29/10/2025
পাকিস্তানী নৌবাহিনী–পাকিস্তান সীমান্তবর্তী স্যার ক্রিক অঞ্চলের ভিডিও সম্প্রতিক প্রকাশ করেছে। ভিডিও টিতে দেখা যায়, পাকিস্তান নৌবাহিনীর একাধিক অ্যামফিবিয়ান যান স্যর ক্রিক অঞ্চলে ঘোরা ফেরা করছে। তারা আট মাসের মধ্যে তার চার পাশে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে । তারা ইউনাইটেট কিংডম কাছ থেকে তিনটি আজব
হোভারক্রাফট কিনেছে ।
বলে রাখা ভালো
স্যার ক্রিক মূলত বান গঙ্গা নামে পরিচিত ছিল। এটি ব্রিটিশ রাজের প্রতিনিধি স্যার ক্রিক এর নামে নামকরণ করা হয়
• স্যার ক্রিক (স্যার খাঁড়ি), মূলত বান গঙ্গা,[১] ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে সিন্ধু নদী বদ্বীপের জনশূন্য জলাভূমিতে একটি ৯৬ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দীর্ঘ জোয়ারভাটাযুক্ত মোহনা বা খাঁড়ি। আরব সাগরের এই প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ অঞ্চল ভারতের গুজরাটকে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে পৃথক করে। দীর্ঘদিনের ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। এখানে কোন জনবসতি নেই । ভাসমান সীমান্ত চৌকি, উভচর যানবাহন এবং ক্রিক ক্রোকোডাইল কমান্ডোদের পদব্রজে ভ্রমণের মাধ্যমে স্যার ক্রিক পর্যন্ত নদীর মাঝামাঝি পর্যন্ত টহল দেয়। স্যার ক্রিকের উপকূলীয় অঞ্চলটি ভারতীয় উপকূলরক্ষী দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এর ওপারে বৃহত্তর উন্মুক্ত সমুদ্রটি ভারতীয় নৌবাহিনী দ্বারা টহল দেওয়া হয়।পাকিস্তান এই স্যার কিক অঞ্চল কে অন্যায় ভাবে দাবী করছে।প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান সির ক্রিক এলাকায় নতুন ঘাঁটি তৈরি করছে বা নৌবাহিনীর তৎপরতা বাড়াচ্ছে। এটি ভবিষ্যতে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
বান গঙ্গা হলো কর্দমাক্ত জলাভূমি।সৈনিকদের পক্ষে পায়ে হেঁটে বা দাঁড়িয়ে টহল দেওয়া একে বারেই অসম্ভব। এখানে ট্যাংক বা পদাতিক বাহিনী একেবারেই অচল।এই স্থানে আবার অন্য সমুদ্র তটের মতো জাহাজ কিম্বা স্পিট বোর্টএর সাহায্যেও সম্পূর্ণ নজরদারী সম্ভব নয়। এই অংশে দুই দেশ যদি সম্মুখ সমরে আসে তা হবে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা।
সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী হবার জন্যে ও ভারতের নৌ শক্তি কে করার তারা ইউকে থেকে যে উভচরী যান টি কিনেছেন তার নাম হলো 'UK sourced Griffon 2400TD hovercraft ' । এখানে ট্রামপের চামচগিরি করে পাকিস্তান ভাবছে যতদিন ট্রাম্প আছে একটু এডভেঞ্চার করেই নি । কিন্তু ভারতীয়দের নৌ সামরিক শক্তির কাছে এটা কিছুই না । তারা ভুলে যাচ্ছে যে অপরেশন সিঁদুর চলার সময় ভারতের নৌবাহিনীর ভয়ে পাকিস্তানের নৌসেনা করাচি থেকে পালিয়ে গিয়ে ইরানের কাছে গদর বন্দরে গিয়ে লুকিয়ে বসেছিলো।