লাল রঙিন Laal Rongin

লাল রঙিন Laal Rongin খেটে খাওয়া রামধনু সম্প্রদায়ের অধিকার ও সামাজিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে এই পত্রিকা

23/10/2025

///একটি অস্বাভাবিক মৃত্য, আরএসএস ও সম্পর্কের অধিকার///
সায়ক হালদার

আরো এক অস্বাভাবিক মৃত্যু, যা প্রমাণ করে আরএসএস-এর এখনো অবধি রমরমিয়ে চলা মোটেও স্বাভাবিক না। বছর ছাব্বিশের আনন্দু আজির শিডিউল্ড ইনস্টা পোস্ট জানায় ৩/৪ বছর বয়সে আরএসএস-এ যোগদানের সময় থেকেই তাঁর সাথে যৌন নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন ক্যাম্প চলাকালীন তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতনও চলে। তিনি বহু দিন যাবত এসকল নির্যাতনের ফলস্বরূপ OCD induced anxiety ও depression-এ ভুগছিলেন এবং গত ৯ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার তিরুবনন্তপূরম-এর থাম্পানুরের এক লজে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৫ পাতার চিঠিতে তিনি তাঁর এই চরম সিদ্ধান্তের জন্য নিজের মার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং NM নামে এক ব্যক্তির সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছেন যিনি আজির ওপর ক্রমাগত ও নির্যাতন চালিয়েছিলেন। তিনি ওনার প্রতিবেশী তথা 'ভাইয়ের মতো ' তথা আরএসএস ও বিজেপি-র এক সক্রিয় সদস্য। সবথেকে ভয়ঙ্কর কথা হল, আনন্দু তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন যে কেউ তাঁর কথা বিশ্বাস করবে না কারণ তাঁর কাছে কোনো প্রমাণ নেই এবং এমন সম্ভাবনাও আছে যে তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁর বোন আম্মু, যিনি ইন্টারকাস্ট বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ, তাঁকে দোষারোপ করা হতে পারে। তিনি আরো জানিয়েছেন যে এমন বহু মানুষকে তিনি চেনেন যাদের সাথে এমনটা হয়েছে এবং ক্রমাগত হয়ে যাচ্ছে।
আরএসএস জাতীয় সকল আদর্শ বা ঐ মার্কা মিশনগুলির অন্যতম এজেন্ডা থাকে সিস-হেটেরো যৌনতা ছাড়া অন্য সকল কিছুকেই অস্বাভাবিক দেগে দেওয়া। যৌন শিক্ষা অস্বাভাবিক তথা ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিকর, ভালো - খারাপ স্পর্শের শিক্ষার কথা মুখে আনা যায় না, এবং লিঙ্গ সাম্যের কথা বা অন্য যৌনতার কথা তো যবন ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য শিক্ষকদের মতোই বর্জনীয়। এসকল দলের মধ্যে কোনো Complain Committee-র আশা করা হাস্যকর। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, এ সকল সংগঠন ঘেঁষা স্কুলগুলোতে এমন সব বইপত্র পুরস্কার হিসেবে দেখেছি যেখানে যৌন শিক্ষার কুফল হিসেবে teenage pregnancy-কে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদঘুটে ও উদ্ভট বীর্যধারণ (পড়ুন semen retention)-এর উল্লেখ রয়েছে, তাতে নাকি গায়ে ভয়ঙ্কর জোর হয়,আর হস্তমৈথুনের মত নিরাপদতম যৌন আচরণকে ক্ষতিকারক দেগে দেওয়া আছে। কিন্তু কোথাও উল্লেখ নেই বয়সে বড় কেউ লিঙ্গ নির্বিশেষে বাজে স্পর্শ করলে কি করতে হয়, বা বাবাজিদের কেউ গা হাত মালিশের নাম করে যে অদ্ভুত আচরণ করছে, যা সেই শিশুটির সেই মুহূর্তে অদ্ভুত লাগছেও, তা আসলে কি, এবং তা হলে তার কাকে জানানো উচিৎ।
আমার এক শ্রদ্ধেয়া শিক্ষিকা, এমনই এক অল বয়েজ স্কুলে চাকুরীরতা, যেখানে তাঁকে রীতিমতো লড়াই করে আলাদা মেয়েদের ইউরিনাল ও প্যাডের বাস্কেট আদায় করতে হয়েছিল। তাঁর প্রতি উড়ে আসা মন্তব্যসমূহ ও মাঝে অন্যান্য পার্টটাইম শিক্ষিকাদের প্রতি ছাত্র - শিক্ষকদের লকার রুম বিষয়ক মন্তব্য/ইঙ্গিত একরকম প্রমাণ করে যে এ ধরনের জায়গাগুলিতে নারীবিদ্বেষ ও লিঙ্গ অসাম্য প্রায় নিশ্চিত। এবং কে না জানে, এক বিদ্বেষের হাত ধরেই আসে আরেক তীব্রতর বিদ্বেষ। চলে ধর্ষণ ও ধর্ষকামী মন্তব্য। অন্যতর স্ব অভিব্যক্তি বা যৌন অভিব্যক্তি দেখলেই তাকে চ্যালেঞ্জ জানানো এবং তাকে রীতিমতো হয়রান করাই এ সকল space-এর প্রিয় হবি হয়ে দাঁড়ায়।
রামধনু সম্প্রদায় সম্পর্কে সচেতনতাই ধর্ষকামী আচরণের বদলে সুস্থ ও পারস্পরিক সম্মতি সম্পন্ন সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করতে পারে। তাই আনন্দু আর্জি জানিয়েছেন বাবা মায়েরা যেন নিজেদের সন্তানদের আরএসএস জাতীয় সংগঠনে না পাঠান। বাবা মায়েরা শুনবেন কি? নাকি কোনো অস্পষ্ট আদর্শের কাছে আরো হাজারো শিশু - কিশোর নির্যাতিত হতে থাকবে?...

///শারদোৎসবে লিফলেট প্রচার///LGBTQIA+ এর একই স্বর SIR বাতিল করভারতের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল সর্বজনীন ভোটাধিকার। বিহারে...
30/09/2025

///শারদোৎসবে লিফলেট প্রচার///

LGBTQIA+ এর একই স্বর SIR বাতিল কর

ভারতের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল সর্বজনীন ভোটাধিকার। বিহারে নির্বাচনের প্রাক্কালে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। বিহারের পর আরও একাধিক রাজ্যে এই বিশেষ নিবিড় সংশোধনী হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে। বিহার সহ যে কোনো রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়া মূলত এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তা হয়ে উঠছে বিরাট অন্তরায়। এর ফলে LGBTQIA+ মানুষদের বিশেষভাবে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে ইন্টারসেক্স শিশুদের পরিবার জন্মের পরই তাদের ত্যাগ করে, তাদের জন্ম নিবন্ধন বা পারিবারিক পরিচয়পত্র স্বভাবতই থাকে না। আবার সমাজের চোখে অবাঞ্ছিত হওয়ায় বহু LGBTQIA+ মানুষকে অল্প বয়সেই বা বেশি বয়সেও পরিবার ত্যাগ করতে হয়, ফলে পরিবার নির্ভর নথি যেমন, পিতামাতার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত প্রমাণপত্র তাদের নাগালের বাইরে থেকে যায়।

LGBTQIA+ সম্প্রদায়ের বড় অংশের কাছেই নেই সম্পত্তির মালিকানা বা স্থায়ী বসতভিটে, ফলে জমি বা বাড়ির সরকারি নথি চাওয়ার নিয়ম তাদের জন্য কার্যত অচল হয়ে যায়। অধিকাংশই অস্থায়ী ভাড়া বাড়ি, বস্তি বা রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা বাসস্থানে দিন কাটান, আবার কেউ কেউ পুরোপুরিই গৃহহীন। একইভাবে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সীমিত, সরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশাধিকার প্রায় নেই বললেই চলে, যার ফলে চাকরির পরিচয়পত্র বা পেনশনের মতো প্রমাণপত্র তাদের কাছে থাকা সম্ভব নয়। এছাড়া অনেক ট্রান্স মানুষ নিজেদের পরিচয় বদলের সঙ্গে সঙ্গে নাম পরিবর্তন করেন। পুরনো ও নতুন নাম মেলাতে ব্যর্থ হলে বা নথিতে সামান্য অমিল থাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সহজেই তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন। প্রান্তিক ইন্টারসেক্স মানুষদের ক্ষেত্রেও একই আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও কমিশন যে কর্মচারীদের উপর Enumeration-এর দায়িত্ব দিয়েছে, LGBTQIA+ সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গে তাদের কোন বিশেষ নির্দেশিকা না দেওয়ায়, এই কাজের সময় তাদের LGBTIQIA+ মানুষদের প্রতি নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়াকে আরও বৈষম্যমূলক করে তুলবে। বিহারে মাত্র একশ দিনের সময়সীমা এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এমনিতেই প্রান্তিক অবস্থায় থাকা এই জনগোষ্ঠীর কাছে প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করা কঠিন, তার উপর এত গল্প সময়ে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করা প্রায় অসম্ভব। ফলে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন কার্যত LGBTQIA+ মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর নীরব করার হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

তাই প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের দাবী: LGBTQIA+ এর সামাজিক সমস্যাগুলি অনুধাবন করে ও সেই সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশিকা সংযোজন করে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া চালানো যেতে পারে, কিন্তু নাগরিকত্ব যাচাই সংক্রান্ত SIR বাতিল করতে হবে।

'লাল রঙিন' পত্রিকার তরফে অদ্রিরাজ তালুকদার ও সুমিত ঘোষ কর্তৃক প্রচারিত।

যোগাযোগ: +91-6295210923, +91-9007126486

11/09/2025

///LGBTQIA+ এর একই স্বর
SIR বাতিল কর///
ভারতের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল সর্বজনীন ভোটাধিকার। বিহারে নির্বাচনের প্রাক্কালে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। বিহারের পর আরও একাধিক রাজ্যে এই বিশেষ নিবিড় সংশোধনী হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে। বিহার সহ যে কোনো রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়া মূলত এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তা হয়ে উঠছে বিরাট অন্তরায়। এর ফলে এলজিবিটিকিউআই মানুষদের বিশেষভাবে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে ইন্টারসেক্স শিশুদের পরিবার জন্মের পরই তাদের ত্যাগ করে, তাদের জন্ম নিবন্ধন বা পারিবারিক পরিচয়পত্র স্বভাবতই থাকে না। আবার সমাজের চোখে অবাঞ্ছিত হওয়ায় বহু এলজিবিটিকিউআই মানুষকে অল্প বয়সেই বা বেশি বয়সেও পরিবার ত্যাগ করতে হয়, ফলে পরিবারনির্ভর নথি যেমন, পিতামাতার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত প্রমাণপত্র তাদের নাগালের বাইরে থেকে যায়।
এলজিবিটিকিউআই সম্প্রদায়ের বড় অংশের কাছেই নেই সম্পত্তির মালিকানা বা স্থায়ী বসতভিটে, ফলে জমি বা বাড়ির সরকারি নথি চাওয়ার নিয়ম তাদের জন্য কার্যত অচল হয়ে যায়। অধিকাংশই অস্থায়ী ভাড়া বাড়ি, বস্তি বা রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা বাসস্থানে দিন কাটান, আবার কেউ কেউ পুরোপুরিই গৃহহীন। একইভাবে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সীমিত, সরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশাধিকার প্রায় নেই বললেই চলে, যার ফলে চাকরির পরিচয়পত্র বা পেনশনের মতো প্রমাণপত্র তাদের কাছে থাকা সম্ভব নয়।
এছাড়া অনেক ট্রান্স মানুষ নিজেদের পরিচয় বদলের সঙ্গে সঙ্গে নাম পরিবর্তন করেন। পুরনো ও নতুন নাম মেলাতে ব্যর্থ হলে বা নথিতে সামান্য অমিল থাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সহজেই তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন। প্রান্তিক ইন্টারসেক্স মানুষদের ক্ষেত্রেও একই আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও কমিশন যে কর্মচারীদের উপর এনুমারেশান-এর দায়িত্ব দিয়েছে, এলজিবিটিকিউআই সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গে তাদের কোন বিশেষ নির্দেশিকা না দেওয়ায়, এই কাজের সময় তাদের লিজিবিটিকিউআই মানুষদের প্রতি নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়াকে আরও বৈষম্যমূলক করে তুলবে।
বিহারে মাত্র একশ দিনের সময়সীমা এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। এমনিতেই প্রান্তিক অবস্থায় থাকা এই জনগোষ্ঠীর কাছে প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করা কঠিন, তার উপর এত স্বল্প সময়ে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করা প্রায় অসম্ভব। ফলে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন কার্যত এলজিবিটিকিউআই মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর নীরব করার হাতিয়ার হয়ে উঠছে।
তাই প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের একটাই দাবী: এসআইআর বাতিল করো।

08/07/2025

ইন্টারসেক্স, ট্রান্স, কুইয়ার মানুষদের কাজের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম কোড বাতিল, সমকাজে সমবেতন, কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সহ ১৭ দফা দাবীতে ৯ই জুলাই সাধারণ ধর্মঘট সফল করুন।

25/06/2025

/////প্রাইড মাসের আহ্বান/////
অদ্রিরাজ তালুকদার

১৯৬৯ সালের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে স্টোনওয়াল গে বারে সমকামী মানুষদের পুলিশি ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে প্রথম হিংসাত্মক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এবং সমকামী মানুষদের পরিচয় গোপন না করে চলার অধিকারের দাবীতে শুরু হওয়া আন্দোলনই আজ সারা পৃথিবী জুড়ে প্রাইডের রূপ পেয়েছে। ১৯৭০ সালে স্টোনওয়ালের স্মৃতিতে লস অ্যাঞ্জেলসে প্রথম প্রাইড মার্চ শুরু হয়। দুনিয়ার বহু দেশের মতো ভারতেও আজ অনেক শহরে প্রাইড মান্থ উদযাপিত হয়। আয়োজিত হয় প্রাইড মিছিল। কিছু বছর আগেও ভারেত সমকামী, উভকামী বা ভিন্ন যৗন পরিচয়ের হওয়া অপরাধ ছিল। ২০১৮ সালে ভারেতর সুপ্রিম কোর্ট এলজিবিটি সম্প্রদায়কে বৈধ স্বীকৃতি দেয়। ফি বছর জুন মাস এলেই কর্পোরেট সংস্থারা নিজেদের লোগোকে রামধনু রাঙিয়ে দেয় - অবশ্য সব দেশে নয় - যেখানে এই পিআর কৌশল মুনাফা এনে দেবে সেখানেই। কিন্তু আমাদের দেশেই এখনও সমলিঙ্গ বা ট্রান্স দম্পতিদের বিবাহ আইনস্বীকৃত নয় -- তারা সেই সব অধিকার থেকেও বঞ্চিত যেগুলো বিপরীতলিঙ্গ দম্পতিরা স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে থাকেন, যেমন, সন্তান দত্তক নেওয়া, সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়, বীমা ইত্যাদি।
এছাড়াও প্রাইড উদযাপনের হিড়িকে অনেক সময়ই দেখি কমিউনিটির মধ্যে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত, খ্যাতিসম্পন্ন মুখদের প্রচার। আর যেসব সংগঠনগুলি মূলত প্রান্তিক যৌন ও লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষদের মধ্যে কাজ করে - আমরা তাদের চেষ্টার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এটা বলছি - তারা মূলত এনজিও প্রকৃতির সাময়িক সাহায্য দেওয়ার মতো কাজগুলোর সাথে বেশিই সম্পৃক্ত।
কিন্তু দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী এবং নিম্নবর্গের মধ্যে কমিউনিটির যে অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা পরিচয় গোপন রেখে, সামাজিক ধিক্কার থেকে মুখ বাঁচিয়ে, একাধারে পুঁজিবাদী সমাজের শোষণ আর তাদের যৌন-লিঙ্গ পরিচয়ের জন্য সামাজিক নিপীড়ন একসাথে সহ্য করে টিকে রয়েছেন, এই বৃহত্তর বর্গ কিন্তু প্রাইডবিষয়ক মূলস্রোতের আলোচনায় এখনও অনেকটাই ব্রাত্য। আমাদের উদ্দেশ্য, তৃণমূলস্তরে, নীচের থেকে ওপরে এলজিবিটিকিউ মানুষদের আওয়াজ তুলে ধরা, তাদের কথাকে মূলস্রোতে নিয়ে আসা এবং যৌন-লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে কমিউনিটির সকল মানুষের সদর্থক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা।
প্রাইডের মাসে, এই পাথেয় নিয়েই লাল-রঙিন এগিয়ে যাবে বলে শপথ করে। আপনারা, আমাদের সঙ্গ দিন, পাশে থাকুন, আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করুন।

18/04/2025

/////বিভিন্ন খেটে খাওয়া মানুষের পত্রপত্রিকা ও বিজ্ঞান সংগঠনের মুখপত্রের তরফে রাম নবমীতে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক মৈত্রী বজা...
04/04/2025

/////বিভিন্ন খেটে খাওয়া মানুষের পত্রপত্রিকা ও বিজ্ঞান সংগঠনের মুখপত্রের তরফে রাম নবমীতে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক মৈত্রী বজায় রাখার আহ্বান/////

যে কোনো উৎসবে ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল মানুষের অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। কিন্তু এবারের দোল উৎসবের সময়ে উত্তর প্রদেশে মসজিদের সামনে রঙ খেলা কিংবা উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য দলিতদের উপর দুষ্কৃতিদের গুলি চালানোর ঘটনা আমাদের চিন্তিত এবং সতর্ক করছে। একই সাথে উল্লেখ্য, নিজ ঈশ্বরের নামে জয়ধ্বনি দেওয়ার অধিকার সব ধর্মের মানুষেরই আছে। কিন্তু সেই জয়ধ্বনি যাতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনৈতিক স্লোগান না হয়ে ওঠে সেই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। পশ্চিমবঙ্গের ১২ মাসে ১৩ পার্বণে রাম নবমী পালন একটি সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা। সে অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। ভক্তিভাবের বদলে রাস্তায় উন্মত্ত উল্লাসই বেশি লক্ষ্য করা যায়। আমাদের বিশাল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহাকাব্যের ঘটনার ভিন্নতা, অঞ্চল বিশেষে পার্থক্যের দরুণ বহুশৈলিক চরিত্র এবং সেই অনুযায়ী দেব বিগ্রহের বৈশিষ্ট্যেরও বহুমাত্রিকতা আজ উপলব্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। বাংলায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য কিংবা মল্লিকা সেনগুপ্তের সীতায়ন মহাকাব্যের ঘটনাবলীর তাত্ত্বিক ও সামাজিক চর্চার ঐতিহ্যেরই ধারাবাহিকতা। উৎসব পালন হোক। মৈত্রী ও শান্তি বজায় রাখুন। সমস্ত রকম সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন। উৎসবকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা রুখতে পুলিশ প্রশাসন আগাম সতর্ক থাকুন এবং হাই কোর্টের নির্দেশ পালন হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। সমস্ত খেটে খাওয়া মানুষ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সম্প্রতি বজায় রাখতে উদ্যোগ নিন। সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রাখুন।

অপ্রচলিত, দা ডিলিজেন্ট, মুক্ত বিজ্ঞান চেতনা, কথা, সাংস্কৃতিক সমসময়, সরজমিন পত্রিকা, ন হন্যতে, লাল রঙিন, দ্য রেনিগেড, আজকের জনস্বাস্থ্য, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম, আকিঞ্চন পত্রিকা

06/03/2025

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবীতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশান দিতে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের সম্মুখীন হয় ছাত্রছাত্রীরা। এই ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামায় ছাত্রছাত্রীদের ওপর শাসক দলের গুন্ডাবাহিনী এবং প্রশাসনের সমান্তরাল আক্রমণ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে শাসকগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক চেতনা এবং প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ঐক্যকে কতটা ভয় পায়। প্রতিবাদী ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন এবং হেনস্থা করার মতো জঘন্য লিঙ্গ-হিংসার পথ অবলম্বন করে তারা নিজেদের পিতৃতান্ত্রিক এবং ধর্ষকামী মানসিকতার প্রমাণ দিয়েছে। ক্যাম্পাসের বিরাজনীতিকরণের উদ্দেশ্যে প্রগতিশীল রাজনীতি থেকে মেয়েদের ভয়ভীত ও বিচ্ছিন্ন করা তাদের বিশেষ কৌশল। এর থেকে প্রমাণিত যে পুঁজিবাদ-কর্পোরেটবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সাথে নারীমুক্তি ও লিঙ্গসাম্যের লড়াইও ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তাই মেহনতি নারী দিবসের প্রাক্কালে 'লাল রঙিন' পত্রিকা সমস্ত ধরণের লিঙ্গকেন্দ্রিক অন্যায়ের ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মেহনতি নারী, কিন্নর, ট্রান্স ও কুইয়ার মানুষের সর্ববৃহৎ আন্দোলনগত ঐক্য স্থাপনের আহ্বান জানাচ্ছে।

14/02/2025

গত ১১ই ফেব্রুয়ারি কলকাতার যোধপুর পার্ক রিলায়েন্স স্মার্ট পয়েন্টে "মব"-এর হাতে ট্রান্স, ক্যুয়র, নন-বাইনারি ব্যক্তিদের শারিরীক নিগ্রহের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। উল্লেখ্য "স্যাফো ফর ইকুয়ালিটি" সংগঠনের উদ্যোগে পরিচালিত "পড়শী" ক্যান্টিনের রসদ কিনতে গেলে কমিউনিটির ব্যক্তিরা প্রথমে গালাগালি, হুমকির শিকার হন এবং শেষে বেশ কিছু সিস-জেন্ডার মহিলা ও পুরুষ মিলে তাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। ওই সময়ে দোকানের কর্মীরা এবং অন্যান্য ক্রেতারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কোনো এফআইআর দায়ের করেনি। খাতায় কলমে আইন পাশ হলে এবং ব্র‍্যান্ডদের বিশেষ মাসে রামধনু পতাকা ওড়ানোতেই যে "ভদ্রলোকের" শহরে প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় না, এই ঘটনা তার প্রমাণ। বৃহৎ কর্পোরেটের ব্র‍্যান্ডেড দোকানের মধ্যেই এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে। পিতৃতন্ত্র, ট্রান্সবিদ্বেষ, সমকামী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সামাজিক লড়াইকে মেহনতি মানুষের শোষণ বিরোধী লড়াইয়ের সাথে একত্রিত হয়ে সর্বাত্মক আন্দোলনের পথে যেতে হবে। এই শহরের বুকেই অভয়ার খুন ও ধর্ষণ এবং তারপর থেকে খবরে উঠে আসা বহু লিঙ্গবিদ্বেষী ঘটনার কোনো বিচার আজও হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে গতকালের ঘটনার তদন্ত, ন্যায়বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি এবং তার সাথে লিঙ্গ বিদ্বেষ, পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা সবার সামনে তুলে ধরছি।

08/02/2025

পত্রিকা প্রসঙ্গে সমাজকর্মী অনুরাগ মৈত্রেয়ী...

04/02/2025

পত্রিকা প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের সংগঠক পৌলমী

03/02/2025

দ্বিতীয় প্রস্তুতি সংখ্যা সম্পর্কে নাট্য ব্যক্তিত্ব শ্রী বিমলকান্তি দাশগুপ্ত

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when লাল রঙিন Laal Rongin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category