Uthso Manush News

Uthso Manush News সমস্ত ধরণের খবর,সাহিত্য ও বিনোদন একমা?

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ এর নির্বাচনে ভোট গণনা:রাজীব দত্ত,উৎস মানুষ নিউজ, সাহিত্য সংবাদ,কলকাতা:আজ ১১মে ,২০২৫,বেলা ১টা থেকে ...
11/05/2025

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ এর নির্বাচনে ভোট গণনা:
রাজীব দত্ত,উৎস মানুষ নিউজ, সাহিত্য সংবাদ,কলকাতা:
আজ ১১মে ,২০২৫,বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমস্ত প্রার্থীদের উপস্থিতিতে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ -এর ১৪৩২ বঙ্গাব্দের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের ভোট গণনা হয়। অফিসিয়াল প্যানেলের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ভোটের মার্জিন বাড়িয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা গেছে ।এই ভোটের ফলাফল ১৪৩২ বঙ্গাব্দের ১৩১ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ঘোষিত হবে বলে জানা গেছে। পূর্বের বছরের মত রীতি অনুযায়ী পরিষৎ -এর সম্পাদক, কে কত ভোট পেয়েছেন তা ঘোষণা করেছেন। সর্বোচ্চ প্রাপ্ত ভোট ৩১৫টি ও সর্বনিম্ন প্রাপ্ত ভোট ১১টি বলে জানা গেছে।মোট ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে চূড়ান্ত কোন্ ২০ জন নির্বাচিত হলেন তা জানতে সাহিত্য পরিষৎ-এর সকল সদস্য ও সারস্বত পাঠক সমাজের সবাইকে একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে।

যাদবপুর ষড়যন্ত্রের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ; উৎস মানুষ নিউজঃ যাদবপুর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সভাপতি তথা শিক্ষামন...
18/03/2025

যাদবপুর ষড়যন্ত্রের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ; উৎস মানুষ নিউজঃ যাদবপুর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সভাপতি তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত ও তৃণমূল বিরোধী এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

মহীতোষ গায়েন,রাজ্য সহ-সভাপতি,ওয়েবকুপা

গত ১ মার্চ শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটার হল ভাড়া নিয়ে বহু আগে থেকেই প্রেস রিলিজ করে ওয়েবকুপার তিন সহ-সভাপতি ওয়েবকুপার রাজ্য কমিটি একটি জাতীয় স্তরের সেমিনার ও বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে।আয়োজক কমিটির মূল দায়িত্বে ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপা ইউনিট ও শিক্ষাবন্ধু ইউনিট এবং কিছু তৃণমূলপন্থী রিসার্চ স্কলার,সেমিনার বিষয়ক ব্যবস্থাপনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এরা সাহায্য করেছে। যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের অনুমতিতেই এই সেমিনার ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘ একমাস ধরে এই সেমিনার ও বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি চলছিল। রাজ্যের ৩৫টি সাংগঠনিক জেলা ও ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার সভাপতিসহ ৩৫০০ প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন কিছু উপাচার্যরা ও কিছু শিক্ষাবিদ এই সেমিনারে যোগ দেন। ঘটনার দিন সকাল ৯টা থেকেই পাহাড় থেকে সাগরে জেলাগূলি থেকে আগত প্রতিনিধিদের রেজিস্ট্রেশন চলছিল।তখন কিন্তু শান্তির পরিবেশ বজায় ছিল।
সেদিন ৯.৩০ নাগাদ ৫নম্বর গেট দিয়ে ঢুকি,ঢোকার পর মাঝামাঝি স্থানে ডান দিকে দেখি কয়েকটি ছেলে মেয়ে হাফ প্যান্ট পরে ছোট ছোট বাদ্যযন্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছে। তাদের ছাত্র বলে মনে হলো না । রেজিস্ট্রেশন পর্ব চলছে। ১০টা নাগাদ একটা হট্টগোল -এর আওয়াজ পাচ্ছিলাম বাইরে,দেখি ২০/৩০ জন ছাত্রছাত্রী ২টি গ্রুপ করে লম্বা, ছোট ব্যানার নিয়ে কেত্তন করছে। দেখতে পেলাম ব্যানারে লেখা SFI,AIDSO,DSO,RSF ইত্যাদি লেখা।

ঠিক ১১টায় মঞ্চ থেকে তখন সহ সভাপতিদের থেকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, 'বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সমস্ত প্রতিনিধিদের নিজ নিজ আসন গ্রহণ করতে'। ঠিক ১১.৩০ ন্যাশনাল লেভেল সেমিনার শুরু হয়, সেমিনারের বিষয় ছিল :"Saffronization of Higher Education in Contemporary India". আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিবাজীপ্রতীম বসু ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জয়য়প্রকাশ মজুমদার। সেমিনার এর শেষ পর্বে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ব্রাত্য বসু প্রবেশের পথে মাও মাকু, নকশাল এবং SFI ,DSO,RSF ও কিছু গুণ্ডা, বদমাশ তথা৬০/৭০ জনের একটি হুলিগান গোষ্ঠী শ্লোগান দিতে দিতে পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। সভাপতি কোনমতে ৩নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে মঞ্চের পাশের ওয়েটিং রুমে আসেন। সভাপতির উপস্থিতিতে ঠিক ১,৩০ নাগাদ WBCUPA --র বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু হয়। এই পর্বে বক্তব্য রাখেন ওয়েবকুপার রাজ্য কমিটির সদস্য অর্ণব সাহা, বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির দেবলীনা শেঠ, এরপর দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলতে উঠলে বাইরের মাওয়িস্ট হুলিগানরা চিৎকার শুরু করে এবং পাঁচিলে উঠে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি শুরু করে এবং শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নির্বাচন করার দাবি জানাতে শুরু করে।
এরপর সংগঠনের অন্যতম সহ সভাপতি সেলিম বক্স মন্ডল সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন।আমি তা সমর্থন করি এবং সভায় উপস্থিত ৩৫০০এর বেশি অধ্যাপক তা সমস্বরে সমর্থন করেন, এরপর কোষাধ্যক্ষ দীপজ্যোতি কর কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদন পেশ করে ,সহ সভাপতি হিসেবে আমি তার সমর্থনের আহ্বান জানাই, উপস্থিত সবাই তা সমর্থন করেন।এদিন সভা থেকে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রস্তাবও গৃহীত ও সমর্থিত হয়।
এরপর সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ব্রাত্য বসু বক্তব্য শুরু করেন। বাইরে অবস্থানরত হামলাকারীরা তারস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে, হঠাৎ করেই তাদের একাংশ পাঁচিলে উঠে বাঁদরের মতো লাফাতে থাকে, শ্রদ্ধেয় সভাপতিকে কুৎসিত পোষ্টার প্রদর্শন করতে থাকে। এবং হঠাৎ করেই একদল বর্বর হুলিগান অধ্যাপকদের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারতে থাকে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, তখন মাননীয় সভাপতি করজোড়ে অধ্যাপকদের আহ্বান জানান,"কোন প্ররোচনায় কান দেবেন না, আপনারা সবাই শান্ত থাকুন,"পুলিশ ডাকার কথা কেউ কেউ বললেও মানবিক সভাপতি বলেন- "আমি শিক্ষাঙ্গনে পুলিশ ডাকার পক্ষপাতী নই "। তখন এই মাও ,মাকু ,হার্মাদ বাহিনী সবাই একসাথে মাননীয় মন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য চিৎকার করতে থাকে। যদিও আমাদের অধ্যাপক সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় তাদের ঢুকে দাবি দাওয়া পেশ করার কোন আইনগত এক্তিয়ার নেই তাদের। গণতান্ত্রিক ও মানবিক সভাপতি অধ্যাপক ব্রাত্য বসু তবু ওদের সাথে দেখা করার কথা ঘোষণা করতে বলেন।সহ সভাপতি হিসেবে আমরা ঘোষণা করি "আপনারা শান্ত থাকুন, উত্তেজনা সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের সঙ্গে মাননীয় মন্ত্রী দেখা করবেন ও কথা বলবেন।" আমরা তার নির্দেশমত ওদের ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠনের ৪/৫ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলবেন ও ডেপুটেশন নেবেন বলে জানাই।

ইতিমধ্যে SFI ও TMCP-র ২জন করে প্রতিনিধি আসে, তাদের সঙ্গে আমাদের সামনেই অধ্যাপক বসু কথা বলেন ও তাদের ডেপুটেশন জমা নেন। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৩টে, হুলিগান, মাওয়িস্টদের RSF ও SFI এর 'B' ও 'C' টিমের ৪০এর টুকরো টূকরো গ্যাং একসাথে কথা বলবে বলে হঙ্কার দিতে থাকে।
ঠিক ৩.১৫ নাগাদ শিক্ষামন্ত্রী বাইরে এসে সব ছাত্র সংগঠনের মাঝে এসে তাদের কথা শুনতে থাকেন। হঠাৎ করে ঐ চল্লিশ/ষাটের চক্র তীব্র ভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করে, নোংরা নোংরা খিস্তি দিতে থাকে, ভেতরে ডেপুটেশন দেওয়া সেই দুই SFI ছাত্রও হামলাতে‌ যোগ দেয়,এই হামলা ও বচসায় RSF এর ইন্দ্রানুজ রায়ও যোগ দেয়। তখন তারা শিক্ষামন্ত্রী ও আমাদের অধ্যাপকদের উপর চড়াও হয়। এই পরিস্থিতিতেও অধ্যাপকরা শান্ত থাকে। হঠাৎ করেই ব্রাত্য বসুর গায়ের উপর পড়ে হামলাকারীরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে । মন্ত্রী অসুস্থতা বোধ করেন এবং পাশেই বসে পড়েন, তখনও মন্ত্রী অপেক্ষা করতে থাকেন ওদের সাথে কথা বলার জন্য এবং সবাইকে শান্ত হতে বলেন।কে শোনে কার কথা, ওরা তখন মরিয়া, ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির বনেটে উঠে বাঁদরের মতো বেশ ক'জন লাফাতে থাকে। ইঁট দিয়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙ্গতে থাকে, ভাঙা কাঁচের টুকরো শিক্ষামন্ত্রীর ডান চোখের নীচে লাগে,আর একটু হলেই বর্বরদের ছোঁড়া ইঁটে তার চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারতো।কোনমতে সভাপতি তথা শিক্ষামন্ত্রীকে বাঁচাতে গাড়ির ভেতর তুলে দেওয়া হয়,তোলার সময় তারা মন্ত্রীর হাতঘড়ি টানাটানি করে ছিনিয়ে নেয়। ইঁট দিয়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙ্গতে শুরু করলে ভাঙা কাঁচের টুকরো ব্রাত্য বসুর চোখে লাগে, হঠাৎ করেই হুলিগান গুন্ডা, বর্বররা অধ্যাপকদের ধরে মারতে শুরু করে ,গবেষক ছাত্রদেরও পেটায়, WBCUPA-র সহ সভাপতিরা সহ ৩৭জন অধ্যাপক আহত হন, দুই অধ্যাপিকার শাড়ি ছিঁড়েছে তারা,এতটা বর্বর তারা। এরপর ৪.৩০:নাগাদ মাননীয় মন্ত্রী অসুস্থতা বোধ করলে , ড্রাইভার তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি স্টার্ট করে। উল্টো দিক থেকে সেই নকশাল বীরপুঙ্গব RSF এর সক্রিয় সদস্য ইন্দ্রানুজ রায় স্কুটারে করে এসে গাড়ির পাশে স্কুটার থেকে ছিটকে পড়ে,ঐ হামলাবাজ ছাত্রছাত্রীদের ৩/৪জন তাকে গাড়ির গায়ে টেনে লাগিয়ে দিতে তৎপর হয়, মন্ত্রী ততক্ষণে চিকিৎসার জন্য SSKM হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪.৪০, বর্বর হামলাবাজরা তখন ৫ নম্বর গেটের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করতে করতে চিৎকার করে "উনি তো বেরিয়ে গেছে এবার এদের নেতা গুলোকে ধর, ঐ দেখ সাদা জামা পরা সম্ভবত মহীতোষ গায়েন, অধ্যাপকদের নিয়ে খুব স্লোগান দিচ্ছিল,ধর ওকে" একথা শুনে তীব্র আতঙ্কে আমি পাঁচ নম্বর গেটের সামনের দিকে দৌড় দিই, আমার দৌড় দেখে আমার পিছনে আরো ২জন দৌড়াতে শুরু করে,ওরা তখন বলে ,এবার ওদিকটা দেখ। গেটের বাইরে এসে দেখি কাটোয়া কলেজের দুই অধ্যাপক,হুলিগানরা হয়তো ভেবেছিল ঐ দুইজন ওদেরই লোক। বাইরে আরো দুই অধ্যাপককে দেখি। ওরা ৪জন মিলে আমাকে একটা অটোতে চাপিয়ে যাদবপুর দানায় নিয়ে যায় আশ্রয়ে রাখতে, কিন্তু থানার অফিসার, বন্ধু অনুপ পোল্ল্যেকে বলেন ,ইনি এবং আপনাদের ওয়েবকুপার ৫/৬ জন টার্গেটেড,ওনাকে একটি ক্যাব ভাড়া করে গড়িয়াহাটের দিকে নিয়ে যান,কারণ সেফ জোনে না নিলে ভয়াবহ বিপদ হতে পারে, অগত্যা আমার সেই বন্ধু তার গাড়িতে করে আমাকে নিউব্যারাকপুরের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।তার ও অপর ৩ অধ্যাপকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

এই ঘটনার কিছু পরে ঐ হামলাবাজরা আমাদের যাদবপুরের প্রবীন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের উপর হামলা চালায়। সন্ধ্যায় পোস্টার দেয়, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র ও মনোজিৎ মণ্ডলকে ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না।হুলিগানরা মনোজিৎ মন্ডলকে মারে।রাতে শিক্ষাবন্ধুর অফিস পুড়িয়ে দেয়, বিনয়দাকেও মারে। তার পরের দিন ঘটনা তো সবার জানা।
এই বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত কয়েক হাজার অধ্যাপক ও শিক্ষকরা মিছিলে সামিল হন।

পর্যবেক্ষণ একনজরে :
আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে ওয়েবকুপার সভাপতি তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যেভাবে অতি দ্রুত ওয়েবকুপার মরা গাঙে জোয়ার এনে দেন এবং তিনি আমাদের সাথে নিয়ে আলাপ আলোচনা, পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ৭৫ সদস্যের রাজ্য কমিটি গঠন,৩৫ টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট কমিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন তাতে মাওয়িস্ট হুলিগান, অতি রাম,অতি বাম এবং নকশালদের গাত্রদাহ হতে থাকে,এই কারণে যে ,যাদবপুরে মুষ্টিমেয় ৬০/৭০ জনের এই বজ্জাত ছাত্ররা নেশা ভাঙ, মস্তানি,জুলুমবাজি করতে পারবে না, তাছাড়া এই অধ্যাপকরা বিধানসভা নির্বাচনে গ্রাম শহরে সক্রিয় ও তৎপরতা দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে,এটাও তাদের হামলার একটি কারণ
এইজন্য ঐদিনের হামলাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ৪টি যথা:
১- শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে মাননীয়া দলনেত্রীর উন্নয়নকে ব্যহত করে রাজনীতির জলকে ঘুলিয়ে দিয়ে,সেই ঘোলা জলে মাছ ধরার পরিকল্পনা। সস্তা ভোটৈর রাজনীতির অপপ্রয়াস।
২) যাদবপুরে SFI,JUTA,AIDSO,RSF, নকশালদের একচ্ছত্র আধিপত্যে কেন ভাগ বসাবে ওয়েবকুপা এটাও ছিল উগ্র বামপন্থীদের একটি এজেন্ডা
৩) একজন নকশালপন্থী RSF ছাত্র ইন্দ্রানুজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নামে FRI করে তাকে কালিমালিপ্ত করে পক্ষান্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে
বিপাকে ফেলাও ছিল এদের উদ্দেশ্য।
৪)আর ছকবাজি বজ্জাতি ও গুণ্ডামির ব্লুপ্রিন্ট রচনা করেছে মহম্মদ সেলিম,ও তার সাকরেদ সুজন চক্রবর্তী, সৃঞ্জয়, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ,পলাশ দাস ও তার সাঙ্গপাঙ্গ,প্রমুখরা, এবং নিন্দনীয় পোস্টার লাগানোর কারিগর ও যে এরা তাও প্রমাণিত । চিকিৎসা কেন্দ্র গিয়ে ইন্দ্রানুজকে কু পরামর্শ দেওয়ার চিত্র, ফটোশপে ফেলে AI ব্যবহার করে গাড়ির তলায় তাকে প্রতিস্থাপন করার খবর গণশক্তির প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপার মত ভুয়ো খবর তো সোস্যাল মিডিয়ায়র মাধ্যমে বাঙালির ঘরে ঘরে ঘুরছে।শুন্য থেকে কলকে পাওয়ার রাজনীতি যে সুপার ফ্লপ তা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এখন বিরোধী দলগুলোর ব্যর্থতার হটকেক।

(মহীতোষ গায়েন, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ওয়েবকুপার রাজ্য সহ-সভাপতি)

01/02/2025

#কবিতা ক্যানিং থেকে কন্যাকুমারী
মহীতোষ গায়েন

অতিরিক্ত বিনয়ী হতে পারে ছেলে,নম্র,ভদ্র
কিন্তু শিষ্টাচারে ভুলে গেলে চলবে না
প্রয়োজনে প্রতিবাদে,মিছিলে তার কলম ও কণ্ঠ
ছুরি অথবা পিস্তলে কিম্বা বোমে পরিণত হতে পারে।

কিভাবে মানা যায় বলো বসন্তের কোকিল
একা বা দোকা বসবে শিমুল পলাশে,
অথচ যে ছিল গেল বারে কাক এখন সে কোকিল!
আর সব পাখি গাব গাছে ধ্যানে বসবে,তা কি হয়?

ক্যানিং থেকে কন্যাকুমারী এ চিত্র দেখছে ভূভারত,
লাল বক,নীল বক,সবুজ বক গেরুয়াধারী সন্ন্যাসী অথবা ইন্দুবালা,সব,সবাই;কে এলো গেলো
কে রাখে,কে ছাড়ে,কে ধরে ;যাক সব রসাতল,বিন্দাস।

ক্যানিং থেকে কন্যাকুমারী মানুষ কখনো কাঁদছে
কখনো হাসছে,স্টিমারের ভোঁ ভোঁ,কাঁচা বোমের আওয়াজ ও নাইন এম এম-এ হরিদাস পাল ছার, ধ্যানমগ্ন ঋষিও জেগে যাচ্ছে,প্রেম মেশে দ্রোহে।

তিরিশ বছর আগে বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের ক্যান্টিনে যে বলেছিলো,আমি তোকে দলে এনেছি আমার পিছনেই কাঠি? ছিঁড়ে নেব দাড়ি,লাথি মেরে ফেলে দেব ১৪তল নীচে,সে ফিরবে প্রয়োজন হলে, তোমাদের আশেপাশে।

ক্যানিং থেকে কন্যাকুমারী এ দৃশ্য বিদ্যমান,কখনো
অদৃশ্য কখনো দৃশ্যমান,রাখ তোর দলবাজি,রাখ তোর টুকরা - টুকরা গ্যাং,সব এক হয়ে যাবে পেটে যখন টান পড়বে,গরম আলুভাতের গন্ধে,শান্তিতেই বেঁচে থাকো।
---------------
নব ব্যারাকপুর, কলকাতা -১৩১
২/২/২৫ রাত ৪.১৫

দল ও সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত WBCUPA -র সহ সভাপতির অপর ক্রেডিট-Hyundai Venue high end model @ at least 10 lac. কিন্তু আছে শাল...
22/12/2024

দল ও সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত WBCUPA -র সহ সভাপতির অপর ক্রেডিট-Hyundai Venue high end model @ at least 10 lac. কিন্তু আছে শালীর নামে।

22/12/2024

অধ্যাপকের কীর্তি

আচ্ছা বলুন তো কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটা ঘর ভাড়া (তিনজনের একটি পরিবার থাকার মতো) কত হ’তে পারে? নিশ্চিত অনেকটা হবে।...
22/12/2024

আচ্ছা বলুন তো কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটা ঘর ভাড়া (তিনজনের একটি পরিবার থাকার মতো) কত হ’তে পারে? নিশ্চিত অনেকটা হবে। মধ্যবিত্তের জন্য তার ব্যয় বহন বেশ কষ্টসাধ্যই বটে! আচ্ছা সেই শহরে প্রাইম লোকেশনে একটি জায়গা কিনে (‘পুরোনো বাড়ি’ পড়ুন) একজন অধ্যাপক (নিদেনপক্ষে পাঁচ-ছ বছর চাকুরি করার পরই) পেল্লাই বাড়ি করলেন, যুগাবতার সেজে গাড়ি নিয়ে অহরহ ইতিউতি নিজস্ব ধান্দায় ঘুরলেন, দামি সোফায় বসে সৎ সাজলেন - এসব দেখে ঠিক কী করা উচিত বলুন তো? এই অধ্যাপকের অসততা প্রমাণ করতে সত্যিই কি আর রকেট সায়েন্স প্রয়োজন? কোনো যুক্তিতেই কি ওঁর বিপুল অনাচার কমে যায়? ওই পেল্লায় বাড়ির প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংগঠনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস লেগে রয়েছে! ওঁর প্রতিটি আপাত কৌশলী কথায় সংকীর্ণ ব্যক্তি স্বার্থের প্রকাশ আছে। ওঁর প্রতি পদক্ষেপে অ-অধ্যাপক সুলভ মহাজনী নেশা আছে। ওঁকে শুধু নয়, ওই ঘৃণ্য মানসিকতাকে দূরে সরিয়ে আসুন আমাদের উচ্চশিক্ষাকে আমরা আনন্দে সাজাই......🙏

12/12/2024

আজকের কবি ও কবিতা,উৎস মানুষ নিউজ, সাহিত্য
জমি //মহীতোষ গায়েন

জমি তৈরি করতে করতে ৪৩ বছর কেটেছে
ফসল ফলেছে সারহীন,অধিকারহীন,অর্থহীন
আজও তার আস্বাদন করতে পারিনি,ক্ষোভহীন
থেকেছি,কত গ্রীষ্ম,বর্ষা,শীত এসেছে,চলে গেছে।

এখনো দিশাহীন,উপযুক্ত মর্যাদাহীন কাটছে
দিন রাত্রি দিন;লড়াই আর লড়াই,শেষ নেই,
কখনো চাঁদের সাথে রাত কেটেছে নির্জনে
কখনো হেমন্তে ভেসেছে হৃদয় নিঃসৃত গান।

নিজেকে উজাড় করে বোঝাতে পারিনি
কিভাবে পেতে হয় ফল,কিভাবে আস্বাদন,
তবুও কাটছে বসন্ত,শুনছি পাকা ধানের গান;
আর কত এভাবে কাটবে ফলহীন জানি না।

দল,সংগঠন,দায়িত্ব,নিষ্ঠা অবিচল থেকেছে,
বয়ে গেছে শরীরের,সভ্যতার উপত্যকায় ঝড়;
মাথা নত করিনি,সুখের,সফলতার হাওয়া বয়ে
গেছে,জমি তৈরি আছে,অপেক্ষা আজও সতত।

শুধু দেখছি আর দেখছি দেখেই যাচ্ছি অবিরত
কি দেখছি,কাকে দেখছি,কাদের দেখছি অবিচল
কেন দেখছি বুঝতে পারছি না,বর্ণ,গন্ধ,রঙ পাল্টায়
পড়তে ও উঠতে দেখছি,দাবার চালও পাল্টাচ্ছে।

বয়স বাড়ছে লাউ ডগার মত বন উপবনের
অসুখ বাড়ছে পরিশুদ্ধ দেহ এবং মনের
চাপ বাড়ছে,কাজ বাড়ছে তাতে কি যায় আসে
পিছন থেকে ছুরি না মেরে এসো বিদ্বষহীন পাশে।

বাতাসে ভাসে পোড়া গন্ধ, মানুষ এবং সততার-
আকাশে উড়ছে যুদ্ধ-বিমান পোড়াবে ছারখার;
কি দরকার হম্বিতম্বি,আওয়াজ তোলো মার মার
ওসব কিছু মুছে দিয়েও ভবিতব্য পগারপার।

বকুল গাছের ফুল ফোটেনি কৃষ্ণচূড়ায় ফুল
শীতের রোদ গায়ে মাখছি দেখছি এলো চুল,
অনেক অনেক খেটে মরেছি ভস্মে ঢেলেছি ঘি
মানুষের জয় গান গেয়েছি তাতে মন্দ কিছু কি?
------------
সমাপ্ত
১২-১২-২০২৪
নিউ ব্যারাকপুর

আসামের করিমগঞ্জে দু'দিনের ঐতিহাসিক সার্ক সাহিত্য মহাসম্মেলনে সাহিত্য উৎকর্ষতার আলোকে বিশ্ব মানব ধর্ম প্রসারের আহ্বান :সর...
09/11/2024

আসামের করিমগঞ্জে দু'দিনের ঐতিহাসিক সার্ক সাহিত্য মহাসম্মেলনে সাহিত্য উৎকর্ষতার আলোকে বিশ্ব মানব ধর্ম প্রসারের আহ্বান :
সরোজ উপাধ্যায়,করিমগঞ্জ,আসাম

ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা করিমগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ শহরের বিপিন চন্দ্র পাল স্মৃতি মিলনায়তনে ২ ও ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো দু' দিন ব্যাপী ঐতিহাসিক সার্ক শীর্ষ সাহিত্য মহা সম্মেলন।এই সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনে অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, মণিপুর, বাংলাদেশ, মেঘালয়, দিল্লি, কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, নেপাল,ভূটান থেকে প্রায় চার শতাধিক কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সঙ্গীত শিল্পী, মানবাধিকার কর্মী, সমাজসেবী এই মহা সম্মেলনে অংশ নেন।মূল অনুষ্ঠানটি ছিল

৩ নভেম্বর,এদিন সকাল ১০টায় বিশ্ব মানবধর্ম বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান বরাকের মহারাজ খ্যাত বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক ড. নীহার রঞ্জন দেবনাথ ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির প্রধান ও সঞ্চালক। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর গীতা,
কোরান ও ত্রিপিটক পাঠ করেন যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য,নিউ জলপাইগুড়ির মওলনা শহিদুল ইসলাম ও আগরতলার সাহিত্যিক কৃপামোহন চাকমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মী পাঠক।সভায় বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ দাস, উদ্বোধক কবি হিমেন্দু দাস, মানবধর্ম বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান ড.নীহার রঞ্জন দেবনাথ প্রমুখ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের অধীন ট্রাস্টের দক্ষিণ এশিয়া কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট আনন্দ মহল সরকার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন "সার্ক শীর্ষ দেশগুলোর সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসারে ও বিকাশে মানব ধর্ম বিকশিত হয়,সেই প্রচেষ্টায় তিনি নিবেদিত প্রাণ,এর জন্য তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান যা যা করণীয় করবেন। প্রয়োজন বৃহত্তর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানব কল্যাণ সাধনে সচেষ্ট হবেন"।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ,লেখক, ইতিহাস ও সাহিত্য গবেষক কলকাতার সিটি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. মহীতোষ গায়েন। তিনি ঐতিহাসিক অশীন দাশগুপ্তের বক্তব্য তুলে ধরে 'ইতিহাস ও সাহিত্যের মধ্যে অঙ্গাঙ্গী মেলবন্ধনের ব্যাখ্যা করেন। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বরাক আগমনের বিষয়টি উত্থাপন করে বরাক উপত্যকার সামুদায়িক উন্নয়নের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার ও আসাম সরকারকে যৌথ ভাবে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার দাবি জানিয়ে বলেন, গৌহাটি থেকে করিমগঞ্জে পৌঁছানোর রাস্তা ভীষণ খারাপ,তার সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন," করিমগঞ্জের জনজীবনে যোগাযোগ মাধ্যম উৎকৃষ্ট হলে, সাহিত্য,সমাজ, সংস্কৃতি আরো সুসার ও উৎকর্ষিত হবে।এই প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলা আকাদেমি ও কেন্দ্রীয় সরকারের সাহিত্য একাডেমীকে করিমগঞ্জ সহ সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশীয় রাজ্যগুলির কবি সাহিত্যিকদের যথাযথ মূল্যায়ন ও সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসারে সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করে বলেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সমাজের দর্পণ,তা যদি মূল্যায়িত,বিকশিত ও উৎকর্ষিত হয় তবেই জাতি,ধর্ম, বর্ণ,দল, মত নির্বিশেষে সমাজ ও সভ্যতা উৎকর্ষিত ও বিকশিত হবে।"
এছাড়া অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শ্যামাপ্রসাদ দে,ইতিহাস গবেষক অধ্যাপক ড. সর্বজিৎ যশ, বঙ্গভূমি ও মঙ্গলদীপ সাহিত্য পত্রিকার যুগ্ম কর্ণধার ড. সহদেব দলুই ও ড. অর্ণব দত্ত, কবি তরুণ কান্তি মন্ডল, ইলিয়াস ঘরামী, লেখক মাধব ব্যানার্জি, দীপঙ্কর পোড়েল, পৌষালী দেবনাথ, সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক প্রদীপ পুরকায়স্থ, চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ,অনুরাধা অনু প্রমুখ ।অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশ থেকে আগত বহু কবি কবিতা পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ৩দশক ধরে ইতিহাস, সাহিত্য চর্চা ও সাংগঠনিক দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ ইতিহাস গবেষক,লেখক, সম্পাদক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মহীতোষ গায়েনকে "নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক" ও স্মারক প্রদান করেন মানবধর্ম বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান বরাকের মহারাজা উপাধিতে সম্মানিত ড. নীহার রঞ্জন দেবনাথ।ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপি পরিয়ে, উত্তরীয় গামছা দিয়ে বরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আনন্দ মহল সরকার। এছাড়া নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক পান অধ্যাপক ড. সর্বজিৎ যশ। অনুষ্ঠানে অতিথিদের অসমের ঐতিহ্যমন্ডিত গামছা,সরাই, ঝাঁপি, বিভিন্ন পদক প্রদান করা হয়। এছাড়া শহিদ কমলা ভট্টাচার্য, মায়ারাণী দেবী স্বর্ণপদক দেওয়া হয়- ড. সহদেব দলুই,ড.অর্ণব দত্ত, তরুণ কান্তি মন্ডল,মাধব ব্যানার্জি, দীপঙ্কর পোড়েল সহ ২০জন গুণীজনকে স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা ড. নীহার রঞ্জন দেবনাথের একটি কাব্যগ্রন্থ "মহারাজার কলমে- র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। চারটি দেশের প্রায় ৮১জন কবির কবিতা নিয়ে ড. নীহার রঞ্জন দেবনাথ এবং ড. সহদেব দলুই সম্পাদিত কবিতা সংকলন 'সপ্তর্ষি'-র মোড়ক উন্মোচিত হয়,এটির সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা কবি, সম্পাদক,অধ্যাপক ড. মহীতোষ গায়েন। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে দেশ ও বিদেশের শিল্পী, কবিদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের পরদিন চারটি দেশের কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নিয়ে বিশ্ব মানব ধর্ম বিকাশ পরিষদের কমিটি গড়া হয়।গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের অসম রাজ্য কমিটি,যার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন ড. নীহার রঞ্জন দেবনাথ, তিনি বলেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা,উৎকর্ষতা বৃদ্ধি, প্রচার,প্রসার এবং জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্য, শান্তি, সংহতি ও বিশ্ব মানবপ্রেম গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য"। অচিরেই এই দুই কমিটিতে বিভিন্ন রাজ্য ও দেশ থেকে কিছু খ্যাতনামা ও আদর্শবাদী, গুণীজনদের অন্তভূর্ক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

আজকের কবিতা ও কবি,উৎসমানুষ নিউজঅপ্রকাশিত //ছায়া হালদারচলতে চলতে আমি ক্লান্ত পথিকঅন্যায় অবিচারের শান্ত নদী,নাইবা রাখলে ...
06/11/2024

আজকের কবিতা ও কবি,উৎসমানুষ নিউজ
অপ্রকাশিত //ছায়া হালদার
চলতে চলতে আমি ক্লান্ত পথিক
অন্যায় অবিচারের শান্ত নদী,
নাইবা রাখলে মনে,তবুও থাকবে তুমি
আমার হৃদয় জুড়ে।
জানি তুমি চরিত্রহীন
তোমাকে হৃদয়ে রাখাটাও কঠিন,
তবুও যে আমি তোমাকেই ভাবি
একটি নিস্পাপ ফুল।
তোমাকে রেখেছি স্বপ্ন সায়নে
তোমাকে রেখেছি নয়নের মাঝে।
তুমি আছো আমার অনুভূতিতে,
তুমি আছো আমার কল্পনাতে।
তুমি থাকবে হয়ে আমার আকাশ সমান,
তুমি এসো আমার স্বপ্নদূত হয়ে।
তুমি আছো আমার
প্রতিটা বইয়ের পাতায়,
তুমি আছো আমার
ঘরের ওয়াল আর মনের খাতায়।
জানি তুমি থাকবেনা আমার বাস্তবে,
থাকবে শুধু আমার কল্পনার জগতে।
নাইবা পারলে থাকতে
আমার সীমাহীন ভালোবাসায়,
তবুও আমি রাখবো তোমায়,
আমার অপ্রকাশিত ভালোবাসা আর ঘৃণায়।

উৎস মানুষ নিউজ  # সাহিত্য ডেস্ক  # আজকের কবি ও কবিতা :উপহার//সহদেব দোলুই একটু থামুন,নয়তো সময় কম থাকলে,চলে যেতে পারেন, য...
03/11/2024

উৎস মানুষ নিউজ # সাহিত্য ডেস্ক # আজকের কবি ও কবিতা :
উপহার//সহদেব দোলুই

একটু থামুন,নয়তো সময় কম থাকলে,
চলে যেতে পারেন, যেত পারেন অনত্রে;
জানি চলে যেতে হবে আমাকেও,
এই পার্থিব জগতের মঞ্চ ছেড় ।

যেতে যেতে একটু থমকে গেলাম,
দূর হতে আসা,কোন এক পাহাড়িয়া গান,
হতে পারে প্রেমিক হারা বিরহের গান;
বহুদিন প্রেমিককে না পাওয়ার বেদনার গান।

দেহ মনে ঝর্ণা ধারা সাগরে মিশে যায়,
যৌবনের তাড়নায় রমণী ঝর্ণা ধারায় স্নাত হয়;
বাগানিয়া মনে শুধু বিরহের গান গায়,
না পাওয়ার বেদনায় শুধুই দিন গুজরায়।

দেখলাম,মনের আনন্দে প্রেমিক ফিরে আসে,
হাতে স্মৃতি পুরানো চুড়ি,আর নতুন পায়েল নিয়ে
পিছু হটে যায়,প্রেমিকা এখন অন্য জনের সঙ্গী,
অচেনা লোকটি ঘর বেঁধেছে মনের মানুষের লাগি।

কিছুটা যেতে মোহভঙ্গ হল,এ কেমনে হবে বাবু,
আপন মোর বেহেন তুমার লাগি জ্বলিছে বিহনে;
তুমার লাগি স্বযতনে রেখেছি সাচ্চা প্রেম-পারা
উপহার দিলেম তুলে,এখন আনন্দে মতোয়ারা।
-----------------------

গান্ধী জন্মজয়ন্তীতে হুগলির খানাকুলে বন্যাত্রাণে WBCUPA।http://dhunt.in/WTc73By সব খবর via Dailyhunt
03/10/2024

গান্ধী জন্মজয়ন্তীতে হুগলির খানাকুলে বন্যাত্রাণে WBCUPA।
http://dhunt.in/WTc73

By সব খবর via Dailyhunt

সুখময় মণ্ডল,খানাকুল,হুগলি:- ২ অক্টোবর, মহালয়ার পূণ্যলগ্নে,গান্ধী জয়ন্তীতে বন্যা ...

গান্ধী জন্মজয়ন্তীতে হুগলির খানাকুলে বন্যাত্রাণে WBCUPAরাজীব দত্ত,উৎস মানুষ নিউজ,খানাকুল,হুগলি ২ অক্টোবর, মহালয়ার পূণ্যল...
03/10/2024

গান্ধী জন্মজয়ন্তীতে হুগলির খানাকুলে বন্যাত্রাণে WBCUPA

রাজীব দত্ত,উৎস মানুষ নিউজ,খানাকুল,হুগলি

২ অক্টোবর, মহালয়ার পূণ্যলগ্নে,গান্ধী জয়ন্তীতে বন্যা কবলিত হুগলির খানাকুললের জগৎপুর এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক বন্যা কবলিতদের মধ্যে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমিতি WBCUPA. এই জনহিতকর কাজে নিজহাতে ত্রাণ বিতরণে ছিলেন WBCUPA রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল ও সহযোগী সম্পাদক অধ্যাপক মহীতোষ গায়েন, এছাড়া ছিলেন ওয়েবকুপার সদস্য অধ্যাপক দীপেন বিশ্বাস,অধ্যাপক হারাধণ মাইতি,অধ্যাপক রাহুল দেব বিশ্বাস ,অধ্যাপক সায়ন মুখার্জী, অধ্যাপক ইন্দজিৎ হালদার।এছাড়া ছিলেন খানাকুলের প্ৰাক্তন পঞ্চায়েত মেম্বার রমেশ দলুই,অনুপ আদক সহ এলাকাবাসী। WBCUPA -র রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক ব্রাত্য বসুর অনুপ্রেরণায় সংগঠনের কয়েকজন একনিষ্ঠ অধ্যাপক কলকাতা থেকে একটি ম্যাটাডোর ও একটি গাড়ি করে চিড়ে,গুড, মুড়ি,কেক,বিস্কুট,বেবীফুড, চকলেট প্রভৃতি সামগ্রী বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের হাতে তুলে দিয়ে যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ওয়েবকুপা তার জন্য বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর মনে যেমন খুশির হাওয়া বয়ে গেল তেমনি সা‌মাজিক দায়বদ্ধতার নজির সৃষ্টির জন্য তারা ও তাদের রাজ্য সভাপতিও যে গর্বিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Address

Calcutta Bara Bazar

Opening Hours

Monday 7am - 12pm
Tuesday 7am - 12pm
Wednesday 7am - 12pm
Thursday 7am - 12pm
Friday 7am - 12pm
Saturday 9am - 5pm
Sunday 12am - 12pm

Telephone

+917797551405

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Uthso Manush News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Uthso Manush News:

Share