অনলাইন সংবাদ - Online News

অনলাইন সংবাদ - Online News সব সময় সত্য খবর পরিবেশন করে থাকি

11/04/2025

সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। এ দিন বেলা বাড়তেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা মেলে শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি। কেউ বাস, কেউ ছোট গাড়ি করে সুদূর উত্তরবঙ্গ থেকে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন কর্মী সমর্থকরা। এদিন গাড়িতে যাওয়ার সময় সকলের স্লোগান ছিল ‘ওয়াকফ আইন প্রত্যাহার করতে হবে’। এদিন সকাল থেকেই কলকাতার মৌলালির রামলীলা পার্কে ছিল হাজার হাজার মানুষের সমাগম। বেলা এগারোটার আগেই রামলীলা ময়দান চত্বরে সমর্থকদের ভিড়ে উপছে পড়ে। তবে মৌলালি, শিয়ালদহ, পার্ক সার্কাস ৪ নম্বর ব্রিজ থেকে রাজাবাজার, ধর্মতলা, মল্লিকবাজার-সহ একাধিক এলাকায় সংগঠনের সমর্থকদের ভিড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিভিন্ন রাস্তা। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মিছিলে সিংহভাগ মানুষই ঠাসা ভিড়ের কারণে ভিতরে ঢুকতে পারেননি। সভা মঞ্চে অধীর আগ্রহে বিশিষ্টদের বক্তব্য শুনছিলেন। আর জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পতাকার সঙ্গে উড়ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা।

এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান, মেয়র পারিষদ আমিরউদ্দিন ববি, মাওলানা শফিক কাশেমি প্রমুখ। এদিনের সভায় মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি বলেন, এক কোটি মানুষের গণস্বাক্ষর করে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হবে কেন্দ্রে কাছে।

এদিনের সভায় মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিভিন্নভাবে মানুষকে হয়রানি করছে। ধর্মের উপর আঘাত তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দেশ বাঁচাও, সংবিধান বাঁচাও।’ তা না করে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের এই ‘খেলা ব্যর্থ হবে। সংবিধান নিয়ে ছিনিমিনি করা বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের মত এ দেশেও মানুষের কাছ থেকে ভিটেমাটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিল এনে ‘ওয়াকফ জমি; কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হবে।’ কেন্দ্র সরকার স্বেচ্ছাচারিতা করছে। স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ না করলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে জোর স্লোগান তোলেন তিনি। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির ঘোষণা, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল হবে। কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ হবে। কলকাতায় বড় মিছিলও হবে। আগামীতে ব্রিগেডে আরও বৃহত্তর জমায়েত হবে।

এ দিনের সভায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেব না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে ইমরান বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তিতে হাত দিতে দেব না। মুসলিম দেশগুলিতে ওয়াকফ বোর্ড নেই বলেও বিজেপি পার্লামেন্টে মিথ্যা কথা বলেছে। মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানানোর কথা বলছে আরএসএস। এটা আমরা মানবো না। মুসলিমদের পরিচিতি রক্ষার জন্য ভারতে বহু ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তি আল্লাহ’র। সেই সম্পত্তি ইমানদারদের হাতে রা’তে হবে।

দেশে জুলুমের ঘটনা প্রসঙ্গে মাওলানা শফিক কাশেমি বলেন, মানুষের উপর বা কোনও সম্প্রদায়ের উপর জুলুম হলে মানবো না। দিল্লির রামলীলায় গিয়ে আন্দোলনে নামবো। আমরা জুলুম করবো না, জুলুম সহ্যও করবো না। ইনসাফ নিয়ে হিন্দু-মুসলিম-শিখ- খ্রিস্টানদের নিয়ে একযোগে লড়াই চলবে।

এদিন শিখ সম্প্রদায়ের ইন্দ্রপ্রীতি সিং ওয়াকফ আইন ফিরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে জোর আওয়াজ তোলেন। তিনি বলেন, হিন্দুস্তানে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে থাকতে চায়। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে। দেশের মানুষকে ‘খলিস্থান, পাকিস্তান বলে অপমান করা হচ্ছে। আমরা কৃষক বিলের বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে জিতেছি। শিখরাও ওয়াকফ বিল মানে না। প্রয়োজন হলে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দিল্লি যাবো।

মেয়র পারিষদ আমিরউদ্দিন ববি বলেন, এই দেশ আমাদের, আমরা আছি, থাকবো। এনআরসি, সিএএ নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। সেই আইনও মানিনি। ওয়াকফ আইনও মানছি না। ‘মুসলিমদের কেউ নেই। আল্লাহ আছে।’ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জুলুমের উপর জুলুম চলছে। বিজেপি সরকারের সেই অত্যাচার রু’তে অমুসলিম ভায়েরাও সহযোগিতা করছেন। এই ভারতে ‘সংবিধান’ রয়েছে। সেই সংবিধানকে ধ্বংস করার চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে বিজেপি। আর বিজেপি অন্যায় করলে ভারতের মানুষ বসে থাকবে না। তা রুখতে কলকাতায় প্রতিবাদ, অবস্থান, মিছিল অব্যাহত থাকবে। এই ওয়াকফ বিল বাতিল করতে হবে।

ফাদার বিশপ ড. সঞ্জীব বিজেপি সরকারের চক্রান্তের কথা উল্লে’ করে বলেন, দেশটা পুরোপুরি গেরুয়া করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। দেশের সব কিছু লুট চলছে। আমরা ভুল কাজ করবো না। ভুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে আগামী দিনে লড়াই আরও বৃহত্তর হবে। এদিন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির দোয়ার মাধ্যমে সভা ও গণঅবস্থান সমাপ্ত হয়।

11/04/2025

আগামী ২৬ এপ্রিল ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে মহাসমাবেশ করবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই ঘোষণা করল ল’ বোর্ড। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন ল’ বোর্ডের মুখপাত্র এস.কিউ.আর ইলিয়াস। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেড রোডে ইমামে ঈদাইন ক্বারী ফজলুর রহমান, ল’ বোর্ডের সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, সেখ হায়দার আলি, মুফতি আবদুল মাতিন, উমার ওয়াবিস, ইশহাক মল্লিক প্রমুখ।

সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার কারণ তুলে ধরেন এস.কিউ.আর ইলিয়াস। অন্যদিকে ক্বারী ফজলুর রহমানকে রাজ্যের কনভেনর করে সব সংগঠন যৌথভাবে পর্সোনাল ল’ বোর্ডের ব্যানারে ব্রিগেড মহাসমাবেশ করবে বলে ঘোষণা করা হয়।

ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় এস.কিউ.আর ইলিয়াস বলেন, নয়া আইনে মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। মন্দির, গির্জা বা গুরুদুয়ারার জন্য পৃথক কমিটির আছে, সেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করে না। শুধু মুসলিমদের ওয়াকফের উপর আক্রমণ করা হল বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বিবাদমান ওয়াকফের ক্ষেত্রে ‘ব্যবহারকারীর মাধ্যমে ওয়াকফ’ বা যেগুলি ওয়াকফ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলি রাখা হবে না বলে আশঙ্কা করেন তিনি। তাঁর কথায়, নতুন নতুন মামলা করে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানের দলিল দেখানে না পারলে সরকার সেগুকি কেড়ে নেবে। তিনি আরও বলেন, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য ঢোকানো হয়েছে, সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীনভাবে ধর্মাচারণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ করার জন্য প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হওয়া বাধ্যতামূলক করারও তিনি নিন্দা করেন। তাঁর কথায়, আমাদের দেশের মন্দির-মসজিদের জন্য জমি দান করার ক্ষেত্রে ধর্মীয় বাছ-বিচারের ইতিহাস নেই। এর মাধ্যমে নতুন করে আল্লার নামে দান করার জায়গা বন্ধ করতে চাইছে সরকার।

ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে ক্বারী ফজলুর রহমান বলেন, আমরা আগামী ২৬ এপ্রিল মহা-সমাবেশ করব। ব্রিগেডের সমাবেশ পার্সোনাল ল’ বোর্ডের ব্যানারেই হবে। তার আগে ১১ থেকে ১৮ এপ্রিল সপ্তাহজুড়ে ওয়াকফ আইনের নানান দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হবে। অন্যদিকে চলতি মাসের ৩০ তারিখ রাত ন’টার সময় আধ ঘণ্টার জন্য ঘরের বাতি নিভিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। আদালতে যেমন লড়াই চলবে তেমনি ময়দানেও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ জারি রাখার কথা বলেন এস.কিউ.আর ইলিয়াস।

03/04/2025

পক্ষে ২৮৮, বিপক্ষে ২৩২ সাংসদ, ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পর অবশেষে লোকসভায় পাশ হয়ে গেল সংশোধিত ওয়াকফ বিল
বুধবার লোকসভায় বিল পেশের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সরকারের অবস্থানের কথা জানান। এর পরে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পেশ করেন ।

দীর্ঘ বিতর্কপর্বের পর বুধবার গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হল সংশোধিত ওয়াকফ বিল। বিলের পক্ষে ২৮৮ এবং বিপক্ষে ২৩২ জন সাংসদ ভোট দিলেন। ব্যবধান ৫৬। মোট ভোট পড়ল ৫২০। তেমন কোনও অশান্তি হয়নি অধিবেশনে। বৃহস্পতিবার বিল পেশ হবে রাজ্যসভায়।
বুধবার লোকসভায় বিল পেশের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সরকারের অবস্থানের কথা জানান। এর পরে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পেশ করেন । বিল পেশের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ, জেপিসিতে ভিন্নমত প্রকাশ করে বিরোধী সাংসদদের দেওয়া নোটগুলি উপেক্ষা করা হয়েছে বিলে।
বিরোধীরা বিল নিয়ে ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়াচ্ছেন বলে বুধবার লোকসভায় অভিযোগ করেন রিজিজু। বিলের সমালোচনা যাঁরা করছেন, তাঁদের নিশানা করে রিজিজু বলেন, “যখন আমরা কোনও ইতিবাচক সংস্কার আনছি, তখন কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?” আলোচনা এবং সকলের মতামত নেওয়ার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিকে ধন্যবাদ জানান রিজিজু। তিনি বলেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২৮৪টি প্রতিনিধিদল, ২৫টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ওয়াকফ বোর্ড এই বিষয়ে জেপিসির কাছে নিজেদের মতামত জানিয়েছে।”
রিজিজুর নিশানায় ইউপিএ
বিল পেশের পর পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করে রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়াকফের হাতে সংসদ ভবনের অধিগ্রহণ আটকেছেন। ইউপিএ সরকার সংসদ এবং বিমানবন্দরের জমি ওয়াকফের হাতে তুলে দিয়েছিল।” তাঁর দাবি, মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছে না সংশোধিত ওয়াকফ বিল। শুধুমাত্র ওয়াকফ সম্পত্তির যথাযথ দেখভাল এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের কল্যাণের উদ্দেশ্যেই ওয়াকফ আইন সংশোধনের এই উদ্যোগ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আজ, আমাদের দেশে মোট ওয়াকফ সম্পত্তির সংখ্যা ৪.৯ লক্ষ থেকে বেড়ে ৮.৭২ লক্ষ হয়েছে। যদি এই পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি সঠিক ভাবে পরিচালিত হত, তা হলে কেবল মুসলমানদের জীবনকেই উন্নত করত না, সমগ্র দেশের ভাগ্যকেও বদলে দিত...।’’
মেরুকরণের অভিযোগ গৌরব, অখিলেশের
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন মেরুকরণের উদ্দেশ্যেই সংশোধিত ওয়াকফ বিল এনেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী আগে ইদের উৎসবে যোগ দিতেন। হঠাৎ কী হল জানি না। আমাদের সংবিধান কি এই শিক্ষা দেয়!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই বিজেপি কোনও বিল আনে নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দেওয়ার জন্য আনে।’’ সেই ‘ব্যর্থতা’র উদাহরণ প্রসঙ্গে অখিলেশ বুধবার মোদী সরকারের নোটবন্দির প্রসঙ্গও তুললেন। তাঁর দাবি, একের পর এক ব্যর্থতা দিয়ে এই বিল তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, বিজেপি শুধু একটি পুরনো ঘটনার কথাই ভাবে, অযোধ্যার কথা। অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈও ওয়াকফ বিল নিয়ে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মেরুকরণের অভিযোগ তোলেন। তাঁর মন্তব্য, “এই বিল সংবিধানকে অবজ্ঞা করতে চায়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অপদস্থ করতে চায় এবং ভারতের সমাজকে বিভক্ত করতে চায়।” সেই সঙ্গে রিজিজুকে নিশানা করে তাঁর তোপ— ‘‘সংসদকে বিভ্রান্ত করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।’’
‘অসাংবধানিক’ বললেন কল্যাণ
ওয়াকফ বিল নিয়ে জেপিসিতে বিতণ্ডার সময় উত্তেজনার মুহূর্তে কাচের বোতল ভেঙে আহত হয়েছিলেন তিনি। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারের বিতর্কে অংশ নিয়ে ওয়াকফ বিলকে সরাসরি ‘অসাংবিধানিক’ বললেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি এই বিলকে একেবারেই সমর্থন করছি না। এই বিল অসাংবিধানিক। তৃণমূলের তরফে আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি।’’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপির আনা এই বিলে মুসলমানদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। ওয়াকফ বিলের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কল্যাণ বলেন, ‘‘ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আড়ালে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ভাগ করতে চাইছে। যদি ওরা একতাই চায়, তা হলে বিলে কেন ভাগের চেষ্টার কথা? সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে শ্রেণিবিভাগ শাসকদলের খারাপ উদ্দেশ্যই ইঙ্গিত করে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল হল সরকারি মাধ্যম দিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের একটি প্রচেষ্টা। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি অযৌক্তিক। ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মেরুদণ্ড।’’
মোদীকে স্বস্তি দিল তিন শরিক
নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গার জন্য তাঁকে দায়ী করে এনডিএ ছেড়েছিলেন লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান। মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভা থেকে। বিহারের প্রয়াত দলিত নেতার পুত্র চিরাগ কিন্তু বুধবার ওয়াকফ বিল নিয়ে মোদী সরকারের পাশেই দাঁড়ালেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওয়াকফ বিল নিয়ে অবস্থান ধোঁয়াশায় রাখার পরেও শেষ পর্যন্ত বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে আরও দুই শরিক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি। জেডিইউর লল্লন সিংহ এবং টিটিপির কৃষ্ণপ্রসাদ তেন্নেতি বুধবার বিতর্কে অংশ নিয়ে দাবি করেন, পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের কল্যাণে সহায়ক হবে সংশোধিত ওয়াকফ বিল। নির্যাতিত মুসলিম এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নেরও সহায়ক হবে। লল্লনের কথায়, ‘‘বিরোধীরা তাঁদের ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে কি?’’জেডিইউর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের বিধান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, যেখানে ওয়াকফকে যে কোনও জমি দাবি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন,‘‘এটা কোন ধরনের আইন ছিল যেখানে ওয়াকফকে যে কোনও জমির মালিকানা পেতে অনুমতি দেয়?’’
বিরোধিতায় ঐক্যবদ্ধ ‘ইন্ডিয়া’
কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি (শরদ), ডিএমকে, আরজেডির পাশাপাশি বুধবার লোকসভায় সংশোধিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করেছে ‘একদা হিন্দুত্ববাদী’ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি)। উদ্ধবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাবন্ত ওয়াকফ বোর্ডে দুই অমুসলিম সদস্য এবং ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে সিইও পদে আমলা নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকার কি মন্দির কমিটিতে অহিন্দুদের থাকার অনুমতি দেবে? কারণ তারা ওয়াকফ বোর্ডের কমিটিতে অমুসলিমদের স্থান দেওয়ার চেষ্টা করছে?’’
পাশাপাশি অরবিন্দের দাবি, জেপিসিতে প্রতিটি বিষয় ধরে ধরে আলোচনা হয়নি। বস্তুত, মঙ্গলবার সন্ধ্যার বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লোকসভায় বিলের বিরোধিতা করেছে ‘ইন্ডিয়া’। যদিও ওয়েলে নেমে স্লোগান বা হট্টগোলের পথে না হেঁটে বিতর্কে অংশ নিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন তাঁরা যুক্তি এবং তথ্যের ভিত্তিতে নিশানা করেছেন সরকার পক্ষকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘ইন্ডিয়া’ বহির্ভূত বিরোধী দল ‘আজাদ সমাজ পার্টি’র প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের নাগিনা কেন্দ্রের দলিত সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণও সংশোধিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক বিভাজনের অভিযোগ তোলেন।
শাহের নিশানায় বিরোধীরা
ওয়াকফ বিল বিতর্কে বুধবার লোকসভায় বিরোধীদের বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে অন্যের জমি দান করে দেওয়া যায় না। দান একমাত্র নিজের জমিই করা যায়।’’ সংসদে একটি তালিকা হাতে নিয়ে শাহ জানালেন, কোন কোন জমি ওয়াকফকে দান করা হয়েছে। শাহের বক্তব্য, তার মধ্যে মন্দিরের জমি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অন্যান্য ধর্মীয় স্থান এবং সরকারের জমি। এর পরেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘একজন মুসলিম তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না, আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কীভাবে চলবে, সেটা দেখতে হবে। এটা ধর্মের কাজ নয়। এটা প্রশাসনিক কাজ। সব ট্রাস্টের জন্য কি আলাদা আলাদা কমিশনার থাকবে? আপনারা তো দেশ ভাগ করে দিচ্ছেন। আমি মুসলিম ভাই-বোনদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছু নেই।’’
একই সুরে অভিজিৎ, তেজস্বী
প্রথম জন, কলকাতা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। দ্বিতীয় জন, নতুন প্রজন্মের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী মুখ। বুধবার দুই বিজেপি সাংসদই এক সুরে ওয়াকফ বিলকে সাধুবাদ জানালেন। প্রথম জন, পশ্চিমবঙ্গের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয় জন কর্নাটকের তেজস্বী সূর্ষ। তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিতের প্রশ্ন, “১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের কোথাও উল্লেখ কি উল্লেখ রয়েছে যে ওয়াকফ বোর্ডের পাওয়া টাকা বিধবা মুসলিম মহিলা, শিশু এবং অনাথদের জন্য খরচ করা হবে?” এর পরেই বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধীরা ১২ ঘণ্টা ধরে চিৎকার করে যাচ্ছেন, কিন্তু এমন কিছু দেখাতে পারেননি।” বিজেপি সাংসদের দাবি, নতুন বিলে নরেন্দ্র মোদীর সরকার নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছে এই বিষয়ে। সেখানে এই টাকা বিধবা, দরিদ্র এবং অনাথদের জন্য ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, ২০১৩ সালে ইউপিএ সরকারের জমানায় সংশোধিত ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করলেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তাঁর বক্তব্য, ২০১৩ সালের ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে কংগ্রেস ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী’ একটি দৈত্য তৈরি করেছিল। যেখানে ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা ছিল। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ছিল না সেখানে। তিনি বলেন, “আইনের ৪০ নম্বর ধারায় মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ড ইচ্ছামতো যে কোনও জমি দখল করার সুবিধা পেয়েছে। যাদের এই বিষয়ে আপত্তি ছিল, তারা ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হতে পারতেন। এই ট্রাইব্যুনালটি ছিল একটি ‘কাঙারু কোর্ট’-এর মতো। এখানে যা নির্দেশ দেওয়া হত, সেটিই চূড়ান্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে আবেদন করা যেত না।”
আডবাণী, সুষমারা কি ভুল ছিলেন? প্রশ্ন ওয়েইসির
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আমলে সংসদে কোনও বিতর্ক ছাড়াই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হয়েছিল। ওই সংশোধনী নিয়ে বুধবার দিনভর বিজেপি সাংসদের সমালোচনা প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর প্রশ্ন— ‘‘সে দিন এই সংসদে লালকৃষ্ণ আডবাণী হাজির ছিলেন। ছিলেন প্রয়াত সুষমা স্বরাজ। রাজনাথ সিংহজিও (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) ২০১৩ সালের ওয়াকফ সংশোধনী বিল সর্বসম্মতি ভাবে পাশ হওয়ার সময় সংসদে ছিলেন। আমার একটাই প্রশ্ন, আডবাণীজিরা কি সে দিন ভুল ছিলেন? কেন তাঁরা বিনা আপত্তিতে বিল পাশ হতে দিয়েছিলেন?’’ আসাদউদ্দিনের অভিযোগ, মোদী সরকারের ওয়াকফ বিলের উদ্দেশ্য, মুসলিমদের জমির অধিকার কেড়ে নিয়ে তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা।

01/09/2024

নিজস্ব প্রতিনিধি মুম্বই: গো মাংস খাওয়ার অপবাদে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে হরিয়ানায় পিটিয়ে খুনের ঘটনা সামেন এসেছে একদিন আগেই। সেই আবহেই এবার চলন্ত ট্রেনে বৃদ্ধকে হেনস্থার ঘটনা সামনে এল মহারাষ্ট্র থেকে। গোমাংস নিয়ে যাচ্ছেন সন্দেহে ওই বৃদ্ধের উপর চড়াও হন একদল যুবক। এমনকি ওই বৃদ্ধকে এলোপাথাড়ি চড় কষাতেও দেখা যায় তাঁদের। বহু মানুষ ভিড় জমালেও, চোখের সামনে অন্যায় হতে দেখেও বাধা দিতে এগিয়ে আসেননি কেউ। বরং কেউ কেউ হামলাকারীদের সমর্থন করেন, দৃশ্য দেখে হাসছিলেনও তাঁরা।

মহারাষ্ট্রের নাসিকের ইগতপুরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ধুলে এক্সপ্রেসে চেপে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধি। সেই সময় সামনের আসনে বসা একদল যুবক তাঁর উপর চড়াও হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, সামনের আসনে বসা কিছু যুবক ওই বৃদ্ধকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। ব্যাগ খুলিয়ে তাঁর জিনিসপত্র দেখতে চাইছেন। পা তুলে লাথিও মারতে উদ্যত হন এক যুবক।

ভিডিওয় যে কথোপকথন ধরা পড়েছে, তাতে ওই বৃদ্ধকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন অনেকে। তাঁর কাছে গোমাংস রয়েছে বলে চারিদিক থেকে চিৎকার করেন সকলে মিলে। ওই বৃদ্ধ জানান, গোমাংস নয়, মেয়ের পছন্দের মাটন কৌটোয় ভরে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তিনি কথা বলা মাত্রই একের পর এক চড়-থাপ্পড় এসে পড়ে গালে। অতর্কিতে হামলায় হতবাক হয়ে যান ওই বৃদ্ধ। গালে হাত চেপে বসে থাকেন। সেই সময় তাঁর মোবাইল ফোনটি কব্জা করতে উদ্যত হয় ভিড়। তাঁকে পুলিশে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেন কেউ কেউ।

এর পর ওই বৃদ্ধকে পকেট থেকে ফোন বের করতে বাধ্য করা হয়। তিনি ফোন বের করলে, সামনের জন সেটি কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। বজরং দলকে ডেকে ওই বৃদ্ধকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ট্রেনের কামরায় এই দৃশ্য দেখতে ভিড় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। চোখের সামনে গোটা ঘটনা দেখে আমোদও পান অনেকে। কিন্তু ওই বৃদ্ধকে মারধর করতে দেখেও বাধা দেননি কেউ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি এলে AIMIM সাংসদ ইমতিয়াজ জরির সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। নিত্যদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটে চললেও, সরকার চোখ বুজে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ জলগাঁওয়ের বাসিন্দা। কল্যাণে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই মারধর করা হয় তাঁকে। বিষয়টি সামনে আসার পর GRP-র তরফে FIR দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। ভিডিও দেখে কয়েক জনকে চিহ্নিত করা গেলেও, তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

31/08/2024

নিজস্ব প্রতিনিধি : আবার খাওয়া-দাওয়া নিয়ে নীতি পুলিশির অভিযোগ। এবার গোমাংস খাওয়ার অভিযোগে খুন হয়ে গেলেন বাংলার যুবক। কাজের জন্য গিয়েছিলেন হরিয়ানায়। সেখানেই প্রাণ গেল তাঁর।

অভিযোগ, বাংলার এই পরিযায়ী শ্রমিককে হরিয়ানায় পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। বাসন্তীর এই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা। তারপর তাঁকে পিটিয়ে মারা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে একটি খালের ধার থেকে উদ্ধার হয় দেহ, দাবি নিহত যুবকের পরিবারের। হরিয়ানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা সাবির মল্লিক। এলাকায় কাজ না পেয়ে তিন বছর আগে শ্য়ালক ও স্থানীয় কয়েক জন যুবককে নিয়ে হরিয়ানায় যান তিনি। শ্য়ালককে নিয়ে বাড্ডা থানায় এলাকায় থাকতেন বছর তেইশের যুবক। সেখানে কাগজ কুড়নোর কাজ করতেন তিনি।

পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানার গো-রক্ষা কমিটির সদস্য়রা তাঁকে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। মৃতের পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সাবির। পরে একটি নিকাশি খালের পাশ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, সাবিরের শ্য়ালক সুজাউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে বাসন্তীর বল্লারটপ গ্রামে পৌঁছয় সাবিরের মৃতদেহ।

FIR অনুসারে, ২৭শে অগাস্ট সকালে, একদল যুবক বাধরা গ্রামের কাছে একটি বস্তিতে আসেন। সেখানেই থাকতেন ছোট ব্যবসায়ী সাবির। তাঁকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, সাবির ছাড়াও অসমের বাসিন্দা আসিরুদ্দিন নামে আরেক পরিযায়ী শ্রমিককেও বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নিয়ে যায় তারা। সেখানে দুজনকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পথচারীরা বাধা দিলে তারা দুজনকে তাদের মোটরসাইকেলে করে অন্য কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরিযায়ী শ্রমিক সাবিরকে একটি খালের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আসিরুদ্দিনকে অন্য জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কয়েকদিন আগেই ১৯ জুন উত্তর প্রদেশে গরুর মাংস ব্যাগ করে নিয়ে যাচ্ছেন, এই সন্দেহেই একটি উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্যরা একজন রিকশা চালকের উপর হামলা চালায়।

19/08/2024

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পেরোলেই ফের দুর্যোগের আশঙ্কার বার্তা দিল আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় হলুদ ও কমল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাতেও জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা ।
সূত্রে খবর, আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি হাওয়া অফিস স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, বাইরে বের হবার আগে, অবশ্যই যেনও ওয়েদার রিপোর্ট দেখে নেয় সাধারণ মানুষ। জল জমার আশঙ্কা কথাও জানানো হয়েছে। যেখানে চাষের নিচু জমি রয়েছে, সেই সকল স্থানে যেন আগাম নিকাশি ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়। এবং পাশাপাশি বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
15/08/2024

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য:
22/07/2024

ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য:

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অনলাইন সংবাদ - Online News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share