Confess O meter Official

  • Home
  • Confess O meter Official

Confess O meter Official "Confess it, stress it, bless it. The meter's always on! �� "

চোখ কি শুধু দেখার জন্য? নাকি আত্মা দেখেও ফেলে অন্ধকার?গোলকের চক্ষুদানে পা রাখার আগে… একবার চোখ ঢেকে রাখো।পম পম ফিরেছে… র...
01/07/2025

চোখ কি শুধু দেখার জন্য? নাকি আত্মা দেখেও ফেলে অন্ধকার?
গোলকের চক্ষুদানে পা রাখার আগে… একবার চোখ ঢেকে রাখো।
পম পম ফিরেছে… রহস্যের দৃষ্টিপাতে!

গোয়েন্দা পম পম কেস 8: গোলকের চক্ষুদান

শীতকাল পড়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে ছোট্ট একটা শহরে—নাম তার চোখাপুর। একটা সময় এই জায়গাটা বিখ্যাত ছিল "গোলক চক্রবর্তী"-র জন্য। লোকটি ছিলেন একাধারে দাতব্য চিকিৎসক, আবার তন্ত্রসাধকও বটে। মানুষ তাঁকে বলত, "চোখের গোলক ঠাকুর"। লোকমুখে শোনা, তিনি নাকি অন্ধ রোগীদের চোখ ফিরিয়ে দিতে পারতেন—কিন্তু সে চোখ কার? সেটা কেউ জানত না।
১৯৫৬ সালের ১৩ই জানুয়ারি, হঠাৎ এক রাতে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় নিজেরই ওষুধঘরে—চোখ দুটো নেই। ফাঁকা কোটরের মধ্যে শুধু বসে আছে দুইটা পাথরের মতো লালচে বল। এরপর তাঁর দাতব্য হাসপাতালটা বন্ধ হয়ে যায়। কেউ আর এলাকাটা ঘেঁষেও যায় না।

বর্তমান দিন…
পম পম তখন বিখ্যাত হয়ে গেছে। দক্ষিণ কলকাতার দুটো ব্যাঙাচির চুরি থেকে শুরু করে কলেজে প্রফেসরের হারানো জামা অবধি সব মিস্ট্রি সে একাই ফাঁস করেছে।

একদিন বিকেলে তার কাছে ফোন এল এক বৃদ্ধার—মাধবীলতা সান্যাল, বয়স প্রায় ৭৫, ঠাকুরবাড়ির একমাত্র উত্তরাধিকারী।
তিনি বললেন,

“শুনুন গোয়েন্দাবাবু… গোলকের চক্ষুদান ফের খোলা হয়েছে। আর সেখানে গিয়ে একে একে তিনজন ছেলে—যারা ভিতরে ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও করতে গিয়েছিল—চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফিরে এসেছে। ডাক্তার কিছুই ধরতে পারছে না। আর ওরা তিনজনেই বলেছে, 'একটা বালির পুতুল… আমাদের চোখ চেয়েছিল…'।”

পম পম তখন গম্ভীর গলায় বলল,

“চোখের খেলা খেলছে কেউ। কিন্তু খেলা যে শেষ করব আমি—পম পম। দেড়শো কেজির রগে তো হাড্ডি আছে না?”

গোলকের চক্ষুদান — ঘোরের গলি
পম পম সেখানে পৌঁছনোর পর প্রথমেই সে আবিষ্কার করে, রোগীরা একটা কথা বারবার বলছে—“সে এসেছিল, তার চোখ লাল, সে বলেছিল আমি দেখতে পারছি... তোমার চোখ চাই…”
হাসপাতালের ওষুধঘরে একটি পুরনো কাঠের মূর্তি পাওয়া যায়—এক অন্ধ ব্রাহ্মণের, যার চোখে বসানো দুটো কাঁচ। কিন্তু একদিকে সেগুলো এখন শূন্য।

পম পম একরাতে গিয়ে মূর্তিটির সামনে বসে। পাশে শুধু তার বিশ্বস্ত সঙ্গী—দুধে ডোবানো রসগোল্লা আর একটা কপি দন্তচর্চা ম্যাগাজিন। আচমকাই, বাতি নিভে যায়।

ঘরজুড়ে ছায়া। একটা কণ্ঠস্বর ভেসে আসে—

“তুই দেখতে পাচ্ছিস... বল? আমার চোখ ফিরিয়ে দে... নয়তো আমি তোর চোখ নেব...”

পম পম জোরে বলে—

“আমার চোখে চশমা, আর মনে দৃঢ়তা! তোকে আমি খোলা চোখে দেখব—চোখের দানব!”

রহস্য উন্মোচন
পরদিন পম পম জানায়:
গোলক চক্রবর্তীর মৃত্যুর পেছনে ছিল এক ছাত্র, বিষ্ণু, যে নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে চাইত। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি গোলকের চোখ ফেরানোর পদ্ধতি ছিল আসলে এক প্রাচীন “শালগ্রাম-মন্ত্র”-নির্ভর অভিশপ্ত প্রতিস্থাপন প্রথা—যাতে মৃত চোখ বদলে জীবিতের চোখ বসানো হত।

মূর্তিটি আসলে সেই বিষ্ণুর তৈরি—সে নিজের অপরাধ লুকাতে গোলকের চোখ তুলে নিয়ে পাথর বসায়। আর সেই পাথরের মধ্যে আটকে যায় গোলকের তেজ—একধরনের আত্মিক শক্তি।
যারা সেই জায়গায় যায়, তারা যদি অন্তরে লোভী হয়, বা কিছু “দেখার ইচ্ছে” নিয়ে আসে—তাদের চোখ সে নিয়ে নেয়।

পম পম তার সোজা ভাষায় বলে—

“আসলে ব্যাপারটা সহজ। গোলকবাবুর চোখ ছিল একধরনের স্পিরিচুয়াল সিগন্যাল রিসিভার। যে লোভী, তাকেই তা চিনে নেয়। আর আমি? আমি তো দেখি না… আমি তো শুধুই ভাবি!”

শেষের টুইস্ট
শেষ দৃশ্যে পম পম ফিরে আসে নিজের ঘরে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ দেখে, তার ডান চোখটা একটু লালচে লাগছে। সে হেসে ফেলে—

“আরে না না… ওটা তো রসগোল্লার রস, দুপুরে খেতে গিয়ে পড়ে গেছিল মনে হয়…”

কিন্তু আয়নার প্রতিবিম্বটায় তার মুখটা কিছুটা বদলে গেছে…
আর আয়নার কোণায় দেখা যাচ্ছে এক অন্ধ পাথরের মুখ… মুখে অশুভ এক হাসি।
#রহস্য #ভূতেরগল্প #বাংলাগল্প

27/06/2025

I got over 10000 reactions on one of my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

🕯️ বন্ধ স্কুলের ভূত(ডিটেকটিভ পম পম সিরিজ – পর্ব ৩)একটা হলুদ খামে মোড়া চিঠি এসে পৌঁছেছিল পম পমের ঠিকানায়।চিঠিতে কোনো প্রে...
25/06/2025

🕯️ বন্ধ স্কুলের ভূত

(ডিটেকটিভ পম পম সিরিজ – পর্ব ৩)

একটা হলুদ খামে মোড়া চিঠি এসে পৌঁছেছিল পম পমের ঠিকানায়।
চিঠিতে কোনো প্রেরকের নাম নেই, শুধু নিচে লেখা—
“যদি সত্যিই আপনি পম পম হন, আসুন ‘মেটিয়াবুরুজ মিশন স্কুল’-এ। এখানে আজও একজন অপেক্ষা করছে—২০ বছর ধরে।”

পম পম ঠিক এমন চিঠির জন্যই যেন প্রস্তুত ছিলেন।
বোলো তখন তার পায়ের কাছে বসে ঝিমুচ্ছে, আর তিনি ঠোঁটে চাপা হাসি নিয়ে চায়ের কাপে শেষ চুমুকটা দিলেন।

---

মেটিয়াবুরুজ মিশন স্কুল
পুরো বিল্ডিংটা বন্ধ হয়ে আছে ২০ বছর।
ছাদে বড় বড় গাছ জন্মেছে, জানালার কাঁচ ভাঙা, আর কুকুর আর পাঁজরের খাঁচা ভাঙা বেঞ্চি ছড়িয়ে আছে সবদিকে।
তবু পম পম বোলোকে নিয়ে ঢুকে গেলেন, কারণ তিনি জানেন—এই স্কুলে কিছু এখনো বেঁচে আছে।

---

ঘটনার শুরু ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে।

একজন ছাত্র—শৌনক করিম—মেধাবী, শান্ত, কিন্তু একদিন স্কুলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যায়।
সবার ধারণা ছিল আত্মহত্যা, কারণ তার রুমে পাওয়া গিয়েছিল একটা ছেঁড়া চিঠি—
“আমি আর পারছি না। ওদের চাপে আমি ভেঙে পড়েছি।”

তবে প্রশ্ন উঠেছিল—“ওরা” কারা?

তার মৃত্যুর পরদিন স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কারণ এক ছাত্রী বলেছিল, সে প্রতিরাতে ছাদের জানালায় শৌনককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে।

এবং ঠিক তখনই এক শিক্ষক নিখোঁজ হন—রাহুল দে।
তাঁর কোনো হদিস আজও মেলেনি।

---

পম পম স্কুলের ছাদে উঠতেই বোলো আচমকা ঘেউ ঘেউ করে ওঠে।
ছাদের একটা কোণে বোলো খুঁড়ে বের করে একটা কৌটা।
ভেতরে একটা পুরোনো হাফ-পোড়া চিঠি:

> “স্যার, ওরাও চেয়েছিল আমার দোষ চাপিয়ে দিতে। আমি না বলায় রাহুল স্যার বলেছিলেন—চুপ থাকলে তোকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু আমি চুপ করিনি। আমি লড়েছিলাম। আর তাই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল।”

চিঠির নিচে কোনো নাম নেই, তবে শব্দভঙ্গি ঠিক শৌনকের মতোই।

পম পম এবার লাইব্রেরি ঘরে ঢোকেন।
ধুলোমাখা রেকর্ড ঘেঁটে বের করে আনেন ছাত্রদের উপস্থিতি রেজিস্টার।
শেষ পাতায় শৌনকের নাম কাটা, আর ঠিক তার পাশে লেখা—

“DETAINED – R. D.”

---

পম পম এবার বোঝেন, শৌনক কিছু একটা জানত, যা শিক্ষক রাহুল দে তাকে চেপে যেতে বলেছিল।
তাকে ‘ডিটেইন’ করে রেখেছিল, মানসিক চাপে ফেলে।
কিন্তু ছেলেটা চুপ না থাকায়, হয়ত সেই রাতে… ছাদ থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়?

কিন্তু... কে কে ছিল সেই “ওরা”?

---

ঠিক তখনই পেছনের জানালা দিয়ে কেউ ঢিল ছোঁড়ে।
চমকে উঠেন পম পম।
বোলো তেড়ে যায় বাইরে।

এক ছেলেকে ধরা হয়—নাম সুব্রত ঘোষ, স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র।
তাকে জেরা করতেই সে ফেটে পড়ে।

“আমি, জয়দীপ আর অরিত্র… আমরাই করেছিলাম সেদিন...
শৌনক আমাদের টয়লেটে গাঁজা খেতে দেখে ফেলেছিল।
সে হেডস্যারকে বলবে বলে হুমকি দিয়েছিল।
তাই রাহুল স্যার আমাদের বলেছিলেন ওকে ভয় দেখাতে।
কিন্তু সেটা… একটা দুর্ঘটনা হয়ে যায়...”

পম পম চোখ বন্ধ করে থাকেন কয়েক সেকেন্ড।
তারপর ধীরে ধীরে বলেন—

“তোমাদের ভয় দেখানোটা একটা দুর্ঘটনা ছিল, কিন্তু তার জন্য একটা ছেলে নিজের প্রাণ হারিয়েছে।
আর এক শিক্ষক... কোথায় তিনি আজ?”

সুব্রত মাথা নিচু করে বলে—
“স্যার পালিয়ে যান। পরে কানপুরে স্কুলে চাকরি নেন। এখন অন্য নামে থাকেন।
সব পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছেন...”

---

রাতে ফিরে গিয়ে পম পম অফিসার অজয়কুমারকে ফোন করেন।
“কানপুরে একটা স্কুল আছে—বেলভিউ মডেল হাই।
সেখানে একজন শিক্ষক কাজ করেন—নাম অরুণ দেব।
তাকে একবার খুঁজে দেখবেন।
তার আসল নাম রাহুল দে।”

---

শেষ দৃশ্য
পম পম বারান্দায় চুপ করে বসে আছেন।
চায়ের কাপ ঠোঁটে তোলা।

বোলো তার পাশে বসে।

পম পম বলে ওঠেন—
“বোলো, ভূত বলে কিছু নেই।
কিন্তু অপরাধ... সেটাই সত্যিকারের ভূত হয়ে ফিরে আসে।
চুল খাড়া করে দেয়... ঠিক যেমন এই চায়ের কাপের ভেতর, সেই পুরোনো স্কুলঘরের গন্ধ লুকিয়ে আছে—রক্ত আর অনুশোচনার।”

---

🕯️ শেষ… বা আবার শুরু?

#বন্ধ_স্কুলের_ভূত
#গোয়েন্দা_পম_পম
#ভূতের_রহস্য
#স্কুলের_অভিশাপ
#বাংলা_ভৌতিক_গল্প
#পিছনে_কে
#ভীতিকর_স্কুল
#কুকুর_আর_গোয়েন্দা
#প্রেতাত্মার_গল্প
#রহস্য_ঘনঘটা









Abandoned school ghost story
Bengali haunted thriller
Mystery with child ghost
Dog and detective in school
Pom Pom in supernatural twist
Eerie Bengali suspense

🩸 রক্তরেখা – পম পমের ফেরা(ডিটেকটিভ পম পম সিরিজ – পর্ব ২)চৌধুরী ভিলার মৃত্যু রহস্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে আজ দশ দিন।বিনিতা চৌধুর...
23/06/2025

🩸 রক্তরেখা – পম পমের ফেরা

(ডিটেকটিভ পম পম সিরিজ – পর্ব ২)

চৌধুরী ভিলার মৃত্যু রহস্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে আজ দশ দিন।
বিনিতা চৌধুরী এখন পুলিশের হেফাজতে।
রিয়া চলে গেছে তার মামার কাছে, শহর থেকে অনেক দূরে।
বোলো এখন শান্ত, গোধূলির রোদে বারান্দায় বসে থাকে চুপচাপ।
আর পম পম... তিনি আবার ফিরে গেছেন কলকাতার সেই পুরনো গলির মাথার দোতলা ফ্ল্যাটে, যেখানে সাদা পাঞ্জাবির কোলে চায়ের কাপ আর মিছরি মিলেমিশে থাকে।

তবে গল্প তো এখানেই শেষ নয়...

একদিন সন্ধ্যায় দরজায় টুং টাং করে বেল বাজল।
পম পম দরজা খুলতেই সামনে দাঁড়িয়ে এক যুবতী, চোখে আতঙ্ক আর কাঁপতে থাকা ঠোঁটে বলে উঠল—
“স্যার, আমি অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। আমি... আমি রিয়া।”

পম পম কপাল কুঁচকে বললেন, “রিয়া তো অন্য জায়গায় আছে। তুমি রিয়া হও কি করে?”

মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলে, “জাকে আপনি রিয়া ভাবছিলেন, সে আসলে আমার জায়গা দখল করেছিল।”

চৌধুরী পরিবারের আসল কন্যা রিয়া নয়, বরং অনেক আগেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল।
তখন অনন্যা, অনাথ আশ্রমে বড় হওয়া এক মেয়ে, দেখতে রিয়ার মতোই, তাকে আনা হয় রিয়ার জায়গায়—সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে একটা বুদ্ধি খাটিয়ে।

তবে রঞ্জন সব জানতেন।
তিনি এই জালজালিয়াতি মেনে নেন নি।
একটা গোপন ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন সব কিছু।
ডায়েরির শেষে ছিল একটা অদ্ভুত ম্যাপ এবং একটা লাইন:
“যেখানে প্রথম চুমু, সেখানেই শেষ রক্ত।”

---

পম পম একটু চুপ করে বললেন,
“তাহলে আমি যে রহস্য ফাঁস করেছি সেটা… একটা বড় জালিয়াতির ঢাক গড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে?”

অনন্যা চোখ মুছে বলল,
“হ্যাঁ স্যার। আপনি যাকে দোষী ভেবেছেন, সে ছিল আবেগতাড়িত, কিন্তু আসল কু-নাটকের নাট্যকার অন্য কেউ।”
---

পম পম এবার বোলোকে ডাক দিল,
“চল বোলো, আবার একটা চা তৈরি কর, আজ রাতে আমাদের ঘুম হবে না।”

রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরে, পম পম তার পুরোনো নোটবুক খুলে বসে।
এক পাতায় লেখা—

"চা কাপের পাশে গোলাপ, চুমুর জায়গা... কোথায়?"
---

শান্তিনিকেতনের পুরোনো ছাদ

পরদিন পম পম পৌঁছালেন চৌধুরী ভিলায়।
ঘর ফাঁকা, লোক নেই।
তবে ছাদে গিয়েই বোলো শুরু করল ঘেউ ঘেউ।
সেখানে এক কোণায় পাওয়া গেলো মাটি খোঁড়া, আর তার নিচে—

একটা পুরোনো চিঠি, কিছু ছেঁড়া ছবি, আর এক জোড়া গহনা।

চিঠিটা ছিল রঞ্জনের দিদি অনুরাধার লেখা, যিনি বছর দশেক আগে আত্মহত্যা করেছিলেন।
চিঠিতে লেখা ছিল—

“আমি জানি, বাবা-মা আমায় ছোটবেলায় দত্তক এনেছেন। আমি এই পরিবারের কেউ না। রিয়া-র থেকেও না। আমাকে কেউ ভালোবাসে না। সেজন্য আমি চলে যাচ্ছি… তবে রিয়া নয়, আসল ‘রিয়া’ যদি কোনোদিন ফেরে, তাকে দিও আমার ভালোবাসার চিঠিটা।”
---
পম পম এবার বুঝলেন—
আসলে দুই রিয়ার রহস্য এই পরিবারকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে।
এবং সেই আগুন ছড়িয়েছে আরও অনেক দূর।
আসল অপরাধী ছিল—
সুরজিৎ, চাচাতো ভাই, যিনি সম্পত্তির দাবিতে আসল রিয়াকে হারিয়ে, একটা কুকঠিন পরিকল্পনার পেছনে দাঁড়িয়েছিল।
যাকে রঞ্জন প্রথমে চেনেন, পরে মাফ করতে পারেননি।
---

সেই রাতে পম পম ফিরে এসে ফোন করলেন থানায়—

“পুলিশ ইন্সপেক্টর বাবু, চৌধুরী ভিলায় একবার ফিরে যান। এবার সত্যি সত্যিই কেস ক্লোজ করা যাবে।”
---

বোলো মুখ ঘষে পম পমের হাঁটুতে।
পম পম তার পেছনে হাত রেখে বলে—
“বোলো, একেকটা চায়ের কাপের নিচে কতটা কাহিনি লুকিয়ে থাকে, ভাবলে অবাক লাগে।
আর আমাদের মতো লোকদের কাজ—
সেই কাপে চুমুক দেওয়ার আগেই বুঝে ফেলা, কে বিষ মিশিয়েছে।”
---

শেষ... (অথবা আবার শুরু?)

#রক্তরেখা
ের_ফেরা
#মার্ডার_মিস্ট্রি
#বাঙালি_গোয়েন্দা
#রহস্য_রোমাঞ্চ
#ঝাড়বাতি_আর_রক্ত
#বৃষ্টি_রাতের_গল্প
#গল্পে_ফিরে_আসা
#বাংলা_থ্রিলার
#গল্পের_রক্তচাপ












Bengali detective sequel
Murder in rainy mansion
Chandelier collapse crime scene
Return of Pom Pom
Blood-stained scarf mystery
Bengali thriller series

চায়ের কাপ আর রক্তের ছোপ(একটি বাংলা গোয়েন্দা কাহিনি)হালকা কুয়াশা আর ঘন সবুজে মোড়া, শান্তিনিকেতনের প্রান্তে অবস্থিত চৌধুরী...
22/06/2025

চায়ের কাপ আর রক্তের ছোপ

(একটি বাংলা গোয়েন্দা কাহিনি)

হালকা কুয়াশা আর ঘন সবুজে মোড়া, শান্তিনিকেতনের প্রান্তে অবস্থিত চৌধুরী ভিলা—আজও সেই পুরনো বনেদি গন্ধে ভরে আছে। চারপাশে শুধু পাখির ডাক আর দূর থেকে ভেসে আসা শাখা বাজনার রেওয়াজ। রবি ঠাকুরের নামেই এক ঘর বানানো, অতিথিদের জন্য সাজানো দার্জিলিং চা আর মাটির বাসন।

এমনিই এক সকালে, অতিথিদের জন্য প্রস্তুতকৃত নরম আলোতে মোড়া কাঠের বারান্দায়, হঠাৎ চিৎকার শুনে গোটা বাড়ি কেঁপে উঠল।

– “দাদা! দাদা রক্তে ভাসছে!” – চিৎকার করে উঠেছিল রিয়া চৌধুরী।

চৌধুরী পরিবারের উত্তরাধিকারী রঞ্জন চৌধুরী—প্রভাতের চায়ের পাশে লুটিয়ে ছিল। ঠোঁটে এখনো এক চুমুক চায়ের দাগ, আর পাশে একটা গোলাপের পাঁপড়ি। কী অদ্ভুত! মৃত্যুর মুহূর্তেও এত নাটকীয় সৌন্দর্য?

স্থানীয় থানার অফিসার সুব্রত বাবু দুই ঘন্টার মাথায় এসে একটাই কাজ করলেন—চা কাপটা একটা গ্লাভস হাতে নিয়ে শুঁকে বললেন, “ভাই কিছু একটা আছে এতে। কিন্তু বুঝতে পারছিনা। আমি বরং জানি কাকে ডাকব...”

এভাবেই প্রবেশ হল তার,
ডিটেকটিভ পম পম।
আসলে পুরো নাম পমেন্দ্রনাথ পুণ্ডরীক, তবে পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব সবাই তাকে ডাকে—পম পম।

তাঁর মুখটা গোলগাল, গাল টসটসে, ছোট ছোট চোখে চশমা, আর সবসময় মুখে মিছরির টুকরো। ঢিলেঢালা সাদা পাঞ্জাবি আর কোঁকড়ানো চুল। কেউ দেখে বলে পুজোর মন্ডপে মোদক বিলানো পুরোহিত, কেউ ভাবে ইনি বুঝি হোমিও ডাক্তারের সহকারী। কিন্তু ভুলটা এখানেই—এই লোকটা যতটা নরম, তার মাথাটা ঠিক ততটাই তীক্ষ্ণ।

পম পম যখন বাড়িতে ঢুকলেন, সঙ্গে ছিল তার বিখ্যাত মেটাল বক্স—ভিতরে মাগনিফাইং গ্লাস, সুগন্ধি চা পাতা, আর এক বাক্স লাল দানা মিছরি। আর পেছনে ছোট্ট পুচকে লেজ নেড়ে ঢুকল বেজায় বুড়ো একটা দেশি কুকুর—“বোলো”।

পম পম প্রথমেই চা কাপ হাতে নিয়ে বোলোকে বললেন,
“ঘেউ কর বোলো যদি এই কাপের গন্ধে কিছুমাত্র বিষ থাকে।”
বোলো নাক গুঁতে একবার ঘেউ করল, তারপর চুপ।

"এই চায়ে আছে একধরনের হালকা ঘুমের ওষুধ, তাতে মৃত্যু হয় না," পম পম বললেন চোখ ছোট করে। "তবে রঞ্জনের শরীরে ছিল অন্য কিছুর ছাপ। কে মিশিয়েছে দ্বিতীয় বিষ?"

---

রঞ্জনের পরিবার ছিল একটা ছোট্ট প্যাঁচের নাটক।
রঞ্জনের স্ত্রী বিনিতা—চুপচাপ, হিসেবি, মুখে সবসময় এক ধরণের চাপা ক্লান্তি।

রিয়া—তাদের মেয়ে, সদ্য কলেজ পাশ করেছে, মাঝে মাঝে খুব অদ্ভুত সব স্কেচ আঁকে। খেয়ালি স্বভাব। রঞ্জনের চাচাতো ভাই সুরজিৎ, যার জীবনের স্বপ্ন ছিল "পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ হলে আমি বিদেশ ঘুরতে যাবো।"

এছাড়াও বাড়িতে ছিলেন এক বৃদ্ধা—‘দিদিমা’। বয়স আশির কাছাকাছি, কানে শোনেন কম, তবে চোখে দেখেন অনেক কিছু।

পম পম একে একে সবার সঙ্গে কথা বললেন। তার স্বভাবসুলভ নিরীহ ভঙ্গিতে, মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতেন এমন কিছু যা কেউ গুরুত্ব দিত না—
“আপনি তো বললেন আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে, চায়ে চিনি খান না, তাহলে সকালে ওই মিষ্টি দার্জিলিং আপনার কাপেই কেন ছিল?”
– প্রশ্নটা বিনিতার দিকে।

“এই স্কেচটা কে এঁকেছে?”
– জিজ্ঞেস করলেন রিয়ার আঁকা একটা ছবি দেখিয়ে, যেখানে দেখা যাচ্ছিল একটা লাশ, আর তার মুখে একটি গোলাপের পাঁপড়ি।

---

পম পম সন্ধেবেলায় সবাইকে একজায়গায় বসিয়ে বললেন—

“রঞ্জনের মৃত্যু ছিল পরিকল্পিত। ওকে ঘুম পাড়ানোর জন্য প্রথমে চায়ে ভেষজ মিশানো হয়। এরপর তার নিজের ওষুধে মিশিয়ে দেয়া হয় এক ধরণের ধীরে কাজ করা বিষ। আর সেটা দিয়েছিল এমন কেউ, যে জানে ও কিভাবে ওষুধ খায়। মানে খুব কাছের কেউ।”

সবাই থমথমে।

"আর এই স্কেচ? এটা আসলে একটা ডায়েরির অংশ। ডায়েরিটা আমি পেয়েছি রিয়ার টেবিলের তলায় রাখা পুরনো বইয়ের ভেতর। তাতে লেখা আছে — বাবা অনেক কিছু লুকিয়ে রাখেন, মাকে কাঁদতে দেখেছি... আমি ভয় পাই"।

পম পম চুপ করে রিয়ার দিকে তাকালেন।
রিয়ার চোখে জল।

“আমি বাবাকে মারিনি,” সে কাঁপা গলায় বলল।

"তুমি না। কিন্তু তুমি যে বুঝে গিয়েছিলে কী ঘটতে চলেছে, সেটা এই স্কেচে প্রমাণ আছে।"

পম পম এবার দিদিমার দিকে তাকালেন—
“আপনি বুঝেছিলেন, কিন্তু বলেননি। কারণ আপনি জানতেন, এই পরিবারে বিষ ঢুকেছে অনেক আগেই। শুধু ওষুধে নয়, বিশ্বাসে।”

হঠাৎ পেছন থেকে কেঁদে উঠলেন বিনিতা।

"আমি করিনি… আমি শুধু বলেছিলাম ওষুধটা কেটে দিতে, বেশি খেলে রক্তচাপ নামতো। আমি চাইনি ও মরুক। ও আমাকে দিনের পর দিন অবহেলা করত। আমি শুধু একটু শান্তি চেয়েছিলাম..."

সবাই স্তব্ধ।
পম পম এগিয়ে গেলেন, তার মেটাল বক্স থেকে একটা চা বের করে বললেন—
“এখন এক কাপ নির্ভেজাল চা খাই। তারপর আপনি যা বলবেন, সেটা পুলিশকে বলবেন।”

---

সন্ধ্যার অন্ধকার গাঢ় হতে হতে চৌধুরী ভিলার ভিতরে আবার আলোর রেখা পড়ল।
একটা প্রাণ গেল, একটা সত্য উন্মোচিত হল,
আর এক গোয়েন্দা—তার গোল গাল নিয়ে আবার রওনা দিল নতুন রহস্যের খোঁজে।

পিছনে বোলো ঘেউ ঘেউ করে উঠল।

---

শেষ
(অথবা, হয়ত আবার শুরু...)
#চায়ের_কাপ_আর_রক্তের_ছোপ
#গোয়েন্দা_পমপম
#বাংলা_গোয়েন্দা_গল্প
#রহস্য_গল্প
#ক্রাইম_থ্রিলার
#সাসপেন্স
#বাঙালি_গল্প

#পুরনো_কলকাতা
#গল্পের_চা











Bengali detective with tea
Kolkata murder mystery
First case of Detective Pom Pom
Tea cup with blood stains
Suspenseful Bengali storytelling
Vintage Bengali crime setting

অন্তর্হান – এক সত্য অনুসন্ধানের গল্পএকজন নিরীহ কেবল অপারেটরের চোখ দিয়ে দেখা এক রহস্যময় অন্ধকার।গল্প: অন্তর্হানলেখা: Ri...
20/06/2025

অন্তর্হান – এক সত্য অনুসন্ধানের গল্প
একজন নিরীহ কেবল অপারেটরের চোখ দিয়ে দেখা এক রহস্যময় অন্ধকার।

গল্প: অন্তর্হান
লেখা: Rintu Nath

একটা পচা গন্ধ বাতাসে ভেসে আসছে। গন্ধটা এমন, যেটা হয় অন্ধকার গলির শেষে, যেখানে দিনের আলো ঢুকতেও ভয় পায়।

সেই অন্ধকার গলিতে দাঁড়িয়ে আছে আদিত্য। বয়স ৩৮, উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট, চোখে চশমা, গায়ে ছোপ ছোপ ধুলোমাখা শার্ট, হাতে কেবল চ্যানেলের তার। লোকে জানে, সে একজন কেবল অপারেটর। কিন্তু কম মানুষই জানে, তার আরেকটা পরিচয় আছে – সত্য অনুসন্ধানকারী। মিথ্যার পেছনে লুকিয়ে থাকা কাহিনি সে খুঁড়ে আনে।

এই গলিতে আজ সে এসেছে একটা মেয়ের অন্তর্ধানের সূত্র ধরে – মেয়েটির নাম ছিল মেঘলা। মাত্র ২৩ বছর বয়স। হঠাৎ করেই উধাও। পুলিশ বলছে “লোভে পালিয়েছে”, কিন্তু আদিত্যর অন্তর বলে, ওর পেছনে কোনো ভয়ংকর কিছু আছে।

চরিত্র পরিচিতি:
- আদিত্য – কেবল অপারেটর, গোপনে সত্য অন্বেষণ করে।
- মেঘলা – নিখোঁজ তরুণী, সদ্য কলেজ শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছিল।
- রিমা – আদিত্যর পুরনো বন্ধু, একসময় প্রেম ছিল, এখন থানা সাংবাদিক।
- সুকান্ত দা – পাড়ার মোড়ল টাইপ মানুষ, সব কিছু জানে, কিন্তু চুপচাপ।
- ডলি – মেঘলার ফ্ল্যাটমেট, একটু রহস্যময় আচরণ করে।
- কুকুর "AM" – আদিত্যর পাড়ার পথকুকুর, মাঝে মাঝে বাকি খাবার আর বিস্কুট খায়, কিন্তু আজ সে কিছু খোঁজার মতো আচরণ করছে।

কেসের সূত্রপাত:
রাতে আদিত্য যখন তার অফিস ঘরের দরজা বন্ধ করছিল, ঠিক তখন AM বারবার একটা নির্দিষ্ট ব্যাগের দিকে তাকিয়ে ডাকছিল। ব্যাগটা ছিল রিমার।
রিমা হঠাৎ এসেছিল মেঘলার বিষয়ে তথ্য দিতে, কিন্তু যাওয়ার সময় ব্যাগটা ফেলে গেছিল।

ব্যাগ খুলে আদিত্য যা পায়, তাতে কেঁপে উঠে –
একটা পেনড্রাইভ, তাতে একটা ভিডিও – মেঘলা কান্না করছে, আর কেউ একজন ক্যামেরার পেছন থেকে বলছে,
"তুই যা করেছিস, তার শাস্তি তোকে পেতেই হবে।"

কিন্তু ভিডিওতে স্পষ্টভাবে মেঘলার চোখে ভয়, মুখে বাধ্যতা – কিসের শাস্তি? কে নিচ্ছে প্রতিশোধ?

ঘটনার মোড়:
রিমার সাথে দেখা করতে যায় আদিত্য। রিমা ভয় পাচ্ছে। বলে,
"আমার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তুমি এসব থেকে বেরিয়ে আয় আদিত্য। এটা কোনো সাধারণ কেস না।"

কিন্তু তখনি ফোনে আসে একটি অডিও মেসেজ –
"তোমরা যদি খুঁজতে থাকো, তাহলে শুধু মেঘলা না, আর কতজন অদৃশ্য হয়ে যাবে, দেখতে পাবে না... অন্তর্হান হবে তারাও।"

সেই ভয়ঙ্কর হুমকি শুনে রিমা চুপ মেরে যায়।
তবে আদিত্য থামে না। সে ডলির সাথে দেখা করে। ডলি প্রথমে বলে,
"মেঘলা এক ছেলের সাথে প্রেম করত, নামটা বলবে না বলেছিল। কিন্তু ওর ব্যাগে একদিন একটা পুরনো ছবি পেয়েছিলাম – যেখানে মেঘলা আর এক মধ্যবয়সী লোক দাঁড়িয়ে হাসছে। লোকটা দেখতে তোমার মতই..."

আদিত্য চমকে উঠে।
"আমার মতই? কে হতে পারে সে?"

ক্লাইম্যাক্সের দিকে:
একদিন গভীর রাতে আদিত্য ও AM গিয়ে পৌঁছায় মেঘলার শেষ অবস্থানের জায়গায় – একটা ফ্ল্যাটের ছাদে।
সেখানে পাওয়া যায় একটা পুরনো লকার। লকার ভাঙতেই বেরিয়ে আসে কিছু নথি, আর কিছু ফটো – যেগুলো থেকে প্রমাণ হয়, মেঘলার আসল পরিচয় লুকানো ছিল।

মেঘলা আদিত্যর নিজের হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলার দিদি ময়না’র মেয়ে!
ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া দিদি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক প্রভাবশালীর হাতে। তার মেয়ে বড় হয়ে নিজের মায়ের অপরাধীর খোঁজ করছিল।
সেই অপরাধী আজকের সুকান্ত দা – যাকে পাড়া খুব শ্রদ্ধা করে।

শকিং এন্ডিং:
গল্পের শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, আদিত্য সুকান্ত দার সামনে দাঁড়িয়ে – হাতে একটা রেকর্ডার।
সুকান্ত দা মুখে হাসি রেখে বলে,
"তুই তো সত্যের খোঁজ করিস, এবার সত্য জান, তোর বোন, তোর মা – তোর মতো লোকেরা কিচ্ছু করতে পারে না।"

ঠিক তখনি পেছন থেকে গুলি – রিমা এসে সুকান্ত দাকে গুলি করে ফেলে দেয়।
সে বলে,
"আমি তো শুধুই সাংবাদিক না আদিত্য, মেঘলার বন্ধু ছিলাম। এবার সত্যটা আমিই বলবো। আর কেউ নয়।"

আদিত্য তাকিয়ে থাকে শূন্য দৃষ্টিতে – আর AM এসে চুপ করে বসে পড়ে তার পাশে।

গল্প শেষ।

#অন্তর্হান


#সত্যঅনুসন্ধান






#রহস্যে_মুড়ে_গল্প

#গল্পগুজব
#গোপন_কথা

#গল্প_বলতে_ভালোবাসি
#আননোনগল্প
#ভয়ংকর_কনফেশন
#সত্যিকারেরগল্প
#কনফেশনটাইম

Esa dost kaha milta hey jo ese videos bana k de
17/05/2025

Esa dost kaha milta hey jo ese videos bana k de

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Confess O meter Official posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share