24/09/2025
পিণ্ডজপ্রবরারুঢা চণ্ডকোপাস্ত্রকৈর্যুতা ।
প্রসাদং তনুতে মহ্যম্ চন্দ্র ঘণ্টেতি বিশ্রুতা ।।
নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মা দুর্গার তৃতীয় স্বরূপ দেবী চন্দ্রঘণ্টা। তিনি মাতা পার্বতীর বিবাহিত রূপ। মায়ের ললাটে ঘণ্টার আকারবিশিষ্ট অর্ধচন্দ্র শোভা পায়, সেই থেকেই তাঁর নাম হয়েছে চন্দ্রঘণ্টা। তাঁর অন্যান্য নাম হলো চন্দ্রখণ্ডা, চণ্ডীকা এবং রণচণ্ডী।
দেবী চন্দ্রঘণ্টার বর্ণ স্বর্ণের মতো উজ্জ্বল। তিনি সিংহ বা ব্যাঘ্রবাহিনী, দশভুজা।
দক্ষিণ দিকের চার হাতে: কমল, তীর, ধনুক ও জপমালা।
পঞ্চম দক্ষিণ হস্তে: অভয়মুদ্রা।
বাম দিকের চার হাতে: ত্রিশূল, গদা, তলোয়ার ও কমণ্ডলু।
পঞ্চম বাম হস্তে: বরমুদ্রা।
মা চন্দ্রঘণ্টা শান্তি, মাধুর্য্য, বিনম্রতা প্রদান করেন, আবার ভক্তদের মধ্যে বীরত্ব, নির্ভিকতা ও অদম্য সাহসও জাগিয়ে তোলেন। তাঁর মস্তকের ঘণ্টাধ্বনি ভক্তদের ভূত-প্রেত-পিশাচ থেকে রক্ষা করে।
বিশ্বাস করা হয়, তৃতীয় দিনে তাঁর উপাসনায় মনকে মনিপুর চক্রে স্থিত করে সাধনা করলে দিব্য দর্শন লাভ হয়। তাঁর কৃপায় পাপ বিনষ্ট হয় এবং ভক্ত সহজেই সংসারের কষ্ট ও বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে পরমপদ অর্জন করেন। মা চন্দ্রঘণ্টা চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন, তাই তাঁর আরাধনায় জন্মকালীন অশুভ চন্দ্রের প্রভাবও হ্রাস পায়।