অচেনা path

অচেনা path অচেনা পথ সব সময় মানুষের পাশে মানুষের সাথে
হিংসা নয় চেষ্টা করে এগিয়ে যাও।
(1)

মায়ের আগমনরূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।ইদং স্তোত্রং পঠিত্বা তু মহাস্তোত্রং পঠেন্নরঃ।সপ্তশতীং সমারাধ্য বরমাপ্...
12/10/2025

মায়ের আগমন
রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।
ইদং স্তোত্রং পঠিত্বা তু মহাস্তোত্রং পঠেন্নরঃ।
সপ্তশতীং সমারাধ্য বরমাপ্নোতি দুর্লভম্...
চারিদিকে বাজছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র মহাশয়ের "মহিষাসুরমর্দিনী" অনুষ্ঠানের সেই সুপরিচিত শ্লোক — "রূপং দেহি জয়ং দেহি"। সাথে ভেসে আসছে ঢাকের গমগমে আওয়াজ। আকাশে পেঁজা তুলোর মেঘের ভেলা, কাশের বনে মৃদু দোলা আর প্রকৃতিজুড়ে এক স্নিগ্ধ আলোর সজ্জা। দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে, মায়ের আগমন ঘটেছে বাপের বাড়িতে। এই আগমনেই অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে চারিদিকে শুভ শক্তির আবির্ভাব।
মা স্বর্গলোকের অসুর বধের পর্ব সমাপ্ত করে মর্তের অসুরকে বিনাশ করতে এসেছেন। তিনি এসেছেন নারী শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে, প্রতিবাদের সুর হয়ে, বিচারের বাণী নিয়ে। এসেছেন দুর্নীতি, অবিচার, শোষণ— সব মিলিয়ে জমে থাকা অন্ধকার কুয়াশা দূর করতে। তিনি এসেছেন প্রাণোচ্ছল পৃথিবী গড়তে, মমতার উৎস হয়ে। আবার কঠিন সময়ে পাহাড়ের মতো অটল শক্তি হয়েও তিনি বিরাজমান।
আসলে, তাঁর মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক অসামান্য গল্প— যেখানে সৃষ্টি, ভালোবাসা, সংগ্রাম আর বিজয়ের ধারা অবিচ্ছিন্ন।
তাঁর আগমন যেন এই বার্তা দেয়:
"আমাদের ভেতরের শক্তি জাগুক, প্রতিটি নারী হোক অজেয়।
লড়াই করুক নিজের শক্তিতে, নিজেকে দুর্বল না ভাবুক কখনো।"
তিনি চান গরীব-দুঃখী মানুষগুলোর শূন্যতা দূর হোক, যেন তাদের পেট ভরে অন্ন জোটে, যেন মানুষগুলো আপনজনের কাছে ঘরে ফেরার আশ্রয় পায়।
আসলে তিনি তো বহুরূপী। কখনও তিনি কন্যা, কখনও বোন, কখনও মা। প্রতিটি রূপেই তিনি আমাদের রক্ষা করে চলেছেন সবসময়, প্রতিনিয়ত।

কলমে~ বনশ্রী
ছবি -সংগৃহীত
সৌজন্যে অচেনা path

12/10/2025

অচেনা path আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ

নাম : সঙ্গীতা ভট্টাচার্য্য
বয়স : ২৪
বিভাগ : গ
বিষয় : বাংলা আগমনি
জেলা : দক্ষিণ ২৪ পরগনা
ঠিকানা : সোনারপুর, কলকাতা- ৭০০ ১৫০
পেজ : নন পেজ

#প্রয়াস #অচেনাপথ

অনুরূপার বিয়েআয়নার সামনে সন্ধ্যার মৃদু আলোয় নিজেকে দেখছিল অনুরূপা। আজ তার রূপের বাহার নেই, পরনে নেই রঙিন বেনারসি, কণ্ঠ...
12/10/2025

অনুরূপার বিয়ে
আয়নার সামনে সন্ধ্যার মৃদু আলোয় নিজেকে দেখছিল অনুরূপা। আজ তার রূপের বাহার নেই, পরনে নেই রঙিন বেনারসি, কণ্ঠে নেই হিরে-মুক্তোর হার। মুখুজ্জ্যেরা মস্ত কুলীন, আর কুল বাঁচাতে মেয়েকে বলি দেওয়া তো এদেশের নিয়ম—আর সেটাই হয়েছে। মুণ্ডিত মস্তক, শূন্য সিঁথি আর সাদা থান—এই নিয়মেই কাটাতে হচ্ছে তার জীবন। জীবনের চোদ্দটা বছর তো এই একাদশী করেই কাটিয়ে দিল সে।
অবশ্য যে বিয়ের জেরে সে আজ বিধবা, সেই বিয়ের কথা তার মনেও নেই। শুধু আলমারিতে রাখা চেলিটা দেখলে একটু একটু মনে করার চেষ্টা করে। বিয়ে তো হয়েছিল আট বছর বয়সে, গৌরীদানের মহত্ব রক্ষা করেছিল তার বাবা আর দাদারা। জাত-কুল বাঁচাতে তাকে পড়তে হয়েছিল তিয়াত্তর বছরের এক বুড়ো জমিদারের গলায়, তার বাহাত্তরতম পত্নী হয়ে। বুড়ো বয়সেও নাকি তাঁর যৌবন ছিল সাতাশ বছরের যুবকের মতো, দাদা বলেছিল। এখন শুনে হাসে সে, শুনেছিল নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকাও পণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
তার বিয়ের পর ফুলশয্যাও হয়নি, বর কাশতে কাশতে পটল তুলল। শাঁখা-সিঁদুর পরার মেয়াদ ছিল তার মাত্র তিন দিন।
এখন তার বয়স বাইশ। বিধবা, তায় বামুন ঘরের মেয়ে, কাজে নিষেধ তো কম নেই। লেখাপড়া সে কিছু শিখেছিল, কিন্তু বিধবা মেয়ে হলো গিয়ে পরিবারের গলগ্রহ, তাকে দু'বেলা খেতে দেওয়াটাই ঝামেলার, আবার লেখাপড়ার খরচ! তার ওপর বেটাছেলেদের কুনজর তো আছেই।
ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে, সে জানে না। আজ একাদশী, সে জানে আজ তাকে খেতে নেই।..
অনেক বছর শহরে কাটিয়ে আজ গ্রামে ফিরল তপন। সেই ন'বছর বয়সে কলকাতা গিয়েছিল আর ফেরেনি সে। তারপর আজ ফিরল, বি.এ. পাশ করে।
গ্রামে সেরকম কোনো কাজ নেই, চাকরির চেষ্টা করেছে সে। আপাতত পাড়ার এন্ট্রান্স স্কুলে পড়াচ্ছে, চাকরি পেলেই শহরে চলে যাবে সে।
মাঝে মাঝেই যায় বন্ধু কালীনাথের বাড়ি, সেখানেই দেখে ওর মেজবোন অনুকে, ভালো নাম 'অনুরূপা'। শুনেছে বিয়ের অল্পদিনের মধ্যেই ওর বর মারা গেছে, শুনে তার দুঃখও হয়।
পর্দার আড়াল দিয়ে সে অনেকবার তার সুন্দর অথচ বিষণ্ণ মুখখানি দেখেছে, কিন্তু বলতে পারেনি তার মনের কথা।..
"মেজদিদি, তোমাকে তপনদা একটা চিঠি দিয়েছে, এই নাও", ছোট বোন ফুল্লরার কথায় অবাক হলো সে।
খাম ভেঙে চিঠিটা পড়ল। চিঠিতে লেখা,
"তোমাকে অনেকবার দেখেছি প্রিয়, কিন্তু বলতে পারিনি। আমি তোমাকে ভালোবাসি অনু, খুব ভালোবাসি। তোমাকে বিয়েও করতে চাই, যদি রাজি থাকো তুমি। চিন্তা নেই, শহরে বিধবাদের তো বিয়ে হচ্ছে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের উদ্যোগে। আর আমি তো ওঁর প্রতিষ্ঠিত কলেজেই পড়তাম, কাজেই ছাত্রের এ কাজে তিনি সাহায্য করবেন না? তিনি তো শুনেছি নিজ পুত্রেরও বিধবা বিবাহ দিয়েছেন।
বাকি রইলো গ্রামের কথা। তুমি যদি চাও, আজ রাতেই বেরিয়ে পড়ব এ গ্রাম ছেড়ে। কলকাতায় কিছু একটা হয়ে যাবে আমার, দেখো।
জানিও কিন্তু। ইতি,
তপন।"
চিঠিটা পড়ে সে অবাক হয়ে গেল। অনেকবার চোখাচোখি হয়েছে তপনদার সাথে, মনেও ধরেছিল তাকে; তবু লোকলজ্জার ভয়ে কিছু বলতে পারেনি।
আর পারে না সে, আবার আয়নাটা মুখের সামনে ধরে। দেখে কনের সাজে ওরই মতো দেখতে আরেকটা মুখ যেন বলছে, "ফিরিয়ে দিবি তাকে, যে তোকে দিতে চায় নতুন মুক্তির আস্বাদ?"..
সেদিনই সে চলে যায় তপনের হাত ধরে। গ্রামের সব কলঙ্ক মাথায় নিয়ে জয়ী হয় ওদের ভালোবাসা, কলকাতায় বিয়ে হয় ওদের। মণ্ডপে তখন বাজছিল,
"যদিদং হৃদয়ং মম
তদিদং হৃদয়ং তব।"
অবশেষে বাঁধা পড়ল দুটি হৃদয়। সার্থক হোক তপনের শোনা সে গানের দুই কলি,
"বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে,
সদরে করেছে রিপোর্ট বিধবাদের হবে বিয়ে!"
সিঁদুরদানের সময় আরেকবার তাকাল তার অনুর দিকে, বড্ড সুন্দর লাগছে কনের বেশে। সাদা থানের মহাশ্বেতা আজ পরিণত হয়েছে রাজরাজেশ্বরীতে, তারই ভালোবাসায়।

কলমে~ সৌমী
ছবি -সংগৃহীত
সৌজন্যে অচেনা path

অচেনা path আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ।নাম - দেবরূপা কর্মকারবয়স - ১৯ জেলা - কলকাতা পেজ - শিল্পের সাত...
11/10/2025

অচেনা path আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ।

নাম - দেবরূপা কর্মকার
বয়স - ১৯
জেলা - কলকাতা
পেজ - শিল্পের সাতকাহন
বিভাগ - ক্যালিগ্রাফি
বিষয় - মায়ের সুর
ঠিকানা - গড়িয়া

#প্রয়াস #অচেনাপথ

11/10/2025

👕 225 international matches
🏏 4,296 international runs
🔥 206 international wickets

🏆 Four-time Asia Cup winner
🏆 2025 Champions Trophy winner
🏆 2024 T20 World Cup winner

👕 152 IPL matches
🏏 2,749 IPL runs
💥 78 IPL wickets
🏆 Four-time IPL champion with Mumbai Indians
🏆 2022 IPL-winning captain with Gujarat Titans

Still Dominating ❤️

Video editing Rupam Bose
অচেনা path
#অচেনাপথ

এইতো আমি দিব্যি আছি​কলমে - রাজদীপ​এইতো আমি দিব্যি আছি, যেমন ছিলাম একলা আগে,কে বলেছে বাঁচার জন্য, নিজের একটা মানুষ লাগে?স...
11/10/2025

এইতো আমি দিব্যি আছি
​কলমে - রাজদীপ
​এইতো আমি দিব্যি আছি, যেমন ছিলাম একলা আগে,
কে বলেছে বাঁচার জন্য, নিজের একটা মানুষ লাগে?
সন্ধ্যা নেমে এলে জানলার ধারে, বসি আলো-অন্ধকারে,
শূন্যতারও এক গভীর সুর, বাজে নীরবতার ভারে।
​ভালোবাসা মানে কেবল মিলে থাকা নয়, শেখা দূরত্বের মানে,
যেখানে হৃদয় ক্লান্ত হয় না, শুধু শান্ত হয় অপ্রাপ্তির টানে।
যার হাত দিয়েছিলো থেকে যাওয়ার শপথ, আজ সে শুধু বিরহের বাতাসে স্মৃতি,
তবু সেই ছোঁয়াতেই বুঝেছি— হারানোতেও থাকে প্রীতি।
​চায়ের ধোঁয়ায় ভেসে আসে, নামহীন এক অতীতের গন্ধ,
যা ছিল, তা আর নেই— তবু হৃদয় আজও তার অনন্ত স্মৃতিতে বন্ধ।
বৃষ্টি নামে জানালায়, যেন অশ্রুর পুনর্জন্ম,
মনে হয়, প্রতিটি ফোঁটায় আছে অসমাপ্ত প্রেমের ধর্ম।
​যে গিয়েছিল ফেলে রেখে, সে আর আসে না ফিরে,
তবু তার ছায়া বেঁচে আছে, এই নিঃসঙ্গ ভোরের নীড়ে।
মন আজ শিখেছে নীরবতা, ব্যাথা মেনে নেই গভীর রাগে,
এইতো আমি দিব্যি আছি, যেমন ছিলাম একলা আগে।
ছবি -সংগৃহীত

অচেনা path আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ নাম- Ashmita Mondalবিভাগ- Drawing বিষয়- দুর্গা উৎসববয়স-12পেজ...
10/10/2025

অচেনা path আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ

নাম- Ashmita Mondal
বিভাগ- Drawing
বিষয়- দুর্গা উৎসব
বয়স-12
পেজ- Non page

#অচেনাপথ, #প্রয়াস

অচেনা path পরিবার আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ।নাম - Ankita Janaবয়স -16 +জেলা -Kolkataপেজ -Alingorer ...
10/10/2025

অচেনা path পরিবার আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ।

নাম - Ankita Jana
বয়স -16 +
জেলা -Kolkata
পেজ -Alingorer Oitijjho
বিভাগ -ক্যালিগ্ৰাফি
বিষয় -Matrishokti
ঠিকানা - 10 B/1A Gora pada Sarkar lane Kolkata 67

#প্রয়াস #অচেনাপথ

অচেনা পথ আয়োজিত অনলাইন প্রতিযোগিতা: ‘প্রয়াস’ দ্বিতীয় বর্ষনতুন শিল্পীর সন্ধানেউপস্থিত বন্ধু পরিবারবৃন্দ:স্বপ্নতরীদিগন্তিক...
10/10/2025

অচেনা পথ আয়োজিত অনলাইন প্রতিযোগিতা: ‘প্রয়াস’ দ্বিতীয় বর্ষ

নতুন শিল্পীর সন্ধানে

উপস্থিত বন্ধু পরিবারবৃন্দ:

স্বপ্নতরী

দিগন্তিকা দিগন্তরেখা

অবুঝের পেন্সিল

আলিনগরের ঐতিহ্য

মশলার কৌটো

Xenon

শহরে চুপ কথা

শিল্পের সাতকাহন

বৃষ্টি নীল

রঙিন অন্দরমহল

উপস্থিত বন্ধু পরিবার এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্য ও সদস্যাবৃন্দকে আমাদের এই অনলাইন প্রতিযোগিতায় যুক্ত হওয়ার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
'অচেনা পথ' আয়োজিত এই অনলাইন প্রতিযোগিতার 'বন্ধু পরিবার' হিসেবে পাশে থাকার জন্য আপনাদের সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও আপনাদের সকলের সহযোগিতা এবং সমর্থন এভাবেই আমাদের সঙ্গে থাকবে – এই আমাদের ঐকান্তিক কামনা।
শিল্পের জয় হোক, শিল্পীর জয় হোক!

বিশেষ ধন্যবাদ: সানু মন্ডল।

প্রথম দেখার মনের ছোঁওয়া, নতুন করে ভালবাসবো বলে,রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন,   "রাখো যদি ভালবেসে, চির প্রাণ পাইবে সে,"চোখ রাখলে...
10/10/2025

প্রথম দেখার মনের ছোঁওয়া, নতুন করে ভালবাসবো বলে,
রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, "রাখো যদি ভালবেসে, চির প্রাণ পাইবে সে,"

চোখ রাখলেই বলতে পারি, ভালবাসা সে তো অন্তহীন,
তোমার সুরেই লিখব গান, বাধব আবার নতুন কলি।

হাতে হাত রেখে চলবে তবে, সে বসন্ত হবে স্পর্শকাতর,
তিলোত্তমা সাক্ষী হবে, তোমার আমার প্রেমের স্বরে।

কলমে~ রুদ্র
ছবি -সংগৃহীত
সৌজন্যে অচেনা path

অচেনা path আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ।নাম - সুকন্যা মুখার্জী বয়স - 17+জেলা - হুগলীপেজ - আলিনগরের ঐত...
09/10/2025

অচেনা path আয়োজিত অনলাইন কম্পিটিশন প্রয়াস দ্বিতীয় বর্ষ।

নাম - সুকন্যা মুখার্জী
বয়স - 17+
জেলা - হুগলী
পেজ - আলিনগরের ঐতিহ্য
বিভাগ - ক্যালিগ্রাফি
বিষয় - মায়ের সুর
ঠিকানা - বৈদ্যবাটী

#প্রয়াস #অচেনাপথ

উমা গেল কালী এলো‌শরৎকালের বাতাসে তখনও লেগে আছে সিঁদুর খেলার রেশ আর ধূপ-ধুনোর মৃদু ঘ্রাণ। ঢাকের বাদ্যি থেমেছে, গ্রামের গল...
08/10/2025

উমা গেল কালী এলো‌

শরৎকালের বাতাসে তখনও লেগে আছে সিঁদুর খেলার রেশ আর ধূপ-ধুনোর মৃদু ঘ্রাণ। ঢাকের বাদ্যি থেমেছে, গ্রামের গলিগুলোয় এখন শুধু বিসর্জনের বিষাদ সুর। মা দুর্গা ফিরে গেছেন কৈলাসে, আর তাঁর সাথে নিয়ে গেছেন মেয়েদের মুখের অনাবিল হাসি, যা আজ এক নিঃশব্দ শূন্যতায় মিলিয়ে গেছে।
মালতী বুড়ি দরজার পাশে বসে চোখ মুছছিল। পঁচিশ বছর আগে তার একমাত্র মেয়ে উমাও বিয়ের পর শহরে চলে গিয়েছিল। প্রতি বছর পুজোয় আসত, কিন্তু গতবছর থেকে সে অনুপস্থিত। শেষ কথা ছিল, “মা, খুব ব্যস্ত আছি।” সেই কথার পর আর কোনো খবর নেই, কেবল মালতীর চোখে অপেক্ষার রেখা গভীর হয়েছে।
মন্দিরে সকলে বলছে, “মা উমা ফিরে গেলেন।” কিন্তু মালতী বুড়ির মনে অন্য কথা— “না, আমার উমা তো অনেক আগেই গেছে। এই যে কালী এলো, সে কেবল সেই হারানো উমারই এক রুক্ষ ছায়া।”
অন্ধকার রাত, পূব আকাশে চাঁদ নেই। গ্রামের পুকুরপাড়ে এখন ছোট ছোট মেয়েরা কালীপুজোর প্রদীপ জ্বালাচ্ছে। সেই আলোর ঝলকানিতেই মালতী দেখতে পায় তার মেয়ের মুখ—ক্লান্ত, অস্থির, শহরের যান্ত্রিক আলোয় ম্লান হয়ে যাওয়া এক চেনা ছায়া।
পুজোর রাতে কালীকে ঘিরে যখন সবাই আনন্দে মেতে ওঠে, তখনো মালতীর কাছে কালী কেবল দেবী নন, তিনি যেন তার উমারই প্রতিচ্ছবি। মা কালী যে রূপে রোষিনী, সেই রূপেই সে খুঁজে পায় হারিয়ে যাওয়া মেয়ের অনমনীয় শক্তি, সাহস আর গোপন বেদনা।
"মা," বিড়বিড় করে বলে সে, কাঁপা হাতে ধূপ জ্বালায়। "তুই রুদ্রাণী হ। উমার মতো নশ্বর হাসি নিয়ে ফিরে যাস না, তুই থাকিস!" ধোঁয়ায় ভেসে ওঠে উমার হাসিমুখ। মনে হয়, মা কালী যেন শান্ত স্বরে বলছেন—
“উমা গেছে, কিন্তু আমি তো আছি। আমি তোদের প্রতিটি মেয়ের ভেতর, তাদের অদম্য জীবনীশক্তি হয়ে বেঁচে আছি।”
প্রদীপ নিভে আসে, রাত গভীর হয়। মালতী আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে, "উমা, তুই কালী হয়ে ফিরে আসিস মা। কারও জীবনে যেন আর এমন দীর্ঘ অন্ধকার না নামে।"
ভোরের আলো ফুটতেই মালতী নিঃশব্দে চলে যায় গঙ্গার ঘাটে। হাতে ফুল, মনে এক নতুন প্রার্থনা— উমা চলে গেলেও প্রতিটি কালী রাত্রি যেন মেয়েদের জীবনে আলোর উৎসব হয়ে ফিরে আসে।
উমা গেল, কালী এলো— এই চক্রেই নিহিত জীবনের গভীরতম অর্থ। বিসর্জনের ভেতরেই জন্ম নেয় এক অদম্য শক্তি, আর অন্ধকারের গভীরে জ্বলে ওঠে স্থিতির আলো।
কলমে: মি ষ্টি
ছবি -সংগৃহীত
সৌজন্যে -অচেনাপথ

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অচেনা path posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share