08/03/2025
আমরা পারি, এবং অনেকের থেকে বেটার পারি, তা সমাজ মানতে চায়না,
আমরা পারি ,তা সর্ব প্রথম মানতে চায়না আমাদের জন্মদাত্রী মা।
বিয়ের পর মানতে চায়না আমাদের শাশুড়ি মা।
মানতে চায়না আমাদের অফিসের বস..।
প্রতি পদক্ষেপে নিজেদের প্রমান করতে হয়। অবাধ্য হতে হয়। ভালোকোনো কাজ করতে গেলেও বারবার জবাবদিহি করতে হয়,”আমি পারবো “
আসলে বৈদিক যুগ থেকে সেই সব বিদুষী নারীদের বারবার প্রমাণ দিতে হয়েছে এবং এই একবিংশ শতকেও হচ্ছে।
সাম্য আসেনি ।আমাদের পিছনে টানা মায়েরাই আসতে দেয়নি।
সিংহভাগ মেয়েই এসব মেনে নিয়েছি। ছোটো থেকে আমাদের দাদা বা ভাইকে পড়াশোনা শেখানো হয়েছে সমান ভাবে আমাদেরও। কিন্তু তাদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসারের দায়িত্ব নেওয়ার লক্ষ বেঁধেদেওয়া হয়েছে ছেলেদের । মেয়েদের কাছে এখনো এটি একটি চয়েস যে , সে আর্থিক ভাবে স্বাধীন হবে কি হবেনা।
অনেক পরিবর্তন এসেছে কিন্তু এই পরিবর্তন-এর বীজ যদি শৈশবে মেয়েদের মধ্যে বুনে দেওয়া না যায় ,তবে তারা পোশাকে আধুনিক হবে কিন্তু মানসিকতায় সেকেলেই থাকবে।
একবিংশ শতকের মায়েরা অনেক সচেতন। বিয়ের জন্য বা বাচ্চা মানুষ করার জন্য তারা আর চাকরি ছেড়ে দেয়না।তারা লড়াই করে ।সেই মেয়েদের বারুদ ছড়িয়ে পড়ুক মফস্বলে, প্রত্যন্ত গ্রামে । চাকরি কেন্দ্রিক পড়াশোনার মানসিকতা বেড়েছে । কিন্তু সরকারি চাকরির ভুত মাথাথেকে নামালে অনেকে সহজ হবে উপার্জনের পথ।
উপার্জনই মেয়েদের স্বধীনতার চাবিকাঠি। সমাজ তোমায় তখনই মেয়ে হিসাবে নয় মানুষ হিসাবে মানবে।
#আন্তর্জাতিকশ্রমজীবীনারীদিবস2025
-রশ্মিতা বিশ্বাস