Banglakal

Banglakal বাংলা আজ যা ভাবে, দুনিয়া ভাবে কাল। Fastest growing online news channel in Bengal. Online News Channel registered under West Bengal Govt regulations and MSME.

আন্ধ্রপ্রদেশে দলিত ছাত্রদের প্রতি বর্ণবিদ্বেষী গালাগালি—ইংরেজির শিক্ষককে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ল অভিভাবকরা !আন্ধ্রপ্রদেশের...
02/12/2025

আন্ধ্রপ্রদেশে দলিত ছাত্রদের প্রতি বর্ণবিদ্বেষী গালাগালি—ইংরেজির শিক্ষককে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ল অভিভাবকরা !

আন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার কাকিনাডায় এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে দলিত ছাত্রদের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষী অপমানসূচক মন্তব্য করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইয়ান্ডাপল্লি হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক শ্রীনুবাবু নিয়মিতভাবে দলিত ছাত্রদের হেয় ও অপমান করতেন বলে অভিযোগ পরিবারের।

“নোংরা জাতের লোক”—অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের

অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষক শ্রীনুবাবু ছাত্রদের উদ্দেশে বলতেন—
“তোমরা নোংরা জাতের… SC হলে কী হয়েছে, নিজেদের খুব বিশেষ কিছু ভাবো?”

পরিবারের দাবি, তিনি বারবার একই কয়েকজন দলিত ছাত্রকে লক্ষ্য করে অপমান করতেন এবং তাতে স্কুল প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি

প্রথমে অভিভাবকরা বিষয়টি জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ ভূষণকে। কিন্তু অভিযোগ—হেডমাস্টার কোনও ব্যবস্থা নেননি।
ছাত্রছাত্রীরাও জানায়—স্কুল প্রশাসন উদাসীন আচরণ করেছে।

এই প্রতিষ্ঠানগত উদাসীনতা এবং শিক্ষককে রক্ষা করার অভিযোগে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হন।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যে রাজনৈতিক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে—
“সরকার কি এখন স্কুলেও জাতপাত ঢোকাচ্ছে? এই ধরনের আচরণের দায় কে নেবে?”

পার্টি শিক্ষক শ্রীনুবাবুর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।

ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে এবং অভিভাবকদের দাবি—দলিত শিশুদের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যকারী শিক্ষককে অবিলম্বে বরখাস্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

শ্রমিক-বিরোধী নতুন শ্রম আইন ঘিরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, কড়া সমালোচনায় CPI—‘অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র’নত...
02/12/2025

শ্রমিক-বিরোধী নতুন শ্রম আইন ঘিরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, কড়া সমালোচনায় CPI—‘অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র’

নতুন শ্রম আইন বা লেবার কোড বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যখন তীব্র বিক্ষোভ চলছে, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর সরাসরি আক্রমণ শানাল CPI সাধারণ সম্পাদক ডি. রাজা। কেজিএফ-এ CPI-র শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি শ্রম কোডগুলোকে “শ্রমিকদের কঠোর সংগ্রামে পাওয়া অধিকারগুলির ওপর সরাসরি আঘাত” বলে দাবি করেন।

ডি. রাজা জানান, এই ইস্যু শীতকালীন অধিবেশনে জোরদারভাবে তুলবে CPI। তাঁর কথায়,
“ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে। সরকার শ্রমিক-বিরোধী আইন প্রত্যাহার না করলে CPI দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবে।”

ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) নিয়েও সতর্কবার্তা

ডি. রাজা SIR বা নির্বাচনী তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
“কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানাসহ বহু রাজ্যে মানুষের পক্ষে নথিপত্র জোগাড় করা কঠিন হয়ে উঠছে। ভোট দেওয়া মৌলিক অধিকার—এটাকে জটিল করা যায় না।”

EVM বনাম ব্যালট বিতর্কে CPI

বিহারে পুরনো ব্যালট ব্যবস্থায় ফেরার দাবি ওঠায় তিনি বলেন,
“EVM নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।”

কেন ক্ষুব্ধ শ্রমিক সমাজ?

কেন্দ্র ২৯টি শ্রম আইনকে একত্রিত করে চারটি শ্রম কোড তৈরি করেছে। সরকারের দাবি—নিয়মকানুন সহজ করা হবে।
কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ—

শ্রমিকের চাকরির নিরাপত্তা কমবে
নিয়োগকর্তা ও কর্পোরেটকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে
শ্রমিকের অধিকার হবে সীমিত

সবচেয়ে বিতর্কিত পরিবর্তন:
৩০০ জনের কম কর্মী থাকা সংস্থাগুলি সরকারকে না জানিয়েই ছাঁটাই করতে পারবে।
ইউনিয়নের দাবি—এটি “Hire and Fire-এর লাইসেন্স”।
ধর্মঘটেও কঠোর বিধিনিষেধ

নতুন নিয়মে—
ধর্মঘটের আগে ১৪ দিনের নোটিশ বাধ্যতামূলক
কর্মীদের অর্ধেক অনুপস্থিত থাকলেই সেটি ধর্মঘট বলে গণ্য
শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ—এতে আন্দোলনের অধিকার কার্যত অকার্যকর হয়ে যাবে।

বিদ্যুৎ কর্মীরাও পথে

বিদ্যুৎ বিতরণে বেসরকারিকরণের আশঙ্কায়
ইঞ্জিনিয়ার
বিদ্যুৎ কর্মী
লাইনম্যান
সবাই আন্দোলনে নেমেছেন। আশঙ্কা—চাকরি হারানো, মজুরি কমে যাওয়া, দায়বদ্ধতা কমে যাওয়া।

সরকারের সমর্থকদের যুক্তি

নিয়ম শিথিল হলে বিনিয়োগ বাড়বে
কোম্পানির নিয়োগের সুযোগ বাড়বে
PF নিয়মে পরিবর্তনে পেনশন সুবিধা বাড়বে
যদিও শ্রমিকরা বলছেন, এতে হাতে পাওয়া বেতন কমবে।

সাত রাজ্যে বিক্ষোভ, রাস্তায় লাখো শ্রমিক

কেরালা, ওডিশা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, বিহার ও অসম—বেশিরভাগ রাজ্যেই শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

শ্রমিকদের দাবি:

নতুন শ্রম কোড বাতিল
৩০০ কর্মীর ছাঁটাই নিয়ম প্রত্যাহার
বেসরকারিকরণ বন্ধ
ধর্মঘটের অধিকার পুনর্বহাল

এক শ্রমিক নেতা বলেন,
“এ লড়াই শুধু পেটের দায়িত্ব নয়—এ লড়াই ভারতের শ্রমজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ রক্ষার।”

বিয়ের শোভাযাত্রায় নোট কুড়োতে গিয়ে CISF কনস্টেবলের গুলিতে নিহত ১৪ বছরের মুসলিম কিশোর !পূর্ব দিল্লির শাহদরায় বিয়ের শোভাযা...
02/12/2025

বিয়ের শোভাযাত্রায় নোট কুড়োতে গিয়ে CISF কনস্টেবলের গুলিতে নিহত ১৪ বছরের মুসলিম কিশোর !

পূর্ব দিল্লির শাহদরায় বিয়ের শোভাযাত্রার মাঝেই মর্মান্তিক ঘটনা। পথেঘাটে ছড়ানো নকল নোট কুড়োতে গিয়ে এক ১৪ বছরের মুসলিম কিশোরকে মাথায় গুলি করে হত্যা করল CISF-এর এক হেড কনস্টেবল। নিহতের পরিবার বলছে—ছেলেটি পরিবারের অভাব ঘোচাতে কাজ করত, আর সামান্য হাসিখুশি মুহূর্ত দেখতে গিয়ে প্রাণ দিতে হল তাকে।

কীভাবে ঘটল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা?

শনিবার রাতে বিয়ের শোভাযাত্রায় কেউ নোট ছুড়তে শুরু করলে কিশোরটি নিচু হয়ে সেগুলো তুলছিল। ঠিক তখনই অভিযুক্ত CISF কনস্টেবল মদন গোপাল তিওয়ারি—যিনি কানপুরে কর্মরত ছিলেন—রেগে যান।

চোখের সামনে থাকা শিশুদের কথায়—
তিনি ছেলেটিকে বারবার চড়-থাপ্পড় মারেন

ছেলেটি জিজ্ঞেস করে—“কেন মারছেন?”
উত্তেজনায় তিওয়ারি পিস্তল বের করে মাথায় গুলি করেন
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ড. হেজেওয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার ভেঙে পড়েছে
নিহত কিশোরটি নট্ঠু কলোনির বস্তিতে থাকত। তার ভাই-বোনেরা জানায়—
বাবা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, কাজ করতে পারেন না । তাই স্কুল ছেড়ে ১১ ঘণ্টা ডিউটি দিয়ে মাসে মাত্র ₹৬,০০০ রোজগার করত ছেলেটি

মা নিশা বলেন,
“ও কাজ থেকে ফিরছিল… আনন্দের মুহূর্ত দেখে নোট তুলতে গেল… নোটগুলোও নকল ছিল। শুধু একটু সাহায্য করতে চাইত।”

অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

দিল্লি পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে একটি বিশেষ দল গঠন করে।
রবিবার সকালে ইটাওয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তিওয়ারিকে, উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত পিস্তলটিও।

ডিসিপি প্রশান্ত গৌতম বলেন,
“পোস্টমর্টেম হবে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে—আর কেউ জড়িত কিনা দেখা হচ্ছে।”
তদন্তকারীদের সন্দেহ—তিওয়ারির “রাগের সমস্যা” ছিল; তিনি নাকি বরপক্ষেরই আত্মীয়।

অভাব-অনটনে ভরা পরিবারের স্বপ্ন চূর্ণ

নিহত কিশোরের বাবা সিরাজউদ্দিন বলেন,
“ও স্কুল থেকে তুলে কাজে পাঠাতে হয়েছিল। বলত—পরিবারকে ভালো রাখতে চায়।”

ছেলেটি রেখে গেল তার তিন ভাই ও তিন বোনকে—যাদের একমাত্র স্বপ্ন ছিল একটু ভালোভাবে বাঁচা।

মধ্যবিত্তের এক বিয়ের আনন্দমুখর রাত এক পরিবারকে চিরদিনের জন্য অন্ধকারে ঠেলে দিল—এক কিশোরের নিষ্পাপ জীবন শেষ হয়ে গেল কেবল দুঃখী পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাওয়ায়।

আলিগড়ে বিয়ের আসরে ‘বিফ কারি’ লেখা ঘিরে তাণ্ডব, ভিডিও করা থেকে শুরু হট্টগোল — পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষমেশ শান্ত পরিস্থিতি ...
02/12/2025

আলিগড়ে বিয়ের আসরে ‘বিফ কারি’ লেখা ঘিরে তাণ্ডব, ভিডিও করা থেকে শুরু হট্টগোল — পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষমেশ শান্ত পরিস্থিতি

আলিগড়ের সিভিল লাইন্স এলাকায় রবিবার রাতে এক বিয়ের রিসেপশনে খাবারের কাউন্টারে লেখা একটি শব্দকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খাবারের টেবিলে ‘Beef Curry’ লেখা দেখে দুই অতিথি আপত্তি জানান এবং ভিডিও করা শুরু করলে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

উত্তরপ্রদেশে ‘বিফ’ শব্দটি প্রায়শই মহিষের মাংস বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও, গরুর মাংসও একই নামে উল্লেখ করা হয়—এই বিভ্রান্তিই মূল উত্তেজনার কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কীভাবে শুরু হল ঘটনা ?
অতিথি আকাশ ও গৌরব কুমার লেবেলটি দেখে সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও রেকর্ড করতে শুরু করেন। এ থেকেই শুরু হয় উত্তপ্ত বাকবিতন্ডা। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (FDA) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য।

আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশের অবস্থান
সার্কেল অফিসার সর্বম সিং জানান, ক্যাটারার সহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন,

“ফরেনসিক রিপোর্টে কোন ধরনের মাংস ছিল তা নিশ্চিত হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কোনও এফআইআর হয়নি।”

অভিযোগকারী গৌরব কুমার লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন—ক্যাটারার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ‘বিফ’ শব্দ ঘিরে ভুল বোঝাবুঝির জেরে আলিগড় অঞ্চলে এরকম উত্তেজনা মাঝে মাঝেই তৈরি হয়।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি কর্মীরা সিভিল লাইন্স থানায় জড়ো হয়ে কড়া শাস্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে, বিএসপি নেতা সালমান শহিদ থানায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের **“দাদাগিরি”**র অভিযোগ তুলে বলেন,

“পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি থেকে তৈরি হওয়া ঘটনা, কিন্তু বিজেপি কর্মীরা ব্যাখ্যা মানতে চাইছিল না।”

পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, একটি খাবারের লেবেলকে কেন্দ্র করে এমন উত্তেজনা আবারও প্রশ্ন তুলছে—উত্তরপ্রদেশে খাবার ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতার রাজনৈতিকীকরণ কতটা গভীর হয়েছে।

বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভে অচল সংসদ, নির্বাচনী তালিকা পুনর্বিবেচনা (SIR) ইস্যুতে বিতর্কে রাজি কেন্দ্র — তবে সময়সীমা নির্...
02/12/2025

বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভে অচল সংসদ, নির্বাচনী তালিকা পুনর্বিবেচনা (SIR) ইস্যুতে বিতর্কে রাজি কেন্দ্র — তবে সময়সীমা নির্দিষ্ট করতে নারাজ

সংসদে দ্বিতীয় দিনের মতোই অচলাবস্থা জারি থাকল বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা (Special Intensive Revision বা SIR) ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভে। ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলা ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবারও শীতকালীন অধিবেশনে হইচই পড়ে যায়।

দু’কক্ষেই স্লোগানবাজি ও বিক্ষোভের জেরে অধিবেশন দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বাধ্য হন চেয়ারম্যান ও স্পিকার। এদিন সকালেই সংসদের মকর দ্বারে ‘Stop SIR, Stop Vote Chori’ লেখা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান INDIA জোটের সাংসদরা। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্র ভোটার দমন ও ‘ভোট চুরি’র পথ খুলে দিয়েছে।

রাজ্যসভায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, সরকার নির্বাচনী সংস্কার ও SIR ইস্যুতে আলোচনায় রাজি, তবে বিরোধীরা যেন নির্দিষ্ট সময়সীমার শর্ত না আরোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “কংগ্রেস জনসমর্থন হারাচ্ছে, তাই এখন সংসদ অচল করার চেষ্টা করছে।”

লোকসভায় শূন্যকাল শেষে কার্যত অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায় যখন বিরোধীরা একযোগে স্লোগান তোলে — “Stop vote chori!” এই সময়ই টেবিল হয় বেশ কিছু সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ লোকসভায় উপস্থাপন করতে পারেন Central Excise (Amendment) Bill, 2025, যার মাধ্যমে তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক ও সেস বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে।

অচলাবস্থার মাঝে লোকসভার স্পিকার ও কিরেন রিজিজুর বৈঠকের পর অবশেষে সরকার বিরোধীদের দাবি মেনে আলোচনায় সম্মতি দেয়।

রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন,

“আমরা এই ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানাচ্ছি, কিন্তু চেয়ারম্যান সুযোগ দিচ্ছেন না, সরকারও রাজি নয়। এটা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।”

কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বাদ্রা বলেন,

“আমরা দূষণ, SIR এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানাচ্ছি, কিন্তু সরকার কোনো বিষয়েই আলোচনা করতে রাজি নয়। মানুষের ভোট কাটা হচ্ছে, ভোট চুরি হচ্ছে — অথচ তারা চায় আমরা চুপ থাকি! সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির, এখানে বিতর্ক হওয়াই উচিত।”

অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে. সি. বেণুগোপাল Sanchar Saathi অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে ইনস্টল করার সরকারি নির্দেশের সমালোচনা করে বলেন, “এটা নাগরিকের গোপনীয়তার ওপর আঘাত — সংবিধানের ওপর সরাসরি আক্রমণ।”

রাজ্যসভার কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার প্রমোদ তিওয়ারি বলেন,

“আমাদের বলা হয়েছিল সকাল ৯টার মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হবে, কিন্তু সরকার নীরব। ব্লো (BLO) কর্মীরা আত্মহত্যা করছেন — সরকার কি আবার কৃষক আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়?”

সংসদে বিরোধী ঐক্যের প্রতিবাদ এখন কেন্দ্রের জন্য বড় রাজনৈতিক চাপের কারণ হয়ে উঠেছে — এবং SIR ইস্যুতে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকারের “টাইমলাইন না ঠিক করার” অবস্থান এই অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

পশ্চিমবঙ্গে সিএএ–র মাধ্যমে বাংলাদেশি ১২ হিন্দু শরণার্থীর নাগরিকত্ব!বাংলাদেশে ধর্মীয় নির্যাতনের জেরে বহু বছর আগে ভারতে প...
01/12/2025

পশ্চিমবঙ্গে সিএএ–র মাধ্যমে বাংলাদেশি ১২ হিন্দু শরণার্থীর নাগরিকত্ব!

বাংলাদেশে ধর্মীয় নির্যাতনের জেরে বহু বছর আগে ভারতে পালিয়ে আসা ১২ হিন্দু শরণার্থী পরিবারকে অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার। পশ্চিমবঙ্গে তাদের হাতে নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেওয়া হয়েছে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (CAA)-এর বিধি অনুযায়ী। এতে বহু বছরের ভয়, আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটেছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থীরা।

নির্যাতন থেকে পালিয়ে, কাগজপত্রহীন জীবনে সংগ্রাম
পরিবারগুলির মতে, তাঁরা পূর্ববাংলা ছেড়েছিলেন হঠাৎ, গায়ের কাপড় ছাড়া কিছুই সঙ্গে নিতে পারেননি। ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তাঁদের বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে এসে তাঁদের আর্থিক অবস্থা ছিল শোচনীয়— নেই জমি, নেই নথি, নেই নাগরিকত্ব।
নাগরিকত্ব না থাকায় চাকরি, পাসপোর্ট, সরকারি পরিষেবা— কোনোটাই পাওয়া সম্ভব হয়নি। ১৯৭১-এর আগের নথি চাইলে তারা দিতে পারতেন না; এতে আতঙ্ক আরও বেড়েছিল। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে বছরের পর বছর আটকে ছিল তাদের নাগরিকত্বের দাবি।

সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বদলে যায় পরিস্থিতি
কেন্দ্র সরকার সিএএ-এর নিয়ম জারি করার পর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়। বিজেপি পরিচালিত হেল্পডেস্ক ও ক্যাম্পে হাজারো শরণার্থী ফর্ম পূরণ করেন। নাদিয়া, কোচবিহারসহ সীমান্ত জেলাগুলিতে ব্যাপক সাড়া মেলে। বহু মাতুয়া পরিবার জানায়— দশকের পর দশক ‘অবৈধ’ আতঙ্কে থাকার পর এবার নিরাপত্তা অনুভব করছেন তাঁরা।

রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে বড় সিদ্ধান্ত
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি যখন সংবেদনশীল অবস্থায়, তখনই এ নাগরিকত্ব বিতরণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে মাতুয়াদের সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন— “প্রয়োজনে গোটা দেশ কাঁপিয়ে দেব।”
অন্যদিকে বিজেপির দাবি— বছরের পর বছর রাজনৈতিক কারণে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছিল রাজ্য সরকার। বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “দীর্ঘ সংগ্রামের পর ন্যায়বিচার মিলল। সিএএ নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের রক্ষা করছে, আর অন্য দলগুলি বেআইনি অনুপ্রবেশকে বাড়িয়ে রাজনীতি করছে।”

শরণার্থীদের চোখে ‘নতুন জীবন’
নাগরিকত্ব সনদ হাতে পেয়ে শরণার্থীদের অনুভূতি—
এবার তারা পরিকল্পনা করে চাকরি, বাড়ি নির্মাণ, সন্তানদের পড়াশোনা— সব করতে পারবেন নির্ভয়ে। বহু দশক ধরে “দেশছাড়া” আতঙ্কে থাকা পরিবারের সদস্যরা বলছেন— “অবশেষে মনে হচ্ছে আমরা সত্যিই ভারতের নাগরিক।”

একজন নতুন নাগরিক বলেন, “বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা সংখ্যালঘুরা কত ভয় নিয়ে থাকে, তা আমরা জানি। স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া, পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি— এসব ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এখন সিএএ-র নাগরিকত্ব পেয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই।”

পশ্চিমবঙ্গে সিএএ বাস্তবায়নের এই ঘটনা কেন্দ্র–রাজ্যের রাজনৈতিক সম্পর্ক, ভোট–সমীকরণ এবং শরণার্থীদের জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বাবরি ধ্বংস ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে পালনের নির্দেশ প্রত্যাহার করল রাজস্থান সরকার, বিতর্কে চাপে ইউ-টার্ন রাজস্থান সরকার বাবরি...
01/12/2025

বাবরি ধ্বংস ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে পালনের নির্দেশ প্রত্যাহার করল রাজস্থান সরকার, বিতর্কে চাপে ইউ-টার্ন

রাজস্থান সরকার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন— ৬ ডিসেম্বর— ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে পালনের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল। সরকার জানিয়েছে, আগের সার্কুলারটি ছিল “বিভ্রান্তিকর” ও “ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি করেছে”।

বিতর্কিত সার্কুলার: স্কুলে রাম মন্দির-কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক
৩০ নভেম্বর জারি হওয়া নির্দেশিকায় সব সরকারি দফতর ও বেসরকারি স্কুলকে বক্তৃতা, প্রবন্ধ, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলা হয়েছিল।
বিষয় ছিল— “ভারতের মন্দির সংস্কৃতির গৌরব”, “রাম আন্দোলন”, “ত্যাগ ও বীরত্বের ঐতিহ্য”।
রাম মন্দির নিয়ে প্রদর্শনী, দেশাত্মবোধক গান, স্কিট, যোগা, এমনকি রাম–স্থবক পাঠ— সবই রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ছাত্রদের ‘জাতীয় গৌরব রক্ষা’র শপথ নেওয়ার কথাও বলা হয়।

মন্ত্রী মদন দিলাওয়ারের মন্তব্যে উত্তপ্ত বিতর্ক
শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার এনডিটিভিকে বলেন— “এটা ধ্বংস নয়, সাহসিকতার কাজ… ৩ লাখ মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। করসেবকরা গুলি খেয়েছেন। ৬ ডিসেম্বর করসেবকরা যে কাঠামো ভেঙেছিলেন, তা বীরত্বেরই পরিচয়।”
এই বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক আরও বেড়ে যায়।

হঠাৎই নির্দেশ প্রত্যাহার
বিতর্ক বাড়তেই সরকার ঘোষণা করে— সার্কুলারটি নাকি “স্পষ্টতা ছাড়া” মাধ্যমিক শিক্ষার পরিচালক জারি করেছিলেন। পরে মন্ত্রীর অফিস জানায়— “শিশুদের পরীক্ষা রয়েছে, তাই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।”

রাজনৈতিক চাপই কি আসল কারণ?
সূত্রের দাবি— আসন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভার নির্বাচনকে মাথায় রেখে অনর্থক বিতর্ক এড়াতে ইউ-টার্ন নিয়েছে বিজেপি সরকার।

কংগ্রেসের তীব্র আক্রমণ
কংগ্রেস মুখপাত্র প্রতাপ সিং কছাড়িয়াওয়াস বলেন—
“শিক্ষা দফতর নিজেদের মন্ত্রীকেই হাস্যকর অবস্থায় ফেলছে। বিজেপি সরকার আবারও ইউ-টার্ন নিল উচ্চ কমান্ডের বকুনি খেয়ে।”

রাজস্থানে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার রাজনৈতিক অস্বস্তি, ইতিহাস বিকৃতি ও নির্বাচনী কৌশল— সবকিছুকেই ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

নিরাপত্তার অজুহাত? সীমান্তবর্তী পুনছ–রাজৌরিতে দুই মাসের জন্য ভিপিএন পরিষেবা স্থগিত করল J&K প্রশাসনজম্মু–কাশ্মীরের সংবেদন...
01/12/2025

নিরাপত্তার অজুহাত? সীমান্তবর্তী পুনছ–রাজৌরিতে দুই মাসের জন্য ভিপিএন পরিষেবা স্থগিত করল J&K প্রশাসন

জম্মু–কাশ্মীরের সংবেদনশীল সীমান্ত জেলা পুনছ ও রাজৌরিতে পরবর্তী দুই মাসের জন্য সব ভিপিএন পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার দুই জেলার ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক জনসাধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

পুনছ ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার শর্মা জানান, ভারতীয় নাগরিক নিরাপত্তা সনহিতা (BNSS)-এর ধারা ১৬৩ অনুযায়ী এ নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

কেন ভিপিএন নিষিদ্ধ?
জেলার এসএসপি জানান, গত কয়েক দিনে পুনছের বিভিন্ন এলাকায় অস্বাভাবিক হারে ভিপিএন ব্যবহারের বৃদ্ধি নজরে এসেছে, যার পেছনে “সন্দেহজনক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর” ভূমিকা থাকতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনকে জানায়— ভিপিএন ডেটা এনক্রিপ্ট করে, ব্যবহারকারীর IP লুকিয়ে ফেলে, ফায়ারওয়াল বা ওয়েবসাইট ব্লকেজ এড়িয়ে যায়, ফলে অনলাইন কার্যকলাপ ট্র্যাক করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ে এবং “শত্রুপক্ষ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ভিপিএন ব্যবহার করতে পারে”— এমন আশঙ্কার কথাও জানানো হয়।

সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
প্রশাসনের দাবি, সীমান্তবর্তী পুনছ ও রাজৌরির আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে— সংবেদনশীল পরিস্থিতি সামলাতে এ পদক্ষেপ প্রয়োজন।

কিন্তু ইন্টারনেট স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নও বাড়ছে— নিরাপত্তার নামে আবারও কি কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত হল?

ওড়িশায় মন্দির অনুদান ৫০% বৃদ্ধি— মোহন মজিহি সরকারের বড় ঘোষণা !ওড়িশা সরকার রাজ্যের মন্দিরগুলোর জন্য অনুদান ৫ কোটি থেক...
01/12/2025

ওড়িশায় মন্দির অনুদান ৫০% বৃদ্ধি— মোহন মজিহি সরকারের বড় ঘোষণা !

ওড়িশা সরকার রাজ্যের মন্দিরগুলোর জন্য অনুদান ৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ কোটি টাকা করল। বিধানসভায় লিখিত জবাবে আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানান, রাজ্যে এন্ডাউমেন্ট কমিশনের আওতায় ১৮ হাজারের বেশি মন্দির রয়েছে, যার মধ্যে ৪,১৪৫টি মন্দির বর্তমানে সরকারি গ্রান্ট পায়।

গত পাঁচ বছরে এসব মন্দির বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, উৎসব, বিদ্যুৎ ও জরুরি খরচ বাবদ মোট ২৬.৫ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে। বাড়তি বরাদ্দে মন্দিরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও দৈনিক রীতিনীতির ব্যয় মেটাতে সুবিধা হবে বলে দাবি সরকারের।

বিজেপি সরকারের মন্দিরকেন্দ্রিক উদ্যোগ
ওড়িশায় বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই মন্দির-সংক্রান্ত বিষয় বড় গুরুত্ব পেতে শুরু করে। ক্ষমতায় এসেই পুরী শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়— যা ছিল বহুদিনের দাবি। বহু দশক পর রত্নভাণ্ডার খুলে পরিদর্শনের সিদ্ধান্তও নেয় সরকার।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে শক্তিশালী রাখতেই মন্দির উন্নয়নকে প্রাধান্য দিচ্ছে বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মজিহি সম্প্রতি ঘটগাঁও তরিণী সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরে গিয়ে উন্নয়ন–সৌন্দর্যায়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

ওড়িশার মন্দির পরিচালনায় সরকারের এই বাড়তি বরাদ্দ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক— দুই ক্ষেত্রেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

প্রেমিককে খুন করল পরিবার, মৃতদেহকেই বিয়ে করলেন প্রেমিকা— নান্দেডে মহারাষ্ট্রের নান্দেডে ঘটে গেল হৃদয়বিদারক অনার কিলিং।...
01/12/2025

প্রেমিককে খুন করল পরিবার, মৃতদেহকেই বিয়ে করলেন প্রেমিকা— নান্দেডে

মহারাষ্ট্রের নান্দেডে ঘটে গেল হৃদয়বিদারক অনার কিলিং। ভিন্ন জাতের প্রেমিককে বাঁচাতে না পেরে, তাঁর মৃতদেহকেই বিয়ে করলেন ২১ বছরের আঞ্চল মামিডওয়ার। প্রেমিক ২০ বছরের সক্ষম টাটে–কে নির্মমভাবে পিটিয়ে, গুলি করে ও মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে আঞ্চলের নিজের পরিবারই— বাবা ও দুই ভাই।

প্রায় তিন বছর ধরে আঞ্চল-সক্ষমের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারে আপত্তি ছিল। চাপ, হুমকি, নিরন্তর বিরোধ— কিছুই তাদের ভালোবাসা থামাতে পারেনি। দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে আঞ্চলের পরিবার।

কি ঘটেছিল সেই রাতে?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নান্দেডের পুরনো গঞ্জ এলাকায় আঞ্চলের বাবা গজনন মামিডওয়ার ও ভাই হিমেশ-সহিল সক্ষমের উপর চড়াও হয়। তদন্ত অনুযায়ী, হিমেশ প্রথমে সক্ষমের পাঁজরে গুলি করে এবং পরে পাথর বা টাইল দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সক্ষমের। উল্লেখ্য, সক্ষম ও হিমেশ এক সময়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল এবং দু’জনেরই পুরনো অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে।

মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে বিয়ে
পরের দিন শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছিল। সেখানে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন আঞ্চল। প্রেমিকের দেহে হলুদ মাখিয়ে, কপালে সিঁদুর পরে জানান— “আমি আজীবন এই বাড়িতেই থাকব। আমাদের ভালোবাসা জিতেছে, আমার বাবা-ভাই হেরেছে।”

সেই দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আঞ্চল দাবি করেছেন— এটি “ঠান্ডা মাথায় খুন”, এবং বাবা-ভাইদের জন্য মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন তিনি।

গ্রেফতার ৩ জন
ঘটনায় মোট ৬ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে আঞ্চলের বাবা গজনন ও ভাই হিমেশ-সহিলকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে।

এই নির্মম অনার কিলিং আবারও সামনে তুলে ধরল— ভালোবাসার স্বাধীনতা আজও কতটা বিপন্ন।

30/11/2025

মহেশপুর ডাক্তার জাকির হোসেন স্মৃতি সংঘের মাঠে ৬লক্ষ টাকার মেগা ফুটবল ধামাকার শুভ উদ্বোধন আগামী ২২শে ডিসেম্বর। কি জানাচ্ছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ শুনুন সরাসরি মহেশপুর, চন্দ্রকোনা, পশ্চিম মেদিনীপুর

সংবিধান সুরক্ষিত না হলে কোনো কিছুই সর্বোচ্চ নয়": কেন্দ্র সরকার ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মাহমুদ মাদানীর তোপ !জমিয়ত উলেমা...
30/11/2025

সংবিধান সুরক্ষিত না হলে কোনো কিছুই সর্বোচ্চ নয়": কেন্দ্র সরকার ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মাহমুদ মাদানীর তোপ !

জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ-এর সভাপতি মাহমুদ মাদানী কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সরকার এবং বিচার বিভাগ উভয়ই সক্রিয়ভাবে সংখ্যালঘুদের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করছে।

মাদানী যুক্তি দেন যে বাবরি মসজিদ বিতর্ক এবং তিন তালাকের রায় সহ সাম্প্রতিক আদালতের একাধিক রায় এমন একটি বিচার বিভাগীয় পরিস্থিতি প্রতিফলিত করে যা "সরকারি চাপে কাজ করছে।"

তাঁর মতে, গত কয়েক বছরে "এই ধরনের বহু সিদ্ধান্ত" "সংবিধানে সংখ্যালঘুদের জন্য নিশ্চিত করা অধিকারকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করেছে," এবং এগুলি একসঙ্গে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা নির্দেশ করে।

তিনি ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন (Places of Worship Act) থাকা সত্ত্বেও চলমান মামলাগুলির দিকে ইঙ্গিত করে এই ঘটনাগুলিকে সাংবিধানিক পথ থেকে সরে যাওয়ার লক্ষণ বলে বর্ণনা করেন।

মাদানী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট ততক্ষণই 'সুপ্রিম' নামে অভিহিত হওয়ার অধিকারী, যতক্ষণ সেখানে সংবিধান সুরক্ষিত থাকে। যদি তা না হয়, তবে এর কোনো অংশই সুপ্রিম বা সর্বোচ্চ নামে অভিহিত হওয়ার যোগ্য নয়।”

তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, "এ দেশের মুসলমানরা সংবিধানের প্রতি আনুগত্য দেখায়," এবং মানুষের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব সরাসরি সরকারের ওপর বর্তায়। তিনি বলেন, “যদি সরকার এটা না করে, তাহলে তার জন্য সরকারই দায়ী।”

'জিহাদ' শব্দের অপব্যবহার:
মাদানী জনসমক্ষে 'জিহাদ' শব্দটি যেভাবে বিকৃত করা হয়েছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেন।

তিনি সরকার এবং মিডিয়া উভয়কেই একটি পবিত্র ধর্মীয় ধারণাকে বিকৃত করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি "লাভ জিহাদ," "থুতু জিহাদ (Spit Jihad)," এবং "ল্যান্ড জিহাদ"-এর মতো শব্দগুলিকে সমালোচনা করে যুক্তি দেন যে এই ধরনের লেবেলগুলি জিহাদ কী বোঝায়, তা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "জিহাদ ছিল এবং চিরকাল পবিত্র থাকবে," এবং ধর্মীয় শাস্ত্রে জিহাদের কথা বলা হয়েছে কেবল "অন্যদের ভালো এবং উন্নতির জন্য।"

তাঁর বক্তব্য পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, "যদি নিপীড়ন থাকে, তবে জিহাদ থাকবে।"

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Banglakal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Banglakal:

Share