ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য

  • Home
  • ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য

ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য ইসলামী ইতিহাস,সাহিত্য ও সংস্কৃতি,জ্ঞান-বিজ্ঞান।

কোরবানির আড়ালে থাকা ভারতের এক অবিশ্বাস্য অর্থনীতি:দিল্লি, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, বেঙ্গালুরু কিংবা লক্ষ্ণৌ – কোরবান...
07/06/2025

কোরবানির আড়ালে থাকা ভারতের এক অবিশ্বাস্য অর্থনীতি:

দিল্লি, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, বেঙ্গালুরু কিংবা লক্ষ্ণৌ – কোরবানির ঈদ এলেই এসব শহরের পশুর হাটে নামে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু শুধু পশু কেনাবেচা নয়, ঈদুল আযহার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিশাল অর্থনৈতিক চক্র, যা অনেকেই কল্পনাও করেন না।

🐄 পশু কেনাবেচা ও নগদ লেনদেন

ভারতে প্রতি বছর কোরবানির সময় প্রায় ১.৫ কোটি গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু কোরবানি হয় (আনুমানিক)।
গড়ে যদি একটি পশুর দাম হয় ₹২০,০০০ – ₹৪০,০০০ টাকা, তাহলে শুধু পশু কেনাবেচায় প্রায় ₹৩০,০০০ কোটি টাকার লেনদেন হয় মাত্র ৭–১০ দিনে!

এই অর্থের প্রায় ৯০%-ই লেনদেন হয় সম্পূর্ণ হাতে হাতে, নগদে – কোনো ব্যাংক, ডিজিটাল পেমেন্ট নয়।
এই লেনদেনের অংশীদার বেশিরভাগই হন গ্রামীণ ও নিম্নবিত্ত মানুষ – যারা পশু বিক্রি করে বছরের বড় আয়ের মুখ দেখেন।

🔪 দেশীয় অস্ত্রের বাজার

একটি গরু কোরবানি ও মাংস কাটতে দরকার হয় ৫–৭টি ছুরি বা ধারালো অস্ত্র।
হায়দ্রাবাদের পুরানা শহর, কলকাতার শ্যামবাজার, দিল্লির সীলমপুর, মুম্বাইয়ের দাদর অঞ্চলে ঈদের আগে ছুরি, চাপাতি, দা, কুড়াল বিক্রির বেচাকেনা হয় প্রতি দোকানে দিনে ₹৫০,০০০–₹১ লক্ষ পর্যন্ত।

ভারতজুড়ে হাজার হাজার ক্ষুদ্র দোকানি ঈদের সময়ে ব্যবসা করে প্রায় ₹৫০০–৭০০ কোটি টাকার বেশি।

🧂 চামড়া, লবণ ও সংরক্ষণ শিল্প

২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ঈদুল আযহায় প্রায় ১ কোটির বেশি চামড়া সংগ্রহ হয় কোরবানির পশু থেকে।

গড়ে এক একটি গরুর চামড়া বিক্রি হয় ₹৫০০–₹৮০০ টাকায়।
ছাগল ও ভেড়ার চামড়া বিক্রি হয় ₹৫০–₹১০০ টাকা দরে।
সব মিলিয়ে চামড়া থেকে লেনদেন হয় প্রায় ₹৭০০–১,০০০ কোটি টাকা।

এই চামড়াগুলো পরবর্তী সময়ে ভারতের ট্যানারি শিল্পে রূপান্তরিত হয়ে জুতা, ব্যাগ ও লেদার গুডস হিসেবে রপ্তানি হয় বিদেশে।

লোনাভলা, কানপুর, চেন্নাই, অগ্রা – এসব অঞ্চলের লেদার ইন্ডাস্ট্রি ঈদের চামড়ার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।

🧅 মসলা ও কাঁচা বাজারের উত্থান

কোরবানির ঈদ মানেই মাংস রান্না।
এই সময়েই সবচেয়ে বেশি চাহিদা বাড়ে –পেঁয়াজ,আদা,রসুন,দারুচিনি,এলাচ,লবঙ্গ,মরিচ,তেল।

ভারত সরকার ও বিভিন্ন ট্রেড রিপোর্ট অনুসারে, ঈদের সময়ে শুধু মসলা ও কাঁচা বাজারেই লেনদেন হয় প্রায় ₹১০,০০০ কোটি টাকার বেশি।

🧊 ফ্রিজ ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রি

ভারতে বছরে গড়ে ৭০–৮০ লক্ষ ফ্রিজ বিক্রি হয়। তার মধ্যে অন্তত ২০–২৫% বিক্রি হয় কোরবানির ঈদের আগে ও পরে।

গড়ে যদি এক একটি ফ্রিজের দাম হয় ₹১৫,০০০–₹২০,০০০ টাকা, তবে ঈদের সময় ফ্রিজ বিক্রি হয় ₹৩,০০০–₹৫,০০০ কোটি টাকার বেশি।

🐂 পশু পরিবহন, বাঁশ-খুঁটি, খামার খরচ, টোল ও লোকবল
এই সময় পশু পরিবহনের জন্য ট্রাক, পিকআপ, টেম্পো ভাড়া বাড়ে দ্বিগুণ। বাঁশ ও খুঁটির দাম বেড়ে যায় ৩–৪ গুণ।
পশু রাখার সাময়িক খাঁচা, দড়ি, খাদ্য ইত্যাদি নিয়ে গড়ে ওঠে অস্থায়ী বাজার – যেখানে লেনদেন হয় আরও ₹২,০০০–৩,০০০ কোটি।

নিম্নবিত্তের হাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা!
এই পুরো অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রায় ৭০–৮০% লেনদেন হয়ে থাকে এমন সব মানুষের সঙ্গে যারা মূলত গ্রামীণ কৃষক, খামার মালিক, পশু ব্যবসায়ী, শ্রমিক, ছুরি বিক্রেতা, বাঁশ ব্যবসায়ী, কাঁচা বাজারের হকার ও ফুটপাথ ব্যবসায়ী।

অর্থাৎ এই এক ঈদ ঘিরেই লক্ষ লক্ষ নিম্নবিত্ত মানুষের ঘরে সারা বছরের মূল আয় চলে আসে।

---

শেষ কথা:
ঈদের কোরবানি শুধু ধর্মীয় ত্যাগ নয় – এটি ভারতের অর্থনীতির এক অপ্রকাশিত অথচ জোরালো অংশ।
এটি একইসাথে ‍দারিদ্র বিমোচন, অর্থ প্রবাহ ও কর্মসংস্থানের এক অনন্য চক্র, যা বছরে একবার হলেও দেশের সর্বস্তরের মানুষের জীবন বদলে দেয়।

আপনি কি এই “অদৃশ্য ইকোনমি”টা আগে কখনও এভাবে ভেবেছিলেন?

মুনাফিক: ইসলামের ছদ্মবেশী শত্রু ও সমাজের গোপন অন্তর্ঘাত :-ইসলামী ইতিহাস ও চিন্তাধারায় মুনাফিক একটি ভয়াবহ ও স্পর্শকাতর বি...
13/05/2025

মুনাফিক: ইসলামের ছদ্মবেশী শত্রু ও সমাজের গোপন অন্তর্ঘাত :-

ইসলামী ইতিহাস ও চিন্তাধারায় মুনাফিক একটি ভয়াবহ ও স্পর্শকাতর বিষয়। এই শ্রেণির লোকেরা ইসলামি সমাজের অভ্যন্তরে বসবাস করলেও কার্যত তারা ইসলামের ক্ষতি করে যায় অন্তরালে। মুনাফিক শব্দটি এসেছে ‘نفاق’ ধাতু থেকে, যার অর্থ হলো দ্বিমুখিতা, বাহ্যিকভাবে কিছু প্রকাশ করা, আর ভেতরে তার বিপরীত ধারণ করা। ইসলামি পরিভাষায়, মুনাফিক হল সেই ব্যক্তি, যে মুখে ইসলাম কবুল করে অথচ অন্তরে কুফর লুকিয়ে রাখে। এই শ্রেণির লোকেরা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলে, মসজিদে যায়, ইবাদত করে, মুসলিম সমাজে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তাদের হৃদয়ে ইসলামের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই। বরং সুযোগ পেলেই ইসলামি নেতৃত্ব, ঐক্য ও শরিয়াহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ইসলামের ইতিহাসে এই শ্রেণির লোকদের কারণে বহুবার মুসলিম সমাজ হুমকির মুখে পড়েছে।

কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে মুনাফিকদের ভয়াবহতা ও লক্ষণসমূহ :-
মুনাফিকদের ভয়াবহতা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকগণ জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে” (সূরা নিসা: ১৪৫)। এটি কুরআনের সবচেয়ে কঠিন সাবধানবাণীগুলোর একটি, যা প্রমাণ করে যে, মুনাফিকদের অবস্থান সাধারণ কাফেরদের চেয়েও ভয়াবহ। কারণ একজন প্রকাশ্য কাফের ইসলামের বিরোধিতা প্রকাশ্যে করে, তাকে প্রতিহত করা সহজ; কিন্তু মুনাফিক ছদ্মবেশী, সে মুসলমানের বেশ ধরে ইসলামের ভিতরে ঢুকে ইসলামকে ভেঙে দিতে চায়। রাসূলুল্লাহ (সা.)-ও মুনাফিকদের বিষয়ে অসংখ্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। এক হাদীসে তিনি বলেন:
“মুনাফিকের তিনটি নিদর্শন রয়েছে: কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, এবং আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে” (বুখারী ও মুসলিম)।
অন্য হাদীসে আরও আছে, যখন ঝগড়ায় জড়ায়, তখন সীমা লঙ্ঘন করে; আর নিজেদের মুসলমান পরিচয়কে ব্যবহার করে ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য মিলে একজন মুনাফিকের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে।

আকীদা ও আমল, উভয় দিক থেকেই মুনাফিকদের শ্রেণিবিন্যাস এবং তাদের সমাজে প্রভাব :-
মুনাফিকদের সাধারণভাবে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো আকীদাগত মুনাফিক, যারা অন্তরে কুফর পোষণ করে অথচ মুখে ইসলাম গ্রহণ করে। এরা প্রকৃত অর্থে কাফের এবং আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত শ্রেণি। দ্বিতীয়টি হলো আমলগত মুনাফিক, যারা বিশ্বাসে মুসলমান হলেও আচরণে মুনাফিকদের মতো কাজ করে, যেমন: কথা দিয়ে না রাখা, মিথ্যা বলা, বিশ্বাসঘাতকতা করা ইত্যাদি। এদের ঈমান দুর্বল, এবং তারা চরম পাপের মধ্যে রয়েছে। উভয় শ্রেণির মুনাফিকই ইসলামী সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এদের কারণে মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি দেখা দেয়, নেতৃত্বে দুর্বলতা আসে, ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এবং শত্রুরা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পায়।

ইতিহাসে এর বহু উদাহরণ পাওয়া যায়। ওহুদের যুদ্ধে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই-এর নেতৃত্বে ৩০০ মুনাফিক মুসলিম বাহিনী ত্যাগ করে যুদ্ধের মাঝপথে ফিরে যায়। এটি ছিল ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষে বড় আঘাত। একই ব্যক্তি হযরত আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে অপবাদ রটানোর পেছনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এমনকি যখন মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তারা আলাদা একটি “মসজিদে জিরার” নির্মাণ করে, যার উদ্দেশ্য ছিল রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধ শক্তিকে সংগঠিত করা।

মুনাফিকদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ধরন এবং তাদের বর্তমান রূপ :-
মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র কখনো বাহ্যিকভাবে বোঝা যায় না। তারা ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেয়, মাঝে মাঝে দান করে, এমনকি দোআ ও ইবাদতে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু বাস্তবে তারা ইসলামকে একধরনের বাধা ও পশ্চাৎপদতা মনে করে। তারা ইসলামী আইনকে অমানবিক, শরিয়াহকে অচল, জিহাদকে সন্ত্রাসবাদ, এবং খিলাফতকে কর্তৃত্ববাদ হিসেবে উপস্থাপন করে। বর্তমান যুগে এদের দেখা যায় বিভিন্ন মিডিয়া, এনজিও, শিক্ষাব্যবস্থা এমনকি রাজনৈতিক অঙ্গনে, যেখানে তারা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলামের মূলনীতিকে দুর্বল করতে চায়।

এদের মুখোশ হয়তো সমাজে গ্রহণযোগ্য, কিন্তু চিন্তা ও মতাদর্শ পশ্চিমা দাসত্ব ও ইসলাম-বিদ্বেষী দর্শনের অনুসারী। তারা সমাজে ফিতনা সৃষ্টি করে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সমঅধিকার ইত্যাদির নামে শরিয়াহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তাই মুসলমানদের উচিত এই শ্রেণির লোকদের চিনে রাখা এবং তাদের প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করা।

মুনাফিক থেকে আত্মরক্ষা ও আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা :-
একজন প্রকৃত মুমিনের দায়িত্ব হলো, নিজে মুনাফিকি বৈশিষ্ট্য থেকে বেঁচে থাকা এবং সমাজকেও সচেতন করা। এজন্য নিয়মিত আত্মসমালোচনা করতে হবে, আমার কথায়, কাজে, আচরণে মিথ্যা, খেয়ানত, প্রতারণা বা দ্বিমুখিতা আছে কি না। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দোয়াও এ ক্ষেত্রে চমৎকার নির্দেশনা:
اللَّهُمَّ طَهِّرْ قَلْبِي مِنَ النِّفَاقِ
“হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে মুনাফিকি থেকে পবিত্র করো।”
ইবাদতের পাশাপাশি সততা, আমানতদারিত্ব, এবং প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকা, এসব গুণই মুমিনের পরিচয় দেয়। মুনাফিকদের চিহ্নিত করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নিজের মধ্যে তাদের কোনো বৈশিষ্ট্য আসছে কি না, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ।

মুনাফিকেরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে ইসলামেরই সর্বোচ্চ ক্ষতি করে থাকে। তারা দ্বিমুখী আচরণ করে, যার মাধ্যমে ইসলামি সমাজের ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। কুরআন ও হাদীস, দুই জায়গায়ই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে। তাই আমাদের কর্তব্য হল, এই গোপন শত্রুদের চিনে রাখা, তাদের চক্রান্ত থেকে দূরে থাকা এবং নিজের অন্তরকে শুদ্ধ রাখা। মুনাফিকদের দ্বারা নয়, বরং সচ্চরিত্র ও খাঁটি ঈমানদারদের দ্বারা ইসলামের পতাকা সমুন্নত রাখতে হবে। কেননা, ইসলামের বিজয় আসে হৃদয় ও কর্মের একনিষ্ঠতার মাধ্যমে, মুখের চাতুর্য বা বাহ্যিক মুখোশের মাধ্যমে নয়।

(SYED MD ARSHAD JAMAL)

11/05/2025
তাহলে কি দাঁড়ালো?
11/05/2025

তাহলে কি দাঁড়ালো?

02/05/2025

Fact-finding report on Murshidabad riots calls for judicial investigation, compensation, and accountability for administrative failure.

কি ধর্ম দেখবেন?
01/05/2025

কি ধর্ম দেখবেন?

 #পহেলগামের ভাইরাল জিপ অপারেটর মোজাম্মেলকে দীর্ঘ জেরার পর এনআইএ জানাচ্ছে, মোজাম্মেল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা হামলার সঙ্গে যুক...
01/05/2025

#পহেলগামের ভাইরাল জিপ অপারেটর মোজাম্মেলকে দীর্ঘ জেরার পর এনআইএ জানাচ্ছে, মোজাম্মেল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা হামলার সঙ্গে যুক্ত এমন কোন প্রমাণ তারা পাননি। ভিডিও ক্লিপিংসে গুলির শব্দে মোজাম্মেলকে " আল্লাহু আকবর " বলতে শোনা গিয়েছিল। এনআইএ বলছে ওইটি আদৌ কোন ইঙ্গিত বা ইশারা ছিল না। গুলির শব্দে মোজাম্মেলের বিস্ময়ের অভিব্যক্তি ছিল ওইটি। এবং তিনি ঘুনাক্ষরে অনুমান করতে পারেননি সন্ত্রাসবাদি হামলা হতে পারে বা এরকম কিছু একটা ঘটতে পারে, সম্পূর্ণ স্বভাব সিদ্ধভাবে আল্লাহু আকবার বলছিলেন, হিন্দুরা যেরকম "রাম নাম" জপ করে থাকেন এর মতনই। শব্দগুলি যখন তার কানে পৌঁছায় তখন তিনি বেশ বিস্ময়গ্রস্ত ছিলেন।

তাহলে দাঁড়ালো কী? একজন নিরাপরাধ, খেটে খাওয়া ভারতীয় নাগরিককে দুই তিনদিন ধরে সন্ত্রাসবাদী, জেহাদি দাগিয়ে দূরন্ত প্রচার চলানো হলো সোশাল মিডিয়ায় স্রেফ এই কারণে, যে তিনি গুলির শব্দে " আল্লাহু আকবর " বলেছিলেন! অথচ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল,মোজাম্মেলের ক্লায়েন্ট, যাকে তিনি জিপ রোর সওয়ারি করাচ্ছিলেন তিনি বেশ এনজয় করছিলেন। হেসে হেসে ভিডিও করছিলেন। মোজাম্মেলের চেহারায় যে বিস্ময়ের ছাপ, বিহ্বলতার ছাপ ছিল, সেটি তার ক্লায়েন্টের চেহারায় ছিল না। মোজাম্মেল যদি তাকে গুলি খেতে ঠেলেই দিতেন তবে কী সেই ক্লায়েন্টকে হেসে ভিডিও করতে দেখা যেতো? যেতো না। স্বাভাবিক। যদিও এই স্বাভাবিক জিনিসটাই কারোর একবারও মনে হলো না। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কতটা ব্রেনওয়াশড হয়েছেন গত দেড়টি দশকে, এগুলো থেকে বোঝা যায়।

সংগৃহীত- রাজদীপ বিশ্বাস রুদ্র।

আগ্রার শহীদ আলী চিকেন বিরিয়ানি হাউজ, পারিবারিকভাবে সব ভাইয়েরা মিলে দোকানটা চালায় তারা। বিক্রিবাট্টা শেষে এক ভাই গুলফাম আ...
27/04/2025

আগ্রার শহীদ আলী চিকেন বিরিয়ানি হাউজ, পারিবারিকভাবে সব ভাইয়েরা মিলে দোকানটা চালায় তারা। বিক্রিবাট্টা শেষে এক ভাই গুলফাম আলী দোকান বন্ধ করছিলেন, আরেকভাই সাইফ আলী ঝাড়ু দিচ্ছিল।

হঠাৎই দুজন এসে গুলি চালায়। গুলফাম লুটিয়ে পড়ে। সাইফ পেছন থেকে এগিয়ে এলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি করে এই সন্ত্রাসীরা। তিনি উঁবু হওয়ায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান। তবুও কাঁধের পাশ ছুঁয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে গুলি চলে যায়।

হত্যার একদিন পর, সোশাল মিডিয়ায় ভিডিওবার্তা দিয়ে দুইজন এই হত্যার দায় স্বীকার করে। নিজেদের তারা গো রক্ষা দলের সদস্য বলে দাবি করে। কেবল তাই নয়, পেহেলগাম হত্যার ২৬ জনের বদলা হিসেবে ২৬০০ মুসলমান হত্যা করা হবে, তারা এই ঘোষণাও দিয়েছে।

গো রক্ষা দল আরআরএস এবং সংঘ পরিবার থেকে অভিন্ন। ইতোমধ্যে দলিত এবং মুসলমানদের উপর বহু হামলাই ঘটিয়েছে। ফলে এদের থ্রেট ছোট করে দেখার কিছু নেই।

অতর্কিতে হামলা করে খুন ফেলছে। খুন করার পর আরও খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা দিচ্ছে- ভারত মাতা'র নামে শপথ করে বলছে তারা আরও শত শত হত্যাকাণ্ড ঘটাবে। তারা জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে ভিডিও বার্তা শেষ করেছে।

এরপরও এটা সন্ত্রাস নয়, জঙ্গিবাদ নয়! ভারতীয় গণমাধ্যমে এই খবর সেভাবে স্থান করে নিতে পারে নি। কোনও গণমাধ্যম মৃতের ছবি প্রচার করে নি। কারণ মানুষের মাঝে তারা চায় না, নিহত সংখ্যালঘু মুসলমানটির জন্য কোনও মানবিক বোধ জেগে উঠুক।

পেহেলগামের ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িওয়ালারা কাশ্মীরি মুসলমানদের বাড়ি ছাড়া করে দিচ্ছে। হিন্দু দোকানদাররা মুসলমানদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়েরনোটিশ বোর্ডে লিখে দেওয়া হচ্ছে, Muslims and dogs are not allowed!

দেশজুড়ে পুরনো ঘৃণা আরও পোক্ত হচ্ছে। সংখ্যালঘু মুসলমানরা নিজেদের দোকানে খুন হচ্ছে। আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না। পুলিশি শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। গণমাধ্যমে আওয়াজ হচ্ছে না।

মুসলমানের জীবনের মূল্য অন্যদের সমান নয়।

ছবিতে, নিহত গুলফামের বিরিয়ানির দোকান। দোকানটি বন্ধ হয়ে গেছে। সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলমানদের জীবন যেভাবে দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

লিখেছেন : Sabir Hossain

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share