তী প্রমুখ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ জন্মগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম. এন. রায়, সাতকড়ি বন্দোপাধ্যায় ও পরবর্তীকালে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক গুন্টারগ্রাসের মত অনেক বিখ্যাত মানুষ এখানে স্বল্পদিন হলেও বাস করেছেন। সেই স্মৃতি বারুইপুরবাসীর মনে আজও অমলিন। জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরী সপরিবারে রাজপুর থেকে এখানে এসে বসবাস করেন ও গড়ে তোলেন বিভিন্ন সমাজ।
বারুইপুর নামের উৎপত্তি বারুই থেকে। এখানকার আদি পান ব্যবসায়ী "বারুই" সম্প্রদায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল 'বারুইপুর'। তবে কবে যে তারা এখানে প্রথম বসবাস শুরু করেছিল তার হদিস কে দেবে? মধ্যযুগে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগে কবি বিপ্রদাস পিপলাই রচিত 'মনসামঙ্গল' কাব্যে চাঁদসদাগরের আদিগঙ্গার স্র্রোত ধরে বানিজ্য যাত্রার প্রসঙ্গে বারুইপুরের উল্লেখ্য আছে "বাহিল বারুইপুর মহাকোলাহলে"। তখন বাংলার সুলতান ছিলেন হূসেন শাহ, অতএব পাঁচশ বছর পূর্বেই বারুইপুরের নামকরণ হয়ে গিয়েছে, একথা বলা যায়।
স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, পুরাতত্ব, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বানিজ্য, লৌকিক দেবদেবী, কুটিরশিল্প প্রভৃতি বিষয়ে বারুইপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এখানকার সঙ্গীত, নাটক, যাত্রাপালা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্রীড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মন্দির-মসজিদ-গীর্জা, জলপথ ও জলাশয়, শশ্মান, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পূজা-পার্বন-মেলা, পত্র-পত্রিকা, ফুল ও ফল অনন্য সম্পদ হিসাবে সমাদৃত।