Trails and Tales by Alok

Trails and Tales by Alok Blogger; Tourist; Wildlifer; Birder

Where books whisper stories and time stands still…Found this literary corner in Edinburgh's  Moxy Hotel that truly celeb...
03/07/2025

Where books whisper stories and time stands still…
Found this literary corner in Edinburgh's Moxy Hotel that truly celebrates the soul of a traveler and a reader.

:🌊 Whispers of the PacificWhere the ocean kisses the shore and the hills hold stories in silence…A moment of calm carved...
02/07/2025

:

🌊 Whispers of the Pacific
Where the ocean kisses the shore and the hills hold stories in silence…
A moment of calm carved out of the untamed beauty of the California coast.

:🔹 সপ্তাহান্তের স্বপ্নভ্রমণ – Capitola Beach 🔹১৪ই জুন, ২০২৫, শনিবার।এক ঝলমলে শনিবারে  প্রশান্ত মহাসাগরের কূলে একটা ছুটির...
01/07/2025

:
🔹 সপ্তাহান্তের স্বপ্নভ্রমণ – Capitola Beach 🔹

১৪ই জুন, ২০২৫, শনিবার।

এক ঝলমলে শনিবারে প্রশান্ত মহাসাগরের কূলে একটা ছুটির বেলা কাটাতে আমরা দল বেঁধে বেরিয়ে পড়লাম। এবারের গন্তব্য – ক্যাপিতোলা বীচ (Capitola Beach)! ফ্রেমন্ট থেকে স্রেফ ৮৭ কিলোমিটার, জিপিএস জানালো এক ঘন্টার সামান্য বেশি পথ। সান হোসে পর্যন্ত চেনা ফ্রিওয়ে ধরে গাড়ি ছুটল, তারপর প্রবেশ করলাম কিছুটা অচেনা কিন্তু মন মুগ্ধ করা এক নৈসর্গিক পথে। সান্তাক্রুজের রাস্তা পেছনে ফেলে এগিয়ে চললাম, মনে পড়ল আমার প্রিয় '১৭ মাইলস ড্রাইভ'-এর কথা, যেখানে দশ বছর আগে মন হারিয়েছিলাম।

পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালো অপ্রত্যাশিত এক যানজট। হয়তো সামনেই কোনো বিপত্তি ঘটেছে। বাধ্য হয়ে ফ্রিওয়ে ছাড়তে হলো। কিন্তু এ এক নতুন আবিষ্কার! লস গাটোস (Los Gatos) নামের এক ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট শহর, যেন এক টুকরো ক্যানভাস। শহরের একটি মোড়ে দেখলাম কিছু মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে, এক রাজনৈতিক দলের নীরব প্রতিবাদ! সমর্থকেরা গাড়ির হর্ন বাজিয়ে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে – গণতন্ত্রের এই শান্ত রূপ মুগ্ধ করলো।

এরপর শুরু হলো পাহাড়ি পথের বাঁক।খানিক চলার পরেই আমরা পৌঁছলাম বহু প্রতীক্ষিত ক্যাপিতোলা বীচে। কিন্তু প্রথম সমস্যা, পার্কিং! অসংখ্য মানুষের ভিড়ে গাড়ি রাখার জায়গা মেলা ভার। অনেক ঘোরাঘুরি করে পাহাড়ের ওপর এক চিলতে জায়গা পাওয়া গেল। সেখান থেকে ধীর পায়ে হেঁটে নেমে গেলাম ক্যাপিতোলা ওয়ার্ফ (Capitola Wharf)-এর দিকে। এই পিয়ারটি যেন সমুদ্রের বুকে এক দীর্ঘ বাহু! দেখলাম অনেকে ছিপ ফেলে মাছ ধরছে। ছোট মাছ হলে তৎক্ষণাৎ ফিরিয়ে দিচ্ছে সমুদ্রে, শুধু বড় মাছগুলোই তাদের লক্ষ্য। পিয়ারের উপরেই মাছ পরিষ্কার করার সুন্দর ব্যবস্থা! কেউ কেউ পোর্টেবল বারবিকিউ মেশিন এনেছে, তাতেই গ্রিল করছে মাছ, বিয়ারের সাথে দিব্যি চলছে খাওয়া-দাওয়া! জলে মাছের প্রাচুর্য এতটাই বেশি যে ঝাঁকে ঝাঁকে পেলিকান আর গাঙচিল উড়ে এসে মাছ শিকার করছে। এ এক অসাধারণ দৃশ্য!

পিয়ারে কিছুটা সময় কাটিয়ে গেলাম বীচে। বেলা তখন বেশ গড়িয়েছে, তাই মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। কেউ স্নান করছে, কেউ রোদ পোহাচ্ছে। নিজেদের পোষা কুকুরদের সাথে অনেকেই এসেছে, তারাও আনন্দে ছোটাছুটি করছে। বীচের ধার ঘেঁষে সারিবদ্ধ রঙিন বাড়িগুলো যেন গোয়ার ফন্টেনাস এলাকার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল – প্রতিটি বাড়ির আলাদা রং, নিজস্ব সৌন্দর্য। মজার ব্যাপার, কিছু বাড়ির নম্বর ভগ্নাংশ দিয়ে করা – সাড়ে ছয়, সওয়া বাইশ! এটা আগে কখনো দেখিনি!

ফেরার পথে দেখলাম একটা রাস্তায় গাড়ির প্রদর্শনী চলছিল। বীচে কিছু সময় কাটিয়ে সেইদিকেই রওনা দিলাম। ততক্ষণে অবশ্য বেশিরভাগ গাড়িই চলে গেছে। যে ক'টা ছিল, সেগুলো দেখে আর সমুদ্রে ঢেউয়ের সাথে সার্ফিং-এর খেলা দেখে আমরা বাড়ির পথ ধরলাম।

বাড়ি ফেরার আগে রাতের ডিনারের জন্য যাত্রা হলো পালো অল্টো (Palo Alto) শহরের দিকে। কিন্তু এ এক নতুন বিপদ! আমরা মোট সাতজন, আর শনিবারের রাতে বাইরের ডিনারের জন্য সবাই বেরিয়ে পড়েছে। কোথাও রিজার্ভেশন নেই, ফলে জায়গা পাওয়াই দুষ্কর। এক রেস্টুরেন্টে লাইনে দাঁড়ালাম, আমাদের পালা আসতে সাতজন শুনেই ফিরিয়ে দিল! সবাই তখন ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত। অবশেষে একটা গ্রীক রেস্টুরেন্টে জায়গা পাওয়া গেল। ভূমধ্যসাগরীয় সুস্বাদু খাবার দিয়ে পেটপূজা সেরে ছুটলাম আইসক্রিমের খোঁজে। সল্ট এন্ড স্ট্র (Salt & Straw) ব্র্যান্ডের আইসক্রিম এখানে ভীষণ জনপ্রিয়। দোকানে ঢোকার জন্য প্রায় ১০০ মিটার লম্বা লাইন! লাইনে দাঁড়িয়ে দোকানে ঢুকে বিভিন্ন ফ্লেভার চেখে দেখার সুযোগ পেলাম, তারপর নিজের পছন্দের ফ্লেভার অর্ডার করে সবাই তৃপ্ত! এই মধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম।

এভাবে কেটে গেল ক্যাপিতোলা বীচের এক আনন্দময় সপ্তাহান্তের দিন । প্রতিটি মুহূর্ত ছিল নতুন গল্প আর স্মৃতির কোলাজে ভরা।

Where the hills meet the river, and time slows down…A tranquil moment from the scenic town of Llangollen, Wales.        ...
29/06/2025

Where the hills meet the river, and time slows down…
A tranquil moment from the scenic town of Llangollen, Wales.

Solitude on the sea, serenity on the shore. 🌊☀️Capitola’s charm is best felt in stillness.
28/06/2025

Solitude on the sea, serenity on the shore. 🌊☀️
Capitola’s charm is best felt in stillness.

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পথেপর্ব – ৯২৫শে নভেম্বর, ২০২৩ | শনিবার | লাস ভেগাসআজকের দিনটা আমাদের ট্রিপের একটা বিশেষ দিন – নূপু...
26/06/2025

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পথে

পর্ব – ৯

২৫শে নভেম্বর, ২০২৩ | শনিবার | লাস ভেগাস

আজকের দিনটা আমাদের ট্রিপের একটা বিশেষ দিন – নূপুরের জন্মদিন। সকালের শুরুটা ছিল খুব শান্ত, ধীরে। দীর্ঘ যাত্রা আর গত রাতের দুশ্চিন্তার পরে সকালের ব্রেকফাস্টটা যেন সত্যিই স্বস্তির মুহূর্ত হয়ে এল। সবাই ভালোভাবে খেয়ে-দেয়ে প্রস্তুত হল নিচে নামার জন্য।

আমরা এখন রয়েছি The Venetian Resort–এ, যার বিশালতা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। একতলা আর দোতলার জুড়ে বিস্তৃত ক‍্যাসিনো, রেস্টুরেন্ট, শপিং এলাকা, আর একের পর এক চোখ ধাঁধানো বিনোদনের আয়োজন। শুধু এই দুটি তলায় ঢুকতে পারলেই পর্যাপ্ত বিস্ময়ের ভাণ্ডার, তবে উপরের তলাগুলোতে যেতে হলে রুম অ্যাকসেস কার্ড থাকা আবশ্যক।
আমাদের ঘোরাঘুরির শুরুটা হোলো ক‍্যাসিনো এলাকা থেকে। সরগমের বয়স অনুযায়ী ওকে নিয়ে যাওয়া গেল না, তাই ওকে মাম্পির সঙ্গে পাঠানো হোলো অন্য কোথাও। আমি, নূপুর আর সুরজিত ক‍্যাসিনোতে ঢুকে পড়লাম।

সত্যি কথা বলতে, এমন বিশাল ক‍্যাসিনো আগে কখনও দেখিনি। রঙিন আলো, অসংখ্য মেশিনের টুং টাং শব্দ, মানুষের উল্লাস—সব মিলে যেন এক স্বপ্নের জগৎ। কেউ কেউ টেবিলে বসে তাস খেলছে, যেন হলিউড সিনেমার কোনো দৃশ্যের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। আর আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে পানীয় পরিবেশন করা সুন্দরী যুবতীরা। অন্যদিকে লক্ষ করলাম, ধূমপানও এখানে অনুমোদিত।

আমরা তিনটি খেলা বেছে নিলাম। জন্মদিন বলে প্রথম খেলার জন্য মঞ্চে নামল নূপুর। এবং অবাক করা ব্যাপার—প্রথম খেলাতেই জয়! এরপর যেন জাদু ছড়িয়ে গেল, একের পর এক খেলা—কোথাও লাভ, কোথাও ক্ষতি—কিন্তু মোটের উপর দিন শেষে ঘরে ফিরলুম লাভ নিয়ে। সত্যিই, জন্মদিন বলে কথা! শেষে কাউন্টারে গিয়ে ক‍্যাশ তুলে নেওয়া হোলো।

তারপর সবাই মিলে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম হোটেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশে—একটি কৃত্রিম খাল, যেখানে ছাদটা এমনভাবে সাজানো যে সারাক্ষণই মনে হয় নীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। আলো এমনভাবে সেট করা, যেন দিন হোক বা রাত—ঘড়ির কাঁটায় কোনও প্রভাব পড়ে না সেই "আকাশে"। সেই খালের ওপর দিয়ে চলে গন্ডোলা—ইতালির ভেনিসের আদলে তৈরি নৌকা।

আমরা একটা গন্ডোলার টিকিট কেটে ফেললাম। যেহেতু চারজনের বেশি ওঠা যাবে না, তাই আমি উঠলাম না—ছবি তোলাতেই মন দিলাম। মাম্পি আর জামাই উঠে পড়ল সরগম আর নূপুরের সঙ্গে। মাঝি ছিল একজন অল্পবয়সী, প্রাণবন্ত মেয়ে। নূপুরের জন্মদিন জেনে ও যখন ওর উদ্দেশ্যে গান গেয়ে উঠল, দৃশ্যটা হয়ে উঠল অপূর্ব—আর আমি সেই মুহূর্তটা বন্দি করলাম ভিডিওতে।
আরেকটি গন্ডোলায় চোখে পড়ল এক জোড়া যুবক-যুবতী ও এক বৃদ্ধ পাদ্রী—প্রেমিক যুগলটি জলপথেই বিয়ে করছিল। পারে দাঁড়িয়ে আত্মীয়রা উল্লাসে মাতোয়ারা। পুরো দৃশ্যটাই যেন সিনেমার মতো মনে হচ্ছিল।

এই অসাধারণ দিনের প্রথমার্ধের শেষে আমরা ঘরে ফিরে এলাম একটু বিশ্রামের জন্য, কারণ সন্ধ্যায় অপেক্ষা করছে আরও এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

(চলবে...)

🚲 A touch of old-world charm in YorkshireCobblestone paths, ivy-covered brick, and a pink bicycle waiting under golden l...
25/06/2025

🚲 A touch of old-world charm in Yorkshire

Cobblestone paths, ivy-covered brick, and a pink bicycle waiting under golden lights — sometimes the streets tell the sweetest stories.

Singapore's magnificent skyline glowing under the evening sky. The architectural brilliance and urban energy here are tr...
24/06/2025

Singapore's magnificent skyline glowing under the evening sky. The architectural brilliance and urban energy here are truly captivating. A city that constantly inspires!

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পথেপর্ব - ৮তারিখ: ২৪শে নভেম্বর, ২০২৩, শুক্রবারগ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সেই বিস্ময়কর সৌন্দর্যকে পেছনে...
19/06/2025

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পথে
পর্ব - ৮
তারিখ: ২৪শে নভেম্বর, ২০২৩, শুক্রবার

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সেই বিস্ময়কর সৌন্দর্যকে পেছনে ফেলে আমরা রওনা দিলাম লাস ভেগাসের দিকে। সময় তখন সকাল প্রায় এগারোটা। পার্কের গেট ছাড়িয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়ল অন্তত তিন কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন—যারা ছুটির দিন কাটাতে এসেছে এই প্রকৃতি-মন্দিরে।

লাস ভেগাস এখান থেকে প্রায় ৪০৭ কিলোমিটার দূরে। রাস্তা অনুযায়ী আমাদের সময় লাগার কথা সাড়ে চার ঘণ্টা। পথে খুব একটা সময় নষ্ট না করেই আমরা এগিয়ে চললাম। মূল পরিকল্পনায় ছিল পথে হুভার ড্যাম দেখা, কিন্তু নূপুরের শরীরটা খুব একটা ভালো না থাকায় সেই পরিকল্পনা বাদ দিতে হলো। বরফে ভোরবেলায় বেরোনোর ধকলেই হয়তো হালকা জ্বর এসেছিল, যা পরে আমাদের কাছে রীতিমতো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গাড়ি ছুটে চলল আবার আরিজোনা থেকে নেভাডা রাজ্যে। মনে পড়ে, ক্যানিয়নের পথে আমরা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নেভাডা, সেখান থেকে ইউটা হয়ে আরিজোনায় ঢুকেছিলাম। তখন থেকেই লক্ষ্য করছিলাম, এই রাজ্যে এমনকি ছোট ছোট শহরেও ক্যাসিনোর উপস্থিতি চোখে পড়ে। এবারও তাই ঘটলো। গাড়িতে বসে গল্প করতে করতে আলোচনায় উঠে এল নেভাডায় ক্যাসিনো সংস্কৃতির এমন রমরমার পেছনের ইতিহাস। কিছুটা আলোচনার মাধ্যমে আর কিছুটা পড়াশোনা করে যা জানলাম, সেটা এখানে তুলে ধরলাম:

🎰 নেভাডা: মরুভূমির বুকে আলো ঝলমলে ক্যাসিনোর গল্প

🔹 আইন বৈধ করেই শুরু:
১৯৩১ সালে নেভাডা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে জুয়াকে আইনি স্বীকৃতি দেয়। সেই সময় দেশজুড়ে চলছে মহামন্দা। রাজস্ব বাড়াতে সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

🔹 লাস ভেগাসের উত্থান:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহরটি হয়ে ওঠে সৈন্যদের বিনোদনের কেন্দ্র। দ্রুত গড়ে ওঠে একের পর এক ক্যাসিনো। সাথে আসে গ্ল্যামার, হোটেল, রাত্রিজাগা শহরের জৌলুস।

🔹 মাফিয়াদের ছায়া:
শুরুতে অনেক ক্যাসিনো গড়ে ওঠে সংগঠিত অপরাধ জগতের টাকায়। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে পেশাদার ব্যবসায়ীদের হাতে চলে আসে এই ব্যবসা।

🔹 ভৌগলিক সুবিধা:
ক্যালিফোর্নিয়ার একেবারে গা ঘেঁষে থাকায় ভেগাসে আসা যায় সহজেই। ফলে পশ্চিম আমেরিকার মানুষদের জন্য এক ‘উইকেন্ড গেটঅ্যাওয়ে’ হয়ে ওঠে শহরটি।

🔹 ট্যাক্স সুবিধা ও ব্যবসাবান্ধব নীতি:
নেভাডায় নেই কোনো ব্যক্তিগত আয়কর। ফলে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে দেরি হয়নি।

আজ নেভাডা শুধু জুয়ার স্বর্গ নয়, বরং এক বিশাল বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র। আর লাস ভেগাস? তাকে আজ বলা হয়—“The Entertainment Capital of the World”।

বিকেল প্রায় সাড়ে চারটায় আমরা পৌঁছালাম লাস ভেগাস শহরের দোরগোড়ায়। তবে শহরে ঢোকার মুখেই প্রবল জ্যামে পড়ে হোটেলে পৌঁছাতে আরও এক ঘণ্টা কেটে গেল। আমাদের থাকার জায়গা শহরের বিখ্যাত স্ট্রীপে—দ্য ভেনিশিয়ান রিসর্ট। বিলাসবহুল, বিশাল এই হোটেলের ৩২ তলায় আমাদের পাশাপাশি দুটি সুইট ঘর। ঘর দুটির মাঝে সংযোগকারী দরজা, যেন একটিই পরিবারের সদস্য। জানালা জুড়ে কাঁচের দেয়াল, শহরের আলোঝলমলে দৃশ্য যেন এক স্বপ্নের ভিতর ডুবে থাকা।

কিন্তু সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই খানিকটা ম্লান হয়ে গেল। ঘরে ঢুকেই নূপুর একেবারে শুয়ে পড়ল—সোজা লেপের নিচে। বলল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা লাগছে। থার্মোমিটার দেখিয়ে দিল শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি! কোনো ওষুধ খাওয়ানোও গেল না, ও যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছে। আমি আর কোথাও যাইনি। কাঁচঘেরা জানালার ধারে বসে বাইরের ভেগাসকে এক দৃষ্টিতে দেখতে দেখতে, কখনো বা ওর কপালে হাত রেখে তাপ পরীক্ষা করতে লাগলাম।

রাত নটা নাগাদ কোনোরকমে ওকে কিছু বিস্কুট খাইয়ে একটা প্যারাসিটামল খাওয়ানো গেল। মাম্পি আর সুরজিত কিছু খাবার নিয়ে এসেছিল আমার জন্য, কিন্তু মনটাই ভালো ছিল না, গলা দিয়ে নামল না কিছুই। পরে জোর করে কিছুটা খেলাম। রাত বারোটার সময় দেখি নূপুর নিজেই লেপটা সরিয়ে দিচ্ছে। শরীর গরম নেই আর। এবার নিজেই কিছু খাবার চাইল, খেলোও। একটা ওষুধ আবার খেল। বুঝলাম, আপদ কাটল।

পরদিন সকালবেলা উঠে দেখি, যেন কিছুই হয়নি—চোখেমুখে আগের স্বাভাবিক ছন্দ।আমাদেরও দীর্ঘ নিশ্বাস পড়ল। লাস ভেগাসের আলোঝলমে রাত্রি না দেখতে পেলেও, প্রিয়জন সুস্থ হয়ে উঠেছে—এইটাই ছিল সবচেয়ে বড় স্বস্তি।

(চলবে...)

Address

New Town
Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Trails and Tales by Alok posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share