সত্যান্বেষী

সত্যান্বেষী The International will be the Human Race...

The only aim of this page is to promote progressive ideas complementing the cause of anti-capitalist socialist revolution in the light of marxism.

📌বাহ, কি দুর্দান্ত সব কথা !! ধর্ষকদের শাস্তি চাইলেই হবে না, চাইতে হবে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের ভোটসর্বস্ব রাজনৈতিক উদ্দে...
09/08/2025

📌বাহ, কি দুর্দান্ত সব কথা !!
ধর্ষকদের শাস্তি চাইলেই হবে না, চাইতে হবে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের ভোটসর্বস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ডাকা প্রোগ্রাম থেকে। নইলে তুমি অপরাধী। আজ শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বলার প্রয়োজনীয়তা কী ছিল?
"দফা এক দাবি এক
মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ" -এর সাথে সাথে সমানভাবে ক্রোধ বর্ষণ করলেন দেবাশীষ, অনিকেতদের উপর। আসল কারণ কী?

📌আজ এক বিচার না পাওয়া শোকগ্রস্ত বাবা-মা, ধর্ষিতা মেয়ের ন্যায়বিচারের দাবিতে পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হলেন। এই নির্লজ্জ ঘটনা বিবেকবান মানুষের কাছে হৃদয় বিদারক। তৃণমূল কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ঘৃণ্য। আর অন্য দিকে, জনগণের আন্দোলনের থেকে ভোট বাক্সে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসতে চাইছে। আজকের মিছিল থেকেও তিনি বললেন, ২০২৬-এর ইলেকশনের পর মমতা জেলে যাবে এবং তার আজকের অরাজনৈতিকভাবে মিছিলে উপস্থিতিতে বললেন বিজেপি জোরদার আন্দোলন করবে। আসলে সত্যিকারের গণআন্দোলনের রাস্তাকে মমতার মত শুভেন্দুরাও ভয় পায়। তাই যখন প্রতিদিন পশ্চিমবাংলার সাধারণ মানুষ আন্দোলনের ময়দানে ছিল, তখন অভয়ার বাবা-মা অমিত শাহের সাথে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা করেননি। কারণ তখন আন্দোলনের উত্তাপে হীন নোংরা রাজনীতি পুড়ে ছাড়খার হয়ে যেত। তাছাড়া, সিবিআই চুপ করে যাবার সময় শুভেন্দু বাবুরা কত প্রতিবাদ করেছেন — সেটাও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ দেখেছে!! WBJDF কোন রাজনৈতিক দলের তাঁবেদারি করেনি বলে পশ্চিমবাংলার সাধারণ মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে জায়গা পেয়েছে। হ্যাঁ, নিশ্চয়ই এই সংগঠনের নেতারা কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতে পারেন। কিন্তু আমরা দেখেছি কোনো দলের পতাকা বা যে নেতারা নিজেরাই দলের মুখ, তাদের আন্দোলনের ময়দানে আনেননি বা আসতে দেননি। তাই তাদের এসইউসিআই বা সিপিএম বলে স্ট্যাম্প দিয়েও কোন লাভ হবে না। যেন শুভেন্দু অধিকারী নিজে জনগণের প্রশ্নের মুখে না পড়েন, তাই এসইউসিআই, সিপিএমের কথা তুলছেন। অভয়া আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটের প্রচারে সামনে আসার পথকে সুগম করার চেষ্টা করছেন। এ খুবই লজ্জার বিষয় — এক মহিলার প্রাতিষ্ঠানিক খুন-ধর্ষণের ঘটনাকে ভোট বাক্সে ব্যবহার করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শুভেন্দু বাবুরা। পশ্চিমবাংলার জনগণ যেমন তৃণমূলের থ্রেট কালচার, রেপ কালচার চায়না, তেমন শুভেন্দু বাবুদের এই নোংরা রাজনীতিও চায়না।

|| আর জি কর আন্দোলন — এক বছর — ফিরে দেখা : মূলধারার রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি নয়, সংগঠিত জনতার প্রতিবাদ ||২০২৪ সালে ৮-৯ ...
09/08/2025

|| আর জি কর আন্দোলন — এক বছর — ফিরে দেখা : মূলধারার রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি নয়, সংগঠিত জনতার প্রতিবাদ ||

২০২৪ সালে ৮-৯ আগস্টের রাত, এরাজ্য তথা এদেশের বুকে নারকীয়তার এক নৃশংস নিদর্শন রচনা করেছিলো। খাস কলকাতায় অবস্থিত খ্যাতিসম্পন্ন হাসপাতাল আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত পোস্ট গ্র্যাজ্যুয়েট ট্রেনী চিকিৎসককে তারই কর্মক্ষেত্রে পাশবিকভাবে হত্যা ও ধর্ষণ করা হয় এদিনেই। একজন বা একদল হায়নার লালসার শিকার নয়, এক সুগভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয় সে । এই খুন-ধর্ষণের পেছনে লুকিয়ে থাকা স্তূপীকৃত দুর্নীতিকে ঢাকতে রাজ্য প্রশাসন প্রথম দিন থেকেই কোনো কসুর করেনি। মৃতদেহ দেখেই খুনকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা থেকে এর সূত্রপাত। কাগুজে বাঘ কলকাতা পুলিশ তদন্তের নামে মাত্রাছাড়া প্রহসনের মাধ্যমে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে তাদের সমস্ত শক্তি ব্যয় করে, এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের ওপর সব দায় চাপিয়ে নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চায়। ব্যাপক আন্দোলনের চাপে ৪ দিনের মাথায় তদন্তভার পায় সিবিআই। এর মাঝেই ১৪ই আগস্ট রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ঘটে যায় এমন এক অভূতপূর্ব ঘটনা, যা আগে কেউই দেখেনি। দীর্ঘদিনের অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারে বীতশ্রদ্ধ জনতার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দেয় এই ঘটনার নারকীয়তা ও তাকে ধামা চাপা দেওয়ার শাসকের প্রয়াস। এরাজ্য তথা দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের স্রোত সুনামির মতো নেমে আসে রাজপথে, মাঝরাতে। গ্রাম-শহর-মহল্লা — সর্বত্র প্রতিবাদী জনতার গলায় স্লোগান ওঠে ‘We Want Justice’। আগামীকাল কয়েক মাস এই রাজপথই যেন হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের বাসস্থল।রাজ্য সরকারের স্নেহধন্য দুর্নীতির শিরোমণি-চূড়ামণিদের মুখোশ খুলে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। চাপে পড়ে কেন্দ্র-রাজ্য — উভয় সরকার। তদন্ত চলতে থাকে, গ্রেপ্তার হয় মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে থ্রেট কালচারের ধারক-বাহকরা শাস্তি পেতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য হন আন্দোলনের ময়দানে যেতে, কিছু দাবি মেনে নিতে।
কিন্তু, রাজপথের আন্দোলনের গতিবেগ কিছুটা হ্রাস পেতেই ধীরে ধীরে শাসকেরা নিজেদের হিংস্র নখ-দাঁত বার করতে থাকে। সাধারণ জনতার আশা-ভরসাকে ধ্বংস করে দিয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তে রবার স্ট্যাম্প মারার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সিবিআই। বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের সুদৃঢ় ভরসায় চিড় ধরে, এমনকি প্রশ্নের মুখোমুখি হয় সুপ্রিম কোর্টও। ‘বিচারের বাণী’ আর নিরবে-নিভৃতে নয়, চিৎকার করে কাঁদে।
স্বভাবতই, এই আন্দোলন সাধারণ জনতার কোনো বিজয়গাথা নয়৷ আপাত অর্থে যেন মনে হয়, ‘এত কিছু করেও কিছু হলো না, আমরা ব্যর্থ হলাম’। অনেকেই অতি চাতুরীর সাথে এমনটা প্রচার করেন। কিন্তু না, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সঠিক পথে চলমান লড়াই কখনও ব্যর্থ হয় না, হতে পারে না। সেই লড়াই শিখিয়ে দিয়ে যায় অনেক কিছু — দেখিয়ে দেয় লড়াইয়ের সঠিক উপায়, দিয়ে যায় ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা, সন্ধান দেয় আগামীতে জয়লাভের চাবিকাঠির। শত শত শহীদের আত্মদানের ফলে স্বাধীনতা প্রাপ্ত মাটি এই বার্তাই বহন করে। ক্ষুদিরাম যখন শহীদ হয়েছিলেন, কতই বা তাঁর বয়স! কিন্তু তাঁর শহাদত ব্যর্থ হয়নি৷ ভগৎ সিং, মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, নেতাজি — তাঁদের স্বপ্নানুরূপ সমাজ আমরা না পেলেও বৃটিশ শাসনের অবসান ঘটেছে তাঁদেরই রক্তের বিনিময়ে। ফলে মহৎ উদ্দেশ্যে সংগঠিত লড়াই কখনও ব্যর্থ হয় না — এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। অভয়ার ন্যায়বিচারের আন্দোলনও ব্যর্থ হয়নি।
সুদীর্ঘকাল থেকে সমস্যা সমাধানের জন্য নেতা-মন্ত্রীর দিকে চেয়ে থাকা সাধারণ জনতা এবার সমাজ শুধরোতে গিয়ে মূলধারার বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীদের কখনও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়েছে, কখনও সরিয়ে দিয়েছে নির্দলীয় এই আন্দোলন থেকে। ভোটবাজ রাজনৈতিক দলগুলির লেজুরবৃত্তি নয়, সংগঠিত জনতা তৈরি করতে চেয়েছে নিজেদের পাল্টা শক্তি — বলিষ্ঠ চিত্তে জবাব চেয়েছে এই দলগুলির কাছে। সাধারণ জনতা বুঝেছে এদেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, প্রশাসন — কোনোটাই জনতার স্বার্থ রক্ষা করতে চায় না। সুদীর্ঘকাল অবমাননা-লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শিকার হয়ে ক্রমশঃ ন্যুব্জ হতে থাকা জনতা শিরদাঁড়া সোজা করে প্রতিবাদ করার রাস্তা পুনরুদ্ধার করেছে। সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মন্ডলদের শাস্তি, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের অপসারণ প্রমাণ করেছে দাবি আদায় হতে পারে একমাত্র সঠিক পথে চলা গণআন্দোলনের মাধ্যমেই।
স্পষ্টতই, অভয়া-র খুন-ধর্ষণের ন্যায়বিচার না পাওয়া গেলেও, সমস্ত অপপ্রচারের পর্দা ফাঁস করে এটা স্বীকার করতেই হয় যে এই আন্দোলন দিয়ে গেছে অনেক কিছুই, শিখিয়ে গেছে বহু মূল্যবাণ বিষয়। এই আন্দোলনের প্রভাবে প্রচুর মানুষ ভাবতে শিখেছেন নতুনভাবে, লড়তে শিখেছেন নতুন করে — রাজপথের লড়াইয়ে তারা হাল ছাড়েননি, লড়ে যাচ্ছেন সমস্ত মূলধারার রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তির বাইরে জনতার নিজস্ব শক্তির জন্ম দিতে। এভাবেই অন্যায়-অবিচার-অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়তেই লড়তেই একদিনে নয়, একদিন সমাজ পাল্টাবেই।

যে পুলিশ নারী নিরাপত্তা দিতে পারে না,সেই পুলিশের নির্যাতিতার বাবা মায়ের ওপর লাঠি চার্জ করতে হাতও কাঁপে না ? এতটা বিবেকহ...
09/08/2025

যে পুলিশ নারী নিরাপত্তা দিতে পারে না,
সেই পুলিশের নির্যাতিতার বাবা মায়ের ওপর লাঠি চার্জ করতে হাতও কাঁপে না ?
এতটা বিবেকহীন হও কীভাবে ?
তোমার কন্যার কাছে গিয়ে মুখ দেখাতে পারবে তো ?



“আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই মানবতার ঊর্ধে দেশপ্রেমকে জয়লাভ করতে দেব না।” — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরবিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ...
27/07/2025

“আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই মানবতার ঊর্ধে দেশপ্রেমকে জয়লাভ করতে দেব না।” — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবদ্দশায় ১৯০৮ সালে এই কথাগুলি বলেছিলেন। তিনি আজ বেঁচে নেই, থাকলে তাঁকেও আজ দেশপ্রেমের পাঠ পড়তে হতো। স্বাধীনতা লাভের ৭৮তম বর্ষে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে ও গৌতম অঙ্খড় যেভাবে বললেন, “....গাজা ও প্যালেস্টাইনের পক্ষে কথা বলা দেশপ্রেম নয়। আমাদের নিজেদের দেশের সমস্যা নিয়ে কথা বলুন।....”, তাতে এটাই প্রতিভাত হয় যে, রবীন্দ্র চিন্তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মানবতার ঊর্ধে দেশপ্রেমকে তারা জয়লাভ করাবেনই। বলাই বাহুল্য, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারও এই পথেই বিশ্বাসী।

সম্প্রতি মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে গাজা গণহত্যার বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ‘অল ইন্ডিয়া সলিডারিটি অর্গ্যানাইজেশন’। এই ধরনের কর্মসূচী দেশের বিদেশনীতির পরিপন্থী বলে অভিযোগ করে ১৭ই জুলাই এই কর্মসূচীর অনুমতি দিতে অস্বীকার করে মুম্বাই পুলিশ। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে সিপিআই (এম) পার্টির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে হাইকোর্টের বিচারপতিরাও মুম্বাই পুলিশের লাইনেই তাদের অবজারভেশন পেশ করেন। বরং, প্রশাসনের থেকে আরও কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে ‘দেশপ্রেম’-এর প্রশ্ন যুক্ত করে দেন তারা।

দেশজুড়ে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বরকে রুদ্ধ করে প্রশাসনিক মদতে প্রতিবাদীদের ‘শায়েস্তা’ করার নীতি এদেশে প্রথম নয়। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র সরকার ও অঙ্গরাজ্যে ক্ষমতাধীন সরকার তাদের মতো করে এই কাজে হাত মিলিয়েছেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে বিচারব্যবস্থাও এবিষয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে — কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে বিভিন্ন হাইকোর্ট থেকে, এমনকি সুপ্রিম কোর্টও এই প্রশ্নের আওতার বাইরে যায়নি। এদেশের জনতার সামনে এ এক অশনিসংকেত!

গাজায় চলমান নৃশংস গণহত্যা, শিশু নিধন যজ্ঞ গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষকে মানবতার খাতিরে রাজপথে আন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য করেছে। যে দেশের মাটিতে রবীন্দ্রনাথ - শরৎচন্দ্র - ভগৎ সিং - নেতাজি প্রমূখ মিশে আছেন, সেদেশের মানুষ এই আন্দোলন থেকে বাইরে থাকবেন কীভাবে?

এই ঘটনাগুলো বারবার এটাই প্রমাণ করে যায়, রাষ্ট্র দোষীদের আড়াল করলে দোষের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। বারবার অভয়াদের মরতে ...
03/07/2025

এই ঘটনাগুলো বারবার এটাই প্রমাণ করে যায়, রাষ্ট্র দোষীদের আড়াল করলে দোষের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। বারবার অভয়াদের মরতে হবে। চোখের জল ফেলতে হবে। হেনস্তা হতে হবে। কসবার ল কলেজের ঘা না শুকাতেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অপারেশন থিয়েটারে এক ইন্টার্নকে তার কলিগ যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটকে ইউনিয়ন হিসাবে চলতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা করে চলেছে। থ্রেট কালচারের সাথে যুক্ত গুন্ডারা শাস্তি পেল না। ইলেকশন বন্ধ। দাদাগিরি গোয়িং অন। প্রত্যেকটা ঘটনা যেন বিবেকবান মানুষের মনের কাছে বলে যাচ্ছে, ধর্ষকরা যা ইচ্ছে তাই করে যাবে কেউ কিছু করতে পারবে না। এমত পরিস্থিতিতে আরজিকর আন্দোলনে প্রজ্জ্বলিত মনন এবং সোজা হওয়া মেরুদন্ড নিয়ে রুখে না দাঁড়ালে, এ প্রজন্ম ইতিহাসের পাতার অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে। একটি মেয়ের আর্তনাদ, এক বোনের কান্না, এক মায়ের বুকফাটা যন্ত্রণায়, আমাদের নার্ভ যদি নিস্তেজ থাকে তাহলে সমাজ অগ্রগতি থমকে যায়। আমরা যারা ধর্ষিতা মা বোনেদের জন্য দু ফোঁটা রক্ত দিতে নারাজ তারা মিরজাফরের বংশধর হিসাবেই পরিচিত হব।

📌আপসহীন ধারার যে বিপ্লবীরা স্বাধীনতার বেদি মূলে প্রাণ দিয়ে শহীদের মৃত্যুবরণ করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকের আমরা আজও হয়তো ...
01/07/2025

📌আপসহীন ধারার যে বিপ্লবীরা স্বাধীনতার বেদি মূলে প্রাণ দিয়ে শহীদের মৃত্যুবরণ করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকের আমরা আজও হয়তো নাম শুনিনি। তবুও আমাদের দেশের প্রিয় বিপ্লবীদের অমর গাঁথা শুনলে চোখে জল আসে। সেই চোখের জল বিবেককে বারবার জাগ্রত করে। গর্বে বারবার বুক ফুলে যায়। কিন্তু আজকে এমন একটা সময়ে আমরা হাজির হয়েছি যখন এই বিপ্লবীদের কখনো সন্ত্রাসবাদি বা কখনো খুনি বা কখনো অপরিপক্ক বলে দাগিয়ে দিয়ে তাদের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে । এই সময় আমারা যারা বিবেকবান ভারতবাসী, যারা এই সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি তাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ন। নতুন লড়াইয়ের উৎসাহের জন্য বীর বিপ্লবীদের গাঁথা প্রত্যেকটি মানুষের বুকে প্রথিত করা আশু কর্তব্য হয়ে উঠেছে । আবার এই সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্নকে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বহন করতে হয় এবং তাই বারবার তাদের কাছে মাথা নত করে তাদের বিপ্লবী স্পর্ধা নিজের জীবনে আয়ত্ত করার সংগ্রামে নিয়োজিত হতে হয়। আজকে তেমনি একজন বীর বিপ্লবীকে স্মরণ করি, যিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিপ্লবী আদর্শকে বুকে ধারণ করে শহীদ হয়েছিলেন।

📌দুর্গা মাল্লা
শহীদ দুর্গা মাল্লা
তাকে বুঝতে হলে ভারতবর্ষের ইতিহাসের সেই সংগ্রামের স্বর্ণযুগে ফিরে যেতে হবে যাকে বলা হয় অগ্নিযুগ।
সেই সময়ের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের দেরাদুন জেলার দইওয়ালা গ্রামে 1931 সালে জন্মগ্রহণ করেন মাল্লা। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলো, সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ টান ছিল। ফুটবল খেলতে তিনি খুব ভালবাসতেন। ব্রিটিশ সরকারের শোষণে জর্জরিত সমাজের অবস্থা দেখে সব সময় কিছু না কিছু করার জন্য ছটফট করতেন। তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্নভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতেন। সেই সময় দেশ জুড়ে চলমান স্বদেশী আন্দোলনের তাঁর ওপর প্রবল প্রভাব ছিল।দেরাদুন স্বদেশী আন্দোলনের নেতা যেমন ঠাকুর চন্দন সিং ,বীর খরক বাহাদুর সিং প্রমুখদের নেতৃত্বে চলমান স্বদেশী আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণও করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ কি ১৪ বছর। সে সময় ব্রিটিশ পুলিশ দেরাদুনে বিপ্লবীদের ধরপাকড় শুরু করে। পুলিশ দুর্গা মাল্লাকে গোর্খা রেজিমেন্টের কোয়ার্টার গুলিতে পোস্টার লাগানোর অপরাধে সন্দেহ করে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বাধ্য হয়ে মাল্লাকে কিছুদিনের জন্য ধর্মশালাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা-ঢাক দিতে হয়।
সেখানে কিছু দিন থাকার পর তিনি উপলব্ধি করেন এভাবে বসে থেকে কিছু করা যাবে না দেশকে মুক্তি দিতে হলে বিভিন্ন দিক দিয়ে শিক্ষিত হতে হবে। যুদ্ধবিদ্যা শিখতে হবে। তাই তিনি ১৮ বছর বয়সেই গোর্খা রাইফেলসে যোগ দেন। তার পারদর্শিতা দেখে খুব দ্রুত তাকে সিগন্যাল হাবিলদারের পোস্টে উন্নীত করা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর এভাবে কাজ করার পর 1941 সালে তিনি বাড়ি ফেরেন এবং সেই সময় সারদা দেবীর সাথে তার বিবাহ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪১ সালে জাপান আক্রমণ আরও তীব্রতর করে। ফলে ব্রিটিশ সরকার সমস্ত ব্যাটেলিয়ানের পাশাপাশি ২/১ গোর্খা রাইফেল কেউ যুদ্ধে যাওয়ার নির্দেশ দেয় এবং বিবাহের মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই নববধূ সারদা মাল্লাকে ছেড়ে তাকে পাড়ি দিতে হয় সুদূর মলয়াতে। সেখানে জাপানি সেনার সামনে ব্রিটিশ সেনা পরাজিত হয়। তখন ক্যাপ্টেন মোহন সিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারতীয় সিপাহী ও নাগরিকদের নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের আহ্বান করেন এবং ১৯৪২ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে ফরের পার্কে শুরু হয় এক নতুন ইতিহাসের। শুরুর দিকে গোর্খা সৈনিকদের INA তে যুক্ত করাতে দুর্গামাল্লা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পূর্ন সিং ঠাকুরের নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য ভলেন্টিয়ার সংগ্রহের দায়িত্ব পড়ে তার উপর। এরপর ১৯৪৩ সালে নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব নেন এবং ২৫ অক্টোবর ঘোষণা করেন অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারের।
তারপর মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয় অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারের। দূর্গা মাল্লাকে গুপ্তচর শাখায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের কাজ করতে থাকেন। এরপর তিনি কিছু সৈনিক নিয়ে বর্মা বর্ডার ক্রস করেন এবং তৎকালীন বৃহত্তম আসামের পার্বতীয় এলাকায় প্রবেশ করেন। এভাবে তিনি তার দল নিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন রেঙ্গুনে অবস্থিত আজাদ হিন্দ বাহিনীর মুখ্য অফিসে পাঠাতে সফল হন। ভারতবর্ষের এই বীর সন্তান, ২৭ মার্চ ১৯৪৪ মণিপুরের উখরুল নামক স্থানে একটি গুরুত্বপূর্ন অপারেশন করার সময় শত্রুদের হাতে ধরা পড়েন। তাঁকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে লালকেল্লায় বন্দী হিসেবে রেখে, তার ওপর বিভিন্ন ধারায় মোকদ্দমা চালাতে থাকে ব্রিটিশ সরকার। যেনতেন প্রকারে ব্রিটিশ বিরোধী যে কোনো আন্দোলনকে ভাঙতে তারা বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছিল। এই অবস্থায় সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার বন্দী দুর্গা মাল্লার ওপর প্রবল অত্যাচার চালায়। তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় যে, তিনি স্বীকার করুন তাঁকে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে এবং নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। তাহলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তারা আসলে তাকে বুঝতেই পারেনি, যে দূর্গা মাল্লারা নিজেদের তৈরি করে বলিদানের জন্য। তাঁরা প্রলোভনে বিক্রি হয় না। তাঁদের শরীর হাড় মাংসের হলেও, মন লৌহ দৃঢ়। তারা বয়সে যুবক হলেও দেশের মানুষের দুঃখ কষ্ট তাদের এতটাই পরিণত করে দেয় যে মৃত্যু তাদের কাছে তুচ্ছ ।

📌 বিচারে ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়। ২৫ আগষ্ট ১৯৪৪ এই মহান বিপ্লবী তার পূর্বসূরি ক্ষুদিরাম, ভগৎ সিংদের মত মাথা উচু করে ফাঁসির দড়ি গ্রহণ করেন ।

মৃত্যুর আগের মুহূর্তে শেষ বারের মত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি আজও প্রেরণা দেয় ,বলেছিলেন —
"আমি ভারতমাতার স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছি। তুমি এতে বিন্দু মাত্র দুঃখিত হইও না। জয় আমাদের হবেই, আমি না থাকলেও ভারতবর্ষের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ তোমার সাথে আছে।"

📌এই মহান মানুষের ঋণ আমরা কী শোধ করতে পারবো!! এই ইংরেজ মুক্ত ভারতবর্ষে এখনো পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে অপরাধীরা। একের পর এক প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ, খুন হয়েই চলেছে। ধর্ষকরা শাস্তি পাচ্ছে না। কোরাপশন রন্ধ্রে রন্ধ্রে। মনের কোনো এক কোন থেকে উত্তর আসে না কি, যে স্বপ্ন দেখতে দেখতে দুর্গা মাল্লারা একদিন শহীদ হয়েছিলেন, দুঃখের হলেও সত্য যে সেই স্বপ্ন আজও অধরা, আমরা সেই অধরা স্বপ্নকে পূর্ন করতে ব্রতি হই।



14/06/2025

—— গ্লোবাল মার্চ টু গাজা ——
কায়রো থেকে সরাসরি
আসুন, শুনে নিই Carola Rackete-র বিবরণী। তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একজন সদস্য, গ্লোবাল মার্চ টু গাজা-য় যুক্ত হয়েছেন তার সঙ্গীদের সাথে।

https://www.facebook.com/share/1BWjJrf46q/

—— Global March to Gaza ——
Direct reporting from
Let's hear from Carola Rackete. She is a member of European Parliament and she has taken part in Global March to Gaza with her fellow mates...

🌎|| Global March to Gaza ||🌎বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ টির বেশি দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রপ্রেমী জনতা ২রা মার্চ থেকে চ...
14/06/2025

🌎|| Global March to Gaza ||🌎

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ টির বেশি দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রপ্রেমী জনতা ২রা মার্চ থেকে চলতে থাকা গাজা উপত্যকার অবরোধ ধ্বংস করতে সামিল হয়েছেন "গ্লোবাল মার্চ টু গাজা"-য়। জুনের ১৩ তারিখ মিশরের কায়রো থেকে যাত্রা শুরু করে ১৪ তারিখ আল-আরিশ মরুভূমি হয়ে সেখান থেকে ৫০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে ১৫ জুন মিশর ও প্যালেস্টাইনের রাফাহ্ বর্ডারে পৌঁছবেন তারা। সেখানে চলবে শত সহস্র মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। গাজা পর্যন্ত একটি স্থায়ী, নিরপেক্ষ ও মানবিক করিডোর দাবি নিয়ে এই আন্দোলন চলবে।
২ মার্চ থেকে গাজা-য় কোনোরূপ মানবিক সাহায্য ঢুকতে দেয়নি ইজরায়েল। এমনকি, খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ঢোকার পথও বন্ধ করে দিয়েছে জায়নবাদী ইজরায়েল। ফলস্বরূপ, ২৪ লক্ষ প্যালেস্টিনীয়রা অনাহার-অর্ধাহারে ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে দিন কাটাচ্ছে। চিকিৎসার ন্যূনতম সরঞ্জাম নেই, নেই শিশুদের ভ্যাক্সিনও। আজ পর্যন্ত ৬০ হাজার প্যালেস্টিনীয়দের গণহত্যা করেছে ইজরায়েল, যাদের মধ্যে অর্ধেকই নারী ও শিশু।
এমন সময় "গ্লোবাল মার্চ টু গাজা" বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে। তবে এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সামিল বিশ্বের শত সহস্র জনতার ওপর বর্বর অত্যাচার নামিয়ে এনেছে মিশর সরকার। মিশরীয় পুলিশ-আর্মি পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেছে বহু আন্দোলনকারীকে, জোর করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককেই। তবুও যতদিন এগোচ্ছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিবাদীর সংখ্যা।
আমাদের দেশের সমস্ত ছোট-বড় রাজনৈতিক দল, আপাত নিরপেক্ষ জনতা — সকলের কাছেই আবেদন, মানবতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়ান, "গ্লোবাল মার্চ টু গাজা"-য় আন্দোলনকারীদের সংহতি জানিয়ে পথে নামুন।



|| বোয়িং : সর্বাধিক মুনাফার লালসা ও বিমান দুর্ঘটনার প্রতীক ||গতকাল আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানটির ভয়ানক পরিণতি হয়, ...
13/06/2025

|| বোয়িং : সর্বাধিক মুনাফার লালসা ও বিমান দুর্ঘটনার প্রতীক ||

গতকাল আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানটির ভয়ানক পরিণতি হয়, সেটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। পাইলট, কেবিন ক্রু ও যাত্রী সহ ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনই এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, প্রাণ গেছে বি.জে. মেডিকেল কলেজের ছাত্রদেরও।

🔴 বোয়িংয়ের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা

বোয়িংয়ের বিভিন্ন বিমান সামপ্রতিককালে বারংবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুটি ৭৩৭ ম্যাক্স জেট দুর্ঘটনার শিকার হয়, মৃত্যুমুখে ঢলে পড়েন ৩৪৬ জন। বোয়িং এই বিমানে ‘MCASS’ নামে নতুন একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করেছিল, পাইলটদের এই সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। ভাবখানা এমন যেন, পাইলটরা ফ্লাইট ওড়াতে গিয়েই সব জেনে নেবে! ফল যা হওয়ার তাই হলো। পরবর্তীতে দেখা যায়, এই সফটওয়্যার ছিল অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। আবার, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স জেটের একটি দরজা উড়ান নেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই মাঝ আকাশ থেকেই খুলে পড়ে যায়। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় দরজা আটকানোর চারটে বোল্ট মেইটেনেন্সের সময় বার করা হলেও পরবর্তীতে আর যুক্তই করা হয়নি!! যে মডেলের বিমানটি আমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, অর্থাৎ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানও এবছরই জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে ১লা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বারবার বিপদগ্রস্ত হয়েছে, টানা ২৫ দিন ক্যান্সেল কিংবা গতিপথ পাল্টাতে হয়েছে বিমানের।

🔴 আমেদাবাদে দুর্ঘটনার কারণ : বোয়িংয়ে কর্মরতদের আশঙ্কা ও ভবিষ্যৎবাণী

এই মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে গতকাল আমাদের পোস্টে আমরা দেখিয়েছিলাম বোয়িংয়ের বর্ষীয়ান ইঞ্জিনিয়ার 📌স্যাম সালেপুর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আমেরিকার সেনেটে সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে বোয়িংয়ের ৭৮৭ ও ৭৭৭ মডেল ভবিষ্যতে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হবে। তিনি বোয়িংয়ের ৭৮৭ মডেলে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০২১ সাল থেকেই তিনি কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্তাদের বারংবার মেমো লিখে জানিয়েছিলেন বোয়িংয়ের ৭৮৭ মডেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন যতদিন যাবে, বিমানগুলো দ্রুতই দুর্বল হয়ে পড়বে এবং কোম্পানি যে সমস্যাগুলোকে সুরক্ষা সম্পর্কিত নয় বলে বোঝাতে চাইছে, সেগুলিই তখন সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। স্যাম সালেপুর-এর মতে ৯৮.৭% ক্ষেত্রেই বিমানের পার্টস্ অ্যাসেম্বলিং ত্রুটিপূর্ণ, প্রতি ক্ষেত্রেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্টে গ্যাপ থেকে যায়। জোর করে বল প্রয়োগ করে এই গ্যাপগুলো আটকানোর চেষ্টা করে কোম্পানি, তাতে গ্যাপ না আটকালেও বিমান হয়ে যায় দুর্বল — বাড়ে রিস্ক ফ্যাক্টর — বিমানের আয়ু যায় কমে। এর ফলস্বরূপ তাকে বারংবার কোম্পানির থ্রেটের শিকার হতে হয়। এই বিষয় আমাদের পূর্বতন পোস্টে আলোচিত হয়েছে।

বোয়িংয়ের বর্ষীয়ান কর্মী 📌জন ব্রেনেট ৩২ বছর বোয়িংয়ে কাজ করেছিলেন। তিনি ২০১০ সালে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলে (আমেদাবাদে এই মডেলটিই দুর্ঘটনার শিকার হয়) কোয়ালিটি ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন। পরবর্তীতে তথ্যপ্রমাণ সহযোগে বোয়িংয়ের প্রোডাকশন স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে তিনি কেস করেন। সেখানে তিনি বলেন, ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ইমারজেন্সি অক্সিজেন সিস্টেমের টেস্ট ২৫% ক্ষেত্রেই ফেল করে গেছে, অর্থাৎ প্রতি ৪টের মধ্যে ১টা অক্সিজেন মাস্ক খারাপ। তিনি আরও বলেন, বোয়িং কর্মীদের ওপর ‘ডেডলাইন’-এ কাজ শেষ করার জন্য অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করত। ফলে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিম্নমানের পার্টস্ দিয়ে বোয়িংয়ের বিমান তৈরি করা হতো। তিনি বলেছিলেন সিনিয়রদের কাছে বারংবার এবিষয় নিয়ে তদ্বির করার পরও কেউ কোনো পাত্তা দেয়নি। পরবর্তীতে কেস চলাকালীন তার গাড়ি থেকে তার বুলেটের ক্ষতযুক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের প্রাক্তন কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর 📌রয় আরভিন বলেন প্রতিদিনই বোয়িংয়ে অবহেলা হয়ে থাকে। বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে তিনি সুরক্ষা ব্যবস্থায় মারাত্মক ত্রুটি পরিলক্ষিত করেছেন। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন হাইড্রলিক সিস্টেমে সমস্যা, বিভিন্ন অংশে পার্টস্ ল্যুজ্ থাকা, নাট-বোল্ট ঢিলে করে লাগানো, জ্বালানি লিক সহ হাজার রকম ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও এক-একটি বিমানকে এয়ারলাইন্সের হাতে হস্তান্তরিত করে দেওয়া হতো। এর কারণ হিসেবে তিনি কোম্পানির অত্যধিক মুনাফা লাভের লালসাকেই দায়ি করেছেন, যার ফলে চূড়ান্ত গাফিলতি দিয়ে সুরক্ষার দিকে কোনোরূপ নজর না দিয়েই কোনোমতে বিমানের একটা আকার দিয়ে তাকে বাজারে ছেড়ে দেয় কোম্পানি।

📌স্যান্টিয়াগো পেরেডেস ছিলেন বোয়িংয়ের প্রাক্তন প্রধান সাপ্লায়ার স্পিরিট এয়ারোসিস্টেমসের প্রাক্তন কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর ছিলেন। বোয়িংয়ের হাতে দেওয়ার আগে বিমানের মূল বডির (ফিউসল্যাজ) ফাইনাল ইন্সপেকশনের দায়িত্ব ছিল তার। প্রতিদিন প্রতিটি বিমানেই শেষ মুহূর্তে তারা একাধিক ত্রুটি খুঁজে পেতেন। তিনি যে অংশ পরিদর্শন করতেন, সেখানে কমপক্ষে ১০০-২০০ ত্রুটি খুঁজে পেতেন তিনি। ড্যামেজড্ পার্টস্, গুরুত্বপূর্ণ পার্টস্ যুক্ত না করা, সিল না থাকা বা ড্যামেজড্ সিল থাকা, নাট-বোল্ট ঠিক করে না থাকা থেকে শুরু করে হাজার রকমের সমস্যা তার নজরে ধরা পড়তো। কোম্পানি জবরদস্তি তাকে চাপ দিতে ত্রুটির সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে, ১০০ টা ত্রুটি থাকলে ১টা ত্রুটি নোট করতে। অস্বীকার করলে তাকে চাকরি থেকে বার করে দেওয়ার ধমকি দেওয়া হয়।

বলাই বাহুল্য, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারে এত ত্রুটি জানা সত্ত্বেও বোয়িংয়ের ওপর ফৌজদারি মামলা চলা সত্ত্বেও (সম্প্রতি নিষ্পত্তি হয়েছে) এই বিমান ওড়াতে দু'বার ভাবার প্রয়োজন বোধ করেনি টাটা-র মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইনস।

🔴 অত্যধিক মুনাফা লাভের উদগ্র বাসনা : মানুষের জীবন মূল্যহীন

কোম্পানিতে কর্মরত বর্ষীয়ান ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর, সকলের বয়ান একদিকেই ইঙ্গিত করে — অত্যধিক মুনাফা লাভের উদগ্র বাসনায় কর্পোরেট হাউস জনতার জীবনকে তুচ্ছ মনে করে। একটা বিমানের সাথে জড়িত থাকে শত শত মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। পাইলট-কোপাইলট, কেবিন ক্রু, যাত্রী সহ শত শত মানুষ দ্রুততার সাথে নিরাপদ যাত্রার আশায় বিমানে চাপেন। অথচ, যে কর্পোরেট হাউস বিমান তৈরি করে এবং যারা এয়ার-লাইন্স চালায় — তারা কেউই এই শত শত মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ভাবতে রাজি নয়। কোটি কোটি টাকার মুনাফা তাদের পকেটে ঢুকলেই তারা সন্তুষ্ট। তার জন্য বিমানের কোয়ালিটি যদি খারাপ হয় হোক, বিমানের সুরক্ষা ত্রুটিপূর্ণ হলে হোক, যাত্রী নিরাপত্তা সঙ্কটগ্রস্ত হলে হোক — বোয়িংয়ের মত বিমান নির্মাণকারী সংস্থা, কিংবা এয়ার ইন্ডিয়া-র মতো এয়ার-লাইন্স তাতে মাথা ঘামায় না। একবার দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারকে কিছু টাকা ঢেলে দিলেই যেন তাদের কর্তব্য সম্পন্ন হয়!
এরই মাঝে শাসকেরা প্রচার করে বেড়ায় ‘বেসরকারি হলে পরিষেবা ভাল হবে’। সরকারি এয়ারলাইন্স বিক্রি হয়ে যায়, এয়ারপোর্ট বিক্রি হয়ে যায়। এর সাথে বিক্রি হয়ে যায় মানুষের জীবনও। কর্পোরেট সংস্থার মালিকেরা এক পকেটে টাকা, অন্য পকেটে জনতার জীবন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। জনতার জীবনের দামও তারা পরিমাপ করে টাকার অঙ্কে — মানুষ সেখানে শুধুই কিছু সংখ্যা।

সোর্স:
BBC News ( https://www.bbc.com/news/business-68534703 )

60 minutes ( https://youtu.be/aOJLuh6FQ6E?si=LFYoCXbISc7wy05U )

সেনেটর জশ হলেই ( http://youtu.be/bZsUHIGGW7M?si=rMADv8OefbzSwWTj )

CBS News ( https://www.youtube.com/live/IE0pwIRWacg?si=1HH4iIom2x9Sd2t1 )

The Telegraph ( https://youtu.be/PP0xhIe1LFE?si=4E5zdL_Zr9w5TVC8 )

|| আমেদাবাদে বিমান ✈️দুর্ঘটনা, এয়ার ইন্ডিয়া, বোয়িং ৭৮৭ বিমান ও কিছু ভয়ানক সত্য ||✈️ভয়ানক প্লেন দুর্ঘটনা ঘটে গেল আমেদাবাদ...
12/06/2025

|| আমেদাবাদে বিমান ✈️দুর্ঘটনা, এয়ার ইন্ডিয়া, বোয়িং ৭৮৭ বিমান ও কিছু ভয়ানক সত্য ||

✈️ভয়ানক প্লেন দুর্ঘটনা ঘটে গেল আমেদাবাদে। আমেদাবাদ থেকে লন্ডন গামী এয়ার ইন্ডিয়া-র ফ্লাইট উড়ান নেওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই হলো দুর্ঘটনার শিকার। ২৩২ জন প্যাসেঞ্জার, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু নিয়ে নিকটবর্তী বি.জে.মেডিকেল কলেজের🚨 হোস্টেলে ভয়ানক বিস্ফোরণের সাথে ধাক্কা মারল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি। উদ্ধারকর্তারা এখনও পর্যন্ত জানিয়েছেন কমপক্ষে ৩০-৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৫ জন মেডিকেল ছাত্র মারা গেছে। এ কি অবশ্যম্ভাবী ছিল ? এর দায় কার ? এত গুলো মানুষের জীবন ধুপের ধোঁয়ার মতো উড়ে গেল কেন ?
এই শোকস্তব্ধ পরিস্থিতিতেও কিছু তথ্য আমাদের অত্যন্ত বিস্মিত করছে।
📌এই বিমানটি প্রথম ২০১৩ সালে উড়ান নেয়, এয়ার ইন্ডিয়া-র হাতে বিমানটি আসে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে। সর্বাধুনিক যাত্রীবাহী বিমানের মধ্যে এই বিমানটি অন্যতম হলেও এই বিমানকে নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে তরজা কম হয়নি।
📌আমেরিকান এয়ারলাইন্স-এর বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান এবছর জানুয়ারির ৭ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ পর্যন্ত ২৫ দিন সময়ে বারবার ক্যান্সেল হয়েছে কিংবা নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। ৭ই জানুয়ারি বিমানের ডানার সমস্যা এবং হাইড্রলিক লিকেজের কারণে প্রথম বার বিমান ক্যান্সেল করা হয়, পরেরবারগুলির ক্ষেত্রে কারণ এখনও অজ্ঞাত।
এ শুধু হিমশৈলের চূড়া মাত্র, এই বিমানের আরও ইতিহাস রয়েছে। 🛑 বোয়িংয়ের বর্ষীয়ান ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেপুর ২০২৪ সালে তথ্য-প্রমাণ সহযোগে বোয়িং ৭৭৭ ও বোয়িং ৭৮৭ বিমানের নির্মাণপ্রণালী ও তার ফলে সামগ্রিকভাবে বিমানের সুরক্ষায় মারাত্মক বিপদ সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন এবং বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। মার্কিন কংগ্রেসে তার বক্তব্য পেশ করার সময় তিনি বলেন, “কোম্পানি ৭৮৭ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ম্যানুফ্যাকচারিং শর্টকাট গ্রহণ করছে, যার ফলে বিমানে সুরক্ষা এবং আয়ু মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। বিমানের ফিউজ্ লজ ও গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্ট ভালভাবে সংযুক্ত না করার ফলে ২০১৩ সাল থেকেই ৭৮৭ বিমানগুলিতে গভীর সমস্যা দেখা দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেছেন যে যেখানে একচুল গ্যাপ থাকলেই বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারে, সেখানে জোর করে বেশি চাপ দিয়ে ঠাসাঠাসি করে গ্যাপগুলো বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে — যাতে আদতেই গ্যাপগুলো বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেছেন ৯৮.৭% ক্ষেত্রেই এমন গ্যাপ তিনি খুঁজে পেয়েছেন যেগুলো ওভাবেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে একেকটা বিমানের স্ট্রাকচার-অ্যালাইনমেন্টও ঠিক হয়নি, বিমানগুলো হয়েছে দুর্বল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, এই বিমানগুলিকে জোড় করে বিভিন্নভাবে বল প্রয়োগ করে সোজা করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সেই বিমানই চালানের জন্য কোম্পানিগুলির হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টোদিকে, সঠিক তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য বারংবার থ্রেট দেওয়া হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেপুর-কে।

📌বিমান দুর্ঘটনার এই ভয়াবহ সময় একদিকে যেমন একে অপরের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, অপরদিকে দাবি করতে হবে, তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার। খুঁজে দেখতে হবে, অত্যধিক মুনাফা লাভের উদগ্র বাসনায় যাত্রীবাহী বিমান তৈরির ক্ষেত্রে বোয়িংএর অবহেলা কতটা এবং সব জেনে শুনেও সেই বিমান কিনে এয়ার ইন্ডিয়া কী প্রবল মুনাফার💰 বাসনায় তাকে চালাচ্ছিল ? যদি তাই হয় তবে তার বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জীবনের দাম কোনোদিনই অর্থের সাথে তুল্যমূল্য বিচারে আসতে পারে না। অথচ, যারা নিজেদের মুনাফা লাভের মানসিকতা থেকে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তোলে, মানুষের মৃত্যু যাদের হৃদয়ে আঁচড় কাটতে পারে না, তাদের এই সময়ই চিনে নিতেও হবে।

সোর্স : economic times, the telegraph, https://katzbanks.com, NDTV etc..

সত্যান্বেষী WhatsApp চ্যানেলটি ফলো করুন :
https://whatsapp.com/channel/0029VaullgzDJ6GtkUhUzV0e



🗞️ ইতিমধ্যে সকলেই জেনেছেন বিগত ২৬শে মে ও ২৭শে মে স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশ করা দুটি বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর...
04/06/2025

🗞️ ইতিমধ্যে সকলেই জেনেছেন বিগত ২৬শে মে ও ২৭শে মে স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশ করা দুটি বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৭৭৮ জন ও ২০২২-২৪ শিক্ষাবর্ষের ৮৭১ জন পোস্ট-গ্র্যাজ্যুয়েট জুনিয়র চিকিৎসকের বন্ড পোস্টিংয়ের সংশোধিত ফাইনাল লিস্ট ঘোষণা করা হয় এবং তাতে কেবলমাত্র আর জি কর আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা ডাঃ অনিকেত মাহাত, ডাঃ আসফাকুল্লা নাইয়া ও ডাঃ দেবাশিষ হালদার-এর পোস্টিং পাল্টে দেওয়া হয়। এই নিয়ে মূলত ২টি ধারায় বাক-বিতন্ডা চলছে।
১. আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এবং সাধারণ জনতা বলছেন যে মেধার ভিত্তিতে প্রকাশিত বন্ড পোস্টিংয়ের পূর্বতন তালিকাকে বর্জন করে নতুন তালিকা প্রস্তুত করে তাতে এই তিন জন চিকিৎসকের পোস্টিং পাল্টে দেওয়া আসলে আন্দোলনকারীদের ওপর শাসকদের প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের পরিচায়ক।
২. রাজ্য সরকার, শাসক দল ও মিডিয়া হাউসের একাংশ বলছে নতুন পোস্টিং নতুন প্রয়োজনের ভিত্তিতে করা হয়েছে, তাতে এই চিকিৎসকরা বিভিন্ন অজুহাতের আড়ালে ‘গ্রাম্য’ জায়গায় চিকিৎসা করাতে অস্বীকার করছেন। এটা তাদের সুবিধাবাদী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাবের পরিচায়ক।
আসুন, আমরা বুঝে নিই প্রকৃত সত্য কোথায়।

🔴 বন্ড পোস্টিং কী? সরকারি চাকরির বদলি ও বন্ড পোস্টিংয়ে বদলি কি একই জিনিস?

২০১৩ সালের ৩১শে জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত একটি নোটিসে (Memo no. HF/O/MERT/912/ME/MISC-78- 13) প্রথম পোস্ট গ্র্যাজ্যুয়েট ও পোস্ট ডক্টরাল শিক্ষা শেষে চিকিৎসকদের বন্ড পোস্টিংয়ের বিষয় নিয়ে সরকারি নির্দেশ আসে। এই নোটিসে বলা হয়,
“It has been decided that Doctors, after completing their Postgraduate and Post-Doctoral Education in State Medical Teaching Institutions in West Bengal, will work in Multi-Speciality/Super-Speciality Hospitals, Secondary & Tertiary level hospitals in West Bengal for a period of one year to serve the rural people.”
অর্থাৎ, শিক্ষার শেষে চাকরি নয়, শিক্ষার এক্সটেনশন হিসেবেই বন্ড পোস্টিং নিয়ে আসা হয়।
আবার, ১০ই জুন, ২০১৪ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত একটি নোটিসে (No. HF/O/MERT/923/ME/MISC-78-13) বন্ড পোস্টিংয়ের বিষয়টি রাজ্য সরকার সংশোধিত করে বলে,
“........ Now, in partial modification of Notification Number HF/O/MERT/912/ME/MISC-78-13 dated 31 day of July, 2013, _it is hereby ordered that, every postgraduate trainee (other than State Government sponsored in service doctors) has to execute an indemnity bond to serve this State Government for a period of three years after successful completion of Post Doctoral/MD/MS Course and for a period of two years after successful completion of PG Diploma course_, failing which such candidates will be liable to recompense this State Government a penal amount of Rupees Ten lakh for each defaulting year.......”
অর্থাৎ, বন্ড পোস্টিংয়ের সময় বাড়লো এবং এই নোটিসে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করা হলো যারা বন্ড পোস্টিংয়ে থাকছেন, তারা রাজ্য সরকারকে ‘serve’ করছেন।
স্পষ্টতই, বন্ড পোস্টিং ও সরকারি চাকরি কোনোভাবেই একই বিষয় নয়। বন্ড পোস্টিং শিক্ষার একটা এক্সটেনশন। সরকারি চাকরিতে ‘বদলি’ স্বাভাবিক হলেও, বন্ড পোস্টিং সংক্রান্ত কোনো নোটিসে রাজ্য সরকারের ইচ্ছানুযায়ী ‘বদলি’ করে দেওয়ার কোনো নিয়মের উল্লেখ নেই। যেহেতু বন্ড পোস্টিং চাকরি নয়, তাই এতে বদলিও হয় না। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র এই বিষয়টিকেই গুলিয়ে দিতে চাইছে।

🔴 বন্ড পোস্টিংয়ে সিট অ্যালট হয় কীভাবে?

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বন্ড পোস্টিংয়ের SOP সম্পর্কিত নোটিস (Memo. No. HF/O/H S(MA)1222/HFW-430 tt(tt) I |S2I2022-ADMIN) জারি করা হয়। এই নোটিসের দ্বিতীয় পাতায় 4a) পয়েন্ট অনুযায়ী,
“The candidates who have completed Post Graduate Degree will be posted as
Senior Resident at different Medical Colleges and Hospitals /Teaching Institutions,
which are having either recognized seats or at least LoP conferred by NMC,
throughout the state for initial one year. For the remaining period of the indemnity
bond, they will be posted at different Secondary tier Hospitals and Rural Hospitals,
as per requirement of the Specialist at such hospitals, throughout the state.”
অর্থাৎ, পোস্ট গ্র্যাজ্যুয়েট শেষে চিকিৎসকদের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে বন্ড পোস্টিংয়ের প্রথম বছর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল / শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোস্টিং হবে। পরের দুই বছর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন দ্বিতীয় স্তরের হাসপাতাল বা গ্রামীণ হাসপাতালে পোস্টিং হবে।
আবার, এই নোটিসের তৃতীয় পাতায় 7a) পয়েন্টে বলা রয়েছে,
“ Thereafter the Directorate of Medical Education along with concerned branch of
the Department (MERT) will arrange for engagement of such candidates,
_completing Post Graduate Degree (মোটা অক্ষরে), at different Medical College and Hospitals/Teaching Institutions of the state as Senior Resident for initial one year through Counselling (মোটা অক্ষরে), based on the merit list prepared on basis of the collected stated particulars_. _After completion of one year bond service by such candidates, the Directorate of Health Services along with concerned. branch of the Department [HS(MA)] will arrange for appointment of such candidates at different Secondary tier Hospitals and Rural Hospitals in the state as Senior Resident through further Counselling (মোটা অক্ষরে), based on the merit list already prepared on basis of the collected stated particulars._”
অর্থাৎ, প্রথম বছর বছর বন্ড পোস্টিংয়ের জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের মেরিটের ভিত্তিতে কাউন্সিলিং হবে এবং সেই অনুযায়ী তাদের পোস্টিং হবে। এক বছরের শেষে পুনর্বার মেরিটের ভিত্তিতে কাউন্সিলিং এবং সেই অনুযায়ী আবার পোস্টিং।
এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ পাতায় 7d) পয়েন্টে বলা হয়েছে,
“However, as marks and rank of such passed out candidates are usually available from WBUHS after few days/ a week or two of publication of their result, initially such candidates will be engaged at the institution from which they pursued the course just after publication of their result. Thereafter, while they will be posted at different Medical College and Hospitals /Teaching Institutions/Secondary Tier Hospitals/ Rural Hospitals of the state, as the case may be, as Senior Resident through Counselling (in bold letters) on indemnity bond, their bond period will be
effective from date of publication of their result/ completion of tenure of course
which one is later.”
অর্থাৎ, জুনিয়র চিকিৎসকদের পোস্ট গ্র্যাজ্যুয়েট কোর্সে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই হবে কাউন্সিলিং এবং রেজাল্ট প্রকাশ বা কোর্স শেষ — যেটা পরে হচ্ছে, সেদিন থেকেই তাদের বন্ডের পোস্টিং শুরু হবে।
এরপর ১৬ই জুন, ২০২৩-এ প্রকাশিত নোটিস (Memo. No. HF/O/HS(MA)/908/HFW-23099/201/2023-DIR MES) বন্ড পোস্টিং কার্যকরী করার জন্য একটি Senior Resident Expert Committee ঘোষণা করা। এখানে বলা হয়,
“A committee, namely, Senior Resident Expert Committee is formed to deal effectively with the plan of distribution of Senior Residents both for the first year and consecutive second and third year _considering the rank wise list obtained from the West Bengal University of Health Sciences by utilizing the method of counselling for a scientific and rational distribution_......”
অর্থাৎ, ‘বিজ্ঞানসম্মত’ ও ‘যৌক্তিক’ পদ্ধতি হিসেবে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রস্তুত হওয়া র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বন্ড পোস্টিং কার্যকরী করার কথা পরিষ্কার বলা হয়।

🔴 সমস্যা কোথায়?

২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ২০২২-২৪ শিক্ষাবর্ষে পাস আউট জুনিয়র চিকিৎসকদের বন্ড পোস্টিংয়ের জন্য ভ্যাকেন্সি লিস্ট বার হয় (Memo. No. HF/O/HS(MA)/224/HFW-25099/102/2023-MA)। তাতে মালদার গাজোল এসজিএইচ-এর নামই ছিল না। ডাঃ দেবাশিষ হালদার তার র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী (২৪) ২৭ ফেব্রুয়ারি’২৫ তারিখে কাউন্সিলিংয়ের সময় হাওড়া জেলা হাসপাতালে অ্যানাস্থেসিওলজি-তে Self declaration-এ স্বাক্ষর করেন। অথচ, হঠাৎ করে ২৬শে মে একটি নতুন নোটিসের মাধ্যমে ৭৭৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে একমাত্র তার পোস্টিং পাল্টে মালদা-র গাজোল এসজিএইচ-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ২১ মার্চ’২৫ তারিখে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের জন্য বন্ড পোস্টিংয়ের ভ্যাকেন্সি লিস্ট প্রকাশিত হয় (Memo No. — HAD/12M-01-2025/M/736)। এতেও রায়গঞ্জ গভ: মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যানাস্থেসিওলজি কিংবা দেবেন মাহাতো গভ: মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, পুরুলিয়া-য় ইএনটি বিভাগে কোনো ভ্যাকেন্সি ছিল না। ডাঃ অনিকেত মাহাত (র‍্যাঙ্ক ২৪) ও ডাঃ আসফাকুল্লা নাইয়া (র‍্যাঙ্ক ৫৭৫) যথাক্রমে ২৫ শে মার্চ’২৫ তারিখে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যানাস্থেসিওলজি এবং ৩রা এপ্রিল’২৫ তারিখে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে ইএনটি বিভাগের জন্য Self declaration ফর্মে স্বাক্ষর করেন। আশ্চর্যজনকভাবে, ২৭শে মার্চ প্রকাশিত এক নতুন নোটিসে ৮৭১ জনের মধ্যে বেছে বেছে কেবলমাত্র তাদের দুজনেরই পোস্টিং বদলে ভ্যাকেন্সি লিস্টে নাম না থাকা ২টি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
স্পষ্টতই, রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বন্ড পোস্টিংয়ের নিয়মাবলি ২৬ ও ২৭শে মে তারিখে রাজ্য সরকার নিজেই ভেঙ্গে দিয়েছে শুধুমাত্র তিন জনের পোস্টিং পাল্টে দেওয়ার জন্য। যেখানে রাজ্য সরকার দ্বারা প্রকাশিত একাধিক নোটিসে বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে যে বন্ড পোস্টিংয়ের একমাত্র পদ্ধতি হলো মেধার ভিত্তিতে কাউন্সিলিং, সেখানে এই তিন জনের পোস্টিং হঠাৎ পাল্টে দেওয়াটা চূড়ান্ত বেআইনি।

🔰 রাজ্য সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব
আর জি কর আন্দোলনের প্রথম সারির তিন জন নেতার বন্ড পোস্টিং পাল্টে দিয়ে তাকে সরকারি চাকরির ট্রান্সফারের সাথে গুলিয়ে দিতে চাওয়ার ন্যাক্কারজনক আচরণ প্রমাণ করে রাজ্য সরকার আদতে চূড়ান্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের বশবর্তী হয়েই এই কাজ করেছে। সাম্প্রতিককালে রাজ্যের বুকে ঘটতে থাকা একের পর এক আন্দোলনে রাজ্য সরকারের নৃশংস দমননীতিই — শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুলিশ দিয়ে বেধরক পেটানো, আন্দোলনকারী ছাত্রীদের থানায় তুলে নিয়ে নারকীয় অত্যাচার, ছাত্রের ওপর দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি — এই বন্ড পোস্টিং পাল্টে দেওয়ার ঘটনাতে প্রকাশিত হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট তার অবজারভেশনে বলেছিল আর জি কর আন্দোলনের নেতাদের প্রতি ভবিষ্যতে কোনো প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করা যাবে না। অথচ, সুপ্রিম কোর্টের সেই অবজারভেশনকে অগ্রাহ্য করেই ডাঃ অনিকেত মাহাত, ডাঃ আসফাকুল্লা নাইয়া ও ডাঃ দেবাশিষ হালদারের পোস্টিং বেআইনিভাবে পাল্টে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে থ্রেট দিলো রাজ্য সরকার। আর জি কর আন্দোলনের সময় শুরু থেকেই আমরা দেখেছি থ্রেট কালচারের পান্ডাদের বারংবার মরিয়া হয়ে রক্ষা করতে চেয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও থ্রেট কালচারের পান্ডাদের রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের প্রতি রাজ্য সরকারের বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব সকলেই জানেন।
আরো একটি প্রশ্ন উঠছে। শুধুই কি আন্দোলনকারীদের ওপর প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ কাজ করা হলো নাকি এর মধ্যে আরোও কোন গভীর চক্রান্ত রয়েছে ? হ্যাঁ অবশ্যই রয়েছে। অনিকেতদের বেআইনি ভাবে পোস্টিং দিয়ে, পশ্চিমবাংলার জনগণের মধ্যে বিশেষ করে ছাত্র সমাজের মধ্যে রাজ্য সরকার একটা ভয় তৈরি করতে চাইছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মনের মধ্যে ছলে বলে কৌশলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে, প্রতিবাদ করলেই ফেল করিয়ে দেওয়া হবে কিংবা কোন না কোন ভাবে তোমাকে হ্যারাসমেন্ট করা হবে। যাতে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বরকে সম্পূর্ণভাবে দমন করা যায়।

🔰 কিন্তু, এর মাঝেই বলিষ্ঠভাবে লড়ে যাচ্ছে ডাঃ অনিকেত-রা। ডাঃ অনিকেত মাহাত ইতিমধ্যেই বলেছেন তিনি এই বেআইনি পোস্টিংয়ে জয়েন করবেন না, বেতনও নেবেন না। অনিকেতারা বারবার জানান দিয়ে যাচ্ছে লড়াই তারা ছাড়েনি। তারা ভয় পায়নি। তারা বিক্রি হয়নি। অনিকেত নতি স্বীকার করেনি। আরেকটা অভয়ার মত ঘটনা যেন না ঘটে তার লড়াই থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্যারিয়ার কিম্বা পড়াশুনার অজুহাত তারা দেয়নি। তাই এই মুহূর্তে মিথ্যের মায়াজাল ছিঁড়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করাই আমাদের কর্তব্য।

সত্যান্বেষী WhatsApp চ্যানেলটি ফলো করুন :
https://whatsapp.com/channel/0029VaullgzDJ6GtkUhUzV0e



Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সত্যান্বেষী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category