
13/07/2025
আজও পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশ অ্যা😊সিড হামলার শিকার হন নারী, এবং বেশিরভাগ সময়েই কারণটা থাকে একটাই — নারীর 'না' বলা। আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন, স্বাধীনচেতা ও সুন্দরী নারীর প্রত্যাখ্যান পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ‘মেল ইগো’–কে এমনভাবে আঘাত করে, যার পরিণতি হয় হিংস্রতায়।
রাধিকা যাদব–এর নির্মম মৃ😊ত্যু আমাদের আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল — একজন নারী যদি আত্মবিশ্বাসী, সুন্দরী ও স্বাবলম্বী হয়, তবে সমাজে তার শত্রুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে — এমনকি নিজের ঘরেও।
রাধিকার ক্ষেত্রে ঘরের মানুষই হয়ে উঠেছিল সবচেয়ে বড় শত্রু। পরিচিতদের কেউ কেউ রাধিকার বাবাকে কটাক্ষ করে বলেছিল, তিনি নাকি মেয়ের টাকায় জীবনযাপন করেন। এই কথাগুলো এমনভাবে তার পুরুষ অহংবোধে আঘাত হেনেছিল যে, একসময় তিনি ঠান্ডা মাথায় নিজ কন্যাকে হত্যা করেন — রান্নাঘরে ঢুকে পরপর তিনটি গুলি করেন মেয়ের পেট ও ঘাড় লক্ষ্য করে।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে "রিল ভিডিও" নয়, বরং ছিল রাধিকার বিকাশ ও সাফল্যকে সহ্য না করতে পারা। অভিযুক্ত বাবা নিজেই পুলিশের কাছে সে কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি যে ভিডিও নিয়ে আপত্তির কথা শোনা যাচ্ছিল, সেটির শুটিং রাধিকাই করেছিল, এবং সেটিও তার মায়ের উপস্থিতিতে।
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় ইরানের সোমায়েহ মেহরি ও তার কন্যা রানা মেহরির মর্মান্তিক পরিণতি। সোমায়েহ তার মদ্যপ, চোর স্বামীকে ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন, আর তার জন্যই স্বামী অ্যাসিড ছুঁড়ে দেন শুধু স্ত্রীর উপরই নয়, মাত্র ৩ বছরের শিশু কন্যার দিকেও। বহু অস্ত্রোপচারের পরও সোমায়েহকে বাঁচানো যায়নি।
উপরের দুটি ঘটনায় আমরা দেখি — এক বাবা, সমাজ ও পুরুষতান্ত্রিক দম্ভে এতটাই অন্ধ হয়ে পড়ে যে সে নিজের রক্তের সম্পর্ককেও রেয়াত করে না।
সবচেয়ে ভয়ানক বাস্তবতা হলো, রাধিকার মৃত্যুতে যত মানুষ ব্যথিত হয়েছে, তার থেকেও অনেক বেশি মানুষ তার খুনিকে সমর্থন করছে — সামাজিক মাধ্যমে, কথাবার্তায়।
এই সমাজে একজন মেয়ে যত বেশি সাহসী, স্বাবলম্বী ও সফল হয় — ততই যেন তার বিপদ বাড়ে। আমরা হয়তো জানি না এর শেষ কোথায়, প্রতিকার আদৌ সম্ভব কিনা, কিন্তু এটুকু পরিষ্কার — এই সমাজে একজন নারীর সবচেয়ে বড় অপরাধ হচ্ছে, সে যদি নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। Raise awarness post