Minhaz Ashif

Minhaz Ashif This page is about my personal blog

13/11/2024

লক ডাউনের ঠিক এক বছর আগে, ঈদের পরের দিন বিকেলে, ছেলেদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, রায়পুর গঙ্গার ধারে, সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, নদী বক্ষে সামান্য সময়ের জন্য ভ্রমণ, ওপারে হাওড়া এপারে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।

12/11/2024

বছর কয়েক আগে, পশ্চিম মেদিনীপুরের গনগনিতে গিয়েছিলাম। গনগনি দেখার আগে, আমাদের টোটো চালক, স্থানীয় একটা জঙ্গলে ঘোরাতে নিয়ে গেছিল, এটা বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর রোড, ইচ্ছে ছিল যে একবার বিষ্ণুপুর ঘুরে আসি কিন্তু তখন শুধুমাত্র গনগনি দেখার উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিলাম, তাই ওই দিকে আর পা বাড়ায়নি, তাছাড়া হাতে সময়ও কম ছিল।

রক গার্ডেন থেকেই যখন ফিরলাম, তখন প্রায় সাতটা বাজবো বাজবো করছে। আমাদের হাওড়া যাওয়ার ট্রেন আছে, রাত দশটা নাগাদ। এই দুই ...
08/11/2024

রক গার্ডেন থেকেই যখন ফিরলাম, তখন প্রায় সাতটা বাজবো বাজবো করছে। আমাদের হাওড়া যাওয়ার ট্রেন আছে, রাত দশটা নাগাদ। এই দুই দিনে দুর্দান্তভাবে ঘোরা হলো, ক্যাপ্টেনের প্ল্যান অনুযায়ী। আবার এখানে কবে আসবো জানিনা, জীবনটা ছোট শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই কত ঘোরার জায়গা, আর সারা পৃথিবীর কথা না হয় বাদই দিলাম, সব কি এক জীবনে সম্ভব? তাছাড়া কোনদিন যদি এখানে আবার আসতে পারি, তবে কি আবার আগের মত পায়ের জোর থাকবে না গায়ের জোর? আমি যতটুকু ঘুরলাম ,এই আমার মত বয়সী কত মানুষ, কত রকম ভাবে অসুস্থ তারা আসতেই পারে না, এইজন্যই আল্লাহর কাছে অসংখ্য শুকরিয়া, যিনি তাঁর সাম্রাজ্যের একটা ছোট অংশ আমাকে দর্শন করালেন, এইরকম ভাবে প্রতিটি জায়গায় পথের বাঁকে বাঁকে কত রকমের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে আমরা তার হদিশ কোথায় জানি? তবু যতদিন সুস্থ থাকি তাঁর দয়ায়, ভ্রমণের চেষ্টা করব। রাঁচি এসে একটা জিনিস আমি দেখতে পেলাম না যে, এখানকার লোকাল ট্রান্সপোর্ট, আমি রাঁচি থেকে দূর দূরান্তের যাওয়ার বাস সার্ভিস দেখেছি কিন্তু আমাদের এখানে অর্থাৎ কলকাতায় যেরকম লোকাল বাস চলে, তার হদিস পাইনি, পাঠক যদি কেউ জানেন তাহলে দয়া করে আমাকে অবগত করবেন, কমেন্ট বক্সে, আসলে দুই দিনে একটা শহরকে চেনা সম্ভব নয়। আমরা যথা সময়ে স্টেশনে চলে এলাম এবং ট্রেনও যথা সময় উপস্থিত অতএব বিদায় রাঁচি।

রাঁচির পাগলা গারদ চত্বরে ড্রাইভার সাহেব কয়েকবার ঘুরিয়ে আমাদের নিয়ে চলল কাঁকে ড্যাম এর উদ্দেশ্যে, এখনো দেখার বাকি আছে ...
02/11/2024

রাঁচির পাগলা গারদ চত্বরে ড্রাইভার সাহেব কয়েকবার ঘুরিয়ে আমাদের নিয়ে চলল কাঁকে ড্যাম এর উদ্দেশ্যে, এখনো দেখার বাকি আছে রক গার্ডেন আর টেগর হিল। কাঁকে ড্যাম আর রক গার্ডেন একদম পাশাপাশি, প্রথমে এলাম ড্যামে, তখন প্রায় পড়ন্ত বিকেল, একটা মৃদুমন্দ হাওয়া খেলা করছিল। ড্যামের ধার ঘেঁষে লোহার রেলিং সমৃদ্ধ একটা চলাচলের রাস্তা আছে, সেটাই দাঁড়িয়ে ড্যামের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, ঠিক ওই লোহার রেলিং এর পেছনেই রক গার্ডেন, কিন্তু ওইখান থেকে প্রবেশ করা যাবে না। রক গার্ডেন যেতে হলে আবার ঘুর পথে পার্কেরসামনে আসতে হবে, তা রকগার্ডেন যাওয়া হল, ড্যামে টিকিটের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু রক গার্ডেনে যেতে হলে টিকিট কেটে ঢুকতে হবে, এই রক গার্ডেন পুরো নামের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ, শুধু বিশাল বিশাল পাথর, তার উপরেই গড়ে উঠেছে পার্কটি। এখানে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ আছে এছাড়াও প্রচুর ফুলের গাছ আছে। বাগানটাকে যত্ন আত্তিপ্রচুর করা হয়, বেশ দৃষ্টিনন্দন। এখানে ও বিনোদনের প্রচুর উপকরণ আছে, আমাদের দলের সদস্যরা তো পুরো শৈশবে ফিরে গিয়ে ছিল,কেউ স্লিপার চড়ছিল তো কেউ বাঁধানো ঘোড়ায় বসেছিল।এই ভাবে চলতে চলতে কখন সূয্যি মামা পাটে চলে গেল। বাকি রইল টেগর হিল কিন্তু সময়ের অভাবে সেখানে আর যাওয়া হলো না, আমরা যেটা প্ল্যানিং করে এসেছিলাম তার মধ্যে এই টেগোর হিলটাই বাদ পড়ে গেল।

পালনা ঝরনা দেখে আবার ওই এবড়ো খেবড়ো রাস্তা ধরে বেরিয়ে আসতে লাগলাম, আবার পত্রাতু লেকের পাশ দিয়ে এবার ডান দিকের রাস্তা ...
01/11/2024

পালনা ঝরনা দেখে আবার ওই এবড়ো খেবড়ো রাস্তা ধরে বেরিয়ে আসতে লাগলাম, আবার পত্রাতু লেকের পাশ দিয়ে এবার ডান দিকের রাস্তা ধরা হল, অর্থাৎ লেকে এসেছিলাম যে রাস্তা ধরে ওই রাস্তা দিয়েই আবার চললাম, এবার আর ড্রাইভার সাহেব কাছাকাছি হোটেলে দাঁড় করালো না গাড়ি, বলল সামনে একটা ধাবা আছে ওখানে যাব, অতএব গাড়ি আবার পত্রাতুভ্যালি পার করে ছুটল, একটা ধাবার সামনে গাড়ি দাঁড় করালো, তখন শেষ দুপুর। ১০ জন ক্ষুধার্ত মানুষের আগমনে ওরা একটু ব্যস্ত হয়ে পড়ল, অথিথেয়তার ত্রুটি ছিল না কিন্তু ভাতও ঠান্ডা ,তরকারির অবস্থাও তো তথৈবচ, এখানে খাওয়া হলো না ,গলাধঃকরণ হল। আহার পর্ব মিটতেই দলের বাকি সদস্যরা বলল, রাঁচি এলাম আর পাগলাগারদ দেখা হলো না, বস্তুত প্রথম দিন ট্রেন থেকে স্টেশনে নামা মাত্রই প্রায় সবাই সমস্বরে পাগলা গারদের খোঁজ করছিল, ক্যাপ্টেন তখনকার মতো বাকিদের নিরস্ত করেছিল বলেছিল আরে এখানে এসে প্রথম হোটেল খোঁজো তারপর পাগলা গারদের কথা চিন্তা করবে, সেই থেকে মোটামুটি সবাই চুপ ছিল কিন্তু এখন যখন ঘুরে বেড়াবার শেষ পর্যায়ে এসে পাগলা গারদের কথা বাকিদের মনে পড়ল, আর হবে নাই কেন? বাড়ি থেকে আসার সময় ,যে শুনেছে বলেছে, ও রাচি যাচ্ছিস পাগলা গারদ দেখতে? বোঝো ঠেলা রাঁচি মানেই কি শুধু পাগলা গারদ? অতএব আবার ড্রাইভার সাহেবের কাছে আবদার, সে শুনে বলে"আরে তুমলোগ কেয়া কেয়া দেখেগা? মেন্টাল হসপিটাল কই দেখনেকা জায়গা হে? ওয়াও উতারনে নেহি দেগা"। আমরা নাছোড়বান্দা বললাম আমরা গাড়ির ভেতর থেকেই দেখব কিন্তু তুমি নিয়ে চলো, অতএব গন্তব্য রাঁচির পাগলা গারদ। এখানে এসে হসপিটাল চত্বরে ড্রাইভার সাহেব কয়েকপাকঘুরিয়ে দিল তার মধ্যেই ফটো সেশন চলল।

পত্রাতুলেকে একটা জিনিস দেখলাম যে, এখানে প্রচুর স্থানীয় মানুষ পার্কে ছুটি কাটাতে এসেছে শীতের দুপুরে। আমরা পার্কে বেশ কিছ...
31/10/2024

পত্রাতুলেকে একটা জিনিস দেখলাম যে, এখানে প্রচুর স্থানীয় মানুষ পার্কে ছুটি কাটাতে এসেছে শীতের দুপুরে। আমরা পার্কে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বেরিয়ে এলাম, এখানে রাস্তার ধারে প্রচুর হোটেল ছিল, ইচ্ছা ছিল দুপুরের আহারটা এখানে সেরে ফেলার। খাওয়া নিয়ে দুটো মত হল একদল বলল এখান থেকে পালনা ঝরনা যাওয়া হবে। আর একদল বলল না চলো খেয়ে নেই, শেষ পর্যন্ত আগে ঝর্ণা দেখা ঠিক হলো এসে খাওয়া হবে, সেই মতো ড্রাইভার সাহেবকে জানানো হলো যে আমরা পালনা ঝর্না দেখতে যাব, একথা শুনে ড্রাইভার সাহেব একদম রাজি নয়, বলল"ইহা যানেকা বাত নেহি হুয়া"আর আমরা ছাড়বো না, বললাম কথাবার্তা হয়ে গেছে, এই ঝর্ণা টাও দেখানোর কথা আছে। শুরু হয়ে গেল দড়ি টানাটানি, শেষমেষ ড্রাইভারসাহেববললো"আরে উহা পানি নেহি মিলেগা", আমরা বললাম"আরে হামলোগ বিনা পানিমে নাহায়েঙ্গে তুম চলো", অগত্যা ড্রাইভার সাহেব গাড়ি ছোটালো , পত্রাতুলেকের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটা বেরিয়ে গেছে, সেই রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঢুকলো, কিছু দূর যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম ড্রাইভার সাহেব কেন এদিকটা আসতে চায়নি, আমাদের ঝাড়খন্ড সফরে সব রাস্তা ছিল মাখন এর মত মসৃণ, কিন্তু এদিকার রাস্তা, ছাল চামড়া গোটানো কোথাও পিচের এতটুকু লেশমাত্র নেই বড় বড় গর্ত, তার উপর দিয়ে আমাদের সুমো, গরুর গাড়ির গতিতে এগিয়ে চলল, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পালনা ঝর্নার কাছে এসে গেলাম। ঝরনাতে সত্যিই জল ছিল না, কিন্তু কালোপাথর ও জলের দাগ একটা অদ্ভুত সুন্দর লাগছিল, আমাদের এই দশজনের দল ছাড়া আর কোন পর্যটক ছিল না সেখানে। পাহাড়ের উপর সবুজ গাছের সারি আর নিস্তব্ধতা এক কথায় অসাধারণ।

পত্রাতু ভিউ পয়েন্ট থেকে এবার গাড়ি গড়ালো পত্রাতু লেকের উদ্দেশ্যে, তখন পাহাড়ি পথে উঠেছিলাম এইবার নামার পালা, যথারীতি স...
26/10/2024

পত্রাতু ভিউ পয়েন্ট থেকে এবার গাড়ি গড়ালো পত্রাতু লেকের উদ্দেশ্যে, তখন পাহাড়ি পথে উঠেছিলাম এইবার নামার পালা, যথারীতি সর্পিল রাস্তায় গাড়ি নামছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই পত্রাতুলেকে চলে এলাম, এটা একটা সাজানো গোছানো পার্ক, যথারীতি টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম, পার্কটি কৃত্রিম ভাবে সাজানো ,বাচ্চাদের খেলার উপকরণ আছে আরো নানা রকম উপকরন আছে বিনোদনের নানান উপকরণ, তবে লেকটি আমার ভালো লাগল, স্বচ্ছ জল, আকাশ ঘন নীল, লেকের জল ও নীল, একটা দূর্দান্ত কম্বিনেশন।লেকে বোটিং এর ব্যবস্থা আছে, এছাড়াও পরিযায়ী পাখিরা খাবারের আশায় বোটের কাছে চলে আসছিল । বেশ কিছুক্ষণ পার্কে সময় কাটানো হলো। এখানে একটা দূর্দান্ত রিসর্ট আছে একদম ঝাঁ চকচকে,খরচ আমার মতো লোকের সাধ্যের বাইরে,তাই এই রিসর্টের ট্যারিফ ও জিজ্ঞাসা করিনি।

05/10/2024

Address

Sontoshpur Bazaar Para Maheshtala Kolkata
Kolkata
700141

Telephone

+919748709126

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Minhaz Ashif posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Minhaz Ashif:

Share