04/10/2024
ধর্ষনের চেষ্টায় অভিযুক্ত কল্যাণী আদালতের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি সহ বার এসোসিয়েশনের কর্তারা
এখন বাংলার বিশেষ এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন
ধর্ষনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে কল্যাণী আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি পার্থ সেনগুপ্ত, কল্যাণী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি বিশ্বজিত ভট্টাচার্য, সম্পাদক অংশুমান রায়, লাইব্রেরিয়ান সুভাষ চক্রবর্তী এবং আরও একাধিক সদস্য শিশির শোভন ব্যানার্জি, তন্ময় ভট্টাচার্য, জয়ন্ত মজুমদার, প্রণব দাস সহ আরও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। কল্যাণী আদালতের দুই মহিলা আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেছিলেন ১১ বছর আগে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টেও। আদালতে যাতে তাদের কাজ করতে অসুবিধা না হয় সেই মর্মে কল্যাণী থানার আইসি এবং জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি।
কল্যাণী আদালতে সেই অত্যাচারের ট্র্যাডিশন যে এখনও চলছে একের পর এক আভিযোগে সামনে আসছে সেই সব তথ্য। কল্যাণী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি, সম্পাদক সহ অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে কল্যাণী থানায় চারটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে তিনটি। মামলাকারীদের একটাই দাবি, কল্যাণী আদালতে নোংরামি বন্ধ হোক। বিষয়টি জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও।
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, গুরুতর মামলা থাকা সত্বেও কিভাবে সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্ব পেলেন পার্থ সেনগুপ্ত, বিশ্বজিত ভট্টাচার্য, সৌরিক মুখার্জিরা। অভিযোগকারী মহিলা আইনজীবী জানান, কল্যাণী আদালতেই এদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আমার সেই মামলায় অংশ নিতে পারি না। আমাদের আদলাতে ঢুকতে পারি না। অভিযুক্তরাই সরকারি আইনজীবী। বিচার পাবো কিভাবে?
এই একই প্রশ্ন তুলছেন অন্য আইনজীবীরাও। এসব ঘটনার নিন্দা করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এসব চলতে দেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমি কল্যাণী আদালতে হাজির হবো।
ছবি: কল্যাণী বার এসোসিয়েশনের মিছিলের প্রতীকী ছবি। ছবিতে থাকা আইনজীবীরা অভিযুক্ত নন।